দেশভ্রমণ আর খেলাধূলার শখ আমার ছেলেবেলা থেকে। তো এক ঠিলে দুই পাখি মারার সুযোগ এসে গেল ২০০৩ এর শুরুর দিকে। একটা কাজে সাউথ আফ্রিকা যাওয়ার কথা জানুয়ারীতে, আমি সফর পিছিয়ে দিলাম বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কথা মাথায় রেখে। যেহেতু ছবি ব্লগ তাই বেশি বিস্তারিত বিবরণে যাব না। অনেক আশা নিয়ে সাউথ আফ্রিকা যাবার আগেই দেখলাম বাংলাদেশ হেরে বসে আছে দূর্বল কানাডার কাছে। তাই ওখানে গিয়ে যখন দেখলাম বাংলাদেশ হেরেই চলেছে, মাঠে গিয়ে খেলা দেখার আগ্রহ একেবারে নষ্ট হয়ে গেলো। যাই হোক বাংলাদেশের শেষ খেলা কেনিয়ার সাথে। আমি যাব না বলে গো ধরলেও স্থানীয় কিছু বাংলাদেশীদের চাপে জোহানেসবার্গের বিখ্যাত ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে যেতে বাধ্য হলাম। কেনিয়ার ইনিংস জুড়ে ঘন ঘন উইকেট পড়তে থাকায় বাংলাদেশিদের লাফালাফিতে পুরো স্টেডিয়ামকে মিনি ঢাকা স্টেডিয়াম বলে মনে হচ্ছিল। কেনিয়া ২০০ রানের একটু বেশী করে , কিন্তু তার পরেও বাংলাদেশ জিততে পারেনি।
কিছুদিন আগে পুরানা লেখার খোজে আগের ডায়েরীগুলো হাতড়াচ্ছিলাম, হঠাৎ তাদের একটার মধ্য থেকে টুপ করে সেই খেলার টিকেটটি মাটিতে পড়ে। আমি ভুলেই গেছিলাম যে স্যুভেনির হিসাবে সেই অভিশপ্ত খেলাটির টিকেট খানা রেখে দিয়েছিলাম। তখনই একটা ভ্রমণ কাহিনী লেখার ইচ্ছা হলো, সিরাত তো অনেক দিন যাবতই বলে যাচ্ছে লিখতে।
বাংলাদেশ বনাম কেনিয়ার ক্রিকেট খেলার টিকেট
ব্যক্তিজীবনে আমি খুবই আগোছালো মানুষ। তার উপর আগে এত বেশি বেশি নানা কাজে দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়াতাম যে কবে কখন কোথায় কেন গেছি তার হদিস মনে রাখাই মুশকিল । আর আমি নিজে ছবি টবি তুলতে পারিনা, এখন পিপিকে পাওয়া গেছে, সে যদি শিখিয়ে দেয় কিছু গুপ্তবিদ্যা তাহলে হয়তো চেষ্টা করে দেখব।
সাউথ আফ্রিকা এর পরেও অনেক বার গেছি, কখনও বছরে দু'বারও। দুঃখের ব্যাপার হলো গত ছয় বছরে কম্পিউটার বদলেছি কয়েকবার। পুরানো ছবিটবি গুলো কোথায় আছে না আছে তার হদিস পেলাম না। শুধু ধূলো জমা এক ডেস্কটপে ২০০৬ সালের ট্রিপের কিছু ছবি খুঁজে পাওয়া গেল। তার মধ্য হতে কয়েকটা আপনাদের দেখাই। খুবই ইন্টারেস্টিং দেশ এই দক্ষিন আফ্রিকা, আজকে কেন জানি লম্বা কথা বলতে ইচ্ছা হচ্ছেনা, তা শুধু ছবিই দেখেন। পরে আরেকদিন গল্প গুলোও বলা যাবে-- অবশ্যই বেছে বেছে
ব্যস্ত রাস্তার ফুটপাথে গরীবের হেয়ার স্টাইলিং পার্লার
জোহানেস বার্গে আমি কখনই বেশি দিন থাকিনি। তার পরেও সাফারি, সোনা-হীরার খনি ইত্যাদি দেখা হয়েছে। কিন্তু ছবি সাথে নাই । পরের বার গেলে সব ছবি তুলে আনব, তখন দেখবেন। আমার মন পড়ে থাকে কেপ টাউনে। পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর শহর। এর চেয়ে বেশি পাগল করা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমি কেবল দেখেছিলাম লাস পালামাসে, মরক্কোর কাছাকাছি এক স্প্যানিশ দ্বীপ পুঞ্জে। সে প্রসঙ্গে আসা যাবে আরেকদিন। কেপটাউনে আমার বেশ কিছু ভালো বন্ধু-বান্ধব আছেন। জো'বার্গের কাজ শেষ করে যখন কেপটাউনে যাই তখন , তাদের একজনের বাড়ীতে গিয়ে উঠি। আমি আসব জেনে প্রায় ১২০০ কিমি দূর থেকে আমার আরেক জিগরি দোস্ত স্কট শিভারটন এসে হাজির হয়। সে আম্রিকান ছেলে, পোর্ট এলিজাবেথের এক ইউনিতে পড়ায়। সে , আমি আর বার্নি এক সাথে প্রায় সপ্তাহ খানেক ম্যারাথন আড্ডা মারলাম। গল্পের শেষ নাই। ওহ আরো ছিল আরেক বন্ধু ট্যামি, খুব সুন্দরী ব্লন্ড কিন্তু রাতে ঘুমের মধ্যে বিস্তর নাক ডাকাডাকি করে। প্রতিদিন সকালেই নাস্তার টেবিলে বার্নি তাকে এনিয়ে হেনস্থা করত। সারারাত তার কানের কাছেই স্টিম ইঞ্জিন চলত কিনা।
বন্ধু বার্নির বাড়ি, বাড়ি না রীতিমতো রিসোর্ট
বার্নি আর স্কট, আমরা যাচ্ছিলাম গ্লাস বটম বোটে নৌভ্রমণে
ওখান থেকে ঘুরে এসে পরদিন গেছিলাম কেপ অভ গুড হোপ দেখতে। ছবি খুজে পাচ্ছিনা তাই আর কথা বাড়ালাম না। খুঁজে পেলে আরেকদিন পোস্ট দিব, সাথে থাকবে টেবল মাউন্টেনের ছবিও।
উত্তমাশা অন্তরীপে যাওয়ার পথে
ফেরার পথে ক্লিফটন বিচ। খুব বেশিক্ষন ছিলাম না ওখানে। চারপাশে উদাস করা সৌন্দর্য।
ক্লিফটন বিচে ট্যামি আর আমি
এই খেলাটিতে বোলারের নাম বলতে পারার জন্য কোন পুরুস্কার নেই
কী আর কইতাম, নাবিক হইতে মঞ্চায়, এখনও
প্রতিটা ট্রিপেই অনেক গল্প জন্ম নেয়, কিন্তু আজকে ছবি দেখিয়ে ফাকিবাজি করছি, গল্প বলার মুড নাই। আরেকদিন হবে।
বোনাস ম্যাটেরিয়ালঃ
এক্কেবারে বিনা গল্পে আপনাদের ছেড়ে যেতে খারাপ লাগছে। যেই বিশ্বকাপের গল্প দিয়ে শুরু করেছিলাম সেটা দিয়েই শেষ করি। ফিরে আসার দিনে আমি একটু আগেই জোহানেসবার্গ এয়ারপোর্টে চেক ইন করেছিলাম। ফ্লাইটের আরও ঘন্টাদুয়েক বাকী , ইমিগ্রেশন শেষের পরেই লাউঞ্জ, সেখানে বসে ভেরেন্ডা ভাজছি। হঠাৎ দেখি হুড়মুড়িয়ে লাইন বেধে ঢুকল পাকিস্তান ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়েরা। বিষন্ন বদন সবার, তাদের অবস্থাও বাংলাদেশের মতোই প্রথম রাউন্ডেই বাদ। একে একে সবাই ঢুকল, গায়ে জাতীয় দলের অফিসিয়াল স্যুট । খিয়াল কইরা দেখলাম ওয়াসিম বাবাজি নাই। তখন পাকি টিমে ব্যাপক অন্তর্কোন্দল, ওয়াসিম আর ওয়াকার কেউ কারও নাম শুনতে পারেনা। যাই হোক তারা মুখ লুকিয়ে প্লেনের গেটে চলে গেল। মিনিট দশেক পরে দেখি ওয়াসিম মিয়া একলা একলা ডাইনে বায়ে তাকাইয়া ভিতরে ঢুকল। তার গায়ে সরকারী কুর্তা নাই, জিন্সের লগে পাঞ্জামী পড়া( কেমুন আবুল দেখেন), আর মাথায় বেসবল ক্যাপ। চারদিকে তাকাইয়া দেখল কেউ তারে চিনছে কী না, তার পর এক স্যুভেনির শপে ঢুকে হাবি জাবি নাড়া চাড়া শুরু করল, আর সব সাধারণ টুরিস্টের মতোই। দেইখা আমার কেন জানি কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিতে ইচ্ছা হইল। আমিও চুপে চুপে তারে পাশে দাড়াইয়া একটা আফ্রিকান গডেসের মূর্তি হাতে নিয়া মন্দিয়া দেখতে দেখতে ফট কইরা তারে জিগাইলাম, ' ওয়াসিম ভাই, আছেন কেমন?' উনি একটু চমকাইয়া গেল, কিন্তু আমি ভুদাই ফ্যানের মতো এক্সাইটমেন্ট দেখাই নাই, ছবি বা অটোগ্রাফ চাই নাই, তাতে মনে হলো সে একটু ধন্ধে পড়ে গেল, প্রতিদিন কতো লোকের সাথে তাদের পরিচয় হয়, সবার কথা তো মনে রাখা সম্ভব না। আমি তার পরিচিত একজনের মতো আলাপ সালাপ করতে লাগলাম, ডাইবিটিসের খবর জিগাইলাম। কিন্তু সেও তো ভুদাই না, পরের পনের মিনিট সে আমারে মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করল। আমরা এই দোকানে , সেই দোকানে ঘুইরা বেড়াইলাম, কেনা কাটা কিছু করলাম না, কিন্তু আমার নুন ছিটানো চলতে লাগল। একবার উঠাইলাম বিবিসিতে ওয়াকারের দেয়া ইন্টারভিঊর কথা, যেখানে সে বলছিল ওয়াসিমের মধ্যে কোন নেতৃত্বগুন নাই। আরেকবার কইলাম জাভেদ মিয়ান্দাদ কইছে পুরা পাকি টিমের উচিৎ পদত্যাগ কইরা নতুন প্লেয়ারদের সুযোগ দেয়া। সবশেষ জিগাইলাম ,' আপনে কি রিটায়ার করবেন শীঘ্রই'? আক্রম সাব একটু উদাস হয়ে কইলেন, ' জানিনা, এখনও ভাবছি।'
ওয়াসিম আকরাম ওখান থেকে লাহোর এয়ারপোর্টে নেমেই তার রিটায়ারমেন্ট ঘোষনা করেন।
মন্তব্য
উফ আপনারে হিংসা অনেক। একে তো দেশ ঘুরতাছেন, তায় আবার সুন্দরী ললনা লয়া। ধুস মিয়া ধুস। টোটাল হিংসা জানায়ে রাখলাম।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
বড় হলে তুইও ঘুরবি
আপেনেরে ঠিক চিনলাম না। দাঁড়ি-গোফ কিছুই নাই তো!
ছবির ঐ লুকটা আমি না, আমার ডামি
ওই পচা খেলার কথা মনে করায়ে দিলেন । সেদিন আম্রিকায় ঈদের দিন ছিল। আমি ঈদের নামাজে না গিয়া ক্লাস ফাঁকি দিয়া মেলা হাঙ্গামা করে এক বাসায় খেলা দেখতে গেছি। তারপর হারামীরা কানাডার সাথে ওই খেলা দেখাইল !!
ছবিতে
আর কইয়েন না তানভীর ভাই, জীবনে এমন দুঃখ খুব কমই পাইছি। আমার এলাকায় প্রচুর কানাডার লোকজন থাকে, বেশিরভাগই আমাদের বয়সী, তাদের নিয়া ঢাক ঢোল পিটাইয়া খেলা দেখতে বসছিলাম। হারামজাদারা এখনও আমারে সেই কথা মনে করাইয়া লজ্জা দেয়।
জ়টিল লাগলো বস...আকরাম এ তাইলে আপনার লাইগাই রিটায়ার করল...হাহহাআ
আরে না, সে এমনিতেই রিটায়ার করত, আমি শুধু একটু উস্কানী দিয়া দিছিলাম।
বন্ধু, গ্লাস-বটম নৌকার ছবি তোলনাই? তোমার কয়েকটা ছবি কিন্তু খুবই সুন্দর হয়েছে। তোমার বন্ধু বলে নয়, ক্রিটিক্যালি বলছি-- নাবিক হতে মঞ্চায়, আর ক্রিকেট খেলারটা। (বন্ধুরা আমার কাছ থেকে খুব কমই তেলতেলে কমেন্ট পাবে, সেটা তাদের দূর্ভাগ্য)
দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে কিম্বার্লিতে গেছিলা? নিদেনপক্ষে জুয়েলার্স থেকে দুয়েকটা ছবি? আমার ডায়মন্ডের জিনিসের শখ প্রচন্ড (হয়তো সাধ্যের অতিরিক্ত বলে)। রয়্যাল অন্টারিও যাদুঘরে (টরন্টোতে) গেলাম, কারণ সেখানে নাকি আন্ডারগ্রাউন্ডে বিশাল এক হীরার যাদুঘর আছে। খুব আশা নিয়ে গেলাম বন্ধু, মিলিওন ডলারের হীরাও দেখলাম, কিন্তু ছবি তোলা বারণ
এরা আবার বেশী ভদ্র, ক্যামেরা জমা দিতে হয়না। আমার হাতে বড় ক্যামেরা দেখে পাশে এসে দাঁড়ায়া থাকে
আমরা ভাগে ভাগে ছবি তুলছিলাম। গ্লাস বটমের দায়িত্ব ছিল স্কটের, সে ব্যাটা আজও আমারে ছবিগুলা পাঠায় নাই। দেখি তারে খোচা দিয়া কিছু ছবি আদায় করা যাঊ কিনা।
বন্ধু কিম্বার্লি গেছি, লায়ন সাফারি গেছি, অস্ট্রিচ সাফারী, তারপর খুব নাম করা জোহানেসবার্গ জু দেখতে গেছিলাম। সেইখানে বড় হিট হইল, রয়েল বেঙ্গল টাইগার। দুই পাল্লা রেলিং দিয়া বিরাট টিলার মতো জায়গা ঘেরা, তো আমি বাইরেরটায় হেলান দিয়ে ছবি উঠাইতে গেছিলাম, হঠাৎ পিছনে শুনি বিরাট আওয়াজ। তাকিয়ে দেখি দেশি বাঘ মামা ভিতরের রেলিংয়ের সাথের লোহার জালে ঝুলতেছে। আমারে ছবি উঠাতে দেখে সে বিরাট এক লাফ দিয়ে আমার ঘাড়ে পড়তে চাইছিল। লোকজন খুব হাসল কান্ড দেইখা, একজন কয় চিনল কেমনে বাঘায় যে এই লোক দেশি?
শোন চল আরেকবার যাই একসাথে সাউথ আফ্রিকা, মামা তুই সারা জীবনে যা ছবি তুলছিস, তার চেয়ে বেশি ছবি তোলার বিষয় পেয়ে যাবি।
মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা আফ্রিকায় কাটালেই ভালো হতো। দেখি, বড় হয়ে সাউথ আফ্রিকায় যেতে হবে।
আমি মাত্র ছয়/সাতটা ছবি দেখতে পারলাম, বাকিগুলা আসতেছে না। কেনু কেনু কেনু
ছবিগুলা চাইনিজ সরকারের ব্যান খাইছে মনে হয়
দেশে ফিরে আস, আমি প্রয়োজনে সব গুলো ছবি তোমারে ইমেইল করে দেব।
চাইনিজ সরকার যে কতকিছু ব্যান করে!
আজ সবগুলা ছবি দেখলাম। এত সুন্দর! এত সুন্দর! জীবনে যদি কখনো যাইতে পারতাম!
আপনারে খুব হ্যান্ডসাম লাগতেছে ছবিটাতে
'উত্তমাশা অন্তরীপ' - নামটা পড়ার সাথে-সাথেই ঝট করে বহু বছর আগে স্কুল জীবনে পড়া সমাজ বইয়ের কথা মনে পড়ে গেছিল।
নিয়মিত ছবিব্লগ দিয়েন প্লিজ। নিজে এত জায়গা ঘুরছেন, আমাদের ঘুরাতে নিয়ে যাবেন না?
চমৎকার ছবি!! ...শেষের অংশ আরো "মচৎকার" :)।
- গ্লাস বটমের ফটুক দেখতে মঞ্চায়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুরো মিয়া কেপটাউনের ধূসর গোধুলীর ছবিটা দিলাম শুধু তোমার জন্য, তাতে পেট ভরেনা?
- বড় ভাই খালি মিশটেক খানগো! বলি, নিজেই তো ধুসর গোধূলি হইয়া আছি, কেপটাউনের গোধূলিতে উৎসর্গীত হইয়া আর কী হইবো? তার চাইতে ঐ যে কি বীচে জানি একটা ফটুক আছে। সেইখান থাইকা আপনের খোমাটা সরাইয়া ফটুকটা দিবার পারলেন না?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কুনো আসুবিধা নাই ধুগো। খোমা দিয়া কী করবা, যাওগা কেপটাউন ঐ মেয়ে তোমারে কোলে নিয়া ঘুরে বেড়াবে
আহারে, দুঃস্বপ্নের বিশ্বকাপ।
মনে করাইয়া দিলেন, আবারো মনটা খারাপ হইয়া গেলো।
আপনারে হিংসা করার ভাষা খুঁইজা পাইতাছি না।
ছবিতে
তাই তো বলি কাল রাতে পেট ব্যথা করছিল কেন, চারদিকে সব হিংসুকের আনাগোনা
ভালো থাকবেন।
এই যে কোপা শামসু, কঠিন লেখা দিসেন, তারচেয়েও ফাটাফাটি ছবি, আর ওয়াসিম হাকুল্লারে বাশ দেওয়ার জন্য আপনাকে
আপনে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সফদার ডাক্তাররে তো উইক এন্ডে খুজেই পাওয়া যায়না। আছিলা কই মিয়া? আবার মামদোবাজি শুরু করছ?
সব্বনাশ! করসেন কি ????? এর উপরে আবার গ্লাসবটম?
সিরিয়াস: খুব চমৎকার! সব কিছু। লেখা ও ছবি।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অনেক ধন্যবাদ তুলিরেখা। গ্লাসবট্ম কার না ভাল্লাগে
খুব বেড়ান দেখি!
আর কই, এখনও উত্তর আমেরিকায় পা রাখা হলোনা।
নাহ্, আমারো তাড়াতাড়ি বড় হইতে হইবো....!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আপনি তো বড় হয়েই আছেন রণদা, আপনার মতো বড় হতে পারলে আমিও বর্তে যাই।
আপনার "নাবিক হইতে মঞ্চায়" ক্যাপশনের ছবিটা দেখে কিছু পুরাতন কথা মনে পড়ে গেল । জীবনে প্রথম যখন সত্যিকার অর্থে আমার ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করতে বসলাম, মানে বড় হয়ে কী হব, অনেক চিন্তা ভাবনা করে ঠিক করেছিলাম মাঝি হব । আমি মাঝি হব এই খবর বাপকে বললে পিটাবে ( আমার বাপ পিটানর ওস্তাদ ছিল ) তাই ভাবলাম মাঝিরে প্রমোশন দিয়ে জাহাজের নাবিক বানাই । কিন্তু ইঞ্জিনের জাহাজ না, পালের জাহাজ ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এনকিদু ভাই চলেন একটা জাহাজ বানাই। তারপর তাহিতি গিয়ে রুটিফল খাই, সাথে ঝলসানো ট্যারো আর ইয়াম। এবং আরো কিছু
ছবিগুলো খুব সুন্দর!!!
____________
অল্পকথা গল্পকথা
ধন্যবাদ শিমুল ভাই। আমার এই বদ অভ্যাস আর গেল না। উত্তমাশা অন্তরীপে গিয়ে দেখছিলাম বিরস বদনে সদ্য টিম থেকে বাদ পড়া ভেংক্টেশ প্রসাদ এতিমের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে, সাথে পুরানা প্লেয়ার শ্রীকান্ত। তাদের সাথেও কিছু 'আলাপ সালাপ' হইছিল
তাই নাকি?
ছাড়েন, বস্ - একটা একটা করে 'আলাপ্সালাপ'গুলা ছাড়েন। পড়তে মংচায়
____________
অল্পকথা গল্পকথা
ইয়েস, আমি বলছি দেইখাই লিখছেন। এই যে ভাইয়েরা, সব ক্রেডিট কিন্তু আমার, মামুন ভাই কিছু পারে না!!
কিন্তু বা* আমার অফিসে ফ্লিকার ব্যানড, কিছুই দ্যাখবার পারলাম না। দাঁড়ান, মোবাইল দিয়া 'সাধারণ নেটে' ঢুইকা দেখতাছি একটু পরে!
হ তুমি বারবার গুতাও বলেই লেখছি, সামনে আরও আসবে।
বলো কী! দেশে প্লাস্টকের চেয়ার তৈরীর পাশাপাশি মোবাইলে ছবিও দেখা যায়!!
দেশ তো আসলেই অনেক এগিয়ে গেছে!!
আচ্ছা এই ট্যামি আর বার্নি কি দক্ষিণ আফ্রিকান নাকি?
আহ এত কিছু থাকতে পোলার নজর গিয়া পড়ল মাইয়া দুইটার উপ্রে। অবিবাহিত ছেলেদের নিয়া এই সমস্যা। হ, দুইজনেই সাউথ আফ্রিকান, কিন্তু ট্যামির ফ্যামিলি আসছিল হল্যান্ড থেকে আর বার্নির বাপ জার্মান, মা ইন্ডিয়ান।
পাঁচ দিলাম।
লেখাটা পড়ে বাংলাদেশের খেলার প্রতি জমে থাকা রাগটা আবার ফুঁসে উঠলো। ঐদিনের পর থেকে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ অনেক কমে গেছে।
ছবি
আর আপ্নে মানুষটা বেশ মাইডিয়ার
ধন্যবাদ শাহেনশাহ। রাগ আমারো ছিল, জোহানেসবার্গে আমার পাশের হোটেলেই বাংলাদেশী প্লেয়াররা থাকত, একবারের জন্যও দেখা করতে যাই নাই। ইন্ডিয়ানদের হোটেলে গিয়া দেখছিলাম লাউঞ্জে শচীন মামা কানে হেডফোন লাগাইয়া গান শুনতেছে, আর মহারাজের রাজকীয় হাব ভাব, পেছনে গোটা বিশেক সাংবাদিক আর ভক্ত অনুরাগীদের পাত্তা না দিয়ে গট গট করে লিফটে উঠে গেল।
যামু একবার বেড়াইতে...
স্মৃতিকাতর হয়ে গেলাম লেখাটা পড়ে। এবং ছবিগুলো দেখেও।
ওয়ান্ডারার্সে বসে আমি একটা খেলা দেখেছিলাম, সাউথ আফ্রিকা আর ইংল্যান্ডের একটা ওয়ানডে ছিলো সেটা। কেভিন পিটারসেন তখন সদ্যই জন্মভূমি ছেড়ে বিলাতবাসী হয়েছে, এবং এটাই ছিলো নিজ দেশের বিপক্ষে তার প্রথম সফর। মোটামুটি ঝড় তুলে ফেললো ব্যাটিং-এ, তারপরে, সম্ভবত শতক হাঁকিয়েই মাঠ ছাড়ছিলো, আউট হবার পরে গ্যালারির সব মানুষ উলটো ঘুরে দাঁড়িয়ে দুয়ো দিচ্ছিলো তাকে, প্যাভিলিয়নের যাবার সিঁড়িটার পাশেই বসেছিলাম, বেচারার চেহারা দেখে খুব খারাপ লাগছিলো!
সাউথ আফ্রিকা নিয়ে অনেক স্মৃতি, সুখ দুঃখ মিলিয়ে। আর, একটা কথা না বললেই না, সম্ভবত আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর দেশ হলো সাউথ আফ্রিকা!
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
সাউথ আফ্রিকা নিয়ে কুংফুর "ঈশ্বরের রংধনুর দেশে" নামের একটা সিরিজ ছিলো না?
ছিলো, সম্ভবত গত জন্মের কথা! আপনার মনে আছে দেখে মজা পাইলাম।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
বস আপনার লেখার লিংকগুলা যদি দিতেন
নাবিক হতে মন চায় ছবিটা ব্যাপক সুন্দর
ওয়াসিম ভাইয়ের জন্য সমবেদনা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধন্যবাদ রানা। ভালো আছো আশা করি।
বড় বড় সুন্দর সুন্দর ব্যাপক ব্যাপক দূর দূর!
কুনোব্যাঙের জীবন কাটাচ্ছি একটা, অথবা জীবনই আমাকে কাটছে নিরন্তর!
স্যরি মামুন ভাই। ভালো পোস্ট পড়তে আইসা খারাপ কথা কইয়া আপনেরে হার্ট করলাম বোধ হয়। অবশ্যই ধন্যবাদ তবু এই সুন্দর পোস্ট-টার জন্য। ভালো থাকেন অনেক, সবসময়।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ভালোই হার্ট করছেন, এখন গরমা গরম একটা কোবতে ছাড়েন
সবাইরে একই ফান্দে ধরার চেষ্টা করেন, না?
উঁহু, আমি পা দিচ্ছি না আপনার চেনা ফাঁদে! পরে কখনও হবে কোবতে টোবতে সবতে, কিন্তু অন্য কোনো কারণ বা উপলক্ষে।
আপনারা যে এই কুনোব্যাঙের চোখগুলারে সাধ্যাতীত বড় সুন্দর জিনিসপত্র দেখায়া আমার মন খারাপ করেন, তার বেলা?! ;-(
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
এইসব পোস্ট দেখলে গা জ্বলে... কবে যে এইরম ঘুরঘুরি হইতে পারুম...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আগে বড় হ ব্যাটা, তার পর নিয়া যামুনি
আপনি আমারে মাইয়া নিয়া গালি দিলেন? আমার আসল কথা জানার ছিল যে ট্যামি আফ্রিকানার কি না!
হ বুঝি বুঝি, তোমাগো বয়স কী আমাগো আছিল না?
ওয়াসিম আক্রম তাইলে আপনের অনুরোধেই রিটায়ার করছিল?
ছবিতে
আরো বেশি বেশি নারী পরিবেষ্টিত ছবি পুস্টান
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
না বস, আমার অনুরোধে না, তার এমনিতেই বেইল ডুবে যাচ্ছিল, আমি খালি একটু উস্কানি দিছি।
বেশি বেশি নারী পরিবেষ্টিত ছবি দেয়া যাবেনা, আপনার ভাবী সচলের সন্ধান পেয়ে গেছেন
বড় হইয়া মামুন ভাই হবো, তখন সাউথ আফ্রিকা যাবো
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
নতুন মন্তব্য করুন