আমার বাবু হবার পর থেকে বাবুর ছবি তোলার ধুম পড়ে গেলো। কিন্তু লক্ষ্য করলাম যে সব ছবিই আসলে মন মত হয় না। এ বিষয়ে ওয়েবে ঘাঁটাঘাটি করে কিছু বিষয় জানা গেলো। বিষয়গুলো আলোচনা করা যাক:
১। বাবুদের মুখভঙ্গী খুব দ্রুত বদলায়। তাদের মুডও খুব বদলায়। সুতরাং প্রচুর ছবি তুলতে হবে। খটাশ খটাশ করে তুলতেই থাকুন। দেখবেন এর মধ্যে একটা চমৎকার মুখভঙ্গী ধরা পড়েছে আপনার ক্যামেরায়।
২। ক্যামেরাতে বার্স্ট মোড বা এক নাগাড়ে একাধিক ছবি তোলার অপশন থাকলে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে একেবারে সঠিক মুখভঙ্গীটা ধরা পড়ে যাবে।
৩। একজন সাহায্যকারী রাখুন, যে বাবুর সাথে খেলবে, মজার মজার মুখভঙ্গী করবে। এতে করে বাবুর বিভিন্ন রকম এক্সপ্রেশন প্রকাশিত হবে। আপনি ক্যামেরা নিয়ে প্রস্তুত থাকুন শিকারের অপেক্ষায়।
৪। বাবুদের ছবি তুলতে বাবুদের জগতের সাথে মিশতে হবে। যে বাবুরা নড়া চড়া করে তাদের লেভেলে গিয়ে আপনাকে ছবি তুলতে হবে।
৫। বাবুদের চেহারায় সফট আলো খুব মানানসই টোন তৈরী করে। একারণে খুব ভোরে, রাতে, ঘরের ছায়ায় ছবি তুলতে পারেন। বাবুদের চোখ খুব সংবেদনশীল হয়। তাই কম আলোতে ছবি তুললে ওদের চোখ কুঁচকে তাকানোরও সম্ভবনা কম। উপরন্তু ফ্ল্যাশ বন্ধ করে নিন। নইলে ওয়াশড আউট ছবি আসবে।
৬। বাবুর আশেপাশে নজরকাড়া পুতুল বা খেলনা থাকলে সেগুলো সরিয়ে নিন। ছবির মূল বিষয় হচ্ছে বাবুটা। কিন্তু যদি বাবুর পিছনের টেডি বেয়ারটা বেশী আকর্ষণীয় হয়ে ধরা দেয় তাহলে ছবির উদ্দেশ্যটাই বৃথা। বালিশ, চাদর এইসব ব্যবহার করে ন্যাচারাল ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরী করতে পারবেন।
৭। ছবি তোলার সঠিক সময়টাও গুরুত্বপূর্ণ। বাবুর খাবার খেয়ে ওঠার পর পরই খুব আনন্দে থাকে। এই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর গুরুত্বপূর্ণ হোলো ঘুমাবার সময়। বাবুদের ঘুমানোর সময়ে প্রায় সব ছবিই খুব সুন্দর হয়।
৮। ক্রিয়েটিভ হোন। যেমন ছোট ছোট হাত পায়ের ছবিও অনেক সময় বেশী স্মৃতি জাগানিয়া হয়।
৯। ছবি তোলার পুরো বিষয়টা বাবুর এবং মায়ের দুজনের জন্যই আনন্দ জনক হওয়া চাই। সেজন্য লক্ষ্য রাখবেন যেন অতিরিক্ত কষ্ট দেয়া না হয় বাবুকে।
১০। অন্যদের তোলা বাবুর ছবি দেখুন। অন্যদের আইডিয়া আপনাকে নতুন করে ভাবতে শেখাবে।
কিছু শিশু ফোটোগ্রাফির ওয়েবসাইট:
১। http://www.warmtone.com/nurture.html
২। http://www.digital-photography-school.com/newborn-photography-tips-for-beginners
৩। http://www.buzzfeed.com/burnred/while-the-baby-sleeps-281t
সঙ্গে আমার তোলা আমার নবাগতটির কিছু ছবি জুড়ে দিলাম। নীচের ছবিতে ক্লিক করলে ৩১ টি ছবির একটি অ্যালবাম চালু হবে। এরমধ্যে অন্য দুটি শিশুর ছবিও অর্ন্তভুক্ত।
মন্তব্য
আমি ছবি দেখতে পাচ্ছি না কেনু?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ছবি বাছাই-রিসাইজ-আপলোড করতে সময় লেগে গেলো। দুঃখিত।
গুল্টু মিয়া কে আদর।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খুব ভাল লাগল। এখন পর্যন্ত দেখা আপনার বাবুর সব ছবিই অসাধারণ সুন্দর!
আপনার বাবুর কিন্তু ভ্রু কুঞ্চানো ছবি দেখেছি
মাত্তর একটা ছবি দেখতেছি অবশ্য এই একটাই স্বর্গীয়!
পোস্টটা সেইভ করে রাখতেছি। বাবুর মা'র খোঁজ পাইলে তার সঙ্গে এটা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মজার
এইটা অবশ্য শুধু বাবুর জন্য না, আমার মত অনেকের জন্যই প্রযোজ্য।
ইচ্ছা করে মনের দুঃখে ক্যামেরা পাড়ায়া ভাইঙ্গা লাই। কী হইবো এই জনমে ক্যামেরা দিয়া!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মুর্শেদ ভাই, বাবু তো মাশাল্লাহ চিন্তাশীল !
...সকাল সকাল বাবুর মুখটা দেখে মন ভালো হয়ে গেল।
বাবুর জন্য অনেক আদর রইল।
______________________________________________________
মেঘদুত
আমার ও একটা বাবু আছে।
আমার বাবুটা দমাদম পাদ দেয় আর সেই পাদের শব্দ শুনে নিজেই কেঁদে উঠে।
বিখ্যাত পাদ বিশারদ ব্রেনা লরেঞ্জ তার এক নিবন্ধে "গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল" গাস গ্রন্থের প্রণেতা ডক্টর জেমস এল এ রথের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন-
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বাবুরা মূলত দুই ধরনের হয়। প্রথম দল খাবার পরে ঢেকুর তোলে। অন্যদল পাদ দেয়।
আমার বাবুটা মাঝে মধ্যে ঢেকুর তোলে। কিন্তু বেশিরভাগ সময় পাদের উপর দিয়ে পার করে দেয়।
আপনার কি সত্যই বাবু আছে? কই, শুনলাম না তো কিছু
উরে পিপিদা, ফেসবুকে মাঝে মধ্যে ঢুঁ মারা কম খারাপ কাজ না।
নাহ, লোকটা বাপ হওয়ার পরও বদলাইলো না...
ওপস। আমি ভাবছি উনি মজা করছেন।
সরি, দ্রোহী ভাই।
ব্যাপার না পিপিদা। এই ব্যাটা এখানে লিখে নিজের মজা প্রকাশ করে আর মেম্বর জুনিয়র করে পাদু দিয়ে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অনুমতি পেলে মন্তব্যের ঘরে কিছু যোগ করতে চাই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অবশ্যই! আপনার মন্তব্য পেলে আনন্দিত হবো।
ধন্যবাদ। আমি শুধু নিচে কিছু কথা যোগ করতে চাই:
# যদি বাসার ভিতরে ছবি তুলতে হয় তাহলে ট্রাইপড ব্যবহার করতে পারেন। স্লো শাটার স্পিডেও শার্প ছবি পবেন।
# মাহবুব ভাই উপরে একবার বলেছেন, তারপরেও আবার বলছি - ফ্ল্যাশ ব্যবহারে সতর্কতা প্রয়োজন। বাউন্স করে নিলে ভালো হয়। অথবা জানালা দিয়ে আসা আলো ব্যবহার করতে পারেন। সম্ভব হলে বারান্দায় ছবি তুলতে পারেন।
# প্রোফাইল পোর্ট্রেট এর পাশাপাশি বাচ্চার খেলনার সাথে, দোলনার সাথে ছবি তুলুন। পরিবেশটাও ছবিতে থাকা জরুরী। মাহবুব ভাইয়ের সাথে এই পয়েন্টে আমি একমত না। তবে দুইরকমই তুলতে পারেন, যেটা ভালো হয় সেটা রাখলেন।
# ছবি তোলার সময় খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চার গরম/ঠান্ডা লাগছে কিনা, খিদা পেল কিনা ইত্যাদি।
# খুব ছোট বাচ্চদের ছবি তোলার ক্ষেত্রে এক নাগাড়ে বেশিক্ষণ ছবি না তোলাই ভালো। বিরতি দিয়ে ছবি তোলা উচিত।
#
খাঁটি কথা। ছবি তোলার সময় প্রয়োজনে হাঁটু গেড়ে বসে যান, শুয়ে পড়ুন উপুড় হয়ে। আই লেভেল ঠিক থাকা জরুরী।
------------------
সবশেষে আরেকটা কথা- এইটা কিভাবে বলবো বুঝতে পারছি না। সবুজ পাহাড়ের রাজার পোস্টগুলো অনেকেই পড়েছেন। ইন্টারনেটে পেডোফিল মানুষ অনেক আছে। কাজেই বাচ্চাদের নেংটুশ ছবি যতই কিউট হোক না কেন, খুব ঘনিষ্ঠ, আপনজন না হলে শেয়ার করবেন না।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
পুন: আপনার ছবিগুলো দেখলাম। দারুণ!! আপনার বাবুর মাথায় যে পরিমান চুল আমার মাথায় তার অর্ধেকও নাই
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বাবুদের ছবি অ্যানে গেডেস খুব সুন্দর তুলেন। আমার প্রিয় ফটোগ্রাফারদের একজন। ওনার ছবির একটা ছোট ভিডিও এমবেড করে দিলাম।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এখানে আমি আর আপনি দুটা অ্যাসপেক্টের কথা বলেছি মনে হয়। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাচ্চার পারিপার্শিকের উপাদান থাকতে পারে। আপনি বলেছেন এই পারিপার্শিক উপাদান রাখাটা রেকমেন্ডেড। কিন্তু আপনিও মনে হয় স্বীকার করবেন যে পারিপার্শিক উপাদান যদি ছবির মূল ফোকাস বাবু থেকে সরিয়ে অন্য দিকে নিয়ে যায় তাহলে ছবির গ্রহণযোগ্যতা কমে যায়। আমি এটাই বলতে চেয়েছি, ছবির পারিপার্শিক উপাদান যেন বাবুর থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ধরা না দেয়।
ঠিক।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বাবুর জন্যে অনেক আদর রইলো।
লেখা আর ছবিতে
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনার বাবুটা এত মিষ্টি দেখতে
ও অনেক বড় হোক, ভাল মানুষ হোক।
গুলটুশ .. মাথায় দেখি চুলে ভরা! অনেক অনেক আদর, আংকেল। ভালো মানুষ হও।
শিশুর সবকিছুই এত ভাল লাগে...ছোট্ট বাবুকে অনেক আদর......।
-অস্পৃশ্য
ছবি গুলো সব একত্রে অ্যালবামের মতো করে রাখা। পোস্টের নীচে ছবিটায় ক্লিক করলে অ্যলবামটা খুলবে। তারপর নেকস্ট-প্রিভিয়াস ক্লিক করে একে একে ছবিগুলো দেখতে পারবেন।
বাবুর জন্য অনেক আদর।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এত সুন্দর বাবুর কি নাম রেখেছেন? নাকি বাবু বাবাজীকে শুধু ক্যামেরাবাজী নিয়েই ব্যস্ত থাকতে দেখছে! চমৎকার মনকাড়া নাম রাখা চাই কিন্তু।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
সুযোগ চাই নিজের বাবুর ছবি তুলব...
তবে আপনার মতো ফাস্টো-কেলাস ছবি হবে না; তয় নাই বা হল, নিজের ক্যামেরা আর নিজের বাবু হলে সব ছবিই চলে যাবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মাশাল্লাহ। খুব সুন্দর বাচ্চা। -রু
টেস্ট
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আপনি তো খালি জ্বালাতন করেন বাবুকে! অবশ্য ফলস্বরূপ অনেক ইন্টারেস্টিং ছবি ওঠান। বাবু বড় হয়ে নিক তারপর দেখেন, আপনার নামে মানহানীর মোকদ্দমা করবে!
পোস্টটা ভালো লেগেছে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
পাপান্তুসকে অনেক অনেক আদর।
ভীষণ কিউট একটা বাবু
২৭ নম্বর ছবিতে বাবু মনে হয় সচলায়তন আপগ্রেডের কাজে ব্যস্ত
বাবুর জন্য অনেক আদর রইল।
বাবুর জন্য আদর রইল, একদিন আমিও আপ্লোডাব...
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
একদিন আমিও
চমৎকার পিচ্চি আর পিচ্চির ছবি। ছবি তোলার টিপস গুলোর জন্য ধন্যবাদ।
স্লাইডশোটা কেমনে এমবেড করলেন একটু শিখায়ে দিবেন?
খুবই সহজ। পোস্টের নীচে জাস্ট ছবি আপলোড করে দিন। সংরক্ষণ করুন। ছবিগুলো পোস্টের নীচে স্লাইডশো হিসেবে জড়ো হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ। এইটা জানার আগে পর্যন্ত "একদিন আমিও" বলার সাহস পাচ্ছিলাম না!
চমৎকার সব ছবি । সবগুলোই সুন্দর । তবে ৪, ৫, ৯ আর ১৭ ছবিগুলো অসাধারন লাগল ।
ছবিতে পাঁচ তারা ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
টেস্ট।
খাড়া ব্যাটা, শাদীটা কৈরা লই খালি!
অই ময়না, তুই কই রে? মেম্বর আর মামু তো মাস্তানী শুরু কৈরা দিলো। এইবার তোর পালা। আমিও আছি তোর পিছে পিছে। সচল ভইরা লামু কঁচিকাঁচা দিয়া, যা আছে কপালে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
স্লাইড শো আগে দেখা হয়নি, এখন দেখলাম। বাচ্চাতো এখন থেকেই চিন্তায় মগ্ন! বাবুর নাম কী?
-রু
নতুন মন্তব্য করুন