লেন্সের অপটিক্যাল সেন্টার থেকে ফোকাল পয়েন্ট পর্যন্ত দুরত্ব (মিলিমিটারে) কে ফোকাল লেন্থ বলে। অসীম দুরত্ব থেকে আসা আলো যদি ফিল্ম বা সেন্সরের উপর ঠিকঠাক মতো পড়ে তাহলে ফোকাল পয়েন্টটা ফিল্ম বা সেন্সরের উপর অবস্থিত হয়। এক্ষেত্রে বস্তুটি সঠিক ফোকাসে ("in focus") আছে বলা হয়। ক্যামেরার লেন্স ছবির দৃশ্যের একাংশ ফিল্ম বা সেন্সরের উপর প্রতিস্থাপিত করে। লেন্স থেকে ছবির দৃশ্যের বাইরের দিকের ত্রিকোন বা অ্যাঙ্গেলকে দৃশ্যের ময়দান (field of view, FOV) বলে। এই দৃশ্যের ময়দান আড়াআড়ি অথবা খাড়াভাবে নির্ণয় করা যায়। যত বড় সেন্সর বা ফিল্ম হয় তত বৃহৎ FOV হয় এবং তত বেশী দৃশ্য ধারন করা সম্ভব হয়। ৩৫ মিলিমিটারের ফিল্মের জনপ্রিয়তার কারনে একটা ফোকাল লেন্থের পরিপ্রেক্ষিতে নির্নিত FOV প্রকাশ করা হয় ৩৫ মিলিমিটারের ফিল্মের হিসাবে।
৩৫ মিলিমিটার ফিল্ম ফটোগ্রাফীতে, ৫০ মিলিমিটারের ফোকাল লেন্থের লেন্সকে "স্বাভাবিক" লেন্স বলা হয়, কেননা এতে ছবির কোনরূপ বর্ধন বা খর্ব করা ছাড়াই যে ছবি পাওয়া যায় তা খালি চোখে দেখা দৃশ্যের মতো। আমাদের চোখের ছবির অ্যাঙ্গেল আর এই লেন্সের অ্যাঙ্গেল দুটোই ৪৬ ডিগ্রী।
ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স (ছোট ফোকাল লেন্থ) অনেক বেশী দৃশ্য ধারন করতে পারে, কেননা তাদের ছবির অ্যাঙ্গেল বা ত্রিকোন অনেক বড়। আবার টেলি লেন্সের (বেশী ফোকাল লেন্থ) দৃশ্যের অ্যাঙ্গেল বা ত্রিকোন অনেক চোখা। নীচের টেবিলে বহুল ব্যবহৃত ফোকাল লেন্থের উদাহরন দেয়া হল:
< 20mm | Super Wide Angle |
24mm - 35mm | Wide Angle |
50mm | Normal Lens |
80mm - 300mm | Tele |
> 300mm | Super Tele |
ফোকাল লেন্থ পরিবর্তনের সাথে সাথে আপনি হয় ছবির বিষয় থেকে দূরে সরে যান অথবা কাছে চলে আসেন। এতে করে ছবির পার্সপেক্টিভ বা দেখার ভঙ্গি প্রভাবিত হয়। দৃশ্যের অ্যাঙ্গেল বেশী হলে ব্যারেল ডিস্টর্শন বা পিপাকৃতির ছবি তৈরী হয়। দৃশ্যের অ্যাঙ্গেল চোখা হলে তৈরী হয় পিনকাশন ডিস্টর্শন বা সূঁচাকৃতির ছবি।
৩৫ মিলিমিটারের সমতুল্য ফোকাল লেন্থ ৩৫ মিলিমিটার ফিল্মের সমতুল্য ডিজিটাল ক্যামেরা নির্মানে প্রচুর খরচ পড়ে বলে ডিজিটাল ক্যামেরার সেন্সরের আকার সাধারনতঃ ছোট থাকে। এক্ষেত্রে ফোকাল লেন্থ গুনক ব্যবহার করে এই ছোট লেন্স থেকে ৩৫ মিমির লেন্সের সমতুল্য ফোকাল লেন্থ নির্নয় করা যায়। এখানে সে বিস্তারিত আর আলোচনা করা হল না।
অপটিক্যাল জুম এবং ডিজিটাল জুম
অপটিকাল জুম এর সুত্র হচ্ছে:
অপটিকাল জুম = সর্বোচ্চ ফোকাল লেন্থ / সর্বনিম্ন ফোকাল লেন্থ
উদাহরন স্বরূপ, ২৮-২৮০ মিমি লেন্সের অপটিক্যাল জুম হচ্ছে ২৮০মিমি/২৮মিমি বা 10X। এর মানে হচ্ছে সবচেয়ে চোখা অ্যাঙ্গেলে (২৮০মিমি) বস্তুর আকার সবচেয়ে ওয়াইড অ্যাঙ্গেলে (২৮মিমি) বস্তুর আকারের ১০ গুন বিবর্ধিত হবে। অপটিক্যাল জুমকে ডিজিটাল জুমের সাথে মিলিয়ে ফেলাটা ভুল। ডিজিটাল জুম আসলে ছবির একটা অংশকে কেটে ক্যামেরার স্ক্রীনে বড় করে দেখায়। সত্যি সত্যি সেটাকে বর্ধিত করেনা।
মন্তব্য
"ফ্লীম" কি জিনিস?
--------------------
অসীম দুরত্ব থেকে আসা আলো যদি ফ্লীম বা সেন্সরের উপর ঠিকঠাক মতো পড়ে তাহলে ফোকাল পয়েন্টটা ফ্লীম বা সেন্সরের উপর অবস্থিত হয়। এক্ষেত্রে বস্তুটি সঠিক ফোকাসে ("in focus") আছে বলা হয়। ক্যামেরার লেন্স ছবির দৃশ্যের একাংশ ফ্লীম বা সেন্সরের উপর প্রতিস্থাপিত করে। লেন্স থেকে ছবির দৃশ্যের বাইরের দিকের ত্রিকোন বা অ্যাঙ্গেলকে দৃশ্যের ময়দান (field of view, FOV) বলে। এই দৃশ্যের ময়দান আড়াআড়ি অথবা খাড়াভাবে নির্ণয় করা যায়। যত বড় সেন্সর বা ফ্লীম হয় তত বৃহৎ FOV হয় এবং তত বেশী দৃশ্য ধারন করা সম্ভব হয়। ৩৫ মিলিমিটারের ফ্লিমের জনপ্রিয়তার কারনে একটা ফোকাল লেন্থের পরিপ্রেক্ষিতে নির্নিত FOV প্রকাশ করা হয় ৩৫ মিলিমিটারের ফ্লিমের হিসাবে।
ধন্যবাদ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।
ফোকাল লেন্থ জিনিসটা দেখতে সোজা লাগলেও মারাত্মক জটিল। মাথাটা আউলা হয়ে যায়। প্রথমবার পড়ছি অর্ধেক বুঝছি, আবার পড়লাম তখন মনে হয় আগের বার কিছুই বুঝি নাই। নাহ্ এটি প্রিন্ট করে আরো ঠান্ডা মাথায় পড়তে হবে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
জটিল জিনিস বুঝার সহজ বুদ্ধি হল একবার পড়ে জিনিসটা থেকে দূরে সরে যাওয়া। এরমধ্যে মাথা তথ্যটা ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেসিং করতে থাকে। পরে সময় পেলে জিনিসটা আরেকবার দেখুন। বুঝলে ভালো নইলে একই পদ্ধতি আবার চালান। দেখবেন একসময় আয়ত্ত্বে চলে এসেছে জিনিসটা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।
জটিল বিষয় মগজের পরিপাক তন্ত্রে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে ভুলে যাওয়ার এ পদ্ধতিটা আমার নিজেরও পছন্দ।
ক্যাম্রাবাজী সিরিজটা ভালো লাগছে...॥
ডিজিটাল এস এল আর কেনার আগে এনিয়ে অনেক মাথা ঘামিয়েছি, কোন কূলকীনারা পাইনি। শেষ পর্যন্ত ১.৬ কিনেছি, এখন মনে হচ্ছে ফুলফ্রেম কিনলেই ভালো করতাম।
...........................
Every Picture Tells a Story
সচলায়তনে বেচে দেন। তারপর ফুলফ্রেম কিনেন।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
সাথে সাদা লেন্সটা বিক্রি করার চিন্তা ভাবনা আছে নাকি ??
ফুলফ্রেম তো সবাই কিনতেই চায়। কিন্তু আসল বটল নেক হল পয়সা। কোনভাবে টাকা জমাতে পারলে কিনে ফেলুন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।
ছোটবেলায় পদার্থবিজ্ঞান পড়তে গিয়ে এইটা শিখেছিলাম। যাক ক্যামেরাবাজীর একটু হইলেও আগে থেকেই জানা ছিল।
আমিও সেটাই দেখলাম। ইন্টারমিডিয়েটের আলো এবং লেন্সের চ্যাপ্টার থেকেই সবকিছু এসেছে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।
বানানপ্রমাদ: (তবে এটা সম্ভবত: আঞ্চলিক ইংরেজি উচ্চারণের বিভ্রাট)
যেহেতু এল-টা এফ এর সাথে নয় সুতরাং ফ+ল=ফ্ল হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। লিখতে গেলে ফিল্ম-ই লিখতে হবে।
ইংরেজি শব্দের বাংলারূপে ঈ-কার যোগ করার দরকার নাই। বিদেশি ভাষা হ্রস্ব রাখুন।
আরেকটা জরুরি লেখা দেয়ার জন্য এসএমথ্রিকে জাঝা।
এই অংশ আর লিখতে হবে না।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আপনাকে ধন্যবাদ। তবে চ্যালেঞ্জ কিন্তু জারি আছে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।
ক্যামেরা এবং টাইম ; পাইলে - এই সিরিজটা টেস্ট করতে হবে ঃ)
অনেক জানা জিনিসগুলো স্রেফ জানতাম। আপনার লেখাগুলো পড়ে সেগুলোর ডিটেইলসগুলো জানছি।
সবসময় কমেন্ট করা হয় না। কিন্তু আপনার এই সিরিজটা আমি কপি করে রাখি... (কপিটা শুধুই নিজে একাধিকবার পড়ার জন্য, তাই নিশ্চয়ই কপিরাইটের ঝামেলা নাই?)
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নতুন মন্তব্য করুন