পাশের বাড়ীর পক্ককেশ মুরুব্বী উৎসুক নয়নে অচেনা এক বিদেশীনির আগা-পাশ-তলা পর্যবেক্ষণ করে বললেন, “ তুই তো দেখা যায় একেবারে গোল্ডেন টিকেট হাত কইরা ফালাইলি”। তার পর পরদেশী এক ‘মেয়েলোক’কে গোল্ডেন টিকেট বলে ফেলার বালখিল্যতা ঢেকে দিতে আবাল বৃদ্ধ ভণিতা না করে যোগ করলেন, “ তোর বউ কলেমা কইতে জানে? নামাজ পড়ে ঠিক মতো?”
অযৌক্তিক, অপ্রাসঙ্গিক এবং একান্ত ব্যক্তিগত বোধ-বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত প্রশ্নবাণকে আমি কখনই প্রশ্রয় দেই না, এবারো দিলাম না, মুরুব্বীর হাত ধরে সোফার বসিয়ে বলি,
“জানে মানে? কলেমা তৈয়্যব থেকে শুরু করে ঈমানে মুফাসসাল পর্যন্ত মুখস্ত । আর নামাজের কথা কী জিগান, ফরজ, সুন্নত, ওয়াজিব, নফল এমনকি তাহাজ্জুদ, ইশরাক, ইস্তেখারা আর ইশতেশকার নামাজ পর্যন্ত জানে। পড়ে কি না পড়ে সেইটা তার ব্যাপার। তয় নমাজে আমার মন নাই ঠিক ঠাক মতো, আত্তাহিয়্যাতু আর দোয়া মাছুরা ভুলে গেছি। আসেন তো চাচা মিয়া আমার দোয়া কালাম গুলা একটু ঠিক কইরা দেন”।
আমি জানতাম যে এই মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত না, উনি কী এক ছুতায় উঠে চলে গেলেন, আমার আর দোয়া মাছুরা ঝালাই করা হলোনা।
বিয়ের প্রায় ছয় মাস পর প্রথমবারের মতো বিদেশী বধুকে দেশে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে এ রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি অনেকবার। খুব আপন ছোট খালা তো দেখতেই আসলেন না, তাকে আমার বউ টেলিফোনে সালাম না দেয়ার অপরাধে। গ্রাম থেকে আসা এক দূর সম্পর্কের চাচী দাবী তুললেন বিভ্রান্তি দূর করতে আমার বউকে ভরা মজলিসে সবাইকে সালাম দিয়ে কলেমা পড়ে শোনাতে হবে, আমি তাকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করি অন্য সব মুরুব্বীদের সামনেই...বয়সের গাছ পাথরহীনতাকে ভালোবাসা যায়, কিন্তু অন্ধত্ব সংক্রামক মুর্খতার না। যদিও আমার বউ কোনদিন ধর্মান্তরিত হননি, আমার আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে কেউ একজন নানা রকমের আকাশ কুসুম কথা বার্তা রটিয়ে দিলেন, মেয়ের বাপ আরব্য রজনীর দেশের লোক, মসজিদে আজানের ধ্বনি শুনে মেয়ে মুসলমানের ছেলেকে ভালোবেসে ফেলেছে...ইত্যাদি ইত্যাদি । আমার শান্তিপ্রিয় বাবা-মা অহেতুক হাউ কাউ – হাঙ্গামার ভয়ে এই সব রটনার বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হলেন না । সাত সমুদ্দুর পাড়ের মেয়ে তের হাত লম্বা শাড়ি পড়ে , ঘোমটা টেনে সর্বংসহার মতো গরমে সেদ্ধ হতে থাকে, আর রটনাহত আমার রেটিনাদুটো অগ্নিকুন্ডে পরিণত হয়ে কেবল আমাকেই জ্বালিয়ে মারে। মানুষকে শুধুমাত্র মানুষ হিসেবে মেনে নিতে আর ভালোবাসতে এত দ্বিধায় ভর্তি কেন আমাদের চিরচেনা উঠান? ঘরভর্তি অচেনা মেয়েদের ভীড়ে হাজারো খোঁচাখুঁচিতেও যন্ত্রণাকাতর মুখে ‘আমি তোমাদের ভালোবাসায় ধন্য’ মার্কা হাসি ঝুলিয়ে নিষ্কন্টক ভালোবাসার বলি বালিকা বসে থাকে আর নিজ ভূমে পরবাসী স্বার্থপর আমি খানিকটা তাজা বাতাসের লোভে গ্রীলঘেরা বারান্দায় চলে আসি। ফসফরাস চোখে বেয়াক্কেল চাঁদটাকে ঝলসে দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টায় মনে মনে বলি – বোকার স্বর্গে পৃথিবী গন্ধময়, পূর্নিমার চাঁদ যেন ভুল ভাল বুঝে বাতাসে বড় হওয়া এক ছদ্মবেশী মটরশুটি।
এইবার একটু ফ্ল্যাশব্যাক।
আমাদের বিয়ে হয় কুইন্সল্যান্ডে, কনের অশীতিপর দাদার সুবিধার্তে, তার বাড়ির পাশে। বিয়ে মানে ম্যারেজ সেলিব্রান্টের সামনে বলা ‘ আই ডু’, তারপর আলতো একটা চুম্মা খেয়ে কাগজ পত্রে সই সাবুদ করা, কোন ধর্মের লেবাস বা সিল-ছাপ্পর নেই। বাবা-মা আগে থেকেই সে বছর হজ্বে যাওয়ার প্ল্যান করে রেখেছিলেন, আমি যখন আমার শাদী মোবারকে শরিক হওয়ার দাওয়াত দেই ততদিনে তাদের মন চলে গেছে মক্কা-মদীনায়। আমরা বিনা ঝগড়া ঝাঁটিতে এক অপরের অবস্থানকে সম্মানের সাথে মেনে নিয়ে দুই পথে দুই ভিন্ন ধরনের তীর্থ যাত্রায় চলে যাই, আমি একা আর তারা দল বেধে। হবু শ্বশুরবাড়ি থেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, খাবার-দাবারের ব্যাপারে আমার কোন সীমাবদ্ধতা বা দূর্বলতা আছে কী না। আমি নিঃসংকোচে জানাই যে পর্ক ছাড়া মূল ধারার খাবারের আর সব কিছুই চলবে। বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট, খাবার দাবারের মেন্যুতে পর্ক জাতীয় কোন কিছুর আশ্রয় হলোনা, এমন কি ড্রিঙ্কসের আয়োজনেও প্রচুর নন অ্যালকোহলিক পানীয়ের আনাগোনা দেখা গেল, আমি মদ্যপান করি কী না করি সে ধরনের ব্যক্তিগত প্রসংগ আলোচনায় না এনেই। না, আমাকে ওখানে কেউ হোলি মেরী গেয়ে শোনাতে বলেনি, বা আমার জাত ধর্ম নিয়ে কেউ কোন প্রশ্ন করেনি। মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মানবোধ যে কতটা জরুরী সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝতে আমাকে আরো ছয় মাস অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
এবার আরেকটু ফ্লাশব্যাক।
কুইন্সল্যান্ডের তাজা বাতাসে তরতাজা হওয়ার মাস খানেক আগের ঘটনা। আমার বুদ্ধিমতী মা সব বুঝে নিয়ে আমাকে আর বাধা দিলেন না, শুধু নরম ভাষায় জানতে চাইলেন আমি সুখী হব সে বিষয়ে আমি নিজেই নিশ্চিত কী না। আমার উপরে নীচে মাথা নাড়ানো টের পেয়ে মা শুধু একটা অনুরোধ করলেন যে অস্ট্রেলিয়ায় বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের আগে আমরা যেন কোন মসজিদে গিয়ে নিকাহটা সেরে নেই। আমি হবু বউয়ের সাথে ব্যাপারটা আলাপ করতে গেলে সে হাসি মুখেই অনুরোধটা মেনে নেয়। আমার শহরে কোন জামে মসজিদ নেই, সবচে কাছেরটা প্রায় ৭০ কিমি দূরে। সেখানে ফোন করে ইমাম সাহেবের সাথে কথা বল্লাম, জানালাম যে আমি মুসলিম আর আমার বাগদত্তা ক্যাথলিক, শাস্ত্র অনুযায়ী আমাদের বিয়ে হতে কোন বাধা নেই, উনি আমাদের নিকাহ পড়ানোর দায়িত্ব নিতে সম্মত হলেন। শনিবারের এক সকালে ইরানি এক বন্ধু দম্পতিসহ আমরা মসজিদে হাজির হলাম। আমার ধর্ম এবং সংস্কৃতির প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধাশীল বালিকা লম্বা স্কার্টে নিজেকে ঢেকে, ওড়নায় চুল আড়াল করে ইমাম সাহেবের অফিসে ভেজা বেড়ালের মতো গিয়ে বসল।
ইমাম সাহেব আসলেন সাথে এক অ্যাসিস্টেন্ট কে নিয়ে। নাম-ধাম , ঠিকানা ইত্যাদি লিখে নেয়ার পরেই তার মাথায় বীর্যসিক্ত কুধারণার আনাগোনা শুরু হলো। বেচারীকে কোন রকমের মানসিক প্রস্তুতির সুযোগ না দিয়েই দামড়া বলদের মতো হাম্বারবে ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজীতে জানতে চাইলেন, “ যীশু খ্রীস্ট খোদা বা খোদার পুত্র নন , তিনি একজন রসুল মাত্র , এ বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে তোমার কি কোন আপত্তি আছে?”
আমি আকাশ থেকে পড়লাম, কীয়ের মধ্যে কী...পান্তা ভাতে ঘি! ক্যাথলিকরা হোলি ট্রিনিটিতে বিশ্বাস করে এবং এটা তারা ইসলাম ধর্ম পৃথিবীতে আগমণের সময়টাতেও করত, তখনো তাদের সাথে বিয়ে বৈধ ছিল এবং এখনো আছে। মৌলভীর প্রশ্নটা সম্পূর্ন অযৌক্তিক , অপ্রাসঙ্গিক এবং একান্ত ব্যক্তিগত বোধ-বিশ্বাসের সাথে জড়িত। দুইজন পূর্ণ বয়স্ক মানব-মানবী একে অপরকে ভালোবেসে সংসার ধর্ম পালন করতে চায়, তার সাথে বেহুদা ফতোয়াবাজি ধাপ্পাবাজি ছাড়া আর কিছু নয়। এদিকে অপ্রত্যাশিত আক্রমণে বিপর্যস্ত বালিকা অশ্রুসিক্ত চোখ লুকানোর পথ খুঁজে ফেরে। দেয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে বা ধবধবে সাদা সিলিংয়ের দিকে তাকিয়েও লাভ হয়না, বানভাসী মানুষের মতো সে ভেসে যেতে থাকে। বহুদিন আগে এক নৈশ আড্ডায় বালিকাকে কথা দিয়েছিলাম তার জন্য প্রয়োজনে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঘোষনা করব, তখন সে হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিল সে কথা, কিন্তু আমি জানতাম একদিন তার প্রয়োজন পড়তেও পারে। বালিকাকে চোখ মোছার টিস্যু এগিয়ে দিয়ে ইমাম আর তার সহযোগীকে নিয়ে পড়লাম, আমার এবং সাথে আসা ইরানি বন্ধুর তীব্র প্রতিবাদের মুখেও তারা যখন প্রশ্নের উত্তর না শুনে বিয়ে পড়াতে রাজী হলোনা, আমার ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে গেল। তবুও শেষ চেষ্টা হিসাবে বললাম, “ ঠিক আছে আপনাদের পড়াতে হবেনা, আমার বিয়ে আমি নিজেই পড়াবো, আপনারা সাক্ষী হিসাবে থাকলেই চলবে”। বিয়ে বিষয়টা আসলে খুব সোজা, ধর্মব্যবসায়ীরা নিজেদের মুনাফার লোভে এটাকে জটিল করে রাখে। আমি আগেও আমার বন্ধুদের বিয়ে পড়িয়েছি, দুই মিনিটও লাগেনা। আমার কথায় অপমানিত মোল্লারা উঠে চলে গেলেন।
বাসায় ফিরে খাচায় বন্দী বাঘের মতো সারাদিন রাগে গড়গড় করলাম, বিকেলে লন্ডন ইসলামিক সেন্টারে ফোন করতেই সেখানকার ইমাম আলী আমার ঘটনা শুনে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়লেন। বললেন -“এই সব কাঠ মোল্লাদের জন্যই লোকে ইসলামকে ভুল বোঝে, এক কাজ করো মেয়েকে ডাকো, আমি টেলিফোনেই বিয়ে পড়িয়ে দেই। আমার অফিসে তোমাদের ডিটেইলস ফ্যাক্স করে দাও, এক সপ্তাহের মধ্যে কাবিননামা পোস্টে পাঠিয়ে দেব। এসবের জন্য কোন চার্জ লাগবেনা , মেয়েটা যে পরিমাণ কষ্ট পেয়েছে তার কিছুটাও যদি লাঘব করতে পারি নিজের কাছে ভালো লাগবে”। তার কথায় মনে শান্তি কিছুটা হলেও ফিরে আসল। কিন্তু বালিকা তখনও শকড, আর আমি নিজেও লজ্জিত পুরো ব্যাপারটায়। তাই ইমাম আলীকে জানালাম যে আমি একটু ড্যামেজ কন্ট্রোল করি আগে, তার পর টেলিফোনে বিয়ের কথা আলাপ করা যাবে। সদাশিব এই মানুষটি নিজে থেকেই ফোন করে অদেখা অচেনা আমাদের খোজ খবর রাখতেন এই দুর্ঘটনার অনেক পরেও।
বালিকা খুবই বিচক্ষণ আর মায়াবতী মানুষ, সে জানত যে আমিও খুব কষ্ট পাচ্ছি ভিতরে ভিতরে, নিজে থেকেই আমাকে বলল রাতে বাইরে খেতে যাওয়ার কথা। আমরা গেলাম এক তুর্কী বন্ধুর রেস্টুরেন্টে। আমাদের দু’জনের সাথেই তার খুব ভালো সম্পর্ক, গোমড়া মুখে আমরা বসে আছি দেখে সে এসে ঠাট্টা জুড়ে দিল, বিয়ের আগেই যদি তোদের এই দশা হয় তাহলে পরে কী হবে। তাকে বসিয়ে পুরো ঘটনা শোনালাম, শুনে যে কিছুক্ষন ঝিম ধরে থেকে উঠে চলে গেল। গোমড়া মুখে মাটন কাবাবও প্লাস্টিকের মতো লাগে। খাওয়া দাওয়ার শেষে তুর্কী বন্ধু মুহাররম তার অফিসে নিয়ে বসালো। নিয়ে বলে, “ দ্যাখ বিয়ের মাসআলা, দোয়া কালাম ইত্যাদি আমার জানা আছে , তোরা যদি রাজী থাকিস তাহলে আমি নিজেই তোদের বিয়ে পড়িয়ে দেই”।
আমি কিছু না বলে বালিকার মুখের দিকে তাকাই, সে কিছু বলে না, ঘরপোড়া গরুর সিঁদুরে মেঘ দেখলে যে প্রতিক্রিয়া হয় তার অবস্থাও তাই। এর মধ্যে নানাবর্ণের আরো কিছু অতি উৎসাহী বন্ধু বান্ধব এসে হাজির, ফোন করে মুহাররমই তাদের ডেকে এনেছে। সবার প্ররোচনায় বালিকা আবার বেল তলায় যেতে রাজী হয়, তামাশা দেখতে আসা পোলাপানের লাফালাফিতে টেকা দায়। তাদের সাক্ষী রেখে হাতি ঘোড়া মারার বিমলানন্দে মুহাররম সাদা কাগজে আমাদের নাম-ধাম, পিতৃ পরিচয় ইত্যাদি লিখে নিয়ে চমৎকার হাসি খুশী পরিবেশে আমার মায়ের এক মাত্র অনুরোধটি বাস্তবায়নে লেগে যায়। মেয়ের পক্ষ নিয়ে তুর্কিনাচে দক্ষ কাজী সাহেব নিজেই আকাশচুম্বী মোহরানা নির্ধারন করে বেয়াল্লিশ দাঁতের ভেটকি দেখায়, আমি বালিকার হাত আরো শক্ত করে ধরি, জীবনের ঝঞ্ঝামুখর কোন এক কঠিন মুহুর্তে ধরার পর যে হাত কোনদিন ছাড়া হয়নি, আর হবেওনা।
নিজের ধর্ম বা সংস্কৃতিকে পঁচানোর উদ্দেশ্যে এই লেখাটির নয়। নিজ সংস্কৃতি বা ধর্মবিশ্বাস নিয়ে আমার মাঝে কোন হীনমন্যতা বা অকারণ জটিলতা নেই। এটুকু বুঝি যে অজস্র মণি মুক্তার পাশাপাশি ধর্মের ময়দান অনেক খানা-খন্দেও ভর্তি । অনেক হৃদয়বান মানুষ এইসব খানা-খন্দ এড়িয়ে মণি মুক্তা কুড়িয়ে নিয়ে তা মানুষের কল্যাণেই ব্যয় করেন। এই লেখা পড়ে কেউ ধর্মকে এক তরফা গালাগাল করলে তা আমার কাছেই খারাপ লাগবে। ধর্মীয় মৌলবাদের মোকাবেলা চিন্তা-ভাবনার মৌলবাদ বা একপেশে সমালোচনা দিয়ে সম্ভব না। সংস্কারের দায়িত্ব আমাদের সবারই আর সেটা খুব সাবধানে কারো মৌলিক অনুভূতিতে আঘাত না হেনে মগজ আর হৃদয়ের সমন্বয়ে করতে হবে, গন্ডারের মতো করে গা জোয়ারী ভাবে না যেটা করার বোকামী আমি নিজে অতীতে বহুবার করে ব্যর্থ হয়েছি।
এবার মূল ঘটনায় ফিরে যাই। আমাদের সেই বাংলাদেশ ট্যুর একেবারে বাজে কাটেনি। বালিকাকে কক্সবাজার দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। সমুদ্র দেখে তো সে একেবারে মুগ্ধ। আরো মুগ্ধ মানুষের সদয় ব্যবহারে, সাগর পাড়ে হাঁটতে গিয়ে অনেক অজানা মানুষদের সাথে পরিচয়, বেলেল্লাপনা না করে অনেকেই ভদ্র ভাষায় তার সাথে কুশল বিনিময় করেছে, অনুমতি নিয়ে দল বল বেধে ছবি তুলেছে। কক্সবাজারের সৈকতে আমার অপিরিচিত দেশি ভাই ব্রাদারেরা তাকে বোন-ভাবী বলে ডেকে আপন করে নিয়েছে, ডাব কেটে এনে খাইয়েছে, তার পর বেড়ানো শেষে হোটেলে ফেরার রিক্সা ঠিক করে ভাড়া পর্যন্ত দিয়ে দিয়েছে যা সে আজো ভোলেনি। মানুষের প্রতি মানুষের নিঃশর্ত ভালোবাসা আর সম্মানবোধের কারণেই পৃথিবীতে বেঁচে থাকা এখনও অসম্ভব হয়ে যায়নি।
মন্তব্য
লেখায় ।
চমৎকার লেখা
ছবিটাও দারূণ, তবে যদি একটু রিসাইজ করে দিতেন বা ফ্লিকার থেকে এমবেড করতেন তাহলে দেখতে আরাম হইতো
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
ধন্যবাদ কিংকং ভাই, টেকি ব্যাপারগুলোয় এখনো খুব কাচা, শিখে যাব একদিন
এমনি মুখে হাতি ঘোড়া মারলেও সমাজ-সংস্কারের সামনে গিয়া খাড়াইলে নিজেরে আর খুঁইজা পাইনা অনেক সময়। বিশ্বাস নড়বড়ে হয়া যায়। আপোষ কইরা ফালাই অথবা পলায়া বাঁচি। আপনার এই ঘুইরা দাঁড়ানো দেইখা মুগ্ধ হইলাম বস... স্যালুট আপনারে
শুভ জন্মদিন মাই ব্রাদার , স্যালুট ম্যালুট কইয়া আর শরম দিয়েন না, শতায়ু হন, বউ বাচ্চা নিয়া থাকেন দুধে ভাতে
আপনারে আমি আর স্যালুট দিয়া শরম দিলাম না। বেলের শরবতের পরিমাণটা বাড়ায়া দিলাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ঐ মিয়া আমি না সেইদিন কইলাম আমার মাথায় ভাইঙ্গা যেই বেলের শরবত বানান তা আর খামুনা, আইসক্রীম খাওয়ান...তার কী হইল?
আপনাকে অভিনন্দন মামুন ভাই। এরকম ডিসিশন নিতে পারা চাট্টিখানি কথা না। আপনাদের সুখী জীবন কামনা করি।
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
অনেক ধন্যবাদ রেনেট।
মামোমা, আমার এক বন্ধু তার আমেরিকান স্ত্রীকে নিয়ে যখন বাংলাদেশে প্রথমবার বেড়াতে যায়, আসার আগে তিনদিন ধরে সেই মেয়ে কেন্দে কেটে একাকার!
মানুষ যে কী দুঃখে ঝামেলা জিনিষটাকে বাড়াতে এত্তো পছন্দ করে, আমি নিজেও বুঝি না! সেই তো শেষ পর্যন্ত ভালোবাসাই জিতে, তার আগে যত্ত ভ্যানতাড়া!
জো এ্যানা আর তোমার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো
বাতাসি, মামোমা মানে কী জনগণ কি তা জানে?
ব্যাদ্দপ ছোড়া, আমাকে বাতাসি ডাকতেসো যে, বাতাসি আবার কী??!!
আর মামোমা=মামুন হক, এর মধ্যে জনগণ না বুঝবে কী?!
সাবাস!
এই না হইলে আমার জানি দুস্ত! আমার বিয়ারও বিশাল একখান কাহিনী আছে, তরে উৎসর্গ কইরা একদিন লিখা ফালামু নে!
তাইলে বুঝবি, আমিও সংগ্রামী সুকর্ণ!
তরে এমনিই সবসময় স্যালুট লাগাই, এইবার সবার সামনে আরেকবার লাগাইলাম! তর আত্মীয়স্বচনের সামনে লইয়া যাইস একবার, সেইখানে আরো একবার স্যালুট লাগামু... হা হা হা!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
হ দোস্ত কইয়া ফালা, আমাগো সংগ্রামী প্রেম কাহিনী দুনিয়ার সব লায়লা-মজনুগো জানার দরকার আছে
মামুন ভাই, অসাধারণ লেখা। আপনার সৎ-সাহস, ভুল কিছুর প্রতিবাদ করা বা অন্যায় দেখলে রুখে দাঁড়ানোর যে একটা ব্যাপার, সেটা খুবই ভাল্লাগে। স্যালুট জানালাম আমিও।
'রানী' কিন্তু অসমাপ্তই আছে এখনো!
মামুন ভাই, প্রিয় মিতা আমার, অভিমাণ ভাঙ্গছে?
রানী শেষ হবে পরের কিস্তিতেই:)
এই লেখা পড়ে বড়ই তৃপ্তি আনন্দ আর দু:খ পাইলাম। কিছুটা লজ্জাও পাইলাম। এজন্যই আপনে আমার বস, একাধারে এতকিছুর স্বাদ সবাই দিতে পারে না। আমি মেনর আনন্দে লেখা টা সবখানে দিলাম, সবারই পড়া দরকার এমন একটা লেখা।
মামুন ভাই ইজ ব্যাক, মাঝে আপনের ধার একটু কমে গেসিল বলে মনে হইল, আবার ফিরে এসেছেন সেই ধারের সহিত। অসাধারাণ একটা লেখা দিসেন। জানি না এই তথ্য আপনাকে কোনভাবে সাহায্য করতে পারবে কিনা, আইসল্যান্ডের ফকফকা সাদা থিকা সুদানের কয়লার ন্যায় কালো পর্যন্ত কাল্লু যে মানুষ, তাদের মধ্যে জীনের পার্থক্য ০.০৪%। যতরকমের বাহ্যিক পার্থক্যই দেখা যাক না, কেন! কাজেই দাত ভেটকাইয়া বলেন, বাইরে আমরা যেমনই হই না কেন? ভেতরে আমরা সমান রাঙা। বলেন, আমেন
আর আমাদের দেশে তো কাঠমোল্লা ছাড়া মোল্লাই নাই, তাদের কাছ থিকা যারা ধর্মশিক্ষা নিবে, তারা তো আরো গোড়া হবে। আপনার আত্মী্য়রা সেই দোষে দুষ্ট তা আর নতুন কি? আপনার আগে থেকেই মানসিক প্রস্তুতি নেয়া উচিত ছিল। কিন্ত বিয়া পড়াইতে গিয়া ঐ চুদির ভাই মোল্লা যা করসে তা ক্ষমার অযোগ্য। আপনাদের জন্য শুভ কামনা আর দোয়া রইল।
দোয়া করি এভাবেই যেন ধরে থাকতে পারেন বালিকার হাত বাকি জীবন
অনেক ধন্যবাদ সাইফ। ফোনে কথা হবে।
এটা কি আপনার জীবনের সত্যি ঘটনা? মিয়া আপনি তো কঠিন একটা লোক। মনে হয় আপনি বেশ ঘোরাঘুরি করেন; আসেন আমার এখানে বেড়ায়া যান। ওপেন দাওয়াত রইল।
হ বস সত্যি ঘটনা। দাওয়াত দিলেন কিন্তু ঠিকানা দিলেন না, কোন ঘাটে নৌকা ভিরামু তাও কইলেন না কেমনে যামু? আর খাইয়াইবেন কী আগে কন:)
আরে কয় কি? ঠিকানা তো প্রোফাইলেই আছে। আমি থাকি কানা দেশে। ঐ যে, কানা ডা। মারিকার কাছাকাছি আরকি। খাওয়া দাওয়া নিয়ে চিন্তা নাই, যা চান তাই খাওয়াতে পারবো। কি খাবেন, বলেন? আর চলে আসেন, এই যে ম্যাপ:
View Larger Map
এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি যে কতো বার হয়েছি, কতো কারনে আর কতো বার হবো কে জানে? মেয়েদের জন্যই কেনো যেনো এগুলা তৈরী হয়। বিদেশী জামাইরে কেউ বলে না কলেমা পইড়া শোনাও, শুধু মেয়ে হইলেই হইলো। মেয়ে দেখতে আসলেও সুরা পইড়া শোনাও, কিন্তু ছেলে দেখতে গেলে কেউ বলবে না সূরা পইড়া শোনাও। তবে স্বীকার করতে দোষ নাই, মেয়েরাই অন্যদের উপড় নিজের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য এইগুলা বেশী করে।
লেখা ভালো হয়েছে।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হ বান্দরবনের সুন্দরী আফা, কথা সত্য
অনেক অনেক ধনেপাতা।
অসম্ভব মন ভাল করা এই লেখায় দশ লক্ষ তারা----
আপনার জীবনটা যেমন বর্ণীল, আপনার বর্ণনা তেমনি সাত রঙ্গা রংধনু ছোঁয়া!
অনেক শুভেচ্ছা রইল----
তুমি অনেক বড় মনের মানুষ তারেক ভাই, ভালো থাকবা, কথা হবে।
- কাঠমোল্লাদের কাঠামি জিন্দাবাদ।
এই রকম একটা কাহিনী আছে আমার দেখা। আমার আব্বা নিজের ব্যক্তিগত লাইব্রেরীতে একদা বেদ রাখার সিদ্ধান্ত নিলে পাশে দাঁড়ানো আমাদের মসজিদের বড় হুজুর প্রবল এবং বিশ্রীভাবে সেটার বিরোধিতা করেন। তাঁর কথা হলো, মুসলমানের ঘরে হিন্দুদের বেদ, রামায়ন এগুলা কেনো স্থান পাবে? কিশোর আমি ভয়ানক টাশকী খেয়ে গিয়েছিলাম সেদিন।
আপনার আর ভাবীর জন্য রইলো শুভকামনা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার মিরপুরের বাড়িতে বড় একটা বুকসেলফ ছিলো। সেখানে বিভিন্ন খোপের ভিন্ন ভিন্ন নাম ছিলো। ধরেন যে খোপে কবিতার বই থাকতো সেটার একটা নাম, উপন্যাসের খোপের একটা নাম... এরকম...
তো একটা খোপ ছিলো, নাম উপদেশ... সেখানে কেবল ধর্মগ্রন্থ, আর ধর্ম বিষয়ক গ্রন্থ... সেখানে কোরান, বাইবেল, গীতা, বেদ... সবেরই সহাবস্থান ছিলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হা হা হা, আমার যেই সেলফে জাকির মামু'র জোক্স-সমগ্র রাখা সেখানে উনার একপাশে 'অবিশ্বাসের দর্শন' আরেকপাশে 'বিশ্বাসের ভাইরাস' দিয়া স্যান্ডুইচ করে রাখা
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধন্যবাদ ধুগো, তোমারে মেসেজ দিলে জবাব পাইনা, খুব বেশি ব্যস্ততা যাচ্ছে নাকি?
- তা যাচ্ছে আরকি কিছুটা। আমি বোধহয় বুড়াও হয়ে যাচ্ছি সাথে সাথে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মামুন ভাই মন ভাল করা লেখা।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
থ্যাঙ্ক্যু জাহিদ। টিপাইমুখী বাধ নিয়ে তোমার লেখার অপেক্ষায় আছি।
আমরা কি রকম চুতিয়া,খবিশ এবং ইতরজাত তার একটা সাম্প্রতিক উদাহরন দেই।
আমার শ্বশুর মারা গেছেন গত বুধবার। ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত ধর্মাচারী ছিলেন, হজ্জ্ব করেছেন, তাবলীগ ও করতেন তবে যথেষ্ট পরিমান উদার ছিলেন- আমাদের এখনকার টেকমোল্লাদের চেয়ে অনেক উদার।
মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, স্বাভাবিক ভাবেই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন হবার কথা। প্রশাসনের লোকজন যাবে, গার্ড অব অনার দেবে, জাতীয় পতাকায় ঢেকে তার মরদেহ গোরস্থানে যাবে। আমি নিশ্চিত তিনি নিজে ও এরকম আয়োজনে তার সহযোদ্ধাদের জানাজা পড়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন, চলে যাওয়াটা অপ্রত্যাশিত ছিলোনা। ছেলেমেয়েদের মধ্যে একমাত্র আমার স্ত্রীই তার পাশে ছিলো সে সময়। আর তার ভাই-ভাতিজা, আত্নীয় স্বজন, অমুক তমুক বিশাল গোষ্ঠী। মৃত্যু সংবাদ পাওয়া মাত্রই আমি আমার স্ত্রী ও অন্য দু একজনকে বললাম থানায় খবর দেয়ার জন্য যাতে তারা যথাসময়ে এসে গার্ড অব অনার দিতে পারে।
কিছুক্ষন পর পরই এ বিষয়ে খবর নিচ্ছিলাম। এক পর্যায়ে শুনলাম- আমার এক চাচা শ্বশুর( শ্বশুরের মৃত্যুর ফলে যিনি গোত্রপতি হবার সুযোগ পেয়েছেন) ফতোয়া জারী করেছেন গার্ড অব অনার দিয়ে দাফন করা নাকি ইসলাম সম্মত নয় তাই এই আয়োজন হবেনা এবং কি আশ্চর্য্য মৃতের বাড়িতে ঝামেলা পাকানো ঠিক হবেনা শুধু এই যুক্তিতে আর কেউ এটার কোন প্রতিবাদ করছেনা আমার স্ত্রী ছাড়া। বাবার মৃত্যুর শোকের বদলে তাকে তর্ক করতে হচ্ছে কতোগুলো অভব্যের সাথে।
পরে ফোন লাগালাম গোত্রপতি চাচাশ্বশুর এবং অন্য সকল মুরব্বীয়ানদের কাছে। খুব ভদ্রভাবে অত্যন্ত আদব লেহাজের সাথে তাদেরকে বললাম- জনাবেরা আমার মতো ভদ্র জামাই আপনাদের চৌদ্দগোষ্ঠীতে আর নাই কথা ঠিক তবে এটা ও আপনারা দয়া করে ভুলে যাবেননা আপনাদের চৌদ্দগোষ্ঠীর আপত্তির মুখে কিভাবে আপনাদের মেয়েকে বিয়ে করেছিলাম।
দাফন যেভাবে বলি, সেভাবে করেন। ফতোয়াগিরি করবেননা শ্বশুর আব্বাগন...
কাজ হয়েছে তৎক্ষনাত।
অনেক অন্ধকাররে ভাই, আমাদের ভেতরে অনেক অন্ধকার।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
অসাধারণ মোরশেদ ভাই, শক্তের ভক্ত, নরমের যম, আপনার উপর ফাকতালে চুদুর বুদুর শুরু করেছিল, বাদামের থলিতে লাথি খাইতেই সব সোজা, আপনারে স্যালুট
একদম আমার মনের কথাটা বলছেন বস। হাজার বছরের জঞ্জাল জমে গেছে সর্বক্ষেত্রে, রাতারাতি পরিস্কার হবেনা, কিন্তু আমরা হাল ছেড়ে দিলে আশার তরীও ডুবে যাবে। আপনার সাথে এসব নিয়ে একটু লম্বা আলাপ করার ইচ্ছা ছিল, আশাকরি একদিন সুযোগ মিলবে।
এতোগুলা ফ্ল্যাশব্যাক কইলি, কিন্তু তবু তো একটা ফ্ল্যাশব্যাক বাকী রইলো... সেইটা কইলি না?
কয়া ফেল... এখানে কোনো কাঠমোল্লার বেইল নাই...
লেখায় জাঝা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কমু ওস্তাদ, মানসিক প্রস্তুতি লাগবো, চিন্তা ভাবনা করতেছি, লেখার অভ্যাসটাও একটু জমুক। রসাইয়া রসাইয়া কমু ।
মামুন ভাই...জটিল-জবর-কঠিন হইছে! নিজের হিস্ট্রির সাথে মিলিয়ে নিলাম!ঃ)
কিচ্ছু বলার নাই... কেবল স্যালুট!
আপনারে ভয়াবহ ঈর্ষা হয়রে ভাই...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
আমারে ঈর্ষা করার কিছু নাইরে ভাই, তার পরেও করলে আমিও পালটা ঈর্ষা করুম
ভালো থাইকো।
ফ্ল্যাশব্যাকের পর ফ্ল্যাশব্যাক, যেন আরব্য রজনীর কাহিনী পড়ছিলাম। অসাধারন জীবন গল্প।
কাটমোল্লার মাথায় ঝাড়ু মারি। তয়, আরেকটা ফ্ল্যাশব্যাক রয়ে গেছে বোধহয়, দেবেন নাকি সময় করে?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী। মানুষের জীবন অনেক সময়েই কল্পকাহিনীর চেয়েও আশ্চর্য হয়, আমারটা তো একেবারে সাদামাটা চারপাশের গল্প।
আরেকটা ফ্লাশব্যাক হবে একদিন। সব একদিনে বলে ফেললে কেমনে চলবে?
আপনে মিয়া একটা কটঠিন জিনিস।
"আমি বালিকার হাত আরো শক্ত করে ধরি, জীবনের ঝঞ্ঝামুখর কোন এক কঠিন মুহুর্তে ধরার পর যে হাত কোনদিন ছাড়া হয়নি, আর হবেওনা।"
সবসময় সাথে থাকেন, ভালো থাকেন, মামুন ভাই।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমার একলারই সব দোষ, বালিকার কোন দোষ নাই? হাত তো সেও ছাড়তে চায় না
ভাল্লাগলো! ছবিও দিছেন একখান!
ধ ন্যবাদ সিরাত। মুনমুন আপা কেমন আছে?
ভালো থাকুক বালক আর বালিকা....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ধন্যবাদ বস।
হুম...
আমার এক আত্মীয় এমন ঘটনা ঘটাইতে চাইসিলো, তবে মেয়ে গোল্ডেন আছিলো না, নিতান্তই সাধারণ বাঙালি। তো হইলো কি, ছেলের মায়ের দাবি ছিলো যে ইসলামিক মতে বিয়ে হইতে হবে। মেয়ের বাপ আবার বাঁইকা বইলো। তাদের দাবি যে খ্রীষ্টান মতেও বিয়ে হইতে হবে। একজনের ধর্ম বেশী গুরুত্ব পাবে, তা হবে না। ছেলের পক্ষ আবার তাতে রাজি না। শেষ মেষ আরকি... আর হইলো না..
আপনার কাহিনী পড়ে মনে হলো যে আপনি এই দিক থেকে অন্তত: সৌভাগ্যবান... চাপ যত সব একদিক থেকেই আসছে। এইখানেই সাদা চামড়াদের কাছে উদারতায় আমরা মাইর খেয়ে যাই।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
জটিসল্য।
মামুন ভাই, আপনার জীবন তো চরম বৈচিত্র্যময়! শুভ কামনা থাকো, আরো সুন্দর হোক আপনাদের জীবন।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
হুম জটিল....। শুভ হোক আপনাদের জীবন।
খুব খুব খুব ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে
ভালো থাকুন দুজনেই
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
প্রথমে
তারপরে আপনাদের দুইজনরে মিলায়া একটা স্যাল্যুট-ও, যেইটার ইমোটিকন এইখানে নাই।
আর, লেখাও তো ঘটনার মতোই সেইরকম মহান হইছে মাইরি!
সত্যিই, খুব ভালো লাগলো মামুন ভাই। 'ভাবী'রেও আমার শুভেচ্ছা পৌঁছায়া দিয়েন পারলে। আপনারা অনেক ভালো থাকেন সবসময়।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন