প্রথম দিনতো সারা দেশে মিডিয়া প্রভাবিত জনমতই ছিল প্রবল । নির্যাতিতের পক্ষে চিরকালের শোষিত বাঙালির হৃদয় কেঁদে উঠেছিল। আমি নিজেও সংশয়ী মন নিয়ে সেই দলেই ছিলাম। কিন্তু রাত গভীর হতে থাকলে যখন পুরো বিষয়টি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে থাকে তখন মিডিয়ার কাছে মাথা বিক্রির জন্য নিজকে অনুতপ্ত মনে হয়। মনে হয়, ঘটনার আকস্মিকতা ও বিহ্বলতায় অতি-আগ্রহী হয়ে মিডিয়ার 'চ্যাংড়া' আর 'ল্যংড়া ' রিপোর্টারদের সব রিপোর্টই গোগ্রাসে গিলে মহা ভুল করেছি। নিজকে অপরাধী মনে হচ্ছে। বিদ্রোহী সৈনিকদের মোবাইলে বলা কথাগুলো মাইক্রোফোনের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার ঘৃণ্য কাজটি করেছে পদক পাওয়া বিজ্ঞ সাংবাদিকরা। অথচ সৈনিকদের কথাগুলো দফায় দফায় ফলাও করে প্রচার করলেও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ উপর্যুপরি প্রচারের প্রয়োজনীয়তার কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে হয়েছে ( রাশেদ খান মেননের বক্তব্য)। চ্যানেলগুলো সংবাদ প্রচারের প্রতিযোগিতায় রাষ্ট্রীয়নিরাপত্তা-গোপনীয়তা বা গুরুত্বের ধার-ধারে নি । কী ঘটছে তা জানার চেষ্টায় বিভোর থেকে উচিত অনুচিত ভুলে গেছি। ই.মিডিয়ার তথাকথিত সি. রিপোর্টারের মুজিব ভাই, শাকিল ভাই ( যথাক্রমে কর্নেল ও মে.জে )বলে সাক্ষাৎকার নেয়ার ধরণে বিরক্ত হলেও চ্যানেল বদলে অন্যটা দিয়েছি, কিন্তু সেখানেও শিকার হয়েছি হলুদ সাংবাদিকতার। বুঝতে পারি নি। কারণ ঘটনার তীব্রতা এতটাই ছিল যে, কোনটা অতিরঞ্জন, কোনটা যৌক্তিক, কোনটা প্রকৃতসত্য তা যাচাই করার মত স্থিরতা মাথায় ছিল না। এখন বুঝতে পারছি কোন ই.মিডিয়ার সংবাদ বিভাগই ঘটনার বাণিজ্যিক ও বস্তুনিষ্ঠতাকে তাত্ত্বিকভাবেও আলাদা করতে পারে নি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই মনে হয়েছে ( এখন মনে হচ্ছে) এক চরম উত্তেজনাকর ফাইনাল খেলা কাভার করতে এসেছে সাংবাদিকরা। আমি সাংবাদিক নই কিন্তু এটুকু বুঝি যে, সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশের চেয়ে ই.মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়, কারণ তা প্রচারিত হয় সরাসরি এবং তা যাচাইয়ের সুযোগও সীমিত বা স্বল্প সময়ের কাজ। আমার মনে হয় , এ ঘটনায় মিডিয়ারও অনেক কিছু শেখার আছে। মিডিয়া সাংবাদিকদের অনভিজ্ঞতা ও অপরিপক্কতা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার নজির হয়ে থাকবে এই কাভারেজ। জানি, মিডিয়া সাংবাদিকরাও পাল্টা এ বিষয়ে তাদের মহা-দক্ষতার ঢোলও পিটাতে থাকবেন অনর্গল । কিন্তু আমার মত যারা আত্মদহনে পুড়ছেন বা মিডিয়ার ভেল্কিতে বোকা হয়েছেন তারা কি আর স্বাভাবিকভাবে মিডিয়ার সংবাদকে আস্থায় নেবেন ?
মন্তব্য
অনুর্বর মস্তিষ্কের মিডিয়া কর্মীদের অতি উৎসাহী তৎপরতায় জনগন, সরকার, সেনাবাহিনী সবাই বিভ্রান্ত হয়েছিল প্রথমদিন। আমরা সবাই বিডিআরের প্রতি সমবেদনায় অন্ধ হয়ে ছিলাম। কেউ ধারনাও করতে পারছিলনা ভেতরে এত বিরাট একটা ধ্বংসযজ্ঞ চলছে।
আমাদের মিডিয়া সাংবাদিকের বিরাট একটা অংশ নাবালক বা অপরিপক্ক। স্থান কাল পাত্র সম্পর্কে জ্ঞানহীন। কাকে কখন কী প্রশ্ন করতে হবে তার বিন্দুমাত্র ধারনা নেই। গুলির ভয়ে পলায়নপর লোকের পেছনে ক্যামেরা নিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে পথরোধ করে - "আপনার অনুভুতি এখন কেমন?" জানতে চাইছে দেখে যে কারো মাথায় রক্ত উঠে যেতে পারে।
সেদিন কে যেন একজন বলছিলেন, কিছু কিছু চ্যানেল বিদ্রোহীদের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে কাজ করেছে বলে মনে হয়েছে। অবশ্যই নিজেদের অজ্ঞাতে ভুলের স্বীকার হয়েছে তারাও। তবে মিডিয়াকর্মীদের আরো অনেক প্রশিক্ষনের দরকার আছে। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া কর্মীদের তাৎক্ষনিক বিচক্ষনতার প্রয়োজন, যেটার প্রকট অভাব রয়েছে বেশীরভাগের ক্ষেত্রে।
দেখুন, এসব খবর তো মনে হয় না একটাও সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে। এগুলো এডিট হয়, যাচাই বাছাই হয়, তারপর প্রচারিত হয়। যারা সেই কাজগুলো করেন, তাদেরও তো দায় আছে?
আমরা তো দেখেছি কিছুক্ষণ পরপরই টেলিফোনে সরাসরি সম্প্রচার বা সরাসরি অমুক-তমুক জায়গা থেকে মাইক্রোফোন হাতে সবিস্তার বর্ণনা। এর মধ্যেও যদি এডিটিং বা যাচাই-বাছাইয়ের ভেল্কি থাকে তাহলে তো সেটা আরেক প্রতারণা। সে জন্য তাদের ডবল অপরাধ হয়েছে নিশ্চই।
.................................................................................................................
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
সহমত
গুজব ছড়ানোর দায়ে মিডিয়া কর্মিদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত
...........................
Every Picture Tells a Story
সহমত। অনেক ক্ষেত্রেই 'গুজব শোনা যাচ্ছে' 'মনে হচ্ছে' 'ধারণা করছি' 'অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে' ইত্যাদি অনির্ভরযোগ্য সূত্রের সংবাদও ( নাকি মিথ্যাচার !) ব্যাপক ভাবে প্রচার করেছে মিডিয়া- এধরনের ঘটনার স্পর্শকাতরতার মাত্রা উপলব্ধিই করতে পারে নি তারা। কে কার আগে কত বেশি তথ্য ( নাকি গুজব!) প্রচার করতে পারে তার প্রতিযোগিতা ছিল রীতিমত। ধিক্ ।
.................................................................................................................
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
এই ক্ষেত্রে আমার তো প্রথম দায়ী মনে হয় ভারতীয় মিডিয়াকেই। আনন্দবাজার থেকে শুরু করে সিএনএন-আইবিএন, সবাই যেভাবে জামাত আর জেএমবির নাম আনতে শুরু করেছেন "বিশ্বস্ত" বা "গোয়েন্দা" সূত্রের মারফৎ তাতে কিছু বিরক্তি ছাড়া কিছু আসে না। কোনো ঘটনার ১০% প্রমাণও এখনও হাতে আসেনি, সরাসরি কোনো চাঁই ধরাও পড়েনি, অথচ কারা করেছে সে নিয়ে মিডিয়া রিপোর্ট দিয়ে চলেছে - এটা হাস্যকর একটা ব্যাপার।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
সেটা অবশ্যই ঘৃণ্য কাজ। কিন্তু ভারতীয় মিডিয়া এ সংবাদ প্রচারের অনেক আগেই আমাদের অপরিপক্ক মিডিয়া কর্মীরা দেশের বারোটা বাজিয়ে ফেলেছে। ভারতীয় মিডিয়ার তো সে দায় নেই যে দায় আমাদের মিডিয়ার থাকার কথা। বাংলাদেশের মানুষ যারা ক্যাবল টিভি দ্যাখে তারা দেশের খবরের জন্য ভারতীয় সিএনএন চ্যানেল খুলে বসে থাকে না।
.................................................................................................................
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
সহমত প্রকাশ করলাম
আমাদের শিক্ষার অবকাঠামো গড়ে তোলা যে কতখানি জরুরী এই ঘটনা তার এক ভয়াবহ নজির হয়ে থাকবে। রাতারাতি সংবাদকর্মী আর রিপোর্টার বনে গেলে এছাড়া আর কি আশা করতে পারেন! প্রিডিসিশন নিয়ে যদি কেউ রিপোর্ট করে তবে হতাশ হওয়া ছাড়া কিইবা করার আছে! এই সমস্যাটা আমাদের অনেকের মধ্যেই বিদ্যমান! তবে এই মূহুর্তে আত্বপোলদ্ধিটা জরুরী। জরুরী চোখ কান মগজ খোলা রাখা!
একমত ধ্রুব, মিডিয়ায় যথাযহত ট্রেনিং-এর ব্যাবস্থা করাটা খুব প্রয়োজন।
আগে ছিল যে ছেলেকে দিয়ে কিছু হবে না, দেই একে আল্লাহর নামে মাদ্রাসায় আর যে প্রফেশনেই কিছু করতে পারছে না তারে খুলে দাও ভিডিও ক্যাসেটের দোকান। এখন হল কিছুই পারিনা তো মামারে ধরে মিডিয়া ‘প্রফেশনাল’ বা আরো সরাসরি বলি- টিভি রিপোর্টার হয়ে যাই! আমি কিন্তু ভাল জার্নালিষ্টদের কথা বলছি না, আমি বলছি মোবাইল আর গুগুল সাংবাদিকদের কথা। এনারা উতস হিসেবে ‘তথ্যসূত্র ইন্টারনেরট’ আর ‘অসমর্থিত সুত্র মতে’ উল্লেখ করতে মোটেও দ্বিধা করেন না। এক নামকরা (?) ব্রডকাষ্ট জার্নালিষ্ট আমার চোখের সামনে ‘ব্লগস্পট’ থেকে একবার এক লাইন কোট করে দিলেন। ধ্রুব নিজেও এক চেনে।
তবে মুস্তাফিজ ভাই, রিপোর্টারদের বিচার হওয়ার বিষয়টাতে একমত হ তে পারলাম না একেবারেই। আমি বাংলা শব্দটাও ঠিকমত বলতে পারিনা কিন্তু আমার ‘চাচ্চুর ফ্রেন্ড’- চ্যানেলে ভাতিজা রিপোর্টার হয়ে বসে আছি- বিচার হওয়া উচিত সেইসব মালিকদের আর চোখবুজে থাকা নিউজ এডিটরদের।
ছোট্ট একটা উদাহরন দেই। লন্ডনের মেয়রের ইন্টারভিউ হবে। সাংবাদিক মশাই বউ-এর জন্যে মার্কস এ্যান্ড স্পেন্সারে শপি করতে গিয়ে দেরি করে ফেলছেন অনুষ্ঠানে আসতে। বেহুশের মাথায় সেই সাংবাদিক লন্ডনের ৩২টা কাউন্সিল (বা borough) –এর এক কাউন্সিল মেয়রের ইন্টারভিউ নিয়ে ফেললেন লন্ডনের মেয়র ভেবে। মনে করুন ঢাকার মেয়র ভেবে আপনি রাজারবাগের এক ওয়ার্ডের চায়ারম্যানের ইন্টারভিউ নিয়ে ফেললেন। যখন সেই বিখ্যাত ব্রডকাষ্ট জার্নালিষ্টকে তার ভুল ধরানো হল তখন তিনি বিরাট আক্ষেপ করলেন ঠিকই তবে একটু পরই আস্বস্ত করলেন ‘’আরে ধুরও দেশে কেউ বুঝবেনা, চালায় দিব একটা কিছু বলে’’
হা হা হা
এইটা কী শুনাইলেন ভাই ! আমাগোরে সব্বাই কি তাইলে ছাগলই ভাবে !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
১। মিডিয়ার নাবালক রিপোর্রটারদের দোষ কি? জাতিগত ভাবে সত্য-মিথ্যা যাচাই করে ধীরে শীষ্টে কবে আমারা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বা একটা কনক্লুশনে পৌছানোর চেষ্টা করেছি?আমদের মিডিয়ার ব্যবসায়িক ভিত্তি হচ্ছে "চটকদার" হওয়া, "সত্যনিষ্ঠতা" নয়।
২। গসিপ/স্পেকুলেট করাটা আমাদের লাইফ লাইন, গুজবে ভাসাটা আমাদের প্রধানতম: বিনোদন। সেটা যতই "গুরুত্বপুর্ন" ব্যাপার হোক না কেন।
৩। সব প্রশ্নের সব উত্তর না জানা মানুষ বাংলাদেশে একজনও নাই। সবাই আমারা সবজানি ও বুঝি। অতি বুঝদার জাতির ভাগ্য এমন না হবারতো কোন কারন নাই।
৪। আমাদের সামাজিক বৈষম্য এত প্রকট যে, হরতালে বড়লোকের গাড়ি ভাংগা থেকে, বিডিআর বিদ্রোহে, "প্রিভিলেড" শ্রেণীর" আপদে "আমোদ পাওয়া " নিরব মানুষের অভাব হয়না । এখানে কোন যুক্ত-নীতি-মানবতা কাজ করেনা। অর্থনৈতিক ভারসম্যহীণ সমাজে এটাই অবধারিত সামাজিক মনস্তত:। আমার নিজেরও মিডিয়ার রিপোর্টে ইনিশিয়াল রিয়েকশনটা মাহবুবুল হকের মতই ছিল। ঘনিষ্ট একজনের নিহত হবার খবর শুনে সম্বিত ফিরে পাওয়া আমিও সেই প্রাথমিক সংশয়ের জন্য অনুশচনায় ভুগছি।
বাঙালির জাতিগত দোষগুলো দারুন লিখেছেন। বাঁধিয়ে রাখার মত।
.................................................................................................................
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
সহমত।
আর,
১। আমরা উত্তেজিত থাকতে মনে হয় পছন্দ করি; মিডিয়া তার সুযোগ নিয়েছে। তারা গরম খবর পাঠাতে খুবই তৎপর। আমার তো মনে হয়েছে, কোন কোন মিডিয়াকর্মী তার পরিবারের সদস্যের মৃত্যুর খবরও (খোদা না করুক) আগ্রহ নিয়ে প্রকাশ করবে এই ভেবে যে, এটা মিডিয়ার হট কেক; এটা চিন্তা না করে যে এতে তার দায়িত্ববোধেরও একটা ব্যাপার থাকতে পারে।
২। বেশী খারাপ লেগেছে অতি সেনাবিরোধী কাউকে কাউকে দেখে। তাদের হৃদয়ও হয়তোবা পরিষ্কার; তাদেরও কি হৃদয়ে এখন ক্ষরণ হচ্ছে? এখন তারা তাদের মন পরিষ্কার করে নিতে পারেন; ভুল স্বীকারে দীনতা নাই। নতুবা অপরাধবোধ জায়গা দখল করে নিবে।
৩। মানুষের মাহাত্ত্ব্য মনে হয় এইখানে, সে সব সময় দুর্বলের পাশে দাড়িয়েছে। তাই বলে কি দুর্বলের অন্যায়ের বিচার হবে না? আইন বেশীরভাগ সময়ই সবলকে নিরাপত্তা দিয়েছে (যদিও সকলকেই দেবার কথা) , এই বিষয়ে দ্বিমত থাকার কথা নয় ; এই গ্লানি নিয়েও তারপর বলব, অপরাধের কি বিচার হবেনা?
৪। নিহত সেনাঅফিসার, বিডিআর দের জন্য মন ভেংগে গেছে। অপরাধী বিডিআর বা অন্য কেউ থেকে থাকলে তাদের যেমন বিচার চাই, তেমনি মন ভেংগে যাবে যদি দেখি নিরপরাধী বিডিআরদের শাস্তি হয়। তাই বলব, সুষ্ঠু বিচার চাই।
নদী
শংখচিল আর নদীর অবজারভেশন চমত্-কার ।
মিডিয়া কিন্তু আমাদের এইসব জাতিগত দোষ দূর করতে সাহায্য করতে পারে। যেমন ভারতীয় সিনেমা চল্লিশের দশক থেকে কী ভাবে জাতীয়তাবাদ ও জাতীয় ঐক্যকে প্রাধান্য দিয়ে ভারতের গণতন্ত্র ও দেশপ্রেমকে সংহত করার কাজ করেছে তার একটা চমত্-কার ডকুমেন্টারি দেখেছিলাম হিস্টরি চ্যানেলে। আমাদের ই.মিডিয়া এ দায়িত্বটা সহজে পালন করতে পারে যদি তাদের দেশের প্রতি কমিটমেন্ট থাকে।
.................................................................................................................
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
শুভ জন্মদিন!
নতুন মন্তব্য করুন