আমেরিকা এসে এখানকার একজনের কাছে প্রথম যখন শুনেছিলাম, তার পরিবার ঘাসের ব্যবসা করে; হঠাৎ করে শুনে প্রথমে কিছুটা থমকে যাই। একসময় বুঝতে পারি, ঘাসের ব্যবসা এখানে বেশ লাভজনক ব্যবসাই। জমির পর জমি এরা ঘাসের চাষ করে যায়। বিভিন্ন জাতের বাহারি ঘাস। সৌখিন মানুষেরা সেই সব ঘাস কিনে নিয়ে লাগায় নিজ বাড়ির আঙিনায়, কিংবা অফিসের চারপাশে। এরা বলে গ্রাস ফার্ম বা ঘাস খামার। শুধু ঘাস নয়, আছে আমাদের দেশের মত কৃষিখামারও।
যে বন্য সুখে আমি বড় হয়েছি, সেটা এখানে বিরল। ছোটবেলায় কাদা মাটি ছিল, কলমি ফুল ছিল। শীতের সকালে কুয়াশার ভীড়ে লুকিয়ে থাকা ডাহুক ছিল। কচুরি পানা ছিলো, লাউয়ের ডগায় বসে থাকা ফিঙে ছিল। উত্তর আকাশে ধ্রুব তারাটি ছিলো। কুমড়ো ফুল আর রক্তজবারা ছিলো। শিমুল গাছের ছায়া-ঢাকা গাঁয়ের মেঠো পথটি ছিলো। বাংলায় আমার চারপাশের একমাত্র শিল্পী, একমাত্র স্থপতি ছিলো প্রকৃতি। সে মনের সুখে নিজের মত করে সাজিয়ে নিতো দশ দিগন্ত।
এখানে, আধুনিক প্রযুক্তি, অত্যাধুনিক জীবন-যাপন। চোখ মেলে তাকালেই আকাশ ছোঁয়া ভবন। তবু, এখনো কেন জানি, আকাশ নয়, মাটির কাছাকাছি কোথাও ছুটে গেলেই সবচেয়ে বেশি স্বস্তি বোধ করি। তবে, আনন্দের ব্যাপার হচ্ছে, শহর থেকে বেরিয়ে গেলে এখানেও পাওয়া যায় প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্য। কি জানি, হয়তো একটা কৃষি খামারই হতে পারে, প্রকৃতির সেরকম এক আনন্দভূমি। অন্ততপক্ষে, কিছুটা বৈচিত্রতো থাকবেই। ইট পাথরের শহরের চেয়েতো আলাদা হবে। সে আশা মনে নিয়ে, একদিন ঠিকই গিয়ে উপস্থিত হলাম, পাহাড়ী উপত্যকার মাঝে গড়ে উঠা এখানকার এক কৃষি খামারে।
একটা নয়, একসাথে অনেকগুলো খামারই আসলে ছিলো। খামারগুলোর মাঝ দিয়ে যেতে যেতে দেখছিলাম কোনোটায় গরু আছে তো অন্যটাতে আছে ঘোড়া, কোথাও বা আবার জড়ো করে রাখা আছে শুকনো খড়ের স্তূপ। তবে, প্রায় সবগুলো খামারেই আছে সব্জির বাগান।
এক সাথে অনেকগুলো খামার থাকার বেশ কিছু সুবিধাও আছে। কর্তৃপক্ষ তাদের জন্য রাস্তা করে দিয়েছে, খাল কেটে দিয়েছে; যাতে করে পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসা পানি উপত্যকা থেকে সহজে বেরিয়ে যেতে পারে।
আমার যেখানে যাওয়ার কথা সেখানে গিয়ে ঢোকার পথেই দেখি চিক-চিক ডাকে ধূলো উড়িয়ে দৌঁড়ে বেড়াচ্ছে মুরগীর বাচ্চাগুলো। খুবই সাধারণ একটা দৃশ্য, কিন্তু সেটাই আমার কাছে অনন্য আনন্দের উৎস হয়ে দাঁড়ালো। ফার্মের মালিক ভদ্রমহিলা এগিয়ে এসে ভিতরে নিয়ে গেলেন।
খানিকটা সময়ের পর উনার সাথে বেরিয়ে পড়ি। তিনি বলে গেলেন ফার্মটি গড়ে উঠার ছোট্ট ইতিহাস। সেটা বর্ণনা করতে গিয়ে বারবার বেশ আবেগী হয়ে উঠলেন। বুঝা যায় খুব আগ্রহ নিয়ে তিনি এখানে আছেন।
কিন্তু, অত ইতিহাস বলার সময় কি আর আছে! কাজের সময়ে কাজ। সামনে নতুন বীজ বপণ করতে হবে। তাই, কিছুক্ষণের মধ্যেই কোন দিকে যেতে হবে সেটা দেখিয়ে দিয়েই, নিজ গিয়ে উপস্থিত হলেন জমির মাঝখানে। চালাতে শুরু করেলেন ট্রাক্টর।
ফিরে এলে উনাকে জিজ্ঞেস করলাম, কত জন থাকেন এই ফার্মে। উনি বললেন, রাতে দুইজন এখানে থাকেন, তাদের ফ্যামিলি এখানে। আর, দিনে আরো দুইজন আসে কাজ করতে। মাত্র চারজন, উনি সহ পাঁচজন।
এত বড় ফার্ম অথচ মাত্র চার-পাঁচজন লোক মিলে চালিয়ে নিচ্ছেন। তার উপর আবার বেশ কিছু গবাদি পশুও আছে। শুধু কি তাই, উনার ফার্মের গরুর সাথে পাশের ফার্মের ষাঁড়ের কি পরিমাণ ব্যাপক প্রেম, সে কাহিনীও জানাতে ভুললেন না।
আমি অবশ্য অপেক্ষা করছিলাম রাখাল দেখার জন্য; অপেক্ষা করছিলাম কে এই গবাদি পশুগুলোকে সামলায়, সেটা দেখার জন্য। ততক্ষণে, কোনো ধরণের সম্ভাবনা না থাকার পরও, আমার চোখের উপর ভাসতে শুরু করেছে কোমরে বাঁধা গামছা, হাতে ছড়ি, কানে বাজতে শুরু করেছে বাঁশি। কিন্তু, কিসের কি! আমেরিকান রাখাল আসলো জিন্স আর কেডস্ পায়ে, কপালের উপরে তোলা সানগ্লাস। তার থেকেও বড় কথা রাখাল নয়, রাখালী। সে-সময়ে মনে মনে শুধু ভাবছিলাম, আজ পল্লীকবি জসিম উদ্দিন যদি সাথে থাকতো, তাহলে অনুরোধ করে বলতাম- লেখেন দেখি দুই একটা লাইন, শুনে প্রাণ ভরাই!
এত সব কিছুর মাঝেও, অনেক অনেক দূর থেকে, প্রায় সবগুলো খামারেই থাকা সাদা সাদা কিছু জিনিস চোখে পড়ছিলো। সাদা রঙের প্লাস্টিকে ঢাকা, স্তূপ করে রাখা কোন এক বস্তু। কোনো ভাবেই সেটা কি জিনিস ধারণা করতে পারলাম না। উপায়ান্তর না দেখে, আমার খামার মালিককে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি জানালেন- শীতের সময় সব কিছু তুষারের নীচে ঢাকা পড়ে যাবে। তখন মাঠে ঘাস থাকবে না। তাই, গবাদি পশু গুলোর শীতকালীন খাবারের জন্য, স্তূপ করে সবাই ঘাস সংরক্ষণ করে রাখে। বুঝতে পারলাম, এ-সমস্যাটা আমাদের দেশে নেই।
পার্বত্য উপত্যকা এমনিতেই আমার খুব পছন্দের। তার উপর, সেখানটাতে যদি থাকে এত সব আয়োজন, তাহলেতো আর কথাই নেই। আবার যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে, ফিরে আসার সময় ভদ্রমহিলাকে জিজ্ঞেস করলাম, শহর থেকে দূরের এই জনবিরল এলাকায় কেমন থাকে রাতের বেলা, কিসের ডাক শুনতে পাওয়া যায়, কি রকম শব্দ থাকে চারপাশে। তিনি জানালেন, গান শুনতে পাওয়া যায়। অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কিসের গান, কার গান। উত্তর আসলো- কখনো বৃষ্টির গান, কখনো তারার গান!
এই সিরিজের বাকী পর্বগুলিঃ পর্ব ১ পর্ব ২
অন্যান্য সব লেখা
মইনুল রাজু
ফেইসবুক
মন্তব্য
ওহ্ রাজু ! তুমি এইডা কী কইলা ? আমাগো দ্যাশেও তো মাইয়া রাখাল আছে ! ক্যান, মীনা যে একবার লালীরে সামলাইছিল, সেই কথা ভুইলা গ্যাছো ?
দারুণ সব ফটো ! আকাশটা দারুণ ঝকঝকে ! আপনার ছোটবেলার বন্য সুখের বিবরণ পড়তে খুব ভালো লাগছিলো, নিজেও হারিয়ে যাচ্ছিলাম শৈশবে ।
শেষের ফটোটার ট্রাক্টরে বসা দারুণ হ্যান্ডসাম ছেলেটাকে নিরন্তর শুভেচ্ছা, ভালোবাসা !
আসলেও লেখার সময় মীনার কথা মনে ছিলো না। ধন্যবাদ, সেই সাথেও শুভেচ্ছা আপনাকেও।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
বাহ, টেবিলে বসেই আপনার সাথে খামারে একটা গাইডেড ট্যুর হয়ে গেল। ছবিগুলো খুবই ভাল জীবন্ত লাগছিল, একদম গাছ থেকে পেড়ে আনা ফলের মতই।
সে-দিন ওয়েদার বেশ ভালো ছিলো, ছবি তোলার জন্য একদম পারফেক্ট।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
দারুন লাগলো
ইসরাত
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
তিনটে পর্বই ঘুরে এলাম একসাথে। কিছু ছবি তো হার্ট এটাক করিয়ে দেবার মত সুন্দর। আনাড়ি হাতে এইরকম ছবি তুলে ফেলছেন! আপনি তো বিরাট গুণী লোক মশায়। আচ্ছা এইসব ফার্মে এমনি এমনিই যে কাউকে ঢুকতে দেয়? সেকেন্ড প্যারাটা পড়তে ভালো লাগছে।
আর হ্যাঁ, তিন পর্ব মিলিয়েই বলি, আপনি মশাই বেশ লেখেন। ছবির মত লেখা পড়তেও ভালো লেগেছে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এখানে ফার্মগুলো ভিজিট করার অপশান থাকে। আগে থেকে ফোন করে জানিয়ে রাখতে হয়। শুধু ফার্ম নয়, চেরী, আঙ্গুর, স্ট্রবেরী কিংবা আপেল বাগানগুলোতেও ভিজিট করা যায়। সেগুলোর নিয়ম হচ্ছে যতক্ষণ থাকবেন, আপনি গাছ থেকে ফল তুলে দিবেন, কিছুটা হেল্প করবেন, সাথে যত খেতে পারেন, সেটা ফ্রি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
আহা ! আঙ্গুর বাগানের কথা শুনতেই চোখের সামনে A Walk in the Clouds সিনেমার কথা ভেসে উঠল । গেছেন নাকি আঙ্গুর ক্ষেতে ?
এই লিঙ্কে আছে পাঁচ মিনিটে A Walk in the Clouds। আবার দেখেন।
আর এই লিঙ্কে আমার আঙ্গুর বাগান নিয়ে লেখা।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
ধন্যবাদ পলাশ ভাই।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
হিংসা হয় ভাই…. হিংসা হয়…সুখী মানুষদের দেখলেও ভাল লাগে
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
ছোটবেলায় কাদা মাটি ছিল, কলমি ফুল ছিল। শীতের সকালে কুয়াশার ভীড়ে লুকিয়ে থাকা ডাহুক ছিল। কচুরি পানা ছিলো, লাউয়ের ডগায় বসে থাকা ফিঙে ছিল। উত্তর আকাশে ধ্রুব তারাটি ছিলো। কুমড়ো ফুল আর রক্তজবারা ছিলো। শিমুল গাছের ছায়া-ঢাকা গাঁয়ের মেঠো পথটি ছিলো।
বাংলায় আমার চারপাশের একমাত্র শিল্পী, একমাত্র স্থপতি ছিলো প্রকৃতি। সে মনের সুখে নিজের মত করে সাজিয়ে নিতো দশ দিগন্ত
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
বাহ, মন খারাপ করে দেয়ার মত বর্ণনা
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
মাঝে মাঝে আমি নিজে নিজে মনে করে নিজে নিজেই মন খারাপ করি। ধন্যবাদ আপনাকে।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
ছবিগুলো আবার দেখলাম... সবকিছুই বিলাতি... খালি কাদাটুকু এক্কেবারে দেশের মত
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
ছবিগুলো যদিও সুন্দর, তবুও লেখাটা আরও ভাল লাগলো। আমাদের দেশেও রাখালী আছে, অনেক আগে থেকেই। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের কিছু অঞ্চলে সাঁওতাল, ওঁরাও ইত্যাদি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মেয়েরা চারা রোপন, ফসল কাটা, এসব কাজ অনেক আগে থেকেই করে আসছে। পার্থক্য একটাই, ওদের কোন গ্ল্যামার আমাদের চোখে ধরা পড়ে না।
ঠিকই বলেছেন আপনি।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
লেখা ও ছবি দুই-ই দারুণ !
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
"কখনো বৃষ্টির গান, কখনো তারার গান"- এই গান শুনতে শুনতেই আমার যায় বেলা, বয়ে যায় বেলা। দারুণ লাগলো। আরও লিখবেন।
যে-রকম প্রাকৃতিক পরিবেশে উনারা আছেন, দেখে আসলেও ঈর্ষা হচ্ছিলো। মনে হচ্ছিলো- বৃষ্টি-বর্ষা, চন্দ্র-তারা, এসব নির্জনে দেখার জন্য এ-ধরণের জায়গাগুলোর কোনো তুলনা হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
আপনার তোলা ছবিতে নীল আকাশে জমে থাকা সাদা মেঘগুলিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিতে দেখি...... ব্যাপারটা আমার ভালো লাগে...... আকাশ নীল আর মেঘের রঙ সাদা না থাকলে আমি নিজেও ক্যামেরা অন করিনা!
লেখার স্টাইলটাও চমৎকার।
......জিপসি
দারুণভাবে ধরতে পেরেছেন ব্যাপারটা। আমার পছন্দের একটা কম্বিনেশান।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
চমৎকার! ভিন্ন জায়গা নিয়ে ভিন্ন ধরনের লেখা! এমন ফার্ম হাইজ আরও ঘুরুন লিখুন। সবাই বিখ্যাত জায়গা নিয়ে ব্যস্ত, কিন্তু এমন নিরিবিলি নির্জনই আমাকে বেশী টানে।
facebook
শহরের মাঝেই একটু নির্জনতার খোঁজে একদিন মাঝরাতে কবরস্থান খুঁজতে বের হয়েছিলাম। কিন্তু, খেয়াল ছিলো না, এখানে কবরস্থান মানে আলো ঝলমলে পার্ক। এত আলো ভালো লাগে না। তাই, মাঝে মাঝে নির্জনের খোঁজে একদম রিমোট এরিয়াতে চলে যাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
আমার ভ্রমন কাহিনী পড়তে ছোট বেলা থেকেই ভালো লাগে। আপনার সব লেখাই পড়ি। আমারো ফার্মে যাবার আর ফল তোলার অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রথম প্রথম আল ছাড়া এত বড় বড় ক্ষেত দেখে অবাক হয়ে যেতাম।এখন আমার বাড়ীর পাশেই আপেলের বাগান, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি আপেল পিকিং শুরু হবে ।
লেখা ভাল হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার বাড়ীর পাশের বাগান নিয়ে, আপেল পিকিং নিয়ে, আপনিও লিখুন না আমাদের জন্য।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
আহহহ, অসাধারণ, অসাধারণ। এই ধরণের বাক্যকেই মনে হয় spellbound বলে
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
তিন পর্ব একসাথে পড়লাম।
ছবিগুলি দেখে বাক্যহারা।
ভালো থাকবেন।
অ:ট: মুক্তমনায় নিয়মিত প্রকাশিত ’স্টেইট অব আর্ট’ সিরিজ এর লেখক মইনুল রাজু কি আপনি?
জ্বী, মুক্তমনায় অনেকদিন ধরে আমি আমেরিকার সবগুলো স্টেইটস্ নিয়ে ঐ সিরিজটা লিখে আসছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
না পারি এত সুন্দর ছবি তুলতে, না পারি এত সুন্দর করে লিখতে। এমন কি এমন ভাবে বেড়িয়ে পড়তেও পারি না! কি পারি তা হলে? কেন, আমার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ঠাকুমার ভাষায় "আকামের দোকানদারী" করতে! আর এই সব চমৎকার পোস্টে আয়নামতি-দিদির কথা অনুসারে পটর-পটর করতে! তাই চলুক তবে রাজু-ভাই, আপনার পরের পোস্টের সাগ্রহ অপেক্ষায় থাকি তা হলে এখন।
- একলহমা
"আকামের দোকানদারী" জিনিসটা খুবই আনন্দের একটা ব্যাপার। চাইলেও, অনেক দেশের প্রেসিডেন্টও সেটা করতে পারবে না।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
সুন্দর লেখা এবং অসাধারণ ছবি।
মুরগীর খামারটা দেখে আমার মুরগীর গল্প বলার লোভ সামলাতে পারলাম না। দুটো মুরগীর ছানা কিনে আমার পরিচিত এক নরওয়েজিয়ান খামার মালিকের খামারে দিয়ে এসেছিলাম গত সামারে। ওরাই দেখাশোনা করে এবং খাবার দেয়। মাঝে মাঝে আমাকে ডিম দিয়ে যায়। আমি গিয়ে দেখে আসি কত বড় হলো মুরগী গুলো।
দারুণতো! আপনার মুরগীগুলোর ছবি দিয়ে দেন একসময়।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
মন ভালো করে দেয়ার মতো পোস্ট ! ! ৪ নম্বর ছবিটা যেন সবুজ রঙের বৈচিত্র্য বোঝার জন্য হাতে আঁকা! !
ভালো বলেছেন।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
ছবি গুলা অনেক সুন্দর। ভালো লাগলো। মন চায় উড়তে ঘুরতে....
নুরুজ্জামান লাবু
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
দারুণ সব ছবি রাজু ভাই। অফটপিক, আমার বেষ্ট ফ্রেন্ডের নাম রাজু।
অফ টপিক গুলোই হয় বেস্ট টপিক।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
মের্কিন মুল্লুক যাইয়া জুম চাষ করতি মুঞ্চায়...
-- রামগরুড়
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
নতুন মন্তব্য করুন