নাটক: শুভ পরি৯ - পঞ্চম দৃশ্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/১১/২০০৭ - ৯:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[কলিং বেল বাজবে। জরিনা মঞ্চে ঢুকে দরজা খুলতে যাবে। দরজায় হাবলু।]

জরিনা: আরে হাবলু ভাই?

হাবলু: জরিনা, তোমারে এত খুশী খুশী লাগতাছে?

জরিনা: বাহ আইজ এই বাড়ীতে একটা বিয়া আর আমার খুশী লাগবো না?

হাবলু: আজব কান্ড! বুইড়ার লগে চুমকী আফার বিয়া, আর তুমি হাসতাছ?

জরিনা: ঘটনা আরো আছে। হুনো কানে কানে বলি।

[কাছে গিয়ে ফিস ফিস করবে।]

হাবলু: হ্যাঁ হ্যাঁ কও কি? এতো কিছু ঘটলো, আমারে কও নাই কেন?

জরিনা: তোমার তো বুইরার লগে গলায় গলায় খাতির যদি কইয়া দিতা? তাই কই নাই, ছরি।

হাবলু: তয় এই বিয়াটা হইয়া গেলেই কিন্তু আর দেরী না। এরপরেই কিন্তু...

জরিনা: এরপরেই কিন্তু - কি?

হাবলু: আমাগো বিয়া। তোমারে নিয়া আমি কক্সবাজার যামু। হানিমুন করতে, কও রাজী?

জরিনা: যাও আমার শরম করে। তুমি একটা পাজী।

হাবলু: পাজী? হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ ....

[তিকলীর প্রবেশ। হাতে একটি পুতুল।]

জরিনা: তিকলী, তুমি এখানে ক্যান?

হাবলু: এইডা ক্যাডা?

জরিনা: আরে আমাড়ো পাশের বাড়িত থাকে। সারাদিন তো চুমকী আপার লগে ঘুরঘুর করে। আগে দেখ নাই?

হাবলু: কই না তো! (তিকলীর কাছে গিয়ে) কি নাম তোমার?

তিকলী: তিকলী। জানো, আজ না চুমকী আন্টির বিয়ে।

হাবলু: জানি তো। তয় এরপরেই না তোমার জরিনা খালার বিয়া।

তিকলী: ওহ নো! সবাইকে কেন বিয়ে করতে হবে? আমি তো কখনো বিয়েই করবো না।

হাবলু: ঠিক আছে ঠিক আছে। সময় মতো দেখা যাবে।

তিকলী: না না ঠিকই বলছি। বিয়ে করা মানে লাইফে ফ্রীডম নষ্ট করা। আমি জেনেশুনে তো তা করতে পারিনা।

জরিনা: বাপরে এই টুকু মাইয়ার কথা শোনো!

তিকলী: জরিনা আন্টি, আজ এ বাড়িতে বিয়ে তো আর লোকজন কোথায়?

জরিনা: হুহ্ । আর লোকজন? তোমার নানায় যা কিপ্টা! বিয়া বইলা একটা আমারে একটা শাড়ীও দিল না। খাড়া না বুইরা তোর এমুন শিক্ষা দিমু না!

[বাইরে থেকে স্বাধীনের হুঙ্কার শোনা যাবে - উ হা হা হা]

জরিনা: মরছে স্বাধীন বোকুবটা আবার আইছে!

হাবলু: তুমি না কইলা আর বলে আইব না? ওরে বাবারে আমি পালাই।

[হাবলুর প্রস্থান]

জরিনা: (চিন্তা করে) স্বাধীনটারে খেদানোর একটা বুদ্ধি পাইছি। তিকলী হুনো।

[জরিনা তিকলীর কানে কানে ফিস ফিস করবে। তিকলী মাথা নাড়বে।]

তিকলী: ঠিক আছে, ঠিক আছে।

জরিনা: পারবা না? পারলে কিন্তু তোমারে অনেক আইসক্রীম খাওয়ামু।

তিকলী: পারব তো দেখই না।

[স্বাধীনের প্রবেশ]

স্বাধীন: উ হাঃ হাঃ হাঃ। চুমখি, নাহ আর তাকতে পারলাম না। আবার চলে আসলাম।

জরিনা: তুমি না বলছিলা আর আসবা না?

স্বাধীন: নাহ্ আর তাকতে পারলাম না। তোমার স্বামী আছে তো কি হয়েছে? ফ্রয়োজনে তাকে আচ্চা করে মাইর দিয়ে বাগিয়ে দিবো যে।

জরিনা: স্বাধীন, আমার খালি স্বামী না। আমার একটা বাচ্চাও আছে।

স্বাধীন: বাচ্চা! ওরে বাবা! আমি বড় ভয় পাই। খালি ভিজায়া দেয়। খালি ভিজায়া দেয়। এতো দিন বল নাই কেন? হ্যাঁ?

জরিনা: এতোদিন মাথায় আসে নাই তাই। [জিভ কাটবে]

স্বাধীন: অ্যাঁ খি বলছ এসব?

জরিনা: কিছু না। মা তিকলী, এই যে উনি তোমার আব্বা। যাও, আব্বা বলো।

তিকলী: (স্বাধীনের দিকে হাত বাড়িয়ে) আব্বা। আব্বা কোলে।

স্বাধীন: (ভয়ে পিছাতে থাকবে) ওরে বাবা আমি কারো আব্বা না।

তিকলী: আব্বা কোলে।

স্বাধীন: এই যে খেলনা নিবা? নাও (পিস্তলটি তিকলীর দিকে আগিয়ে দিবে)

তিকলী: (পিস্তলটি ছুঁড়ে ফেলবে) না। বললাম তো। কোলে নাও। আব্বা কোলে। আব্বা কোলে।

স্বাধীন: ওরে আল্লাহ রে! এ কোন মুসিবতে পড়লাম রে। ছুমখি আমি যাচ্ছি। মা রে...

[দৌড়ে পালাবে]

জরিনা: হি হি হি। সাব্বাস তিকলী। মাইয়া তো না একেবারে বাঘের বাচ্চা!

তিকলী ওটার মানে কি?

জরিনা: মানে বুঝনের দরকার নাই। তুমি বস। আমার অনেক কাম বাকি। আসল ঘটনা তো এখন শুরু হইব।

[জরিনা ভিতরে যাবে। তিকলী বসে বসে খেলবে। বাইরে থেকে চান, আমলা ও উকিল ঢুকবে।]

চান: আহো উকিল মিয়া। আমলা স্যার আহেন, আহেন। বন।

আমলা: তা চান সাহেব, আপনাকে বেশ খুশী খুশী লাগছে আজ? ব্যাপার কি?

উকিল: হ মিয়া। আমারে আবার বিয়ার রেজিস্ট্রি টা আনতে কইলা। বিয়া করবা নি?

চান: বহ কইতাছি তো।

আমলা: আরে, এ বাচ্চা কার?

চান: ওহ। এ হইলো তিকলী। আমাগো পাশের বাসায় থাকে। সারাদিন চুমকীর লগে লগে ঘুরে।

তিকলী: কি মজা, কি মজা। চান নানার বিয়ে। চান নানার বিয়ে।

চান: তিকলী হুনো, আইজকা বাসায় অনেক লোকজন আইবো তো। আমারে নান ভাই বইলা ডাকবা। কেমন?

তিকলী: আচ্ছা

চান: কওতো কি ডাকবা?

তিকলী: চান নানা ভাই

চান: না না না। শুধু ভাই ডাকবা। কওতো কি ডাকবা?

তিকলী: শুধু ভাই, শুধু ভাই।

চান: মর জ্বালা।

তিকলী: জান শুধু ভাই আমি না খুব লাকি।

চান: আবার কি?

তিকলী: আমি না আমার মা-বাবার বিয়ে খেতে পারিনি। দূরে কোথায় নাকি ছিলাম। কিন্তু আমি ঠিকই এই নানার বিয়ে খাচ্ছি। কি মজা, কি মজা (চানকে দেখিয়ে)

চান: উফ তিকলী, তুমি এখন একটু ভিতরে যাও। কেমন? যাও যাও।

তিকলী: চান নানার বিয়ে। চান নানার বিয়ে। চান নানার বিয়ে। (বলতে বলতে ভিতরে যাবে)

চান: আইজকালকার পোলাপাইন বইখা গেছে।

উকিল: তা চান মিয়া আইজ কি বিয়া করবা?

আমলা: হ্যাঁ, সেরকমই তো মনে হচ্ছে। কনগ্র্যাচুলেশন্স। তা পাত্রী কে, কোথায়?

উকিল: হ হ পাত্রী কেডা?

চান: হে হে হে। অনেক দিন হইল আপনাগো ভাবী ইন্তেকাল ফরমাইছেন। আর এমন কি বয়স আমার ষাইটো পরে নাইক্কা। তার উপর ঘরেই যখন সুপাত্রী আছে। তখন আর দেরী ক্যা?

আমলা: এ্যাঁ তার মানে?

চান: হ ঠিকই ধরেন। চুমকী। হেঃ হেঃ হেঃ

[আমলা ও উকিল দুজনেই লাফিয়ে উঠবে।]

আমলা: চুমকি? (হাহাকার করে উঠবে)

উকিল: চুমকি? (হাহাকার করে উঠবে)

[আমলা ও উকিল - দুজনেই কেঁদে জড়িয়ে ধরবে পরস্পরকে]

[ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক - তোমার বাড়ীর সামনে দিয়ে আমার মরণ যাত্রা ...]

উকিল: (কাঁদতে কাঁদতে) মিয়া তুমি আমারে এই বিয়া পড়াইতে ডাইকা আনছো?

আমলা: অ্যাঁ তলে তলে এত দূর? এতো বড় ধোঁকা?

[ভেতর থেকে পিরিচ ভাঙ্গার শব্দ। জরিনা আর্ত চিৎকার দিবে। চুমকি উদভ্রান্তের মত বড় ছুরি উঁচিয়ে ঘরে ঢুকবে।]

চুমকী: শেষ করে ফেলবো। টুকরো টুকরো করে ফেলবো। ছাড়বো না।

চান: ওরে বাবারে। চুমকী কি হইছে তোমার? এ্যাঁ কারে শ্যাষ কইরা দিবা?

চুমকী: আমাকে যে বিয়ে করবে, তাকে।

উকিল: মা চুমকী, আমার কোন দোষ নাই। আমি এর কিছুই জানি না।

চুমকী: শেষ করে ফেলবো। সাবাইকে আজ টুকরো টুকরো করে ফেলবো।

আমলা: চান সাহেব। ইয়ে, আমার আবার একটা জরুরী কাজ আছে। আমি বরং পালাই, হ্যাঁ। (পালাবে)

উকিল: চান মিয়া। আমারও একটা মার্ডার কেস আছে। আমি যাই?

[উকিলকে চান মিয়া ধরে ফেলবে। চুমকি আস্তে আস্তে সোফায় বসবে। ছুরি উঁচিয়ে থাকবে।]

উকিল: ওরে বাবা, ওরে মনে হয় জ্বীনে ধরছে। জ্বীনের ওঝা ডাকন লাগবো।

চান: হ ঠিকই কইছ। তাড়াতাড়ি একটা জ্বীনের ওঝা ডাকন দরকার। ইশ, দরকারের সময় হাবলু হালায় কই যে হান্দাইছে? হাবলু, ওই হাবলু।

[ওঝার ছদ্মবেশে পনিরের প্রবেশ]
ওঝা: হক মাওলা

চান: মরছে। এইডা আবার কেডা?

ওঝা: হক মাওলা। এই তোরা আমারে স্মরন করছস কেন? ক ক্যান আমারে ডাকছস?

চান: আরে আরে। বাড়ীতে জোর কইরা ঢুকছে, আবার কথা? কেউ ডাকে নাইক্কা তোমারে। যাও রাস্তা মাপ গিয়া।

ওঝা: হক মাওলা। অমাবশ্যার লগ্ন থাইকা তিন বোতল ফেন্সী আর এক বোতল দেশী মাইরা ধ্যানে বইসা আছি। আৎকা মনে মনে শুনি তোগো চিৎকার। কারে বলে জ্বীনে ধরছে। কোথায় সে?

চান: অ্যাঁ, মনে মনে ডাকতেই হাজির! বাবা আপনে কেঠায়?

ওঝা: লোকে আমারে টাংকি বাবা বলে। আদিবাস হিমালয়। বর্তমান নিবাস রমনা পার্ক।

চান: (ওঝার পা ধরে) টাংকি বাবা, যত টাকা লাগে, আপনে আমার চুমকীরে ঠিক কইরা দেন। ওর লগে আমার বিয়া হওনের কথা।

ওঝা: ওরে টাকা পয়সা আমি নেই না। খালি টাংকি ভরনের লাইগা দুইডা ডাইলের বোতল দিস।

চান: দুইডা না এক বাক্স দিমু। খালি আমার চুমকীরে...

ওঝা: দাড়া, আইজ এমন ঝাড়া দিমু, জ্বীনের চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার কইরা দিমু না! (গাছের পাতা দিয়ে চানকে মারতে থাকবে।)

চান: বাঁচাও। বাবা আমি না। জ্বীনে ধরছে তো ওই চুমকিরে।

ওঝা: (চুমকিরে চার দিকে ঘুরে ঘুরে, পাতা দিয়ে ঝেড়ে ঝেড়ে)
জ্বীনের আমি মামা লাগি, আমায় করে ডর
আমার কথায় উঠে বসে, গায়ে আসে জ্বর

অ্যাঁ, ইলিয়া বিলিয়া খাবরা খুবরি...
ইলিয়া বিলিয়া খাবরা খুবরি...

চান: বাবারে আমার ডর করতাছে।

ওঝা: চিন্তা নাই। এই মাইয়া মনে হয় কাউরে ভালোবাসে। কিন্তু কে যেন তারে জোর কইরা বিয়া করবার চায়। কে সে?

উকিল: আমি না। এই যে, এই যে। (চানকে দেখিয়ে)

ওঝা: (চানকে) শোন, তোর মনের বাসনা পূর্ণ হবে। চুমকী তোরেই বিয়া করব।

চান: অ্যাঁ করব? আলহামদুলিল্লাহ।

ওঝা: কিন্তু।

চান: মরছে। আবার কিন্তু কেলায়?

ওঝা: তোর লগে বিয়ার আগে চুমকির মনে এর প্রেমিকের লগে ভেজাল লাগায় দিমু।

চান: আপনে আমার মা বাপ। আব্বা কন কি করতে হইবো। এতো চেষ্টা কইরাও অর প্রেমিক ঐ পনির হারামজাদাটারে অর মন থিক্কা সরাইতে পারি নাইক্কা।

ওঝা: হোন, আমি এহন চুমকির চক্ষে পনিরের রূপ ধারন করুম। তুই লগে লগে চুমকির মিছামিছি বিয়া পরাইয়া দিবি। তাইলেই জ্বীন বাবাজী বাপ বাপ কইরা পালাইবো। তারপর আমি ওই মাইয়ার মনে পনিরের জন্য ভেজাল লাগাইয়া দিমু। তখন দেখবি চুমকি তর কাছে সুরসুর কইরা চইলা আইবো। হক মাওলা।

চান: জ্বী বাবা, যা বলেন করুম।

ওঝা: তয় বিয়াটি কিন্তু আসলের মত হইতে হইবো। কাগজে কলমে হওয়া চাই।

চান: আরে, আমার উকিল তো মজুদই আছে। যাও মিয়া কাজে লাইগা পড়ো।

[উকিল রেজিস্ট্রী খুলে বিয়ে পড়াতে রেডি হবে]

উকিল: (ওঝাকে) নাম?

ওঝা: (আসল গলায়) পনির খান পাটোয়ারী

উকিল: গলাটা কেমুন চেনা চেনা লাগে!

ওঝা: হক মাওলা

উকিল: (উকিলের কথা ওঝা রিপিট করবে) বলেন আপনি পনির খান পাটোয়ারী ... এ্যাঁ এ্যাঁ ... ইত্যাদি ইত্যাদি ... মোসাম্মত চুমকী বেগম কে .. এ্যাঁ এ্যাঁ ... ইত্যাদি ইত্যাদি ... বলেন কবুল।

ওঝা: কবুল

উকিল: (উকিলের কথা চুমকী রিপিট করবে) বলেন আপনি মোসাম্মত চুমকী বেগম ... এ্যাঁ এ্যাঁ ... ইত্যাদি ইত্যাদি ... পনির খান পাটোয়ারীকে এ্যাঁ এ্যাঁ ... ইত্যাদি ইত্যাদি ... বলেন কবুল।

চুমকী: কবুল।

ওঝা: আলহামদুলিল্লাহ। আসেন সকলে দোয়া করি। হক মাওলা। আমাদের বিবাহিত জীবন যেন সুখে শান্তিতে ভরে থাকে।

সকলে: আমিন।

চান: আরে তোমরা দোয়া কর কেন? এইডা তো নকল বিয়া।

ওঝা: (দাঁড়ি গোঁফ খুলতে খুলতে) চান আংকেল, নকল না আমিও আসল, বিয়েটাও আসল। আমাদের দোয়া করবেন।

[পনির ও চুমকী দুদিক থেকে সালাম করতে যাবে। চান মিয়া পা সরিয়ে নিবে]

চান: অ্যাঁ, খবরদার। মানি না। তোমাগো এই বিয়া আমি মানি না। মানবো না। (কান্না কাটি করতে থাকবে)

উকিল: আরে মিয়া, রাগ করো কেনো? তোমার এক পা তো মিয়া কব্বরে। আর চুমকীর তো সারাজীবন পইড়া আছে। দাও দাও সালাম করতে দাও। আরে এই সোয়াবের কামডা করলে পরকালে তো অন্ততঃ ভালো থাকবা। নাকি?

চান: ঠিক আছে। আমি আমার ভুল বুঝতে পারছি। কাছে আয় চুমকী। আমারে তুই মাঝ কইরা দিস। পনির বাবা, তোমাগোরে দোয়া করতাছি, তোমরা সুখে থাকো।

[এর মাঝে জরিনা-হাবলু প্রবেশ করে তারাও সালাম করবে।]

চান: আরে তোরা সালাম করস ক্যা? ও বুঝছি, হাবলু হালায় সারাদিন ক্যান ঘুরঘুর করত এখন বুঝবার পারতাছি। তগো সবডির বিয়াতে আমি এমন খরচা করুম যে পেপারে নিউজ আইবো। ঐ হাবলু, যা ব্যান্ড পাট্টি লয়া আয়। গেট সাজা, সারা বাড়ি বাত্তি দিয়া ঢাইকা ফেলাবি। টেকা যা লাগে সব আমি দিমু। আইজ আসলেই আমার আনন্দের দিন।

[দরজায় কলিং বেল বেজে উঠবে।]

চান: আরে কেঠায় আইল এখন? ঐ হাবলু, দেখতো কেঠায়?

[হাবলূ দরজা খুলবে শিক্ষিকার প্রবেশ]

চান: (গদগদ হয়ে) সালামালাইকুম ম্যাডাম ভালা আছেন?

[শিক্ষিকা মিষ্টি হেসে মাথা নাড়বে]

চান: (শিক্ষিকাকে) ম্যাডাম, আপনারে আইজ বড় ছুইট লাগতাছে। আমার মনডা এমুন মোচড় দিয়া উঠল কেলায়? (ফুলদানী থেকে একটা ফুল নিয়ে শিক্ষিকার হাতে দিবে) ধরেন আপনার জইন্যে।

[চোখে চোখে পলক ফেলতে ফেলতে তাকিয়ে থাকবে দুজন]

পনির: (চেঁচিয়ে) আলহামদুলিল্লাহ।

অন্য সবাই: আলহামদুলিল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ॥

[সবাই ফ্রীজ হবে। লাইট অফ।]

॥সমাপ্ত॥


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।