ছবি তোলা মানুষের একটা সহজাত প্রকাশ মাধ্যম। ভিডিও মাধ্যমে ছবি, শব্দ সবকিছু ধরে রাখা গেলেও স্থির চিত্রের আবেদন একটুকুও কমেনি। একটা চমৎকার ভাবে তোলা ছবি বলতে পারে পুরো একটা গল্প, ধরে রাখতে পারে অসাধারান একটি মুহুর্ত।
ক্যামেরা এখন মানুষের হাতে হাতে। এখন প্রায় সব মোবাইল ফোনেই থাকে ক্যামেরা। খুব সস্তায় বেশ ভালো ডিজিটাল ক্যামেরাও পাওয়া যায় এখন। মানুষ তাই প্রচুর ছবি তোলে, শেয়ার করে বন্ধুর সাথে। ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যানে প্রফেশনাল ক্যামেরাও তাই চলে এসেছে মধ্যবিত্তের হাতের নাগালে। কিন্তু ক্যামেরা আর লেন্স কিনলেই ভালো ছবি তোলা যায় না। তার জন্য প্রয়োজন কারগরী জ্ঞান, আলো সর্ম্পকে ধারনা এবং বিষয়বস্তু দেখার চোখ।
এই ই-বুকের সূচনা প্রোজিউমার (professional consumer) গোত্রের ছবিবাজদের লক্ষ্য করে। যারা সাধারন ফটোগ্রাফী থেকে বেশী কিছু করতে চান, আবার ফটোগ্রাফীকে পেশা হিসেবেও নেননি তাদের জন্য।
প্রথমে ক্যামেরার কিছু টেকনিক্যাল জ্ঞান থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করব। কোন ভাষায় কথা বলে ফটোগ্রাফার? কোন ক্যামেরাটি ভাল? কিভাবে ভালো বিষয় বস্তু নির্বাচন করা যায়? এসব আলোচনা আসবে একে একে।
শুধু মাত্র একটা প্যাসিভ ই-বুক হিসেবে প্রকাশ না করে এটাক কোলাবোরেটিভ ওয়ার্ক হিসেবে প্রকাশ করার একটি কারন আছে। স্কুল, কলেজ বা ইউনিভার্সিটিতে পড়া যতটা ভাল হয় নিজে একলা একলা পড়তে গেলে ততটা হয় না। কারন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শিক্ষক পড়িয়ে যাবার পাশাপাশি ছাত্ররা নিজেরাও একে অপরকে অনেক সাহায্য করে। ঠিক একই ভাবে এই ই-বুকে আমি আশা করব একজন আরেকজনকে সাহায্য করে বিষয়গুলি বুঝতে সাহায্য করবে। তাছাড়া চাইলে আপনিও এই ই-বইয়ে জুড়ে দিতে পারেন বইয়ের পৃষ্ঠা। পাশাপাশি লার্নিং সম্পন্ন করার জন্য অনুষ্ঠিত হবে কুইজ।
আমার যোগত্যা কি এই বিষয়ে আলাপ করবার? কোন যোগ্যতা নাই। এমনকি আমার ডিএসএলআর ও নাই। আমি যা শিখছি তাই জানাব আপনাদের। আর সে জন্যেই এটা কোলাবোরেটিভ লার্নিং।
চলুন শিখে ফেলি এই ফটোগ্রাফি নামের বস্তুটাকে। আর ফ্রেম বন্দী করে ফেলি আমাদের আশেপাশের সুন্দর এই পৃথিবীটাকে।
মন্তব্য
হ শিখুম !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
- এইটা একটা গুল্লি কাম করছো মিয়া।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কেলাশে রেগুলার আইলে, কুইজে রোজ ফার্স্ট হইলে, সফলভাবে কোর্স সম্পন্ন করলে কোন ক্যামেরা উপহার পাওয়া যাইবে না?
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
গেলি!?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
খোঁজ নিয়ে দেখেন রেনেট ভাই অলরেডি চোথাও জোগাড় করে ফেলেছে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
কেলাশে রেগুলার আইলে, কুইজে রোজ ফার্স্ট হইলে, সফলভাবে কোর্স সম্পন্ন করলে কোন ক্যামেরা উপহার পাওয়া যাইবে না?
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
পাস মার্ক কততে?
হেভি কাজ হইসে একটা
কেলাশ করব নিয়মিতই। কিন্তু কুইজে কেউ ভাল করেও কোনও পুরস্কার না পাইলে ক্যাম্নে কী!
গুট গেমাখট !
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ডাঙ্কে। বিটে সিচ্ ডাই এংস্টারগুনগেন আন্ড এইনেন বেইট্রাগ লেইসটেন।
(Danke. Bitte sich die Anstrengungen und einen Beitrag leisten.)
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ইস্ সিরে...
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ইস্ বলেন ক্যা? ভালো কথাইতো বলছে। ধন্যবাদ দিছে আর বলছে কিছু লিখতে।
"Große Idee, erhält die guten Arbeiten aufrecht" আমারটা হইছে নাকি ভাই?
...........................
Every Picture Tells a Story
শিক্ষার উপকরণ ফ্রি দিতে হবে। তারপরে
সবাই যখন এত কইরা কইতাছেন তাই না দিয়া থাকতে পারলাম না। সবাইরে একটা কইরা ক্যামেরা দিয়া দিলাম। পুরা ফ্রী। দিলাম যখন তখন সস্তা দিমু কেন এক্কেরে ৮০০০ ডলারের ক্যানন 1D Mark III দিয়া দিলাম।
যাগো লাগব লাইন দিয়া খাড়ান। চোখ বন্ধ কইরা লন। যা পাইছেন তাই নিয়া আলহামদুলিল্লাহ কইরা যানগা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আরেব্বাস, এইটাতো দুইজন দুইদিক দিয়া ধরা লাগব।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
শিখতে চাই...আচ্ছা 'কোলাবোরেটিভ লার্নিং ই-বুক' এর বদলে কোন বাংলা শ্রুতিমধুর নাম দেয়া যায় না?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
আমি ক্লাশের বাইরে ফুচকা বিক্রী করব। সবাই ক্লাশ করে যাওয়ার সময় আমার একখানা ফটু তুলে হাতে নাতে বিদ্যা পরীক্ষা করে নিবেন।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
মাহবুব মুর্শেদ ভাই, জানি না এই মন্তব্য আপানি দেখবেন কিনা। আপনার ই-বুক 'শিখবা নাকি ক্যামেরাবাজী?' একটি চমৎকার উদ্যোগ ছিল। সেজন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মনে হচ্ছে প্রথম অধ্যায়ের পর আপনি ইন্টারেস্ট কিছুটা হারিয়ে ফেলেছেন। (স্বীকার করি সময় এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।) আমার কিছু মন্তব্য ছিল।
১। আমার মনে হয় এই চমৎকার উদ্যোগটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। সচলায়তনে আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে অনেকের ফটোগ্রাফীর উপর ব্যাপক দক্ষতা আছে। (কয়েকজনের নাম তো বলাই যায়... মুস্তাফিজ, হিমু, প্রকৃতিপ্রেমিক, সোমচৌ, উজানগাঁ, মেহেদী, অরূপ... এবং আরও অনেকে)। ই-বুকটিকে পূর্নাঙ্গ করতে সবাই কন্ট্রিবিউট করতে পারে।
২। (যদিও এটা মডারেটরদের জন্য), আমার মনে হয় নীড়পাতায় 'ই-বুক' বলে একটা লিঙ্ক থাকার কথা চিন্তা করা যেতে পারে। ক্লিক করলে সচলায়তন ই-বুকের লিস্ট চলে আসবে। এটা না হলে এত কষ্ট করে তৈরী করা ই-বুক গুলো অন্যান্য লেখার সাথে হারিয়ে যাবে। এখানে বলা উচিত কেউ যদি গুগলায়তন ব্যবহার করে 'ফটোগ্রাফীর' উপর লেখাগুলো দেখতে চায়, আপনার এই চমৎকার ই-বুকটা নাও আসতে পারে যেহেতু আপনার টাইটেলে এক কথাটা নেই।
৩। প্রথম অধ্যায়ে চমৎকার ভাবে টেকনিক্যাল ব্যাপার গুলো আলোচনা করা হয়েছে। তবে নতুনদের জন্য কয়েকটা সহজ এবং বেসিক ব্যাপার জানা খুব জরুরী (হয়ত আপনি অন্যান্য অধ্যায়ে আলোচনার কথা চিন্তা করেছিলেন) অথবা কয়েকটা সাধারন উদাহরন দিয়ে ব্যাপারগুলো সহজ করে দেয়া যেতে পারে (আসলে আমাদের মত টেকনিক্যাল জ্ঞানের অভাব যাদের, তাদের পক্ষে শুধু টেকনিক্যাল আলোচনা থেকে অনেক কিছু বোঝা বেশ কঠিন)। কিছু উদাহরণ দেয়া যাক।
ক) ক্যামেরা ধরার ব্যাপারটা। সাধারনত এসএলআর ব্যবহারের সময় বা-হাত ক্যামেরার নিচে রেখে সাপোর্ট দেয়ার একটা ব্যাপার থাকে। প্রচুর লোক সমান্তরাল ভাবে দুহাতে ক্যামেরার দুদিকে ধরে, যাতে ক্যামেরার ঝাঁকুনী থেকে সৃষ্ট ঝাপসা ভাব আসতে পারে।
কিংবা ধরুন আপনি যেভাবে ব্যাখ্যা করেছেন শাটারস্পীড ১/ফোকাল লেন্থের নীচে হলে ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশনের সুবিধা নিতে হবে। আপনি এটা মানবেন যে সব ক্যামেরায় ৩৫ মিমি. ইকুইভ্যালেন্ট ফোকাল লেন্থের হিসাব ব্যবহার করা হয়না। অনেকের জন্য এটা কনফিউশন সৃষ্টি করতে পারে। সেক্ষেত্রে হয়ত একটা ধারনা দেয়া যেতে পারে শাটারস্পীড ১/৩০ সেকেন্ডের কম হলে ট্রাইপোড ব্যবহার করে ঝাঁকুনী থেকে সৃষ্ট ঝাপসা ভাব রোধ করা সম্ভব।
খ) একটা ক্যামেরায় যে স্পেসিফিকেশন দেয়া থাকে সেগুলোর মানে কী? যদিও আপনি টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলো বুঝিয়ে দিয়েছেন, তারপরও উদাহরন দিয়ে ব্যাপারগুলো সহজ করে দেয়া যেতে পারে। এই মুহূর্তে আমার হাতের কাছে একটা বেসিক পয়েন্ট-এন্ড-শ্যুট ক্যামেরা আছে, নাইকন কুলপিক্স এল১১। স্পেসিফিকেশনে দেখা যাচ্ছে ৩x অপটিক্যাল জুম, ৬.২-১৮.৬ মিমি. ১ঃ২.৮-৫.২। আপনার বর্ণনার সাথে মিল রেখে খুব সহজেই ব্যাখ্যা করা যায়... ৬.২-১৮.৬ মিমি. হচ্ছে ফোকাল লেন্থ। ১৮.৬/৬.২=৩, নির্দেশ করছে ৩x অপটিক্যাল জুম। ১ঃ২.৮-৫.২ নির্দেশ করছে আলোকছিদ্র।
গ) যদিও আপনি বলেছেন আলোচনায় আগ্রহী না, তবুও কোথাও ৩৫ মিমি. ইকুইভ্যালেন্ট এবং ফোকাল লেন্থ যে অন্য ভাবে ডিজিটাল ক্যামারায় দেখানো হয় এটার একটু ব্যাখ্যা দরকার।
সংক্ষেপে আমার বক্তব্যটা হচ্ছে যে বর্তমানে অনেকে শখের ফটোগ্রাফীর দিকে ঝুকে পড়ছে। এই ই-বুকটা তাদের বড় উপকারে আসতে পারে।
এই চমৎকার উদ্যোগের জন্য আরেকবার ধন্যবাদ।
আপনার আগ্রহের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। এরকম একটা দুটা মন্তব্য পেলে সবকিছু ছেড়ে লেখার জন্য ঝাপিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে।
ইদানীং একটু ব্যস্ততা যাচ্ছে। বিশেষ করে সচলায়তন আপগ্রেডের কিছু কাজ করছি। সবকিছু সামলে কন্টিনিউ করবার ইচ্ছে থাকল। আপনার মন্তব্যের প্রতিটি পয়েন্ট মাথায় রাখব।
আবারও অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ই-বুকের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ এবং সুন্দর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে টেকনোলজী পরিবর্তনের/কিংবা নতুন টেকনোলজীর সাথে সাথে এটাকে দরকার মত আপডেট করা যায়।
ই-বুক বা ব-e গুলো এক্সেস করা যাবে বাম পাশের মেন্যুতে
"লেখা অনুসরন > ব-e" থেকে
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
নতুন মন্তব্য করুন