সাহিত্যকর্মী সাহিত্যজীবী ও সাহিত্যবণিক ঃ একই অঙ্গে এত রূপ
লিটল ম্যাগাজিন আত্মআবিষ্কার আর আত্মপ্রকাশের স্বনির্মিত স্বাধীনতার নাম। একেবারে নিজে বা নিজেরা নিজেদের সীমাবদ্ধ জলে সীমিত সবুজে ঝাঁপ দিয়ে যা পাব তা-ই আমার; আমার আর্কেডিয়া -আমার পত্রিকা। "আমার ঘরে আমি রাজা তোদের তাতে কি/ খাচ্ছি যখন চিড়ে ভাজা তোদের তাতে কি" এমন বেপরোয়া, অহংকৃত, দুর্বিনীত উচ্ছ্বাস যখন পেয়ে বসে তখন লিটল ম্যাগাজিন না হলে হয় না। লিটল ম্যাগাজিনকে কেউ আদর করে ‘ছোট-কাগজ’ নামে ডাকতে পারেন কিন্তু তাতে তার বিশালত্ব ছোট হয় না। সেই সবুজপত্র-কালিকলম-কণ্ঠস্বরের আমল থেকেই নামের আগে এমন বামনত্ব নিয়ে লিটল ম্যাগাজিনের পথচলা। সেজন্য অবশ্য বিরাট-বিশাল-খ্যাতিমান ও স্মার্ট লেখকদের এর প্রতি ভালবাসার কমতি পড়ে না কিংবা যারা যত্ন করে এর বামনত্বকে রক্ষা করেন তাদের শ্লাঘায়ও আঘাত লাগে না। বরং ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর আনন্দের সাথে অনিবার্য কিছু উপসর্গের সংযোগও প্রায় সবক্ষেত্রেই ঘটে। যেমন, লিটল ম্যাগাজিন বের করার পরিকল্পনা আলোচনা-আড্ডায় সীমাবদ্ধ থাকতেই নিজকে লেখক ভাবতে শুরু করা, লেখা অন্বেষণ বা নির্বাচন নিয়ে নিজেদের মধ্যে বাকবিতন্ডা, প্রতিটি পৃষ্ঠায় প্রতিটি অক্ষরে পাঠককে নতুনত্বে চমকে দেয়ার সংকল্প, প্রচ্ছদ-পরিকল্পনা নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা মাথা ঘামানো কিন্তু তারল্য সংকটে পড়ে সস্তাদরের কাগজে নান্দনিকতার ছাপ দেয়ার চেষ্টা, বিজ্ঞাপনের জন্য ছুটোছুটি আর বিজ্ঞাপনদাতাদের তীর্যক চাহনি ও বিরক্তি বুঝেও না বোঝার ভান করা, ব্যয় সংকোচনের জন্য সস্তা কাগজ আর ছাপাখানার সন্ধান, আর্থিক অনিশ্চয়তার কবলে পড়ে পত্রিকার আকৃতি খর্ব হয়ে যাওয়া, দল বেধে প্রেসে রাত কাটানো, প্র“ফ দেখা, প্রথম ছাপানো পাতা হাতে নিয়ে কালো কালো অক্ষরের ভেতর নিজকে হারিয়ে ফেলা, অবশেষে প্রেসের মালিকের কাছে কাঁচুমাচু হয়ে ‘বিজ্ঞাপনের টাকা হাতে পেলেই বাকি টাকা পরিশোধ করবো’ প্রতিশ্রুতি দিয়ে আরাধ্য পত্রিকা হাতে পাওয়া, নিজেদের কীর্তি আর সৃষ্টির আনন্দে আত্মহারা এক বিশ্ববিজয়ীর মত নতুন কাগজ হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো - এ সবই লিটল ম্যাগাজিনের জন্ম-যন্ত্রণার সাথে কমবেশি জড়িত। এইসব আনন্দ-বেদনা নিয়েই কষ্টের সংসারে লবণের সংস্থান হয়। তারপরও তাতে রুচির কমতি থাকে না, থাকে না তৃপ্তির ঘাটতি। ভুল বানান , ভুল শব্দ, অপরিণত বাক্য, অনিয়ন্ত্রিত উচ্ছাসের কবিতা, অপরিশীলিত গদ্য নিয়েও পরম যত্নে সাজানো কুঁড়ে ঘরের মত লাবণ্য নিয়ে হাজির হয় এসব ছোট-কাগজ। এই টানাপোড়েনই লিটল ম্যাগাজিনের স্রৈষ্টিক ঐতিহ্য, বিষণ্ণ সৌন্দর্য, আটপৌরে আভিজাত্য।
লিটল ম্যাগাজিনের লেখক নিজকে সাহিত্য কর্মী ভাবতে ভালবাসে। ‘কর্মী’ শব্দটির সাথে রাজনৈতিক-সামাজিক ব্যঞ্জনা জড়িয়ে আছে- মিশে আছে শ্রমে-ঘামে, কর্মোদ্যমে আত্মনিয়োজিত তারুণ্যের ঐকান্তিকতা আর সংঘবদ্ধ অস্থিরতা। লিটল ম্যাগাজিন কর্মী বিভিন্ন দিক থেকে দায়বদ্ধ। প্রচলকে অস্বীকার করা, প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাহ্য করা, ক্ষমতাকাঠামোকে উপেক্ষা করাও তার এক ধরনের দায়বদ্ধতা। কারণ এ চেতনায় দীক্ষিত হতে যে সততার প্রয়োজন সে পরীক্ষায় তাকে উত্তীর্ণ হতেই হয়। তা না হলে যা হয় তাকে ‘ধান্ধাবাজি’ বলে চিনতে বেশি কষ্ট হয় না। তাই সাহিত্যকর্মীর অঙ্গীকার সমাজবদলের; তার দায় পরিবর্তমান সময়ের কাছে, যা কিছু প্রপীড়িত মানবতাকে বিপন্ন করে কিংবা ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে। এ দায় গতির চাকায় ‘প্র’ যুক্ত করার দায়; সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দ্বান্দ্বিক অবস্থানে নিজকে স্পৃষ্ট করার দায় । এমন দায়বদ্ধ সাহিত্যকর্মী বর্তমানকে সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা উদযাপন করে- এতে তার সৃষ্টির স্বাধীনতা বিঘ্নিত হয় না বরং উদ্দীপ্ত হয়। নিরীক্ষাপ্রবণ সাহিত্যকর্মী ভাষার ব্যকরণ মানতে চায় না, শব্দের শৃংখলাকে ওলটপালট করতে ভালবাসে। সাহিত্যের প্রতি তীব্র প্রেমবোধ তাকে ঈর্ষাকাতর প্রেমিকের মর্যাদায় অভিষিক্ত করে। তাতে অবশ্য লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের কোন ক্ষতি নেই, প্রাপ্তি আছে। এতকিছু যার কর্মপরিধি তাকে তো কর্মী বলতেই হয়।
ইশতিহার বা ঘোষণা পত্র দিয়ে লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশ করার মধ্যেও এক ধরনের উচ্চাশা কাজ করে। ফ্রান্স-জার্মানির চিত্রশিল্পীরা একসময় এমন করে ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামতেন। আত্মপ্রতিষ্ঠার প্রবল উত্তেজনাকে ধারণ করে এসব ইশতিহার। গোষ্ঠীর ভিত্তি বা একতাবদ্ধতা, বিশ্বাস-অবিশ্বাস, উদ্দেশ্য-পরিধি, গ্রহণ-বর্জনের নানাসূত্র লেখা থাকে এতে। কত বিপ্লবী উচ্চারণ, দ্রোহী শব্দসহযোগে নিজেদেরকে উপস্থাপনের চেষ্টা থাকে নতুন এক লিটল ম্যাগাজিন গোষ্ঠীর! ‘মননে মেধাবী শব্দ’ বা ‘ নষ্ট সমস্ত কিছুর বিপক্ষে’ অথবা ‘আমরা এবং একমাত্র আমরাই নির্মাণ করবো শব্দের অতিব্যক্তিক সংযুক্ত চরিত্র’ ইত্যাকার শ্লোগানধর্মী,আত্মগর্বী শব্দচয়ন থাকে ঘোষণায়। এসব কিছু না থাকলে কি লিটল ম্যাগাজিন হয়?
লিটল ম্যাগাজিন কেন্দ্রিক সাহিত্যগোষ্ঠীগুলো নানা বৈপরীত্য ও বৈচিত্র্য সঙ্গে নিয়েই নির্মাণ করে অভিন্ন এক কালধর্মকে। যেন আপাত বিচ্ছিন্ন কতগুলো দ্বীপ একত্রিত হয়ে রূপ দেয় একটি দেশের মানচিত্র যেখানে ছোটছোট দ্বীপ যেমন আছে তেমনি আছে বড়বড় দ্বীপও। কালান্তরে দ্বীপগুলোর স্বাতন্ত্র্র্য ও ঐতিহ্য যেমন ঐক্যবদ্ধ একটি দেশের চেতনায় লীন হয়ে যায় তেমনি লিটল ম্যাগাজিনকেন্দ্রিক সাহিত্যচর্চার অসংখ্য ধারা-উপধারা সম্মিলিত হয়ে নির্মাণ করে সময়ের শিল্পস্বভাব। এ প্রক্রিয়ায় কাদের অবদান কতখানি তার হিসেব দেয় সময়। যেমন হিসেবের দেনা-পাওনা মিটিয়ে কালের প্রতীক হয়ে আছে সমকাল, উত্তরণ, কণ্ঠস্বর, শিল্পতরু, স্বাক্ষর, সাম্প্রতিক, কিছুধ্বনি,রূপম আরও কত নাম ! আবার জানা-অজানা কত ছোট-কাগজ কয়েকটি কম্পন তুলেই ঝরে গেছে তার হিসেব ক’জন রাখে? আসলে, আমাদের বলা-কথার চেয়ে না-বলা কথাই যেমন বেশি তেমনিভাবে দাঁড়িয়ে যাওয়া ছোট-কাগজের চেয়ে হারিয়ে যাওয়া ছোট-কাগজই বেশি। কিন্তু সেগুলোর পেছনে যে সাহিত্যকর্মীরা মেধার দ্যুতি, তারুণ্যের উদ্দীপনা আর সৃষ্টির আনন্দ ছড়াতো তাদের প্রতিভার উত্তাপ তো হারায় নি- কোথাও না কোথাও সৃষ্টি-জঠরে উষ্ণতা দিচ্ছে। লিটল ম্যাগাজিন বড় কাগজের, মানে সংবাদপত্র বা ক্ষমতাবৃত্তের প্রচারযন্ত্রের, বিবেচনায় সেই অপচয়িত, অপ্রতিষ্ঠিত প্রতিভার চারণভূমি।
এ সবই জানা-ইতিহাস। কিন্তু বিগত একযুগ বা তারচে বেশি সময় ধরে সামাজিক দুর্বৃত্তায়নের সুযোগে আর সবক্ষেত্রের মত লিটল ম্যাগাজিন-সংসারেও পুঁজির আগুন লেগেছে। সাহিত্যকে বাণিজ্যিক পণ্য বানানোর প্রতিযোগিতা আগের যে কোন সময়ের তুলনায় মারাত্মক এখন। কিছু সাহিত্যজীবী এ কাজে রীতিমত ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখাচ্ছে। তারা এখন সাহিত্যমোড়ল হওয়ার পথে। পেছনে ছাতা হাতে একদল সাহিত্যকর্মী তাদের শিষ্যত্ব গ্রহণের প্রবল আকাক্সক্ষায় লাইন ধরে আছে। তারা কৃদন্ত পদ হিসেবে ‘কর্মী’ শব্দটাও রাখতে চায় যতক্ষণ তাতে লাভ আসে, আবার ‘জীবী’ জুড়ে দিতেও উত্ সাহী অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু বিপত্তি হল লিটল ম্যাগাজিনের নৌকায় পা দিয়েই তারা কাজটা সারতে চায়। তাতে লিটল ম্যাগাজিনের মূল কনসেপ্টই যায়যায় অবস্থা কিন্তু সাহিত্যজীবীদের কার্যোদ্ধার ঠিকই হয়। গত শতাব্দীর আশির দশকের শেষদিকে কয়েকটি লিটল ম্যাগাজিন গোষ্ঠী ‘তরুন কবি সম্মাননা’ পুরস্কার-টুরস্কার দিয়ে এক ধরণের অসুস্থ প্রতিযোগিতার অবতারণা করেছিল, দলে ভিড়ানো বা দল থেকে ভাগানোর সেই মহড়ায় তাদের সৃষ্টিস্বভাব কতখানি উপকৃত হয়েছিল তা জানা যায় না তবে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে সিনেমায় অনাসৃষ্টির কুশীলবদের মত তাদের নষ্টস্বভাব ঠিকই দাঁত বের করে দিয়েছিল । সেই একই বৃত্তে আবার ঢুকে পড়তে পারে লিটল আন্দোলন।
সামাজিক বিভিন্ন ক্ষমতাকাঠামো চারদিকে টঙ্কার ডঙ্কা যেভাবে বাজিয়ে চলেছে তাতে ‘কর্মী’র সংখ্যা কমে ‘জীবী’র সংখ্যা বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। সৃষ্টিশীল তরুন লেখকদের প্রত্যাখ্যান বা প্রতিরোধ-ক্ষমতা ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে আজকাল। বলা যায় জীবীকা-প্রতিষ্ঠার চিন্তা নিয়েই তাদের অনেকে লিটল ম্যাগাজিনের সাথে জড়িত হয়ে পড়ে। ফলে প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানসিক ইন্ভল্ভমেন্ট তার বীজস্বভাবেরই অংশ। সে যাই হোক, সময় পাল্টাবে আর লিটল ম্যাগাজিনের চরিত্র পাল্টাবে না তাতো হয় না। হয় না বলেই সাহিত্যকর্মীর স্থান দখল করে সাহিত্যজীবী আর সাহিত্যবণিক। ফলে লিটল ম্যাগাজিনের গায়ে মেদ জমে থলথল করতে থাকে। কিছু কিছু লিটল ম্যাগাজিন হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখি, ভয় হয়, এত বড়বড় রাক্ষুসে-হাইব্রীড মাছ ছোট মাছগুলোকে গিলে খাবে না তো !
আজকাল বেশ দেখা যায়, বড় কাগজগুলো প্রায়ই তাদের বাছাই করা পাঁচজন-দশজন করে তরুন লেখকদের সামনে গোলটেবিল আড্ডা, চা-চক্র, সেরা কবিতা, সেরা বই ইত্যাদি ইভেন্ট সামনে নিয়ে আসে; দ্যাখে কার ক্ষুধা বেশি। এভাবে পশ্চিম বঙ্গে আনন্দ বাজার কোম্পানী তৈরী হয়েছিল আমাদের দেশেও হচ্ছে। তা হয় হোক। সুবিমল মিশ্র একে বেশ্যাবৃত্তি বলুন আর যাই বলুন, গরীব দেশের কিছু কলমজীবীর অন্নসংস্থান হলে তাতে দোষের কি? কিন্তু বিপত্তি অন্যত্র- এভাবে বিবেক বিক্রয় করে যারা বাক্যের খোয়াড় বানান তারা আবার লিটল ম্যাগ আন্দোলনের তকমাটাও মুছতে চান না। গাছেরও খেতে চান তলারও কুড়োতে চান। নব্বই-এর মাঝামাঝি থেকে প্রবণতাটি বাড়তে থাকলো এমন দ্রুত গতিতে যে, এখন তাকে আর ঘেন্নাও করা যাচ্ছে না। কারণ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার আধিপত্যে আর প্রিন্ট মিডিয়ার বেনিয়া স্বভাবের কারণে কিছু শৃগালের সমবেত চিত্ কারই এখন মধুরতম সুর, তাতে নানা লেবেল দিয়ে নানা রং চড়িয়ে উপস্থাপন করতে পারলেই হয়ে যায় দেশের সেরা। আগে শুধু ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ বা ‘মিস বাংলাদেশ’ এমনটা শুনতাম, এখনতো টাইটেল আর লেবেলের ছড়াছড়ি। ভাবুন যদি তারকা প্রতিযোগিতার মত ‘মিস্টার লেখক’ বা ‘প্যানথার সেরা কবি’ অথবা ‘ হুইল কথাকোবিদ’ ইত্যাদি নানা স্পন্সরে লিটল ম্যাগাজিন গোষ্ঠীগুলোও এই চর্চা শুরু করে তাহলে মুক্তি নেই। প্রিন্ট আর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার বৈশ্বিক আগ্রাসন থেকে হয়ত লিটল ম্যাগাজিনের মৌলচেতনাকে অক্ষত রাখা যাবে না কারণ সময়ের ধর্মই বর্তমানকে গিলে খাওয়া। আর গোষ্ঠী চরিত্রে র রূপ-রূপান্তরে লিটল ম্যাাগাজিনের হাত নেই বরং উল্টোটি হওয়াই স্বাভাবিক। তবে লিটল ম্যাগাজিনের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে যারা দৈনিকের সাহিত্যপাতায় নাম ফোটাতে সিদ্ধহস্ত অতঃপর বিভিন্ন চ্যানেলে মুখ দেখানো জন্য মুখিয়ে থাকে তাদেরকে বোধ করি একঘরে হওয়ার পরামর্শ দেয়া যায়। তা না হলে লিটল ম্যাগাজিন হবে দৈনিকের সাহিত্যপাতার ক্ষুদে সংস্করণ বা মিডিয়া রিপোর্টারের হাত মক্শো করার সস্তা প্যাড। আমরা তেমনটা চাই না, চাই কি?
( শুদ্ধস্বর - প্রথম জাতীয় লিটল ম্যাগাজিন মেলা'০৭ সংখ্যায় প্রকাশিত )
মন্তব্য
খুব সম্প্রতি লেখাটা কোথায় যেন পড়লাম।সোর্সটা উল্লেখ থাকলে পাঠকদের উপকার হতো।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
তবে লিটল ম্যাগাজিনের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে যারা দৈনিকের সাহিত্যপাতায় নাম ফোটাতে সিদ্ধহস্ত অতঃপর বিভিন্ন চ্যানেলে মুখ দেখানো জন্য মুখিয়ে থাকে তাদেরকে বোধ করি একঘরে হওয়ার পরামর্শ দেয়া যায়।
........কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়। কীভাবে? কারণ ব্যাঙের ছাতার মতোন চ্যানেলসংখ্যাও তো কম নয়! আর দৈনিক পত্রিকায় বিভিন্ন নকশা, ক্ষুদে সংস্করণ তো আছেই.....ভাবছি বসে শুধু ভাবছি । আর কমে যাচ্ছে লেখালেখির প্রতি টান!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
লিখে কী হবে ? মুখ দেখানোই এ যুগের হালচাল। গান এখন আর কানে শোনার বিষয় নয়, দেখার বিষয়। কবিতা,গল্প,উপন্যাস এখন আর পাঠ করার বিষয় নয় আওয়াজ ও অঙ্গভঙ্গি সহযোগে উপস্থাপনের বিষয়- শিল্পী সাহিত্যিকদের এ কালের প্রতিযোগিতা শিল্পসৃষ্টি নয় ,কে কতক্ষণ পর্দায় থাকে তার হিসেব।
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
নতুন মন্তব্য করুন