পে-স্কেল বিতর্কে শিক্ষকের বস্ত্রহরণ, শিক্ষকতার আম-ছালা এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের স্বগতোক্তি

মাহবুবুল হক এর ছবি
লিখেছেন মাহবুবুল হক (তারিখ: শুক্র, ০৮/০১/২০১৬ - ১২:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পে-স্কেল ২০১৫ কে কেন্দ্র করে দেশের সব স্তরের শিক্ষকদের আন্দোলন অনেকদিন ধরেই চলছে। তন্মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন ভিন্নমাত্রা পেয়েছে সরকারের সচিবদের সাথে সরাসরি বাদানুবাদের জড়িয়ে যাওয়ায়। এই বাদানুবাদ বর্তমানে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, চাকুরির সম্মান, সুবিধা, অসুবিধা ইত্যাদি নানা অস্বস্তিকর তুলনার মধ্যে জড়িয়ে গেছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও সমাধানের বদলে এই বিতর্কে নিজকে জড়িয়ে ফেলেছেন। বিতর্কের অপেক্ষাকৃত দুর্বল পক্ষ শিক্ষকদের বিপক্ষে এবং প্রবল পক্ষ প্রশাসনের আমলাদের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়ে তিনি বাহ্যত দেশের কয়েক লক্ষ শিক্ষককে আরও হতাশার মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সবলতা-দুর্বলতা নিরূপিত হয় কে কতখানি ক্ষমতা চর্চা করতে পারে, বা ক্ষমতা-কেন্দ্রের নিকটে থাকে অথবা কতটা অর্থ-বিত্তের প্রভাব তার আছে সেইসব পরিমাপকের উপর। সেই হিসেবে শিক্ষক দুর্বল পক্ষ তো বটেই ! আর যে সমাজে শিক্ষক দুর্বল পক্ষ, মানে শিক্ষা কোন জ্বালানী নয়, সে-সমাজ ঠিক কীভাবে উড্ডয়ন আকাঙ্ক্ষায় বিশ্ব-সমাজে ডানাঝাপটাবে তা গভীর চিন্তার বিষয়।

বর্তমান পে-স্কেল ঘোষণার অনেক আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রধান দাবি ছিল দুটি- স্বতন্ত্র পে-স্কেল এবং উচ্চ-শিক্ষাকমিশন। কিন্তু শিক্ষকের গায়ের কাপড় বিবর্ণ এবং মুখ মলিন দেখেই ক্ষমতাধরেরা অভ্যস্ত। ফলে আন্দোলনের নামে ফোঁসফাঁস করাটা তাদের একদম পছন্দ হয়নি। পে-স্কেল ঘোষণার পর অবস্থা এখন- এসব দাবি অপসৃত হয়ে ‘ভিক্ষা চাই না মা, কুত্তা সামলা’র পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। মূল দাবির তো খবরই নেই, যেটুকু প্রাপ্তি আগে ছিল সেটাই যাবার জোগাড়। ফলে আন্দোলন এখন আম-ছালার বদলে অন্তত ছালা রাখবার আন্দোলন। অথচ বেতন কমিশনে পাঁত জন ছিলেন পেশাজীবী-শিক্ষক ( খণ্ডকালীন সদস্য হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জাফর খালেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুৎফুল হাসান, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো বিনায়ক সেন, ) । পেস্কেল ঘোষণার আগ থেকেই শিক্ষকতা পেশাকে হেয় করার জন্য নানরকম তুলনা প্রতিতুলনার বস্ত্রবয়ন হয়েছে। ঘোষণার পর যখন শিক্ষকরা দেখলেন প্রাপ্তির খাতায় অশ্বডিম্ব , আবারও আন্দোলনে যাবার হুমকি দিলেন তারা। এপর্যায়েও থেমে নেই শিক্ষকতাকে সমাজের কাছে অগ্রহণযোগ্য চাকুরিতে পরিণত করার বহুমুখী আক্রমণ। অবশ্য তেমনটা হতেও বেশি বাকি নেই। সম্ভবত কোন শিক্ষকও এখন আর তার সন্তানকে শিক্ষক হতে প্রেরণা দেবেন না। শিক্ষকতার বস্ত্রহরণ পর্বে যারা অংশ নিয়েছেন এবং এখনও তাড়িয়ে তাড়িয়ে সেই সুখ উপভোগ করছেন। তারা যেসব প্রশ্ন তুলেছেন আমি কিছুটা আত্মরক্ষা, কিছুটা দায় থেকে সেগুলোর স্বগত-উত্তর তৈরি করেছি, কোন পাল্টা জবাব এগুলো নয়।

ক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিক্ষকেরা উচ্চতর বেতন স্কেল পান, তাই আমাদের দেশেও তদ্রূপ দিতে হবে এমন দাবিকে খোঁড়া যুক্তি বলে যারা তাচ্ছিল্য করেন সে-সম্পর্কে বলতে পারি -
এটা যুক্তি নয় তথ্য ও উপাত্তের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে নিজের অবস্থান যাচাই। তবে কেউ যদি যুক্তি হিসেবে উপস্থাপন করে সেটা অন্যায়ও নয়। কারণ যৌক্তিক তুলনা প্রতি-তুলনার মাধ্যমেই প্রকৃত পরিস্থিতি চিহ্নিত হয়। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার সাথে যুক্তরাজ্যের বা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনা করে আমরা করণীয় নির্ধারণ করতে পারি, তবে আামাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা যে তাদের মত নয়, তা যে কেউ বোঝেন। কিন্তু তুলনাটি যখন পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা বা ভারতের সাথে হয় তখন গুরুত্ব পায়, আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক সববিবেচনায়। সেটি তখন যুক্তি হিসেবে গণ্য হতে বাধা কোথায়? জ্ঞান-বিজ্ঞানে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো যেসব কারণে সভ্যতাকে নিয়ন্ত্রণ করছে তার অন্যতম হল শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান। এটি কোন গালগল্প নয়, ইতিহাসের সাক্ষ্য। এর জন্য তথ্য প্রমাণ উপস্থাপনের প্রয়োজন নেই। সুতরাং শিক্ষার প্রধান অংশ শিক্ষক এক্ষেত্রে গুরুত্ব পাবেন সেটাই স্বাভাবিক, কীভাবে পাবেন শুধু সেটাই বিশ্লেষণের বিষয় হতে পারে।

খ। শিক্ষকদেরকে কেন উচ্চতর বেতন স্কেল দিতে হবে সে বিষয় আলোকপাত করার প্রয়োজনীয়তা কেউ কেউ বোধ করেছেন। এজন্য শিক্ষকতা পেশার কয়েকটি মৌলিক বিষয়, তথা মূলগত বৈশিষ্ট্য স্মরণ রাখতে হবে :

এক।
আলোচ্য বিষয়ে শিক্ষকতা পেশার ব্যাপ্তি চিহ্নিত করতে হবে প্রথমে। নিয়মিত ও আনুষ্ঠানিক শিক্ষাকেই এক্ষেত্রে বিবেচনায় আনা হয়েছে, সাধারণভাবে আমরা যাকে প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চশিক্ষা স্তর পর্যন্ত বিবেচনা করে থাকি। এছাড়া অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি শিক্ষকতা পেশার সাথে সম্পর্কিত হলেও এসব শিক্ষার সাথে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক মৌলিক শিক্ষার কোন সম্পর্ক নেই। এই শিক্ষকগণ রাষ্ট্র ও জাতির নেতৃত্ব দানের জন্য প্রজন্ম গঠনের দায়িত্ব নিয়ে থাকেন।

দুই।
শিক্ষক আর সরকারি (অথবা বেসরকারি) কর্মকর্তা বা কর্মচারীর চাকুরি একইরকম কি না। প্রশ্নটি সরাসরি করা যায়- শিক্ষকতা কি কোন চাকুরি ?? উত্তরে বলতে পারি, প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের সমাজে পিতা-মাতার পরই শিক্ষকের স্থান নিধারিত। সেটা মানবসমাজের প্রথায় পরিণত হয়েছে, ধর্মের বিধিবিধানেও তা গ্রহণ করা হয়েছে দেখতে পাই। ইউরোপে সক্রেতিস, ডায়ানসিস অথবা বঙ্গে সেই গৌতম বুদ্ধের কাল থেকেই, যখন থেকে গাছতলায় বসে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার ধারা শুরু, শিক্ষকের কাজকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখা হত। প্রথম দিকে শিক্ষকের জীবন-জীবিকার দায়িত্ব নিতো সমাজ, পরে তা রাজপৃষ্ঠপোষকতায় রূপ পায়। বলা বাহুল্য শিক্ষার বিষয় তখন মূলত ধর্মীয়; বড়জোর নীতি বা ভাষা হয়তো থাকতো। সংখ্যা এবং চিকিৎসাও যুক্ত হয় কিছুকাল পরে। শিক্ষক তখন পাঠদান করতেন ঈশ্বরের সন্তুষ্টির জন্য । সেই অবস্থার বদল হয়েছে সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিবর্তনের সাথে সাথে। শিক্ষককে বেতন নিতে হয় এখন, তবে কাজটি সমাজের চোখে এখনও চাকুরির চেয়ে বেশি কিছু ।

তিন।
শিক্ষকতা পেশার মৌলচেতনা কেবল ক্ষুন্ণিবৃত্তি নয়। এর সাথে নিঃস্বার্থ সেবার একটি সুপ্রাচীন পরম্পরা জড়িয়ে আছে। শিক্ষাদান বা জ্ঞানদান পদ্ধতির মধ্যেই নিঃস্বার্থপরতার চেতনা সংগুপ্ত থাকে। জ্ঞান যদি এভাবে পাত্র থেকে পাত্রে নিঃস্বার্থভাবে বিতরিত না হতো তাহলে সভ্যতার এই উৎকর্ষ মানুষ দেখতো না। শিষ্যকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্নের মধ্যে, সফল- শ্রেষ্ঠ-উজ্জ্বল মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত দেখার মধ্যে, গুরুর তথা শিক্ষকের যে আনন্দ সেখানেই মানবজাতির সভ্যতার মৌলপ্রেরণা নিহিত। আজকের পৃথিবীতে মূল্যচেতনার ব্যাপক পরিবর্তনের পরও সেই গূঢ় চেতনাটি অক্ষত আছে বলেই এখনও, শিক্ষিত বা অশিক্ষিত সকল পরিবারের মধ্যেই, শিক্ষককে ভক্তি ও সম্মান দেওয়ার শিক্ষাটি শিশুর জন্য একেবারে শুরুর দিকের চর্চা। এই পরম্পরাই সমাজে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে নতুন শিক্ষক গড়ে তোলার প্রেরণা জাগিয়ে রাখে। যদি এই পরম্পরা রক্ষিত না হয়, পুরো জাতির জন্য সেটি এক মহাবিপদ সংকেত হিসেবে গণ্য হতে বাধ্য।

চার।
জাতি ও রাষ্ট্র তাঁর প্রজন্ম বা নাগরিককে আধুনিক বিশ্বের ‍উপযোগী করে গড়ে তুলতে চায় সবসময় । এজন্য উন্নত ও প্রাতিযোগিতামূলক শিক্ষার বিকল্প নেই। সেটা একমাত্র শিক্ষা ব্যবস্থার যুগোপযোগী উন্নয়নের মাধ্যমে সম্ভব। একাজে শিক্ষক প্রধান উপাদান। বলা বাহুল্য, উপযুক্ত নাগরিক বলতে রাষ্ট্রের অনুগত সব শ্রেণি-পেশার যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষকেই বোঝায়।

গ। বাংলাদেশের শিক্ষকেরা অন্য পেশাজীবীর তুলনায় কি এমন বেশি কিছু করছেন অথবা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এমন জিজ্ঞাসাও কোথাও কোথাও দেখেছি।
এ ধরনের প্রশ্নে উত্তর অনেক দৃষ্টিকোণ থেকে দেয়া যায়। কোন দৃষ্টিকোণে আটকে না থেকে যদি বলি, কে কি বেশি করছে বা কম করছে এভাবে বিবেচনা করে বেতন নির্ধারিত হলে রাস্তায় রোদে দাড়িয়ে থাকা ট্রাফিক পুলিশের বেতন সবচেয়ে বেশি হত। কিংবা ব্যাংকের ভল্ট পাহারা দেয়া নাইটগার্ড বেতন পেত সর্বোচ্চ স্কেলে। এসব কথা নেহাত তর্কের খাতিরে যেহেতু উত্থাপন করা হয়েছে এসবের জবাবের মধ্যে একধরনের যুক্তিখণ্ডনের ব্যাপার প্রাধান্য পায়। কিন্তু কিছু বিতর্ক কখনও দেশ বা দশের জন্য শুভ হয় না তন্মধ্যে শিক্ষকের পেশাকে হেয় করে এমন কূটতর্ক প্রধান। শিক্ষকতাকে নষ্ট হতে দিলে সবার অলক্ষ্যে একের পর এক প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। একটা উদাহরণ দেয়া যাক--মূল বইয়ের ফটোকপি যতটুকু মান রক্ষা করে, ফটোকপির ফটোকপি তা-ও পারে না। এরপর যত ফটোকপি হবে মূল থেকে তার গুণাগুণ আরও দূরে সরে যাবে। একসময় ফটোকপিটা কোন্ বইয়ের সেই পরিচয়ই উদ্ধার করা যাবে না। শিক্ষকের মেরুদণ্ড বাঁকা থাকলে ছাত্রছাত্রীদের মেরুদণ্ড ঋজু হবে এমনটা অসম্ভব।

ঘ। সচিবদের সাথে তুলনা করে শিক্ষকদের বেতনস্কেল দাবি করার যৌক্তিকতা নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এবং আরো অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। বলা বাহুল্য তারা সবাই সেই তুলনার ক্ষেত্রে শিক্ষককে ‘অতুলনীয়’ রাখতে চান এমনটা নয়। বরং প্রশ্নটি এমনভাবে করা হয় যেন কোথায় সচিব কোথায় শিক্ষক!! চাকুরির হিসেবে কোন তুলনাই চলে না !! অধ্যাপক আনিসুজ্জামান জাতীয় অধ্যাপক, তিনি চাকুরি বা পেশার সুযোগসুবিধা গ্রহণ করেন না। তবু তাঁর সম্মান নিয়ে টানাটানিকে যখন ‘ভুল’ হিসেবে চিহ্নিত করে ‘ঠিক করা হবে’ মর্মে ফুটনোটে ফেলে দেয়া হয় তখন শিক্ষকদের আরেক দফা বস্ত্রহরণ সম্পন্ন হয় এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রিয় শিক্ষকও বোঝেন কিনা জানি না, আমরা যারা তাঁকে পাহাড়সম উচ্চতায় দেখি তারা লজ্জায় পড়ি। তাছাড়া বেতনের গ্রেডকে যখন চাকুরির পদমর্যাদার প্রতিফলক হিসেবে ঘোষণাই করা হয় তখন খামোখা এই সম্মান-সম্মান খেলা খেলবার দরকার কী ?

শেষমেশ বলতে চাই, এসব স্বগতোক্তি ফলদায়ক নয় জানি। এখন মানে-মানে আত্মসম্মান নিয়ে চাকুরিজীবন শেষ করতে পারলেই বাঁচি। তবু পরবর্তী প্রজন্ম যারা শিক্ষকতায় এসে পড়েছে, বা নিরূপায় হয়ে আসবে, তাদের কাছে অপরাধী হয়ে থাকতে চাই না বলেই এই আত্মকথন। কারো কাছে প্রতিকার চাই না, সমাধান চাই না, দয়া চাই না, দাবি নাই তবে আশা আছে-- একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে, কেউ না কেউ তা করবে। সেটা না থাকলে চলে না।


মন্তব্য

ইফতেখার এর ছবি

আসলে শিক্ষা ব্যাপারটাকে রাষ্ট্রে যথাযথ গুরুত্ব দেয়া হয় না। আমাদের দেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ধারণা আছে সে চাকুরী পাওয়া ছাড়া জীবনমান উন্নয়নে শিক্ষা তেমন কোন কাজে লাগে না। জ্ঞান, গবেষণা থেকে মানুষের জীবনমান উন্নয়নের বিষয়টা আমাদের দেশে যথেষ্ট প্রচারিত না। কাজেই শিক্ষকরা আমাদের ইতিহাসে বঞ্চিত সম্প্রদায়। 'প্রশাসক' কর্তৃক শিক্ষকের 'অসম্মান' শিক্ষার ব্যর্থতার একটা উদাহরণ। এজন্য একক কোন গোষ্ঠি না, অনেকেই দায়ী।

অনেক দেশেই শিক্ষকদের বেতন বেশি। আমাদের দেশেও শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো উচিত। তবে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আমার প্রশ্ন এই বর্ধিত টাকা আমরা কেন খরচ করব? একালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনেকটা জবাবদিহির উর্ধে চলে গেছেন। আজ সবসময় বেতন বৃদ্ধির দাবী যত জোরে শোনা যাচ্ছে, তাদের কমিটমেন্ট কি হবে সেটা তত জোরে শোনা যায় না। আমি সাধারণ মানুষ, সহজ চাওয়া। তারা কি ৫ বছরের কোর্স ৫ বছরের মধ্যে শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিতে পারবেন? তাদের পেশাগত মুল্যায়নে কি ছাত্রদের মতামত নেয়া হবে? আসলে ব্যক্তিস্বার্থ, গোষ্ঠিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য প্রতিষ্ঠানের/ প্রতিষ্ঠানের ভোক্তাদের স্বার্থ কম্প্রোমাইজ করলে সেই প্রতিষ্ঠানের অংশ হিসেবে সম্মান পাওয়া খুবই কঠিন। যেহেতু এই ব্যবস্থার প্রধান উপাদান শিক্ষক, কাজেই কোনো সংস্কারে তাদেরই সর্বাগ্রে উদ্যোগী হতে হবে। এটা করতে পারলে অর্থ, সম্মান, সমাজের সাসটেইনিবিলিটি সব কিছুই ফিরে আসার কথা।

মাহবুবুল হক এর ছবি

আমাদের দেশেও শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো উচিত। তবে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আমার প্রশ্ন এই বর্ধিত টাকা আমরা কেন খরচ করব? একালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনেকটা জবাবদিহির উর্ধে চলে গেছেন।

শিক্ষায় অর্থ বিনিয়োগ করার ফলভোগ সম্পর্কে উন্নত দেশগুলো থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। তাহলে কেন বেশি টাকা খরচ করবো তার উত্তর পাওয়া যাবে ? অবশ্য আপনার প্রশ্ন যদি এমন হয় বেশি বেতনের বিনিময়ে শিক্ষক বেশি কী দেবেন বা দেবেন কিনা ? তাহলে এর সাথে আরও অনেক পারিপার্শ্বিক বিষয় জড়িয়ে যায়। কারণ বেশি দেয়াটা শিক্ষকের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। আপনার পরবর্তী প্রশ্নগুলোর সাথে আমি একমত। শুধু এটুকু বলবো, জবাবদিহিতার সংস্কৃতি সম্ভবত সবচেয়ে বেশি শিক্ষাতেই আছে। শিক্ষককে জবাবদিহি করতে হয় শিক্ষার্থীর কাছে, নিজের বিবেকের কাছে।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

হাসিব এর ছবি

শুধু এটুকু বলবো, জবাবদিহিতার সংস্কৃতি সম্ভবত সবচেয়ে বেশি শিক্ষাতেই আছে। শিক্ষককে জবাবদিহি করতে হয় শিক্ষার্থীর কাছে, নিজের বিবেকের কাছে।

আমি কখনো শিক্ষকদের জবাবদিহিতা করতে দেখিনি। আপনি কোথায় তাদের জবাবদিহিতা করতে দেখলেন? তারা রাতদিন সবাইকে ট্রান্সপারেন্ট ইত‍্যাদি হতে বললেও নিজেরা কখনো সেরকমটা করে দেখাতে পারেননি।

মাহবুবুল হক এর ছবি

আপনি যদি পশ্চিমা কায়দার জবাবদিহিতা খোঁজেন তাহলে আগে সেই পরিবেশ এবং উপাদান নিশ্চিত করুন৷ আর যদি শিক্ষকের নৈতিকতার মধ্যে জবাবদিহিতার স্ংস্কৃতি আশা করেন তাহলে চারপাশের এই পচনের যুগেও অনেক নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক পাবেন৷ কিভাবে দেখছেন তার ওপর নির্ভর করে৷ শিক্ষকের জবাবদিহিতা যদি কাগজ আর কর্তৃপক্ষ ভিত্তিক হতো তাহলে আরও অনেক আগেই উচ্চ শিক্ষার বরোটা বেজে যেত ৷ তবে সব সমন্বয়ে ভাল একটা সংস্কৃতি গড়ে তোলা যায়, যেখানে শিক্ষার্থীরা আরও উপকৃত হতে পারে ৷

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

হাসিব এর ছবি

পাশ্চাত‍্য কায়দার জবাবদিহিতা কী বস্তু? আর প্রাচ‍্যের জবাবদিহিতা সেটা থেকে কোন দিকে ভিন্ন? আর চারপাশে অনেক শিক্ষকেরা কোথায় প্রাণটা নিবেদন করেন? আমি ঢাবিতে যে বিভাগে পড়তাম সেখানে বিশ্বমানের গবেষণা করতে পারে এরকম শিক্ষকের সংখ‍্যা আর ক্লাসে এসে চেয়ারে বসে চোথা বের করে রিডিং পড়া শিক্ষকের সংখ‍্যা থেকে কয়েক গুনে কম। এই অবস্থা অন‍্য ডিপার্টমেন্টগুলোরও। পাশ্চাত‍্য বা প্রাচ‍্য কোন মুলুকের জবাবদিহিতা এইসব বন্ধে বিরাজ করে?

ঘুণপোকা  এর ছবি

আপনার পয়েন্ট গুলোতে আসি, আপনি তুলনা করতে বলেন বাংলাদেশের শিক্ষকদের সাথে ভারত পাকিস্তান কিংবা শ্রীলঙ্কা এর শিক্ষকদের সাথে। ঠিক আছে করলাম। তারা বেশ ভালো একটা বেতন পান । কিন্তু সেই সাথে ভারতের একটা মফস্বল সহরের অধ্যাপক যে পরিমান পড়ানোর পাশাপাশি গবেষণাতে শ্রম দেন, সেখানে আমাদের খোদ প্রাচ্যের অক্সফোর্ড এর শিক্ষকদের গবেষণা আতসকাচের নিচে রেখে খুঁজতে হবে। দেশি কিছু জ্রানালে কিছু মানহীন পেপার ছাপিয়ে একের পর এক পদোন্নতি বাগিয়ে নিচ্ছেন। আর অন্য দিকে, আমাদের পাশের দেশের ভারসিটির শিক্ষকগণ নিজেদের দেশের সরকারের উপর তাকিয় না থেকে বিদেশের সাথে কলাবরাশেন গবেষণা করে একদিকে যেমন নিজের ল্যাব আর বেশি ছাত্র দেরকে গবেষণা ফান্ড দিতে পারছেন। আরেক দিকে নিজের ভার্সিটি এর উনয়নে অবদান রাখছেন। আপনি বলতে পারবেন, আমাদের কত জন শিক্ষক এ ধরনের গবেষণামুখী কাজ করেন?

আমার নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বলি, আমি যখন কন কললাবরশেন প্রকল্প লেখার জন্য দেশী কোন ভার্সিটিয়ের শিক্ষককে যুক্ত হতে বলি, সেখানে তারা শুধু তাদের সিভি খানা পাঠিয়েই খালাস। কোন লেখার ব্যাপারে কোন আগ্রহই চোখে পড়েনা।

আর শিক্ষকদের সন্মান কিন্তু তারা নিজেরাই ডুবিয়েছেন। একদিকে যমন দলীয় লেজুড়বৃত্তি, এর সাথে সাথে তোষামদের শিক্ষার্থীকে পরবর্তী শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ, তারপর সেই মানহীন শিক্ষক কে একটা ভার্সিটির ২৫ বছর ধরে টেনে নিয়ে যেতে হয়, এই টেনে নিয়ে যাওয়াটা কিন্তু দায় পরে এই সাধারণ মানুষের ঘামে ভেজা ট্যাক্সের টাকায়। যেহেতু শিক্ষকরা তাদের নিজেদের অবস্থান দুর্বল করেছেন বিভিন্ন দলের কাছে বিক্রি করে। কাজের তাদের বিভিন্ন দাবী দাওয়া এখন অনেক খানি ম্লান হয়ে গেছে।

সরকার আর রাষ্ট্রের প্রতি আর অভিযোগ কত? নিজের দিকেই তো একটু চোখ ফেরায়। দেখি আমি কি আমার কাজটা ঠিক মত করছি। আমি যদি বিদেশি শিক্ষকদের সাথে বাংলাদেশের তুলনা দেখায়, তাহলে কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষক রা অনেক সুখেই আছেন। স্থায়ী সরকারি চাকুরী, বাসস্থান, ছেলে মেয়ে দের কোটায় ভার্সিটিতে ভর্তি, আরদালি আর পাইক পেয়াদা, সেই গুলো বিদেশে শিক্ষকদের কাছে আলিস ইন দ্যা ওয়ান্ডারল্যান্ড

মাহবুবুল হক এর ছবি

আপনি তুলনা করতে বলেন বাংলাদেশের শিক্ষকদের সাথে ভারত পাকিস্তান কিংবা শ্রীলঙ্কা এর শিক্ষকদের সাথে।

না, আমি তুলনা করতে বলিনি, যারা বলে যে ‘কেন তুলনা করবো?’ তাদের কথা লিখেছি। আমি শুধু বলতে চেয়েছি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এসব দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সাথে তুলনা করার চেয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে তুলনা অনেক যৌক্তিক।

ভারতের একটা মফস্বল সহরের অধ্যাপক যে পরিমান পড়ানোর পাশাপাশি গবেষণাতে শ্রম দেন, সেখানে আমাদের খোদ প্রাচ্যের অক্সফোর্ড এর শিক্ষকদের গবেষণা আতসকাচের নিচে রেখে খুঁজতে হবে।

ভারতের একজন পিএইচডি গবেষক সরকার থেকে ফেলোশিপের জন্য পান ১২ হাজার রুপি যা বাংলাদেশের প্রায় তিনগুণ। আরও উচ্চতর গবেষণার কথা বাদ দিলাম।

শিক্ষকরা তাদের নিজেদের অবস্থান দুর্বল করেছেন বিভিন্ন দলের কাছে বিক্রি করে।
বাংলাদেশে কোন পেশাজীবী দলীয় লেজুড়বৃত্তিতে নেই। শিক্ষকের জন্য রাজনৈতিক মতপ্রকাশ ও দলীয় আনুগত্য বা বিরোধিতার স্বার্থে সবকিছু স্বাধীনভাবে চিন্তা করার সুযোগ থাকা উচিত বলেই তা রাখা আছে ’৭৩ এর অধ্যাদেশে। কিন্তু যাদের জন্য রাজনৈতিক দলের আনুগত্য কঠোরভাবে নিষিদ্ধ সেই সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে সেটা বিশ্রীভাবে প্রকাশিত। অন্তত ৩০০ উপ-যুগ্ম-অতিরিক্ত সচিব মানের কর্মকর্তা ওএসডি হয়ে আছেন কেবল রাজনৈতিক বিবেচনায়। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার কারো বিরুদ্ধে কি এই অভিযোগ নেই ?

আপনি বলতে পারবেন, আমাদের কত জন শিক্ষক এ ধরনের গবেষণামুখী কাজ করেন?

না, তা হয়তো পারবো না। তবে বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড, সাইফের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৫ কোটি রুপি বরাদ্দের খবর কয়েকদিন আগের পত্রিকায় দেখলাম। তিনি বায়োবোট নিয়ে গবেষণা করছেন। আমাদের দেশে কতগুলি মানহীন আর কতগুলো মানসম্পন্ন আর্টিকেল প্রতিবছর ছাপা হচ্ছে পদোন্নতির জন্য তার কোন হিসেব বা তথ্য জানা নেই। তবে কিছুই মানসম্পন্ন হচ্ছে না এটা বোধ করি জোর দিয়ে বলা যায় না।

আর শিক্ষক আরদালি আর পাইক পেয়াদা নিয়ে চলে এটা কল্পনাতেও সম্ভব নয়। এটা আপনি আমলা, পুলিশ বা এই শ্রেণির চাকুরিতে খুঁজে পাবেন। কারণ ওসব চাকুরির পদমর্যাদা পিওন, দারোয়ানের সংখ্যা দিয়ে গণ্য হয়। আর নিজের সন্তান পোষ্যকে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর কোটার সুযোগ কী খুব বেশি সুবিধা ভোগ করা হয়ে যায় ?? তাও আবার ক্ষেত্রবিশেষে তা সম্ভবপর হয়।
শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর কথা আসতেই অনেক ঔচিত্যের প্রশ্ন যারা উত্থাপন করেন তারা কি ঘুষ বা উপরির জন্য পরিচিত যেসব বিভাগ সেখানে বেতন বাড়ানোর সমালোচনা করেন? নাকি সেজন্য অন্য কোন শর্ত আরোপ করেন জানতে ইচ্ছে হয়।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

হাসিব এর ছবি

টাকাপয়সা ছাড়াই এন্তার পরিমানে গবেষণা সম্ভব। কেউ যদি দাবি করে তার ফিল্ডে গবেষণার জন‍্য ল‍্যাব দরকার। সেই ল‍্যাবে যন্ত্রপাতি কিনতে টাকা দরকার তাহলে আমি কোন প্রতিবাদ ছাড়া মেনে নেব যে টাকাপয়সার কারণে তার গবেষণা হচ্ছে না। তবে সবগুলো বিভাগ হাতে নিলে দেখা যাবে অধিকাংশ বিভাগেই টাকাপয়সা ছাড়াই গবেষণা সম্ভব। সব ধরণের গবেষণা হয়তো হবে না, তবে উল্লেখযোগ‍্য পরিমানেই গবেষণা করা সম্ভব। এখন এই ন‍্যুনতম গবেষণাটাই যখন শিক্ষকেরা করেন না তখন বেতন বাড়লে গবেষণা বাড়িবে এরকম দাবিতে আশা রাখা সমস‍্যা হয়ে দাঁড়ায়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হাসিবের সাথে এ ব্যাপারে আমি একমত। ছোট্ট একটা উদাহরণই যথেষ্ট হবে -- আমার কোলাবরেটর শঙ্কু দে। শিলং সেইন্ট এন্থনি'স কলেজের এসোসিয়েট প্রফেসর। থিওরেটিক্যাল স্ট্যাট, ডিস্ট্রিবিউশন থিউরি নিয়ে কাজ করে। তার অনেক পাবলিকেশন। অধিকাংশই স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত।

তার সাথে আমার ফেইসবুক চ্যাটের মত ইমেইল আদানপ্রদান হয়। এই ভদ্রলোকের এখন ছুটি চলতেছে। তার পরেও সে নাকি ১০-১২ ঘন্টা করে কাজ করতেছেন। আমি ইমেইলের উত্তর দিতে দেরী করলে সাথে সাথে মেইল চলে আসে।

যে জন্য এই উদাহরণ আমি দিচ্ছি সেটা হলো এনার ইন্টারনেটের অবস্থা এতটাই করুণ যে আমি ড্রপবক্স থেকে ফাইল শেয়ার করে লিংক দিলে উনি সেটা প্রায়ই ডাউনলোড করতে পারে ন না। নানা ভাবে কশরত করে ওনার নেট এর সুবিধা নিতে হয়।

এক সময় আমরা বলতাম ইন্টারনেট নাই, গবেষণা কেমনে হবে? আমি তখন শঙ্কু দে'র কথা চিন্তা করি আর ভাবি ইচ্ছা থাকলে কোন বাধাই বাধা নয়। বাংলাদেশের ইন্টারনেট নাকি এখন আমেরিকার থেকে ভালো। তার পরেও আমাদের প্রফেসরদের সমস্যা কোথায় তা আমি বুঝি না।

উল্লেখ্য যে, আমার ইনস্টিটিউটের তরুণ এবং পুরাতন শিক্ষকরা সবাই বেশ ভালো ভালো পাবলিকেশন করে যাচ্ছেন, নিয়মিত। আমাদের ওখানে আমরা সেই পরিবেশ গড়ে তুলতে পেরেছি। এটুকু গর্ব করেই বলছি হাসি

মাহবুবুল হক এর ছবি

টাকা পয়সা ছাড়া মানহীন এন্তার গবেষণা হতে পারে ৷ তাতে অপচয় বাড়বে৷ আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ও গবেষণায় আলাদা নিয়োগ হয় না, ফলে কেবল গবেষণায় মনোনিবেশ করার মত শিক্ষক সবাই হবে এমন আশা করা যায় না ৷ শঙ্কুর মত গবেষক এদেশে বহু আছে ৷ যার গবেষণা করার কথা সে পুলিশ বা আমলা হতে দৌড়াচ্ছে সেটা কেন ? উচ্চ নৈতিকতার প্রমাণ দিতে নয় নিশ্চয়ই ৷

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

হাসিব এর ছবি

টাকা পয়সা ছাড়া মানসম্মত এন্তার গবেষণাও হতে পারে। ওতে অপচয় বাড়ে না। শিক্ষা কার্যক্রম আর গবেষণা কার্যক্রমে আলাদা নিয়োগ হতে হবে কেন? পৃথিবীর বহু দেশে নিয়োগপত্রে টিচিং লোড আর গবেষণার লোড আলাদা করে লেখা করে। সেসব দেশে শিক্ষকেরা গবেষণাও করেন, ক্লাসেও পড়ান। যার গবেষণা করার কথা সে পুলিশ বা আমলা হতে দৌঁড়াচ্ছে কারণ হলো শিক্ষকতা এখন নৈতিক বা অন‍্য কোন উপায়ে মহত পেশা এটা বজায় রাখতে শিক্ষক সমাজ ব‍্যর্থ হয়েছেন।

মাহবুবুল হক এর ছবি

‘‘শিক্ষকতায় নৈতিকতা নাই বলে সবাই পুলিশ হতে দৌড়াচ্ছে !!!!!’’-- হো হো হো এটা ভাল রসিকতা হতে পারে।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

হাসিব এর ছবি

যেটা বলার চেষ্টা করেছি সেটা হলো শিক্ষকতা আলাদা কিছু এটা প্রমান করার জন‍্য শিক্ষকদের হাতে কিছু নেই। হাতে যেহেতু কিছু নেই সেহেতু এই পেশা তুলনামূলকভাবে আকর্ষণীয় নয়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

শঙ্কুর মত গবেষক এদেশে বহু আছে ৷

আপনি কোন ফিল্ডের জানি না, কিন্তু শঙ্কুর মতো পজিশনে থেকে যেরকম কাজ করেছেন সেরকম একজনও (আমার জানা মতে) বাংলাদেশে নাই। আপনার জানা থাকলে দেখান, আমি দেখতে চাই। দেশে বসে নিয়মিত ভালো কাজ করতেন রাজশাহী ইউনিভার্সিটির একজন। তিনিও এখন দেশ ছেড়েছেন।

সব ফিল্ডের কাজ নেচারে পাবলিশ হয়না। মানদন্ড সব ফিল্ডের এক নয়। তার কাজ মানহীনও নয়। যারা এই লাইনে কাজ করেন তারা বুঝবেন, আপনি হয়তো বুঝবেন না।

মাহবুবুল হক এর ছবি

শঙ্কুর মতো পজিশনে থেকে যেরকম কাজ করেছেন সেরকম একজনও (আমার জানা মতে) বাংলাদেশে নাই।
জনাব শঙ্কু প্রতিবন্ধকতার মধ্যে যেভাবে কাজ করছেন, সেটাই আপনার উদাহরণের ভিত্তি। ৮/১০ বছর আগের কথা। বাংলাদেশের কোন এক সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করতেন আমার এক সিনিয়র, তখনকার সহযোগী অধ্যাপক, প্লাজমা ফিজিক্সের ওপর ফেলোশিপ নিয়ে জোহন্সবার্গে পোস্ট ডক্টরাল করার সুযোগ পেয়েছেন। বহু চেষ্টা তদ্বির করেও তিনি শিক্ষা ছুটি পাচ্ছিলেন না মন্ত্রণালয় থেকে। তাকে বলা হয়েছিল, এটা নাকি তার ধান্দা। শেষ পর্যন্ত তিনি বিনা বেতনে ছুটি নিয়ে পোস্ট ডক। করতে চলে যান। তিনি যখন ফিরে আসেন তখন তাকে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়ে এমন এক কলেজে যেখানে বিজ্ঞানের ছাত্র মাত্র ৫ জন। এই উদাহরণ এতই স্বাভাবিক যে, এরকম ভুরি ভুরি আছে। প্রতিবন্ধকতা জয় মানে শুধু ইন্টারনেট নয়- আরও অনেক কিছু। আমি নিজে পিএইচডি ভর্তি হতে গিয়ে একবছর মন্ত্রণালয়ে ঘুরতে ঘুরতে যে লাঞ্ছনা-গঞ্জনা পেয়েছি-শুনেছি-দেখেছি তা বর্ণনা করলেও মহাকাব্য হবে।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

ঘুণপোকা  এর ছবি

ভারতের একজন পিএইচডি গবেষক সরকার থেকে ফেলোশিপের জন্য পান ১২ হাজার রুপি যা বাংলাদেশের প্রায় তিনগুণ। আরও উচ্চতর গবেষণার কথা বাদ দিলাম।

আমার নিচে প্রকৃতিপ্রেমিক তার কোলাবরাটের এর উদাহরণ দিয়ে দিয়েছেন। আপনার জানা মতে বাংলাদেশের কত জন শিক্ষক এরকম কষ্ট করে গবেষণা করেন। কোন কিছু প্রাপ্তি এর আগে তো ভাই শ্রম দিতে হবে। গাছে না উঠে যদি আমি গাছের মগডালের ফলটা আমার চাই, তাহলে কিভাবে হবে?

তবে বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড, সাইফের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৫ কোটি রুপি বরাদ্দের খবর কয়েকদিন আগের পত্রিকায় দেখলাম। তিনি বায়োবোট নিয়ে গবেষণা করছেন।

৫ কোটি ডলার হবে হয়ত, আর আপনি কি জানেন, ওই লেভেল পর্যন্ত উঠতে ড সাইফের কতদিনের শ্রম আর অধ্যবসায় ঢালতে হয়েছ। বিদেশে যে কোন গবেষণা ফান্ড আনার জন্য যে পরিমাণ প্রতিযোগিতা করতে হয় সেটা এখানে লিখলে আরেক মহাকাব্য হয়ে যাবে।

আর শিক্ষক আরদালি আর পাইক পেয়াদা নিয়ে চলে এটা কল্পনাতেও সম্ভব নয়। এটা আপনি আমলা, পুলিশ বা এই শ্রেণির চাকুরিতে খুঁজে পাবেন।

কে বলেছে মশাই চোখ টিপি , আমার নিজের দেখা দেশের বেশির ভাগ পাব্লিক ইউনি এর বিভাগে সিনিয়র অধ্যাপক দের ২-১ জন করে তল্পিবাহক থাকেন। এদের কাজ থাকে স্যারের ফুট ফরমায়েশ খাটা। আর স্যারের রোল কলের খাতাটা ক্লাস রুমে দিয়ে আসা। আমি যে দেশে কাজ করি, গল্পচ্ছলে এক দিন এই ঘটনা বলায়, আমার বিভাগের এক অধ্যাপক হেসে বলেন, আমি ভুল দেশে জন্ম নিয়েছি গড়াগড়ি দিয়া হাসি । আর ভিসি এর সাথে যে পাইক পেয়াদা থাকে, সেটা নিশ্চয় আপনি স্বীকার করবেন?

হাসিব এর ছবি

আমাদের ১ম সেমেস্টারে এক স‍্যার ছিলেন। ক্লাস রিপ্রেজেনটেটিভ তাকে সকালে বাসায় গিয়ে ঘুম থেকে উঠিয়ে নাস্তা করিয়ে রিক্সায় চেপে নির্ধারিত সময়ের ৪০-৪৫ মিনিট পরে ক্লাসে আসতেন। এরকম গল্প বহু বলা যায়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আরদালি আর পেয়াদা থাকে কিনা, সেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে দেখলেই বোঝা যায়। অবশ্য কোন সাধারণ শিক্ষকের সাথে এরকম পেয়াদা বাহিনীর কথা শুনেছি কেবল আর্টস ফ্যাকাল্টিতে। বিজ্ঞান অনুষদে কাউকে দেখিনি।

ঘুণপোকা  এর ছবি

@ প্রকৃতি প্রেমিক ভাইয়া, সাধারণ শিক্ষকদের অবশ্য পেয়াদা থাকে না। তবে প্রতিটি বিভাগে এক দল জুনিয়র শিক্ষকদের সেবা যত্ন করার জন্য কয়েকজন পিয়ন থাকে। তারা বেল টিপে চা নাস্তা এর ফরমায়েশ করেন। কখন তাদের নিজেদের ফোনের বিল কিংবা বিদ্যুৎ বিলটা ব্যাঙ্কে দিয়ে আস্তে বলেন। এই আর কি। আর সিনিয়র অধ্যাপক হতে পারলে নিজের একান্ত একজন পিয়ন জুটে যেতে পারে। সাথে নিজের একটা বড় দেখে অফিস রুম, কদাচিৎ এসিও থাকতে পারে বৈকি

মাহবুবুল হক এর ছবি

@ ঘুণপোকা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে কয়েকজন পিয়ন থাকে, বা সিনিয়র অধ্যাপকদের একজন করে পিয়ন থাকে এমন মনগড়া তথ্য আপনি কোথায় পেলেন ?? যদি কেউ ব্যক্তিগতভাবে কাউকে এমন কাজে নিয়োগ দেয় সেটা ভিন্ন কথা। আমার দেশবরেণ্য শিক্ষকদেরকেও তো কখনো ব্যক্তিগত পিয়ন সাথে রাখতে দেখিনি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ তো দূরের কথা।

সাধারণ শিক্ষকের সাথে এরকম পেয়াদা বাহিনীর কথা শুনেছি কেবল আর্টস ফ্যাকাল্টিতে।
শুনে শুনেই আপনি শিক্ষক সম্পর্কে এমন অপবাদ চাউর করে দিলেন, বেশ মজা তো !! আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফ্যাকাল্টির ছাত্র ১৯৮৮-১৯৯৫ পর্যন্ত। জেনেই বলেছি।

আরেটকা কথা লিখলে হয়তো প্রতিক্রিয়াশীল মন্তব্য মনে হতে পারে, তবু লিখি। আমাদের সমাজে এমন একটা মনমানসিকতা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে যে ‘শিক্ষকের আবার টাকাপয়সা লাগে নাকি, তার তো পাঞ্জাবি আর ছাতা হলেই চলে; তার আবার গাড়ি-টারি চড়া কেন, সাইকেল হলেই তো বেশ মানায়’। আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক শেখ সবদার আলীর নিজের গড়া প্রতিষ্ঠান মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তাকে এই অপবাদ দিয়ে বের করে দেয়া হয়েছিল যে, তিনি স্কুলের মাইক্রোবাস নিজের কাজে ব্যবহার করতেন। অথচ আজকের দেশসেরা প্রতিষ্ঠানটি তাঁর শ্রম-ঘামের ফল। তাঁর মত শিক্ষকের জন্য একটা কেন কয়েকটা গাড়ির সুবিধা দিলেই কী বেশি হয় ? বিষয়টি দূর-প্রাসঙ্গিক হলেও আবেগীয় সম্পর্ক আছে।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

মাহবুবুল হক এর ছবি

৥ ঘূণপোকা/ হাসিব সম্ভবত দেশে আপনি খুবই নেতিবাচক পরিবেশের মধ্য দিয়ে গেছেন বা সেরকমই ভাবতে ভালবাসেন। আমি আমার বিভাগেও এমন শিক্ষক পেয়েছি যেমন উদাহরণ আপনি দিলেন। কিন্তু তাই বলে কি আমার সেইসব মহান শিক্ষককে আমি একই কাতারে ফেলব নাকি যারা ত্রিশ পৃষ্ঠার এ্যাসাইনমেন্ট খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ে নম্বর দিতেন আবার ডেকে নিয়ে পরামর্শও দিয়েছেন। অথবা মুখ ফস্কে বেরিয়ে যাওয়া চটুল কথাকে শুধরে দিয়েছেন বারবার। কিংবা যাদের প্রতিটি টিউটরিয়াল ছিল এক একটা আনন্দ-পাঠ। নিয়মিত ক্লাস নেয়া বা পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে তাদেরকে কখনও বিচ্যুত হতে দেখিনি। আমি জানি না আপনি ঠিক কোন পরিবেশ থেকে স্কুল-কলেজের পাঠ নিয়েছেন, তবে শিক্ষকের আদেশ পালন করা বা তার খাতা-চক-ডাস্টার এনে দেয়া, বহণ করা বা এগিয়ে দেয়ার মধ্যে পাইক-পেয়াদার তুলনাটা শুনে বিস্মিত হলাম; মনে পড়লো বাদশাহ আলমগীরের সন্তানের মৌলভীকে পা ধুইয়ে দেয়ার গল্পের কথা। আর বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন তার ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে শিক্ষককে যে চিঠিটা দিয়েছিলেন সেটাও খুব বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে।
ভিসি প্রশাসনিক পদ, তার পাইক-পেয়াদা থাকতেই পারে ( বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে) সেটার সাথে শিক্ষকের কোন সম্পর্ক নেই।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

ঘুণপোকা  এর ছবি

আমি জানি না আপনি ঠিক কোন পরিবেশ থেকে স্কুল-কলেজের পাঠ নিয়েছেন, তবে শিক্ষকের আদেশ পালন করা বা তার খাতা-চক-ডাস্টার এনে দেয়া, বহণ করা বা এগিয়ে দেয়ার মধ্যে পাইক-পেয়াদার তুলনাটা শুনে বিস্মিত হলাম;

আপনি কি এমন কোন ভার্সিটিতে পড়েছেন, যেখানে বিভাগে কোন পিয়ন নেই। অধ্যাপকরা সবাই নিজের কাজ নিজে করেন, নিজের চা নাস্তা নিজেরা দোকানে যেয়ে খেয়ে আসেন।বিভাগের প্রধানের জন্য তো আলাদা পিয়নই থাকে। আমি কোন ছাত্রের কাজ করাটাকে এখানে বঝাছি না। ক্ষমা করবেন, আপনি যে আগে বুঝতে পারেন নি

ভিসি প্রশাসনিক পদ, তার পাইক-পেয়াদা থাকতেই পারে ( বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে) সেটার সাথে শিক্ষকের কোন সম্পর্ক নেই।

কেন ভিসি সাহবেকে কি নিয়মিত যুদ্ধে যেতে হয়?
আর সচলে নতুন একটা লেখা প্রকাশিত হয়েছে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় নামে। পড়ে দেখুন, আপনার চিন্তা করার উপাদান পাবেন।

মাহবুবুল হক এর ছবি

কূটতর্ক করতে চাই না, আপনি যে অর্থে পাইক পেয়াদা ব্যবহার করেছেন, আমি সেটাই লিখেছি৷ একটা বিভাগে ২ কি ৩ জন পিয়ন থাকতে পারে, সেটা পুরো বিভাগের সব কাজের জন্য ৷ সচলে যে লেখার কথা আপনি বললেন সেখানে আপনার জন্যও ভাবনার বিষয় আছে মনে হয়৷ পুরো তুলনাটা আমেরিকা বাবাংলাদেশ অথচ দুদেশেমর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে়র তুলনা তো দেখলাম না ৷ আমার বৃটিশ শিক্ষক হ্যারিস সাইকেলে আসতেন, তাহলে কি বাংলাদেশের শিক্ষকের গাড়ি চড়াটা বাহাদুরি হয়ে যাবে?? যৌক্তিক তুলনা করুন মেনে নিতে আপত্তি থাকবে না ৷

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

ঘুণপোকা  এর ছবি

বাংলাদেশের পাবলিক ইউনিতে একমাত্র নৈতিক স্থলন বাদে আর কোন কারণে চাকুরী যাওয়ার কোন কারণ নেই, বসে বসে আরাম কর ২৫ বছর বেতন পাওয়া যায়, অফিস রুম পাওয়া যায়, বাসভবন পাওয়া যায়। ছেলেমেয়েদের নিজের ইউনিতে কোটায় ভর্তি করা যায় (বুয়েট বাদে), ভালো ক্ষমতা থাকলে ছেলে মেয়েদের পাস করার পর শিক্ষক হিসাবে ঢোকানো যায়।
এখন বলুন আমেরিকার কোন ইউনিতে এই সুবিধা আছে, আমাকে বলুন, আমি সেখানেই চাকুরী খুঁজব । আর বাজেটের কথা বললেন, নিজের বেতনের টাকা নিজে জোগাড় করতে হয়, বিদেশে। দেশে থাকলে প্রজেক্ট থাকুক আর না থাকুক, দিবি্য দু বেলা খাওয়ার টাকা অন্তত ভার্সিটি দিয়ে দিত, আর পরীক্ষার খাতা দেখে, দু চারটা কন্সালটেন্সি একটা গাড়ি ঠিকই জুটতো।

মাহবুবুল হক এর ছবি

বাংলাদেশের পাবলিক ইউনিতে একমাত্র নৈতিক স্থলন বাদে আর কোন কারণে চাকুরী যাওয়ার কোন কারণ নেই
নৈতিক স্খলন বোধ করি আপনার কাছে যথেষ্ট কারণ নয়। মানুষের কোন্ অপরাধ নৈতিক স্খলনের বাইরে বলতে পারেন ?
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকুরির সুযোগসুবিধা (যদিও আমার কাছে সকল শিক্ষক সমাজ একসঙ্গে বিবেচ্য) সমমানের অন্য কোন কোন্ চাকুরির চেয়ে আপনার কাছে বেশি মনে হল বলবেন কি ? বরং আমি তো মনে করি তা অনেক চাকুরির তুলনায় কম, এমনকি বসে বসে বেতন খাওয়ার মত ন্যাক্কারজনক তুলনার মধ্যেও।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

ঘুণপোকা  এর ছবি

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকুরির সুযোগসুবিধা (যদিও আমার কাছে সকল শিক্ষক সমাজ একসঙ্গে বিবেচ্য) সমমানের অন্য কোন কোন্ চাকুরির চেয়ে আপনার কাছে বেশি মনে হল বলবেন কি ?

জবাবদিহিতা এবং পেশাদারিত্ব ছাড়া বছরের পর বছর বেতন এবং পদোন্নতি পাওয়া যায়।

নাম বলবো না, আজকে দেশের এক পাব্লিক ইউনির এক সকারী অধ্যাপকের সিভি দেখলাম, তার তুলনায় আমার সাথে কাজ করা অনেক গ্রাড স্টুডেন্ট এর সিভি লেখা এবং কন্টেন্ট অনেক মানসম্পন্ন। বলুন তো এই রকম একজন অধ্যাপক তার চাকুরী জীবনে কত লক্ষ ছাত্র ছাত্রীকে কে মানহীন শিক্ষা দিয়ে যাবে ?

মাহবুবুল হক এর ছবি

আমি চাকুরির নাম জানতে চেয়েছি ৷ ওগুলো নিশ্চিত হচ্ছে কোন চাকুরিতে????
আপনার কথায় মনে হচ্ছে উন্নত মানের সিভি রচনা শেখানো বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ!!!! আর সেটা না জানাটা অধ্যাপনার বিরাট দুর্বলতা !! খুব হাস্যকর হয়ে গেল না? ওটা তো একটা টুলস মাত্র!!

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

ঘুণপোকা  এর ছবি

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে কয়েকজন পিয়ন থাকে, বা সিনিয়র অধ্যাপকদের একজন করে পিয়ন থাকে এমন মনগড়া তথ্য আপনি কোথায় পেলেন ??

আবার আপনি বলছেন;

কূটতর্ক করতে চাই না, আপনি যে অর্থে পাইক পেয়াদা ব্যবহার করেছেন, আমি সেটাই লিখেছি৷ একটা বিভাগে ২ কি ৩ জন পিয়ন থাকতে পারে, সেটা পুরো বিভাগের সব কাজের জন্য ৷

নিজের যুক্তি তো আপনি নিজেই পরে স্বীকার করছেন। শিক্ষকতা আসে প্যাশন থেকে, এখানে সরকার কাউকে ধরে বেঁধে এনে চাকুরীতে ঢোকায়নি। এখানে বেতন কম থাকবে, এটা জেনেই সবাই এসেছে। আমি ইঞ্জনিয়ার, আমি কেন ডাক্তারের মত বিশাল টাকা উপার্জন করতে পারি না। সেটা ভেবে আন্দোলনে যাওয়ার তো কোন মানে দেখি না। ার গবেষণার কাজ যেটুকু করি সেটা নিজের ভাল লাগা থেকে।

মাহবুবুল হক এর ছবি

গড়ে ২৫ জন শিক্ষক, ৪/৫ জন অফিস সহকারী আর ৭০০/৮০০ শিক্ষার্থীর বিভাগের কাজে ২/৩ জন পিওন কি খুব বেশি ? সেটাও আবার সরকারের চাকুরি বিধি মেনেই তৈরি করা। তাহলে সরকারি অফিসগুলোর ক্ষেত্রে কী হবে ? আপনি প্যাশানের কথা লিখেছেন, আমি দ্বিমত করি না। প্যাশান অবশ্যই। তবে প্রফেশন বাদ দিয়ে নয়। তাহলে সেটা স্বেচ্ছাসেবা হয়ে যাবে। শিক্ষকতাকে আমি ব্রত মনে করি, তবে তা উপোস করার ব্রত নয়। আমি মনে করি, প্যাশান যতটুকুই থাক, প্রফেশনালিজম ঠিকভাবে তৈরি হলেও তাতে সমাজের অনেক লাভ আছে।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

ঘুণপোকা  এর ছবি

আমি মনে করি, প্যাশান যতটুকুই থাক, প্রফেশনালিজম ঠিকভাবে তৈরি হলেও তাতে সমাজের অনেক লাভ আছে।

হমম, আমাদেরও সেই একই কথা।

হাসিব এর ছবি

আমি গোটা একটা ফ‍্যাকাল্টির কথা জানি। আর্টস ফ‍্যাকাল্টির অন্তত ২৫ ভাগ জানি। প্রতিটা ডিপার্টমেন্টে যোগ‍্য ও ভালো শিক্ষকের সংখ‍্যা ৫ বা তার কম।
আর শিক্ষকেরা ছাত্রনেতা থেকে বাজার করে দেয়া খাদেম পোষে এটা নতুন কিছু নয়। এসব করে ছাত্রনেতা ও খাদেমরা সুবিধাও পায়। শিক্ষকরা যদি পা ধুইয়ে দেবে এরকমটা আশা করেন তাহলে তারা বরঞ্চ একটা টাইম মেশিন বানাবার ব‍্যাপারে মনোনিবেশ করুক। টাইমমেশিনে করে তারা মধ‍্যযুগে ফিরে ছাত্রদের হাত পা ধুতে বলুক।

ঘুণপোকা  এর ছবি

চলুক

মাহবুবুল হক এর ছবি

শিক্ষকরা যদি পা ধুইয়ে দেবে এরকমটা আশা করেন তাহলে তারা বরঞ্চ একটা টাইম মেশিন বানাবার ব‍্যাপারে মনোনিবেশ করুক। টাইমমেশিনে করে তারা মধ‍্যযুগে ফিরে ছাত্রদের হাত পা ধুতে বলুক।
আপনার কি যোগ্যতা জানি না। আমার অনেক শিক্ষকের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে, তবে আমি তাদের চেয়ে কম যোগ্য এটাই মানি। তাদেরকে ছাড়িয়ে যেতে পারলে তারাই বোধ করি সবচেয়ে খুশি হবেন। কিছু কিছু মূল্যবোধ মধ্যযুগীয় না প্রাচীন তাতে সমাজ মাথা ঘামায় না, সেটা লালন করে। শিক্ষককে সম্মান করা, বড়দেরকে সম্মান করা, বেয়াদবকে শাস্তি দেয়া, শিশুকে রক্ষা করা বা শেখানো, গরীবকে বা পীড়িতকে সাহায্য করা ইত্যাদি। সম্মানটা এককালে পা-ধোয়ার পর্যায়ে ছিল, আজকাল এটা বাড়াবাড়িই মনে হবে। তবে সেটা নিশ্চয়ই শিক্ষককে পিটিয়ে নম্বর নেয়ার পর্যায়ে যাক সেটা আপনি চাইবেন না। বলা যায় না, চাইতেও পারেন, যে হারে আপনি ছাত্রনেতাদের একতরফা উদাহরণ মনে রেখেছেন !!! টাইমমেশিন না, শিক্ষকের একটা ‘টাইট-মেশিন’ (!) দরকার, ওইসব বখাটেদেরকে টাইট দেয়ার জন্য।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

ইফতেখার এর ছবি

আমাদের কত জন শিক্ষক এ ধরনের গবেষণামুখী কাজ করেন?

গবেষণা কি গল্পের বই পড়ার মত অবসরে উপভোগ্য কোন কাজ? দেশে ফুল প্রফেসর হতে লাগে ১২ বছর, কিছু পেপার (যেকোনো জার্নালে) আর পিএইচডি ডিগ্রি। এক্ষেত্রে আর্টিকেলের মান বা পিএইচডির মান বিবেচ্য নয়, থাকলেও হল। দেশে ভর্তি হয়ে কিছু সময় পার করলে পিএইচডি হয়ে যায়। কেউ কেউ হয়তো ভালো করছেন, সেটা না করলেও ক্ষতি ছিলনা। দরকার কেবল একটা সার্টিফিকেট। আমি যতদুর জানি, পিএইচডি না থাকলেও হয়, কিছু বেশি সময় লাগে সেক্ষেত্রে। কোন উন্নত দেশে এইকালে অকল্পনীয়। একই কথা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও প্রযোজ্য। কাজেই মানহীন আর্টীকেলের পরিসংখ্যান এখানে অর্থহীন। এত সহজ ক্রাইটেরিয়া করে রাখলে সেদেশে উচ্চশিক্ষা বা গবেষণার উন্নয়ন কেবল সেলফ-মোটিভেশন দিয়ে সম্ভব নয়। বেতন অনেকগুণ বাড়িয়েও এর সমাধান হবে না। মেধাবীরা কম বেতনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পেশায় আসছেন না, এমন পরিস্থিতি এখনো তেমন প্রকট নয়।

সবচেয়ে ভালো হত যদি শিক্ষকরা পরিমাপযোগ্য উন্নত সেবাদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়তি বেতন দাবী করতেন। তেমন প্রস্তাব কিন্তু আসেনা তাদের দিক থেকে। সমাজ পরিবর্তনের আইডিয়া, দিকনির্দেশনা শিক্ষক ছাড়া আর কে ভালো দিতে পারবেন।
আমরা একটা জিনিস চট করে গুলিয়ে ফেলছি, শিক্ষক ছাড়া দেশ উন্নত হবে কিভাবে? আসলে আমাদের প্রশ্ন করার অধিকার আছে যে তারা যা করছেন তা কি দেশকে এগিয়ে (এক যায়গায় স্থির থাকা নয়) নিয়ে যাবার পক্ষে যথেষ্ট। দুএকজন ড. সাইফ দেশের সার্বিক শিক্ষা বা গবেষণার প্রতিনিধিত্ব করে না। শিক্ষকরা দায়িত্বশীল না হয়ে নিজেরা ঠকছেন, এবং পুরো দেশকে ঠকাচ্ছেন ।

মাহবুবুল হক এর ছবি

সবচেয়ে ভালো হত যদি শিক্ষকরা পরিমাপযোগ্য উন্নত সেবাদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়তি বেতন দাবী করতেন। তেমন প্রস্তাব কিন্তু আসেনা তাদের দিক থেকে।
বাস্তবতাবিবর্জিত কিন্তু পরিমাপযোগ্য উন্নত সেবার অলীক প্রতিশ্রুতি দিলেও ফলাফল কী হবে তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম। চেয়ার টেবিলে বসে অসংখ্য পরিকল্পনার পরী উড়ানোর পর রাস্তার ট্রাফিক বললো আসল কথা - ‘মিনিটে যে রাস্তায় ২০০ গাড়ি চলার কথা সে রাস্তা দিয়া ২০০০ গাড়ি চললে কোন পরিকল্পনাই কাজে আসবে না।’ ধান বানতে শীবের গীত মনে হলেও আমি যদি বলি সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক-রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে আগে, পরে পরিকল্পনা। সেটা কবে সম্ভব হবে !! আদৌ হবে কি ?? নাকি এর মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খোঁজা হবে ??

শিক্ষক নয়, আমলা আর ব্যবসায়ীরাই দেশকে উন্নত করে, এগিয়ে নেয়!! শিক্ষক উন্নতি-অবনতি বোঝে না !! বোঝে শুধু বেতন বাড়াতে !! তাদের তো বেতন কমিয়ে দেয়া উচিত !!-- এমনটাই তো আসলে অনেকে ভাবছে। সেই তালে চলতে থাকলে, আমার যে প্রিয় ছাত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দেয়ায় আমি খুশি হয়েছিলাম, কারণ তাঁর দক্ষতা শিক্ষাজীবনের শুরুতেই শিক্ষাথীদের জন্য উপকারে আসবে, সেটা নেহাত বোকামি। তাঁর যোগ্যতা আছে তথাকথিত ভাল চাকুরি পাবার। কে বঞ্চিত হবে তাহলে !!!!

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

হাসিব এর ছবি

একটা সোজা হিসেব দেই। গবেষণা করা লাগবে না। শুধু সেমিস্টারের প্রথম থেকে শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিটা ক্লাস করার বিষয়টা তারা জবাবদিহিতার মধ‍্যে আনুক। বহু জোকের মুখে নুন পড়বে এই কথা শুনলে। প্রতিটা সপ্তাহে ক্লাস নিয়েছেন, একটাও ক্লাস মিস করেননি, ক্লাসে ঘড়ি মেনে এসেছেন এরকম শিক্ষক আমি আমার ৭বছনের ইউনি লাইফে পাইনি। আর সময়মতো রেজাল্ট দেবার কথা নাই তুললাম।

ইফতেখার এর ছবি

এই ৭ বছরের ব্যাপারটা একটু জিজ্ঞাসা করতে চাই সবাইকে। অনার্স মাষ্টার্স হলে ৫ বছর লাগার কথা। অন্য ডিগ্রি করলে অবশ্য প্রশ্ন প্রত্যাহার করে নিলাম। যদি ৫ বছরের কোর্স ৭ বছরে করে থাকেন ফেল না করে তাহলে তো আপনার বাবা শিক্ষক সমাজের কাছে প্রশ্ন করতেই পারেন এই বাড়তি খরচের টাকা কোথা থেকে আসে?

হাসিব এর ছবি

আমরা গ্রাজুয়েশন করে স্রেফ ৭ আট মাস বসে ছিলাম কারণ শিক্ষকেরা ঐ সময়ের মধ‍্যে আমাদের কী ডিগ্রী দেয়া হবে সেটা ঠিক করে ওঠার সময় করে উঠতে পারেননি। বিশাল বেস্ত লোক একেকজন।

ইফতেখার এর ছবি

এর নাম কি পেশাদারিত্ব? যতদিন এই সময়মত ক্লাস পরীক্ষা সুন্দরভাবে (দায়সারা ভাবে নয়) শেষ করার ব্যাপারটা শিক্ষকদের আর্থিক সুবিধা বা পদোন্নতির সাথে সম্পর্কিত না হবে, ততদিন এর সমাধান হবে না।

মাহবুবুল হক এর ছবি

রাজনৈতিক কারণে আমার ৩ বছরের অনার্স করতে ৫ বছর লেগেছে- আর আপনি তো পরীক্ষা দিয়ে মাত্র ৭ মাস বসে ছিলেন !!! আগে এসএসসি এইচএসসি পরীক্ষাই তো আমাদের ১ বৎসর খেয়ে দিতো। এসব বলে লাভ নেই। গাফিলতি থাকলে ব্যক্তির সমস্যা, সেটা কোথায় নেই? আপনি এসবের জন্য শিক্ষক আর শিক্ষকতাকে কাঠ গড়ায় দাঁড় করাতে চাইলে তা মানা যায় না।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

হাসিব এর ছবি

না মানলে নাই। শিক্ষকদের বেশিরভাগেরই শিক্ষকতা পেশা যেগুলো দাবি করে সেগুলো সম্পর্কে উদাসীন। আর ব‍্যক্তির সমস‍্যা না ওটা। ওটা এক ধরণের সিস্টেমেটিক সমস‍্যা। আমি একেকটা বিভাগের ৫ জনের কথা বললাম যারা ভালো। বাকি কিন্তু আরো ৩০/৪০ জন আছে যাদের অবস্থা শোচনীয়। খারাপের ভাগটাই বেশি। অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ থাকে না।

মাহবুবুল হক এর ছবি

আপনি ণিক্ষকতা মানেই বিশ্ববিদ্যালয় ধরে নিয়েছেন, সেটাই সমস্যা ৷ আর শিক্ষকতা সম্পর্কে খুবই নেতিবাচক প্রা়কধারণায় বদ্ধমূল আছেন, তাই প্রলয় যে আপনার ভবি৷ষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংস করতে পারে তা আন্দাজ করতে পারছেন না ৷ অবশ্য যদি তারা কেউ এদেশে থাকে!!

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

মাহবুবুল হক এর ছবি

আমিও একটা সোজা হিসেব দেই, গবেষণা করা লাগবে না। দলবাজি করা শিক্ষক (ছাত্রদের দিকে গেলাম না) যদি ক্লাস ছেড়ে ফুল দিতে যায়, অথবা টকশোতে নিজস্ব ফিল্ডের বাইরে গিয়ে উন্নয়ন আর চাটুকারিতার বাকশিল্প বয়ন করে তাকে জবাবদিহি করতে হবে।( এই তালিকাও বহুভাবে দীর্ঘ করা যায়) আমার প্রস্তাবে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার কর্তৃপক্ষ কে? আর আপনার প্রস্তাব কে সেটা একটু ভাবুন।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

শিক্ষকদের সম্মান (এবং তাদের সম্মানজনক জীবনধারণ নিশ্চিত ) করার বিষয়টা আপনা থেকেই হওয়া উচিত ছিল। এটা নিয়ে আন্দোলনে যেতে হচ্ছে তাঁদের -এটাই দুঃখের বিষয়।

শেহাব এর ছবি

প্রত্যেক স্বায়ত্ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের যার যার পেস্কেল ঠিক করার স্বাধীনতা থাকা উচিৎ না?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় তো নাই যে নিজেদের বেতন দিতে পারবে। সেটা করতে গেলে তো অন্য সমস্যা দেখা দেবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

হয়ত অপ্রাসঙ্গিক। তবু ঘটনাটা জানা দরকার। ভারতের বর্তমান হিউম্যান রিসোর্স মিনিস্টারের নাম স্মৃতি ইরানী। এককালে আমাদের দেশে ভদ্রমহিলার প্রচুর জনপ্রিয়তা ছিল। হয়ত এখনো আছে। তিনি মডেল এবং হিন্দি টিভি সিরিয়াল অভিনেত্রী। আরেকজন লোকের নাম হয়ত অনেকেই শোনেন নাই। সি এন আর রাও, ভারতের এই বিজ্ঞানী এখনো পর্যন্ত ১৫০০ রিসার্স পেপার লিখেছেন এবং বই লিখেছেন ৪৫টি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ডক্টর রাও এ পর্যন্ত ৬০টি অনারারি ডক্টরেট ডিগ্রী পেয়েছেন!! তিনি ভারতের সায়েন্টিফিক এডভাইসরি কাউন্সিলের প্রধান। গত বছর স্মৃতি ইরানীর সাথে বিভিন্ন ইন্সটিটিউশনের রিসার্চারদের সাথে বৈঠক চলছিল। এক পর্যায়ে ডক্টর রাও কথা বলছিলেন। স্মৃতি ইরানী তাকে একটু পরেই থামিয়ে দিয়ে বললেন "ইউ শাট আপ নাউ। সিট ডাউন"। পৃথিবীর কোন পত্রিকায় এ অপমানজনক খবরটা আসে নাই। আমি ওই বৈঠকে উপস্থিত একজনের কাছে এটা শুনেছি। উনার মনে হচ্ছিল কেউ যেন মুখে জোরে একটা চড় মেরেছে।
________________
সৌমিত্র পালিত

মাহবুবুল হক এর ছবি

ঘটনাটিতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির ক্ষমতা ও দম্ভের বহিঃপ্রকাশ আছে, সেজন্যে উল্লেখ কিনা বুঝতে পারছি না। নাকি একজন বরেণ্য শিক্ষকতে অপদস্ত করা একজন জনপ্রতিনিধির পক্ষে কত সহজ ও স্বাভাবিক সেটা বোঝানো লেখকের উদ্দেশ্য !!

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার উত্তরে কিছুটা নেগেটিভিটি আছে। আমি নিজেও একজন শিক্ষক ছিলাম। চট্টগ্রাম প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের। ভার্সিটিটা গ্রামে, আমি থাকতাম শহরে। জুনিয়র টিচার ছিলাম বলে আমাকে ক্লাস দেয়া হয়েছিল সকাল ৮টায়। কখনো ঘন কুয়াশায়, কখনো ষোলশহর-বহদ্দারহাটে প্রবল বৃষ্টিতে জমা হওয়া এক হাঁটু পানি ভেঙ্গে যেতে হত। সকালে তখন বেশীর ভাগ মানুষ ঘুমাচ্ছে। বেতন পেতাম মাসে মনে হয় দশ হাজার টাকার মত।
২০০৭ এর কথা, বাবা মা-স্ত্রী নিয়ে ছিলাম। তবু ক্লাসে ছাত্রদের উজ্জ্বল চোখ দেখলে খুশি হয়ে যেতাম।
______________
সৌমিত্র পালিত

মাহবুবুল হক এর ছবি

না, নেগেটিভিটি নয়, না-বোঝার ব্যাপার আছে ৷ দুঃখিত ৷

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

ঘুণপোকা  এর ছবি

সৌমিত্র পালিত,
আমি জানি না, আপনি ব্যাপারটা জানেন কি না, কয়েক বছর আগে আমার এক ভারতীয় সহকর্মী, এই অধ্যাপক রাও সম্পর্কে বলেছিলেন, ওনার এটা বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ কপি পেস্ট করার জন্য প্লাগারিজম এ দায়ে জরিয়ে পরেছিলেন। যেহেতু উনি ভারতের প্রধান মন্ত্রীর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা, তাই এ নিয়ে ভারতে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। এমনকি রাও এই জন্য ক্ষমা চেয়েছেন পর্যন্ত। প্লাগারিজম এর মত দায়ে পরার কারণে তার ইমেজ আগের চেয়ে অনেক বেশি সঙ্কটে। হয়ত ইরানী এখন তাকে আগের মত মান্য করার প্রয়োজন মনে করেন না। আপনি তো জানেন, আমাদের উপমহাদেশের সংস্কৃতি।

মাহবুবুল হক এর ছবি

সহমত।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

না, এটা জানতাম না। যদিও এটা অফ টপিক তবু স্মৃতি ইরানীর কথা বলি। তিনি ছিলেন সিরিয়াল অভিনেত্রী। মেগাস্টার! আমরা যখন স্কুল কলেজে পড়তাম তখন "কিউ কি শাস ভি কাভি বহু থি" নামের একটা সিরিয়াল হত। তিনি বাংলাদেশে তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন। এত জনপ্রিয় যে তিনি বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছিলেন। তবে তার শিক্ষাগত জীবন নিয়ে বলি। ২০০৪ এর নির্বাচন কমিশনে বলেছিলেন তিনি দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৬ সালে আর্টসে বিএ পাশ করেছেন। আবার ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় বলেছেন ১৯৯৪ সালে তিনি কমার্সে বিকম করেছেন। মন্ত্রী হবার পর দাবি করছেন তিনি ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করেছেন। কি তামাশা দেখেন। তবে এটা নিশ্চিত তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়েছেন।
____________________
সৌমিত্র পালিত

ঘুণপোকা  এর ছবি

তাহলে তো বলতে হবে, ফাঁকা কলসি বাজে বেশির উদাহরণ হচ্ছেন এই ইরানী। যতই অধ্যাপক রাও প্লাগারিজম করুন, কিন্তু তার গবেষণা কিংবা কাজের মান কিন্তু খারাপ না । অধ্যাপক রাও প্লাগারিজম এর সেই খবর গুগলে পাবেন।

মাহফুজ এর ছবি

একটা ব্যপার বুঝলাম না - পুলিশের বেতন বাড়ানো নিয়ে কোন শর্ত নাই ঘুষ খাওয়া কমাতে হবে বা রাস্তাঘাটে লোক ধরে ইয়াবা ব্যবসায়ী বানায়ে টাকা চাওয়া যাবে না, সরকারি অফিসে ঘুষ খাওয়া যাবে না, কিংবা আর্মির কোন পরিমাপযোগ্য মান অর্জন করতে হবে সেইটা নিয়ে কোন কথা নাই। এই সবাই কিন্তু সুপার গ্রেডে বেতন পায়। অন্য সবার ক্ষেত্রে আগে বেতন পরে আশা - বেশি পাইলে ভালো হইয়া যাবে। খালি শিক্ষক ব্যাটা আগে ভালো হও, পরে বেতনের কথা বলো। কারন শুধু শিক্ষকদের ভালো হইতে পয়সা লাগে না।

আমি নিজে শিক্ষক না, কখনও শিক্ষক ছিলামও না। কিন্তু আমার চেনা বেশ কিছু শিক্ষক আছে যারা সত্যিই রিসার্চ করতে চায় বা চাইতো। কিন্তু পরিবার নিয়ে নিজের যোগ্যতার সাথে মানানসই একটা জীবন চালাইতে প্রাইভেট ইউনিতে ক্লাস নেয়। এদের অনেকেই শুধু রিসার্চ করতো বেতনটা একটু বেশি হইলে।

মাহবুবুল হক এর ছবি

ভাই, একটু আশার আলো পেলাম। আপনি যেসব কথা তুলেছেন, আমি সেদিকে এখনও যাই-ই নি, তাতেই এ অবস্থা।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

মাহবুবুল হক এর ছবি

আগে বলি, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষকদের দাবি বেতন বাড়ানো নিয়ে নয়- বর্তমান পে স্কেলে গত পেস্কেলের অবস্থান ঠিক রাখা অর্থাৎ যা ছিল তা-ই রাখা। এবার আপনার জিজ্ঞাসায় আসি,
শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া বিভিন্ন স্তরে বিভিন্নরকম, সমন্বিতভাবে কোথাও আমি সেগুলো দেখিনি। আলাদাভাবে অনেক লেখাই বিভিন্ন মিডিয়ায়, ব্লগে বা অনলাইন পত্রিকায় এসেছে। তাছাড়া দাবিগুলোও যে সব একযোগ উচ্চারিত হয়েছে তেমনটা নয়। পেস্কেল বিতর্কের অনেক আগ থেকেই হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের সারাদেশব্যাপী আন্দোলন তো বছর খানেক আগে অনশন পর্যন্ত গড়ালেও সরকার তা মানেনি। প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবি ছিল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ-আপগ্রেড করা, জাতীয়করণ ইত্যাদি। মাধ্যমিক শিক্ষকদের দাবিও তা -ই। সেগুলো কোনটা বাস্তবায়িত হয়েছে, কোনটা হয়নি। সরকারি কলেজের শিক্ষকরাও পে-স্কেল নিয়ে আন্দোলনে আছেন কারণ তাদেরও ৪র্থ গ্রেড থেকে উপরের দিকের পদ কেড়ে নেয়া হয়েছে যেখানে তারা কখনও যেতে পারবেন না। ফলে শিক্ষার উপরের পদগুলোতে প্রশাসন ক্যাডারের সচিবোর্ধ্বরা জেঁকে বসতে পারবেন। এগুলো প্রামাণ্য। এর বাইরেও বঞ্চনা আছে, সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল না দিয়ে ‘বেতন অনেক বেড়েছ’ বলা হচ্ছে সেই বঞ্চনা। এটাকে প্রতারণাও বলা যায়। সেটা অন্য আলোচনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনেক আগ থেকেই স্বতন্ত্র বেতন-স্কেলের দাবি ছিল। সেটা মৃদুস্বরে হলেও, কলেজ শিক্ষকদেরও দাবি। আর দাবি ছিল, স্বাধীন ল কমিশনের মত উচ্চশিক্ষা কমিশন। যার অধীনে চলবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ-শিক্ষাকার্যক্রম; ইউজিসি হবে এফিলিয়েটিং অথরিটি। কিন্তু এই দাবি বেশিদূর যাওয়ার আগেই পেস্কেলের মাধ্যমে আঘাত হেনেছে সরকারের আমলাতন্ত্র। গত ৭ম পেস্কেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সর্বোচ্চ পদ ছিল সিলেকশন গ্রেডের প্রফেসর, যিনি ১ নম্বর গ্রেডে বেতন পেতেন। ৮ম-এ সেটা নেই। যদি অধ্যাপক পদ ধরি, তাহলে ৭ম-এ ছিল ৩ নম্বর গ্রেড, ৮ম-এ সেটা ৫ নম্বরে নামলো শুধু নয়, তার উপরে যাওয়ার সব পথ বন্ধ। অর্থাৎ ৫ ধাপ অবনমন। অথচ পেস্কেলে দেখা যাবে ৭ ও ৮ দুটোতেই ৩ নম্বর গ্রেডে অধ্যাপকই আছেন। কলেজের অধ্যাপকদের জন্য এটা আরও মারাত্মক। সেখানে অধ্যাপকের প্রারম্ভিক গ্রেড ছিল আগে ৪র্থ, বর্তমানেও তাই, কিন্তু তারা হারাচ্ছেন ৩য় গ্রেডে প্রেষণে যাওয়ার সকল পদ যেগুলোতে আগে তারা নিয়োগ পেতেন, সেটা এমনকি সেটা শিক্ষা বিভাগের হলেও http://www.jugantor.com/old/first-page/2015/10/13/336197 তারা আর পাবেন না।
আপনি যদি পেশাজীবীর আন্দোলন বা দাবিদাওয়া সম্পর্কে জ্ঞাত থাকেন তাহলে দেখবেন এসব আন্দোলন মূলত পদপদবী আর বেতনের জন্যই গড়ে ওঠে। এর সাথে সিনিয়র বা জুনিয়র সম্পর্ক নেই। কারণ জুনিয়র একদিন সিনিয়র হবে। সিনিয়রের পদমর্যাদা বা আর্থিক সুবিধা না থাকলে সে চাকুরিতে আসবে কোন ভরসায়? চাকুরির উৎকর্ষ বিবেচনায় উপরের পদে যাবার সুযোগ থাকা না থাকা একটা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। সেটা চাকুরির অধিকারও বটে। এসব কারণেই অনেকে মোটা বেতনের বেসরকারি চাকুরি ছেড়ে, সরকারি বা স্থায়ী কাঠামোর চাকুরিতে যোগ দেয়। আজকাল অবশ্য তা অনেক কমে গেছে।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মাহবুবুল হক ভাই,

খুব ভালো হবে শিক্ষকদের দাবী দাওয়া গুলো নিয়ে যদি একটা পোস্ট দেন। কোথাও দাবীগুলো একসাথে পাওয়া যাবে সেরকম কোন লিংখ থাকলেও শেয়ার করবেন, প্লিজ।

আমি নিজেও শিক্ষক ছিলাম এবং আছি। আমার শিক্ষকরা রাজনীতি করতেন কিন্তু মেধার ক্ষেত্রে যোগ্যদেরই প্রাধান্য দিতেন। কে গোপালগঞ্জের আর কে বগুড়ার সেটা কখনো বিবেচনায় আনেননি। তবে সব ডিপার্টমেন্টের অবস্থা এরকম নয় সেটা জানি।

এর আগে দাবীর মধ্যে ছিল সিলেকশন গ্রেড পাওয়া বিষয়ক। ব্যাপারটা খুবই সিলেক্টিভ, অনেকটা স্বার্থপরের মতই। শিক্ষক রাজনীতি কোনদিন তরুণ শিক্ষকদের জন্য কিছু করেছে বলে আমার জানা নেই। তারা শিক্ষার মান উন্নয়নে কিছু করেছেন বলে আমার শোনা হয়নি কখনো। এসব উঠে আসছে কারণ এসব নিয়ে আলোচনা হওয়াটা যৌক্তিক।

তবে হাওয়া যেমনটা দেখছেন, মানুষ শিক্ষকদের খুব একটা সম্মান এখন আর দেয় না। এর কারণ নানাবিধ। শিক্ষকরাও এর জন্য কম দায়ী নন। কতিপয় শিক্ষকের পদলেহী কর্মকান্ডের জন্য এখন গোটা শিক্ষকসমাজকে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে ব্যাংকের গভর্ণররা যা ইচ্ছে তাই বলছেন। শিক্ষক সমাজ সেসব চামচা শিক্ষকনেতাদের বিরুদ্ধে কী করেছেন সেগুলোর হিসাব নেয়ার সময় এখন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লিখেছেন
khalid15

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।