'থার্টি ফার্স্ট নাইট ' হরতালের সমার্থক

মাহবুবুল হক এর ছবি
লিখেছেন মাহবুবুল হক (তারিখ: সোম, ৩১/১২/২০০৭ - ১১:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিগত কয়েক বছর ধরে থার্টি ফার্স্ট নাইটে ব্যাপক নিরাপত্তা এবং নিয়ন্ত্রণ থাকে ঢাকা শহর জুড়ে। এবারো ৬০০০ পুলিশ-রএ্যাব চষে বেড়াবে পুরো শহর, তাদের ভাষায় উচ্ছৃঙ্খল তরুণ-তরুণীর খোঁজে। বিকেল পাঁচটার পর সকল পানশালা বন্ধ থাকবে।
এ ধারাটি শুরু হয়েছে বছর সাতেক আগে থার্টি ফার্স্ট উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি তে বাঁধন নামের এক মেয়ে লাঞ্ছিত হওয়ার পর থেকে। সেই ঘটনাটিকে বিভিন্ন পত্রিকা রগড় ভাষায়, সচিত্র প্রতিবেদন ও ফলোআপ দিয়ে এমন হুলুস্থূল বাধিয়ে ফেলেছিল যে এরপর থেকে সরকারকে সাবধান হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। কিন্তু দিনকে দিনকে নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে সরকারের নানা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা যে দিকে যাচ্ছে তাতে কেবল মুখ ফুটে থার্টি ফার্স্ট উদযাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা দেয়া বাকি। এবার সম্ভবত নজিরবিহীন নিয়ন্ত্রণ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। তাতে হয়ত কেবল বড়বড় কয়েকটা হোটেল বা ক্লাবে এ রাতটি গুটিকয় মানুষ উদযাপন করতে পারবে।
আমি কখনও সেভাবে থার্টি ফার্স্ট নিয়ে মাতামাতি করি নি। কিন্তু একটা নির্মল আনন্দ লাভের উত্সকে এভাবে গলাটিপে হত্যা করা হচ্ছে দেখতে বড় অশান্তি হয়। রাতটিকে একেক শ্রেনীর মানুষ একেকভাবে উদযাপন করে। আমাদের এলিট পাড়ায় বড়লোকের বখে যাওয়া সন্তান রাতটিকে যেভাবে উদযাপন করে তাকে সর্বসাধারণের মনে করা ঠিক নয়। সে কারণে সকলের আনন্দ হরণ করাও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংজ্ঞায় পড়ে না। যেসকল আনন্দ সকল মত-পথের মানুষ, ধনীগরীব নির্বিশেষে ভাগাভাগি করে নিতে পারে সেগুলোই প্রকৃত আনন্দ। থার্টি ফার্স্ট এরকম একটি আনন্দের উত্ স হলেও বিশেষ নিরাপত্তার অজুহাতে উত্ সবটিকে গৃহবন্দি করে ফেলা হচ্ছে বলে মনে হয়। নানারকম নিয়ন্ত্রণের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় মনে হচ্ছে কাল বিরোধী দল হরতাল ঘোষণা করেছে তাই সরকার এতসব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।

আমার কাছে কেবলই মনে হচ্ছে , এখানেও মৌলবাদী থাবা প্রসারিত হচ্ছে। আজ থার্টি ফার্স্ট, কাল পহেলা বৈশাখ, পরশু পহেলা ফাল্গুন এভাবে ধীরে ধীরে তারা এগুচ্ছে। পহেলা বৈশাখের বা ফাল্গুনের সাজসজ্জাকে তো অনেক আগেই তারা ইসলাম বিরুদ্ধ বলে রায় দিয়ে রেখেছে। রমনা বটমূলে বোমা হামলাও ঘটেছে।


মন্তব্য

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমাদের সরকারের কাজই হলো পাবলিকের সব ধনের আনন্দের সুযোগ বন্ধ করে দেয়া
আর পুলিশের সবচেয়ে বেশি গা জ্বলে পাবলিককে খুশি করতে দেখলে
আর প্রেম করতে দেখলে

কেমিকেল আলী এর ছবি

ললনাসহ পুলিশের কাছে ধরা পরার টেস-ই আলাদা!!

মূল বক্তব্যের সাথে একমত।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

জ্বি হ
আপনারে কইছে?
ধরা তো পড়েন নাই

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

আমার শুন্য পানপাত্রে ছিল না কোনো মূর্ছিত বরফ

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

শামীম এর ছবি

মূল বক্তব্যের সাথে একমত। চলুক
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

সম্পূর্ণ সহমত।
আর মাহবুব লীলেন-এর মন্তব্যে বিপ্লব।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বাড়াবাড়ির মত কাউন্টার-বাড়াবাড়িও ক্ষতিকর।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।