এনসিটিবি আজ পর্যন্ত তাদের প্রকাশিত বই সম্পাদনার কাজে তাদেরই প্রকাশিত বানানরীতির বইখানা হাতে ধরিয়ে দেয় । বানানরীতি নিয়ে বাংলা একাডেমির একটি পুস্তিকা আছে, বেশ ভালো একটি বানান অভিধান তো আছেই । কিন্তু যেটা প্রয়োজন তা হলো, সর্বত্র এগুলোর ব্যবহার সহজ ও স্বাভাবিক অভ্যাসে পরিণত করা।
বাংলা একাডেমি তার বানানরীতিতে স্পষ্ট বলছে_ "
ক খ গ ঘ পরে থাকলে পদের অন্তস্থিত ম্ স্থানে অনুস্বার (ং) লেখা যাবে। যেমন: অহংকার, ভয়ংকর। বিকল্পে ঙ লেখা যাবে। ক্ষ এর পূর্বে ঙ হবে।যেমন: আকাঙ্ক্ষা।"
একই ভাবে বাংলা একাডেমি র বানানরীতি পুস্তিকার (২০০০) পৃষ্ঠা-১৪ তে বলা আছে অ-তত্সম শব্দের যুক্তাক্ষরের বানানের ক্ষেত্রে কমিটির সদস্যগণ একমত হতে পারেন নি। যেমন : 'ঘন্টা' নাকি 'ঘণ্টা' কোন্ টি সঠিক তা তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নি। কি সাংঘাতিক ! তা হলে আমরা যাই কোথায় ? খুব পরিচিত কিছু সংস্কৃত শব্দ বাদ দিয়ে 'ণ'-ত্ব বিধি মানার এত বাধ্যবাধকতা থাকবে কেন আমি বুঝি না। সে হিসেবে ঘন্টা শব্দটি অনায়াসে 'ন' দিয়ে লেখা যায় । 'ণ' -ত্ব 'ষ- ত্ব এর জায়গা আমরা যত ছোট করে নিয়ে আসবো বাংলা বানানের দুরবস্থা তত কমবে বলেই আমি মনে করি।
মন্তব্য
বড্ড কঠিন বিষয়, মাঝে মাঝে খাবি ভাই!
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
বাংলা বানানের এখনও শিশুকাল চলছে । বিদ্যাসাগরের পরে আর এগুতে পারছি না যেন ।
যার যা ইচ্ছা লিখে ফেলে ।
আমিও এভাবেই লিখে ফেলি ।
-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।
হুমম। ...সাংঘাতিক বিষয় আরও আছে। বাএ'র মতে, বিদেশি সব শব্দের বানান রস্বই (ি) হবে। অথচ তারা নিজেরাই দীর্ঘই (ী) দিয়ে 'একাডেমী' লিখে আসছে।
তবে গত কয়েক দশকে বাংলা বানান রীতির সবচেয়ে ক্ষতি করে চলেছে বোধহয় সংবাদ পত্র। ...এর মধ্যে ইংরেজি শব্দের যথেচ্ছ ব্যবহার, বিচিত্র বানানরীতির প্রয়োগ করে দৈনিক যাযাদি যথেষ্ট বিতর্ক তুলেছে।
আমি নিজেই কর্মস্থল পরিবর্তন করার সুবাদে বিগত বছরগুলোতে একেক সংবাদপত্রের একেক বানানরীতি লিখতে লিখতে এখন 'সঠিক বানান রীতি' নিয়ে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি।...
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
বাংলা একাডেমি মাত্র কিছুদিন আগে কিন্তু তাদের নাম একাডেমি হিসেবে পরিবর্তন করেছে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে
আর
১০০% ঠিক
তার মধ্যে ২০% জেনে আর ৮০% না জেনে
সাধারণ যে ভুলগুলো আমরা সচরাচর করে থাকি, সেগুলো নিয়ে কেউ যদি আলোকপাত করতেন, সবাই উপকৃত হতাম।
কিছু উদাহরণ দিচ্ছি।
হাঁটুপানির জলদস্যু
খালি দরকার দরকার করেন কেন ? নিজেই আলোচনাটা শুরু করেন না কেন স্যার ?
-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।
মোজো পাচ্ছি না কেন যেন। তাছাড়া আমার জানাতেও ত্রুটি থাকতে পারে। একেবারে দলিলদস্তাবেজ বগলে করে কেউ বসলে ভালো হয়।
হাঁটুপানির জলদস্যু
দরকারী আলোচনা।
কিন্তু দরকারি হলেই চলতো। তবে এখন্ও চোখে সয় না। কর্মচারিটা সয়ে গেছে।
একাডেমির নিয়ম-কানুন দিয়ে শেখানো কঠিন।
ভালো ভূমিকা রাখতে পারে মিডিয়া আর টেক্সট্ বুক বোর্ড।
তারা যেভাবে লিখবে সেভাবেই ছাত্ররা শিখবে।
সবগুলো পত্রিকা মিলে একটা বানানরীতি মেনে নেয়া উচিত। সাহিত্যিকদের জন্য তো স্বাধীনতা রয়েছে। সংবাদে বানানের বিশৃঙ্খলা না করলে পাঠক রক্ষা পায়।
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
একটা সময় ছিলো যখন সঠিক বানান শেখার প্রধান উপায় হিসেবে বলা হতো বইপত্র ও সংবাদপত্র-সাময়িকী পড়ার সময় বানানগুলি লক্ষ্য করা। অন্তত আমি সেভাবেই শিখেছি (যতোটা শিখেছি আর কি!), ব্যাকরণের নিয়মকানুন তেমন জানি না আজও।
কিন্তু এখন বিশেষ করে সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত বই ও পত্রিকাকে আর নির্ভরযোগ্য ভাবার জো নেই। বরং তাতে বিভ্রান্তি বাড়ার সম্ভাবনা পঞ্চাশ ভাগ, আর জানা বানান ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা একশো ভাগ। বড়ো বড়ো নামী লেখকদের বইয়ে ভুল বানান ও বাক্যের ছড়াছড়ি। সব ক্ষেত্রে কিন্তু প্রুফ রীডারকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, একই লেখকের এক একাধিক বইয়ে একই ভুল বারবার হতে থাকলে তা প্রুফ রীডারের দায় বলে মানা কঠিন। সংবাদপত্র বিষয়ে বিপ্লব রহমান বলেই ফেলেছেন।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
খুব দরকারী আলোচনা, কিন্তু পড়তে নিলেই ক্লাসের কথা মনে আসে। ব্যাকরণের ভয়ে জ্বর চলে আসত। তবুও মানি, পড়া উচিত, শেখা উচিত।
আচ্ছা, কেউ কি বলতে পারেন......বাংলার পূর্নাংগ অভিধানের কোন সফট্ওয়ার বাজারে এসেছে কি না? অনলাইন নয়।
কালবেলা
নতুন মন্তব্য করুন