লোকজন কত অদ্ভুৎ কথাই না বলে-ছেলেটি ভাবল ।
এর চেয়ে অবলা প্রানীদের সঙ্গ ভালো । আরো ভালো একটা বই হাতে একলা হয়ে যাওয়া। ইচ্ছে হলেই বইগুলো থেকে চমৎকার সব গল্প শুনে নেয়া যায়। কিন্তু মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা খামখেয়ালী হয়ে এমন উলটা পালটা সব কথা বলে বসে যে আলাপ চালিয়ে যাওয়ার কোন রাস্তা খোলা থাকেনা ।
‘আমার নাম মেলশিজদেক’ ।
‘তোমার কতগুলো ভেড়া আছে?’- বৃদ্ধ নিজের পরিচয় দেয়ার সাথে একটা প্রশ্ন জুড়ে দিলেন ।
‘যথেষ্ট’- ছেলেটি সংক্ষেপে উত্তর দিলেও বৃদ্ধের চোখে কৌতুহল তার দৃষ্টি এড়ালো না ।
‘বুঝলাম, কিন্তু এটা একটা ঝামেলার কথা । তুমি যদি ভেবে বসে থাকো যে তোমার যথেষ্ট অর্থ-সম্পদ রয়েছে তাহলে আমি তোমাকে কোন সাহায্য করতে পারব না ’ ।
ছেলেটির মেজাজ খারাপ হতে লাগল । সে তো কারো কাছে সাহায্য চাইতে যায়নি । এই বুড়োই না সেধে সেধে এই খাজুরে আলাপটা শুরু করলেন ।
‘আমি এখন উঠব। ভেড়াগুলোকে বুঝে নেয়ার সময় হয়ে এল। দয়া করে বইটি ফেরৎ দিন । ’
‘তোমার ভেড়ার পালের দশ ভাগের এক ভাগ আমাকে দাও, আমি তোমাকে গুপ্তধনের সন্ধান বলব’ - ছেলেটিকে রীতিমত চমকে দিয়ে বৃদ্ধ বললেন ।
স্বপ্নের কথা মনে পড়তেই ছেলেটির কাছে সব কিছু দিনের আলোর মতো পরিস্কার হয়ে গেল। বৃদ্ধা তার কাছ থেকে কিছুই নেননি , তবে এই লোকটি সম্ভবত তার স্বামী। বুড়ো সুযোগ বুঝে তার কাছ থেকে যতটা সম্ভব টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিতে চাইছে । কী বাজে ধান্ধাবাজী! অস্তিত্বহীন এক গুপ্তধনের সন্ধান দেবার নাম করে তার সহায় সম্বল হাতিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা । এই ব্যাটাও জীপসী না হয়েই যায় না ।
কিন্তু ছেলেটি মুখ খোলার আগেই বৃদ্ধ সামনের দিকে ঝুঁকে ছোট একটি লাঠি কুড়িয়ে নিয়ে বাজার চত্বরের বালির উপরে লিখতে শুরু করলেন । তার পোষাকের মধ্যে লুকানো কিছু একটা থেকে চোখ ধাঁধাঁনো আলো ঠিকরে বেরিয়ে ছেলেটিকে সাময়িকভাবে অন্ধ করে দিল । বয়সের তুলনায় অনেক বেশী দ্রুততার সঙ্গে বৃদ্ধ সেটাকে ঢেকে ফেললেন । দৃষ্টিশক্তি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসার পরে ছেলেটি বালির উপরে বৃদ্ধ কি লিখেছেন তা পড়তে পারল ।
ঐখানে, ছোট ঐ শহরের বাজার চত্বরে , বালির উপরে ছেলেটি তার বাবা-মা আর তার বিদ্যা মন্দিরের নাম লেখা দেখতে পেল । সে দেখল সেই ব্যবসায়ীর মেয়ের নাম যা সে নিজেও জানতনা , এবং সে আরো কিছু পড়ল যা সে কোনদিনই কাউকে বলেনি ।
***********************************
‘আমি সালেমের রাজা’-বৃদ্ধ লোকটি বলছিলেন ।
‘কী কারণে একজন রাজা সামান্য এক রাখাল ছেলের সাথে কথা বলবেন?’- হতবাক ছেলেটি বিব্রত স্বরে জানতে চায় ।
‘কারণ অনেক আছে । কিন্তু সবচেয়ে বড় কারণটি হল এই, যে তুমি তোমার স্বয়ংকিংবদন্তি আবিস্কার করতে সফল হয়েছ ।’
‘স্বয়ংকিংবদন্তী’ বলতে কী বুঝায় ছেলেটির তা জানা ছিলোনা ।
‘এর মানে হলো তোমার জীবনের পরম লক্ষ্য যা তুমি সব সময়েই অর্জন করতে চেয়েছো । শৈশবে সবাই তাদের স্বয়ংকিংবদন্তী সম্পর্কে জানতে পারে । জীবনের এই সময়টাতে সবকিছুই সহজ-সরল আর সম্ভব বলে মনে হয় । ঐ বয়সে মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়না, হাত পা খুলে সব ধরনের স্বপ্নের জাল বোনে । কিন্তু পরে বড় হওয়ার সময়টুকুতে একটি রহস্যময় শক্তি তাদের মনে এই বিশ্বাস দৃঢ় ভাবে বসিয়ে দেয় সে জীবনের পরম লক্ষ্য আসলে একটি ভ্রান্ত ধারণা ।’
লোকটি যা বলছিলেন তার পুরোটাই ছেলেটির কাছে আবোল তাবোল বলে মনে হলেও 'রহস্যময় শক্তি' ব্যাপারটা কী তা সে জানতে চাইল। ব্যবসায়ীর মেয়েটিকে নিশ্চয়ই এসব রহস্যময় কথা বার্তা বলে চমৎকৃত করে দেয়া যাবে ।
‘এটি এমন একটি শক্তি যা নেতিবাচক হিসেবে আবির্ভুত হয় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে জীবনের পরম লক্ষ্য অনুধাবন করতে তোমাকে সাহায্য করে । এটি তোমার নৈতিক গুণাবলি এবং আত্ম-নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাকে তৈরী করে, কারণ পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো সত্যি কথাটি হলো- তুমি যেই হও, তোমার পেশা যাই হোক, যখন তুমি অন্তরের অন্তঃস্থল হতে কিছু কামনা কর, সেই কামনাটি পৃথিবীর আত্মা থেকে উৎসারিত - আর সেটিই তোমার স্বয়ংকিংবদন্তী ।’
‘এমনকি যখন কেউ কেবল ঘুরে বেড়াতে চায়, অথবা কোন কাপড়ের ব্যবসায়ীর মেয়েকে বিয়ে করতে চায়? এটাও কি কারো স্বয়ংকিংবদন্তী হতে পারে ? ’
‘হ্যা, এমনকি গুপ্তধনের সন্ধানে অভিযানও হতে পারে । পৃথিবীর আত্মা মানুষের সুখের দ্বারা পরিপুষ্ট হয় । অসুখ, অশান্তি, হিংসা এবং পরশ্রীকাতরতার দ্বারাও।
‘স্বয়ংকিংবদন্তী’কে অনুধাবন করা প্রতিটা মানুষের একমাত্র নির্ভেজাল দায়িত্ব । সবকিছুর অস্তিত্বের সূত্রপাত আসলে একই জায়গায় ।
আর যখন তুমি কোন কিছু অকৃত্রিম ভাবে কামনা কর , সমস্ত বিশ্বচরাচর তোমার সাহায্যে এগিয়ে আসে ।’
তাদের মাঝে সাময়িক নিরবতা নেমে আসে। চুপচাপ তারা বাজারে ব্যস্ত লোকজনের চলাচল লক্ষ্য করতে থাকে।
বৃদ্ধই প্রথমে নিরবতা ভাঙলেন- ‘ তুমি ভেড়ার পাল নিয়ে পথে নেমেছ কেন ?’
‘কারণ আমি ভ্রমন করতে ভালোবাসি ’-ছেলেটি জানায়।
মেলশিজদেক আঙ্গুল দিয়ে বাজারের এক প্রান্তে বেকারীর জানালার পাশে দাড়ানো রুটি ওয়ালার দিকে ইশারা করলেন ।
‘শৈশবে ঐ লোকটিও পর্যটক হতে চেয়েছিল । কিন্তু সে বেকারীটি কিনে আগে কিছু টাকা কামিয়ে নিতে গিয়ে সারা জীবনের জন্য আটকে গেল । জীবন সায়াহ্নে এসে মাত্র একমাসের জন্য তার আফ্রিকা যাওয়া হবে । যে কোন পরিস্থিতিতে , যে কোন সময়ে স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার ক্ষমতা যে মানুষের রয়েছে সেটা সে কখনই বুঝতে পারেনি। ’
‘তার উচিৎ ছিল রাখাল হয়ে পথে নামা ’-ছেলেটি বলে ।
‘হ্যা, সে ভেবেওছিল এ বিষয়ে । তবে সমাজে রুটি ওয়ালারা রাখালদের চাইতে বেশী প্রভাবশালী । তাদের মাথা গোজার মত ঠাঁই আছে অথচ রাখালদের রাত কাটে খোলা আকাশের নীচে । বিয়ের পাত্র হিসেবে রাখালদের চাইতে বেকারীর মালিকরাই অভিভাবকদের কাছে বেশি পছন্দসই ।’
ছেলেটির অন্তরাত্মা কেঁপে উঠল, সেই মেয়েটির কথা ভেবে । ঐ শহরেও নিশ্চয়ই একটি রুটিঘর এবং তার মালিক আছে ।
বৃদ্ধ বলতে থাকলেন- ‘ দুঃখের বিষয় হলো একজন রাখাল বা রুটিবিক্রেতার সম্পর্কে লোকে কি ভাবে সেটা তাদের কাছে স্বয়ংকিংবদন্তীর এর চেয়েও বেশী গুরুত্বপুর্ণ হয়ে ওঠে ।’
বইটির পাতা ওল্টানোর এক পর্যায়ে তিনি এক যায়গায় পড়তে শুরু করলেন । ছেলেটি একটু অপেক্ষা করে , তারপর বৃদ্ধের হুট করে প্রশ্ন করার ভঙ্গী অনুকরণ করে বলে উঠল- ‘আপনি আমাকে এসব কেন বলছেন ?’
‘কারন তুমি তোমার স্বয়ংকিবদন্তী বোঝার চেষ্টা করছ । আর এমন একটা পর্যায়ে রয়েছ যেখানে যে কোন মুহুর্তে তুমি হাল ছেড়ে দিতে পার ।’
‘আর আপনি কি ঠিক ঐ মুহুর্তটাতেই হাজির হন? ’
‘সব সময় ঠিক এই ভাবে না , তবে আমি সাধারণত দুইটি রূপের যে কোন একটিতে হাজির হই । কখনও আমার উপস্থিতি ঘটে সমস্যার সমাধান অথবা চমৎকার একটি ধারণা হিসেবে । অন্যান্য সময়ে , বিশেষ করে জটিল বা কঠিন পরিস্থিতিতে আমি অবতীর্ণ হই অবস্থা সহজ করে দিতে । আরো কিছু কাজ আমি করে থাকি যেগুলো বেশীর ভাগ সময়েই লোকে বুঝতে পারেনা যে এগুলো আমার করা ।’
বৃদ্ধ আরো ব্যখ্যা করে বললেন , সপ্তাহখানেক আগে তাকে এক খনি-শ্রমিকের কাছে একটি পাথর হিসেবে হাজির হতে হয়েছিল । লোকটি সবকিছু ছেড়ে পান্নার সন্ধান করে যাচ্ছিল । গত পাঁচ বছর যাবৎ সে একটি নদীতে কাজ করার পর পান্নার সন্ধানে হাজার হাজার নুড়ি পাথর উল্টে-পাল্টে দেখেও কিছু খুজে না পেয়ে চরম হতাশায় সে রত্ন-সন্ধান চিরতরে ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবছিল । ঠিক এমন সময়ে , যখন আর মাত্র একটি পাথর খুজে দেখা বাকী , মাত্র একটি , সেখানেই লোকটি তার স্বপ্নের পান্না খুজে পায়। যেহেতু খনি-শ্রমিকটি তার স্বয়ংকিংবদন্তীর জন্য সবকিছু ত্যাগ করেছে , বৃদ্ধ লোকটি এতে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন । তিনি নিজেকে একটি পাথরে পরিনত করে লোকটির পায়ের সামনে গড়িয়ে পড়লেন । রত্ন-সন্ধানী লোকটি পাঁচ বছরের ব্যর্থ পরিশ্রমের হতাশা আর রাগে অন্ধ হয়ে পাথরটি তুলে একপাশে ছুড়ে ফেলল । কিন্তু সে এত জোরে পাথরটি ছুড়েছিল যে এটি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেল আর সেখানেই , ভাঙ্গা পাথরের টুকরোর মাঝে সে খুঁজে পেল পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পান্না । ’
"মানুষ শেখে, জীবনের একেবারে শুরুর দিনগুলিতে , তাদের জন্ম নেয়ার প্রকৃত কারণ।’ বৃদ্ধ বলতে থাকেন , বেশ তিক্ত স্বরে , ‘হয়ত একারণেই তারা এত সহজেই হাল ছেড়ে দেয় , তবে এটাই মানুষের রীতি ।’
ছেলেটি বৃদ্ধকে মনে করিয়ে দিল যে তিনি গুপ্তধন সম্পর্কে কিছু বলছিলেন ।
‘গুপ্তধন নদীর স্রোতের শক্তিতে আবিস্কৃত হয় আবার স্রোতের মাঝে হারিয়েও যায়। তুমি যদি তোমার গুপ্তধন সম্পর্কে জানতে চাও তাহলে তোমার ভেড়ার পালের দশ ভাগের একভাগ আমাকে দিতে হবে ।’
‘আমার গুপ্তধনের দশভাগের একভাগ দিলে চলবে?’-ছেলেটি জানতে চাইল ।
‘হাতে পাওয়ার আগেই যদি তুমি এভাবে গুপ্তধন থেকে অন্যদের দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে থাকো, তাহলে সেটা খুঁজে বের করার পরিশ্রমের আগ্রহ তোমার নষ্ট হয়ে যাবে।’
বৃদ্ধের কন্ঠে পরিস্কার বিরক্তি।
ছেলেটি বলল যে সে ইতিমধ্যেই জিপসী বৃদ্ধাকে তার গুপ্তধনের এক দশমাংশ দেয়ার কথা দিয়ে এসেছে ।
‘জিপসীরা মানুষকে এধরনের ওয়াদা করাতে বেশ ভালো করেই জানে ।’-বৃদ্ধ দীর্ঘশ্বাস ফেললেন ।
‘যাই হোক, ভালো যে তুমি অন্তত এটা বুঝতে পেরেছ যে জীবনের সবকিছুই মূল্যহীন নয় । এটাই ঐশ্বরিক শক্তি মানুষকে বোঝাতে চেষ্টা করে ।’
বৃদ্ধ ছেলেটির হাতে বইটি ফেরৎ দিলেন ।
‘আগামীকাল, ঠিক এই সময়ে তোমার ভেড়ার পালের দশ ভাগের একভাগ আমার কাছে নিয়ে আসবে । আর আমি তোমাকে গুপ্তধনের সন্ধান জানাব ।
তোমার বিকেলটি ভালো কাটুক ।’
মেলশিজদেক বাজারের একপ্রান্ত দিয়ে হারিয়ে গেলেন ।
মন্তব্য
এই যে অনুবাদক মশাই, হুশিয়ারী জানাই -আপনার এই অনুবাদ কিন্তু আমারেও উস্কানী দিচ্ছে
চলুক, চলুক। অপেক্ষায় থাকার মতো একটা লেখা চলছে, ভাবতেই ভাল্লাগছে।
পুরো অনুবাদ কি শেষ? টুকরো টুকরো দিচ্ছেন? নাকি যতোটুকু হচ্ছে তুলে দিচ্ছেন এখানে?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
অনেক ধন্যবাদ বস, এরকম উদারভাবে প্রশংসা করলেন যে আমি বেহায়ার মতো মাথা পেতে নিলাম। আপনেও শুরু করেন না, প্রচুর ঝামেলার কাজ কিন্তু মজাও আছে।
এই বইটার অনুবাদ হাতে লিখেই করছিলাম, তিনভাগের দুইভাগ করা আছে। ঐ টারেই এখন সময় সুযোগ মতো টাইপ করে পোস্ট দিচ্ছি, খাটনি একেবারে কম না।
এখন ছোট্ট একটা বিরতি দিতাম অনুমতি দিলে, আরো দুই একটা লেখা মাথায় ঘুরতেছে, নামানো দরকার।
আমি বলি কি, বিরতি দিয়েন না। এইরকম কাজগুলো টানা শেষ করাই ভালো,মাঝখানে অন্য কিছু না ঢুকিয়ে। পুরোটা শেষ করেন, তারপর একটা পিডিএফ ভার্সন ও তৈরী করেন।
------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপনে কঠিন গুনী মানুষ বস। খুবই আরাম পাইলাম এই পর্ব পড়ে।
আরে বস, আপনে দেখি প্রতি সেটে চরম মাত্রায় পারদর্শী হয়ে উঠতেছেন, যে পান্ডুলিপি আমি পড়ছিলাম, তার সাথে তো বেশ পার্থক্য পাইতেছি, আপনে তো মনে হয়, ভালই সংশোধন করতেছেন। পুরাটা লেখা হয়ে গেলে তো মনে হয় আপনে আবার শুরু থেকে পরিবর্তন করা শুরু করবেন।
শুভেচ্ছা রইলো আর পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ সাইফ ভাই।
এখন একটা বিরতি দিমু। অনুবাদ অনেক খাটনির কাম, মাথায় অন্য কিছু লেখা আছে , নামাইয়া হালকা হই। তোমার পরবর্তী লেখা আসবে কবে?
সুন্দর এগোচ্ছে, আর এগোনোর সাথে সাথে গতিও বৃদ্ধি পাচ্ছে! চলতে থাকুক।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
চলুক...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভুতুম ভাই, নজ্রুল ভাই অনেক ধন্যবাদ। চলবে অবশ্যই
থামাথামি নাই... পুরাটা শেষ করেন আগে...বাংলায় পড়তে ব্যাপক মজা লাগতেসে...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ভালো লাগছে।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
আপনার ভালো লাগা আমার কাছে বিরাট কিছু। ধন্যবাদ।
চলুক মামুন ভাই
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ধন্যবাদ। চলবে
মামুন ভাই, আমিতো ভেতো বাঙ্গালী, ম্যাঙ্গো পাবলিক, একটা অনুভূতি শেয়ার করছি। আমার মনে হচ্ছে অনুবাদটাতে বাঙ্গালীয়ানা কম। মানে একটু আধটু খাজুইরা বর্ননা, আবেগ এইসব। এ জিনিসটা ভাবা দরকার কি?
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আফাগো সেইটা কি আর আমি ভাবি নাই, কিন্তু অনুবাদে সেই সুযোগ কম, আর আমার নিজের ক্ষেমতাও বড়ই সীমিত।
অধীর আগ্রহে চতুর্থ পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
অনুবাদ আসলেই দারুণ হচ্ছে। চলুক।
বিয়াফক!
একই দিতে দিতে বুইড়া আঙ্গুল সত্যিই ব্যথা করতেছে আমার!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ঐ বয়সে মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়না, হাত পা খুলে সব ধরনের স্বপ্নের জাল বোনে । কিন্তু পরে বড় হওয়ার সময়টুকুতে একটি রহস্যময় শক্তি তাদের মনে এই বিশ্বাস দৃঢ় ভাবে বসিয়ে দেয় সে জীবনের পরম লক্ষ্য আসলে একটি ভ্রান্ত ধারণা...
আসলেই কেন যেন তাই হয়।
ভালো লাগছে...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
পরের পর্বগুলো কই?
এজন্য বলি-একসাথে শেষ করেন। নাটাই ছেড়ে দিলেন তো ঘুড়ি হারালেন...
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আজকেই আসবে বস। মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন