[এক]
স্বপ্নাচ্ছন্ন নিশাচরকে লাভ নেই চাঁদের সুষমা বলে,
বজ্রাহত মানুষ যেমন অনড় থাকে সামান্য শোকে।
পাঁজরের অস্থি ধনুক হয়ে যদি আকাশের দিকে ছুঁড়ে
দেয় জীবাণু-বিষাক্ত হৃৎপিণ্ড তাহলে স্বপ্নাচ্ছন্ন মানুষকে রক্তমাখা
এক চাঁদের কথা শোনানো যাবে। তবুও মানুষ, না প্রেমিক
চাঁদকেই বসাতে থাকো তুমি জ্যা এর বিপরীতে আর
ফুসফুস বিছিয়ে দাও মৃত-আত্মার জন্য।
[ দুই]
তোমার কি প্রকৃতিজ্ঞান বনমালী......
জেনেছি রাত্রি হলো চাঁদের সাথে রূপালি মাছের
মৈথুন-উল্লসিত আনন্দ ঘষে ঘষে বৃক্ষের কোটর
থেকে অনন্ত শাড়ির অন্ধকার তুলে আনা
বাদুড়ের ঘরে দুলে ওঠে রাধিকা বসন
হুল্লোড় নাচে ঘেমে যায় বনের বাতাস
বনমালী
এ কুঞ্জে প্রহরী আজ আমি অধম মানব-সন্তান
প্রতীক্ষার অন্ধকারে ডুবে থেকে নাসারন্ধ্রে ফুটিয়েছি
অসহিষ্ণু অশ্বের তকমা।
[ তিন]
আস্থাসূত্রে ভুল
অস্থিবৃন্তে উন্মুল আয়ুর শ্লেষ্মা তথাপি
ত্রিবেণী সঙ্গমে পৌঁছে গেলে
ঊর্ধ্বাকাশে অথবা অতল পাতালে
মহামানবের মেলায় মহাতামাশার ঘোরে
দেখি কাষ্ঠশোকে কাতর ত্রাতা
মানবের ক্রন্দন চেটে নেয় তৃষ্ণা মেটাতে।
বারবার ভেবে দেখি আস্থাসূত্রে কতখানি ভুল
মুষ্ঠি খুলে ছুটে গিয়ে তেড়ে আসে পবিত্র ত্রিশূল।
মন্তব্য
তিনটাই ভাল্লাগলো। এরকম আরও কবিতার পোস্ট চাই।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
মহামানবের মেলায় মহাতামাশার ঘোরে
দেখি কাষ্ঠশোকে কাতর ত্রাতা
মানবের ক্রন্দন চেটে নেয় তৃষ্ণা মেটাতে।
খুব জুতসই । শ্রদ্ধেয় লেখক কে অভিনণ্দন শব্দাবলীর জন্য।
নতুন মন্তব্য করুন