অতি প্রয়োজনীয় দ্রষ্টব্যঃ অত্র কাহিনীমালা আগা গোড়াই বানোয়াট, গাজাখুরী বলিলেও মাত্রাতিরিক্ত হইবেনা। ইহার সহিত জীবিত, মৃত বা জীবন্মৃত কোন ব্যক্তি বা স্থান-কাল-পাত্রের কোনই সামঞ্জস্য নাই। দৈবক্রমে কিছু মিলিয়া গেলে উহাকে উইশফুল থিংকিং বলিয়া গন্য করিতে হইবে।
সতর্কবানীঃ যে বা যাহারা অত্র বানোয়াট কিচ্ছার মধ্য হইতে বাস্তবের লেশ মাত্র খুজিয়া ফিরিবেন, বা খোচা খুচি করিবেন তাহাদিগকে হস্ত-পদ বন্ধন করিয়া সমস্ত রাত্রি ওয়েষ্টার্ন মিলনের উচ্চাংগ সংগীত শুনিতে বাধ্য করা হইবে।
অভয়বাণীঃ যেহেতু ইহার মধ্যে সত্যের লেশ মাত্র নাই, তাই শাস্তি পাইবার সম্ভাবনাও সুদূর পরাহত।
বহুকাল পূর্বে কোন এক আলাভোলা বাংগালী ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সমুদ্রে জীবনের জাহাজ যাত্রায় ভ্রমন করিতেছিল। তাহার একটা নাম দেয়া দরকার, ধরিয়া লন এক্স, ওয়াই বা জেড। না ইংরেজী নাম ভালো শুনাইতেছেনা , ধরা যাউক তাহার নাম রাম...শ্যাম...যদু বা মধু । মধু কিঞ্চিত ভালো লাগিতেছে, তবে মস্তিস্কে বায়ু চড়া কেহ উহাকে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় মডু বলিয়া সম্বোধন করিতে পারেন, ইহা একটা দুশ্চিন্তার বিষয়। যাহা হউক পৃথিবীতে কোন কিছুই পুর্নভাগ নিরাপদ নহে, ইহাতো কেবল মাত্র একখানা নাম, মধুই সই। মধু খানিকটা উন্মাদ প্রকৃতির, স্বাভাবিক জীবন যাপনে তাহার যারপরনাই অনাগ্রহ আর অজানাকে জানার, অচেনাকে চিনিয়া লইবার প্রতি তাহার উন্মত্ততা উন্মাদনার সমগোত্রীয়। ঝঞ্ঝা বিক্ষুদ্ধ যাত্রায় ক্লান্ত, তিতিবিরক্ত মধু কোন এক আলটপকা মুহুর্তে অগ্র-পশ্চাৎ না ভাবিয়াই, বাতি ঘরের নিশানা না চিনিয়াই, সমুদ্রে ঝাপাইয়া পড়িয়া স্রোতের বিপরীতে সাতার কাটিতে কাটিতে সহযাত্রী সকলের দৃষ্টি সীমার বাহিরে চলিয়া গেল। যদিও মধুর সলিল সমাধি বা হাংগরের খাদ্য হইবার দুশ্চিন্তায় কাহারো নিদ্রা বিনষ্ট হইল না।
সমুদ্রতটে এই অবেলায় জন মনুষ্যির নাম-গন্ধ দেখা যাইতেছেনা। চতুর্দিক হইতে বন্ধনহীন বাতাস আসিয়া মধুর স্কন্ধস্পর্শি কেশ লহিয়া খেলা করিতে থাকে। মধু চক্ষু মুদিয়া আকাশ-কুসুম ভাবিতে থাকে। আহা এই ধু ধু মহাসমুদ্র হইতে যদি কোন মৎসকন্যা উত্থিত হইয়া আমার সহিত বালিঘর বানাইতে বসিয়া যাইত, যদি কাছে আসিয়া পাশে বসিত, যদি তাহাকে বাটীতে লইয়া গিয়া স্ফটিকের খোদলে বন্দি করিয়া রাখিতে পারিতাম! মধু এইখানে আসিয়া থামিয়া যায়, তাহার বাটীও নাই, স্ফটিকের খোদলও নাই, তাহার চাউলও নাই অগ্নিকুন্ড ও নাই, তাহার ভগ্নি নাই, ভ্রাতা নাই, ছাতা নাই, বাগান ও নাই । বিধাতা মুচকি হাসিলেন।
পরদিন মধুকে কার্যসন্ধানে দূরবর্তী এক লোকালয়ে যাইতে হইবে। সে মধ্য দিবসে কু-ঝিক ঝিক প্রাংগনে আসিয়া উপস্থিত হইল। উহাতে যাত্রার অনুমতি খরিদ করিতে গিয়া লাবণ্যময়ী এক উদ্ভিন্ন যৌবনার দিকে তাহার দৃষ্টি পড়িল। বালিকার সমগ্র অবয়ব হইতে যেন ভিন্ন মাত্রার, ভিন্ন তাপের আভা ঠিকরাইয়া বাহির হইতেছে। মধু ডুবিয়া যাইতেছিল কিন্তু তৎক্ষনাত কুঝিকঝিক বংশী বাজিয়া উঠিল। সম্বিত ফিরিয়া আসিলে মধু নতমস্তকে বাহনে চড়িয়া বসিল। কিসের বা কাহার ভাবনায় তাহার মস্তিস্ক ভারী বোধ হইতেছে তাহা সে বুঝিয়া উঠিবার আগেই কোথায় যেন বিচ্ছেদের বাজনা বাজিয়া উঠিল। বিচ্ছেদের বাজনাটি মধুর মজ্জাগত, পাইবার আগেই সে হারাইয়া বসিয়া থাকে। তবুও সে কুহকীনি আলোকরাশিকে ধাওয়া করিয়া পথ চলিতে থাকে, নিরন্তর।
পার্শ্ববর্তী আসনে কেহ সমাসীন নহে, তাহার পরবর্তী আসন হইতে এক মধ্যবয়স্কা নারী ক্ষনে ক্ষনে মধুর পানে উৎসুক নেত্র হানিতেছেন। মধু না দেখিবার ভান করিয়া বাতায়নের শার্সীর মধ্য দিয়া বহির্জগতের দৃশ্য দেখিতে মনোযোগী হয়। দিগন্ত বিস্তৃত প্রান্তর আর তাহার মধ্যে ফেলিয়া আসা অতীতের শবযাত্রা দেখিতে দেখিতে মধু ডুবিয়া যাইতেছিল। হঠাৎ রমনীকন্ঠের বিজাতীয় ভাষার প্রশ্নে সে ভাসিয়া ওঠে। এই ভাষা মধুর জানা নাই, রমনী কি প্রশ্ন করিয়াছেন তাহা সে বুঝিতে পারেনা। তাহার হাস্যমুখ দেখিয়া মনে হইল তাহার অন্তরে কোন কালিমা নাই, তবে ভিনদেশী যুবার প্রতি আগ্রহ রহিয়াছে। মধু হাস্য দিয়া হাস্যের জবাব দিতে যতটা সক্ষম, ভিনরাজ্যের কথন বুঝিতে ততটাই অক্ষম, সে ফেল ফেলাইয়া চাহিয়া থাকে।
“আমি কি কোন সাহায্যে আসিতে পারি”- কিন্নর কন্ঠে কে যেন পশ্চাতাসন হইতে মধুর পরিচিত আরেকটি বিজাতীয় ভাষায় বলিয়া উঠিল।
মধু গ্রীবাদেশ ঘুরাইয়া দেখিতে পাইল ইহাতো সেই উদ্ভিন্নযৌবনা যাহাকে দেখিয়া সে ডুবিয়া যাইতেছিল। বিধাতার অপার কৃপা- সে ভাবিল। বিচ্ছেদের বাজনাটি আবারো বাজিতে গিয়া খানিকটা হেচকি জাতীয় আওয়াজ করিয়া থামিয়া গেল। মধু বুঝিল তাহার কপালে দুর্ভোগ আসিতেছে।
বালিকার মাধ্যমে জানিতে পারিল উৎসুক রমনী তাহার পরিচয় জানিতে চাহিতেছেন। মধু হ্রস্ব বাক্যালাপের মধ্য দিয়া যতটুকু না বলিলেই নহে বলিয়া এই যাত্রা ক্ষান্ত দিতে চাহিল। নিরুৎসাহী ঘোড়া লইয়া পোলো খেলিবার মাঝে তেমন আমোদ নাই, রমনী কথকতা থামাইয়া অংগুলীর নখরের পরিচর্যায় মনোনিবেশ করিলেন। কুঝিকঝিক পরবর্তী আংগীনায় যাত্রা বিরতি করিলে রমনী নিস্ক্রান্ত হইলেন, আর মধু নির্বিষ নদ খনন করিয়া কুম্ভীর আনিবার মত বালিকাকে তাহার পার্শ্বে আসিয়া আসন গ্রহন করিবার আমন্ত্রন জানাইলো।
আদি-অন্ত না ভাবিয়াই বালিকা চক্রব্যুহে পদার্পন করিল। তাহারা দুই জনে মিলিয়া কথকথার ঝাপি খুলিয়া বসিল। কাহারো কাহারো প্রতি জানিবার বিষয়ের সমাপ্তি নাই। বালিকা চিকিৎসা শাস্ত্র লহিয়া সত্যান্বেষী বিদ্যাচর্চা অধ্যয়ন করিতেছে। তাহার নিকটেই মধু জানিত পারিল যে বিজ্ঞানীরা মনুষ্য-প্রতিরূপ সংক্রান্ত গবেষণার শেষ পর্বে দাঁড়াইয়াছেন, ভ্রূণাংকুর-কোষ সংক্রান্ত গবেষণাও এক গুরুত্বপূর্ন মুহূর্তে উপনীত। কথকতা অত্যন্ত আনন্দদায়ী ভঙ্গীতে আগাইতেছিল কিন্তু মধুর বণিক সম্প্রদায়ের নবীনতম প্রতিনিধি হইবার অভিপ্রায় শুনিয়া বালিকা খানিকটা দমিয়া গেল। তাহার পুর্ব অভিজ্ঞতায় সে দেখিয়াছে বণিক মাত্রই অত্যাধিক কুটিল প্রকৃতির হইয়া থাকে, তাহারা সব কিছুই ক্রয় বা বিক্রয়যোগ্য বলিয়া ভাবিয়া থাকে, তাহাদের স্বার্থান্বেষী মানসে কাহারো অবাধ প্রবেশাধিকার সহসা ঘটেনা, তাহাদের সহিত ভাব-ভালোবাসা হইবার চাইতে জংগলে প্রবেশ করিয়া দেবদারু বৃক্ষ পরিবেষ্টন করিয়া অনর্থক কালক্ষেপনে মগ্ন হওয়া অনেক বেশী নিরাপদ। সে প্রসংগ পরিবর্তন করিয়া মধু কর্মজগতের বাহিরে আর কোন কোন বিষয় উপভোগ করিয়া থাকে তাহা জানিতে চাহিল। বৈষয়িক বিষয়াদিতে বালিকার চুডান্ত অনাগ্রহ দেখিয়া তাহার প্রতি মধুর মুগ্ধতা শনৈঃ শনৈঃ বাড়িতে লাগিল। সে গহীন মানস-কোনে লুকায়িত ভাবনার অর্গল খুলিয়া দিল। বালিকাকে জানাইল তাহার মধ্যে নিদ্রায়িত এক শৈল্পিক সত্তার কথা, ভাংগিয়া যাওয়া লেখনীর পুনর্জাগরনে তাহার সাগ্রহ প্রতীক্ষার আখ্যান, জীবনের তুলিতে রং মাখাইয়া নভোমন্ডল রাঙ্গাইয়া দেওয়ার স্বপ্নের বিবরন। ইহা শুনিয়া বালিকার আগ্রহ কমিতে কমিতে একেবারে শুন্যের কোঠায় আসিয়া পড়িল। কল্পনাবাদী ভাবুক শ্রেনীয় পুরুষকে তাহার বণিকদের চাইতেও বিরক্তিকর বলিয়া মনে হয়। বালিকা কথা না বাড়াইয়া শৌচাগারে যাইবার অজুহাতে মধুর সংগ ত্যাগ করিল। মধু তাহার গমন পথের দিকে নির্নিমেষে তাকাইয়া রহিল।
এত আড়ম্বরের সহিত আরম্ভ করা হৃদয়স্পর্শী আলোচনাটি এইভাবে একটি ক্ষুদ্র মুষিক প্রসব করিয়া দেওয়ায় বিচ্ছেদের বাজনাটি পুনরায় ত্রাহি আওয়াজে বাজিয়া উঠিতে চাহিল, কিন্তু মধু গন্ডদেশ চাপিয়া ধরিয়া উহাকে অংকুরেই বিনষ্ট করিয়া দিল। সংসারত্যাগী সাহিত্যিকের ভেক ধরিয়া এতকাল নারীসমাজকে সচকিত এবং আকৃষ্ট করিবার যে আত্নশ্লাঘা মধু অনুভব করিয়া আসিয়াছে এই মুহূর্তে তাহা কিছুটা অস্তমিত। তবুও এই বালিকাকে তাহার অদ্যাবধি জানা- ঘনিষ্টতা হওয়া নারীদের হইতে সম্পুর্ন ভিন্ন প্রজাতির বলিয়া অনুভব হইয়াছে। একবার ভাবিল কি হইবে ইহার সহিত বন্ধুত্ব স্থাপন করিয়া? ইহার চাইতে অর্থনীতি-জনিত দুশ্চিন্তা সমুহের সম্যক বিবেচনাই হয়তো জরুরী। কিন্তু মধুর উন্মাদ মস্তিস্ক তাহাকে অস্থির করিয়া তুলিল, সে আভ্যন্তরীন তীব্র অন্তর্দ্বন্দ্বের নিকট মস্তক নত না করিয়া ধীর-স্থির পদক্ষেপে বালিকার সন্ধানে শৌচাগারের দিকে হাটিয়া চলিল। পরাজয় মানিয়া লওয়া মধুর স্বভাব-বিরুদ্ধ , নিজের অবস্থানকে সমুন্নত রাখিবার জন্য প্রয়োজনে সে খোল করতাল সহযোগে শশধর তর্কচূড়ামনি হিসাবে আবির্ভুত হইয়া থাকে।
দুই কক্ষের মধ্যবর্তী স্থানের ফাকা স্থানে বালিকা দন্ডায়মান। বাতায়ন পানে তাহার দৃষ্টি, কিন্তু সে ভাবিতেছে কোন হেতুতে তাহার সহিত এমন সব পুরুষের দেখা হয় যাহারা এই ঘোর শ্রাবনেও তাহার হৃদয়কে বর্ষনসিক্ত করিয়া তুলিতে পারেনা। মধুকে তাহার দিকে আগাইতে আসিয়া দেখিয়া সে কিঞ্চিত বিরক্ত হইলেও মুখোভাবে তাহা ফুটিয়া উঠিতে দিলোনা। মধু ভনিতা ছাড়াই প্রশ্নবাণ নিক্ষেপ করিল-
“তোমাকে বিরক্ত করিবার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী, কিন্তু আমি কি জানিতে পারি কি হেতুতে তুমি সমস্ত সাহিত্যিক সম্প্রদায়ের উপর খড়গহস্ত”?
বালিকাও বিনা ভুমিকায় উত্তর প্রদান করিল-
“আমাকে দেখিতে বালিকা মনে হইলেও আমি জীবনের অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়া চলিয়াছি। আমি অন্ধ নহি, অকাট মুর্খ ও নহি, চতুস্পার্শ্বে কি ঘটিতেছে তাহা আমি চক্ষু খুলিয়া প্রত্যক্ষ করি এবং উহা হইতে শিক্ষা গ্রহন করিয়া থাকি। আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে আমি দেখিয়াছি যে সাহিত্য চর্চায় মনোনিবেশকারী ব্যক্তিগন বাস্তবতাকে আস্বীকার করিয়া কল্পনার জগতে চলাচল করিয়া থাকে। তাহারা হয়তো বর্ণান্ধের ন্যায় আচরন করে অথবা তাহাদের চক্ষুতে আপন আকাঙ্ক্ষা মত ঠুলি পড়াইয়া লয়, উহার মধ্য দিয়া তাহার শাদাকে ধুসর আর হলুদকে সবুজ দেখিয়া থাকে । তাহাদের বৈষয়ক বিবেচনাবোধ অতি ক্ষুদ্র, প্রায়শই তাহাদের থলেতে মুদ্রা থাকেনা, উহারা আত্নভোলা এবং অধিকাংশই অপরিণত বালখিল্যতায় আক্রান্ত। উহাদের সহিত বন্ধুত্ব করিবার অর্থই হইল তাহাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরনের উত্তরাধিকার আপন স্কন্ধে তুলিয়া লওয়া”।
মধু নির্বাক হইয়া গেল। এই মাত্রার অতি বেগুনী রশ্মির জন্য তাহার কোন প্রস্তুতি ছিলোনা। সে আহত স্বরে বলিয়া উঠিল-
“কিন্তু তোমার নিজস্ব অভিজ্ঞতার দায়ে কি সকলকেই দোষী সাব্যস্ত করা উচিত’?
বালিকা রণংদেহী মুর্তি ধারন ক রিল-
“আমার অভিজ্ঞতার প্রসংগ যখন উত্থাপন করিয়াছ তাহা হইলে শুনিয়া লও কর্ণকুহর খুলিয়া। উচ্চবিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় এক সহপাঠীর প্রেমে পতিত হইয়া আমার হৃদয়কুসুম প্রস্ফুটিত হইয়া যায়। আমার প্রেমিক প্রবর এক স্বঘোষিত কাব্যকার। তাহার রহস্যময় চলাচল, ঝিম ধরিয়া বসিয়া থাকিয়া ক্ষনে ক্ষনে উত্তরাধুনিক বিষয়ে আলোচনার আবতাড়না ইত্যাদি দেখিয়া তাহার প্রতি আমার আকর্ষন বাধ ভাঙ্গা স্রোতের মত আমাকে ভাসাইয়া লইয়া যায়। আমি প্রতিদিন তাহার দ্বিপ্রহরের খাদ্য খরিদ করিতাম, তাহার সুদীর্ঘ কেশের পরিচর্যা করিতাম, তাহার থলেতে মুদ্রা না থাকিলে তাহা ভর্তি করিয়া দিতাম। সর্বোপরি তাহার প্রেমে আমার হৃদয়ে অনল জ্বলিত”।
“তাহার পরে কি ঘটিল”? মধু সাগ্রহে জানিতে চায়
“তাহার পরে যাহা ঘটিল তাহা বলিবার ভাষা আমার জানা নাই। ক্রমশই অবগত হইলাম যে আমিই তাহার একমাত্র প্রেমিকা নহি, আমার সহপাঠিনীদের মধ্য হইতে আরো তিনজন পালা করিয়া তাহার শয্যাশায়ী হইয়াছে, প্রত্যেকেই ভাবিত তাহাদের ভালোবাসা অবিনশ্বর। ইহা জানিয়া আমার মস্তিস্কে অগ্নিপ্রবাহ শুরু হইল, আমি ঘটনার বাস্তবতা জানিবার উদ্দেশ্যে তাহার বাটীতে গিয়া উপস্থিত হইলাম। সে মধুর বাক্যে আমাকে আশ্বস্ত করিল যে যাহা রটিয়াছে তাহা হিংসুক রমনীদের বাচালতা বই আর কিছু নহে , আমি বিহনে তাহার জীবন বৃথা। আমি শুনিয়া আশ্বস্ত হইলাম। সে আমাকে জড়াইয়া ধরিয়া ওষ্ঠাধরে গভীর এক চুম্বন আকিয়া দিল। আমিও অন্তরের অন্তঃস্থল হইতে তাহাতে সাড়া দিলাম, কিন্তু ক্রমশ অনুভব করিতে লাগিলাম যে তাহার হস্তদ্বয় আমারে শরীরের যত্র তত্র অবাধে যাতায়াত শুরু করিয়াছে। আমি কিছু বলিবার আগেই সে তাহার নিম্নাংগ উন্মুক্ত করিয়া ফেলিয়া ফ্যাসফেসে কন্ঠে আমাকে বলিল...প্রেয়সী এই মুহূর্তে তুমি আমাকে দন্ডায়মান অবস্থানে রাখিয়া আমার পৌরুষের উপর মুখমেহন প্রয়োগ করিতেছ, ইহা ছাড়া আমি আর কিছুই ভাবিতে পারিতেছিনা”।
“অ্যা!”- মধুর মাথায় আর কোন শব্দ আসিল না।
বালিকা থামিলনা, জ্বালাময়ী স্বরে সে বলিয়া যাইতে লাগিল-
“ আমি হতবাক হইয়া গেলাম, ভালোবাসাকে কেহ এইভাবে পুতিগন্ধময় করিয়া প্রকাশ করিতে পারে তাহা আমার ধারনায়ও আসে নাই। আমি তাহাকে ‘পশ্চাতদেশের ছিদ্র’ আখ্যা দিয়া উহার বীভৎস বাটি হইতে ঝড়ের বেগে প্রস্থান করিলাম। সেই ঘটনা আমার হৃদয়ে এমনভাবে ছাপ রাখিয়া গুয়াছে যে আমি অদ্যাবধি কোন সাহিত্যকর্মীর ছায়াতেও পদার্পন করিনা। আমার জানামতে উহারা কেবল নারীলীপ্সুই নহে নারীখাদকও বটে। দুঃখিত হয়তো সকলেই পশ্চাতদেশের ছিদ্র নহে কিন্তু আমি উক্ত দুর্ঘটনায় অত্যন্ত আহত , উহা ভুলিয়া যাওয়া আমার দ্বারা সম্ভব বলিয়া মনে হইতেছেনা”।
আলোচনা আর তেমন আগাইলোনা। মধু কি বলিয়া সান্তনা দিবে বা বালিকার মনোভাবে পরিবর্তন ঘটাইবে ভাবিয়া পাইল না। বালিকাকে তাহার ভালো লাগিয়াছে, মধু হাল ছাড়িতে প্রস্তুত নহে। সে নাছোড়বান্দার মত পুনঃ পুন” অনুরোধ করিয়া বালিকার চলিষ্ণু দূরালাপনী আর নভোঃ পত্রের ঠিকানা জানিয়া লইল।
কুঝিকঝিক গন্ত্যব্যস্থলে উপনীত হইয়াছে, বালিকা দায়সারা মাত্রার বিদায় সম্ভাষন জানাইয়া জনসমুদ্রে হারাইয়া গেল। মধু হাটিতে হাটিতে প্রাংগনের বাহিরে আসিয়া নিঃসংগ একটি আসন গ্রহন করিল। তাহার মধ্যে মহা সমারোহে বিচ্ছেদের বাজনাটি বাজিয়া উঠিল, মধু বাধা প্রদান না করিয়া আত্ন সমর্পন করিল। কিন্তু রসিক বিধাতা উহার মস্তিস্কে নীরব অভ্যত্থান ঘটাইয়া বাজনাটি বদলাইয়া দিলেন।
(জনগন চাহিলে চলিবে)
মন্তব্য
কী সব ডিসক্লেইমার দিয়ে রাখসেন অযথা শুরুতে! উঠায় দেন ওগুলা। আমি তো ওগুলা পড়ে ভাবলাম কী না কী। এর মধ্যে আবার মধু'র নামের অপভ্রংশ নিয়েও বলা শুরু করলেন। শেষে দেখি এমন কিছুই না!
এবার গল্প নিয়ে বলি। উপাদেয়, বেশ উপাদেয়। সাধু ভাষায় কিছু কিছু শব্দ ভুলতে বসেছিলাম। মজা পেলাম অনেক দিন পর সেগুলো শুনে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ডিসক্লেইমার দিয়া পাঠকদের মনোযোগ করিবার চেষ্টায় আছি...হে হে হে। তবে কাহিনী এখনো অনেক বাকী। সব কিছু পরিস্কার হবে ধীরে ধীরে।
কনফুসিয়াস ঠিকই বলছে, এইটা হলো বিবৃতি দেওয়ার যুগ। মামুন ও বিবৃতি দিয়া শুরু করলেন
মরা জলে ডুবুক আর নাই ডুবুক লেখা চলবে, চলতেই হবে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মর হাবা! মর হাবা!
তবে পুরা গল্প শেষ কইরা মরিস!
দুর্দান্ত হইছে বন্ধু! তুই যে সাধুপুরুষ তাতে সন্দেহ নেই। নইলে সাধু ভাষায় এই দারুণ জিনিস লিখছিস ক্যামনে?
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
প্রচুর বানান ভুল রহিয়া গিয়াছে, কেহ দয়া পরবশ হইয়া সংশোধন করিয়া বাধিত করিলে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকিব।
যাহারা এই অখাদ্য পড়িয়া বদনা হস্তে দৌড়াদৌড়ি করিতে বাধ্য হইয়াছে তাহাদের প্রতি রহিল আন্তরিক সমবেদনা।
রূপকাকারে আত্মজীবনীটি চমৎকার হচ্ছে।
আপনি চাইলেন বলেই এই কুকাজ করছি, নইলে বানান শুদ্ধি করতে গিয়ে খিস্তি খাওয়া উদ্দেশ্য নয়। মাইন্ড খাইবেন না যেন।
"আজীবন কৃতজ্ঞতা"র কিছু ট্যানজিবল বেনেফিট মিলিবে কি?
গাঁজাখুরি
খুঁজিয়া
খোঁচাখুঁচি
বাঙ্গালি (বাংগালি অনেকে লেখেন যদিও)
মস্তিষ্ক (ষ হবে)
ঝাঁপাইয়া
সাঁতার
হাঙ্গর (অনুস্বার আজকাল কেউ কেউ লাগান বোধ হয়)
স্কন্ধস্পর্শী
বন্দী
তৎক্ষণাৎ
মস্তিষ্ক
কুহকিণী
ক্ষণে ক্ষণে
শার্সি (এইজাতীয় বৈদেশিক শব্দে সাধারণত দীর্ঘ ঈ কার লাগানো হয় না)
পশ্চাদাসন
হঁেচকি
রমণী
অঙ্গুলি
আঙ্গিনায়
রমণী
নিষ্ক্রান্ত (ষ)
"নির্বিষ নদ" বলতে কি খাল বুঝিয়েছেন?
আমন্ত্রণ
পদার্পণ
ঝাঁপি
সমাপ্তি'র জায়গায় অন্ত বোধ হয় বেটার হতো: সমাপ্তি সাধারণত ঘটনার ক্ষেত্রে হয়, বিষয়ের অন্ত হওয়া উচিত।
গুরুত্বপূর্ণ
অত্যধিক
জঙ্গলে (সাধুভাষায় লেখা বলে এই বানানে অনুস্বার না ব্যবহার করাই ভালো)
কালক্ষেপণে
প্রসঙ্গ
চূড়ান্ত
মানস-কোণে
লুক্কায়িত
ভাঙ্গিয়া
পুনর্জাগরণে
শ্রেণীয়
আত্মশ্লাঘা (ত প্লাস ম)
সমূহের
মস্তিষ্ক
আভ্যন্তরীণ
তর্কচূড়ামণি
আবির্ভূত
ফাঁকা
শ্রাবণেও
মূর্খ
ব্যক্তিগণ
অস্বীকার
আচরণ
আত্মভোলা (ত প্লাস ম)
প্রসঙ্গ
ক্ষণে ক্ষণে
অবতারণা
আকর্ষণ
বাঁধ
মস্তিষ্কে
রমণীদের
আঁকিয়া
নিম্নাঙ্গ
ছাপ রাখিয়া গুয়াছে (গিয়াছে: টাইপো)
পদার্পণ
নারীলিপ্সুই
সান্ত্বনা
সম্ভাষণ
হাঁটিতে হাঁটিতে
প্রাঙ্গনের
নিঃসঙ্গ
আত্মসমর্পন (ত প্লাস ম)
মস্তিষ্কে
অভ্যুত্থান
জনগণ
কিছু মনে না করলে আপনার ওপরে আমি আরেক দফা মাস্টারি করি বাংলা একাডেমীর প্রমিত বানানরীতি অনুসরণ করে:
বাঙালি
হাঙর (অনুস্বার কখনোই লাগানো হতো না)
স্কন্ধস্পর্শী
বন্দি
কুহকিনী (দন্ত্য-ন হবে)
হেঁচকি
রমণী
অঙ্গুলি
আঙিনা (ঙ+গ নয়)
মানসকোণ
লুক্কায়িত
প্রাঙ্গণের
নিঃসঙ্গ
আত্মসমর্পণ
বেয়াদবি নেননি তো?
.......................................................................................
Simply joking around...
.......................................................................................
Simply joking around...
আরে না না প্রশ্নই আসে না। কিন্তু হঁেচকি রমণী ইত্যাদি তো আমার লিস্টেও আছে, একই বানান, ঐগুলো ঠিক বুঝলাম না।
উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল। আসলে 'রমণী' ঠিক থাকলেও আমি বাদ দিতে ভুলে গেছি। আর 'হেঁচকি' হয়ত আপনার ফোনেটিক টাইপিং-এর কারণে আমি দেখতে পাচ্ছি 'হঁেচকি'। হ-এর পর এ-কার দেবার আগে চন্দ্রবিন্দু বসাবার কারণে সম্ভবত এটা হয়েছে। আর এর ফলে এ-কারটি এতিম হয়ে গেছে। হ+এ-কার+চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার করলে মনে হয় এটা হবে না। আমি ইউনিজয় ব্যবহার করি; ফোনেটিক সম্পর্কে বেশি জানি না। অনুমান করে বললাম। ভুলও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মাপ করে দেবেন।
.......................................................................................
Simply joking around...
.......................................................................................
Simply joking around...
মূলত পাঠক এবং আনিস ভাই,
কৃতজ্ঞতা জানাইবার ভাষা জানা নাই। আমার এই লেখার প্রথম উদ্দেশ্যই ছিল এতকাল মাতৃভাষার উপর যে অমানবিক অত্যাচার চালাইয়াছি তাহার কিছুটা লাঘব করা। হীরা ফেলিয়া কাঁচ তুলিবার মত করিয়া মাতৃভাষা অবহেলা করিয়া দীর্ঘকাল বিজাতীয় ভাষার চর্চা করিয়াছি, ইহাতে বৈষয়িক ক্ষতি বৃদ্ধি হয়তো হইয়াছে কিন্তু পাশাপাশি স্বাভাবিক জীবন-যাত্রায় বাংলা ভাষা ব্যবহারের গায়েবানা জানাজা হইয়া গিয়াছে। তদুপরি কম্প্যুটারে বাংলা লিখন শিখিয়াছি মাত্রা মাস কয়েক হইল, এখনো অনেক অক্ষর ( বিশেষ করিয়া যুক্তাক্ষর) কি করিয়া লিখিত হয় জানা নাই। তবে আপনাদের পাঠশালায় বাধ্যগত ছাত্র হিসাবে ভর্তি হইলাম, ভুল ভ্রান্তি করিলে প্রয়োজনে কান মুলিয়া দিতে পিছু হটিবেন না।
সর্বস্তরে বাংলার জয় হোক। সর্বত্র বাঙালির জয় হোক।
সুপ্রিয় মামুন হক
আমি পণ্ডিত (পাণ্ডিত্যসম্পন্ন) ব্যক্তি নহি। বরং আমাকে পণ্ডিত (যাহা পণ্ড হইয়া গিয়াছে) বলিলে মানাইবে ভাল। জগতের যাবতীয় দোষ ছাড়াও আমার বানান-বাতিক নামে বাড়তি একটি দুরারোগ্য ব্যামো রহিয়াছে। এই রোগের কারণেই আমি লেখক হইতে পারিলাম না। ব্যাকরণ সর্বদাই আমার চিন্তার রাশ টানিয়া ধরে। ফলত এক সময় দেখা যায়, চিন্তা অনেক দূরে অগ্রসর হইলেও অনেক পশ্চাতে ব্যাকরণের ধূলিমাটিতে পড়িয়া ভাষা গড়াগড়ি দিতে থাকে। আবার অন্যদিকে সাহিত্যের সহজতম শাখা সমালোচনা, সেইখানেও দন্তবিদ্ধ করিতে পারিলাম না জ্ঞানের অভাবের কারণে। যত ভাল সমালোচনাই আমি করি না কেন, লোকে উহা গালাগালি বলিয়া স্থির করে এবং আমার প্রজ্ঞামান্দ্য দেখিয়া আমাকে পাল্টা গালিবর্ষণ করে।
ভাষার উদ্যানে এহেন দুরাচার দৈত্যের 'মৃদু' পদচারণাই যেখানে অন্যের পক্ষে সহ্য করা দুরূহ, সেখানে পাঠশালা খুলিয়া ছাত্র ভর্তি করাইলে যে কী হইবে তাহা অনুমান করিতে বিজ্ঞানী হইতে হয় না। সকলে 'রে রে' বলিয়া অধমকে তাড়াইতে আসিতেছেন - এই দৃশ্য মানসচক্ষে অবলোকন করিয়া আমার হৃৎপিণ্ড স্বীয় গলদেশে আটকা পড়িয়াছে বলিয়া আমি অনুভব করিতেছি এবং ফলত এই মুহূর্তে আমি যৎপরোনাস্তি আতঙ্কিত বোধ করিতেছি।
.......................................................................................
Simply joking around...
.......................................................................................
Simply joking around...
এইটা আত্মজীবনী নয় দাদা, আপনার বোধ হয় ওয়েস্টার্ন মিলনের সঙ্গীতের ভয়াবহতা সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই
গল্প ভাল্লাচ্ছে, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। শুরুটা করে ভাবলাম কিনা কি।
তয় বানী, অভয়বানী, সতর্কবানী দিয়েও ওয়েস্টার্ন মিলনের উচ্চাংগ সঙ্গীত কাউকে শোনাতে পারবেন বলে মনে হয় না।
--------------
শিকড়ের টান
হ। দুনিয়াজুড়া বিয়াপক গিয়ানজাম।
আপনার লেখার মাঝে অন্যরকম একটা টান আছে। পড়তে বাধ্য করে। চালিয়ে যান।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ধন্যবাদ। চলবে
আপনার আরেকটি লেখায়ও বলেছিলাম আপনি গল্প খুব সুন্দর বলতে পারেন। আজকে আবারও সেটি খেয়াল করলাম।
নেক্সট রাউন্ডের অপেক্ষায় রইলাম।
জ্বি ভাই মনে আছে। আপনাদের সদয় , সহৃদয় প্রশংসার শুনেইতো সাহস পাই এইসব উলটা পালটা লিখে সবাইকে জ্বালাতন করতে। অনেক ধন্যবাদ ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য।
মনে হইতেছিল বঙ্কিবাবুর উপন্যাস পড়িতেছিলাম.............
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বঙ্কিবাবুডা কে গো?
অর্ধেক পড়ে তারা দিয়া গেলাম, পুরাটা পড়ার পর মন্তব্য দেব ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
পুরাটা পরেন নাই ক্যান? খেলুম না
(জনগন চাহিলে চলিবে)
চলুক তবে চলুক না কেনো, চলুক যেভাবে চলছে নদী
কিছু মূর্খ প্রশ্নঃ
১. শয্যাশায়ী হবে না শয্যাসঙ্গিনী হবে কথাটা?
২. চলিষ্ণু দূরালাপনী আর নভোঃ পত্রের এসব নামকরন আপনার স্ব করা নাকি? এলেমদার আছেন ভাইজান
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
১। শয্যাসংগিনী হইবে, কিন্তু আমি ব্যাঙ্গার্থে শয্যাশায়ী ব্যবহার করিয়াছি। কিন্তু উহা কার্যকরী হয় নাই- এখন বুঝিতেছি। নাহ আমি পামর আর পশ্চাতদেশের ছিদ্রই রহিয়া গেলাম।
২।
অতি সুন্দর হইয়াছে। কুঝিকঝিক এক আংগিনা হইতে আরেক আংগিনায় থামিবার পূর্বে অন্তর্বতীকালীন ঘটনাগুলোর আদ্যপান্ত আপোনার লেখনীতে ফুটিয়া উঠিবে বলিয়া অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলাম।
আপনাকে আর আপনার মন্তব্যকে বড় বিলাই দিলাম
চেষ্টা চলছে, চলবে। সারাদিন সাধু ভাষায় ভাবিতে ভাবিতে কিছুটা হাপাইয়া উঠিয়াছি, দীর্ঘদিনের অনভ্যাসে। গুরুচন্ডালী ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখিবেন বলিয়া প্রত্যাশা করিতেছি।
বস, এইমাত্র ডেলাওয়ার হইতে আটলান্টা পৌছাইলাম, এজন্যে আপনার এই কোপাকুপি লেখা পড়তে পারি নাই। এইটা কি লিখলেন বস, ৩ বার পড়লাম, আরো ৩ বার পড়া হইলে কমেন্ট দিবো। মাথা ঘুরতেসে, সেই বিকালে গাড়ী নিয়া রাস্তায় নামসি, কেবলে পৌছায় চেচক করলাম, ডেখি কাপায় ফেলসেন পুরা, পাংখা, পুরাই পাংখা।
মিয়া সাবধানে গাড়ী চালাও, দিনকাল ভালোনা, মুখবন্ধনী পরিধান করিতে ভুলিবেনা আশাকরি। চারিদিকে ডাইনোশুয়ার।
সুস্বাদূ। সাদু ভাষায় লিখিত বলেই কি না জানি না। একটা অন্যরকম টান অনুভব করলাম।
হে রাজাধিরাজ! জন মনোরঞ্জনের অভিপ্রায়ে রচয়িত এই নিতান্ত বালখিল্য রচনাটি যদি আপনার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পরিমানও পছন্দ হইয়া থাকে তাহলে উহাতেই রচয়িতার মক্ষিকা-বিতাড়নী জীবনের সফলতা জ্বাজ্বল্যমান।
দিলামনি গিট্টু লাগাইয়া??
দাবানল, হে ভ্রাতঃ, দাবানল লাগাইয়া দিয়াছেন---
আমি 'অসাধারন' এর চাহিতেও অসাধারন কোন বিশেষনের খোঁজে রহিয়াছি--
ইতোমধ্যে পরবর্ত্তী পর্ব আসুক----
শুভেচ্ছা রহিল--
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। পরের পর্ব শীঘ্রই আসবে। লেখাটি তোমার ভালো লেগেছে জেনে আমারো খুব ভালো লেগেছে:)
- পড়িবার মানসে শুরু করিয়া শেষে বুঝিতে পারিলাম যে আমি চড়িয়া বসিয়াছি। না জনাব, আপনার স্কন্ধে নহে, সেই কুঝিকঝিকের নির্জন কিংবা তন্বী বালিকা সমৃদ্ধ কক্ষেও নহে। যাহাতে চড়িয়া বসিলাম তাহা হইলো আপনার 'গল্প'-এ। কিছু একটা বুঝিতে গিয়াও বুঝিলাম না, জানিতে গিয়াও জানিলাম না। শুধু বলিলাম, চলুক মুরুব্বিয়ানে একেরাম। ইহা না চলিলে গদিতে দল বাধিয়া গিয়া অগ্নিসংযোগ করিয়া আসিবো। অই কেহ কি আছো মোর চারিপাশে? পাটশলাকা যোগাড় করিয়া রাখো, তৃণও বাদ রাখিও না। দ্বিচক্র, ত্রিচক্র মায় চতুর্চক্রের চক্রখানাও সংগ্রহে রাখিও। আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, তোমরা দিয়াশলাইয়ের শলাকা উহার পশ্চাৎদেশে ঠুকিয়া প্রজ্জ্বলন করিয়া আমার নাম করিয়া দিবা ফোশ করিয়া। বাকি সব সামলাইয়া লইবো আমি। জয় বাবা ধুগোনাথ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হায় ধুগো তুমিও!
জাকাজা ভায়রা ভাই পরিষদের সভাপতি হিসাবে কোথায় তুমি এইসব চরিত্র বিনাশী কাহিনী বর্ণনা হইতে আমাকে নিরস্ত করিবে, তাহা না করিয়া পুর্ণ মাত্রায় চালাইয়া যাইবার জন্য তাগাদা প্রদান করিতেছ। এইসব ছাইপাশ পড়িয়া তোমার মতিভ্রম হইলে আমার শ্যালিকার কি হইবে?
- মতির ভ্রম আর নবরূপে কী করিয়া হইবে মামুন ভাই? উহাতো সেই কোন এংরাজ আমলেই ভ্রান্ত হইয়া বসিয়া রহিয়াছে। নিরস্ত হইবার এহেনো কোনো সুযোগ নাই এ যাত্রা। চালাইয়া যাইবার অপর রূপই হইলো জীবন। এই জীবনের গল্প শুনিতে কার না মন আকুল হইবে! আপনার শ্যালিকার জন্য ভাবিবেন না, সেই ভাবনা আমি ভাবিয়া রাখিয়াছি। তাহাকে পকেটে করিয়াই ভ্রান্ত নগরীতে ছুট লাগাইবো বলিয়া আপাদমস্তক ঠিক করিয়া রাখিয়াছি। এখন বাকীটা প্রজাপতির অভিপ্রায়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মামুন ভাই, আপনিও শেষ পর্যন্ত 'চা' ব্যাধিতে আক্রান্ত হলেন? 'রানী'র পরের অংশ কই? নাকি বিলাই নাচানি শেষ হয়নি এখনো?
যাই হোক, এই লেখা সম্পর্কে বলি... বাকি জনগণের কথা তো বলতে পারি না, আমি অবশ্যই চাই আপনি এই 'কল্প-গল্প'(!) শেষ করবেন। দারুণ হচ্ছিল কিন্তু...
ঠিকাছে ভাইডি, ঐ লেখাটাই আগে দিব। প্রায় শেষ করে এনেছি
জটিল.......মাথায় বিয়াপক গিয়ানজাম লাগাইয়া দিসেন, জিলাপির মতো। চলতে থাকুক, এই আমার আকুতি....................।
আর ক'বার চা খেতে যাবেন? সেটা জেনে প্রস্তুতি নিই।
লেখা বরাবরের মতই 'তুড়ুক' হয়েছে।
.......................................................................................
Simply joking around...
.......................................................................................
Simply joking around...
আনিস ভাই,
বারবার চা খেতে যেতে আমারো ভালো লাগেনা। কিন্তু পোস্ট বেশী বড় হয়ে গেলে নাকি অনেকেরই পড়ার ধৈর্য থাকেনা। যদি অভয় দেন তাহলে একেক্টা পর্ব একবারে শেষ করার চেষ্টা করব। বাংলা বানান অনেক ভুলে গেছি। ইন্টারনেটে কোথাও কি কোন অভিধান পাওয়া যাবে?
- ovidhan.org
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুম!, তাহলে শুরু-ই করলেন আপনার প্রেমের প্রায়োপন্যাস। ভালো কাজ করেছেন, পিচ্চি ভাই বেরাদরদের কথা রেখে।
ধূগোদার মতো আমিও আপনার গল্পের শকটে চড়িয়া বসিলাম। দেখি কত দূরে নিয়া গিয়ে আমাদের ছেড়ে দেয়।
বা: বড়ই পছন্দ হল৷ হইহই করে লিখে যান৷
---------------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
হুম... চলুক, ভালো লাগছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পরবর্তী পর্ব কই?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
হুঁম, গতকল্য অন্তর্জালে প্রবিষ্ট হই নাই, ইত্যবসরে এতদৃশ ঘটনাপুঞ্জ !
মরা'কে জলে ডুবাইয়াই ছাড়িবেন বলিয়া ভ্রম হইতেছে। তত্রকালাবধি অপেক্ষমান থাকিতে সচেষ্ট থাকিব।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হে গুরু, আপনার অবদান ভুলিবার নয়। অদ্য মস্তিষ্কে কিছু খেলিতেছেনা। কোন আসন করিলে সৃজনশীল হওয়া যাইবে জানাইয়া কৃতার্থ করিবেন।
- কোন জলে মড়া কেন, কিছুই ডোবে না, বলতে পারবেন?
- বুড়িগঙ্গার জলে।
.......................................................................................
Simply joking around...
.......................................................................................
Simply joking around...
পাঠক হিসেবে সচলায়তনে আমার আগমন খুব বেশি অতীতের ঘটনা নয়। আর লেখক হিসেবে তো এখনো নয়। তবু এই মধ্যে যে মানুষগুলোর লেখা আমাকে টেনে রাখছে চুম্বকের মত তার মধ্যে আপনি একজন। আপনার লেখা পড়ে শুধু যে আমি মুগ্ধই হই ব্যাপারটা এরকম নয়। মাঝে মাঝে হিংসা করি কেন শুধু ঐ হাত দিয়েই ওরকম লেখা বের হয়, আমাদের হাতে কেন আসে না। তবে প্রার্থণা করি আমার হাতে ওরকম লেখা আসুক বা না আসুক আপনার হাতের লেখা যেন পড়ে যেতে পারি নিয়মিত।
পরবর্তী পোস্টের আশায় রইলাম।
সালাহউদদীন তপু
২ মাসাধিক কালাতিক্রমের পরেও এমন সাধু লেখার পরবর্তী পর্বের দেখা না পাইয়া এবং আপনার ভয়ে ভীত হইয়া শুধু চা'কেই অভিসম্পাত করিতেছি!
হাহাহা, আমিও ভুলে গেছিলাম এই সিরিজটার কথা। লিখতে শুরু করছিলাম, কিন্তু বাংলা বানানে দূর্বলতার ভুত মাথা থেকে নামাতে না পেরে আর সামনে বাড়ার সাহস পাইনি। অথচ অনেক কয়টা জমজমাট গল্প আটকে আছে মাথায়।
সাহিত্যিকের নগে নায়িকার ব্যাডসিন আরেট্টু বাড়ান গেল না? এইডা এট্টা কতারে দাদা, শুরু না অইতেই ফুরাইয়া গেলগা?
মামা তোমার খালি দুষ্টু দুষ্টু চিন্তা, ব্যাড সিনের ব্যাফার না, এইডা আসলে এক আজগুবি প্রেম-ভ্রমণ কাহিনী। ঢাকা থিকা আকতার ভাই বাংলা অভিধান পাঠাইছে, বানান শিখে নেই, তার পর আবার লেখুম।
নতুন মন্তব্য করুন