আমি সারা জীবনে কারো চাকরি করি নাই, কারো বশ্যতাও স্বীকার করি নাই, কিন্তু একজনের কাছে আমি ধরা- সে হইল আমার মা। উনি ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়ছেন, তারপর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় আর লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ হয়নি, কিন্তু বিজ্ঞতা, সমঝদারিতা, সাহস আর বুদ্ধিমত্তায় উনি আমার চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে। আমার মাথায় ছিটে ফোটা যা বুদ্ধি তার সবই আমার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া। আর বেশী বেশী আবেগ, রাগ, ফোৎ করে কাইন্দা ফেলার স্বভাব পাইছি বাবার কাছ থেকে। যাউকগা, কামের কথায় আসি, আজকে মা দ্য বস নিয়াই কথা বলব।
আমার জন্ম বরিশালের এক অঁজ গ্রামে, বঙ্গবন্ধু শহীদ হওয়ার মাস কয়েক আগে। বাবা তখন ইচ্ছা-বেকার, মানে জান প্রান দিয়া কাজ করেন কিন্তু আয় রোজগার নাই। গ্রামের প্রথম বি এ পাশ করা পোলা , ভালো ভাবেই জানতেন অন্যদের শিক্ষিত করা না গেলে সমাজের উন্নতি সম্ভব না । তাই তার মাথায় গ্রামে একটা স্কুল দেয়ার ঝোক চাপল। কিন্তু টাকা নাই, পয়সা নাই, সরকারী-বেসরকারী কোন ধরনের সাহায্য নাই, উনি বাগানের গাছ কেটে নিজ কাধে বয়ে নিয়ে স্কুলের খুঁটি পোতেন, বাড়ী বাড়ী ঘুরে ছাউনী দেয়ার জিনিষ পাতি যোগাড় করেন, চ্যাংড়া কিছু পুলাপান জুটল বাবার সাথে যারা তাকে এখনো 'মাস্টার ভাই' বলে ডাকেন। আহ আবার বাবার প্রসঙ্গে চলে গেলাম, এইটা কিচ্ছা বরং বাবা দিবসের জন্য রাখি। শটকাটে বলি, বাবা গেলেন ঢাকা শহরে , স্কুলের রেজিস্ট্রেশন না কি যেন কাজে, গিয়ে আটকে গেলেন কোন জটিলতায়, দিন যায় সপ্তাহ যায়, বাবার কোন খবর নাই। ঠিক এই মোক্ষম সময়ে খোদার ইচ্ছা হল আমাকে দুনিয়ায় পাঠানোর।
ফাগুন মাসে পহেলা দিনে, প্রত্যাশিত সময়ের বেশ আগেই দুনিয়াবাসীর হাড় জ্বালাতে আমি ভূমিষ্ঠ হই। হাস্পাতাল তো দূরের কথা, মা ধাত্রী ডাকারও সময় বা সুযোগ পাননি। অন্ধকার ঘরে ( বিজলী বাতি বাদ দেন, মোম বাতি কেনার পয়সাও ছিলনা মায়ের, হ্যারিকেনের কেরোসিন তখন দুস্প্রাপ্য) একলা একলা মাথামোটা এক বাউন্ডুলে পোলা জন্ম দিলেন তিনি, তার হাত ধরার কেউ ছিলনা, ছিলনা গরম পানি বাদ তোয়ালে এগিয়ে দেয়ার কেউ। সদ্যপ্রসূত সন্তানের মুখ দেখতেও মাকে অপেক্ষা করতে হয় সূর্যোদয় পর্যন্ত, ঘুটঘুটে অন্ধকার ছিল যে চারপাশে। আমার সাহসী মা সব সামলে নিলেন, এক হাতে।
আমার জন্মের সপ্তাখানেক পড়েই গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রামক বসন্ত রোগ। আমার মায়ের কিছু হলনা, আমার বড় দুই ভাই আর বোন ও নিরাপদ রইল কিন্তু পোড়ারোগটি এসে ধরল পিচ্চি মামুনকে। পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে রোগটি ছড়িয়ে পড়ল আমার শরীরের সর্বত্র, গ্রামের মানুষ সবাই বলল এত পিচ্চি ছেলের সারা গায়ে বসন্ত , এই ছেলে বাঁচবেনা কিছুতেই। সুরাইয়া ( আমার মায়ের নাম) তুমি শক্ত হও আর দেখ পোলার বাবাকে খবর দিয়ে আনতে পারো কিনা। পরে আইসা পোলার কবর দেখলে মনে খুব কষ্ট পাবে । আমার মা কারো কথায় কান দিলেন না, তিনি নৌকায় করে আমাকে নিয়ে গেলেন থানা সদরে, ডাক্তারের কাছে। একে একে কয়েকজন ডাক্তারকে দেখালেন, সবারই একই কথা, এই পোলা বাচানোর সাধ্য আমাদের নাই, বসন্তের প্রকোপে তার শরীরে হাত পর্যন্ত দেয়া যায়না, পারলে ঢাকায় নিয়ে যান, নাইলে আল্লাহর মাল আল্লাহর হাতে ছাইড়া দ্যান। ঢাকায় নেয়ার সাধ্য মায়ের তখন নাই, তিনি আমাকে বাড়ীতে ফিরিয়ে নিয়ে আসলেন। দুশ্চিন্তায় বিরহী মায়ের একেলা পরান দোলে, কিন্তু তিনি খেই হারালেন না। বাড়ীর পাশে সারি সারি কলা গাছ, তিনি কয়েকটা কলা পাতা কেটে আনলেন। তাতে তেল মাখিয়ে তার উপরে দুই সপ্তাহ বয়সের আমাকে শোয়ালেন, এভাবেই রাখলেন অনেক দিন। বিছানায় শোয়ানোর কোন উপায় ছিলনা। তার কান্ড দেখে অনেকেই আড়ালে ফিস ফাস করে, শুধু শুধু সুরাইয়া এত ঝামেলা করতেছে, এই পোলার বেইল নাই। মা হাল ছাড়ার বান্দা নন, তিনি দিনের পর দিন , রাতের পর রাত আমার সেবা যত্ন করে যেতে লাগলেন, সাথে আসমান কাঁপানো দোয়া –কালাম তো চলছিল ননস্টপ। তিনি মান্নত করলেন এই পোলা যদি বেচে যায় তাহলে তাকে মানুষের সেবায় উৎসর্গ করবেন ( তিনি করেছেন কিন্তু পোলা আত্নসেবা ছাড়া আর কিছু ভালো বোঝেনা)। খোদার কাছে মনে হয় এই প্ল্যানটা একটু গ্রহনযোগ্য মনে হল,সবার ধারনাকে ব্যর্থ প্রমান করে আমি ধীরে ধীরে ভালো হয়ে উঠতে লাগলাম। আমাকে দুধ বা অন্য কোন শিশুখাদ্য খাওয়ানোর সামর্থ তার ছিলনা, গমের আটা পানিতে মিশিয়ে তা গরম করে লেই বানিয়ে আমাকে খাওয়াতেন , আজও দুঃখ করে বলেন সে কথা। এর মধ্যে বাবা ফিরে আসলেন। এতসব কান্ড দেখে তিনি হতবাক।
পোলাকে কোলে নিয়ে আহ্লাদ করে বাবাও বসন্তে আক্রান্ত হলেন। মড়ার উপর খাড়ার ঘায়ের মত আমাদের বাড়ীতে একরাতে ডাকাত পড়ল। বাবা অচেতন, আমি মুমূর্ষু, বাকী দুই ভাইবোন খুবই পিচ্চি। কিন্তু আমার বস মা ঘাবড়ালেন না। তিনি কড়া কন্ঠে ডাকাতদের বললেন কারো গায়ে হাত না দিতে, টাকা-পয়সা বা সোনা দানা কিছু নাই, বাবার একটা সিকো ফাইভ ঘড়ি ( বিয়েতে পাওয়া) আর মাচায় চাল আছে কয়েক কলস ভর্তি, এগুলো নিয়ে তারা যেন বিদায় হয়। আরো বল্লেন আমার ছেলের খুব অসুখ, আপনারা কোন চেচামেচি করবেন না, যা আছে নিয়ে বিদায় হন, এক্ষুনি। ডাকাত দল তার মানসিক দৃঢ়তায় অবাক হয়ে গেল, কিন্তু তার কথা মত কোন হাঙ্গামা না করে ঘড়ি আর চাল নিয়ে বিদায় হল। গ্রামের লোকজন মায়ের সাহসের প্রশংসায় আজো পঞ্চমুখ।
মায়ের চাপাচাপিতেই বাবা গ্রাম ছেড়ে আমাদের নিয়ে ঢাকা চলে আসলেন, ৭৮ বা ৭৯ সালে। বাবা একটা চাকরি নিলেন, খুব সামান্য বেতনের। মা সব সামলে নিয়ে সংসার চালান, বাবাকে তার কষ্ট বুঝতে দেন না, কোন অভিযোগ ও করেন না। এতক্ষন বলি নাই, আমার মা ঐ অঞ্চলের সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত বংশের মেয়ে , তার বাবা –দাদা সবাই বিশাল ধনী , কিন্তু আমার শিক্ষিত কিন্তু গরীব বাবার সাথে বিয়ে হওয়ার পর কোনদিন তার বাবার বাড়ী থেকে কোন সাহায্য গ্রহন করেননি। তিলে তিলে নিজের সাহস, বুদ্ধি আর বাবার পরিশ্রমের সমন্বয়ে নিজের সংসার গড়ে তুলেছেন, জিরো থেকে হিরো হওয়ার স্বার্থক উদাহরন হলেন আমার মা । আমাদের সবাইকে স্কুলে পাঠানোর আগেই বাড়ীতে সব পড়িয়ে পাকা করে নিতেন। আমি বা আমার বড় ভাই সব সময়েই ক্লাসে ফার্স্ট –সেকেন্ড হতাম। সব অবদান আমার মায়ের।
৮২ সালে আমার বাবার প্রথম মেজর হার্ট অ্যাটাক হয়। অফিস থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে হৃদরোগ ইন্সটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। স্কুল থেকে ফিরে মায়ের কাছে শুনি বাবা অসুস্থ আমাদের সবাইকে হাস্পাতালে যেতে হবে। মায়ের হাতে কোন টাকা ছিলনা, তিনি তার বড়লোক বাবার কাছে সাহায্য চাইতেও যাননি, কি করে কি ম্যানেজ করলেন তা আজো আমার কাছে রহস্য মনে হয় । মায়ের চোখে এক ফোটা অশ্রু দেখিনি, ভেঙ্গে পড়েননি এক বিন্দুও, শক্ত হাতে সব সামলেছেন। ধার কর্য করেছেন বাবার সহকর্মীদের কাছ থেকে, কিন্তু এক টাকাও সাহায্য নেননি। আমরা চার ভাই-বোন (সবার ছোটটা একেবারে ন্যাদা) সরকারী হাসপাতালের বাইরে কাঠের বেঞ্চে সারাদিন ঠায় বসে থাকি , আর মা ছোটাছুটি করে একা একা সব সামলান, এক ফাকে আমাদের হাতে দিয়ে যান এক হালি কলা আর এক প্যাকেট বিস্কিট বা পাউরুটি, তার পর আবার ছোটা, তার খাওয়া-দাওয়া, গোসল বা চুল আচড়ানোরও সময় নেই। মাথা ঠান্ডা রেখে সব সামলে তিন সপ্তাহ পর বাবাকে ঘরে নিয়ে আসলেন। বাবার আসুখ কিছুটা ভালো হতে আরো কয়েক মাস সময় লাগে, মা আমাদের স্কুলো কামাই হতে দেননি, অভুক্ত ও রাখেননি কাউকে, যাদুর কাঠির পরশে সব বালা-মুসিবত দূর করেছেন।
এর পরে আমাদের জীবনে অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝা এসেছে, প্রতিটা ক্ষেত্রেই মায়ের অবিচল সাহস আর দূরদর্শী সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে পার হয়ে এসেছি। আজ আমরা চার ভাই বোন সবাই মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত, বড় ভাই রাস্ট্রপতির স্বর্ণপদক পাওয়া ডাক্তার( মারাত্মক ধরনের পড়ুয়া মানুষ, তিন দিন বই ছাড়া থাকলে তার নাকি এলার্জি হয়ে যায়) , আমি সোজা ব্যাটে খেলে চার-ছয় মারা বাউন্ডুলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, একমাত্র বোন ও ব্যবসার সাথে যুক্ত, ছোটভাই ছোটাখাটো একজন এঞ্জিনিয়ার। এর সব কিছুই সম্ভব হয়েছে আমাদের মায়ের কারনে। তিনিই আমার বস ছিলেন, আছেন এবং আজীবন থাকবেন। মায়ের হাতের চড় চাপড় আর বুদ্ধি পরামর্শ না পেলে এতদূর আসতে পারতাম না।
এখন মাঝে মাঝে দেশে যাই, মা খুব খুশী হন , এট সেটা রান্না করে খাওয়ান। কিন্ত চলে আসার দিন সকাল থেকেই শুরু হয় তার গুন গুনীয়ে কান্না যা ঘর ছেড়ে বেড়োনোর আগ মুহূর্তে পরিনত হয় হাউ মাঊ কান্নায়। আমি মাকে জড়িয়ে ধরে থাকি, পাশ থেকে বোনও কাঁদে, আবেগের সোল এজেন্ট বাবা অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে বসে থাকেন, বড় ভাই পালিয়ে যান, ছোট ভাই রাগী চোখে তাকিয়ে থাকে, আর পাপীষ্ঠ আমি ছেলেদের কাঁদতে নেই এই আপ্তবাক্যের বিজ্ঞাপনের মত ছাদের দিকে তাকিয়ে কাষ্ঠ হাসি আর বলি এত কান্নার কি আছে, আবার আসবতো , গিয়েই ফোন করব, চিঠি দিব , এখন থামোতো তোমরা, আমার ফ্লাইট মিস হয়ে যাবে। আমার কান্না আমার, আমার লজ্জা আমার, আমার কষ্টও আমার, এগুলোর ভাগ আমি কাউকে দেবোনা, আমি ডুকরে ওঠা কান্নার ঠেউ সামলে বিদায় নেই। গাড়ীতে উঠে বড় রাস্তায় নামার সাথে সাথে আমার কান্নার বাধ ভেঙ্গে যায়। সব শক্তি জড়ো করে প্রার্থনা করি যদি আমার জীবনের সব কিছুর বিনিময়েও একবার, কেবল মাত্র আরেকবার ঐ দিন গুলোতে ফিরে যেতে পারতাম যখন জুতার ফিতে বাধতে পারতাম না , মা যত্ন করে বেধে দিতেন , স্কুলে যাবার আগে এক হাতে চিবুক চেপে ধরে আরেক হাতে চুল আচড়ে দিতেন , খেলতে গিয়ে ছড়ে যাওয়া হাত পা সামলে সাবান দিয়ে ডলে ডলে গোসল করিয়ে দিতেন, রাস্তায় কুকুরের ধাওয়া খেয়ে এক দৌড়ে বাড়ী এসে মাকে জড়িয়ে ধরতাম, বড়জোর মায়ের হাটু পর্যন্ত পৌছাত আমার মাথা, অথচ মনে হত পৃথিবীর সব শক্তি মিলেও আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা।
আমার মা ই আমার প্রেরনা, আমার শক্তির উৎস।
পূনশ্চঃ মহামতি তানবীরা দ্য গ্রেটের বুদ্ধি অনুযায়ী মা কে ফোন করলাম , জানালাম মা দিবসের শুভেচ্ছা। মা বলে এইটা আবার কি? বুঝিয়ে বলার পর তার মন্তব্য- “ মজা তো, এইটা আগে জানাস নাই ক্যান”? কাচুমাচু মুখে দুঃখ প্রকাশ করে জানতে চাইলাম তার কিছু লাগবে কিনা। “ লাগবোনা মানে? কি কস এমন সুযোগ কেউ ছাড়ে?” তার দেয়া ফর্দ নোট করলাম , গুনে গুনে পঁচিশটা হাজার টেকা খসল। তানবীরা আফা তোমারে পাইয়া লই হাতের সামনে একদিন, কি সব বুদ্ধি দিয়া আমার সাদা সিধা মা’টার মতিভ্রম ঘটাইলা। এখন থিকা নাকি প্রত্যেক বছর নতুন নতুন আবদার আসবে মা দিবসে , আসতেই থাকবে। আমি প্রার্থনা করি যেন আরো অন্তত পঞ্চাশ বছর এই আবদার আসে। হায় খোদা প্লীজ!
মন্তব্য
হাহাহাহাহাহা...মা দিবসের একটা ব্যতিক্রমী পোস্ট! এমন না হলে হয়!?? পুরা ৫×
মামুন ভাই, আপনার এই হাল না ছাড়া স্বভাবের রহস্য কিছুটা ভেদ করা গেলো...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ধন্যবাদ ভাইয়া।
কেমনে কি লিখি বলেন, মায়ের কথা লিখতে গেলেই বুক ভারী হয়ে আসে, বোকা বোকা লাগে।
হ ভাই, আমার মারে সামনা সামনি দেখলে বুঝবা, পুরাই আগুন দিয়া বানানো মানুষ, এখনো উলটা পালটা করলে আমাগোরে মাইর দেয়, বড় ভাই এই কয়দিন আগে চটকানা খাইয়া আসছে মায়ের সামনে মুখ খারাপ করছিল তাই।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
খালাম্মাকে স্যালুট!!!
ধন্যবাদ সিমন , আপনার আম্মা, আমার খালাম্মাকেও স্যালুট!
মামুন ভাই, আপনার মা'কে লাল সালাম।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ধন্যবাদ ভাইয়া, তোমার মাকেও লাল সালাম
মামুন ভাই, আমার মা দুনিয়া ছেড়েছেন তিন বছর হচ্ছে। অথচ এখনো আমার বিশ্বাস হতে চায় না। মনে হয় এইতো পাশের ঘরেই মা শুয়ে আছেন। চাইলেই তার কোলে গিয়ে মুখ লুকাতে পারবো।
মা'কে নিয়ে কোন লেখা লিখতে পারিনা। কারণ লিখতে বসলেই চোখ ঝাপসা হয়ে যায়। এই যে এখনো তাই হচ্ছে।
আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন। আর আপনার মা শতবর্ষী হোন এই কামনা করছি। তিনি সুস্থ থাকুন আর আপনাদের এই বয়সেও শাসন করুন। কেউ বেয়ারাপনা করলে চটকোনা দিয়ে মাথা ঘুরিয়ে দিন।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ভাইরে খুবই দুঃখ পেলাম খালাম্মা নাই একথা শুনে, এই হারানোর কোন সান্তনা নাই, তাই দেয়ার চেষ্টাও করলাম না। অবশ্যই দোয়া করব তাঁর জন্য। চোখ ভিজে তো আসবেই, আপনার আসে মা চলে যাওয়ায়, আমার আসে মা থেকেও তার পাশে থাকতে না পারায়। এই চোখ ভিজে আসা , মায়ের জন্য কান্না এগুলাইতো আমাদের শক্তি যোগায় জীবনের বোঝাকে টেনে নিয়ে যেতে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, যোগাযোগ রাখবেন
খালাম্মাকে লাল সেলাম আপনার মতো "বানর" কে রেডি করে মার্কেটে ছাড়ার জন্য। খালাম্মা বুদ্ধিমতী কোন সন্দেহ নেই, এই সুযোগে এখন কিছু সাধ আলহাদ পূরন হলো তার। আমি আশা করছি যেনো আরো একশ বছর মিনিমাম তাই হয়।
পাঁচতারা দিলাম, আমার কথা শুনছেন বলে । লেখার জন্য না সেটা আগেই পরিস্কার করলাম ঃ(
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হ আফা, পাঁচতারা দশ তারা সব আমার মায়েরে দিয়েন, তারে ছাড়া আমি কিছুই না।
আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক, সবার মাই যেন শতবর্ষ বাচেন।
মা-ছেলে দুজনকেই স্যালুট।
আপ্নাকেও স্যালুট!!
আপনে আর আরেফীন ভাই হইলেন সচলের সেইসব মানুষ, যারা আমাদের প্রাণখুলে হাসতে আর নিঃশ্বাস নিতে সাহয্য করেন প্রতিটা লেখায়।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
``আপনে আর আরেফীন ভাই হইলেন সচলের সেইসব মানুষ, যারা আমাদের প্রাণখুলে হাসতে আর নিঃশ্বাস নিতে সাহজ্য করেন প্রতিটা লেখায়।-``
কথাটা ১০০ এর উপর ২০০ % সত্যি।আমি সচল এ ঢু মারলেই আগে আপ নাদের লেখা খুজি...।।
প্রাচ্চের ভিন দেশি
habib_imam@yahoo.com
ভাইরে এইসব বলে লজ্জা দিয়েন না। আরেফীন ভাইয়ের ধারে কাছেও আমি নাই, উনি অনেক বড় মাপের মানুষ, লেখক। হাবি জাবি যা লিখি মন খুলে তাও আপনাদের প্রশ্রয় পেয়েই
অভিনন্দন!
শুধু জন্মটুকু দেয়ার জন্যই তো মায়ের ঋণ সারা জীবনেও শোধ হবার নয় ! বাদবাকি যা করে যান মায়েরা, সেটা হিসাব করলে একজন্মের জন্য কত হাজার জন্মের দরকার বলেন তো !
এজন্যই পৃথিবীর এই অবিকল্প সত্ত্বাটিকেই 'মা' বলা হয়। মহাকাল আজো মায়ের বিকল্প বানানোর নিয়ম আয়ত্ত করতে পারে নি। কখনো পারবে কি ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কখনো না রণদা, এই জন্মে , পর জন্মে , হাজার লক্ষ কোটি জন্মেও না।
আশা করি "বস" মায়ের আদর্শে সমাজে সংসারে ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে পারুন, মা'নিশ্চয়ই লিডারশীপের সমস্ত যোগ্যতা নিয়েই এই জীবনবোধের কাণ্ডারী ছিলেন, আপনিও তাই হোন। মায়ের জন্য, আমার , আপনার, সবার মায়ের জন্য - অনেক শ্রদ্ধা। দিবসে মাপা যায় না যে ওই পারফরম্যান্স, আ্যপ্রেইজাল লেখার কথা ভাবতেও ভয় পেয়ে যাই, কি অদ্ভুত চাকরি আমাদের মায়েদের, সারা জীবনের পারফরম্যান্সের পরও একটা আ্যপ্রেইজালের "ভালোবাসি " ডাক শোনার আগেই হয়তো -- ---- আমরা অত খারাপ সন্তান নই ভেবেও কত তুচ্ছ, কত ক্ষুদ্র হয়ে যাই বস হিসেবে--- ----
হ্যাপি মাদারস ডে
ধন্যবাদ। অনেক শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা আপনার জন্য, আপনার মায়ের জন্য।
শিরোনাম দেখেই আমি মুগ্ধ। লেখাটা পড়ে তো আরো। অসাধারণ লেখা, মামুন ভাই। পড়া শুরু করতেই ফুরুৎ করে শেষ হয়ে গেল। আপনার হার-না-মানা স্বভাবের রহস্যও কিছুটা উন্মোচিত হলো। আপনার মা'কে একদম মন থেকে শ্রদ্ধা জানালাম। আপনার মা যেন শতায়ু হন, ভালো থাকেন যেন উনি। আপনিও ভালো থাইকেন
আবার দেশে আসতেছেন কবে?
ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার মায়ের জন্যো রইল আন্তরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর শুভ কামনা।
সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে দেশে আসব ভাবছি, কনফার্ম অবশ্যই জানাবো
চমৎকার লেখাটি পড়ে মনে হলো, এই লেখকের উচিত মা'কে নিয়ে বিশাল একটি গ্রন্থ রচনা করা।
সত্যি বলছি, ভেবে দেখতে পারেন। আমার আশ্চর্য লাগে, বাঙালি মায়ের এই চিরন্তর চিত্রটি যুগ যুগ ধরে অপরিবর্তনীয়ই আছে। হয়তো বিশ্বজনীন মা'কেও একই ভাবে পাওয়া যায়। শুধু সময় আর স্থানিক পার্থক্যই যা থাকে, বাকিটা সব মিলেমিশে একাকার।
ভালো লাগলো, মামুন, আপনি লিখে ফেলুন, উপন্যাসই না হয় হোক, ক্ষতি কি?
ধন্যবাদ।
আমারো যে একেবারে ইচ্ছা হয়না তা না, কিন্তু ভাবি আমি লিখলে তা তো একেবারে একপেশে হয়ে যাবে। অনেক ভেবেও তো আমি মায়ের বড় সড় কোন দোষ ত্রুটি বের করতে পারিনা, উপন্যাস হিসেবে লিখলে তা কি লোকের ভালো লাগবে?
কিন্তু কিছু একটা লিখতে তো ইচ্ছা করে। আমি জানি আমার চোখ ভেসে যাবে, আমি কেপে উঠব, কখনো হয়তো আমার শরীরের রোম দাড়িয়ে যাবে পুরোনো কথা মনে করে, কিন্তু তার পরেও বুঝি বাঙালী মায়েদের এই চিরন্তন সংগ্রামের কথা লিখে রাখা উচিৎ, যে যাই পারি।
প্রথমে শিরোনামের জন্য একটা পাঁচ দিলাম। এরপর লেখা আর আপনার মায়ের জন্য আরও দুইটা দিতে গিয়ে দেখি একবারই মাত্র রেটিং দেওয়া যায়। ধুর!
অবশেষে মা দিবসে একটা লেখা মুখে হাসি নিয়ে শেষ করতে পারলাম। অনেক, অনেক ধন্যবাদ। লেখার ধরন নিয়ে তো উপরেই যা বলার বলে ফেলেছেন সবাই। আমিও আপনার আর আরেফীন ভাইয়ের লেখা একটু আয়েশ করে, সময় নিয়ে পড়ি। মোটামুটি 'স্যাটিসফ্যাকশন গ্যারান্টিড' লেখা তো, তাই।
বড় পরিসরে লিখতে পারেন চাইলে। এই মত আমারও। আমার মায়ের সাথে আমার খুব ঝগড়া-বহুল সম্পর্ক। ভাল কথাও বলি ঝগড়ায় ঝগড়ায়। বাইরের লোক দেখলে খুব ভুল বোঝে। মনে করে, এই ছেলের মায়ের প্রতি কোন শ্রদ্ধা-ভক্তি নাই, আর এই মা মনে হয় ছেলেকে কোথাও ফেলে দিয়ে আসতে পারলে বাঁচে। ভেতরের কথা বুঝলে নিজেরাই লজ্জা পায় পরে...
আমি তোমার ব্যাপারটা বুঝি, একটা সময় আমার মায়ের সাথে এ ধরনের সম্পর্কই ছিল। এখন অনেক পালটে গেছে, আমরা দুজনেই অনেক নরম হয়ে গেছি, মজা করেও আর মায়ের সাথে ঝগড়া করা হয়না, ভয় লাগে কেমন যেন।
বড় পরিসরে হয়তো লিখব, কথা হবে তোমার সাথে।
এই রকম মায়ের পোলা বলেই আপনার কথা এরকম মারমারকাটকাট। আপনার এই সোজাসাপ্টা ধরনটা আমার পছন্দ হলো। আপনার ছবি দেখেই অবশ্য কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছিলাম।
আপনার এবং আপনার মায়ের জন্য অভিনন্দন, শুভেচ্ছা সবকিছু।
কি বললেন পিপিদা? আমার ছবি দেখে আমারে মারমারকাটকাট মনে হয়? দাড়ান কালকেই ছবিটা পালটে দিচ্ছি
অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানলাম, শুভেচ্ছা জানবেন।
জটিল শিরোনাম, জট্টিল লেখা!
আপ্নে ভাই পারেনও...
ইমোশনাল হয়ে আর কিছু মন্তব্য করতে পারলাম না মামুন ভাই। পরে না হয় জানাবো চ্যাটে।
মামুন ভাই, আপনি তো বস-ই, আর আপনার মা 'দ্য গ্রেট বস!!'
তাঁ কথা শুনে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
পঞ্চাশ কোটি বছর তাঁর আয়ু হোক----সুস্থ-সবল হয়ে আমাদের সকলের মাঝে আশার আলো হয়ে তিনি বেঁচে থাকুন এই কামনা---
অসাধারন লেখার জন্যে দশ লক্ষ পাঁচ তারা----
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই আমার।
তুমি সুযোগ পেলেই বেশী বেশী প্রশংসা করে আমার মোটা মাথাটা আরো বড় করে দাও
- এ প্রার্থনা হয়তো আমাদের সবারই, ধন্যবাদ সহজ কথায় তা মনে করিয়ে দেবার জন্য ।
সব শক্তি জড়ো করে প্রার্থনা করি যদি আমার জীবনের সব কিছুর বিনিময়েও একবার, কেবল মাত্র আরেকবার ঐ দিন গুলোতে ফিরে যেতে পারতাম যখন জুতার ফিতে বাধতে পারতাম না , মা যত্ন করে বেধে দিতেন , স্কুলে যাবার আগে এক হাতে চিবুক চেপে ধরে আরেক হাতে চুল আচড়ে দিতেন , খেলতে গিয়ে ছড়ে যাওয়া হাত পা সামলে সাবান দিয়ে ডলে ডলে গোসল করিয়ে দিতেন, রাস্তায় কুকুরের ধাওয়া খেয়ে এক দৌড়ে বাড়ী এসে মাকে জড়িয়ে ধরতাম, বড়জোর মায়ের হাটু পর্যন্ত পৌছাত আমার মাথা, অথচ মনে হত পৃথিবীর সব শক্তি মিলেও আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা।
-আপনি ঠিকই ধরেছেন, এর চাইতে বড় আর কোন চাওয়া আমার জীবনে নেই। মাঝে মাঝে ভাবি জীবন এত নিষ্ঠুর কেন, কেন সোনার দিনগুলো এভাবে ফুরুৎ করে শেষ হইয়ে যায়!
আপনেও ৭৫এ? কয়মাস পরেই আইতেন পৃথিবীতে... হে হে হে...
মা দিবসে আমার কোনো দুঃখ নাই। মারে নিয়া আসছি বাড়িতে। এখন মা পুতে খালি ফুর্তি করি।
আপনের লেখা পড়তে ভালো লাগে... যাই লিখেন্না কেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি ভাবতেছিলাম নজু ভাই সবার লেখা পড়ে, আমারটা পড়েনা ক্যান?আমি কি পুলা এত্তই খারাপ? কাল সকালেই এট্টা গুতা খাইতেন, যাক বাইচা গেছেন। খুশী হলাম আপনার সৌভাগ্যের কথা শুনে, কিন্তু খালাম্মারে বেশী জ্বালাইবেননা যেন
বস, দিলেন তোআগুন লাগায়া, তারপর চোখের পানিতে আগুন নিভাইলাম। মিয়া, আমি বাড়িতে নাই, নেট এও আসতে পারি না, এর মধ্যে কোপাইতেসেন ফাটায়া।আপনার আম্মা জিন্দাবাদ। চালায়া জান বস। দিনটাই গরম কইরা দিলেন। হে হে হে।
সাইফ অনেক দিন দেখিনা, কি নিয়া এত ব্যস্ত তুমি?
মা দিবসের লেখাগুলা সযত্নে এড়ায়ে যাচ্ছিলাম -এর মধ্যে আপনার শিরোনামটা দেখে সামলাইতে পারলাম না। পড়লাম, এবং ফিঁচফিঁচ করে কিছুক্ষণ কান্না চাপলাম। ভালো থাকুন আপনি, ভালো থাকুক আপনার মা।
আপনার মা'কে শ্রদ্ধা।
ভাল লাগলো মামুন ভাই। আপনার এই 'ফোর্স অফ ন্যাচার' টাইপ ভাবটা কোন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসছে কিছুটা বুঝতেছি।
আপনি ব্যবসায় কিভাবে ভাল করলেন সেটা নিয়ে জানার ইচ্ছা আছে আমার। পারলে লিখে একটু বাধিত করেন না!
কেমনে লিখি এই সল্প পরিসরে সিরাত? ১৭ বছর বয়সে শুরু করছি কাজ-কাম, কত কাহিনী, কত ঘটনা-দুর্ঘটনা। সংকোচ ও হয় লিখতে, অনেকে অ্যারোগ্যান্ট ভাবে এমনিতেই , আবার নিজের ঢোল পিটিয়ে সবাইকে বিরক্ত করতে সাহস হয়না।
"অথচ মনে হত পৃথিবীর সব শক্তি মিলেও আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা"
মনে হত কী? বলুন এখনো মনে হয়। আপনার মা আছেন না? নাইবা থাকলেন তিনি আপনার চোখের সামনে, আপনি তার চোখে সব সময়ই আছেন। আপনার বয়সের সাথে সাথে তাঁর পরমায়ু বৃদ্ধি হোক।
লেখা নিয়ে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ঠিক বলেছেন পান্ডুদা, আসলে এই পান্ডব বর্জিত দেশে থাকতে থাকতে নিজে কেমন যেন বদলে যাচ্ছি দিনকে দিন।
এত মজার একটা লেখা। কালকে মিসাইসিলাম কা? তারাইতে পারতাছি না, অতিথির তারা দেয়ার নিয়ম নাই। মডুর মাথায় বাড়ি মারতে ইচ্ছা হয়।
খালাম্মারে হাজার সালাম............ভালো থাকুন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেক ভাবি মাকে নিয়ে লিখব, কিন্তু সাথে সাথে এও ভাবি যে আমার লেখার উদ্দেশ্য মায়ের মাহাত্ম্য বর্ণনা হলেও আমার লেখার হাত যতটা পরিপক্ক তাতে ফলাফল তার বিপরীত হবার আশংকা একেবারে কম নয়। মাকে নিয়ে লেখাগুলো যদি এমন করে মায়ের মাহাত্ম্যকে ফুটিয়ে তুলতে না পারে তাহলে মায়ের যথাযথ মূল্যায়ন হয় না। আমি অভিভূত, পরিতৃপ্ত আমার মনের না বলা কথাগুলোও বলা হয়ে গেল এরই মাঝে এক অসাধারণ দক্ষতায়।
ধন্যবাদ এমন অসাধারণ একটা লেখা এমন দিনে উপহার দেয়ার জন্য।
সালাহউদদীন তপু
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে তপু। শোনেন একটা কথা বলি... আমি আহামরি কিছু লিখিনা এটা আমি ভালো করেই জানি, আর আপনার মত করেই ভাবতাম আমার হাতে কেন লেখা আসেনা, এভাবে কেটেছে অনেক দিন। তারপর যাদের লেখা ভালো লাগতো তাদের সবাইকে ধরে ধরে প্রশ্ন করেছি ভাই/আপা কি করি? লিখতে ইচ্ছা করে কিন্তু লেখা আসেনা, লেখা জমেনা, শুরু করেও শেষ করা হয়না--সবাই একই উত্তর দিয়েছেন লিখতে থাকো, নিজের লেখার বিচার নিজে করবেনা, যা তোমার কাছে ছাইপাশ মনে তা হয়ত অন্য কারো কাছে অমৃত মনে হবে, লেখার মাঝেই লিখতে না পারা য ন্ত্রনার মুক্তি, আর কোন ওষুধ আছে বলে আমার জানা নাই। তাই আপনাকে অনুরোধ প্লীজ লিখতে থাকেন আমাদের জন্য, আপনার নিজের জন্য ও। আমাদের সবারই সবার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।
আপনাকে ধন্যবাদ মানসিক প্রেরণা প্রদাণের জন্য। লেখার ক্ষেত্রে বোধ হয় এর চেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদানআর নেই। এই মাত্র দেখতে পেলাম সচলায়তনে আমার প্রথম লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে। এটি একটি অনুগল্প। আপনাদের অনুপ্রেরণা আমার পথকে আরো মসৃণ করবে। আশা করছি আমার লেখাটি পড়ে আমাকে গঠনমূলক পরামর্শ দেবেন।
সালাহউদদীন তপু
মা পৃথিবীতে সব সন্তানের কাছেই অন্য যে কারো থেকে আলাদা । তবে এ কথা সকলের ক্ষেত্রে সত্য তা আমি বলিনা । আপনার লেখাটি পড়ে আমার ভাল লেগেছে তা বলব না কারন লেখালেখিই যেখানে আমার কাজ নয় সেখানে আবার মন্তব্য । তবে ভাই আমি একজন পাঠক । কোন কিছু হাতের কাছে পেলে তা পচ্ছন্দ হলে গোগ্রাসে গলাধঃকরণ করা বলতে পারেন আমার পুরাতন অভ্যাস । লেখার ইচ্ছাটা একটা শখ যা শখ করে সযতনে বাক্সে তুলে রেখেছি । বাক্স থেকে বের করার সাহস পায়না কারন বাইরের আলো সে সয়তে পারবে না । তাই আপনাদের লেখা পড়ি আর ভাবে আল্লাহ সবাইকে সব কিছু দেয়না । বলুন তো ভাই কি করি ? ভাই অনেক কিছু বলার ছিল কিন্ত বিদ্যুৎ...................................................
শাহিদ
স্যাল্যুট "হিম্মতী মা'-কে।
ইচ্ছা করে সাদাকালো বানানো আর্টফিল্মের মতো লাগতেছিল দুর্দশার সব বর্ণনা।
অথচ এগুলো বাস্তবেই হয়!
ধন্যি পরিবার।
ভালো লাগলো অনেক। হেডিংটাই যে বস মার্কা একটা হেডিং হৈছে!
পড়তে দেরি হলো মামুন ভাই। অফিসের ব্যস্ততা সামলে খুব একটা ফলো করতে পারছি না এদিকে। পিছন থেকে আপডেট হওয়ার চেষ্টা করি আমি। কিন্তু, গত তিনদিনে একবারও দ্বিতীয় পৃষ্ঠা পর্যন্তও পৌঁছাইতে পারিনাই।
যাক, তবু যে পারলাম পড়তে অবশেষে।:)
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
অনেক ধন্যবাদ সাইফুল ভাই কষ্ট পড়ার জন্য। আমিও ইদানীং খুব ব্যস্ত। ইচ্ছা করে আবার বেকার হয়ে যাই আর শুধু আপনাদের লেখা পড়ি...হাবিজাবি লিখি
এমনে কওনের কী দরকার!
আপনে হাবিজাবি ল্যাখেন না কি? আর, আমরা মহাভারত?
ভালো থাকেন মামুন ভাই।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
মামোমা - তোমাদের পরিবারে মিনমিন টাইপ কেউ কি আছে?
হাহা এইভাবে আমার ইজ্জত নিয়া টানাটানি? মামোমা মানে কি কেউ বুঝবেনা ভাবছো?
আছে...আমার ছোটভাইটা কেমন যেন একটু মিন মিনে টাইপের মিচকা শয়তান। কথা একদমই বলেনা, লেখা পড়ায়ও তেমন ভালো ছিলনা, কিন্তু মানুষ হিসাবে আমার কাছে সে খনিজ হীরা। আমি আবার আমার পরিবারের প্রতি খুবই পক্ষপাতদুষ্ট, তাই অন্য লোকের তাকে ভালো নাও লাগতে পারে , যদিও আমার চোখে সে একজন রাজপুত্তুর।
ল্যান পোর্ট লাগার পর তোর লেখায় সবচে শেষ কমেন্টটা দিলাম বোধহয়...
এইজন্য তো তুই এত ডেঞ্জু পাবলিক রে... খালাম্মার সঙ্গে দেখা করে আসতে হবে শিগগিরই...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
লেখাটা পড়ে যে কত ভালো লাগল বলে বুঝাতে পারব না। আমি তো আর মা হইতে পারুম না, মা যে কী মানুষ তাও বোঝার ক্ষেমতা নাই। এত্ত ভালো হয় কেমনে এরা!!! আজব! আপনারে মা'কে আমার সালাম আর শ্রদ্ধা দিয়েন।
_____________________________
ঝড়ের বেতারে শুনি একটি শিশুর গোঙ্গানি...
নতুন মন্তব্য করুন