সব গাঁয়েই একটা পাগলা থাকতে হয়, পাগলা বা খাদক কিসিমের উদ্ভট কেউ না থাকলে গ্রামের ইজ্জত থাকেনা, নিস্তরঙ্গ জীবনযাত্রা আরো নিরামিশ হয়ে যায়। ধলপুর গ্রামের বিখ্যাত জগু পাগলা হঠাৎ করে একদিন বিনা মেঘে বজ্রপাতে মারা গেল। পার্ট টাইম পাগল বেচারা ছিল ধান ক্ষেতে, গ্রামের আরও কিছু কিষানের সাথে মিলে ধান কাটছিল, হঠাৎ কাচির ভুল পোচে তার ডান হাতের বুড়া আঙ্গুলের অর্ধেক নাই হয়ে গেল, জগু পাগলা ডান হাতের বদলে বাম হাত চেপে ধরে ‘ আল্লারে, খাইছে রে, গেছি রে’ ইত্যাদির সাথে সাথে বিজাতিয় কিছু আওয়াজে লাফাতে লাফাতে ক্ষেত থেকে বের হয়ে আসল। তা দেখে কিষানেরা সব হেসে কুটিকুটি, কেউ গিয়ে জগুকে ধরার আগেই আকাশ ধাধানো থান্ডার নাজেল হয়ে পাগলাকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিল। তা দেখে লোকজন হাসতে হাসতে মাটিতে গড়িয়ে পড়ল, চ্যাংড়া মতো দুই একজন মাটিতে শুয়েও হাত-পা ছুড়ে হিক্কা তুলে হাসতে লাগল।
সারা জীবন মানুষকে আনন্দ দিয়ে মউতের সময়ও তার ব্যতিক্রম না করায় গ্রামের লোকজন পরম ভালোবাসায়, রীতিমতো বীরের মর্যাদায় তার দাফন দিল। জগুর আকস্মিক অন্তর্ধানের পর প্রথম ধাক্কাটা অনুভব করল গ্রামের আন্ডা বাচ্চারা, এতদিন তারা দূর থেকে জগুকে ঢিল ছুড়ে, বা ঘুমন্ত পাগলাকে লাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে বা কখনো কখনো তাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে পুকুর পাড়ে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দিয়ে যে বিমলানন্দ উপভোগ করত তার আর কোন উপায় রইলোনা। মনমরা পাগলপিপাসু ছেলেপেলেরা কিছুটা ক্ষেপাটে আব্দুর রব পাহলোয়ানকে পাগলের বদলি হিসাবে বসাতে চাইল, কিন্তু পাহলোয়ানের ধৈর্য কম, সে গোটা দুয়েক ঢিল হজম করার পরেই রামদা নিয়ে বের হয়ে সবাইকে তুমুল ধাওয়া করল, জগু এতটা মারদাঙ্গা কখনই ছিল না। ধাওয়া খেয়ে পাটোয়ারীদের বড় ছেলে রফিক কাজীদের চুলায় মধ্যে পড়ে ডান পায়ের গোড়ালী মচকে ফেলল, দুইজন পালানোর পথ না পেয়ে জগু পাগলার স্মৃতি বিজড়িত পুকুরে লাফিয়ে পড়ল, আব্দুর রবও টারজানের স্টাইলে পুকুরে ডাইভ দিয়ে সদ্য কৈশোরে পা দেয়া মনা আর আলালকে খায়েশ মিটিয়ে পানিতে চুবাল। খেল ওখানেই খতম। বেঁচে যাওয়া বাকী ছেলেপেলে কতক্ষন পাহলোয়ানের গুষ্ঠি উদ্ধার করে ভগ্ন হৃদয়ে খালের পাড়ে বসে রইল।
খোদার দিলে দয়া নাই, কথাটা ভুল। দিন দুয়েক পরেই দেখা গেল কটকটে হলুদ পাঞ্জাবী পড়া , বয়সের আন্দাজ করে যায়না এমন এক লোক এসে হাজির। গ্রামের লোক জনের হাজার প্রশ্নের জবাবেও সে মুখ খুললনা, ঝিম মেরে বড় বট গাছটার নিচে বসে রইল, কেউ একজন কিছু চিড়া-মুড়ি, বাতাসা-পানি ইত্যাদি দিয়ে গেল, কিন্তু বেচারা কিছুই মুখে তোলে না, এমন কি দুঃসাহসী লাল্টু এসে তার পাঞ্জাবী ধরে টান দেয়াতেও গা করলনা। তারপর সবার সামনেই মাটিতে শুয়ে পড়ে অদ্ভুত বাকা ত্যাড়া ভঙ্গীতে ঘুমিয়ে পড়ল। বয়স্করা যার যার কাজ কামে চলে গেলেন, বাচ্চারা আশায় বুক বেধে হইলদা মিয়ার পাগলত্ব পরীক্ষায় নামল, আলাল দিন দুয়েক আগে চুবানি খেলেও তার চুলকানি কমেনি , সে বট গাছে উঠে ছ্যাড় ছ্যাড় করে মুতে দিল, লোকটির ঘুম তাতেও ভাঙলোনা। রফিক খোড়াতে খোড়াতে কোত্থেকে যেন একটা কঞ্চি নিয়ে এসে লোকটাকে ভীষণ গুতালো, তাতেও কোন কাজ হলোনা। ছেলেপেলে লোকটার পাগলত্ব সম্পর্কে নিঃসন্দেহ না হয়েও সন্ধ্যে নেমে আসায় জ্বীন-ভূতের ভয়ে বাড়ি যেতে বাধ্য হলো।
পরদিন সকালে বিদ্যুতের গতিতে এক গুজব ছড়িয়ে পড়ল, হলদে মিয়া সাদাসিধা আধা পাগল না, রীতিমত টাইটেল পাশ করা বদ্ধ পাগল। গুজবে কান দেয়ার মানুষ গ্রামের ঝি-বউ বা আন্ডা বাচ্চারা না, তারা দল বেধে রটনার বাস্তবতা মেপে নিতে বট গাছের নিচে হাজির হল। হলদে মিয়া তখন আকাশের দিকে হাত-পা ছুড়ে অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গীতে ব্যস্ত, এই মনে হচ্ছে সে কিছু টাইপ করছে আবার পরক্ষনেই মনে হয় সে বুঝি পিয়ানো বাজাচ্ছে। কিন্তু যাই করছে তাতে তার মনোযোগের কোন কমতি নাই, বৃষ্টির মতো ছোড়া ঢিল বা উড়ে আসা বাক্যবাণ কোন কিছুই তার দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হলোনা। উদ্ভট সব ক্যারিকেচার শেষে কারো দিকে ভ্রুক্ষেপ না করে সে আবার শুয়ে পড়ল, কিন্তু ঘুমাতে না, মনে হলো কান পেতে সে মাটির হৃদকম্পন শোনার চেষ্টা করছে। তারপর হঠাৎ করে লাফ দিয়ে উঠে বাঁদরের মতো দক্ষতায় বটগাছের একেবারে মগডালে চড়ে বসল। ওখানে উঠেও চলতে লাগল তার অদ্ভুতুড়ে অঙ্গভঙ্গী। এবার সবাই নিশ্চিত হয়ে গেল যে ব্যাটা আসলেই বদ্ধ পাগল।
কিন্ত নামহীন পাগল হলে তো খেলা জমেনা, পাগলা নিজে যেহেতু কোন কথা বলেনা তাই গ্রামের ছেলেপেলেরা নাতিদীর্ঘ আলোচনা সেরে নিজেরাই তাকে একটা নাম দিয়ে দিল। তাদের মধ্যে ক্লাস এইটে পড়া আলতাফ হুমা সাহেবের লেখার খুব ভক্ত, সে জোর দাবী করল যে হলুদ পাঞ্জাবী পড়া পাগলের নাম নিখিল বাংলা পাগল সমিতির আজীবন সভাপতি হুমা সাহেবের ফতোয়া অনুযায়ী মুহি রাখতেই হবে। রফিকের দাবী ছিল নাম হবে মতি পাগলা, কিন্তু মারদাঙ্গা আলতাফ যখন তাকে ‘চাপা মুহি থাবড়া’ দেবার হুমকি দিল , তখন যে বাধ্য হয়ে মুহি নামই মেনে নিল। সেই থেকে মুহি পাগলা ঐ গ্রামেই আছে। তাকে কেউ কথা বলতে বা কিছু খেতে কখনও দেখেনি, প্রায়ই সে দুইতিন দিনের জন্য কোথায় যেন উধাও হয়ে যায়। খুবই রহস্যময়। নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো, আর নিয়মিত হাত-পা ছুড়ে, বট গাছে ঝোলাঝুলি করে সবাইকে আনন্দ দিতে থাকায় সবাই তাকেই গ্রাম-পাগলার মসনদে স্থায়ীভাবে বসিয়ে দিল।
আজ আকাশে পূর্ণ চন্দ্র। চাঁদের আলোয় সব মাতোয়ারা। এর মধ্যে দেখা গেল মুহি পাগলা বড় একটা বাশের কঞ্চি হাতে বটগাছের মগডালে উঠে আকাশ মুহি কেবল গুতিয়েই যাচ্ছে। লোকজন প্রথমবারের মতো প্রাণখুলে পাগলার কীর্তিতে হাসল, তাদের ধারণা মুহি বাশ দিয়ে চাঁদ মামাকে ছুয়ে দিতে চেষ্টা করছে। এক সময় আকাশ কালো করে মেঘ এসে সব অন্ধকার করে দেয়, চাঁদ ঢাকা পড়ে, লোকজন ঝড়-বৃষ্টির ভয়ে যার যার বাড়ীতে চলে যায়। মুহি গাছ থেকে নামে। এই প্রথম বারের মতো তার চেহারায় দুশ্চিন্তার ছাপ দেখা যায়। সে চারপাশে তাকিয়ে বটগাছের পেছনদিকের ছোট্ট ঘরটিতে( ছাপড়া মতন, গ্রামবাসী ভালোবেসে তাকে বানিয়ে দিয়েছে) ঢুকে গেল। ঘরে কোন আসবাব নেই, শুধু মাটিতে একটা পাটি পাতা। পাটিটা সরিয়ে মাটির মেঝের এক পাশে চাপ দিতেই চিচিং ফাক হয় মেঝে দুই ভাগ হয়ে গেল।
নিচে অত্যাধুনিক একটা লিফট। মুহি লাফ দিয়ে মাটির নিচে লুকানো লিফটের মেঝেতে নামে। উপরে মাটির মেঝে আবার মিলে যায়। ঘড়ঘড় শব্দ করে লিফট নামতে শুরু করে । আগে কোনদিন কোন যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা যায়নি। কিন্তু আজ কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতেই মুহি বুঝতে পারে যে অবস্থা গুরুতর। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ভুগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেয়ারই নিয়ম। দেড় সেকেন্ডের যায়গায় পুরো আড়াই সেকেন্ড সময় নিয়ে লিফট সাতশ নব্বই মিটার নিচে আশ্রয়কেন্দ্রে এসে থামল। এবার আরেক ঝামেলা, দরজা খুলছেনা, একটু খোলে, একটু বন্ধ হয় এই অবস্থা। এর মধ্যে আবার তার দেখভাল করার রবোট রহিমার মা ( কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী সবার নামকরন পোস্টিং স্টেশনের লোকাল নাম অনুযায়ী হয়) বাইরে থেকে একটানা বলে চলেছে – ‘গেট আউট অভ দ্য লিফট ...গেট আউট অভ দ্য লিফট...গেট আউট অভ দ্যা লিফট’।
হাঁচড়ে পাঁচড়ে লিফট হতে বের হতেই রহিমার মা মুহিকে একটা ওভার প্রটেক্টিভ সাইবার রোবে জড়িয়ে ভেতরে নিয়ে গেল। ভেতরে দিগন্ত বিস্তৃত খোলা মাঠ, কোন যন্ত্রপাতি নাই, আসলে আছে কিন্তু আমাদের চর্মচোখে দেখা যাচ্ছেনা। রহিমার মা মুহিকে এক কোনায় চলে গিয়ে একটা ডিম্বাকৃতি চেম্বারের ঢাকনা খুলল। খুলে ভিতরে মুহিকে শুইয়ে দিয়ে তার গায়ে নানা ধরনের টিউব লাগাতে শুরু করে। পৃথিবীতে স্থায়ী রেসিডেন্ট হিসেবে থাকার কারণে তাকে মানবদেহ দিয়ে পাঠানো হয়েছে। রহিমার মা গুনগুনিয়ে ‘মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি, বানাইয়াছেন কোন মিস্তুরী’ গাইতে গাইতে অচেতন মুহির গায়ে বিচিত্র রঙের সব ফাইবারের টিউব সংযোজন করে। সে প্রোগ্রাম করা উচ্চ বর্ণের মহাজাগতিক ঝি , তাকে কারো কিছু বলে দিতে হয়না। একেকটা টিউবের একেকটা কাজ। কোনটা মুহির শরীর থেকে বর্জ নিস্কাশন করবে, কোনটা বিশ্রামের চাহিদার পরিমাণ মেপে প্রয়োজনীর সময়ের জন্য শান্তিময় ঘুম নিশ্চিত করবে, বাকীগুলো গাতরিক আর সব চাহিদা মেটাবে বা প্রয়োজনে মেরামতের কাজ করবে। মুহির একান্ত খায়েশ অনুযায়ী তার বিনোদনের জন্য সুন্দরী বালিকাদের যত্ন করে কামড়ানোর অনুভূতি সিমুলেশন করা আছে, নানান জাতের নানান সুন্দরী, এই মুহূর্তে মুহি নাক বোচা এক জাপানী মেয়েকে আলতো করে কামড়ে ধরে মিটি মিটি হাসছে, এর পর আরো অনেক খেলা আছে, সব জেনে কাম নাই।
এই সিমুলেশনটা দিয়ে মুহিকে শান্ত করে রহিমার মা সবচে বড় টিউবটা তার মাথায় লাগিয়ে দেয়, এটা হলো ড্রিম সাকশন টিউব। এটা দিয়ে মুহির সব স্বপ্ন গুলোকে নিংড়ে নিয়ে তাদের মূল আবাস, পৃথিবীর প্যারালাল ইউনিভার্স ক্রাকেন নক্ষত্রপুঞ্জে পাঠানো হবে। তাদের পুরো অস্তিত্বই স্বপ্ন নির্ভর। তাদের কোন আকার বা আকৃতি নেই, ডাইমেনশন বলেও কিছু তারা জানেনা, বাঁচা বা মরার প্রশ্নও নেই, তারা স্বপ্ন নিয়েই বাঁচে, এবং স্বপ্নই তাদের একমাত্র শক্তির উৎস। তারে চাইলেই পুরো সৃষ্টিজগতকে উলটে পালটে দিতে পারে, কিন্তু স্বপ্ন নিয়েই তারা সুখে আছে, মানে এতদিন ছিল। রহিমার মা ড্রিম সাকশন টিউবের সাথে একটি ছাকনী যোগ করে দেয়, ইদানীং মুহি প্রায়ই তার কল্পনাগুলোকে স্বপ্নের সাথে মিলিয়ে ফেলছে। গত মাসে রঙচঙে একটি কল্পনাকে স্বপ্ন হিসাবে আপলোড করে তো পুরা কেলেংকারী, রহিমার মা’র চাকরি যায় যায় অবস্থা।
এভাবেই বিলিওন বিলিওন বছর ধরে ক্রাকেন স্বপ্ন জগত নির্ঝঞ্ঝাটে চলছিল। কিন্তু খুব বেশিদিন আগের কথা নয় যখন প্রথম বারের মতো তারা তাদের মহাকাশে ছোট একটি বুদবুদ ফুটে উঠতে দেখে। তার পর একে একে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি বিচিত্র রঙের বুদ বুদে তাদের মহাকাশ ছেয়ে যায়। তাদের মধ্যে অনেক গুলো নিজে থেকেই কিছুকাল পর মিলিয়ে যায়। কিন্তু বেশ কিছু টিকে থাকে। শুধু টিকেই থাকেনা ওগুলো গলগন্ডের মতো ধীরে ধীরে আকারে বাড়তে থাকে। বাড়তে বাড়তে একেকটা এত বড় হয়ে যে তাদের অস্তিত্বের সাথে ধাক্কা লাগার উপক্রম হয়। স্বপ্নে ব্যাঘাত ঘটায় তারা এই বুদ বুদ গুলোকে উড়িয়ে দিল। কিন্তু পরক্ষনের নতুন নতুন বুদ বুদে আকাশ ভরে গেল, এভাবে আর কত? তাই তারা সিদ্ধান্ত নিল এর উৎস খুঁজে বের করে অংকুরেই বিনষ্ট করে দিতে হবে।
জানা গেল অনেক আলোক বর্ষ দূরের সৌরজগতের পৃথিবী নামের গ্রহই এইসব যন্ত্রণার পালের গোদা। তাদের মহাকাশ ফুটো হয় সব জঞ্জালে বিশ্ব চরাচর ছেয়ে যাচ্ছে। আরো জানা গেল যে পৃথিবী থেকে উৎসারিত নানা ধরনের শব্দই এই সব বুদবুদের কারণ। এত প্রথম বারের মতো স্বপ্নের পাশাপাশি তাদের মধ্যে কৌতুহল জেগে ওঠে। পুরো ব্যাপারটা ভালো করে বুঝতে তারা পৃথিবীতে একটা সাময়িক আস্তানা গাড়তে সিদ্ধান্ত নেয়। তার অংশ হিসেবেই মুহিকে মানব দেহদান করে সেখানে পাঠানো হয়। মুহি এখানে আসার পর থেকে প্রতিদিন নানান ধরনের শব্দ রেকর্ড করে ক্রাকেনে পাঠাতে থাকে, পাশাপাশি নিজেরাও মাটির নিচের আশ্রয়কেন্দ্রে এগুলো বিশ্লেষন করে। পুরো আকাশটা জুড়েই তার অদৃশ্য তথ্য প্রেরন মডিউল , বিচিত্র অঙ্গভঙ্গীতে প্রতিদিন সে সেটা অপারেট করে।
আজ ক্রাকেন স্বপ্ন জগত বিরাট এক ধাক্কা খেয়েছে, বুদবুদের আকার এবং শক্তি বেড়েই চলেছে। তাই মুহির সাথে মূল কেন্দ্রের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন।
এই সমস্যার বিহিত মুহিকেই করতে হবে। পুরো ক্রাকেন তার ঘুম থেকে জাগার অপেক্ষায় আছে।
(চলবে)
কৃতজ্ঞতা ঃ সাইফ তাহসিন ( গল্পের নামকরন এবং লেখার দাবীতে আমার প্রাণ ওষ্ঠাগত করার অপরাধে)
মন্তব্য
বাহ বস! দারুন জমিয়ে দিয়েছ।
রহিমা'র মা-এর ব্যাপারটা, স্বীকার করতেই হবে, অনেকখন হাসিয়েছে।
পরবর্ত্তী পর্বের অপেক্ষায়---
আসলে এইটা একটা রম্য রচনা, বিজ্ঞান কল্প কাহিনী ট্যাগ টাই একটা বিরাট তামাশা
পরের পর্ব জলদি ছাড় মিয়া----
সবাই 'চলবে' 'চলবে' করলে আর চলবে না---দিনে দিনে পর্ব আসা চাই
শুভেচ্ছা রইল বস।
চ্রম হয়েছে মামুন ভাই
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ধন্যবাদ মানিক ভাই
ভালোছৈ।
তয় পাগলার মরার সিনডা আজগুবি নাগল। একই নগে আঙ্গুল কাটা আর বজ্রপাতের কাকতাল শাক দিয়া উলের পুতা ঢাকার মতোই অবৈজ্ঞানিক মনে হৈছে।
আরে ভুদাই মামু, এইডা তো এলিয়েনরা পিলান কইরাই করছে, জগুরে লেজার রশ্মি দিয়া মারছে মুহি পাগ্লারে ওইখানে জায়গা দিবার লাইগা। যাও মামু আরেক কাপ চা খাউ
আগে সেন কইবা রাবণভুদাই ভাইগন্যা আমার। তুমার পিলান মামারে না জানিয়া মাল ঝাড়ছ ক্যা? মামা মাইনষের সামনে ভুদাই হইলে ভাইগনার ইজ্জত থাহে?
মাফ হইয়া গেছে মামু, এইবারের লাহান ভুল কইরা দেউ
বেশ মজা পেলাম। পরের পর্বের অপেক্ষায় তাকলাম
আশরাফুল আলম রাসেল
ধন্যবাদ রাসেল। পরের পর্ব আসবে
রহিমার মা নামকরণটা মজা লাগছে। গল্পতো মনে হয় শুরু হলো, পরেরটা পড়ি, তারপর কমেন্ট দিবো।
হ যদি কাইল সকাল পর্যন্ত জানে বেঁচে থাকি তাইলে পরের পর্ব লিখব
রহিমার মা...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আরে কী যন্ত্রনা, এত্ত ভালু ভালু জিনিষ লেখলাম, হিট হইল রহিমার মা!!
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
মামুন ভাই ফাটাফাটি লেখা দিছেন, পড়ে বড়ই আনন্দ পেলাম । নামকরনগুলোর পাশাপাশি দেশীয় প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞান কল্প কাহিনী আপনার গল্পে নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে ।
পরের পর্বের অধীর অপেক্ষায় থাকলাম ।
ধন্যবাদ এমি। পরের পর্ব আসবে
ঝাতি এইসব খেলাধূলার রানিং কমেন্ট্রি চায়।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ভুতুম, মাথার উপ্রে কল্লা কয়টা আমার? তুই এইসব কামড়া কামড়ি খেলার সচিত্র বর্ণনা চাচ্ছিস পরে তো আমারে ক্রাকনে গ্রহে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় ভিক্ষা করতে হবে
নামের মাজেজাটা বুঝি নাই - হয়তো পরের পর্বে বুঝবো? শুরুটা ভালোই লাগলো। দেখি পাগ্লারে পরের পর্বে কই ন্যান।
হাহাহা পাগ্লারে আপ্নেও চিনে ফেলছেন?
শোনেন নাম দিছে আমাগো সফদার ডাক্তার সাইফ, আমারে কী বাল ছাল জানি বুঝাইল এখন আর মনেও নাই। সে নাম দিয়া ডুব দিছে, আসলেই তারে বলুম মাজেজা ব্যাখ্যা করতে:)
সবার সব জানা কি জরুরী , তাছাড়া মডারেশনে আটকায় যাবে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হাহ হাহ হাহ!
লেখা তো ভালই, কিন্তু আপনে প্যারাগ্রাফ আরেকটু ছোট কইরেন পারলে, পড়তে ব্যাপক সুবিধা হয়!
হুম, চালান তো দেখি। বুদবুদের কাহিনী হুনি!
ঠিকাছে ব্রো ।
আপনের না দেশ বিদেশের বা ব্যবসায়ের কাহিনী কওনের কথা? কন না। বা নিজের জীবনের কাহিনী কন। ওগুলি খুবই ইনস্পায়ারিং হয় তো!
নিজের কাহিনী বেশী কইতে অস্বস্তি হয় সিরাত, ভ্রমণ কাহিনী ছাড়তে পারি। ব্যবসার কথা দেশে এসে কমুনে সামনা সামনি
নাহ! আর পারা গেল না, মিয়া কালকে ঘুমায় পরলাম, সকালে ঘুমের থিকা উঠসি ৭:৩০ , কাম আসিল ৮:০০ টায়, লান্চে বাসায় আইসা দেখি সচল গরম, ২৬ খান কমেন্ট পড়ছে, লেখা পড়ার চান্স পাইলাম না এতক্ষনেও, খারান মিয়া, পইড়া আসি।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মামুন ভাই, "হাহাপগে =))" ভাইরে আপনে পারেনও, কি কল্পনাশক্তি আপনার।
রহিমার মা, ঝি
ভার্চুয়াল রিয়ালিটিতে আমরাও দেখতে চাই রঙিন স্নপ্ন
এইসব অতিরন্জিত ভূল তথ্য সরবরাহ করিবার জন্য আর সচলদের নাম নিয়া মশকরা করিবার জন্য মামুন ভাইকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যাঞ্চাই এই খানা মনে হয় আপনার শ্রেষ্ঠ লেখা গুলির একটা, তবে বায়বীয় নিস:ন্দেহে ১ নং
বস, আপনার লেখা পুরাই মামুনিয় হয়েছে, এভাবে আর ২-৩ টা লেখা দিলে মানিক ভাই আর 'মানিক' না বলে বলবে (মামুন) আর দেয়া বাদ দিয়ে নতুন ইমোটিকন আনতে হবে (মামুন)
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আরে বস, আপনার জিগরি দোস্ত লেখা একখান দিসে না, মু জা ইকবাল ও হাসতে হাসতে মারা যাইব
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এখন যতই ভালু ভালু কও কাম হইব না, কাইল আমারে গাছে উঠাইয়া দিয়া মই নিয়া ভাগল কে?
এইগুলান আবার কী শুরু করলেন ভাইজান ! বড় আচানইক্যা ব্যাপার স্যাপার ! দেখা যাক্ শেষপর্যন্ত.....
হাহ্ হাহ্ হা !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রণদা এই লেখায় আরো অনেকেই আসবে, কেউ নিরাপদ না
তবেরে!
তবেরে পাগল!
চেয়ার থেকে পড়ে গেলাম, হাসতে হাসতে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আমিও হাসতে হাসতেই লিখছি
বিজ্ঞানের ব ও বুঝিনা, বিজ্ঞানও আমারে বুঝেনা, তাই বিজ্ঞান নিয়া একটু রঙ্গ তামাশা।
আপনাকে ধন্যবাদ, কথা হবে।
গুল্লি। পরের কিস্তির অপেক্ষায় আছি।
এম্নে দেন বস, ফন্ট বড় করতাম পারি না, বড় কইরা দিবেন?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আসবে বস। আপনারে ধনে পাতা আর এক গ্লাস হোয়াইট রাশান
ড্রিম সাকশন টিউব! খাইছে!!
ইনকিলাবের অ্যাড গুলার কথা মনে পড়ে গেল
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হ, স্বপ্ন ছাড়া বাইচা কী লাভ!
বস, বিরাট বড় লেখা দেইখা প্রথমে পড়ি নাই; অহন বোঝলাম বিরাট মেশটেক করতে আসিলাম...
বহুদিন পর একটা মনে রাখার মত সাইফাই পড়ছিলাম,(রহিমার মা'র জাগাটা জোসিলা লাগলো )।
শেষের অপেক্ষায় আছি, যে আশা নিয়ে প্রথম পর্ব পড়লাম- তা প্লিস দ্বিতীয় পর্বে বজায় রাখবেন। অপেক্ষায় আইজুদ্দিন ...।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
ধন্যবাদ ভাই। আইজুদ্দিন নামটা পছন্দ হইছে দিমুনি লেখায় ঢুকাইয়া?
উচ্চবর্ণের মহাজাগতিক ঝি...
বহুদিন মনে রাখার মত একটা কথা লিখলেন, মামুন ভাই। মাথায় গেঁথে রইলো।
মুহি পাগলা পিনপিন করে "জলসা ঘর" নিয়ে গান গাইলো না?
গাইব গাইব, খেলা তো মাত্র শুরু। দেখনা কী হয়
নিচে আগে দেখে নিলাম 'চলবে' আছে কি না। আছে দেখে, পড়লাম না। শেষ করেন, একবারে পড়ব। 'রানী'-র কেস যাতে না হয় আর, সেইজন্য
হাহা, রানী আমি তোমার জন্য হলেও শেষ করব। আসলে লিখতে গেলেই খারাপ লাগে,দেখি ঐটা ঝেড়ে ফেলে তাড়াতাড়ি শেষ করা যায় কিনা। তবে এই গল্পটা শেষ হবে, গ্যারান্টি দিলাম
ঠিকাছে
শালা! সায়েন্স ফিকশনের নামে ফটকামি কর, না?
কই ভিনগ্রহের রহস্য রোমাঞ্চ পইড়া গায়ে কাঁটা দিব, তা না, হাসতে হাসতে গড়াগড়ি...
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
এখনো পর্যন্ত আর পরের পর্ব আসলো না! লেখককে ধরতে হবে? নাকি তাঁকে গুঁতা প্রদানকারী সাইফ ভাইকে?
হাহাহাহাহাহা! মহাজাগতিক ঝি... হাহাহাহাহাহাহা... ভালভাবে একটু হেসে নেই আগে... তারপরে পরেরটার উপরে ঝাপিয়ে পড়লাম বলে!
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নতুন মন্তব্য করুন