Death toll of Genocide in 1971

মাহবুবুল হক এর ছবি
লিখেছেন মাহবুবুল হক (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৪/২০১১ - ৯:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গণহত্যা সংখ্যা দিয়ে বিচার হয় না, বিচার হয় হত্যার প্রকৃতি দিয়ে। বাংলাদেশের গণহত্যা, সেই ২৬ মার্চেই ইয়াহিয়াও অস্বীকার করে বলেছিলেন, জনা পঞ্চাশেক মানুষ মারা পড়তে পারে; তার উত্তরসুরী শর্মিলা বসু তো এভাবেই ভাববেন। কিংবা রুবাইয়াতের মাথায় তো পাকিস্তানী হত্যাযজ্ঞের চেয়ে ভালবাসাবাসিটাই মুখ্য হয়ে যাবে।অনেকদিন ধরেই দেখছি ৩০ লক্ষ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দল বা কিছু সংখ্যক লোক সবসময় অতিরঞ্জনের দোষ চাপিয়েছে; এমনকি শেখ মুজিবের সংখ্যাজ্ঞান নিয়েও ঠাট্টা করা হয়। শর্মিলা বসুকে দোষ দিয়ে আর লাভ কি ? সে তো ভাড়াটে গবেষক। দুই কোটি টাকা খরচ করে কেন মেহেরজান বানানো হয় যারা মূল কাহিনীটাই পাকিস্তানী লেখকের তা আমাদের বুঝতে আর বাকি নেই। কিংবা আমাদের দেশেই স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগের ইতিহাসকে যারা কেটেছেঁটে, শূন্য কমিয়ে বা রক্তের দাগ মুছে ঢেকে রাখতে চায় তাদের লক্ষ্য বা পরিকল্পনা কী তা আর বুঝতে বাকি থাকে না। অনেক দিন আগে একটি ব্লগে ( যৌবনযাত্রা/ বর্তমানে সম্ভবত জয়যাত্রা ) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মৃত্যুর খতিয়ান দিয়ে একটি চমৎকার লেখা বেরিয়েছিল। লেখাটিকে ওয়ার্ডে সেভ করে রেখেছিলাম, লিংক দিতে পারছি না, তবে বাকি সব সূত্রসহ অবিকল তা দিয়ে দিলাম। লেখক আসিফকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাখছি। আমার মনে হয় এখানে যে হিসাবটি আছে তা ৩০ লক্ষ বোঝার জন্য যথেষ্ট, তবে আমি মনে করি এতেও অনেক হিসাব উঠে আসেনি। যেমন, এক কোটি শরণার্থির মানবেতর জীবন এবং সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা, ২৫শে মার্চের আগে এবং ১৬ ডিসেম্বরের পরে যে হত্যাযজ্ঞ বা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল তাতে মৃত্যু অথবা মিত্র বাহিনীর প্রাণক্ষয়। তবুও এই হিসাবকে অনেকটা নির্ভর করা যায়।

[/h3]Death toll of Genocide in 1971[h3]

In 1981, UN's declaration of Universal Human Rights writes; "Among the genocides of human history, the highest number of people killed in lower span of time is in Bangladesh in 1971. An average of 6000 (six thousand) to 12 000 (twelve thousand) people were killed every single day..........This is the highest daily average in the history of genocide's." The occupation army of Pakistan committed this holy act for an approximate period of 260 days (from the night of 25 March,1971 to their surrender on the 16th. December, 1971). Using UN's figures multiply them with 260 days. What figures do we get? Please take a calculator and check this one out.

(1) Lower limit of Bangalee killed = 6 000 x 260 = 1 560 000 (1.56 million) Higher limit of Bangalee killed = 12 000 x 260 = 3 120 000 (3.12 million) We can take an average value of 2 340 000 (2.34 million)

(2) In 1971 there were around 75 million people in Bangladesh. The average size of a Bangalee family was around 5 (five) at that time. Divide 75 million by 5 which gives 15 million families in Bangladesh in 1971. Number killed per family = 0.16 (2.34 million divided by 15 million) Number of families affected with at least one family member killed = 6.4 (15 million divided by 2.34 million).

This is 42.7% (6.4 multiplied by 100 and divided by 15) of families. For simplicity, let us use a round figure of 40%. This means that 40% of Bangalee families were affected with the loss of at least one family member. Of course, there were thousands of families where the loss of family members was more than one. In many cases, the entire family excepting a lone survivor was wiped out. If these facts are taken in to consideration then the average percentage affected (40%) will change.

(3) Numbers killed by each Pakistani soldier = 26 persons (2.34 million divided by 90 000 soldiers) in 260 days. I have excluded the Razakars who joined the Pakistani soldiers later. An approximate number of Razakars will be around 50,000 to 60,000 or may be more. No one knows the real data). Do your own calculations if you want to include the Razakars.

(4) Numbers killed by each Pakistani soldier per day is 0.1 person. (26 divided by 260).

That is, one Pakistani soldier killed at least one Bangalee in every ten days. Is that an impossible job? Are these numbers unbelievable? The 3 million people killed by the Pakistani soldiers is not at all impossible. The above calculations clearly demonstrate this fact. That was exactly what happened in Bangladesh. In fact, the September 1972 issue of National Geographic clearly writes that more than 3 million people were killed in Bangladesh. This fact was revealed almost after a year of the carnage. Therefore, the records are surely more authentic and free from bias.

The human death toll over only 267 days was incredible. Just to give for five out of the eighteen districts some incomplete statistics published in Bangladesh newspapers or by an Inquiry Committee, the Pakistani army killed 100,000 Bengalis in Dacca, 150,000 in Khulna, 75,000 in Jessore, 95,000 in Comilla, and 100,000 in Chittagong. For eighteen districts the total is 1,247,000 killed. This was an incomplete toll, and to this day no one really knows the final toll. Some estimates of the democide [Rummel's "death by government"] are much lower -- one is of 300,000 dead -- but most range from 1 million to 3 million. ... The Pakistani army and allied paramilitary groups killed about one out of every sixty-one people in Pakistan overall; one out of every twenty-five Bengalis, Hindus, and others in East Pakistan. If the rate of killing for all of Pakistan is annualized over the years the Yahya martial law regime was in power (March 1969 to December 1971), then this one regime was more lethal than that of the Soviet Union, China under the communists, or Japan under the military (even through World War II). (Rummel, Death By Government, p. 331.) ----- By R.J. Rummel

AsifM/Re: Some one Show evidence of 30 laks death at ’71.. - 07-03-08, 07:30 PM

মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী বাহিনী ও রাজাকার-আলবদরের বর্বরতা নিয়ে ইদানিং শর্মিলা বসুর গবেষণা ও রুবাইয়াতের মেহেরজানে ইতিহাসবিকৃতি আমাদেরকে আবারও জানিয়ে দিয়েছে যে ওরা এখনও ৭১ এর পরাজয়ের ক্ষত নিয়ে ওঁত পেতে আছে পাল্টা আঘাত হানার অপেক্ষায়। আমরাও প্রস্তুত।৭১ এ জাতি যেমন জিয়ার ঘোষণার অপেক্ষায় ঘরে বসে থাকেনি আমরাও তেমনিভাবে কোন দল বা গোষ্ঠীর বোধোদয়ের অপেক্ষায় বসে থাকতে পারি না। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্লগে এ নিয়ে তথ্যবহুল লেখা আমার চোখে পড়েছে। সচলায়তনে এ নিয়ে নিরন্তর ব্লগিং হচ্ছে। আশা করি আবেগের পরিবর্তে তথ্য ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে স্বাধীনতার শত্রুদের এই বুদ্ধিবৃত্তিক নষ্টামির জবাব দেবে।


মন্তব্য

মাহবুবুল হক এর ছবি

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দুর্দান্ত লিংক দিয়েছেন। প্রিয়তে পোস্টাইলাম।
সামুতে একসময় সচল ছিলাম কিন্তু ওইটা ছাগু দিয়া ভরা ছিল। অনেকদিন বাদে আবার খোচাইলাম, জবর লাগলো....

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

স্বপ্নাতুর এর ছবি

এতো সহজভাবে এবং যুক্তিসংগতভাবে হিসেব করার ব্যাপারটা মাথায় আসেনি কখনও। খুব ভাল লাগলো।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় নিজের একটা পুরনো লেখা এখানে দিলামঃ

যেকোন যুদ্ধ শেষে বিজয়ী ও বিজিত উভয় পক্ষ “ট্রুথ, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস এন্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন” গঠন করে। যুদ্ধ সংগঠনের কারণ, যুদ্ধে জয় বা পরাজয়ের কারণ, যুদ্ধে জয় বা পরাজয়ের জন্য দায়ী ব্যক্তিবর্গকে সনাক্তকরণ, যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা নির্ধারণ, যুদ্ধে আহতদের ক্ষতির প্রকৃতি নির্ধারণ, যুদ্ধে সম্পদ, স্থাপণা, আর্থিক, মানবিক ও সামাজিক ক্ষয়-ক্ষতি নির্ধারণ, যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট সংকটসমূহ নির্ধারণ, যুদ্ধকালীন সময়ে অন্য দেশ/পক্ষদের ভূমিকা নির্নয়, যুদ্ধের মোট ব্যয় নিরূপণ ইত্যাদি কাজ এই কমিশন করে থাকে। দুঃখজনক হলেও সত্য এই যে, ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারী আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শেষ হবার পর এই ধরণের কোন কমিশন গঠিত হয়নি। ফলে, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হবার, ২ লক্ষ নারী ধর্ষিতা হবার, তৎকালীন সময়ের হিসাবে ১৪ হাজার কোটি পাকিস্তানী রূপীর সমপরিমাণ অর্থের ক্ষতিপূরণ দাবী করার অথবা ভূতপূর্ব অখণ্ড পাকিস্তানের মোট সম্পদ আনুপাতিক হারে ভাগাভাগি করার ব্যাপারগুলোর ফ্যাক্টস নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ থেকে গেছে। এমনকি যুদ্ধকালীন ও তৎপরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা হতে প্রাপ্ত সাহায্যের বিবরণও পাওয়া যায়না।।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হবার ব্যাপারে কোন কমিশনের রিপোর্ট না থাকায় বা কোন জরীপ না হওয়ায় প্রাথমিক অনুমিতি, পরিসংখ্যান, অবরোহী পদ্ধতি, পত্রিকার ভাষ্য ও সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে প্রাপ্ত নানা সংখ্যা থেকে ৩০ লক্ষ সংখ্যাটির যথার্থতা যাচাই করা যায়।

জেন্ডারসাইডের (http://www.gendercide.org/case_bangladesh.html) মতেঃ

The number of dead in Bangladesh in 1971 was almost certainly well into seven figures. It was one of the worst genocides of the World War II era, outstripping Rwanda (800,000 killed) and probably surpassing even Indonesia (1 million to 1.5 million killed in 1965-66). As R.J. Rummel writes,

The human death toll over only 267 days was incredible. Just to give for five out of the eighteen districts some incomplete statistics published in Bangladesh newspapers or by an Inquiry Committee, the Pakistani army killed 100,000 Bengalis in Dacca, 150,000 in Khulna, 75,000 in Jessore, 95,000 in Comilla, and 100,000 in Chittagong. For eighteen districts the total is 1,247,000 killed. This was an incomplete toll, and to this day no one really knows the final toll. Some estimates of the democide [Rummel's "death by government"] are much lower -- one is of 300,000 dead -- but most range from 1 million to 3 million. ... The Pakistani army and allied paramilitary groups killed about one out of every sixty-one people in Pakistan overall; one out of every twenty-five Bengalis, Hindus, and others in East Pakistan. If the rate of killing for all of Pakistan is annualized over the years the Yahya martial law regime was in power (March 1969 to December 1971), then this one regime was more lethal than that of the Soviet Union, China under the communists, or Japan under the military (even through World War II). (Rummel, Death By Government, p. 331.)

উইকিপিডিয়ার (http://en.wikipedia.org/wiki/1971_Bangladesh_atrocities) মতেঃ

In 1997 R. J. Rummel published a book which is on the web called "Statistics of Democide: Genocide and Mass Murder Since 1900", In Chapter 8 called "Statistics Of Pakistan's Democide Estimates, Calculations, And Sources" In it he looks at the 1971 Bangladesh Liberation War. Rummel wrote:

In East Pakistan (now Bangladesh) [The President of Pakistan, General Agha Mohammed Yahya Khan, and his top generals] also planned to murder its Bengali intellectual, cultural, and political elite. They also planned to indiscriminately murder hundreds of thousands of its Hindus and drive the rest into India. And they planned to destroy its economic base to insure that it would be subordinate to West Pakistan for at least a generation to come. This plan may be perceived as genocide.[106]

Rummel goes on to collate the what considers the most credible estimates published by others into what he calls democide. He writes that "Consolidating both ranges, I give a final estimate of Pakistan's democide to be 300,000 to 3,000,000, or a prudent 1,500,000."

Other authors like Anthony Mascarenhas and Donald W. Beachler have cited a figure ranging between 1 - 3 million civilians killed by Pakistan Army;[160] Bleacher states that both Pakistan and its primary ally USA have denied Genocide allegations.[161]

সাংবাদিক Sydney Schanberg (Sydney H. Schanberg, ‘Bengalis’ land a vast cemetery’, New York Times, 24 January 1972, 1) হিসেব করে দেখিয়েছেন যে,

“বিদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তা আর বিদেশি পর্যবেক্ষকদের মতামত নিয়ে, পাকিস্তানি আর্মিদের হাতে নিহত হওয়া সব মানুষকে হিসেব করা হলে আর আর রিফিউজি হিসেবে পালানোর সময় আর্মি আর তাদের দোসরদের হাতে নিহত হওয়া সব মানুষকে গনণা করলে মৃতের সংখ্যা ৩ মিলিয়নই”।

ড. মাহবুবুর রহমানের “বাংলাদেশের ইতিহাসঃ ১৯৪৭-৭১” বইয়ের মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস অধ্যায় থেকে (পৃ. ৩১০)ঃ

“জনসংখ্যার হিসেব করলেই এটি স্পষ্ট কতজন মারা গিয়েছিল। ১৯৬৯ সালের জুন মাসে পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা ছিল ৬৯৮ লাখ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বিবেচনা করলে ১৯৭৪ সালের আদমশুমারিতে জনসংখ্যা ৮০১ লাখ হবার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা ছিল ৭৬৪ লাখ। যা প্রায় ৩৭ লাখ কম ছিল। তাই ৩০ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল যুদ্ধে এটি যথেষ্ট বাস্তবসম্মত”।

এখানে ১৯৭০ সালের ১২ই নভেম্বরের সাইক্লোনে ১০ লক্ষ মানুষ মারা যাওয়াকে বিশেষ বিবেচনায় নিলেও মুক্তিযুদ্ধ্বে শহীদের সংখ্যা ৩০ লক্ষই হয়।

অন্য আরেকটি ভাবে আমরা ৩০ লক্ষ শহীদের ব্যাপারটিকে যাচাই করতে পারি। ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১-এ আত্মসমর্পণকারী পাকিস্তানী সেনার সংখ্যা ৯৩,০০০। এর সাথে রাজাকার-আল বদরদের সংখ্যা ও নিহত পাকিস্তানী সেনাদের সংখ্যা যোগ করলে তা ১,২৫,০০০ -এর কম হবে না। শহীদের সংখ্যা ৩০,০০,০০০ হলে ১,২৫,০০০ জন হানাদারের প্রত্যেকের হাতে গড়ে ২৪ জন করে শহীদ হয়েছেন। অর্থাৎ ২৬৭ দিন চলা যুদ্ধে হানাদারদের হাতে প্রত্যেকে গড়ে ১১ দিনে একজন করে শহীদ হয়েছেন। এবার কি সংখ্যাটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়?

যদি অত মানুষ শহীদ হয়েও থাকে তাদের দেহাবশেষ কই? উত্তর হচ্ছে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে গণকবরগুলোর সন্ধান খুব কম করা হয়েছে। বেশিরভাগ গণহত্যা নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-জলাশয়ের কাছে করা হয়েছে এবং লাশ ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। ১৯৭১ সাল থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে দেশের ১৮,০০০ কিলোমিটার নদী ভরাট হয়ে গেছে। খাল-বিল-জলাশয় ভরাট হবার হার আরো বেশি। তাই আমাদের শহীদ পূর্বপুরুষরা ভূমিদস্যুদের থাবার নিচে চাপা পড়ে গেছেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ৬০ লক্ষ ইহুদীদের তো পরিচয় পাওয়া যায়, তাদের জনপদ নিশ্চিহ্ন হবার প্রমাণ পাওয়া যায়, কিন্তু আমাদের এখানে অমন প্রমাণ কই? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগেই ইহুদীদের প্রধানতঃ ঘেটোগুলিতে বা নির্দিষ্ট এলাকাগুলোতে কনফাইন্ড করা হয়েছিল তাই নিশ্চিহ্ন জনপদের চিহ্ন পাওয়া যায়, পরিচয়ও মেলে। আমাদের এখানেতো গোটা দেশজুড়ে গণহত্যা চলেছে আর পূর্বাপর রেকর্ডও নেই, তাই নিশ্চিহ্ন জনপদ বা পরিচয় পাওয়া যায় না। তবু গ্রামাঞ্চলে নিশ্চিহ্ন পাড়ার সন্ধান পাওয়া যায় যা নিজের চোখেও দেখেছি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ইহুদীরা শতকরা হিসাবে মোট জনসংখ্যার ৬০%ও বেশি (ইসরায়েলের এখনকার জনসংখ্যা ৭৩ লাখ), সেখানে ১৯৭১ এর হিসাবে আমাদের জনসংখ্যার মাত্র ৪%। তাই চোখে পড়ে কম। তাই ৩০ লক্ষ সংখ্যাটা আসলে কোন গল্প নয়, বঙ্গবন্ধুর লাখ আর মিলিয়নের হিসাব গুলিয়ে ফেলা নয়। লন্ডনে বা নয়া দিল্লীতে থাকা বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে দেশে আসার আগেই তাই সংখ্যাটা জানা সম্ভব আর তা ৩০ লক্ষই।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মাহবুবুল হক এর ছবি

ধন্যবাদ ষষ্ঠ পাণ্ডবকে বিস্তারিত তথ‌্য, সূত্র ও লিংক দেয়ার জন্য। আর কারও কোন লিংক বা উৎস কারো জানা থাকলে যোগ করুন।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

একজন পাঠক এর ছবি

অন্য ব্লগে প্রকাশিত অন্যের লেখা এভাবে সচলে দেয়াটা কি খুব জরুরি?

একজন পাঠক এর ছবি

উদ্ধৃত অংশের সূত্র লেখক যথার্থ তথ্যসহ স্বীকার করেছেন। আমার মনে হয় এতে দোষ নেই। মুক্তিযুদ্ধের অনেক তথ্যই এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ব্লগের পাঠকরা যদি বিভিন্ন ব্লগের তথ্য-লিংক তৈরি করেন তাহলে সার্বিকভাবে আমাদের লাভই হয়।

শিশিরকণা এর ছবি

কদিন থেকে একটা প্রশ্ন মনের মধ্যে খোঁচাচ্ছে।
৩০ লক্ষ শহীদ আর ২-লক্ষ ধর্ষিতার যে হিসেব, এখানে ২ লক্ষ কি যারা সব কিছু সয়ে তারপরও জীবিত ছিলেন, নাকি যেসব নারীকে অত্যাচার করার পর মেরেও ফেলা হয়েছে তারাও এই ২-লক্ষের হিসাবে অন্তর্ভুক্ত। ৩০ লক্ষ শহীদের মধ্যে কতজন ছিলেন মহিলা? তাদেরকে কি স্রেফ মেরে ফেলা হয়েছিল, নাকি মৃত্যুর আগে তাদেরকে পাকিশুয়রদের লালসার শিকার হতে হয়েছিল। তাহলে কি ধর্ষিতার সংখ্যা আরো বেশি হবে না?
এ বিষয়ে কোন পরিষ্কার হিসেব আমার চোখে পড়েনি, কেউ জানলে দয়া করে লিঙ্ক বা সূত্র দিন।

(প্রশ্নের ভাষার শীতলতায় নিজেই শিউরে উঠছি, ৭১ এর ইতিহাস এখন সংখ্যার খেলায় পরিণত হয়ে যাচ্ছে। মন খারাপ )

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

কালো-মডু এর ছবি

প্রিয় মাহবুবুল হক,

সচলায়তন তার সদস্য ও অতিথিদের কাছ থেকে মৌলিক লেখা আশা করে। সূত্র উদ্ধৃত করে অন্যের লেখার আর্কাইভ হিসেবে সচলায়তন ব্যবহৃত যাতে না হয়, সেজন্যে আমরা বরাবরই সচলদের অনুরোধ করে আসছি।

আপনার এ পোস্টটি প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেয়া হলো। ভবিষ্যতে অন‌্যের লেখা সচলায়তনে পোস্ট না করার অনুরোধ করা হচ্ছে। ধন্যবাদ।