সন্ধ্যা থেকেই আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি পড়ছে।
সামিয়া বই মেলা থেকে ফিরেছে একগাদা নতুন বই নিয়ে। সামনের কয়েকটা সপ্তাহ ভালই কাটবে ভাবছিল ও। সামিয়া পড়তে ভালোবাসে , আর ওর পড়ার স্টাইল একটু আলাদা। একসাথে আনেকগুলো বই পড়তে শুরু করে , পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে নিজেই খেই হারিয়ে ফেলে, একটা গল্প আরেকটার মধ্যে মিশে যায়, তখন মাথা ঠান্ডা করে আবার কাহিনীগুলো ঝালিয়ে নিতে হয়...মজাই পায় ও এতে। আজও তাই করছিল, একটা বই কয়েক পাতা পড়েই আরেকটা শুরু করতে যাচ্ছিল...ঠিক এমন সময়েই সব অন্ধকার করে বিদ্যুত চলে গেল। সামিয়া না হেসে পারলনা , যে বইটা হাতে নেয়া মাত্র বিদ্যুত চলে গেল সেটার নাম ‘ অন্ধকারের হৃদয়’...নামকরা পোলিশ লেখক জোসেফ কনরাডের একটা উপন্যাসের বাংলা অনুবাদ।
সামিয়া বারান্দায় চলে আসে। কিছুক্ষন পরেই বিকট আওয়াজে জেনারেটর চালু হয়ে তার ঘর আলোয় ঝলমল করে উঠল। সামিয়া ভেতরে না গিয়ে মন্ত্রমুগ্ধের মত বৃষ্টির সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকে। তার বৃষ্টিঅন্ত প্রান। বৃষ্টি তার মন ভালো করে, আবার মন খারাপও করে। হয়ত ভালোর চাইতে বিষন্নই বেশী করে তবুও বৃষ্টির প্রতি তার ঘোর লাগা ভালোবাসায় কোন রকমফের হয়না। সামিয়া চোখ বুজে বৃষ্টির সম্মোহনী সংগীতে আরো ডুবে যাচ্ছিল এমন সময় হঠাৎ করে দমকা বাতাসে বৃষ্টির জোরালো ঝাপটা তার মুখে লাগায় সে চোখ খুলতে বাধ্য হয়। চোখ খুলে নীচে তাকিয়ে সে যা দেখল তাতে তার ছোখ ছানাবড়া হতে হতে আবার সরু হয়ে যায়।
গাড়ী বারান্দার সামনেই ছাউনী দেয়া ছোট এক চিলতে যায়গা। ঘাস আর হাঁটুসমান উচু কয়েকটা ফুলের গাছ সেখানে, ফুল এখনো ফোটেনি তাই কখনই যায়গাটা সামিয়ার নজরে আসেনি। ছাউনীর উলটো দিকে সার্ভেন্টস কোয়ার্টার। মালি, ড্রাইভার আর কাজের বুয়ারা থাকে ওখানে। সেদিক থেকেই অল্প বয়সী একটা মেয়েকে ওড়নার মাঝে কিছু একটা লুকিয়ে ,এক হাতে ছাতা ধরে ছাউনীর মধ্যে ঢুকতে দেখল। রোমহর্ষক কিছু দেখবে ভেবে সামিয়া আগ্রহভরে তাকিয়ে রয়, কিন্তু ঘটনা যেদিকে মোড় নিল তা দেখে নিস্পাপ এক হাসিতে তার চেহারা উদ্ভাসিত হয়ে গেল। মেয়েটা ছাতা বন্ধ করে ওড়নার মধ্য থেকে ছোট্ট ফুটফুটে একটা সাদা-কালো বেড়ালের বাচ্চা মাটিতে নামিয়ে “ জলদি কর, জলদি কর” বলে তাড়া দিতে থাকে। বাচ্চাটাও বাধ্য সন্তানের মত ন্যাজ উচিয়ে হিসু করতে বসে যায়। হঠাৎ কোন পূর্বাভাষ ছাড়াই আকাশ ধাঁধিয়ে দূরে কোথাও প্রচন্ড শব্দে বজ্রপাত হয়। ভয় পেয়ে বেড়ালের বাচ্চাটা হিসু করা বন্ধ করে দিয়ে লাফ দিয়ে মেয়েটার পাজামা ধরে কাঠবেড়ালীর মত বেয়ে একেবারে তার গলার কাছে এসে থামে। মেয়েটা তার হাত থেকে ছাতা ফেলে দিয়ে দু’হাতে ছোট্ট বাঘের মাসিকে সস্নেহে জড়িয়ে ধরে বিড় বিড় করে কি যেন বলতে লাগল। বৃষ্টির শব্দে কিছু শোনা দায় , তবুও সামিয়া কান পেতে রইল যদি তাদের মধ্যে কি কথা হচ্ছে যদি একটু শোনা যায়...মনে হল মেয়েটা বলছে... “ইস আমার বাহাদুররে...ঘরে বাঘ বাইরে ইন্দুর...এত ডরাইল্যা হইলে হইব?”
পরিত্যক্ত শরিফ ছাতাটি ঘাসের মধ্যে শুয়ে মাটির সোঁদা গন্ধ উপভোগ করতে লাগল আর ডর খাওয়া বেড়াল ছানাটাকে দু’হাতে বুকে জড়িয়ে বৃষ্টি মাথায় করেই মেয়েটি তার ঘরের দিকে ছুট লাগালো। দেশে আসার পর এই প্রথমবারের মত সামিয়ার মনটা নিখাদ ভালোলাগায় ভরে গেল, পৃথিবীতে আজও এমন দৃশ্য দেখা যায় বলেই মহাবিশ্বের ঘুর্ণন বন্ধ হয়ে যায়নি , সৃষ্টিকর্তা দুনিয়া নামের এই ভুষির দোকানের ঝাপ বন্ধ করে দিয়ে হিসাব কিতাবে ব্যস্ত হয়ে যান নি।
সামিয়া থাকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে। ওখানেই এক নামী ইউনিতে পড়াশুনা করে। বছরের শুরুর দিকে একবার দেশে আসে, মাস দু’য়েকের জন্য। মাটির টানে দেশে আসা কিন্তু প্রতিবারই আরো বেশী খারাপ করা মন নিয়ে বিদেশে ফিরে যেতে হয়, কিছুটা বাবার অবহেলায়, কিছুটা নিরন্তর ক্ষয়ে যেতে থাকা সমাজের হাড়-পাজর বের হওয়া কংকালসার চেহারা দেখে। ওর মা নেই, ক্যান্সারে ভুগে মারা গেছেন অনেকদিন হল। মায়ের মৃত্যুর পর বাবার সাথে তার দূরত্ব আরও বেড়ে গেল। বাবা ব্যবসা নিয়ে বেশী ব্যস্ত হয়ে পড়লেন , আর সামিয়া পড়াশুনার নামে দেশ ছাড়ল। মেলবোর্ন শহরটা বেশ ভালোই লাগে ওর কাছে, সবুজে সবুজ, মানুষেরাও বেশ আন্তরিক আর পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, অন্তত বাইরে থেকে তাই মনে হয়, সামিয়া মানুষ নিয়ে বেশী ঘাঁটতে চায়না, মানুষকে ওর বেশ জটিল আর অনিশ্চিত ধরনের বলে মনে হয়। ও ঘাঁটে পশু-পাখি আর গাছ-পালা নিয়ে। পশু-পাখিদের কাছাকাছি থাকার জন্যই ও সপ্তাহে বিশ ঘন্টা RSPCA তে কাজ করে। কত সহজে অবলা প্রানীদের সাথে মিশে যাওয়া যায়, কোন ভনিতা লাগেনা, ভান করতে হয়না, ওরা ভালোবাসা পেতে যেমন ভালোবাসে তেমন বল্গাহীন ভালোবাসায় ভাসিয়েও নিয়ে যায়। ক্যাম্পাসে ওর বন্ধুরা ওকে মজা করে ডাকে CCL ( ক্রেজি ক্যাট লেডি)। রাজ্যের সব হাকলবেরিফিনের মত ঘর ছাড়া বেড়াল বা তাদের সদ্য চক্ষু ফোটা অর্বাচীন আন্ডা –বাচ্চাদের বিডিআর খতমের অপারেশন রেবেল হান্টের মত হান্ট ডাউন করে হয়ত RSPCA তে নিয়ে যায় অথবা নিজের ঘরে বিনা পরোয়ানায় রিমান্ডে নিয়ে সভ্যতা-ভব্যতা শিখিয়ে পশুপ্রেমী কারো হাতে গছিয়ে দেয়। এভাবেই চলছিল দিনকাল।
নিঃস্বার্থ পশুপ্রেম আর দায়িত্ববোধের তাগিদে সামিয়া পরদিন সকালে বেড়াল ছানাটার খোজ খবর করতে কাজের লোকদের আড্ডায় গিয়ে হাজির হল। এদিকে ওর খুব একটা আসা হয়না। চার-পাঁচটা ছোট ছোট ঘর আর এক মাথায় রান্নাঘর। বাড়ির সবার রান্না-বান্না ওখানেই হয়। ঘর গুলো সব খালি, ড্রাইভার বা বাজার করার লোকেরা সব বেরিয়ে গেছে। সামিয়া রান্নাঘরে ঢুকে পড়ল। মাঝারি বয়সের এক মহিলা কি যেন কাটাকুটি করছে আর বিল্লীওয়ালী মেয়েটি থালা-বাসন ধুচ্ছে। সামিয়াকে দেখে দু’জনেই অবাক হয়ে গেল, কিন্ত মধ্যবয়সী মহিলাটি নিজেকে সামলে নিয়ে শাড়ির আচলে হাত মুছতে মুছতে এগিয়ে এল।
“আফামনি আপনে এখানে? কি ব্যাপার? কিছু লাগব? আমাগো কাউরে উপরে থিকা ডাক দিলেই পারতেন। কি দরকার ছিল কষ্ট কইরা এদিকে আসার?- আমাদের মধ্যবয়সী মহিলা যার সত্যিকার নাম মাজেদা , হড়বড়িয়ে বলে উঠল।
“না, এমনি তোমাদের দেখতে আসলাম, চলে যাবো তো সামনের মাসে, তাই ভাবলাম কে কেমন আছে একটু দেখে যাই”- সামিয়া তার আসার আসল কারন বলতে একটু সংকোচ বোধ করছিল ( সে চায়না আর কেউ তার CCL পরিচয়টা জেনে ফেলুক)। মাজেদাকে সে আগেও দেখেছে কিন্তু অল্পবয়সী মেয়েটাকে এই প্রথম দেখছে। জানতে চাওয়ায় মাজেদা জানালো মেয়েটির নাম রাহেলা, মেয়েটির বাবা এ বাড়িতে মালির কাজ করত, জয়নাল নাম ছিল তার। সামিয়া জয়নালের কথা মনে করতে পারল, ভালো মানুষ ছিল বেচারা, গাছ-গাছারি খুব ভালো বাসত। রোগে ভুগে সে নাকি গত বছর মারা গেছে, মা –মরা রাহেলা তখন থেকে এ বাড়িতেই আছে। কত বয়স হবে মেয়েটার, বড়জোর পনের বা ষোল , সামিয়া ভাবে। এ বয়সে স্কুলে না গিয়ে তাকে পরের বাড়িতে কাজ করতে হচ্ছে , সামিয়ার মেয়েটার জন্য বেশ খারাপ লাগল, সে মিস্টি হেসে মেয়েটার দিকে এগিয়ে যায়। রাহেল থালা-বাসন ধোয়া বন্ধ করে চোখ বড় বড় করে সামিয়াকে দেখছিল, মালিক পক্ষের কাউকে সে এত কাছ থেকে আগে কখনো দেখেনি। সামাজিক মর্যাদা ও ক্ষমতার যোজন যোজন দূরত্বের কারনে তাঁদেরকে ওর অতিমানব বা অন্য জগতের মানুষ বলে মনে হত। তাঁদেরই একজন হাসিমুখে ওর সাথে কথা বলছে, ভয়ে রাহেলার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে।
“কেমন আছো রাহেলা? ভালোতো?”- সামিয়া আন্তরিক স্বরে জানতে চায়।
রাহেলার মুখে কথা আসেনা, সে উপর নীচে মাথা দুলিয়ে সম্মতি জানায়।
সামিয়ার পরের প্রশ্নে রাহেলা একেবার ফ্যাকাসে হয়ে যায়, কোনমতে দেয়াল ধরে সে মেঝের দিকে তাকিয়ে দাড়িয়ে থাকে, এ পরিস্থিতির সামনে পড়া এড়াতে সে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে কিন্তু হাতে নাতে ধরা পড়ে সে ভয়ে আরো সিঁটিয়ে যেতে থাকে।
সামিয়া প্রশ্ন ছিল “ তোমার ছোট্ট বেড়ালটি কেমন আছে? কাল রাতে আমি তোমাদের বৃষ্টির মধ্যে বাগানে যেতে দেখেছি”।
মুল্যবান কিছু চুরি করে হাতে নাতে ধরা পরা মুখ করে রাহেলা যখন নির্বাক তখন এই ভয়াবহ কেলেংকারীতে নিজের চরিত্রে যাতে কালো দাগ না পরে তাই আগ বাড়িয়ে মাজেদা মুখ খুলল- “ আফা আল্লাহর কসম আমি এই হারামজাদীরে একশ’বার কইছি যে আমরা পরের বাইত থাইকা কাম কইরা খাই, কুত্তা-বিলাই পালার হাউশ আমাগো লেইগ্যা না। কিন্তু এই বেদ্দপ মাইয়া যদি একটা কথা শুনত, দেহেন এখন কেমুন ভিজা বিলাইয়ের লাহান খাড়াইয়া রইছে কিন্তু ছেমড়ি ঘাউড়ার ঘাউড়া, হের জিদ দেখলে আপনে তাজ্জব হইয়া যাইবেন। আমরা সব্বাই এক দিকে আর হ্যায় একলা একদিকে, ছেমড়িরে থাপড়াইছি , গালি দিছি কিন্তু আল্লাদের বিলাই ছাড়া হ্যায় বাচতনা। আর বিলাইডাও এমুন খবিশ ফাক পাইলেই লেঙ্গুর উচাইয়া সারা বাড়ী দৌড়ায়, এই হানে মুতে ঐ খানে হাগে, কেউ না থাকলে খানায় মুখ দ্যায়। কয়দিন আগে বারিন্দায় গিয়া হাইগ্যা দিছে, এট্টুক বিলাই কিন্তু গুয়ের কি গন্ধ, আমার বমি আসার অবস্থা। আমি দৌড়াইয়া গিয়া একটা বস্তার মইধ্যে বিলাইডারে ভইরা রওয়ানা করছি ঝিলের পাড়ে গিয়া ফালাইয়া দিয়া আসুম। এই হারামজাদী কৈ থিকা জানি দৌড়াইয়া আইসা চিলের মত ছোবল দিয়া আমার হাত থিকা বস্তা ছুটাইয়া নিয়া এক দৌড়ে বাড়ীর বাইরে গেলোগা। আমি ধরতে গেছি পরে আমারে শাবল দিয়া মারতে আসছে । হেইদিনই মাগীরে খাইছিলাম কিন্তু হ্যায় আবার ভাতার পাতাইছে বড় সাবের ডেরাইবরের লগে , হেই ব্যাডায় আইসা আমারে ধমকি, কয় এই ছেমড়িরে কিছু কইলে বলে বড় সাবরে কইয়া আমার চাকরি খাইব। আইজগা আফনে নিজে আইছেন, এহন একটা বিচার করেন, বিটলা ছেমড়ি আর হ্যার আল্লাদের বিলাই দুইডারেই ঘাড়ে দিয়া বাড়ির বাইর কইরা দ্যান,আমার কইলজাডা ঠান্ডা হইব”।
হতভম্ভ সামিয়া মুখ খোলার আগেই দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া সর্বহারার মত রাহেলা ফুঁসে ওঠে – “ এত মিত্তা কতা কেমতে কন আফনে, কবে খানায় মুখ দিছে অয়? আমি আমার খাওনের থিকা অরে খাওয়াই, আফনের খুন্তির ডরে বিলাইডা এদিকে আর আহেইনা। হেইদিন বাইরে খুব ঝড়-বইন্যা গেছিল, আর আফনে আমারে দুনিয়ার সব কাম ধরাইয়া দিয়া দারোয়ানের লগে পিরিত করতে গেছিলেন, আমি রানীরে বাইরে নিয়া যাইতে পারি নাই, ছোট্ট মানুষ সামলাইতে না পাইরা বারিন্দায় গিয়া কাম সারছে, হেইডাও তো আমি সাফ করছি কেউ কওয়ার আগেই। আফনে গরম খুন্তি দিয়া অর মুখে ছ্যাক দিতে গেছেন দেইখা হ্যায় ভয় পাইয়া দৌড়াইয়া গিয়া আমার চৌকির তলে লুকাইছে আর আফনে সেইখান থিকা অরে টাইনা বাইর কইরা বস্তায় ভরছেন...”- রাহেলা আর বলতে পারলনা, তার চোখ অশ্রুতে ভরে যায়, ধরে আসা কণ্ঠস্বর লুকাতে সে ওড়নায় মুখ ঢাকল।
“এহ ফকিন্নীর মাইয়া থাকো মাইনষের বাড়ীতে, ভিক্ষা কইরা খাও আবার বিলাইয়ের নাম রাখছে রানী, তরে যদি...”- মাজেদা খন খনে গলায় আর ও কিছু বলতে যাচ্ছিল কিন্তু সামিয়া ধমকে ওঠে – “থামোতো তোমরা, দু’জনেই। আমি তোমাদের ঝগড়া দেখতে এখানে আসিনি। বেড়াল ছানা আমারো খুব ভালো লাগে তাই দেখতে এসেছি”। চোখে সন্দেহ আর অবিশ্বাস নিয়ে রাহেলা তাকিয়ে রইল আর আপদ বিদায় হওয়ার আশাভংগে হতাশ মাজেদা বিষয়টার গুরুত্ব বোঝাতে খালেদা স্টাইলে আংগুল উচিয়ে কিছু বলতে যায়। কিন্তু ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়া ইশারা করে সামিয়া তাকে চুপ করিয়ে দিয়ে রাহেলার দিকে এগিয়ে যায়। ওর কাধে হাত রেখে বলে-“ চলোতো পাগলী তোমার রাণীকে দেখে আসি”। রাহেলা আর সামলাতে পারেন, এভাবে নরম স্বরে অনেকদিন কেউ ওর সাথে কথা বলেনি, সামিয়াকে ধরে ও আঝোর কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। শেষবারের মত ও এভাবে কেঁদেছিল ওর বাবা মারা যাওয়ার পরে চাচীকে জড়িয়ে ধরে। সামিয়া ওকে থামায় না, শুধু আদর করে ওর মাথায় হাত বুলাতে থাকে। কান্নার ঝড় একটু থামলে দু’জনে রাহেলার ঘরের দিকে চলে যায়। ওদের চলে যেতে দেখে হিংসায় আর দুঃখে মাজেদা বিড় বিড় করে যে কথাগুলো বলতে থাকে তা সত্যিকার অর্থেই ছাপার অযোগ্য।
ভেজানো দরজা ঠেলে দু’জনে রাহেলার ঘরে ঢোকে, দশ ফুট বাই দশ ফুট ঘরে আসবাব বলতে একটা চার ফুট চওড়া চৌকি, কাপড় ঝোলানোর দড়ি , আর ছোট একটা বেতের মোড়া । রানী মহারাণীর মত বিছানার মাঝে হাত পা ছড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে। ফুটফুটে একটা বেড়াল ছানা, বড় জোর মাস চার-পাঁচেক হবে বয়স ,ভালো করে তাকিয়ে সামিয়া হেসে ফেলে। জবরজং অবস্থা রানীর , পায়ে আলতা, কপালে টিপ, গলায় পুঁতির মালা। রাহেল মনের সুখে পুতুল সাজানোর মত করে সাজিয়েছে রানীকে।
“এগুলো কি করেছ?”-মৃদু হেসে সামিয়া বলে। রাহেল কোন জবাব দেয়না, সসংকোচে দাড়িয়ে থাকে।
সামিয়া বার বার প্রশ্ন করে রানীর রাজকীয় ইতিহাস জানল। মাস দুয়েক আগে কোন এক রাতে রাহেলা ঘুমাতে পারছিলনা বাড়ীর বাইরে এক বেড়ালের ত্রাহি চিৎকারে। ভেবেছিল কিছুক্ষন কান্না-কাটি করেই বেড়ালটি ক্ষান্ত দেবে। কিন্তু মাঝরাতের পরেও যখন কচি কন্ঠের অসহায় মিয়াঁও থামলনা, রাহেলা বাইরে গিয়ে দেখে কাদা মাটি মেখে ছোট্ট একটি বেড়ালছানা জড়সড় হয়ে তীব্র আওয়াজে কেঁদে চলেছে। রাহেলার মন মায়ায় ভরে গেল। সে কিছু একটা না ভেবেই ওড়নায় মুড়িয়ে ছানাটাকে সে তার ঘরে নিয়ে আসে। বালতিতে করে পানি এনে সে প্রথমে রানীর গা থেকে কাদা-মাটি আর নোংরা আবর্জনা পরিস্কার করে। তারপর রান্নাঘর থেকে একটা বাটিতে দুধ নিয়ে এসে অভুক্ত বিল্লুটাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করে, কিন্তু রানী কিছুই মুখে তোলেনা, এক সময় ক্লান্ত-অবষন্ন, ভীত-সন্ত্রস্ত রানী ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমন্ত , বিপর্যস্ত রানীর মায়াভরা পুঁচকে অবয়বের দিকে রাহেলা নির্নিমেষে তাকিয়ে অস্ফুটে বলে- “আহারে তোমার বাপ-মা নাই ? কই গ্যাছে সব? আহারে আমার ময়না,সোনা তুমার কুন চিন্তা নাই, তুমি আইজ থিকা আমার কাছেই থাকবা, আমারো মাও-বাপ নাই” । সেই থেকে রানী এখানেই আছে, লুকিয়ে চুরিয়ে, হাজারো হুমকি আর বহিস্কারের অপচেষ্টার মধ্যে থেকেও সে লাউয়ের ডগার মত তড়তড়িয়ে বেড়ে চলেছে।
“ রানী, রানী ওঠ আম্মা দেখে কে আসছে”- সারা গায়ে হাত বুলিয়ে রাহেলা রানীর ঘুম ভাঙ্গাতে চেষ্টা করে। রানী চোখ না খুলেই রাহেলার হাত তার ছোট্ট দু’থাবার মাঝ জড়িয়ে ধরে তাতে আলতো করে একটু কামড়ে দেয়, কামড়ে দিয়েই আবার ব্যস্ত ভঙ্গীতে রাহেলার হাত চাটতে থাকে, যেন ভুল করে ব্যথা দিয়ে ফেলেছে এখনি তার ঊপশম করা দরকার। এবার সামিয়াও হাত বুলাতে শুরু করে, কিন্তু রানীর গলার নীচে চুলকে দিয়েই সে চমকে ওঠে। রাণীর সারা গায়ে ছোট ছোট পোকার রাজত্ব। সামিয়া খুব ভালো করেই জানে নিরিহ দেখতে এই পোকাগুলো রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ারের মতই ভয়ংকর। মনে মনে ভাবে রানীকে আজ-কালের মধ্যেই পশু ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। ওদের দু’জনের সম্মিলিত ঘাটাঘাটিতেও রাণী চোখ খোলেনা, বরং মটকা মেরে পড়ে থেকে বেহায়ার মত আদর খেতে থাকে।
“কি সুন্দর তোমার বাবুটা, ইচ্ছা হচ্ছে লাল টুকটুকে নাকটায় জোড়ে একটা চিমটি দেই”- সামিয়া বলে, চিমটি কাটার দূরন্ত লোভ সামলাতে সামলাতে।
“দিলে দেন আফা, হ্যায় কিছু মনে করতনা । আমি কত চিমড়াই, গুতাই, মাঝে মইদ্যে দুই হাত ধইরা নাচাই, আমার মায় কইত এই খবদ্দার বিলাই নাচাবিনা, বিলাই নাচাইলে কপালে দুখখু আহে । আমি মনে করতাম আমাগো পোড়া কপালে দুখখুর কি এমনিতে কোন শ্যাষ আছে, বিলাই নাচাইলে আর কি হইব? হেই লেগ্যাই মনে হয় মা-বাপ দুইজনেই মরছে, এহন তো আর মরইন্যা কেউ নাই, তাই মনের সুখে বিলাই নাচাই”।
সামিয়া অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল। একটু আগেও যাকে বোবা বলে চালিয়ে দেয়া যেত তার মুখে যেন এখন খই ফুটছে। মানুষের মনের কত কথা না বলা থেকে যায় শোনার মানুষের অভাবে।
(চলবে)
--------------------------------------------------------------------------
বিঃদ্রঃ এ পর্বটি উৎসর্গ করা হল সুলতানের মা ( তার সত্যিকার নাম কোনদিন জানা হয়নি) নামের অনেক বছর আগে আমাদের বাড়ীর এক কাজের বুয়াকে।
মন্তব্য
আমি পশুপ্রেমী নই কিন্তু আমারও চমৎকার লাগলো, নিশ্চিতভাবেই বাকিদের আরো ভালো লাগবে।
সেই আশাতেই আছি। কেউ গাইল পাড়লে প্রকৃতি প্রেমীরে ডাক দিমু আর স্নিগ্ধা আপার কইন্যারে।
তা দিতে পারেন, এমনিতেই এখনই মা'র মতো গলাবাজি করতে পারে, আর পশু পাখির জন্য তো একদম জান লড়ায়ে দিবে!
দুই সপ্তাহ আগেই আমাকে খুব 'যুক্তি' সহকারে বুঝানোর চেষ্টা করতেসিলো কেন বিড়াল সবচাইতে ভালো, এমনকি আসলে কুকুরের চাইতেও ভালো, আমি বলসিলাম "শুনবো না" কারণ আমার কাছে - সবার উপরে কুত্তা সত্য, বিল্লী তাহার নীচে। তবে, ক্যালিফোর্ণিয়া ঘুরে আসার পর থেকে তারও শয়নে স্বপনে কুকুর আর কুকুর
কয়েকদিন আগে বলতেসিলো যে সে তার বন্ধুদের নিয়ে একটা সাইন তৈরী করবে Please Don't Kill Animals বলে, তার উত্তরে আমি বললাম - "আজকে থেকে আর মুরগী খাবি না নিশ্চয়ই?" আমি খুবই ভালু মা কিনা, তাই আমার সাত বছরের মেয়েকে থতমত খাওয়াতে পেরে অপার আনন্দ পাইসি
কিচ্ছা তো, যথারীতি, বড়ই ভালু হচ্ছে। পরের পর্ব ...... ?
তোমার মেয়ে হয়েছে তার মামার মত, মানে আমার মত ( সহস্রাধিক বোন আমার, কাউকেই আপনি বলতে পারিনা, বেদ্দপী মার্জনা করা হউক)।
শর্তহীন ভালোবাসা কেবল শিশু, বৃদ্ধ আর অবলা প্রানীদেরই প্রাপ্য- আমার এই কথাটা অনেকেই বুঝতে চায়না।
মামুন ভাই লক্ষণ তো ভাল না, শুরুতেই চা খাওয়া শুরু করলেন ??
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আরে কত্তোটা লিখেছেন, এরপর এককাপ চা মামুন ভাইয়ের হকের পাওনা। নইলে পরের ভাগটা লেখার তাকৎ আসবে কোত্থেকে।
হা হা হা। ভেরি ফানি
কিচ্ছা পছন্দ হইছেনি সেইটা কও, নাইলে খেলুম না, পরের পর্ব আর আসবে না।
এই বোকামি ছাড়ান দিছি বহুকাল হচ্চে।
আগে পুরা গল্প নামায়া দেন। তারপরে গল্প সম্মন্ধে মন্তব্য পাবেন। হে হে হে
এর অর্থ হইল মন্তব্যকারীও চা খাইতে গেছে......
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আপাতদৃষ্টিতে যেখানে মানবিক হওয়ার প্রয়োজন নেই, সেখানেই মানবতার প্রদর্শন শ্রেষ্ঠ। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম অধীর আগ্রহে।
লিখতেছি। অচিরেই আসবে
অ-নে-ক ভালো লাগলো।
বাকিটার অপেক্ষায়...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এতো বিশাল লেখা আমি ব্লগে খুব কম পড়ছি
একটানে পড়ে গেলাম, ভাল্লাগলো।
গল্প পড়ার পর পর্যবেক্ষণ-
আপনি= সামিয়ার মতো মানুষ
আমি= মাজেদা টাইপ মানুষ। বিড়াল একদম সহ্য হয় না
ধইন্যবাদ । শুধু বিড়াল না , রাজাকার ছাড়া দুনিয়ার বাকী সব জন্তুর দুধে-ভাতে বাঁচার অধিকার আছে বলে মনে করি।
তুমি তো মিয়া বাংলার নতুন শরৎচন্দ্র, তোমার লেখায় চোখে পানি আনার প্রচুর উপকরণ থাকে... চালায়া যাও মিয়া! সেকেন্ড এপিসোডের অপেক্ষায় আছি!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
বিড়াল আমার ২ চোখের বিষ। কিন্তু আপনার লেখার যাদু তে আমি মুগ্ধ। ১ দমে পড়ে ফেল্লাম। আপনার নাম এর পাশে এখনো অতিথি কেনো? সেটা তো বুঝলাম না। মডুরা কি চা খাইতে গেসে নাকি মুড়ি খাইতেসে?
সাইফ অনেক অনেক ধন্যবাদ, একটা টেবল টেনিস বল নিয়ে পাঁচ-ছয় মাসের একটা বেড়ালের সাথে একটু ফুটবল খেলে দেখ, দেখবা তাদের আর চোখের বিষ বলে মনে হবেনা। অদ্ভুত তাদের রিফ্লেক্স!
আর আমি অতিথি হিসেবেই খুউউউউব ভালো আছি
ভালোই কইছ দোস্ত, কিন্তু আমারে না জিগাইয়া আমার দাড়িডারে যে নকল করছ তার কি হইব?
শাস্তিস্বরূপ মৃদুলদার দাড়ির একসাইড সাইজ করে ফেলা হোক।
- আদেশক্রমে মহামান্য ধুগো,
(স্বাক্ষর অস্পষ্ট)
জাকাজা ভায়রা ভাই পরিষদ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ, নাচান, বিলাই নাচান !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এক্কেরে আমার মনের কতাডা কইছ ধুঃগোঃ
জাকাজা ভাউরা ভাই পরিষদ জিন্দাবাদ!!
- হৈ মিয়া, ভায়রা ভাই পরিষদের নাম লৈয়া মশকারী করেন? এইটা কইলাম তরকারী না যে রাঁধিয়া খাইবেন, এইটা খুব দরকারী! ভায়রা ভাই পরিষদের কোপাণলে পড়লে কৈলাম খবরাছে।
বহুতকাল পূর্বে সচলায়তনে এক মেম্বর আছিলেন। তিনি জাকাজা ভায়রা ভাই পরিষদ লৈয়া শ্বশুর বাড়ির জনৈকার নাম কইরা কিঞ্চিৎ অন্তঃকলহমূলক পলিটিক্স করিয়াছিলেন। তারপর যাহা হৈয়াছে তাহা ইতিহাসের পাতায় পিতলাক্ষরে লেখা আছে।
জনগণ জানে তিনি মানে সেই ভূতপূর্ব মেম্বর প্রায়ই হাসপাতালে শয্যাশায়ী থাকেন পিঠের ব্যদ্নায়। কারণ উহার পর হইতে তিনি রেগুলার বউয়ের হাতে পিডা খান। নিন্দুকেরা বলে এর পেছনে নাকি জাকাজা ভায়রা ভাই ইন্টেলিজেন্স সংস্থা'র বিশাল, সুগভীর আর গোপনীয় হাত আছে।
অতএব সময় থাকতে সাবধান হৈয়া যান কৈলাম। জাকাজা ভায়রা ভাই পরিষদরে নিয়মিত বখরা পরিশোধ কইরা যাইয়েন, কোনো ঝামেলায় পড়বেন না। নাইলে একদিন কইবেন, "কইছিলো, ধুগো আগেই কইছিলো!"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ডরাইছি ধুগো। এখন না প্যাচাইয়া মনের কথাটা খুলে বল দেকি ভালো মানুষের ছা য়ের মত।
মামুন ভাই,
লা-জবাব!
পরের পর্বের অপেক্ষায়----
ধন্যবাদ ভাইয়া
আমিও আছি পরের পর্বের অপেক্ষায়। ভালো মানুষরেই উতসর্গ করা হইলো, জীবনেও টের পাবেন না উনি।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ভালো কথা বলেছেন তানবীরা, ঐ ভদ্রমহিলা হয়ত কোনদিনই জানবেন না তাকে আমার এই লেখাটি উৎসর্গ করার কথা, উনিতো পড়তেই জানেন না , কিন্তু পশু-পাখিদের প্রতি তাঁর যে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আর আত্নত্যাগ আমি কাছ থেকে দেখেছি তাতে এত বছর পরেও আমি অভিভূত।
আপনার কি শখ বলেন, পরে আপনাকে উৎসর্গ একটা লেখা লেখা হবে
আমি সামান্য মানুষ, শখও খুবই সামান্য। একবার তাইওয়ান দ্যাশটা দেখবার, খানা - খাদ্য খাইবার শখ। লেখা দিয়া কি করুম, ঝালমুড়িতো বেচি না যে ঠোঙ্গা বানানের কামে লাগবো। ইয়ে মানে দেড় খান তাইওয়ানের টিকট যদি উৎসর্গ করতেন ভাইডি। একখান আমার আর একখান আমার কইন্যার জন্য।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হে হে হে কি জমাইয়া কতা কন, আফনের পেশা কি? আইঞ্জীবি নাকি??
আইন পড়তে গেছিলাম দাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিন্তু শেষ মেষ ঐ যে জীবনে কিছুই হইলো না
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
- দেড়খান ক্যানগো আফা? ভাইজান কী দোষ কর্ছে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তুমি জাবেদা খাতা নিয়ে বসো, আমি বলি তুমি তার দুষের হিসাব রাখো
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
কি ভাই, বিলাই নাচানিতে এতোই ব্যস্ত যে পরের অংশের কথা ভুলেই গেলেন?
নতুন মন্তব্য করুন