কে জানি বলেছিলেন ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দেন ফিকশন, কথাটা যে কত সত্যি তা মর্মে মর্মে অনুভব করছি এখন, বলতে গেলে এখনো ঘোরের মধ্যে আছি।
আমাদের সবার প্রিয় প্রকৃতি প্রেমিক আসলে আমার বিশ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বন্ধু বুলবুল। এক সাথে আমরা মাস তিনেক আইডিয়াল স্কুলে পড়েছিলাম, তার পর সে আমাকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে ধানমন্ডি বয়েজে চলে যায়। অল্প দিনেই তার সাথে দারুন সখ্যতা গড়ে উঠেছিল। মুক্তার মতো হাতের লেখা, চমৎকার বাচনভঙ্গী আর মননশীলতা দিয়ে অল্প দিনেই সে আমার গুরুতে পরিণত হয়। অংক আর বিজ্ঞানে খুব ভালো ছিল ঐ পোলা, তার সাবলম্বী জীবন যাপন আর চিন্তাশীলতা আমাকে মুগ্ধ করত। আমরা পাড়ার অন্যান্য ছেলেরা যখন হাড় হাভাতের মতো সুন্দরী বালিকাদের পেছনে ঘুরে বেড়াতাম পিপিদা তখন মগ্ন থাকতেন ভালো একটা বই পড়ায় বা সৃজনশীল কোন কাজে। লেখালেখিতে তার মুন্সিয়ানাও আমার নজর এড়ায়নি। বুলবুলের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব আমার কিশোর মনে গভীর এক ছাপ ফেলে যায়। এ কারণেই জীবনের চলার পথে অনেক মানুষের সাথে বন্ধুত্ব হলেও বুলবুলের কথা কোনদিনই ভুলিনি, মনে মনে খুঁজেছি তাকে ।
আজ সকালে হঠাৎ করে ইশতিয়াক রউফের এক লেখায় তার কমেন্ট পরে তাকে মেসেজ দেই, তার পর ফেসবুকে যোগ করে গল্প হয়, দুই মিনিটের মধ্যে আবিস্কার করি আরে এইতো সেই হারিয়ে যাওয়া গ্যাদা কালের পন্ডিত বন্ধু।
তার ছবি দেখলাম, গোল গাল ভাবটা আর আগের মতো নেই, মাথায় চুল ও কমে আসছে, কিন্তু এই পাগল ছেলেটার প্রতি ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাবোধ আমার তখনও যেমন ছিল এখনও তেমনই আছে, দিনকে দিন যা আরো বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে।
ভালো থাকিস বন্ধু, কত দিন দেখা হয়নি...
মন্তব্য
ছবিটা পিপিদার দেয়া
ওরে কোপা শামসু মামুনভাই আর পিপিদা বন্ধু বাইর হইছে, এইবারতো দুই বন্ধু ফাটায়া লেখা দিবে, আমরা বুভুক্ষের মত সেই লেখা পড়িব, দোয়া রাখি আপনাদের এই বন্ধুত্ব যেন আজীবন ফাটাফাটি থাকে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ঐ ব্যাটা কোপা শামসু আমি ইইলাম কবে ? সামথিম রম?
মিয়া একটার পর একটা কোপ দিয়া যাইতেছেন, আপনার চেয়ে বড় শামসু আসে নাকি এই সংসারে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
'কত অজানারে জানাইলে তুমি...' রবি বুড়ো কি আর এমনি এমনি বলে গেছেন!
ভীষণ ভালো লাগার মতো ঘটনা...
আরেব্বাহ!! দেখেন আমি নিজের অজান্তেই কত ভালো ম্যাচমেকার।
ইউ আর এ জেম ব্রো, আমিতো আগেই কইছি আমার হাতে ক্ষমতা থাকলে বাংলাদেশ চালানোর ভার ইশতির হাতে দিয়া নিজে শান্তিতে ঘুমাইতে যাইতাম।
আমিও আইডিয়াল ইস্কুলে পড়ছি।
বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
আমিও একই ইশকুলের পোলা।
বন্ধুতের বন্ধন অটুট থাকুক চিরকাল।
______________________________________
চোখ যে মনের কথা বলে, চোখ মেরেছি তাই
তোমার চোখের শূল হয়েছি, এখন ক্ষমা চাই
______________________________________
লীন
আপনাদের দুই বন্ধুর জন্য এই গান।
খুব ভাল্লাগলো গান টা। ধন্যবাদ শিমুল।
হা হা হা... পিপিদা দেখলে এই পোস্ট এডিট করতে কইবো নিশ্চিত... পিপিদা তো প্রকাশ্যে নিজের নাম কন না ( সচলের এক সাক্ষাৎকার দ্রষ্টব্য সম্ভবত)
আপনাদের দোস্তি যুগ যুগ জীয়ে !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমি সেইটা জানতাম না, আবেগের বশে দিয়ে ফেলছি, মাফ করে দিস দোস্ত, বললে এডিট করে দিব।
আমি আর কী কইতাম, সবাইরেই ধন্যবাদ, পুরা ঘটনায় এখনো টাশকি খেয়ে আছি। বিশ বছর ধরে যারে মনে মনে খুজছি সে এতদিন পাশেই ছিল টের পাইনি...
মামুন সম্পর্কে সেদিন শিমুল লিখেছিল "কমান্ডো ব্লগার"। মামুনের "মার মার কাট কাট" লেখা আর তার প্রোফাইলের ছবি মনে করিয়ে দেয় ২০ বছর আগের সেই মামুনকে। আহারে, কতদিন আগের কথা!
১৯৮৯ সাল। বগুড়া জেলা স্কুলে সবে মাত্র ক্লাস সেভেন থেকে পাস করে এইটে উঠেছি। এর মধ্যে আব্বার ঢাকায় বদলীর কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। আমি তখন ঢাকায় বেড়াতে এসেছি। বেড়াতে এসে মিরপুরে সাড়ে এগারো তে খালার বাসায় উঠেছি। চিড়িয়াখানা দেখছি, এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করছি, ঢাকা শহর দেখছি। একদিন দুপুরে গরুর মাংসের তরকারি আর শশা কুচিকুচি করে কাটা সালাদ দিয়ে ভাত খাচ্ছি এমন সময় আমার আরেক খালু, যিনি গোরান থাকেন, এলেন এক মহা দু:সংবাদ নিয়ে। উনি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ফর্ম কিনেছেন, কালই ভর্তি পরীক্ষা। মনে মনে ভাবি বেড়াতে এসে অকস্মাৎ এ কি উৎপাত। মন খারাপ করে খালুর সাথে সেই প্রথম গোরানে যাই। সন্ধ্যায় খালাতো ভাই-বোনদের প্রাইভেট শিক্ষক (নাম ভুলে গিয়েছি) এসে আমাদের (আমি ও আমার বোন) দেড় ঘন্টার একটা লেসন দিলেন। পরদিন পরীক্ষা হলো। ইচ্ছে না থাকা সত্বেও টিকে গেলাম। স্কুলের নিয়মকানুন ভালো না লাগলেও মেইন রোডের উপর ছাই রঙা স্কুলটা দেখে বেশ রাজকীয় মনে হতো।
মিরপুর থেকে আমার ঠাঁই হলো গোরানে। বাসার সামনেই বিশাল মজা পুকুর, তাতে লম্বা লম্বা কচুরীর পানা। স্হানীয় ছেলে মামুন আর আপেল- এই দু'জনের সাথে পরিচয় হলো। তারাও আমার সাথে আইডিয়ালে যাবে। আপেল একটু চুপচপা স্বভাবের, কথা কম বলে। ওর সাথে সহজেই ভাব হয়ে গেল। মামুনের সাথে প্রথম দেখাতেই মনে হয়েছিল পাড়ায় তার একটা প্রভাব আছে। আমি বগুড়া থেকে এসেছি মাত্র, ঢাকার ভাবসাব তো বুঝিনা। তাই সমঝে চলি, ততটা মিশতে পারিনি হয়তো।
সেই মামুনই আজকের মামুন হক। মামুন সবসময়ই কমান্ডো স্টাইলে কথা বলতো, অত্যন্ত স্বপ্রতিভ, চোখ-কান-খোলা ছেলে। আপেলের সাথে বেশি সখ্যতা থাকলেও মামুন যে আমাকে খুব ভালোবাসতো সেটা আমি বুঝতাম। সেই "ঢাকার ছেলে"র সাথে একসময় সখ্যতা হয়ে গেল। একসাথে কখনো হেঁটে, কখনো রিক্সায় স্কুলে যাওয়া হতো। ২০ বছর আগের অনেক কিছুই মনে নেই, তবুও ওর মুখটা এখনো স্পষ্ট মনে আছে। হয়তো বিধাতারই খেলা, একদিন আবার ওর সাথে পরিচয় হবে, সেজন্যই বোধ হয় স্মৃতির মনিকোঠায় ওর মুখটা জমা হয়ে গেছে।
মামুনকে আমি বলি কবি নজরুলের মতো, অপরিমান মেধাসম্পন্ন, দিলখোলা একটা প্রাণ। আমার সম্পর্কে অনেক কিছু বাড়িয়ে বললেও তার বন্ধুত্বকে আমি একটুও বাড়িয়ে বলছিনা। কিছু কিছু স্মৃতি মানুষ কখনোই ভোলেনা, মামুনের স্মৃতি আমার কাছে সেরকমই।
আইডিয়ালে ৩ মাস কাটালাম। এর মধ্যে আব্বার বদলী হয়ে গেলে আমরা সোবহানবাগে বাসা নিলাম। স্কুল দূরে হয় বলে ধানমন্ডি বয়েজে চলে আসলাম। সেই থেকে মামুনের সাথে আমার দেখা সাক্ষাতে ছেদ পড়ল।
এর পর নটরডেমে ২/৩ বার হয়তো দেখা হয়েছে, ততটা মনে নেই। আর আজ ২০ বছর পরে সচলায়তন আর ফেসবুকের কল্যাণে ফিরে পেলাম পুরনো মামুনকে। মাঝে মাঝে মনে হয় সত্যিই কে যেন খেলছে এই বিরাট বিশ্বকে নিয়ে!
বুলুরে আমারে নজরুল কইলি...আমাগো আসল নজরুল ভাই শুনলে তো মাইর একটাও মাটিতে পড়ব না। আজকের দিনটা অন্যরকম যাইতেছে, মাইকেল জ্যাকসনরে হারাইলাম, খারাপ মনে অফিসে ঢুকে দেখি টেবিলে পাকিস্তান থেকে এক পারচেজ অর্ডার এসে পড়ে আছে, মেজাজটা খুব খারাপ হইল, সবাইরে কইলাম পাকিস্তানের সাথে কোন ব্যবসা আমরা করিনা এইটা জানি মনে থাকে। মোটামুটি খিঁচড়ে যাওয়া মেজাজ নিয়ে সচলে ঢু্কলাম...তার পর তো তোরে পাইলাম...মনের মধ্যে কী হচ্ছে বোঝানো মুশকিল।
আমারও একই ঘটনা ঘটেছিল। যশোরে থাকতে একটা বন্ধু ছিল। ৯০ সালের পর আর দেখা হয়নি।২০০৪ সালের দিকে বাংলাক্যাফেতে চ্যাট করতে গিয়ে একটা ছেলের সাথে পরিচয় হলো। কয়েকদিন কথাবার্তা বলার পর ছেলেটি আমার ছবি দেখতে চাইলো। ছবি দেখার পর আবিষ্কার করলাম আমরা সেই ছোটবেলায় হারিয়ে যাওয়া বন্ধু। পুরা বাংলা সিনেমা আর কী!!!!!!!!
এতো সব খারাপ খবর চারদিকে, এমন একটা ভালো লাগার মুহূর্ত ম্লান করে দেয় সব।
আমিও ধানমন্ডি বয়েজের পোলা। স্কুলের সামনে একটা ফাস্টফুড রেস্তোরা ছিলো, নাম টরন্টো। টিফিন টাইমে ওখানে বসে বার্গার কোক সাঁটাতাম। ভাগ্যের কী খেলা, এখন টরন্টো শহরেই আমার বাস।
সিম্পল রেস্তোরার কথা মনে আছে প্রকৃতিপ্রেমিক'দা? নটরডেমে ইন্টারভিউ এর সময় ডি কে রায় স্যার আমাকে জিজ্ঞাস করেন, "ওহ ধানমন্ডি বয়েজ। ওখানকার ছেলেরা তো সারাদিন সিম্পল রেস্টুরেন্টে বসে আড্ডা দেয়!"
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
আছে আছে, মনে আছে। খুব একটা যাওয়া পরতো না, ঘরকুনো টাইপের ছিলাম তো...
আচ্ছা তাহলে আমি আমার একটা কাহিনী বলি ...
এই ছবিটা এইট্টি নাইনের, পুলাডা আমি ... মেয়েটার সাথে এর পরে আর কোনদিন দেখা হয়নি ... ঊনিশ বছর পর গত সামারে মেয়েটাকে খুঁজে পাই ফেইসবুকে ... ভয়ে ভয়েই নক করসিলাম চিনবে কিনা, একদিনের মাথায় দেখি বিশাল এক রিপ্লাই, সে কিছুই ভুলে নাই ...
আমি ঠিক করসি দেশে গেলে ওকে খুঁজে বের করে ঠিক এইভাবে পাশাপাশি দাঁড়ায়ে একটা ছবি তুলবো
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
সর্বনাশ! কিংকং দেখি সেইলর্স শার্ট পরা!!
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
সেইলর্স শার্ট কি জিনিস?
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
নাবিকেরা যেই শার্ট পরতো ৮০র দিকে।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
নাবিক হইলে ঠিকাসে, খালাসী হইলে চিন্তার ব্যপার ছিল
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
শ্রেনীবিভেদের কথা বল্লা মনে হয় কমরেড?
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
দারুন হবে কিং কং ভাই, ঐ ছবিটাও আমাদের দেখিও
শুভ বন্ধুত্ব... শুনেই মনটা ভালো হয়ে গেলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বন্ধুত্ব বেঁচে থাকুক
...........................
Every Picture Tells a Story
মাম্নুন ভাই আর পিপিদা'র এই শুভ পরিনয়ে---থুক্কু---পরিচয়ে--দুর্ছাই---পুনঃপরিচয়ে আমি যারপরনাই রকমের উল্লসিত----!!!
এই বিশেষ উপলক্ষে ৩১ বার শুভকামান----
ধন্যবাদ বস তোমার কামানের আওয়াজে তো কান ফেটে গেল। যাউক গিয়া আমি আসলে খুবই খুশি আজকে, পুরানা বন্ধু তার উপ্রে আবার এত জ্ঞানী-গুণী, আমারে আর পায় কে!
মনটা ভালা হয়ে গেলো
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
দারুণ ব্যাপার!
আপনাদের বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবি হোক।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমার এক পুরোনো বন্ধুকে খুজেই পাচ্ছি না। আপনি সৌভাগ্যবান!
*********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
- "আয় বাভুল, বুখে আয়...", নজু ভাই কই, আমরা সিনেমা বানামু এই কাহিনী দিয়া, লগে টুইষ্ট দিমু কিংকুর কাহিনী মেশায়া।
ঈশ! আনন্দে, দুঃখে চউক্ষে পানি আয়া পড়লো!
অখন যাইগা, খুদাপেজ!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ ধুগো আইডিয়াটা মারাত্মক। চল গিয়া নজুর হাত পায়ে ধরি। ছিনেমা বানানই লাগব!
অসাধারন!!!
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
খুব বন্ধু বন্ধু চলতাছে মুনে হয়?
কিন্তু মুনে রাইহো, বন্ধুতা এট্টা ভ্রান্ত ধারমা। হেহেহেহেহে।
দুনিয়াটা আসলেই বিচিত্র, এবং মজার !
ভয়ঙ্কর দুই বন্ধুকেই শুভকামনা। এইবার খবর আছে !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হ , দুই দোস্ত মিলে প্ল্যান করছি সবার জান ঝালা পালা করে দিব । দোয়া রাইখেন
মামুন ভাই জিন্দাবাদ, পিপিদা জিন্দাবাদ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এখন এভাবেন নয়, অন্যভাবে বলতে হবে
সাইফ ভাইয়ের চরিত্র, গুল্লির মতো পবিত্র!
প্রমান হইল দুনিয়াটা আসলেই গোল। ঘুরতে ঘুরতে দেখা হয়ে গেল। 'বন্ধু কী খবর বল'। দুই গুনী বন্ধুর মিলনে একুশবার তোপধ্বনী করা হোক।
আমিও এক বাচপানকালের বন্ধুরে ২০ বছর পর খুজে পেয়েছিলাম আজীব কায়দায়। ভীষন আনন্দময় ঘটনা।
পিপিদাকে নিয়ে তার অজান্তে একটা ব্যাপার হয়েছে আমার। ওনার সম্পর্কে আমি তেমন জানি না। ফটো নিয়েই যত কথা হয় এখানে। তবে ওনার এক ভাইয়ের সাথে আমার মোটামুটি নিয়মিত কথা হতো নেটে(এদ্দিন জানতাম না যে ভাই)। একদিন কথা বলতে সচলের পিপিদার ছবি নিয়ে কি জানি বলছিলাম। মানে বোঝাচ্ছিলাম যে ওই ফটুগ্রাফ্রার আমি পরিচিত, জানু??? ওই মিয়া আমারে কয়, হে হে .....সে তো আমার বড় ভাই!! আমি তো টাশকি মাশকি খেয়ে যাই। মার কাছে মাসীর গল্প কই!!! ফুটে গেলাম তাড়াতাড়ি।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আরে তাই নাকি? দুনিয়াটা এত্ত ছোট তাহলে?
কি তামশা! মনটা ভালো হয়ে গেল।
আমারও বস, এখন থেকে প্রতিদিন পিপিকে আমার যন্ত্রণা সইতে হচ্ছে, হবে, বেচারার জন্য মায়াই লাগছে
এইসব আছে বলেই বেঁচে থাকাটা অর্থবহ হয়ে ওঠে।
...............................
নিসর্গ
আরে জটিল ব্যাপারতো
পৃথিবীটা একটা মজার জায়গা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ঠিক বলেছিস রানা, আসলেই অদ্ভুত!!
কী বলব বুঝতে পারতেছি না। এত ভাল কোনো সংবাদ গত অনেকদিনে শুনছি নাকি মনে পড়তেছে না। পৃথিবীতে সত্যিই কতো অদ্ভুত ঘটনাই না ঘটে!
পিপি'দার নাম তাইলে 'বুলবুল'?! এই ভদ্রলোকের নাম জানার আগ্রহ যে আমার সেই কবে থেকে ছিল! একবার কোনো এক পোস্টে কী এক পাখির ছবি থেকে মন্তব্যে আসছিল যে, সেইটার মাঝে পিপিদার নামের একটা অংশ লুকায়া আছে। আমি বেশ কিছুক্ষণ চিন্তা কইরাও বের করতে পারিনি। কিংকং মনে হয় লিখছিল যে সে ধরতে পারছে। ভাবছিলাম ওরে জিগাব, যদিও পরে তা আর করা হয় নাই। কিন্তু বিষয়টা মাথায় ঘুরত। এতদিন পর পিপিদা'র নাম জানার আনন্দে আমিও বেশ আনন্দিত
আপনাদের দুইজনের বন্ধুত্ব পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত অটুট থাকুক। পৃথিবীর সবার জীবনেই অন্তত এইরকম একটা অত্যাশ্চর্য আনন্দময় ঘটনা ঘটুক।
প্রহরী, আমার নাম ফাঁস করে দেয়ার জন্য মামুনের বিচার চাইলাম আপনার কাছে। দেখি কি সাজা দেন ওকে।
আর, মামুন ভাই বিশাল ভালু কাজ করসে, আমার বহুতদিনের একটা ইচ্ছাপূরণের ব্যবস্থা করসে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইডি, এই বিষয়ক সব মন্তব্যের জবাব এখন থেকে পিপি দিবে, আমি এই লেখায় আসলেই নস্টালজিক হয়ে যাই।
আমি আরেকটা জিনিস নিয়া চিন্তায় আছি। আমরা তো পিপিদা ডাকি, আপনাকে এখন থেকে দা অংশটা বাদ দিতে হবে।
তাহলে এই পোস্টের প্রথম মন্তব্যটা হয়ে যাবে: ছবিটা পিপির দেয়া।
তারপরে হঠাৎ দেখলেন পিপিদা অনলাইনে, আপনি খুশি হয়ে মন্তব্য করবেন, ব্লগে পিপি এসেছে।
কোনো জরুরী আলোচনা চলছে আপনি, পিপিদা ও অন্য একজন সচলের সাথে। আলোচনা তুঙ্গে; কিন্তু পিপিদার আবার অন্য কাজে যেতে হবে। তিনি নেহাত ভদ্রতার খাতিরে বলতে পারছেন না, তখন আপনাকে বলতে হবে, থাক ভাই, আলোচনা বাদ দেন, পিপির টাইম নাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
-------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
বলাইদা ভালো চিন্তায় ফেলে দিলেন
পিপি তাও চলে, একবার এখানে এক মেয়ের নাম শুনছিলাম পুপু, শুনে যা বেকুব হইছিলাম! এই পুপুরে নিয়া মজার একটা ঘটনা আছে, চাইনিজদের ইংরেজী ভাষাজ্ঞান আর নাম বিভ্রাট নিয়ে সচিত্র একটা লেখা দেব ভাবছি, ওখানে বলব
আ: কি দারুণ একটা ব্যপার! "বন্ধু'রা না থাকলে পৃথিবীটা যে কিরকম বাজে জায়গা হয়ে যেত ---- সে আর বলার নয়৷ আমার জীবনের ৭৫ ভাগ বন্ধু দিয়ে ঘেরা৷ তারও আবার ৮৫ ভাগ নেটে পাওয়া৷ আপনাদেরটা খুব য়্যাপ্রিশিয়েট করলাম৷
লক্ষকোটি শুভেচ্ছা রইল দুই বন্ধুর জন্য৷
-----------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
নতুন মন্তব্য করুন