জীবাণু বিস্ফোরণে আছি
আছি দুবেলা দুমুঠো কানামাছি খেলায়
সংসারে এমন অসংখ্য প্রাত্যহিক জীবাণু বেশ সুখে আছে
খাচ্ছে.. দাচ্ছে.. কেটে যাচ্ছে
অন্ধকারের বিপরীতে চেনাচেনা ছায়ার ফাঁকে
শহরের সমস্ত ঘনীভূত দীর্ঘশ্বাস ভর করে
মাতাল পূর্ণিমায়
রক্তিম উল্লাসে ফেটে পড়ে চাঁদ
ক্ষুদে বার্তার জন্য আঙুল চেপেচেপে
অক্ষরগুলো কেটে-ছেঁটে বারবার সাজাই।
শব্দের বনসাই
দেখে হয়তো অবাক হবেন তিনি
তবুও জানাতে চাই তাকে
অন্তত একজন এসময় আকাশের মুগ্ধতায়
চোখ রেখে অন্ধ হয়ে আছে
এফ এম রেডিওর বিধ্বংসী এক ফিউশান ফাঁকি দিয়ে
জোস্নায় বুভুক্ষু একটি এসএমএস চলে যায় রবীন্দ্রনাথের কাছে।
মন্তব্য
দারুণ লাগলো।
তবে 'রক্তিম উল্লাসে ফেটে পড়লো চাঁদ' এই অংশটুকুতে কেমন যেন খটকা লাগল। মন স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ করতে চাইছে না।
নীড়পাতায় পোষ্টটি দুইবার প্রকাশিত হয়েছে। মডারেশন বোর্ড হয়ত দৃষ্টি দেবেন।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
>অনেক অনেক অনেক সুন্দর।।।।।
>ভাল থাকুন সবসময়, এ প্রত্যাশায়
কবিতাটায় বেশ কদিন ধরেই মন্তব্য করবো করবো বলে, কিন্তু কি লিখবো গুছিয়ে উঠতে পারছিলাম না। মন্তব্যে যাবার আগে অন্য একটা বিষয়ে কথা বলে নি; "বানান" নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই খুব একটা, আমি মূঃলত সেটা লেখকের ইচ্ছের উপর ছেড়ে দেই ও সম্মান করি। তবুও "জোৎস্না" এর এইরকম চিরচেনা বানানটাই আমার কাছে বেশী জোৎস্নাময়।
আপনার লেখাটা নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই আসলে। যেখানে মুগ্ধতা বেশি প্রবল, সেখানে ভাষাহীন ভালোলাগাটাই থাকুক। লেখার ফিউশান বা ব্লেন্ডিং টা এককথায় চমৎকার। এক ফিউশানকে ফাঁকি দিয়ে যে আর এক ফিউশান বা কম্বিনেশন এর উপস্থাপন, সেখানে অসম্ভব ভালোলাগা জানালাম।
ক্রেসিডা
এটি সচেতন ব্যবহার। 'জ্যোৎস্না' এই মূল শব্দের অপভ্রংশ হল 'জোস্ না' বা 'জোস্না' । বাংলায় 'জোছনা'ও ব্যবহৃত হয়।
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
নতুন মন্তব্য করুন