বাংলা একাডেমির বানানরীতি বাংলা একাডেমিই মানে না এমন অভিযোগ আছে। না মানার প্রবণতা আমাদের জাতিগত বৈশিষ্ট্য। বাংলা একাডেমি না এনসিটিবি কে বড়, পত্রিকাঅলারা আবার বিশাল এক অংশ নিয়ন্ত্রণ করে তাই তাদের ভাবসাবই আলাদা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা (বিশেষত ভাষার শিক্ষক) আবার প্রত্যেকে বানান সম্পর্কে নিজস্ব মূল্যায়নকেই প্রাধান্য দিতে ভালোবাসেন সবমিলিয়ে এক হযবরল অবস্থা। বাংলা বানানরীতির ইউনিফরমিটি আনার ক্ষেত্রে পত্রিকাগুলো বড় ভূমিকা রাখতে পারতো । কিন্তু তারা নিজেদের ইচ্ছেমত বানানরীতি ব্যবহার করতেই উত্ সাহী বেশি। বাংলা একাডেমি, এনসিটিবি, বোর্ড , দৈনিক পত্রিকা - কাদের বানানরীতি অনুসরণ করবো এই ধাঁধাঁয় পড়ে আমার মাঝে মাঝে মনে হয় যখন আমাদের কোনো বানানরীতি ছিলো না, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বানানরীতি আমরা অনুসরণ করতাম সেটাই হয়তো ভালো ছিলো- অন্তত কোন বানানটা সঠিক সেই গোলকধাঁধাঁ ছিলো না। আমি আয়শা আক্তারসহ সবাইকে আমন্ত্রণ জানাই এ বিষয়ে নিজ নিজ ভাবনা প্রকাশ করার জন্য। আর বাংলা একাডেমি প্রণীত বানানরীতি সম্পর্কে দুএকদিনের মধ্যেই লেখা ছাড়ছি।
মন্তব্য
অপেক্ষায় থাকলাম।
কামিং ছুন! আমিও অপেক্ষায় থাকলাম।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
একটা খুবই জরুরী বিষয়ের অবতারনা করেছেন বলে ধন্যবাদ । বাংলা একাডেমী , পাঠ্যপুস্তকঅলা , পত্রিকাওয়ালা এদের বাইরে আরেক যন্ত্রনা হচ্ছে পায়াভারি বুড়ো লেখকরা । এরা লেখা দিয়ে তারপর বলে দেয় , বানানরীতি লেখকের নিজস্ব । ভোরের কাগজ এ এদের প্রুফ দেখতে গিয়ে প্রুফ রিডারদের নাভিশ্বাস উঠতো ।
উইকিপিডিয়ায়ও বাংলা বানান নিয়ে বিস্তর মাথা ঘামানো হয়েছে দেখলাম ।
বানানরীতি নিয়ে আপনার লেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম ।
এমনও হতে পারে যে সচলায়তন বাংলা বানানরীতি নামে আমরা হয়তো আরেকটা বানানরীতি চালু করে দিতে পারি ।
তবে সবচাইতে উদ্ভট বানানরীতি হচ্ছে যায়যায়দিন এর । এটাকে বানানরীতি না বলে বানানের বলাৎকার বলাটাই শোভন ।
উইকিপিডিয়ায় বানানরীতি নিয়ে ভুক্তি শুরু করার ইচ্ছা আছে। বই যোগাড় করে সেখান থেকে তথ্য নিয়ে লেখা যায়। তাহলে কপিরাইটও ভঙ্গ হবে না। "বাংলা বানান অভিধান"-ও জোগাড় করতে হবে।
------------------
মুহাম্মদ
বাংলা বানান নিয়ে সব সময় দ্বিধা-দ্বন্ধের মাঝে থাকি...আশা করি আপনার ব্লগগুলো বেশ উপকারে আসবে...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান…
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
please বানান নিয়ে কিছু একটা করেন ।
বাংলা একাডেমীর কোন রেফারেন্স হাতের কাছে পাই না... তাই কলকাতা সাহিত্য সংসদের অভিধানের অনলাইন সংস্করণ দেখে বানান ঠিক করার চেষ্টা করি।
বানান নিয়ে কথা বললে লোকজন আড়চোখে তাকায় ... আড়ালে হাসাহাসি করে...
আহারে..... .... এই অবহেলিত ভাষার জন্যই বুঝি মানুষ প্রাণ দিয়েছিলো।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
চন্দ্রবিন্দুর যেমনখুশিতেমনবসাও ব্যবহার, র-ড়-ঢ়, স-শ-ষ. ন-ণ এর পাশাপাশি ন্দ-ন্দ্ব-ন্ধ, ী নাকি ি ... ু নাকি ূ, শফিকশয়তানীয় বানানপদ্ধতি ... ইত্যাদি নানা প্যাঁচঘোঁচ ... একটা রসালো আলোচনা হোক।
হাঁটুপানির জলদস্যু
চন্দ্রবিন্দুর আকাল নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম। বাড়াবাড়ি বা যত্রতত্র কারণে-অকারণে ব্যবহার বিষয়েও লেখা যায়।
র এবং ড় নিয়েও ছিলো একটা রম্য ।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ব্লগে লিখতে গিয়ে প্রায়ই বানান নিয়ে উসখুশ/উশখুস করি। বুঝতে/বোঝতে পারি না কোন বর্ণের উপর/ওপর চন্দ্রবিন্দু হবে কি/কী হবে না। আরও/আরো নানান প্রশ্ন জাগে মনে।
তাই শুরুতেই ই-বুকের প্রস্তাব দিয়ে রাখছি।
শিরোনামে বানানরীতি নিয়ে লিখতে বলা হয়েছে। তাই এখানেই .....
কি , কী বিষয়ে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান
কি - কোন বাক্যকে প্রশ্নবোধক করতে ব্যবহৃত হয়।
কী - এটা দিয়ে কোন বস্তু বা কর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয় ...
যেমন:
আপনি কি খাবেন? -- উত্তর: হ্যা অথবা না। (Will you eat?)
আপনি কী খাবেন? -- উত্তর: ভাত/বার্গার ইত্যাদি। (What will you eat?)
ষ-ত্ব বিধান সম্পর্কে যা মনে আছে
বিদেশী কোন শব্দের বাংলা বানানে 'ষ' ব্যবহৃত হবে না:
যেমন: ফটোস্ট্যাট, পোস্ট, মাস্টার, ফাস্টফুড ...
বিশেষত ফটোস্ট্যাট কে 'ষ' দিয়ে লেখা ভুল অহরহ দেখছি।
'য়' এর পূর্বে ঈ-কার প্রসঙ্গে
জাত--> জাতীয়, স্মরণ --> স্মরণীয়, অমুক-->অমুকীয়, তমুক-->তমুকীয় ..... এই ধরণের ক্ষেত্রগুলোতে অবশ্যই -ঈয় যুক্ত হয়... ইয় নয়।
------
ই-কার ঈ-কার নিয়ে সবসময়ই ঝামেলা অনুভব করি ... বাড়ি নাকি বাড়ী, কিভাবে নাকি কীভাবে, পাখি নাকি পাখী।
কিছুদিন আগে প্রজন্ম ফোরামের এইরকম একটি থ্রেডের আলোচনায় বেশী/বেশি পার্থক্যটা বুঝতে পেরেছিলাম।
বেশি - অধিক পরিমান .... (কাজ কম কথা বেশি)
বেশী - কোন রূপ ধারণ করা ... (ছদ্মবেশী লোকটা বেশি কথা বলছে!)
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
বাংলা একাডেমির কিছু উদ্ভট সমস্যা আছে। তা হলো তারা বই বিক্রির টাকায় বই রিপ্রিন্ট কিংবা সম্পাদনা করতে পারে না
তারা যা আয় করে সব চলে যায় মন্ত্রণালয়ে। এবং প্রতি বছর তারা কাজ করে তাদের থোক বরাদ্দের উপর নির্ভর করে
আবার এই থোক বরাদ্দটা আসে তাদের বার্ষিক পরিকল্পনাকে ভিত্তি করে
ফলে ডে ডিকশনারির বিক্রি অনেক বেশি সেই ডিকশনারিও তারা নতুন করে সংশোধন বা প্রিন্ট করতে পারে না বরাদ্দ নেই বলে
০২
বাংলা একাডেমির বানান অভিধান বের হবার পরে তারা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে এখন থেকে তাদরে সবগুলো অভিধানে এই বানান রীতি এ্যাডজাস্ট করবে
কিন্তু সেগুলো সম্পাদনার বাজেট না থাকার কারণে সেটা তারা করতে পারেনি
ফলে একই বাংলা একাডেমির বানান একেক অভিধানে একেক রকম
০৩
বাংলা একাডেমি বানান রীতি করেছে। কিন্তু এটা এক্সিকিউট করার ক্ষমতা তাদের নেই
একটা করতে পারে সরকার। সরকারের একটা আদেশই এর ক্ষেত্রে যথেষ্ট
কিন্তু মন্ত্রণালয়গুলো সমন্বয়হীনতার জন্য এনসিটিবি- মাধ্যমিক এবং উচচ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড এবং সরকারি অফিস নথি- চিঠিপত্র- বিজ্ঞপ্তিসহ সবগুলো ক্ষেত্রে যার যেমন ইচ্ছে তেমন বানান রীতি অনুসরণ করছে
অবশ্য গত কয়েক বছর ধরে এনসিটিবি কিছু কিছু বানান অনুসরণ করছে দয়া করে
০৪
পত্রিকাগুলো সিম্পলি হাবিজাবি
অনেক ক্ষেত্রে এমন বানান লেখে যে শব্দের অর্থই বদলে যায়
০৫
আর লেখকরা...
সিয়িররা করেন স্বেচ্ছাচারিতা
নতুনদের ৫০% বানানই জানে না
০১, ০২ ও ০৩-এর তথ্যগুলি যেমন ভয়াবহ তেমনি হাস্যকরও বটে।
০৪ ও ০৫ বিষয়ে সম্পূর্ণ একমত।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
বিষয়টি আপনি বুঝেছেন ঠিকই.. ব্যাকরণে ' কি' প্রশ্নবাচক সর্বনাম এবং 'কী' বিশেষণবাচক সর্বনাম। সোজা কথা, 'কী' বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ঝামেলা নেই , প্রমিত বাংলা বানান রীতিতে ই-কার (ি) শুদ্ধ। মূল শব্দটি ছিলো 'পক্ষী' তাই পক্ষী>পাখী লেখা হতো । তদ্ভব অর্থাত্ যেগুলো সংস্কৃত ভাষা থেকে বাংলায় এলেও জাত খুইয়েছে এ ধরনের শব্দের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমি সংস্কৃত ভাষার সকল চিহ্ন মুছে দেয়ার কথা বলেছে।
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
নতুন মন্তব্য করুন