এক ধাক্কায় আকাশ থেকে পাতালে চলে আসলাম। কিছুক্ষণ আগেও আমাস্টার্ডাম শহরের উপর দিয়ে বিমানে বসে ঘুরপাক খাচ্ছিলাম, আর কিছুক্ষণ পরেই Schiphol এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশান লাইনে। এই এয়ারপোর্ট অদ্ভুত। এর অবস্থান সমুদ্র সমতল থেকে চার মিটার নীচে। তাই, সরাসরি “পাতাল” বলে দিলাম। ইমিগ্রেশান অফিসার আরো অদ্ভুত। তার অবস্থান ফ্লোর থেকে মিটার খানেক উপরে। মনে হয় সমুদ্র সমতলে থাকতেই পছন্দ করে, এর নীচে আসতে চায় না। তার থেকেও বড় কথা, আমার সবুজ রঙের বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখে, জনাব আমাকে সমুদ্র মানব ঠাওরেছে। বলে, “আর ইউ এ সী-ম্যান?” ওরে খোদা রে, আমি সী-ম্যান না, তবে সী-ম্যান হতে না পারটা জীবনের অপূর্ণ থেকে যাওয়া ইচ্ছাগুলোর মধ্যে একটি। তার বিশেষজ্ঞ সুলভ মতামত নাকচ করে দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ভাইজানের এইডা মনে হবার কি কারণ? আমার চোখের মধ্যে কি সামুদ্রিক লবণ সোডিয়াম ক্লোরাইড দেখা যায়? তিনি জবাব দিলেন, “আজ সকাল থেকে তোমার দেশের বেশ কিছু সী-ম্যান এসেছে, আরো আসছে। ভাবলাম তোমারও হয়তো সে কারণে আসা।” তারপর খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পাসপোর্ট দেখে ধন্যবাদ জানালো। আমিও ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিলাম।
বিমানবন্দর থেকে শহরগামী ট্রেইনে চেপে বসলাম। সাথে নেয়া শহরের ম্যাপে চোখ বুলাতে বুলাতে কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম গন্তব্যে। খুব সকাল হবার কারণে, তখনো পুরোপুরি ব্যস্ত হয়ে উঠেনি দশ দিক। পৃথিবীর কত শহরে কত ভাবেই না মানুষ অভিবাদন জানালো। গায়ের রঙয়ের কারণে হোক অথবা গ্রাম থেকে প্রথম শহরে আসা নতুন বালকের মতন করে অবাক চোখে তাকিয়ে তাকিয়ে শহরের রূপ দেখার কারণেই হোক, অধিবাসীদের বুঝতে বাকী থাকতো না, শহরে নতুন এসেছি আমি। আগন্তুক। কেউ মাথার হ্যাট খুলে, কেউ মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে, কেউ-বা আবার হাতখানি উপরে তুলে কত ভঙ্গিতেই না নানা শহরে নানজন অভিবাদন জানালো। কিন্তু, একজন আগন্তুক হিসেবে আমস্টার্ডাম শহরে যে অভিবাদন পেয়েছি, সে কোনো দিন ভুলবার নয়। রাস্তার পার হতে যাওয়া স্কুলগামী একদল নিষ্পাপ শিশু, মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে সেই সাত সকালে যেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলো, তার শুধু একটা অর্থই হওয়া সম্ভব- “ আমাদের শহরে স্বাগতম তোমায়, হে অচেনা অতিথি।”
ছোটবেলায় “নিউ” দিয়ে শুরু হওয়া কোনো জায়গার ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহ ছিলো। “নিউ মেক্সিকো” হলে বুঝতাম মেক্সিকো এর সাথে সম্পর্ক আছে, সে-রকমভাবে নিউ ইয়র্ক, নিউ ফাউন্ডল্যান্ড, এমনকি নিউ মার্কেটও। কিন্তু, কোনোভাবে বুঝতে পারতাম না, নিউ জিল্যান্ড এর “জিল্যান্ড” শব্দটা কোথ্বেকে এসেছে। অনেক পরে জেনেছি আমস্টার্ডাম যে দেশের রাজধানী সেই নেদারল্যান্ডস (ডাচ) এর একটা প্রদেশ “জিল্যান্ড”। আর সেখান থেকেই নামকরণ হয়েছে নিউ জিল্যান্ডের। ওদিকে, নেদারল্যান্ডস্ এর প্রদেশ "হল্যান্ড" এর নাম থেকেই এক সময় অস্ট্রেলিয়ার নামকরণ করা হয়েছিলো “নিউ হল্যান্ড”। আর ডাচ্ অভিযাত্রী তাসমানের নামে হওয়া তাসমানিয়ার নামতো বিদ্যমান আছে এখনো।
নেদারল্যান্ডস্ অর্থ নীচুভূমি। একটা দেশের অর্ধেকই যদি সমুদ্র সমতলের নীচে অবস্থিত হয়, তো সেই শহরের নাম নীচুভূমি না হয়ে আর কি-ই বা হবে। কিন্তু, নীচু এই দেশটির মানুষরাই নাকি আবার পৃথিবীতে সবচেয়ে উঁচু। গড় উচ্চতা পাঁচ ফুট দশ ইঞ্চি। এমন একটা বিচিত্র দেশের রাজধানী আমস্টার্ডামও কিছুটা বিচিত্র হবে সেটাই স্বাভাবিক।
শহরে পা রাখতে না রাখতেই সবার আগে চোখে পড়লো “বাই সাইকেল”। পুরো শহরজুড়ে বাইকারদের আধিপত্য। শহরের লোক সংখ্যা সাত লক্ষ, আর বাই সাইকেলের সংখ্যা না-কি দশ লক্ষ। শস্যের চেয়ে টুপি বেশি, মানুষের থেকে সাইকেল বেশি।
শহররের পুরোনো অংশটাকে রিং এর মত করে ঘিরে আছে বেশ কিছু ক্যানাল। সবগুলোই কৃত্রিম ভাবে তৈরী করা। একটা রিং শেষ হয়, তো খানিক দূর থেকে শুরু হয় আরেকটা রিং। ক্যানালগুলো যেন পুরো শহরের শরীরে আংটি হয়ে বসে আছে। আর হয়তো তাই, আমস্টার্ডাম শহরে শুধু ব্রিজই আছে প্রায় তেরশো এর কাছাকাছি। একদিকে, ক্যানাল ধরে চলছে নৌ-যানগুলো; অন্যদিকে, কিছুক্ষণ পর পর ঘন্টা বাজিয়ে পাশ ঘেঁষে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন রুটের ট্রাম। “জলে নৌকা, ডাঙ্গায় ট্রাম; শহরের নাম আমস্টার্ডাম।”
শহরের আইকন “I amsterdam” এর সামনে যখন গেলাম, তখনো দিনের সূর্য উঠেনি; প্রচন্ড ঠান্ডা। লোকজন খুব বেশি নেই। কিন্তু, আমার ছবি তুলবে কে! খানিক অপেক্ষার পর কফির মগে চুমুক দিতে দিতে এগিয়ে আসলো সর্বোচ্চ গড় উচ্চতার শহরের, বোধ করি সবচেয়ে সুদীর্ঘ স্বর্ণকেশী। ছবি তোলার জন্য অনুরোধ করতেই জিজ্ঞেস করলো, কোন দেশ থেকে এসেছি, কোথায় যাচ্ছি। জবা দিতেই বললো, এত ঠান্ডার মধ্যে তুমি একটা টি-শার্ট পরে আছ! সে বেচারী আর কি করে বুঝবে, এমন রোমাঞ্চকর একটা শহরের বৈচিত্রের চাদরেই উষ্ণ হয়ে উঠে আগুন্তুকের মন। মাইলের পরে মাইল হেঁটে আমি আমস্টার্ডাম শহর দেখছি। এ-শহর যে ট্রামে-ট্রেইনে চড়ে দেখার শহর নয়। যে শহরের প্রতিটা কোণে কোণে সৌন্দর্য, প্রতিটা কদমে কদমে পায়ে মেখে যায় লাবণ্য, চোখে লেগে যায় রূপ; মটরগাড়ীতে চড়ে সে শহর দেখা মানেতো নিজের সাথেই নিজেই প্রতারণা করা।
শহরের মিউজিয়ামের সংখ্যা নিয়ে কিছু না বললেই নয়। একটা শহরে কি করে যে ৫১টা নামকরা মিউজিয়াম থাকা সম্ভব, এই শহর সেটা দেখিয়েছে গোটা বিশ্বকে। মিউজিয়ামগুলোর ধরণও বেশ বৈচিত্রময়। গাঁজার মিউজিয়াম পর্যন্ত আছে। সেখানে গিয়ে মিউজিয়ামে উৎপাদিত বিশেষ ধরণের গাঁজা খাওয়ার ব্যবস্থাও আছে।
ঘন্টার পর ঘণ্টা শহর দেখছি, তবু , “ক্লান্তি” উঁকি মারার কোনো সুযোগই হচ্ছে না। ইচ্ছে হচ্ছিলো শহরের প্রতিটা গলিতে গলিতে হেঁটে দেখি। কোথাও কোনো ভবনের গায়ে নির্মাণ সাল দেয়া থাকলে মিলানোর চেষ্টা করছি, ইতিহাসের পাতায় ঠিক কোন ঘ্টনার সময়ের ভবন সেটি। একেকটা শহরতো মানব সভ্যতার একেকটা দলিল। আর, সেই শহরের ভবনগুলিইতো ইতিহাসের রাজসাক্ষী।
আমস্টার্ডাম শহরের দৃষ্টিনন্দন, ইতিহাসধারণকারী অসংখ্য সেই ভবনগুলোর একটি আবার হয়ে উঠেছে ইতিহাসের ক্ষতচিহ্ন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানদের হাত থেকে বাঁচার জন্য সেই ভবনেই পরিবারসহ দুই বছর লুকিয়ে ছিলো অ্যানা ফ্রাঙ্ক। “দ্যা ডায়রি অফ অ্যা ইয়াং গার্ল” নামের যার লেখা ডায়রি (অ্যানা ফ্রাঙ্কের ডায়রি) অনুদিত হয়েছে বিশ্বের ষাটটিরও বেশি ভাষায়।
অনেকক্ষণ ধরে শহরের কথা বলছি, এখনো রেড লাইট ডিস্ট্রিক্টের কথাই বলা হলো না। নেদারল্যান্ডস-এ যৌনবৃত্তি বৈধ এবং অন্য আর সব পেশার মত এই পেশায় নিয়োজিতরাও সরকারকে আয়কর দিয়ে থাকেন। বলতে গেলে আমস্টার্ডাম শহরের মাঝেই রেড লাইট ডিস্ট্রিক্ট, যেখানে এক কাচ-দেয়াল দূরত্বে চলে লেনা-দেনা। ক্যামেরার বাটনে ক্লিক করলেই ধরা যাবে, জোর করে হাসা হাসির সাথে সাথে হাত বাড়িয়ে করা আহবান। না, ক্লিক নয়, বন্ধই করলাম ক্যামেরা। লেন্স হয়তো বন্ধ করা যায়, কিন্তু, সকাল বেলার সূর্যও সেখানে বন্ধ করতে পারে না পুরুষশাসিত বিশ্বের নিদারুণ প্রহসন।
ফুলেদের কথা বলে শেষ করি। বলা হয়ে থাকে যে, যে কোনো ডাচ্ পরিবারের বসার ঘরে গেলে যে জিনিসটি সবার আগে চোখে পড়ে, সেটি হলে ফুলদানীতে সাজানো সতেজ ফুল দিয়ে। এরা ফুল ভালোবাসে। আর হয়তো তাই, বিশ্বের একমাত্র ভাসমান ফুলের বাজারটি আছে আমস্টার্ডাম শহরেই। ভাসমান বলতে, ক্যানালের এক পাশে পানির উপর বানানো ছোট ছোট দোকান।
পতঙ্গকে আকৃষ্ট করার জন্য, শত সহস্র বছরের প্রচেষ্টায় উদ্ভিদ তৈরি করেছে ফুল। সে ফুলের রঙ-রূপ, মধু-সৌরভে মাতাল হয়ে ছুটে ছুটে আসে পতঙ্গ। আমস্টার্ডাম শহরের ফুলের দোকানগুলোয় গিয়ে মনে হয়েছিলো, এই আমি বুঝি সবেমাত্র জন্ম নেয়া এক পতঙ্গ, না হলে আমস্টার্ডাম শহরের ফুলের দোকানে সাজানো ফুলেদের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে এমন মাতাল মনে হবে কেন!
মইনুল রাজু
ফেইসবুক
অন্যান্য শহর নিয়ে লেখা পর্বগুলোঃ
নিউ ইয়র্ক, প্যারিস, শিকাগো, লস এঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো, ডেট্রয়েট, লাক্সেমবার্গ সিটি, কলাম্বাস, পোর্টল্যান্ড, ওয়াশিংটন ডিসি, রিচ্মন্ড, স্যান ডিয়েগো।
মন্তব্য
সুন্দর পোস্ট।
“জলে নৌকা, ডাঙ্গায় ট্রাম; শহরের নাম আমস্টার্ডাম।” বেশ বলেছেন। তবে "এ-শহর যে ট্রামে-ট্রেইনে চড়ে দেখার শহর নয়।" কথাটা সঠিক নয়। ট্রামে বা নৌকা বা নিদেনপক্ষে সাইকেল ছাড়া আমস্টারডামের একটি খুব ছোট অংশে বিচরণ সম্ভব। তবে এক দিনের যাত্রায়, সেটাই অনেক।
"নেদারল্যান্ডস এর আরেক নাম হল্যান্ড"
উত্তর ও দক্ষিন হল্য়ান্ড নেদারল্য়ান্ডের দুটি প্রভিন্স, যেমন জিল্য়ান্ড আরেকটা প্রভিন্স। সুতরাং হল্যান্ড নেদারল্য়ান্ডের আরেক নাম - পুরোপুরি সঠিক নয়।
"গোটা শহরকে রিং এর মত করে ঘিরে আছে বেশ কিছু ক্যানাল।"
পুরাতন আমস্টারডামের বেলায় এটা খাটে, কারন বাষ্পযুগের আগে এই খালগুলো বানিজ্য়িক রাস্তাঘাটের কাজ করতো। আধুনিক আম্স্টারডামের চারপাশে ঘিরে কোন এককক খাল-সিস্টেমের আর প্রয়োজন নেই। এতদিন A10 হাইওয়ে ঘিরে ছিল পুরো শহরকে, কিন্তু পৃথুলা আম্স্টারডাম সেটা থেকেও বেরিয়ে আসছে।
"ক্যামেরার বাটনে ক্লিক করলেই ধরা যাবে, জোর করে হাসা হাসির সাথে সাথে হাত বাড়িয়ে করা আহবান। না, ক্লিক নয়, বন্ধই করলাম ক্যামেরা।"
ভাল করেছেন ওদের ছবি তোলার চেষ্টা করেননি। রেডলাইট এলাকায় অননুমদিত ফটোগ্রাফি করে মুশকো দালালদের হাতে ক্য়ামেরা খোয়ানোর গল্প শোনা যায়।
চমৎকার পয়েন্টগুলো ধরেছেন, এতটা বিস্তারিত আমার জানা ছিলো না। লেখায় কিছু জিনিস পরিবর্তন করে দিচ্ছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
অসাধারণ সব ছবি।
ফাটাফাটি রাজু, ফাটাফাটি।
তবে, স্বর্ণকেশী'র ছবি কোথায়?
ফুলের আরো কয়েকটা ছবি থাকতে পারতো। হল্যান্ডতো ফুলের দেশ বলেই জানি।
আর, ফুটবল এর সংশ্লিষ্ট কোন ছবি নেই যে?
ভালো থাকবেন রাজু। শুভেচ্ছা জানবেন।
-----------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
"I amsterdam" এর ছবি তুলতে তুলতে স্বর্ণকেশীর ছবি তোলার কথা মাথায়ই আসেনি। কোনো এক অদ্ভুত কারণে বাসায় এসে দেখি ফুলেদের ছবি খুব একটা বেশি তুলিনি। আর, কেন জানি না, ফুটবলসংশ্লিষ্ট কিছু আসলে আমার চোখে পড়েনি।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
খুব সাবলীল লেখা। পড়ার সময় মনটা বেশ হাল্কাভাবে ভাসতে থাকে, কিছু মায়াময় ছবি তৈরী হয়।
রাজীব মাহমুদ
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
অনেক বছর আগে আমস্টারডামে থাকতাম। আসলে এই শহরটাই ছিল আমার ইউরোপের প্রথম নিবাস ।
শহরটা ছাড়ার পর আর কখনও যাইনি ।নস্টালজিয়া জেঁকে বসল ।
একদিনের ছোঁয়া চমৎকার বর্ণনা করেছেন।
শাকিল অরিত
ভাই দুর্দান্ত কি আমস্টারডামে থাকেন?
এই শহরটা আমার বেশ ভালো লেগেছে, কেমন জানি খুব সহজে আপন করে নিতে পারে।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
ছবিগুলো সুন্দর, বর্ণনাও সাবলীল। আমস্টার্ডাম এর ফুটবল ক্লাব আয়াক্স একসময় খুব ভাল খেলতো।
শব্দ পথিক
নভেম্বর ১২, ২০১৩
ধন্যবাদ আপনাকে। বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে এ-দেশের খেলা কখনোই মিস করতাম না। ওদের টোটাল ফুটবল স্টাইল খুব ভালো লাগতো। আয়াক্স এর খেলা আলাদা করে কখনো দেখা হয় নি।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
লেখা-ছবি দুই মিলে চমৎকার লাগল।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
খুবই প্রিয় শহর, গাঁজার গন্ধ সহ্য করতে পারি না, তাছাড়া বাকি সবই দারুণ লেগেছিল, আর লোকজন যাদের সাথে পরিচয় হয়েছেই তারা ছিল খুবই বন্ধুত্বপরায়ণ। কয়েকটা জাদুঘর দেখার জন্য আবার ফিরতে হবে।
আর হ্যাঁ, আই হেট দ্যাট ড্যাম এয়ারপোর্ট, ট্রানজিটে ঐখানে আটকাতে আটকাতে জীবনে করলা হয়ে গেছিলো
facebook
লোকজন আসলেই চমৎকার। একজন আমাকে পথ চেনাতে চেনাতে প্রায় সে জায়গায় নিয়ে দিয়ে আসলো। আরেকজনের ট্রাম এসেছে, কিন্তু কোনোভাবেই উঠবে না, বলতে গেলে জোর করে উঠিয়ে দিলাম। আর, শহরটা কেন জানি ভীষণ ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
এই শহরের গল্প শুধু শুনেই যাচ্ছি শুনেই যাচ্ছি। কবে যে যেতে পারবো।
গঞ্জিকাতে টান দিয়েছেন তো?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আর, টান দেয়ার সুযোগ পেলাম কোথায়! এই শহরে গেলে পছন্দ করবেন নিশ্চয়তা দিচ্ছি।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
আমস্টারডাম যাবার ইচ্ছে ছিলো, কিন্তু সুযোগ হয় নি। আপনার চোখে অনেকখানি দেখা হয়ে গেল। ধন্যবাদ মইনুল রাজু।
ধন্যবাদ আপনাকেও।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
যাবই যাব এ----ক----দি----ন।
অ---ব---শ্য---ই।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
আমার আবাস থেকে মাত্র ৪ ঘন্টার দূরত্ব, তারপরও যাওয়া হচ্ছে না কেন যান দেড় বছর থাকার পরেও। দেখি শিগগীরই যাব
আপনার আবাস কোথায়? একবার গিয়ে ঘুরে আসুন। অন্যরকম শহর। ভালো লাগবে।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
এমন মনমুগ্ধকর ছবি আর সাবলীল বর্ণনা পড়লে তো লেখকের সাথেই পুরো আমস্টার্ডাম ঘোরা হয়ে যায়। দেখার লোভ জেগেছে বৈচিত্র্যময় শহরটাকে.......আগে শুধু বইতে পড়েছি, এখন আপনার চোখে খানিকটা বাস্তব দেখা হয়ে গেল।
একটা অনুরোধ- যদি সম্ভব হয় তাহলে পরবর্তীতে কোন শহর ঘুরতে গেলে শহরটার পাশপাশি সেখানকার অধিবাসীদের নিয়েও যদি একটা আলাদা পর্ব করেন তাহলে বোধকরি জম্পেশ হবে। অধিবাসীদের কথা জানা হলে জায়গাটার পুরো ঐতিহ্যকে জানা হয়ে যায়।
এমন মনমুগ্ধকর ছবি আর সাবলীল বর্ণনা পড়লে তো লেখকের সাথেই পুরো আমস্টার্ডাম ঘোরা হয়ে যায়। দেখার লোভ জেগেছে বৈচিত্র্যময় শহরটাকে.......আগে শুধু বইতে পড়েছি, এখন আপনার চোখে খানিকটা বাস্তব দেখা হয়ে গেল।
একটা অনুরোধ- যদি সম্ভব হয় তাহলে পরবর্তীতে কোন শহর ঘুরতে গেলে শহরটার পাশপাশি সেখানকার অধিবাসীদের নিয়েও যদি একটা আলাদা পর্ব করেন তাহলে বোধকরি জম্পেশ হবে। অধিবাসীদের কথা জানা হলে জায়গাটার পুরো ঐতিহ্যকে জানা হয়ে যায়।
আপনার মত আমারো খুব পছন্দের একটা কাজ হলো, অধিবাসীদের সাথে কথা বলা। অফিস রুমে বসা অফিসার অধিবাসী নয়, ঘুরতে ফিরতে থাকা সাধারণ অধিবাসী। আমি এ-জিনিসটা করি-ই। কিন্তু, আমস্টার্ডাম সফরটা খুব সংক্ষিপ্ত হবার কারণে সেটা ভালোভাবে করতে পারিনি।
অন্য পর্বগুলোতে অধিবাসীদের কথা থাকবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
অ্যামস্টারডাম বেড়াতে গিয়ে কিছু পোষ্টকার্ড দেশ-বিদেশের বন্ধুদের ঠিকানায় পাঠিয়েছিলাম। প্রায় সবগুলি জায়গামত পৌঁছেছিল, শুধু রেডলাইট ডিস্ট্রিক্ট এর পোস্টকার্ডগুলি ডাকপিয়ন মেরে দিয়েছে!!!!
......জিপসি
ডাক পিয়নকেও আর দোষ দি ক্যামনে বলেন!
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
গত ৪-৫ দিন জ্বরে পুড়ছি, তবুও বেশ কয়েকবার সচলে এসেছিলাম। আপনার লেখাটা দেখেছি বেশকয়েকবার কিন্তু ক্লান্তির জন্যে পড়তে আর দেখতে পারছিলাম না। কিন্তু সারাক্ষন মনে ছিলো আপনার লেখা আর ছবির কথা। এভাবেই আপনার ভ্রমণ লেখা আমাকে টানে। যাইহোক আমার সেই জমিয়ে রাখা অপেক্ষা বিফল হয়নি, দারুন সুখপাঠ্য আর ছবিতে ভরে উঠেছে আপনার বর্ণনা যা সব সময় হয়। ভালোথাকবেন রাজু ভাই, শুভেচ্ছা।
মাসুদ সজীব
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আপনার সুস্থতা কামনা করছি এবং দ্রুত সেরে উঠে, পুরো উদ্যোমে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন, সেই প্রত্যাশা করছি।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
এত সব ভ্রমনের গল্প পড়লে আর ছবি দেখলে খুব লোভ হয় বেড়াতে যেতে। কবে যে যেতে পারবো!! (দীর্ঘশ্বাসের ইমো)
লেখা ভালো লেগেছে। আপনার পৃথিবীর পথে পথে এই পথ যদি না শেষ হয় এর পরের পর্ব পাবো কবে?
____________________________
আসলে অতশত কিছু চিন্তা না করে বেরিয়ে পড়ুন, তাহলেই দেখবেন যাওয়া হয়। কিছুদিনের মধ্যে "পৃথিবীর পথে পথে" সিরিজের একটা লেখা দেবার ইচ্ছে আছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
এই সামারে ৩-৪ টা দেশ ঘুরলাম, পরের সামারে আরও কয়েকটা ঘুরব ইচ্ছা আছে। আমস্টারডাম হয়ে ফ্রান্স, স্পেইন আর পর্তুগালের দিকে যাওয়ার প্ল্যান আছে, বয়স পড়তির দিকে যাওয়ার আগেই যত বেশি দেশ ঘুরে ফেলা যায়!! কিন্তু এইরকম কাহিনী আর দুর্দান্ত সব ছবি দেখলে মনে হয় আজই বেরিয়ে পড়ি। লেখা আর ছবি, দুটোই ভালো লাগলো অনেক।
-নিহাদ
সম্ভব হলে "প্রাগ" যেতে পারেন। আমি এখনো যাইনি, তবে অনেকের কাছে জেনেছি, ইউরোপের সুন্দরতম শহরগুলির মধ্যে একটি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
হুম, প্রাগ তো আমার লিস্টের একেবারে উপরের দিকেই আছে, নভেম্বরের শেষেই যাওয়ার কথা ছিল, টিকেটও ছিল প্রায় পানির দরে, কিন্তু হঠাৎ কাজ পড়ে যাওয়ায় আর যাওয়া হবেনা। দেখি পরের বছর হয়ত সময় আর সুযোগ পাব, অপেক্ষায় থাকলাম আর কি।
-নিহাদ
নতুন মন্তব্য করুন