গত কয়দিন ধরে ল্যাবে নতুন এক প্রফেসর আসছে, নাম তার নুনু গোমেজ। নুনু মিয়ার সাথে কাজ করা এক ঝামেলা, লোকটা পুরাই রোবটের মতো। বিকাল ৬টার আগে অফিস থেকে নিজেও বের হয় না অন্য কেউ বের হলে কুঁই কুঁই করে। এই লোক হার্ভার্ড থেকে পাশ করেছে তাই মনে মনে ধরে নিয়েছি ওস্তাদ লোক যাই করে আমার ভালোর জন্যই করে।
যাইহোক আজ অফিস শেষে ক্লান্ত হয়ে ট্রামে করে ফিরছি হঠাৎ করে এক লোক পাশের সিটে বসছে। আড়াই বছর সুইজারল্যান্ডে থেকে সুইসদের মতো মুচকি হাসি দিয়ে “বনজ্যুর” বলে আবার আইপ্যাডে চোখ রাখলাম। লোকটা হ্যান্ডশেক করার মতো করে হাত বাড়ায়ে দিয়ে বলল আমি রডরিক তোমার কি নাম। আমি বললাম আমার তো অনেক নাম তবে মাহমুদ নামে আমাকে সবাই চিনে। লোকটা আমাকে বলল তুমি কী কর, আমি বললাম পড়ালেখা করার জন্য এই দেশে আসছিলাম কিন্তু পড়ালেখা যে সময় করি তারচেয়ে বেশি ফাঁকি দেই এই ধরেন ফেসবুক ব্লগ এইসব নিয়ে।
লোকটা হাসি দিয়ে বলল এইগুলা সময়ের দাবি, এইগুলা বাদ দেয়ার আর তেমন কোন উপায় নাই। তার উত্তর আমার পছন্দ হইল তাই মনে হইল লোকটা মনে হয় জ্ঞানী লোক, আমি বললাম জনাব আপনার পরিচয়?
উনি বললেন উনি ক্যাথোলিক ধর্মের যাজক, স্কটল্যান্ডের কোন একটা গির্জায় কাজ করেন, রোমের ক্যাথোলিক চার্চের হয়ে একটা মিশনে জেনেভা এসেছেন। এবং আমাকে বললেন আমি কোন ধর্ম পালন করি। মনে মনে ভাবলাম খাইছে আমারে নিজের ধর্মের জ্বালা যন্ত্রণায় বাঁচি না আবার আসছে ক্যাথোলিক ধর্ম নিয়া। ইউনিভার্সিটি থাকতে তাবলীগের ভাইরা আমার নাম জিগাইলে উত্তর দিতাম হরিপদ কিংবা সুমন চন্দ্র দাস নামে যাতে আলাপ বেশি দুর না আগায়। এখন বিদেশে এসে ও যদি তাবলীগের উৎপাত সহ্য করতে হয় তাইলে কেমনে কি।
দেশে থাকলে অনেক হেজিটেশন কাজ করলেও বিদেশে ধর্ম নিয়া কিছু জিগাইলে আমি সরাসরি বলি দাদা ধর্মে আমার একটু অবিশ্বাস আছে আমি কাজে বিশ্বাসী। কাজ কাম বাদ দিয়া ধর্ম নিয়া থাকলে আমি খুব জোর পাড়ার হুজুর হইতে পারতাম কিন্তু ইউরোপে আসা হইত না। এমনিভাবে লোকটাকে বললাম দাদা আমি ধর্মের গল্প করতে পছন্দ করি না অন্য আলাপ থাকলে বলেন। সে বলল কেন পছন্দ করি না, বলে আমার পকেটের কলমটা দেখায়ে বলে এইটা কে বানাইছে। আমি হাতে নিয়ে দেখে বললাম জার্মানির Staedtler কোম্পানি। তারপর সে বলে তাইলে তোমারে কে বানাইছে। আমি মনে মনে বললাম শুরু হইছে তেনা পেচানি...
আমি বললাম দাদা আমি একটু ক্লান্ত, সারাদিন ক্লাস পরীক্ষা আর প্রোগ্রামিং নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম তাই খুব খিদা লাগছে, বাড়ী গিয়া রান্না করতে হবে। লোকটা একটু সময় নিয়ে বলে আচ্ছা এমন করলে কেমন হয় ধর আজ রাতের খাবারটা যদি আমি তোমাকে কোন একটা রেস্টুরেন্টে খাওয়াই, এই ধরো ‘সে মা কুইজিন’ বা অন্য কোন ফ্রেঞ্চ রেস্টুরেন্টে!! গডের মেসেজটা ঠিকমতো মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া আমার কাজ আর এই কাজের জন্য সামান্য কিছু খরচ আমি করতেই পারি, সেন্ট পিটারস ক্যাথোলিক চার্চ থেকে এই ডিনারের টাকাটা রিইম্বার্স করে দিবে। প্রথমে একটু ইতস্তত লাগছিল পরে মনে হইল মাগনা পাইলে মানুষ আলকাতরাও খায় সেই জায়গায় ফ্রেঞ্চ রেস্টুরেন্টের খাবার।
কথা মতো অগাস্টিন ষ্টেশনে নেমে গেলাম ভালো খানা খাদ্যের আশায়, কী মনে করে লোকটা আমাকে বলল “ইল ডেসটিনো” নামে ইতালিয়ান রেস্টুরেন্টে গেলে কেমন হয়। বললাম চলেন কোন অসুবিধা নাই (দাওয়াতি মানুষ আমি, যে দাওয়াত দিছে তার চয়েসই বেশি গুরুত্বপূর্ণ)। ইতালিয়ান দোকানে খাবারের অর্ডার দেয়ার আগে কোন একটা ড্রিংক নিতে হয়। এরা সাধারণত আমারেত্তো নামে একটা ড্রিংক খুব ছোট একটা গ্লাসে করে দেয় শুভেচ্ছা হিসাবে। রডরিককে দেখলাম ড্রিংকটা দেয়ার কিছুক্ষণ পর ফুড়ুৎ করে গিলে ফেলতে। কিছুটা অবাক হইলাম একজন ধর্মযাজক যদি মদ মদিরা খায় তাইলে কেমনে কি? এই দিক দিয়ে অন্তত আমাদের তাবলীগের ভাইরা অনেক ভালো। যাইহোক আমার এই ড্রিংকগুলা দেখলে আর হুঁশ থাকে না তাই কুঁত করে গিলে ফেললাম।
খাবারের অর্ডার দেয়া হল, বিফ স্টেক আর আলুর ফ্রাই সাথে সালাদ। এইবার রডরিক তার বয়ান শুরু করল। প্রথমে বলল জিসাস যে আছে তাহা উনি সরাসরি বুঝতে দেন না কারণ উনি এই বিষয়টা রহস্যাবৃত রাখতে চান। রডরিকের কথায় আমার মনে হল তার সাথে জিসাস ক্রাইস্টের নিয়মিত আলাপ হয়। আমি কিছুই না বলে অতি ভদ্র লোকের মতো ‘কথা সইত্য’ ‘কথা সইত্য’ বলতে লাগলাম আর মনে মনে খাবারের অপেক্ষায় থাকলাম। প্যান প্যান শুনতে শুনতে এক পর্যায়ে খাবার আসলো। আমি মহানন্দে কাঁটাচামচ আর ছুরি নিয়ে ঝাঁপায়ে পড়তে যাবো এমন সময় দেখলাম সে কিছু একটা প্রার্থনা করছে। আমি বললাম আমারও কি প্রার্থনা করা লাগবে? যদি লাগে আমার হয়ে তুমি করে দিতে পারো। সে আমাকে বলল তুমি তোমার ধর্ম অনুযায়ী প্রার্থনা করতে পারো। আমার ধর্মে অন্য বিষয়ে লম্বা প্রার্থনা থাকলেও খাবারের আগের দোয়া খুব ছোট তাই বিসমিল্লা বলে শুরু করে দিলাম সাথে ভদ্রতার খাতিরে ‘বনাপেতি’ (ফরাসী ভাষায় যার অর্থ এনজয় ইওর মিল) বলেছি।
খাবারের ফাঁকে ফাঁকে আমি যাই বলি সে বলে এইখানেও ঈশ্বরের হাত আছে। যেমন বললাম সালাদটা বেশ মজা লাগছে সে বলে ঈশ্বর নাকি এমন ব্যবস্থা করেছে। আমি আবারো হয়তো কথা সইত্য বলে খাবার শেষ করলাম। এই বার বিদায়ের পালা, রডরিক বলল বাই দা ওয়ে তোমার সাথে আরও আলাপ করা যাবে ‘ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে’ তুমি যদি আগ্রহী থাক, তোমার আপত্তি না থাকলে তোমার বাসার এড্রেস দিতে পারো। মনে মনে চিন্তা করলাম এই সারছে, পুটকি মারা খাওয়ার জন্য বাসার ঠিকানা দেয়ার চেয়ে আর ভালো কিছু হতেই পারেনা। সৃষ্টিকর্তা আমারে এই জীবনে অনেক কিছুই দেন নাই তবে বিপদে আপদে আমার ব্রেইন ভালো কাজ করে এই একটা গুণ আমার আছে, তাই ফোনটা নিয়ে বললাম দাঁড়াও গুগল ম্যাপে আমার বাসাটা কোথায় দেখি তুমি সহজেই যাতে যেতে পারো। খুঁজে খুঁজে পুরানো বাসার অ্যাড্রেসটা দিয়ে হাসি মুখে “ ইট ওয়াজ নাইস মিটিং ইউ, উই সি ইচ আদার এগেইন” বলে চলে এসেছি।
প্রিয় পাঠক,
আমি আমার কৃতকর্মের জন্য এতটুকু দুঃখিত বোধ করছি না, ব্যক্তিগত ভাবে আমি কাউকে ঠকানোর পক্ষে না; খাওয়া দাওয়ার পর বাসার ঠিকানা ভুল দেয়া নিয়ে আমি অনুতপ্ত নই কারণ এই পৃথিবীতে যাই ঘটে সব ঈশ্বরের ইশারাতেই ঘটে তাই আমার মাথায় যে ভুল ঠিকানা দেয়ার আইডিয়াটা আসছে আমি নিশ্চিত এইটাও ঈশ্বরেরই কাজ। এবার বাস্তবতার আলোকে যদি বিষয়টা দেখি তাইলে কি দাঁড়ায়? চার্চের পয়সাগুলা আসে কই থেকে? এইগুলা কিন্তু আমাদেরই মাস শেষে ট্যাক্সের টাকা, কারণ চার্চগুলার কোন আয় রোজগার নাই। সুতরাং আমাদের টাকার একটা অংশ যদি চার্চের রক্ষকদের সাথে রেস্টুরেন্টে খেয়ে খরচ হয় তাইলে তো দোষের কিছু দেখি না।
মন্তব্য
গল্প মজাদার। আমার একটা প্লেনযাত্রার অভিজ্ঞতা ছিল কিন্তু কিছুই খাদ্যাখাদ্য লাভ হয় নি
এইমাত্র এই খবরটায় পড়লাম, একজন জার্মান যাজক ৭০০০ ইউরো খরচ করে ফার্স্ট ক্লাসে ভারত যাতায়াত করে বস্তিতে বস্তিতে ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে। আবার এও পড়লাম যে আমেরিকায় ট্যাক্স এক্সেম্পট হওয়ার কারণে সরকারের ফি-বছর যত লস হয় তাই দিয়ে মাসে দুটো করে কিউরিওসিটি পাঠানো যায় মঙ্গলে। অতএব তাদের অর্থ এইভাবে কিঞ্চিত খসানোর অন্যায় দেখি না। তাছাড়া এই পরিমাণটা সিন্ধুতে বিন্দুর ন্যায়।
তাকে ভুল ঠিকানা দেওয়ার ব্যাপারটা নিয়ে আমার আপত্তি আছে। বিতর্ক এড়াতে তাকে কিছু না বলে অমনভাবে কাটানো, তা বুঝলাম, কিন্তু তারা শিশুকামী মিথ্যাচারী অর্থগৃধ্নু যাই হোক, তোমার দিক থেকে এথিকস ঠিক রাখাই ভালো হত। 'ঈশ্বর আমাকে দিয়ে ভুল ঠিকানা দেওয়া করিয়েছেন' এটা তর্কের মুখে তাদের বলা যেতে পারে বটে, কিন্তু সেটা যে তুমি আসলে বিশ্বাস করো না সেটা তুমি নিজেও জানো।
এত সিরিয়াসলি নিলে তো হবে না কৌস্তুভ দা
ঈশ্বর সব জায়গাতে আছে সালাদে বরায়ে খানা খাইদ্যে সব যায়গায়
ঈশ্বরের মোবাইল নাম্বার লাগলে বইলেন আমি দিব আপনারে
ধর্মীয় নীতি বিশ্বাস অবিশ্বাস যাই করেন, মৌলিক কিছু নীতি মেনে জীবনে চলা উচিত নয়কি? ওইভাবে খাওয়া, ভুল ঠিকানা দেয়া এবং তারপর সচলায়তনে প্রতারণার সেই গল্প অসংকোচে জাহির করে দেখিয়ে দিলেন বোধের বা বিবেকের জায়গায় আপনি শূন্য।
আমি সাধারণত কাউকে কঠিন মন্তব্য করিনা, কিন্ত আপনাকে ছাড় দিতে ইচ্ছা করতেছেনা। প্রথম কথা হইল সুইজারল্যান্ডে কেউ কাউরে হাই হেল ছাড়া তেমন গল্প করেনা অপরিচিতদের সাথে। আমি তার কাছে খাইতে চাই নাই। সে নিজেই আমাকে খাওয়াইতে চাইছে। দ্বিতীয়ত তার টাকা গুলার উৎস কোথায় এটা নিয়ে আমি লিখেছি! আপনার মতো আদর্শ বান হইতে পারলাম না দুঃখিত!!
আপনি হইলেন বিরল প্রজাতির আদর্শবান লোক। আপনারে বাঁচাইয়া রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব
আমাকে বিরল প্রজাতি বলে আপনার আচরণটা যদি স্বাভাবিক দাবি করেন এবং নৈতিক সমর্থন পেয়েছেন বলে খুশি হন, ক্ষতি কি?
বিরল ভাই (আপনি নাম লিখেন নাই তাই কি নামে ডাকবো বুঝতে পারছিনা) আপনার ঈশ্বর আমারে হেদায়েত করেনা কেন? আমার মাথায় এই সব ভুল ঠিকানার এড্রেস আসে কেন?
ঈশ্বর মাহমুদ ভাইরে বিবেকশূন্য বানাইছে সেইটা তো তার দোষ না !! ঈশ্বর এর কাছে বিচার দেন !
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ইসসসস, এরকম বেয়াদপি কাজ কারবার কেউ করে? দেখবা সাত সকালে টয়লেটের ফ্ল্যাশ বন্ধ কইরা দিয়া জেসাস এর শোধ নিবো !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সুইস দেশে ট্যাক্সের টাকা থেকে চার্চে ডোনেশন দেয় নাকি? এখানে তো চার্চের ট্যাক্স দিতে হয়না এরা দেখি আরেক কাঠি উপরে। আর সেই টাকা কি স্কটল্যান্ডের চার্চে যায়? আপনি ভুল না ঠিক করেছেন সেটা আপনার ব্যাপার কিন্তু সেটাকে ঠিক দেখানোর জন্য খোড়া যুক্তি না দিলেও পারতেন।
নাহ সুইস চার্চের টাকা গুলা মারভিন নামে অতি বিনয়ী এক ভদ্রলোকের পকেট থেকে যায়
বিদেশ বিভুঁয়ে এই রকম নাছোড়বান্দা চার্চ ওয়ালাদের হাতে না পড়লে বোঝা মুস্কিল, এরা কতটা গায়ে পরা হতে পারে!
কে জানে, পুরাতন বাসার ঠিকানা থেকে খোঁজ-খবর বের করে ঐ যাজক ব্যাটা না আবার উইকএন্ডের এক সুন্দর সকালে লেখকের বর্তমান ঠিকানায় একগাল হাসি নিয়ে উপস্থিত হয়!
এইটা নিয়ে ব্যাপক চিন্তায় আছি
ঝামেলা, সবচেয়ে বিটকেল জিহোভা উইটনেসরা।
এই যে দুনিয়া- কে বানাইল! তারেই চিনলা না! তারেই দেখলা না !
facebook
আমি তারে চিনি তার ফেইস বুক আই ডি আছে “GOD” নামে
কেউ মাগনা খাওয়াতে চাইলে খেতে রাজি হওয়া তো দোষের কিছু না। ওদের পয়সা আপনার ট্যাক্সের থেকে আসুক বা না আসুক, তাতে তফাৎ সামান্যই হয়, কারণ এটা ওই ব্যক্তির সাথে আপনার স্বেচ্ছামূলক আদান প্রদান। অন্য আরেকজন, যার পয়সা আপনার ট্যাক্সের টাকা থেকে আসে না, তার থেকে মাগনা খাওয়ার মধ্যে দোষ যতোটুকু, তার থেকে এটা কোনো অংশে কম বা বেশি নয়। আবার চার্চের থেকে টাকা চুরি করলেও সেটা অন্য চুরির থেকে কম দোষের হবে না। সে বিনা শর্তে আপনাকে প্রস্তাব দিয়েছে। ফলে খাওয়া দাওয়া করার বিনিময়ে কোনো প্রকার শর্ত পূরণের বাধ্যবাধকতা আপনার নেই। স্বাধীন ও দৃঢ়চেতা ব্যক্তি হিসেবে এই মেসেজটাও দেওয়া যেতো। বাসার ঠিকানা না দিতে চাইলে সেটা সরাসরি বলা যেতো। খাওয়া দাওয়া শেষে বাসার ঠিকানা না দিলে কোনো নৈতিক মানদণ্ডে কেউ খাটো হয় না। দেওয়াটা যদিও একটা সামাজিক নর্ম। কিন্তু না দিতে চাইলে সৎসাহসের সাথে নিজের অবস্থান জানানোটা অবিশ্বাসী হিসেবে দৃঢ়তার পরিচয় হতো। অধিকাংশক্ষেত্রেই তারা 'না' গ্রহণে প্রস্তুত থাকে, সলিসিটিং তো থাকবেই, অনেক সেল্স পার্সনও করে। আপনি যা করলেন সেটা নিশ্চয়ই আপনার নৈতিক অবস্থান, রম্য আর রগড়ের বাইরেও এর হয়তো একটা আলাদা মর্ম আছে। আমি আমার ভাবনাটা বললাম।
অসুবিদা নাই বর্ণন দা
হাতের পাঁচটা আঙ্গুল তো সমান হয়না
আমি না হয় সমাজের বদ লোক হয়েই থাকলাম
একটা মাত্র ঘটনা দিয়ে কি কেউ সমাজের খারাপ মানুষটা হয়ে যায়? আমি কিন্তু মোটেও আপনাকে এমন ভাবছি না।
আপনি সুস্বাদু করে লিখেছেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত শক খেয়ে থামতে হলো। নিজের ঠিকানা না দিতে চাইলে সরাসরি মানা করতে পারতেন কিংবা আরও অনেক উপায় বের করতে পারতেন তাকে ঠিকানা না দেয়ার- কিন্তু তার বদলে দিলেন ধোঁকা। বিষয়টি অনৈতিক ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারছি না। দুঃখিত।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
গৌতম দা সহ @ সবাইঃ
বাসার ঠিকানা ভুল দেয়ার আইডিয়া তো ভাই আমার ছিলোনা। এইটা তো আমাকে ঈশ্বর দিছে। এখন যদি বলেন ঈশ্বর দেয় নাই তাইলে তো আপনারা সবাই কাফের!!
আইডিয়াটি আপনারই। ঈশ্বর এইখানে অবান্তর প্রসঙ্গ। অযথা আরেকটি মানুষকে ধোঁকা দেবার দায় নেবার বদলে দাঁত কেলিয়ে হাসতে দেখে অবাক হলাম।
..................................................................
#Banshibir.
পীর ফকীরদের কিছু বলতে গেলেই বিপদ এমন কি পীরদের সামনে হাসা ও যাবেনা
প্রতিটা মানুষের মনে যা যা আসে সব ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী হয়, আপনি আই আয়াত না বিশ্বাস করলে আপনি এক নাম্বারের কাফের। ‘সত্যপীর’ নাম বদলায়ে অনুগ্রহ করেো ‘সত্যকাফের’ রাখতে পারেন
আপনি মিথ্যে বলার দায় নিতে চাইছেন না কেন?
..................................................................
#Banshibir.
পীর সাব
আপ্নে আমার নবী কারন আপনি কোনদিন মিথ্যা বলেন নাই এইবার ঠিক আছে?
প্রথম কথা হচ্ছে সব কিছু এত সিরিয়াসলি নিলে তো হবেনা আমি কারো কাছে খাইতে চাইনাই তার প্যান প্যান ও শুনতে চাই নাই।
যাই হোক তারপর ও আপনার ধর্ম্যানু (নুনু?) ভুতিতে আঘাত লেগে থাকলে আমি দুঃখিত
মিথ্যা বলে ঈশ্বরের উপর চাপায় দিলেন তাই কৈলাম।
..................................................................
#Banshibir.
“মানুষ যাই করে সব ঈশ্বরের ইশারায়। এমন কি গাছের পাতা ও নড়ে ঈশ্বরেরে ইশারায়”
উপরের কথাটা যদি আমি ভুল বলেন তাইলে আপনি নতুন করে আবার কলেমা পড়েন।
..................................................................
#Banshibir.
আপনার ঈমান একদম দুর্বল!
পলিথিনের মতো।
মানুষের প্রতিটা কাজ ঈশ্বর থেকে আসে! এমন কি কখন হাগু চাপবে ওইটা ও
প্রফেসর সাহেব কে নিয়ে কোন লেখা আসবেনা?!
নাহ স্যাম
সচলে পীর ফকির দের আস্তানা হয়ে যাচ্ছে
কাফের দের যায়গা নাই
তার উপর প্রফেসরের নাম নুনু এই সব নাম উচ্চারন করলে অনেকের ওজু ভেঙ্গে যাবে তাই লিখবনা
অনেক দিন পর লিখলেন। আপনার লেখা পড়তে আরাম লাগে। বেশ সুন্দর করে গল্প বলেন।
কোনো বিচ্ছিন্ন একটা দুইটা ঘটনা দিয়ে একটা মানুষকে আমি বিচার করি না, সেটা করা উচিত বলেও মনে করি না। এখানে যে ঘটনাটা বর্ণনা করসেন, সেটা দিয়ে আপনাকে অনৈতিক, অসংবেদনশীল বা প্রতারক বলব না। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মানুষ বিভিন্নভাবে চিন্তা করে, বিভিন্নভাবে কাজ করে। আপনি ধর্মকর্মে বিশ্বাসী না, এবং এ কারণেই ওরকম একটা পরিস্থিতিতে হুট করেই এই কাজ করসেন। সে যাক, এর চেয়ে আরও অনেক "খারাপ" কাজ আমরা অনেকেই করি, যারা হয়ত সার্বিক বিচারে মোটেও "খারাপ" মানুষ না। তবে সেটাও আপনার এই কাজকে "ভালো" সার্টিফাই করে না। কিন্তু ভালো-খারাপ যা-ই হোক না কেন, আমার কাছে পুরা ব্যাপারটাই খুব হালকা আর মজার মনে হলো।
আপনার পরের পোস্টগুলার অপেক্ষায় থাকলাম...
আমি ঠিক আই বিষয়টাই তুলে ধরতে চাচ্ছিলাম। এমন কোন উইক এন্ড নাই যে আমার বাসায় আড্ডা হয়না। একজন ধর্ম যাজক কে দাওয়াত করে খাওয়ানোর সামর্থ্য আমার আছে তবে তার ফালতু আলাপ শুনার ইচ্ছা আমার নাই।
জানিনা ভাই মানুষজন এত সিরিয়াস হলে লেখার ইচ্ছা কমে যায়। ভাবছি লাখালেখি বাদ দিব
দেখেন না একেক জন পীর ফকির হয়ে বেহেশতে যায়গা কিনে ফেলেছে
ভাই, আপনি এমন একটা বিষয় নিয়ে লিখসেন, এটা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কথা, আলোচনা-সমালোচনা, সবই হবে। বিরুদ্ধ মত আসবে। এটা কমিউনিটি ব্লগিংয়ের অংশ। মেনে নিতেই হবে। নানানজন নানানভাবে চিন্তা করবে, সেটা প্রকাশও করবে। সবাই তো আর আপনার মতো করেই ভাববে না একটা বিষয়। পাঠকদের সাথে তাই ধৈর্য ধরে কথাবার্তা চালাতে হবে। লেখালেখি বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া মোটেও ঠিক হবে না। আপনার প্রবাসজীবনে অনেক ঘটনা ঘটে, বোঝাই যাচ্ছে। সেগুলো লিখবেন, এমন প্রত্যাশাই থাকবে। এবং যারা আপনার মতে ঠিক "সহজভাবে" বিষয়টা নিতে পারতেসে না, তাদের দিক থেকেও ব্যাপারটা একটু চিন্তা করে দেখবেন। তাইলে হয়ত আর অতটা অযৌক্তিক লাগবে না।
যাই হোক, লেখালেখিরই অংশ এগুলা। ভালো থাকেন। লেখালেখি চালায়ে যান।
যাঁরা আপনার নৈতিকতা নিয়ে পড়েছে, তাঁরা সর্বদাই সত্য কথা বলে , এমন ভেবে নেয়ার কোন কারণ আছে ? তাবলীগ ভাইদের অত্যাচার বড় ভয়ংকর হয়। আমার পরিচিত একজন ছাত্র হলে ভোর পাঁচটায় ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয়ার জন্য, এক তাবলীগ ভাইকে ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে মারতে গিয়েছিল। ইংরেজ পাদ্রীরা একদা এদেশের মানুষের অভাবে সুযোগ নিয়ে, ব্যাপক আলোক ছড়িয়েছিল। তাঁদের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য যদি কোন বাগদী ছেলে মজাচ্ছলে একটু ঠাট্টা মশকরা করে, তা কি খুব দোষের ? আপনারা মিথ্যার আশ্রয় নেয়াতে যেভাবে মাইন্ড খাইছেন, মনে হয় পাদ্রী সাহেবও এতটা মাইন্ড খাইতো না।
কিছু বলার নাই ভাই
চার পাশে এত আদর্শবান লোক দেখে আমি আশাবাদী। আমি ছাড়া সামনের দিকে কাউরে পাইবেনা না যে প্রতারক।
দোয়া রাইখেন আমিও ঈমানের রাস্তায় ফিরা আসতেছি
আপনার লেখার প্রতিক্রিয়া আপনার মনমতো না হলে "সচল পীর ফকিরের আস্তানা হয়ে গেছে" টাইপ মন্তব্য করা থেকে ভবিষ্যতে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে গেলাম।
অনুরোধের বিষয়টা অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে নেয়া হল।
একই সাথে মানুষ জনের “আদর্শ (?)” দেখে ভয় পাইলাম। অতি তুচ্চাতিচুচ্ছ বিসয় নিয়ে সবাই এমন সিরিয়াসলি নিবে এটা আমি চিন্তাও করতে পারিনাই।
ভুলটা আমারই ছিল। পোস্টটা যদি কোন ভাবে কেটে দেয়া যেত আমি কেটে দিতাম...
মানুষজন সিরিয়াসলি নিবে এইটাও হয়তো ঈশ্বরের ইচ্ছা। আপনি তো এই পয়েন্ট বরাবরই ঠেলছেন বারবার, তাই না?
এই কথাটা পছন্দ হইছে! মন মেজাজ খারাপ হয়ে গেছিল কেউ কেউ প্রতারক বলে ফেলে পুরা ঘটনা না জেনেই। তবে পীর সাবের মুরিদ হতে চাই উনার হাদিয়া কত? আমি ছাত্র হাফ ভাড়া টাইপের কিছু থাকলে উনার কাছে অনুরোধ রইল। মুরিদ হয়ে আদর্শবান হয়ে দেশে ফিরে গিয়ে আব্বা আম্মাকে বলব আমি মানুষের মতো মানুষ হয়ে ফিরে এসেছি
"পুরা ঘটনা" কি এই লেখায় বলা হয়নি? যদি বলা না হয়ে থাকে, সম্পূরক অংশ যোগ করে দিন। পুরা ঘটনা সবাই জানুক। তার আগ পর্যন্ত সত্যপীরের পায়ে পা প্যাঁচায়ে ঝগড়া করে তো লাভ নাই। আপনি যা লিখেছেন তা পড়েই তো লোকে মন্তব্য করবে।
আর ইচ্ছা করতেছেনা হিমু ভাই
খুব সম্ভবত সচলে এটাই আমার শেষ পোস্ট!
প্রতারকদের আবার লেখালেখির প্রয়জন কি? এরা করবে প্রতারনা-মিথ্যাচার। আর পীর দরবেশরা শুধরে দিবে এটাই নিয়ম।
[চার্চের আয়ের উৎস নিয়ে কিছুটা লিখছি নিচের (সজল ভাইয়ের উত্তরে) দেখতে পারেন]
লিখতে ইচ্ছা না করলে লিখবেন না। কিন্তু একবার লিখে ফেলার পর সেইটার প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি আপনাকে হতে হবে। সেই প্রতিক্রিয়া সবসময় আপনার মনমতো হবে না। পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাতে গিয়ে সচল পীর দরবেশে ভরে যাচ্ছে টাইপ কথা বললে আপনাকে আরো কথা শুনতে হবে। আপনি চার্চের টাকায় একবেলা খেয়েছেন না দশবেলা, সেইটা নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নাই।
একটা ঘটনায় আপনারে সবাই খারাপ ভাবছে ব্যাপারটা এমন না। কিন্তু লজিক্যালি চিন্তা করেন একটু। যে বিশ্বাস করে ঈশ্বর সবকিছু করান, তার জন্য আপনার যুক্তি চলে। কিন্তু ধরেন, আমি অ্যাথিস্ট, আমি জানি যে আমার কাজকর্মের দায় আমার। আমার কাছেতো আপনার এই যুক্তি চলবে না। আমি আপনার কাজের জন্য আপনাকেই দায়ী করব।
আমি এই পার্টিকুলার ঘটনার সমালোচনা করলাম মানে আমি সব ক্ষেত্রে ফেরেশতা, ব্যাপারটা কিন্তু তা না। কিন্তু আমরা যখন অবজেক্টিভলি চিন্তা করব, তখন ঘটনাটা কে করল, আমি ভালো নাকি খারাপ তাতো বিবেচ্য না। ঘটনাটা নিজের মেরিটেই বিচার্য্য।
মাথা ঠান্ডা করে ভাবেন
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সজল ভাই
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
কোন বিচিত্র কারনে আমার মনে হয় যারা সারাদিন মানুষজনদের ঠকায় তাদের ঠকানোতে দোষের কিছু নাই। চার্চের আয় কি? আমার সেলারি থেকে দুই রকম সোশ্যাল চার্জ কাটা হয় একটা সোশ্যাল সিকিউরিটি আরেকটা সোশ্যাল ভ্যলু ট্যাক্স। সোশ্যাল সিকিউরিটি হচ্ছে এই ধরেন আমি যদি রাস্তায় এক্সিডেন্ট হয়ে মারা যাই আমার লাশ পৌঁছে দেয়া কিংবা সৎকার করার দাইত্য। আর সোশ্যাল ভ্যালু ট্যাক্স হচ্ছে নতিকতার জন্য ট্যাক্স যেটা মুলত চার্চ গুলাতে যায়। নৈতিকতার জন্য আমি মনে করি ধর্মের প্রয়োজন নাই আইনই যথেষ্ট!
বিস্তারিত জেতে পারি আপনার সাথে কিন্ত কেন যেন মনে হয় প্রতারক হয়ে থাকার একটা আনন্দ আছে। আমি না হয় চার্চের টাকায় এক বেলা খেয়ে প্রতারক হয়েই রইলাম।
ধরেন চার্চের টাকায় একবেলা খেয়ে তারপর বললেন আপনাকে অ্যাড্রেস দিব না, তাতে আমিও কিন্তু দাঁত বের করে হাসতাম।
চার্চ বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠাণের আয়-রোজগার নিয়ে আমার বেশ তিক্ত অভিজ্ঞতাই আছে, আমি মনে প্রাণে চাই সমাজের এই অনুৎপাদনশীল খাতে টাকার ড্রেইনেজ বন্ধ হোক।
প্রসঙ্গত আরেকটা কথা বলি। তর্কাতর্কিতে কিন্তু একমত হতেই হবে এমন কোন কথা না। তর্কাতর্কির ফলে আমরা সবকটা পারস্পেকটিভের সাথে পরিচিত হতে পারি, তাতে আমাদের চিন্তাজগতে কিছু হলেও পরিবর্তন আসে। তাই আপনার মতের সাথে মিলল না বলেই রাগ করে লিখব না, এই রকম কোন সিদ্ধান্ত নিয়েন না।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
মজার কাহিনীর পেছনেও নৈতিকতার অস্বস্তিকর প্রশ্নটা দাঁড়িয়েই থাকে, যেটা নিয়ে আমি, গৌতমদা, ধ্রুব বর্ণন, সত্যপীর অনেকেই বলছেন। সেই বাস্তবটাকে 'ইশ্বরের ইচ্ছা' টাইপের ব্যঙ্গ-উত্তর দিয়ে এড়ানো যায় না। সেই সমালোচনাটাকে মেনে নিয়ে তুমি ধ্রুব বর্ণন ভাইকে যে উত্তর দিয়েছ সেটা ঠিক আছে। কিন্তু সত্যপীরের সঙ্গে (বা হিমুদার সঙ্গে আলোচনায় তার সম্বন্ধে) যে ধরনের মন্তব্য করেছ তাতে আপত্তি জানালাম।
আর যদি অন্য কোনো ব্লগে গিয়ে লিখতে শুরু করো যেখানে কাউকে ঠকিয়ে মজা করায় কেবল উত্তম জাঝাই আসে, সেই ব্লগ সম্পর্কেই বরং সতর্ক হতে বলব।
মাহমুদ তার পোস্টে একটা ঘটনা বর্ণনা করেছে। ঘটনাটা তার কাছে হয়ত মজার মনে হওয়ায় সে শেয়ার করেছে (এই ঘটনার একটা শিক্ষনীয় দিকও আছে। যারা এ ধরনের পরিস্থিতিতে কখনো পড়েন নি, তারা যদি পড়েন তখন কী করবেন, এ পোস্ট পড়ে সেটা নিয়ে চিন্তা করার একটা সুযোগ পেলেন)। কিন্তু এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার নৈতিকতা নিয়ে টানাটানি ভালো লাগলো না। ঐ যাজক যেটা করেছে সেটা বরং এক ধরনের ব্ল্যাকমেইলিং। খাওয়ানোর টোপ দিয়ে ধর্মপ্রচার ও বাসার ঠিকানা আদায়ের চেষ্টা যাতে পরবর্তীতে নানাভাবে আরো বিরক্ত করা যায়। আমাদের কলেজে শিবিরও ঠিক এইভাবে তাদের সংগঠনের ফর্ম ফিলাপ করাতো যেটা এই পোস্টে বলেছিলাম। এই যাজকের সাথে শিবিরের স্ট্রাটেজির কোন পার্থক্য নাই। এইখানে এদের স্ট্র্যাটেজি হলো- আমি তোমাকে খাইয়েছি বা কিছু একটা দিয়েছি, বিনিময়ে তুমি আমাকে কিছু দেবে (এড্রেস বা ফর্ম ফিলাপ ইত্যাদি)- এ ধরনের একটা মানসিক চাপ সৃষ্টি করে তারা তাদের কার্যসিদ্ধি করতে চেষ্টা করে। যারা বলছেন এক্ষেত্রে বা এসব ক্ষেত্রে নৈতিকতা বজায় রেখে সোজাসুজি ‘না’ বলা উচিত- তারা এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়লে বুঝবেন যে এগুলো মোকাবেলা করা আসলে এত সহজ নয়। ঐ লোক যেহেতু খাওয়ানোর পরে কৌশলমতো ঠিকানা আদায়ের চেষ্টা করছিলো, তখন ভুল ঠিকানা দিয়ে তার খপ্পর থেকে বাঁচার চেষ্টায় নৈতিকতার কোনো হানি হয়েছে বলে মনে হয় না।
শিবিরকে সরাসরি না বললে তাদের দিক থেকে হিংসার বা নানারকমভাবে বিপদে ফেলার সম্ভাবনা আছে। এই যাজককে না বললে তো সেরকম সম্ভাবনা নেই। একটু বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হবে বটে, কিন্তু সে তুলনায় ওটা কিছুই না।
যাজক যেটা করতে পারত সেটা প্রত্যক্ষ ব্ল্যাকমেইলিং না, ইমোশনাল ব্ল্যাকমেলিং বলতে পারেন - তাও বাস্তবে সে সেটা করেনি - ঠিকানা দিতে অস্বীকার করলে করত হয়ত, যে তোমাকে খাওয়ালাম কিন্তু তুমি কেমন মানুষ যে এটুকু করতে পারছ না... তবে বাস্তব ব্ল্যাকমেলিংয়ের মত এক্ষেত্রে তার কাছে কিছুই জিম্মা নেই, একটু কঠোর হলেই সে পরিস্থিতি পেছনে ফেলে বেরিয়ে আসা যায়।
ভাবনাটা একেবারে ফেলে দেয়া যায় না। এই কাজটার একটা ব্যাখ্যামূলক অবস্থানই জানতে চাচ্ছিলাম। ব্যক্তিগতভাবে না নিয়ে, বিষয়টা নিয়ে যে আমরা আলাপ করার সুযোগ পেয়েছি, সেটা বরং কাজে লাগানো যায়।
আপনার সাথে এক্ষেত্রে একমত। ঘটনাটাকে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্যাখ্যা করাই মনে হয় যুক্তিযুক্ত আলোচনা হবে। এখানে লেখক এর ব্যক্তিগত নৈতিকতা মুখ্য না হলেও চলে। আর আমার বাস্তব সামাজিক অভিজ্ঞতা থেকে দেখি নৈতিকতার মানদন্ড আবার অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবর্তিত হয়। আমরা অনেকেই নানারকম পরিস্থিতিতে ভিন্ন ভিন্ন সিদ্ধান্ত নেই। অহেতুক ঝামেলার হাত থেকে বাঁচা আর ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষ ঠকানোর মাঝে একটা বড় ব্যবধান আছে। আমার মতে, যেখানে চার্চ/ধর্মযাজক মানুষ ঠকিয়ে চলেছেন তার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমি সাধারণ নৈতিকতার মানদন্ডে আচরণ করতে অনাগ্রহী।
মাহমুদ ভাইয়ের ঘটনাটি ধর্মযাজক সংক্রান্ত না হয়ে অন্য ঘটনাও হতে পারতো যেখানে একজন নাছোরবান্দা ব্যক্তির হাত থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য তাকে অনুরূপ সিদ্ধান্তই হয়তো নিতে হতো। পরিস্থিতির খাতিরে মাহমুদের সিদ্ধান্ত হয়তো অনেকের কাছেই গ্রহনযোগ্য হবেনা কিন্তু একই কথা বাকিদের ক্ষেত্রেও খাটে, তাদের সিদ্ধান্তও যে ব্যক্তি মাহমুদের পছন্দসই হবে এমন তো কথা নেই।
পুরো ঘটনার কোথাও তো বলা হয়নি যে ব্যক্তি মাহমুদ নিজে যেচে সেই ব্যক্তির সাথে আলাপ করতে গিয়েছে কিংবা বন্ধুত্বের কোনো আশ্বাস দিয়েছে। বরং ধর্মে এবং ঈশ্বরে বিশ্বাসী না দেখে সেই যাজক তাকে লাঞ্চ করানোর কথা বলে সেই সময়টুকু গ্রহণ করেছে তার ধর্মবাক্য শোনানোর জন্য কিংবা মাহমুদকে ঈশ্বর সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলার জন্য। ঘটনার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দেখলে এতটুকু সিদ্ধান্তে তো আসা যায় যে, ধর্মযাজক তার জন্য নির্ধারিত সময়ে মাহমুদকে ঈশ্বর সম্পর্কে আগ্রহী করতে ব্যর্থ হয়েছেন!! তিনি বাসার ঠিকানা চেয়ে যে দ্বিতীয় একটি সুযোগ সন্ধান করছেন তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে যদি মাহমুদ ঠিকানা না দেয়/কিংবা ভুল ঠিকানা দেয় তাহলে পূর্ববর্তী ঘটনাগুলোর সাথে এই ঘটনাটিকেও একসাথে দেখার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।
আর অনেকেই এখানে নৈতিকতার প্রশ্ন তুলছেন যার অর্থটা আসলে মাহমুদের বিশ্বাস/অবিশ্বাসের উপরে ভিত্তি করে, যা একটি পুরনো তর্ক, যে নাস্তিকরা নৈতিকতাসম্পন্ন হয়না। এই "মোরালিটি কোয়েশ্চেন" অনেক পুরনো প্যাঁচাল!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
একটা সময় ছিল আমি প্রচণ্ড বিনয়ী ছিলাম
(অনেকটা বিনয় কুমার শিলের মতোই) কিন্ত ইদানীং কাউরে আর গুনতে ইচ্ছা করেনা, সে যেই হোক
আগামীতে যতবারই ধর্ম যাজকরা খাওয়ায় প্রতিবার ই খাব পরে ভুল ঠিকানা দিব।
যাদের আয়ের উৎস সৎ না তাদের সাথে আবার নৈতিকতা কিসের?
[পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ অরফিয়াসঃ যদিও খোঁড়াতে খোঁড়াতে আমি এখন একাই চলতে শুরু করেছি] আপনার "একদিন ভোর হবেই" কথাটা আমার খুব পছন্দ নানান যায়গায় ব্যাবহার করি আমি
ব্যাপার না, এরকম হয়। নিজেও একই অবস্থার সম্মুখীন হয়েছি অনেকবার তাই আপনার মানসিক অবস্থাটা একটু হলেও বুঝি। ধন্যবাদের কিছুই নেই। তবে লেখা থামাবেন না, চালিয়ে যান। লেখা থামানো মানে সমালোচনার কাছে পরাজয় স্বীকার করে নেয়া !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমি ধারণা নিয়ে তাত্ত্বিক, দার্শনিক আলাপে আগ্রহী, ব্যক্তিকে শূলে না চড়িয়ে। আমার এই লক্ষ্যে ব্যক্তিকে শূলে চড়ানো অনেক সময়েই ডিস্ট্র্যাকশন। এই লেখায় মন্তব্যের পরিণতি আমার জন্য একটা উপলব্ধি তৈরি করলো। আমার আগ্রহ যেহেতু ব্যক্তিকে শূলে চড়ানোর চেষ্টা নয়, সেটা আগে পরিষ্কার করা হয়তো দরকার ছিলো। যেমন, নিশ্চিত হয়তো করা যেতো যে মাহমুদ সাহেবের ভুল ঠিকানা দেওয়ার ব্যক্তিগত অবস্থানটাকে সমালোচনা করাটা মোটেও আমার উদ্দেশ্য নয়। বরং ওনার " আগামীতে যতবারই ধর্ম যাজকরা খাওয়ায় প্রতিবার ই খাব পরে ভুল ঠিকানা দিব" সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা পোষণ করছি। এটা কি ভালো খারাপ? সেটা জাজমেন্টের প্রশ্ন। এই ব্যাপারে আমার জাজমেন্ট থাকতে পারে। কিন্তু ওনার কি এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে? এটা যদি বেআইনি না হয়, তাহলে তো আছেই। মাহমুদ সাহেবের এই অধিকার মেনে নিলে এই ধারণাগুলো নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে বিভিন্ন আলাপ করতে তিনিও নিশ্চয়ই আপত্তি করতেন না।
মাহমুদ সাহেব, বেআইনি না, এমন কাজ করার পূর্ণ অধিকার আপনার আছে। নৈতিকতা নিয়ে আলাপ মানে তা আপনার উপর চাপানোর চেষ্টা এমন মনে করবেন না প্লিজ। এটুকুতে আপত্তি না থাকলে আসুন আমরা দেখি জিনিসটা নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় আলাপ করা যায় কিনা। আমার অবস্থানটা বলি। এই অবস্থান সর্বজনীন কিছু নয়। এর সাথে দ্বিমত হওয়ার সকল সুযোগ আছে। আলাপের উদ্দেশ্য কেবল আমরা যাতে মুক্তভাবে চিন্তা করে উত্তম ভাবনাগুলো বের করে আনতে পারি।
আমার মনে হয়, চার্চের জন্যে ট্যাক্সিং হলো স্টেট চার্চ সেপারেশনের সম্পূর্ণ বিপরীত, ও এটা অবিলম্বে বিলুপ্ত করা উচিত। এবং দায়টা স্টেটের, কারণ টাকাটা জোর করে কালেক্ট করছে স্টেট, নট চার্চ। কিন্তু এটা যেহেতু বেআইনি নয়, তাহলে চার্চের এই আয়টা এই মুহূর্তে অসৎও নয়। আবার আমি নিজে একজন অবিশ্বাসী হিসেবে চাই যে অবিশ্বাসী বলে যাতে আমাকে লুকিয়ে থাকতে না হয়, সরাসরি নিজের মতামতের সহিত মাথা উঁচু করে মানুষের সামনে প্রকাশিত হই। আবারও। এটা কেবলই আমার ভাবনা। এই ভাবনায় ভুল থাকলে পর্যাপ্ত যুক্তি দিয়ে নিশ্চয়ই তা ধরিয়ে দেয়াও যাবে। আর যেহেতু বেআইনি নয় এমন সবকিছু করার অধিকারই আপনার আছে, ফলে নিশ্চিন্ত মনে যুক্তি দিয়ে আলাপ করতে, বা অন্তত আলাপ করতে দিতে নিশ্চয়ই আপনার আপত্তি থাকবে না।
লেখক তো বলছেন না যে উনি পরিস্থিতির জটিলতা/কোনরকম ভীতি থেকে ভুল ঠিকানা দিয়েছেন। উনি ওনার ধোঁকা দেয়ার কৌশলে এবং রসিকতায় অত্যন্ত গর্বিত। তারপর প্রতিমন্তব্যে যেভাবে যা খুশি তাই বলে আক্রমণ চালাচ্ছেন, সেটাও যথেষ্ট আপত্তিকর।
চারিদিকে তাকালে অনুভব করি আমাদের নৈতিক/অনৈতিক ধারনাগুলো ক্রমশ ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। এই লেখাটাও তার একটা প্রতিফলন মাত্র।
আগের মন্তব্যগুলোয় নাম লিখতে ভুলে গেছি। জনাব মাহমুদ অবশ্য আমার একটা নাম দিয়েছেন "বিরল প্রজাতি"।
-এক জোনাকি
তানভীর ভাই
সবাই আপনার মতো করে নিবে বলেই আমি আসলে রম্য আকারে বিষয় টা তুলে ধরেছি! আর আমার শেষ প্যারাগ্রাফে একটা ডিসক্লেইমার দিয়েছিলাম চার্চের টাকার উৎস নিয়ে তারপর সবাই নৈতিকতা নিয়ে এমন কঠিন মন্তব্য করবে এটা আমি চিন্তা করতে পারিনি। সবচে খারাপ লেগেছে যে যে ব্লগারদের কারনে আমি সচলে এসেছি ওরা ও পীর দরবেশদের সাপোর্ট করছে! তাই কিছুই বলার নাই। প্রতিমাসে আমার সেলারি থেকে ৫.৪০ ফ্রাঙ্ক কেটে নেয় চার্চের জন্য যেটা ৩০ মাস হিসাব করলে ১৬০ ফ্রাংকের মতো হয় যেটা দিয়ে আমি চার বার রেস্টুরেন্টে খেতে পারতাম। কথা হচ্ছে এই টাকাটা আমি দিতে চাইনা তারপর ও সুইস সরকার এটা চার্চের জন্য নিবে কেন? এমন কি এই টাকার অংশ হিসাবে মুসলিমরা চাচ্ছে আরও বেশি মসজিদ হোক আমি এটার ও বিপক্ষে। বললাম না লিখতে গেলে অনেক কিছু লিখা যায়। এই বিষয়টা নিয়ে সুইজারল্যান্ডে ভোট হয়েছে আমি বন্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছি।
আজ সারাদিন CERN এ কাটালাম অদ্ভুত চমৎকার সব অভিজ্ঞাতা! হাতি মার্কা একটা ব্লগ তৈরি করছি শেষ হলে আপানাকে লিংক দিব। সচলে লেখা হবেনা হয়তো আর নিজের ব্লগে রাখাই বেটার এ ক্ষেত্রে জবাবদিহিতার ঝামেলা কম। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে সাধারন মানুষের সাথে ঝামেলায় জাইনা তবে ধর্ম ভিরু পীর দরবেশদের সাথে পায়ে পা বাড়ী দিয়ে ঝগড়া করতে ভালো লাগে এটা অস্বীকার করবোনা। এদের সাথে আমার নানান বিষয়ে হিসাব নিকাশ বাকি আছে। তার উপর শিবির কর্মীদের সাথে লাগতে গিয়ে দুই দিন হাসপাতালে থাকার অভিজ্ঞাতা আমি এত সহজে ভুলে জেতে পারিনা। ওই খানেও ধর্মই কারন ছিল
যাইহোক ভালো থাকবেন
CERN এর ব্যাপারটাও কি "আপনাকে একদিন দাওয়াত দেব ভেবেছিলাম,পরে কি অভিযোগ করে বসেন তাই আর দিলাম না" গোছের কিছু?
১।. মাহমুদ ভাই, একটা ঘটনা দিয়ে একজনকে সারাজীবনের মতো বিচার করার পরিস্থিত এখানে হয় নাই, এবং সেইটা আপনারে কেউ বলেও নাই (বললে আমার চোখ এড়ায়া গেছে); বরং আপনি নিজেই বারবার সেটা টেনে আনছেন। অনেকেই বলার চেষ্টা করেছেন- এই ঘটনাটা নৈতিকতার দিক দিয়ে ঠিক হয় নাই। এখন এর ভিত্তিতে যদি আপনি ধরে নেন, আপনি বদ; তাহলে সেইটার দায় আপনার।
২।. পৃথিবীতে কোনো মানুষই সম্ভবত গঙ্গা নদীর পানিতে ধোঁয়া তুলসিপাতা নয়; কিন্তু মজার হলেও মানুষ সব ঘটনা নিয়ে বড়াই করে না। হয়তো পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে অনেক খারাপ কাজও করতে হয়; কিন্তু তা নিয়ে পাবলিক ফোরামে আলোচনা করতে খুব কম ক্ষেত্রেই দেখেছি। আপনার লেখা পড়ে আমার মনে হয়েছে, এক্ষেত্রে এমন কোনো পরিস্থিতি হয় নাই যে, ভুল ঠিকানা দিতে হবে- বরং আপনি সরাসরি না করে দিলে পুরা লেখার মজাটা ভালোভাবে নিতে পারতাম। যা হোক, আমার মতামত শুধু এই লেখার পরিপ্রেক্ষিতে মতামত হিসেবেই নিবেন, ব্যক্তি মাহমুদকে যাচাই করতে বসি নি আমি।
৩।. বাই দা ওয়ে, ঈশ্বরের দোহাই তো দিচ্ছেন বারবার। আপনার WRE ফোরামে প্রকাশিত R টিউটোরিয়ালগুলো ডাউনলোড করে প্রথম আর শেষ স্লাইডগুলো বদলে আমার নাম বসিয়ে দিয়ে প্রচার করি, তখনও কি ঈশ্বরের দোহাই দিবেন? জাস্ট কিডিং!
৪।. একটা ঘটনায় কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন বলে সচলে লিখবো না- এই টোনটা একদমই পছন্দ হলো না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
দিয়েদেন ঈমানে কইলাম কিছু মনে করবোনা!
লিখিত স্টেটমেন্ট দিলাম! ভাই কারো কাছে কিছু পাওয়ার আসা তো দুরের কথা শরিল মরিল সব দিয়া দেয়ার কথা ভাবছি সেই যায়গায় R Tutorial তো পানিভাত
ভালো থাকবেন বস, খালিদের সাথে আলাপ হইছে মেলা কয়বার আপনারে নিয়া। খালিদ এখন আমিরিকায় সুখে শান্তিতে শিকাগো থাকে
হে হে হে, নেটের যে স্পিড, ডাউনলোড করতে করতেই সময় শেষ! নাম বসামু কখন?
হুম জানি। ওরে কি আপনারা খালেদ ডাকেন? আমরা ডাকি রুবেল। ...দেখেন ওর কাছ থেকে পারলে হুমায়ূন আহমেদ বিষয়ক লেখা আদায় করেন। ওর বাবা কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের মামা।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
মাহমুদ ভাই, আপনি আপনার অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন। সচল পীর ফকিরের আড্ডা, এইটাও নিশ্চয় আপনার অভিজ্ঞতা থেকেই লিখেছেন। সেখানে অবাক হচ্ছিনা। কিন্তু পাঠকের মন্তব্যে আপনার প্রতিক্রিয়া একেবারে ছেলেমানুষি হয়ে যাচ্ছে। আপনার যেমন নিজস্ব মতামত থাকতেই পারে, সেটা যেমন প্রকাশের স্বাধীনতা আপনি নিলেন, তেমনি সেটা পড়ে পাঠক তার নিজস্ব চিন্তা বা মতামত জানিয়ে যেতে পারে না? আপনি যেমন মন্তব্যের অর্থ করছেন নিজের মত করে আর লেখালেখি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছেন তেমনি পাঠকও আপনার প্রতিক্রিয়ার নিজস্ব অর্থ করতে পারে এবং প্রতিউত্তর দিয়ে যেতে পারে। এখানে লেখালেখি করা বা ছেড়ে দেয়া আপনার ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত, কিন্তু সচলের লেখক পাঠকের ঢালাও গুষ্টিউদ্ধার বা কোন ব্যাক্তি বিশেষের প্রতি বারবার আক্রমণাত্মক মন্তব্যের দরকারটা কি?
আশা করি আপনার নতুন পোস্ট পড়তে পারবো শিগগীর।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
লেখা ভাল্লাগছে। অ্যাড্রেস চাইতে পারে জানলে হয়ত আপনি খেতেই যেতেন না। খাওয়ার পরে যেহেতু ঠিকানা চেয়েছে তখন খাবার তো আনডু করার উপায় নেই। তাই ভুল এড্রেস দিয়ে অ্যাভয়েড করেছেন। এই ধরণের একটা আইডিয়া পেলাম। এখানে আপনার নেগেটিভ ভূমিকার চেয়ে বাটে পড়াটাই আমার কাছে প্রধান মনে হয়েছে।
আমার মনে হয় এ বিষয়ে কথা আর না বাড়ানোই ভালো।
মুর্শেদ ভাই, এই সহজ বিষয়টা লোকে কেন সহজভাবে বুঝতে পারল না, উল্টা লেখকের নৈতিকতা বিচার করতে লেগে গেল। "We judge people by their activity but wants to be judged on the basis of own's perspective." লেখকের দিকে আঙ্গুল তোলা দেখে আমার এইটা মনে হয়ছে।
লিখাটা পড়ে মজা পেলাম ! যদিও আমি ভাই পুরা আস্তিক মানুষ। কিন্তু ভাই - বেরাদররা এত খেপল কেন বুঝলাম না ! হ্যাঁ, এটা যদি এমন হত যে কোন পথচারী ঠিকানা জানতে চাইল আর ফাজিল ছেলে তাকে ইচ্ছাকৃত ভুল ঠিকানা দিল তাইলে ওটা হতো চরম খারাপ কাজ ( আমার এক পরিচিত ছেলে এমন "মজার কাজ" করে আড্ডাতে বলতে গেছিল, বাকী সবার গালি - গালাজ খেয়ে বুঝতে পেরেছিল মজাটা কি ! )।
আমি জানি যে এখানে যারা লিখেন, পড়েন তাদের সেন্স অফ হিউমার থাকবে, ধৈর্য শক্তি থাকবে। কোন সমালোচনা করলেও একটা সীমা থাকবে। কিন্তু নিজের ভাই - বেরাদরদের এমন ভাবে কাইজ্জা করতে দেখে ভাল লাগলো না, লাগার কথাও না।
# ঠিকানা বলতে পথচারীর কোন প্রয়োজনীয় ঠিকানা।
নতুন মন্তব্য করুন