Dear Sir, I did not come here to disturb you, look I am really helpless.. এই হল বাসে-ট্রেনে একশ্রেণির ভিক্ষুকের ভিক্ষার ভাষা। পুরোটাই ইংরেজি। তাতে কিছু ভুলভালও থাকে। তবে খুব কম। উচ্চারণের আড়ষ্টতাও প্রায় নেই । ঢাকার স্বনামধন্য ইংলিশ কোচিং সেন্টার থেকে কোর্স-করা-ছাত্র পরিচয় দিয়ে ভিক্ষা করতে গিয়ে বাসের যাত্রীদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতেও দেখেছিলাম একবার এক কেতাদুরস্ত যুবককে। তার আবেদনের ভাষাও ছিল ইংরেজি। আর রাস্তার ওপর বেশ খানিকটা জায়গায় চক দিয়ে আবেদন লিখে সাহায্য (নাকি ভিক্ষা ?) চাইছে কোন পঙ্গু অথবা অসুস্থ ব্যক্তি এমন দৃশ্য অনেকেই দেখেছেন। সেই ভাষাটাও ইংরেজি। ভিক্ষার জন্য এদের প্রত্যেকে ইংরেজি বলাটাকেই পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করছে। কিন্তু কেন ?
এই আচরণের সমাজতাত্ত্বিক বা সমাজমনোবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নিশ্চয়ই আছে যার মোদ্দা কথা হল, ' আহা লোকটা শিক্ষিত ! বিপদে পড়ে ভিক্ষা করছে!' কিন্তু এদের সামাজিক অবস্থান থেকে প্রাপ্ত শিক্ষায় অথবা যদি এরা সংগঠিত কোন দলের প্রশিক্ষণে এ পেশায় এসে থাকে ( তেমনটা যে হয় তা বিভিন্ন সময় পত্রিকায় প্রকাশিত) সেক্ষেত্রে সেই দলের পর্যবেক্ষণে একটা কথা খুব পরিষ্কার যে, আমাদের সমাজে ইংরেজি জানা মানুষকেই শিক্ষিত মনে করার সেই পুরোনো 'ডগমা' এখনো খুব কার্যকর বা চালু আছে । সমাজের তথাকথিক উচ্চবংশীয়দের মধ্যে একসময় এমন ফ্যাশন বা ধারণা যে ছিল তা উনবিংশ শতাব্দীর সামাজিক পটভূমিতে অনেক পাওয়া যায়। দীনবন্ধু. মাইকেলের প্রহসন বা তৎকালীন সামাজিক ইতিহাস গ্রন্থগুলিতে এর অনেক উদাহরণ আছে। মনে হচ্ছে এটি ধীরে ধীরে চুইয়ে পড়েছে নিচের দিকে এবং মধ্যশ্রেণিকে অতিক্রম করে এখন বোধ হয় নিম্ন আয়ের মানুষ তথা সামাজিক স্তর বিন্যাসের একেবারে নিচের দিকে এসে পড়েছে। এভাবে চুঁইয়ে পড়ার অনেক উদাহরণ হয়তো আমাদের চারপাশেই আছে।
মন্তব্য
হুমম, ইংরাজি বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণে সহমত। লেখাটা আরেকটু বিস্তারিত হলে আরো ভাল হত হয়ত; শেষটা যেন একটু তাড়াহুড়ো করে হয়ে গেল।
সহমত।
হু... ইংরেজিই এখন শিক্ষিত প্রমাণ করার একমাত্র মাধ্যম। যতো ভালো ইংরেজি বকতে পারবেন, তত বেশি শিক্ষিত আপনি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নতুন মন্তব্য করুন