ষোড়শ শতাব্দীতে কাম-কলা এবং নন্দনতত্ত্বের পীঠস্থান প্যারিসে একটা জনপ্রিয় বিনোদন ছিল 'বেড়াল পোড়ানো'। ঐতিহাসিক নরমান ডেভিসের তথ্য অনুযায়ী, একটা বেড়াল ছানাকে সিলিং হতে রশিতে ঝুলিয়ে, আস্তে আস্তে ঝলসে, পুড়িয়ে, কাবাব বানিয়ে পরিশেষে ভস্মীভূত করে ফেলা হতো। আর সেই দৃশ্য দেখে স্যাডিস্ট আনন্দে খিক খিক করে হাসতেন রাজা, রানি, মন্ত্রী-আমলা আর দেশের 'সুশীল' সমাজ। বেড়ালের কষ্ট যত বেশী হতো , শিল্প-সাহিত্যের সূতিকাগার ফরাসী দেশের এলিট শ্রেনীর লোকজনের আনন্দের মাত্রা পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকত।
আজকের পৃথিবীতে এ জাতীয় ধর্ষকামী ঘটনা কালেভদ্রেও ঘটতে দেখা যায়না। বিচ্ছিন্ন এই উদাহরণের মধ্য দিয়ে ইতিহাস আমাদের এটুকু অন্তত জানিয়ে যায় যে মানব জাতির মধ্যে সহিংসতার মাত্রা এখন কিছুটা হলেও ক্রমহ্রাসমান। ইরাক, আফগানিস্তান, প্যালেস্টাইনে নৃশংসতার এই যুগেও একথা বলা যায় যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে দুনিয়াতে দৃষ্টিগ্রাহ্য সহিংসতার মাত্রা এখন অনেক কমে এসেছে।
একথা বললে সম্ভবত অত্যুক্তি হবেনা যে মানবজাতি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশী সদয় এবং শান্তিপ্রিয়। আনন্দের বা বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে নিষ্ঠুরতা, কুসংস্কারের বলি হয়ে নরবলি , দাস প্রথা, ঔপনিবেশিকতা, বিনা বিচারে হত্যা বা অত্যাচার (সাধারণ শাস্তি হিসাবে), ভিন্ন মতের লোকদের ঝাড়ে বংশে নির্বংশ করা, রাজনৈতিক স্বার্থ পুরণে পাইকারী গুপ্ত হত্যা, যুদ্ধ বন্দীদের গণ ধর্ষন, নির্বিচার গণহত্যা - ইত্যাদি নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনার পরিবর্তে কদাচিত দুর্ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সোজা বাংলায় এসব অমানবিক কার্য কলাপের পরিমাণ এই যুগে অনেক অনেক কম। আর ঘটলেও তার বিপক্ষে দ্রুত জনমত তৈরী হচ্ছে, নৃশংসতা প্রতিরোধে মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন এবং ঐক্যবদ্ধ।
এবার কিছু প রিসংখ্যান জানাই আপনাদের। উনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকেও ইংল্যান্ডে প্রতি এক লাখে ২৪ জন মানুষ আততায়ীর হাতে নিহত হতেন, বর্তমানে তা নেমে এসেছে শুন্য দশমিক ছয় জনে। ১৯৫০ নাগাদ পৃথিবীতে যুদ্ধ-বিগ্রহে বছরে ৬৫০০০ মানুষ মারা যেতেন, এই শতাব্দীতে যা নেমে এসেছে বছরে ২০০০ জনে। রাস্ট্র বিজ্ঞানী বারবারা হার্ফ এর মতে কোল্ড ওয়ার পরবর্তী বিশ্বে গণহত্যা শতকরা ৯০ ভাগ কমে এসেছে।
সহিংসতা, নিষ্ঠুরতার গ্রাফ সূচালো ভাবে নেমে আসার পরেও কি বলা যায় যে মানব জাতি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে? গেলে তা কী ভাবে, আর তার প্রতিকারের উপায়ই বা কী?
তথ্য সূত্রঃ A history of violence by Steven Pinker
** অতি সিরিয়াস বিষয় হইবার কারণে দ্রোহী এবং ঋণ খেলাপী ধুগোর এই পুস্টে মন্তব্য করাকে কাছা খুলিয়া নিরুৎসাহিত করা যাইতেছে।
বোনাস ম্যাটেরিয়ালঃ
চিন্তা ভাবনায় বিশেষ কোন ভাবের উদয় হইলে আমি প্রায়শই অনুভব করি যে এই বিশাল বিশ্ব চরাচর এবং উহার অধিবাসীগণকে লহিয়া কেহ একজন প্রতিনিয়ত খেলিয়া যাইতেছেন। আমার সত্ত্বা ইহাতে প্রায়শই বিদ্রোহ করিয়া বসে, খেলাধূলা কী কাহারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি ? কেহ আমাকে নিয়া খেলিলে আমিও নিজেকে লহিয়া উড়াধুরা খেলিয়া যাইব। তো কোন একদিন মেলবোর্ণের পার্ক ভিলে কর্মক্ষেত্র হইতে শ্বশুরালয়ে ফিরিবার পথে বাটির সম্মুখে এক উদ্যানে একটি অর্ধমৃত চর্মগোলককে নিরীহ ভাবে পড়িয়া থাকিতে দেখিয়া সারাদিন কর্পোরেটের অত্যাচারে বিবর্ণ আমার মধ্যে জীঘাংসা জাগিয়ে ওঠে। আমি বাটিতে প্রবেশ না করিয়া চর্মগোলের উপরেই ঝাল ঝাড়িতে ব্যস্ত হইয়া যাই। ইহা দেখিয়া আমার সুন্দরী শ্যালিকা সেই ধূসর গোধুলীতে তাহার ক্যামেরায় দৃশ্যের খন্ডাংশ আবদ্ধ করিয়া রাখে ।
আসুন আমরা এইভাবে জীবনের ঘাত প্রতিঘাত গুলোকে লহিয়া বিয়াফক খেলাধূলা করিয়া জীবনকে উপভোগ করি। পরিশেষে সেই অমর বাণী;' আইছি লেংটা যামু লেংটা মাঝখানে কী গন্ডগোল!'
মন্তব্য
সিরিকাস লেখা দিলেন মিয়াভাই, তারপরে আবার অর্ধমৃত চর্মগোলককে পাইয়া যার পর নাই ব্যাভিচার করিতেছেন, মনে তো হইল আসলেও দুনিয়া রসাতলে যাইতেছে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সিরিয়াস পুস্ট সাইফ, ফাকা মাঠ পাইয়া খালি গোল দিওনা ভাবতে বস...আমরা কোথায় যাইতেছি...?
হুমমম----
এই পাওয়া গেল একজন জ্ঞানী গুণী চিন্তাশীল মানুষ! দেখছ কেমন গম্ভীরভাবে একটা হুমম দিছে!
১৯৫০ নাগাদ পৃথিবীতে যুদ্ধ-বিগ্রহে বছরে ৬৫০০০ মানুষ মারা যেতেন, এই শতাব্দীতে যা নেমে এসেছে বছরে ২০০০ জনে।
এই পরিসংখ্যান কী ঠিক আছে ?
এক ইরাক যুদ্ধেইতো গত ছয় বছরে প্রায় ১ মিলিয়ন ইরাকি মারা গেছে। অন্যান্য যুদ্ধতো আছেই।
পৃথিবী রসাতলে না গেলেও, খুব ভাল অবস্থায় বোধ হয় নাই।
বোনাস ম্যাটেরিয়ালঃ
আপনিতো বেশ ভাল ফুটবল খেলেন!
ছায়ামূর্তি এইসব পরিসংখ্যান আমাদের সরকারীভাবে শোনানো হচ্ছে, আসল ঘটনা আমরা সবাই কম বেশি জানি,তবুও অন্যদের মতামত জানতে চাচ্ছি।
বোনাসঃ আরে ধুর এক কালে খেলতাম , এখন আর পারি না।
ল্যানসেট স্টাডি অনুযায়ী ইরাকের ১০ লাখ সবাই যুদ্ধে মরে নাই। হয়তো ২০%, খুব বেশি হইলে, সরাসরি যুদ্ধে মরছে। বাকিরা অন্যান্য নানাবিধ কারণে, কিছু সরাসরি যুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত, কিছু না।
সে দিক দিয়ে হিসাব ঠিকই আছে!
- ছায়ামূর্তি বস, বাংলায় 'গড়' বলে একটা শব্দ আছে, ঐটার ব্যবহার করা হইছে মনেহয় এইখানে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বস, "গড়" বলে যে একটা শব্দ আছে, মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু একটা যুদ্ধেই যদি ৬ বছরে ১ মিলিয়ন (১000000) লোক মারা যায়, কোন গড় হিসাবে বছরে ২০০০ জন বলা যায় ?
- ঐটা তেলেসমাতি (মানে, যাহা তেলে হয় সমাতি)। তেলেসমাতি হিসাব গণিতে ধরা হয় না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ, দুইজনের কথাই সত্য। এই সব তত্ত্ব তথ্য উপাত্ত আমাদের অফিসিয়ালি জানানো হয়। কিন্তু হাড়ির খবর কি আর আমরা রাখিনা? ধন্যবাদ দুই জনকেই---না ধুগোকে ধনেপাতা দিয়ে খাটো করা যাবেনা, হাজার হলেও সে আমার হবু ভাউড়া ভাই, তার জন্য রইল এক হালি দেশি কাচকলা
বস আমারে আমারে ধন্যবাদ দিয়া খাটো কইরা ফালাইলেন।
আপনার দিলে দয়া নাইগো।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
বিশ্ব সুন্দরীদের স্টাইলে "ওম শান্তি শান্তি" টাইপ লেখাটা অবস্য ওকে - কিন্ত আমার দুর্বল বাংলার কারণে "অর্ধমৃত চর্মগোলক" জিনিসটা কি বুঝতে পারি নাই। ভিডিও দেখিয়া উপলব্ধি হইলো যে এর মানে হইলো "বল" (বাই দা ওয়ে - অর্ধমৃত কেন? বলে পাম কম ছিলো নাকি?)। এই দেখিয়া আমার মাথায় একখানা বুদ্ধি চাপিল - সচলায়াতনে গল্প, কবিতা, চাপাবাজি, আতলামি, ছবি ইত্যাদি বিভিন্ন সাবগ্রুপ আছে - কিন্তু আমার মতোন মদন পাঠকের জন্য একটা ভিডিও সেকসন থাকলে মন্দ হয়না - নাকি অলরেডি আছে?
----
প্রতিবার কমেন্ট করে একটা ঝারি খাই, ডিসক্লেইমার দিয়েও লাভ হয়না: ডেলিকেট বললেও দোষ, অর্বাচীন বললেও দোষঃ সচল বললে লোকজন তেড়ে আসে - অচল বললে তো খেপে যায় - আজকের ঝারি কি হবে কে জানে! আগেই বলে রাখি ভুল জায়গায় বাম হাত দেয়া আমার প্রাচীন বদভ্যাস
ঔয়াইল্ড স্কোপ ইজ আ ভেরি স্মার্ট কিড। না কইতেই ধরে ফেলছে, হ , বলে বাতাস আছিল কম। আপ্নারে আমার ভাল্লাগে, আপনারে আবার কেউ ঝাড়ি দিলে আমারে কইবেন, আমি সেইটা মেম্বর সাবে কানে তুলুম।
ভিডিও সেকশন বোধ হয় অফিসিয়ালি নাই, আইডিয়াটা মন্দ না।
ভাল অবসারভেসন মামুন ভাই। তবে একটা কথা, আমার মনে হয় মানুষ সর্বকালেই শান্তিপ্রিয়। কিন্তু সমাজে মানুষের স্বভাবের সাথে নর্ম বা কানুনের আস্তে আস্তে বেশি সঙ্গতিপূর্ণ হচ্ছে বলে এখন এই শান্তি ব্যপারটা অনেক সহজ হয়ে যাচ্ছে। ব্যপারটা এমন যে এখন বিড়াল পোড়ানোর সেডিস্টেরা বিড়াল পোড়ালে লোকচোখের আড়ালে পোড়াবে। কারনে সামনে পোড়ালে তো আপত্তি আসবে। বাঁধা আসবে তার মত অন্য কেউই হয়ত চিৎকার দিয়ে উঠবে। আর তথ্যের প্রবাহও এক্ষেত্রে অনেক ভুমিকা রাখে।
আরেকটা দিক। এখন এক সুইচ টিপে বা স্বয়ংক্রিয় পুদ্ধতিতে হাজার হাজার মানুষ মেরে ফেলা যায় আগে সেটা করা যেত না। কাজেই যা করা হত তা তিলে তিলে একটু একটু করে মারা হত। মনে হতো মারা হচ্ছে। এই মেকানাইজড ক্রুয়েল্টির কারনেই আইন্সটাইন সাহেব বলেছিলেন,
"চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধের হাতিয়ার হবে লাঠি আর পাথর।"
তারপরও এই আশাবাদি পোস্টের জন্য অভিনন্দন।
--গুরু আইনস্টাইন বাস্তবিক অর্থেই ভিশনারী ছিলেন। আসলে ঠিক এভাবেই ঘটবে বলে আমি মনে করি। পড়ার জন্য ধন্যবাদ রিয়াজ ভাই, দুর্দান্ত হাতে কিছু লিখে নামান না...আমরা কিছু ভাবনার খোরাক পাই
তৃতীয়টাকে ঘটতে দিয়েন না, তার আগেই জলে সব ডুবাইয়া দ্যান।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কী!!! দ্রোহী-ধুগো পরিষদের নামে নিন্দা? খাড়ান ধুগো আইয়া লউক। এই পোস্টেরে রসাতলে লইয়া যাইবার ব্যবস্থা করতেছি।
অর্ধমৃত চর্মগোলকের উপর আপনার দখল দেখিয়া প্রীত হইলাম।
হাহা মেম্বর সাব ঐটাতো দূর্বল পায়ের ক্যারিকেচার, পা ভালো হোক তারপর দেখবেন।
আনেন ধুগোরে, আমি এখন যামু এক ইসরায়েলি বন্ধুর এক মাস বয়সী পোলার নুনুকাটা অনুষ্ঠানে ( পার্ট টাইম হাজাম কিনা )। আমি যদি জওয়াব দিবার নাও পারি বুঝবেন যে আছি আশে পাশে, রাইতে আইসা বাইন্ধা পিটামু আপ্নেগো দুইজনরেই (পোয়েটিক পিডাপিডি)
- দ্রোহী ধুগো পরিষদের নিন্দা তো করবোই পাবলিক। হেন কোন সিরিয়াস পোস্ট নাই যেইখানে এই মেম্বর গিয়া আস্তে কইরা নিজের কনিষ্ঠঅঙ্গুলিটা প্রবিষ্ট করে নাই। আর এই ব্যাটা গম খায় তো খায় পুলিশ কেসে এই অধম ধুগোরেও ফাসাইয়া দেয়। মানলাম, মাননীয় ধুগোর নাহয় শ্যালিকা জাতির প্রতি এই সামান্য ইট্টু দুব্বলতা আছে, তাই বইলা একেবারে সারেআম, সবকে সাম তার জীর্ণ নেংটিটা ধরে টান দিয়ে হবে?
বিচার হোক। লুকাল গভর্ণমেন্টের বিচার হোক। শরীয়তের বিচার। বাদ আছর, মসজিদের কোণায়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাহাহা, লুকাল গভমেন্টের বিচার আমিও চাই। কিন্তু মেম্বরতো ডরে তার চতুর্থ বিবির পিছনে গিয়া পলাইছে, তারে ধইরা আনব কে?
গুলি কামান বা আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারা কমে গেছে, কিন্তু ক্ষুধা-এইডস এ মানুষ মরা তো বেড়েই চলেছে। জেনেটিক বিকৃত ভুট্টা গম সয়াবিন খাবার ফলাফল কি হচ্ছে, তা তো এখনো কেউ জানেনা।
হ বস। কথা সত্য।
মামুন ভাই, এই ব্যাপারে আমি একটু পেসিমিস্টিক। আগে সহিংসতা-নিষ্ঠুরতা ছিলো ব্যক্তিগত পর্যায়ে জিনিষ। এমনকী যুদ্ধক্ষেত্রে কাউরে মারলেও মারতে হইতো সামনা-সামনি, নিজের জানটাকে ইকুয়ালি বিপদের মধ্যে রাইখা। এখন সেই জায়গায় ভায়োলেন্স হয়ে গেছে অনেকটাই নৈর্ব্যক্তিক, মানুষ স্টেটমেন্ট দেয় আজকাল খুন-খারাপি-রাজাহানি করে। আমার গোত্রের উপর অত্যাচার হইতাছে, দাও একটা স্কুল কি যাত্রীবাহী বাস উড়ায়ে। ঢাকা শহরে হাসিনা-খালেদা ঝগড়া করছে, দাও দিনাজপুরে রিকশাওলার রিকশা পুড়ায়ে। জেরিকোর দেয়ালের একপাশে বইসা সুইচ টিপতাছি, আরেকপাশের শিশুরা খেলার মাঠে মিসাইল খায়া মরতাছে। হিউম্যান লাইফ যতদিন যাইতাছে আরো সস্তাই হইতাছে।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ভুতুমরে তাইলে তো দুনিয়া গোল্লায়ই যাইতেছে। আফসোস।
মাত্র ২০ সেকেন্ড?
যা ব্যাটা সিরিয়াস জিনিষ নিয়ে চিন্তা ভাবনা কর, ২০ সেকেন্ডের ভিডিও তো বোনাস ম্যাটেরিয়াল। আমি ভাবছি এখন প্রতিটা লেখায় বোনাস কিছু যোগ করে দেব, যাতে লোকজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়
দোস্ত, তুমি যে পিথিমি নিয়ে অনেক পজিটিভ চিন্তাভাবনা করো তা বুঝলাম। কিন্তু আমি আসলে খুব আশাবাদি হইতে পারিনা। ন্যায় বিচার যদি প্রতিষ্ঠা না হয়, তাহলে কোনদিনই ভালো কিছু হতে পারেনা। এই ধরো মারিকা আইরান বা আইরাক বা উ.কোরিয়া নিয়ে যতটা লাফায়, মিয়ানমার নিয়ে তার এককোনাও কি মাথা ব্যাথা আছে? আজ মিয়ানমার যদি দক্ষিণ মারিকায় বা মধ্যপ্রাচ্যে হইতো, তাইলে কি ঘটনাটা এরম হইতে পারতো বইলা মনে হয়?
কথা ঠিক, মারিকারে ভাইঙ্গা টুকরা টুকরা করার আগ পর্যন্ত বিশ্ব শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব বলে অনেকেই মনে করেন না। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি পৃথিবীর মানুষকে চিন্তা করতে শিখাতে পারলেই আমাদের কাজ অনেক এগিয়ে যাবে। যদিও পোস্ট মডার্ণ এই জমানায় যেখানে মানুষ সত্য মিথ্যাকে গুলিয়ে ফেলছে, সাদা কালোকেও...সেখানে মানুষকে ভাবতে বসানো ধারণার অতীত কঠিন।
ভিন্নমত।
কেন? এ নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট পরে দিবো।
'সম্পূর্ন শান্তি' এখনো আমাদের (মানবজাতির) স্বভাব অনুযায়ী মহা ইউটোপিয়ান একটা ধারনা। অন্ততপক্ষে শ'তিনেক বছর লাগবে বলেই আমার ধারনা।
দাও ভাই। এইসব টপিক তো তোমার জন্যই। আমার এত খটর মটর ভাল্লাগেনা, আমি লিখুম রহস্য-রোমাঞ্চ আর স্ত্রী-নির্যাতিত পুরুষদের করুন কাহিনী
ভিডিওটা ভালু হইছে । লেখা কিছু বুঝিনাই । মনে হয় লেখাও ভালু হইছে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ভিডিওটা থিকা লেখা বেশি ভালু হইছে। পুরা ইংরাজী সাইট ঘাঁইটা লেখা
ধন্যবাদ এনকিদু ভাই।
দুনিয়া রসাতলে না গেলেও আমি ঠিকই রসাতলে যাইতেছি, থিসিস জমা দেয়ার আছে আর এক মাস, একফোটা লিখি নাই, খালি ঘুম পায়। একসময় মনে হৈত যে এই যুগে জন্মাইয়া বেশ কাজের কাজ করছি, আগে কলেরা-ডাইরিয়া নয় প্লেগে মইরা ভূত হৈতে হৈত, এখন দেখি দুনিয়া পাল্টায় নাই, এই বছর সার্স তো ঐ বছর সোয়াইন। আগে আছিল গনোরিয়া, এখন তার বাপের বাপ এইডস। আগে মানুষ অশিক্ষিত্ আছিল কিন্তু মনে দয়ামায়া ছিল, ইশ্বরের স্টকে মনে হয় মাটি শেষ হয়া গেছে, এখন খালি পাত্থর দিয়া মানুষ বানাইতেছে।
এমনে ঝামা ঘষে দিলে হবে দাদা? আশার আলোওতো দেখাতে হবে
থিসিস জমা দিয়া ফালান। আপ্নেরে দোষ দেই না, থিসিসের নাম শুনলেই আমার ঘুম পায় আর আপনারতো জমা দিতে হবে। গুড লাক
- ঘটনা হইলো, ২০১২ সালের ২১-এ ডিসেম্বর। যা কিছু খাইতে মঞ্চায়, খাইয়া লন। যা কিছু কর্তে মঞ্চায়, কইরা লন। হেরপর আর সময় পাইবেন না। মায়াগো '২৩' প্রীতির কারণে সেইদিন-ই নাকি পৃথিবীর একটা 'ইরা' (এরা) শেষ হবে, মানে পৃথিবীর একটা মহাচক্র বদলাবে। দেখেন সেই চক্রের বক্রে পড়ে আমার, আপনের জীবনটাও কর্পূর হয়া যাইতে পারে। তাই বলি কি, আপন শালির ব্যবস্থা আগে ভাগেই করে যান। পরে, পরকালে গিয়া আমার সুবন্দোবস্ত দেইখা পস্তাইয়েন না কইলাম। দিমু না, তখন কোনো কিছুরই ভাগ দিমু না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হায় হায় সারাদিন ধুগোরে চুপ চাপ দেইখা আমি ভাব্লাম সে বুঝি আমার 'মেসেজ'টা 'ভালোমতোই' বুজছে। এখন দেখি ল্যাংটার না আছে চোরের ভয়
- মিয়া ভাই, মেসেজ ভালোমতো বুঝবো ক্যামনে? প্রাইভেট সম্পত্তিরে তো একেবারে পাবলিক প্রোপার্টি বানায়া দিলেন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ, শালী মাত্র পঁচিশে পড়ল, তার জন্য ছেলে দেখতে হবেনা? দেখি ভালো কোন পাত্র পাওয়া যায় কিনা, ধুগো তোমার সন্ধানে কেউ থাকলে জানিও
বাপে আমারে বিয়া দিবার জন্য দৌড়ানি দিতাইছে। এদিকে লীলেন্দা একটা বুদ্ধি দিল, কেন তাড়াতাড়ি বিয়া করাই ভালো। মনে মনে সব বুইজ্যা ভাবলাম, যাক বিয়া একখান এখনই করমু। কিন্তু শালার ভালো পাত্রী খুঁজিয়া পাইতেছি না। মামুন ভাই, আপনের শালি কি পাত্রী হিসেবে ভালো?!!!
তাইলে ঘটক পাঠাই, কি কন!
ফটুক আর সিভি সহ পাঠাও, আর সাথে এক হাড়ি চমচম, একটা শরীফ ছাতা ( ইস্টিল পাক্কা), কোলাপুরী চটি , আর হ্যাঁ ধুগোর জন্য এক বস্তা মুড়ি পাঠাতেও ভুলোনা যেন
মামুন ভাই, পাত্রীর ছবিখানা দেখতে মঞ্চায়।
যাইতেছে নাকি!
বুঝিনা। ঘুলা ঘুলা লাগে। যাইতে চাইলেও ঠেকাইয়া রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
বেশ ভালো লাগছে। এরকম আরো লেখা দেন!
আমার মাথায় শক্ত জিনিস ঢোকে না। তাই ভিড্যু দেইখাই খুশি। তবে মাত্র ২০ সেকেন্ড?! আরো বেশি আশা করছিলাম
হাহা আরো বেশি ব্যাপার না, বলে ঠিক মতো বাতাস থাকলে , আর বুট পড়া থাকলে সারাদিন ফুটবল আঠার মতো পায়ে আঠার মতো লেগে থাকব। এত বছর ধরে লাইত্থাই!
সেইরম সিরিকাস লিখা... বাপ্রে...
--------------------
কালো যদি মন্দ তবে
কেশ পাকিলে কান্দ কেনে?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হ, এখন ভেবে চিনতে জানাও যা জানতে চাইছি
লেখা-খেলা দুইটাই অসাধারণ!
আপ্নে তো বস চর্মগোলকের সিরিয়াস মাস্টার!
না, পারিসংখ্যানিকভাবে মোটেই পৃথিবী রসাতলে যাইতেছে না। তবে,সামগ্রিকে আমারও ঘুলা ঘুলাই লাগতেছে ভাই।
বিয়াফক ইতিবাদী দৃষ্টিভঙ্গির বিয়াফক আশাবাদী লেখা!
স্যাল্যুট!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
নতুন মন্তব্য করুন