পৃথিবীতে সবচেয়ে চালাক জাতি হলো চীনারা। কেমনে? বলি শোনেন, পিথিমীর আর সব জাতির আগে তারা রিসাইক্লিং আবিস্কার করেছে। কীসের ? তাও বলি- শব্দের, ভাষার। একই শব্দের এত বহুমুখী ব্যবহার পৃথিবীর আর কোন ভাষায় আছে কি না জানা নাই, সম্ভবত নাই। শুধু উ আর ঊ এর মধ্যেই কয়েক শত শব্দ লুকায়িত আছে। এমনই বিশ্রী এই শব্দের রিসাইক্লিং যে মাঝে মধ্যে মান সম্মান নিয়ে আমাদের বিদেশীদের চলাই মুশকিল। একবার এক কলিগরে কইলাম যে আমি পাখি ( নিয়াও নিয়াও) খুব পছন্দ করি , শুইনা সে ভরা মজলিশে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি, আমার উচ্চারনের কারণে বাক্যটার অর্থ দাড়াইছিল , আমি মূত্র ভীষণ ভালোবাসি ( উচ্চারণের সামান্য পরিবর্তনে পাখি হয়ে যায় মূত্র)। আবার খুব সহজ একটা শব্দ লা, টোনের সামান্য ব্যবধানে অর্থ হতে পারে ঝাল, বা টানাটানি করা বা এক্কেবারে ডায়রিয়া। বোঝেন তাইলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবারে ঝাল চাইতে গেলে আমাদের কতো সতর্ক থাকতে হয়।
আরেকটা গল্প আছে যেটা না বললে চাইনিজের কেরামতির আসল রসাস্বাদনই হবেনা। তাইওয়ানের আসার শুরুর দিকে আমি চাইনিজ ( ম্যান্ডারিন) শিখতে স্থানীয় ইউনির ল্যাঙ্গোয়েজ কোর্সে ভর্তি হইছিলাম। আমার ক্লাসের টিচার পড়ল সদ্য পাশ করা অল্পবয়সী এক তরুনী। একদিন ক্লাস শেষে সবাই রুম থেকে বের হয়ে গেছে, আমার তখনও কী জানি জানার ছিল, তাই তার কাছে গিয়া কইলাম আফা আমি আপনারে একটা প্রশ্ন ( ঊওন) করতে চাই, শুইনা সে কেমন জানি চমকে উঠল, তার পর কোন কথা না বলে ফাইল পত্র নিয়া গট গট করে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। আমি ভোদাইর মতো কতক্ষণ দাড়িয়ে থেকে অফিসে চলে আসলাম, এসে আমার কলিগরে ঘটনাটা শুনাইলাম, সে শুনে বলে তুমি উওন কইছ না ঊওন? আমি কইলাম ঊওন, সে কইল তার মানে হইল তুমি তারে কইছ যে আমি আপনারে একটা কিস করতে চাই। যুবতী মেয়ে, এখন তোমার গ্রেডিং কী দেয় খোদায়ই জানে। যাই হোক পরে গিয়া তার কাছে ক্ষমা চাইছি আর উওন বা ঊওন এর যেকোন একটাও করছি
আমার এই লেখার উদ্দেশ্য আসলে গল্প বলা না, ছবি দেখানো, যত গল্প জমছে তার সব বলতে গেলে মহাভারত হয়ে যাবে। ছবি দেখার আগে একটা ভূমিকাও শোনা দরকার । বিশ ত্রিশ বছর আগে চীনারা কোমর বেঁধে নামল ইংরেজি শিখতে। কিন্তু আমাদের জন্য চাইনিজ যতটা জটিল তাদের জন্য ইংরেজী তেমন কঠিন। উচ্চারণের ক্ষেত্রেও তারা আমাদের মতোই অমানবিক যন্ত্রণা ভোগ করে, প্রায়ই ইলেকশন আর ইরেকশন গুলিয়ে ফেলে লোক হাসায় আর আমি তা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করি। যাই হোক, তো ইংরেজী শেখার সুবিধার্তে চাইনিজ সরকার ( তাইওয়ানেও) সমস্ত দরকারী সাইনবোর্ড চাইনিজের পাশাপাশি ইংরেজীতেও লেখার সিদ্ধান্ত নিল। আর সেই কাজে তারা ব্যবহার করা শুরু করল বিচিত্র সব অনুবাদক সফটওয়্যার। যন্ত্র দিয়া মানুষের কাম করতে গেলে কী সব কেলেংকারিয়াস কান্ড ঘটে তা এই সাইন গুলার দিকেই তাকাইলেই বুঝবেন। আগে রাস্তা ঘাটের সবখানে এইসব দম ফাটানো হাস্যকর সব অনুবাদ দেখা যেত, কিন্তু গত কয়েক বছরে তাইওয়ানে আর অলিম্পিকের আগে আগে চীনে সরকারী উদ্যোগে এইসব সাইন গুলারে সরিয়ে দেয়া হয়। এর অনেক গুলাই আমার নিজের দেখা, আর কিছু ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত, ধন্যবাদ সব চিংকুদের প্রাপ্য অনেক গ্যাজাইলাম, এখন ফটুক দেখেনঃ-
এরশাদ্দাদুদের সেবায় অতন্দ্র প্রহরী!
আজ এ পর্যন্তই থাক। আপনাদের ভালো লাগলে পরে চাইনিজদের ইংরেজী নাম বিভ্রাট নিয়ে আরেক পর্বে হাজির হব। এ পর্বের জন্য কৃতজ্ঞতা ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠিরকে, তার অনুরোধ/ প্রশ্রয়েই এই ফাইজলামি লেখা।
মন্তব্য
"যাই হোক পরে গিয়া তার কাছে ক্ষমা চাইছি আর উওন বা ঊওন এর যেকোন্ একটাও করছি"
দারুণ!! পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে , ভালো থাকবেন।
আমার বন্ধু কিছুতেই বিশ্বাস করতে রাজী নন, যে এগুলো আসল ছবি। বলছেন, এগুলো সব কুতুবদের কেরামতী
না বস, এগুলা সব সত্যি ছবি, ১৯৯৭ সাল থিকা চায়না যাই, এরকম অসংখ্য বানান বা অনুবাদ প্রমাদ নিজের চোখে দেখছি। না দেখলে এই লেখাটা নামাইতাম না। আপনার বন্ধুকে চীন-তাইওয়ান ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, সাথে আপনাকেও।
ভাই, জটিল জিনিষ দিসেন! চিংলিশ মেনুটা পড়তে পড়তে চেয়ার থেকেই পরে যাবার মত অবস্থা শেষে। এখন ও হাসতেসি!!
আমিও যতবার পড়ি ততবার হাসি
আপনি হতাশ করলেন আমাকে! দুইটাই করতার্নলেন্না!
আর ফটুকগুলা জুশ
সব কথা ভরা মজলিশে কমু নাকি, আমারে এতই ভুদাই পাইছ
মজা পাইলাম মামুন ভাই। আর মেনুটা দেইখা চিংকুগো বড়ই পারভার্ট মনে হইলো।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
আর বলিস না রে ভাই! এই মেন্যু দেখলে কী আর খিদা থাকব?
আমি ভাবতাম আমি একাই মূর্খ... এরা দেখি আমার মতোই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আরে না দোস্ত তুই বোকা হবি ক্যান? এরাও বুকা না শুধু লস্ট ইন ট্রান্সলেশন
জটিলস্য জটিল, হাসতে হাসতে জান শেষ, আপনার কত দিনের সংগ্রহ এইসব? ছবি গুলার কথা আলাদা করে বলতে গেলে স্বতন্ত্র পোস্ট হয়ে যাবে, বড়ই মজা পাইসি, ২য় পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আরে সাইফ ভাই দেখি, এতক্ষন তো খেয়ালই করি নাই। আমিতো ভাবছিলাম আপনি বুঝি প্রজাপতির পাল্লায় পড়ছেন আবারও:D
আরে মিয়া, কমেন্ট আইতে টাইম লাগে, কি করুম, দিসি তো বহুত আগে, সম্ভবত মডুদাদাদের কেউ ছিল না।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মেনুর মধ্যে কস্কি কথাবার্তা কেন? চরম ফানি। ওরা তো তাও বিদেশী ভাষা লিখতে গিয়ে এরকম করছে, দেশে তো আরো চরম ফানি জিনিস দেখা যায়। যেমন "এখানে নির্ভূলভাবে টাইপ করা হয়"। এরকম জিনিস নিয়ে একটা ফটো এগজিবিশন করা যেতে পারে।
তুই আমার এদিকে একবার আসলে দেখাব, এখনও কিছু রয়ে গেছে এখানে সেখানে।
ঐ দিন দেখলাম একটা ড্রেস ডিজাইনের দোকানে নাম রাখছে 'FUCK'।
ঠিক মত দেখেছিস তো? ওটা FCUK হতে পারে কিন্তু। ওরকম একটা লেখা দেখে আমিও বিভ্রান্ত হয়েছিলাম।
না রে, যেটা বলেছি সেটাই। ছবি তুলে দেখাব তোকে একদিন।
আমাদের অতন্দ্র প্রহরী এখন অফিস কাজে চায়না অবস্থান করিতেছে। তার অবস্থা সম্পর্কে অনুমান করিয়া ব্যাফক ডরাইতেছি।
আমিও ডরাইতেছি। সে যদি চিংলিশ দেখে রাস্তা ভুল করে কোন 'চিপায়' গিয়ে আটকে থাকে তাহলে তো মহা মুশকিল।
আর কোনো ডর নাই। সব 'চিপা'ই সফলতার সাথে পার করে আসছি
আমি কিন্তু সাংহাইতে খুব হাস্যকর কোনো ভুল ইংরেজি দেখিনি। লুজাযুই সাবওয়ে থেকে বেরিয়ে ওরিয়েন্টাল পার্ল টিভি টাওয়ারের সামনের রাস্তার পাশে যে দিকনির্দেশনার সাইনবোর্ড আছে, ওখানে একটা বেমানান রকম বানান ভুল দেখছিলাম। তবে একটা কথা বলতেই হয়, ওরা ইংরেজিতে আগের চেয়ে অনেক উন্নতি করছে। বিশেষ করে এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা বেশ ভালই ইংরেজি বলতে পারে। তবে এটাও খেয়াল করছি, সাংহাই থেকে ধীরে ধীরে যত দূরে গেছি, ওদের ইংরেজির দৈন্যদশা ততটাই প্রকটভাবে ফুটে উঠছে।
যাই হোক পরে গিয়া তার কাছে ক্ষমা চাইছি আর উওন বা ঊওন এর যেকোন একটাও করছি
কোনটা করছেন। ঈমানে কন।
চায়নীজ গুলারে নিয়া এত্তো ঝামেলা, এগুলো ইংলিশ কয় না চায়নীজ কয় বোঝা যায় না। ফোন করলেই আমি সাথে সাথে কই মেইল করো। নাম শুইন্যা বোঝা যায় না, ছেলে না মেয়ে, গলা শুইন্যাও বোঝার কোন উপায় নাই
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
কইয়া পরে মাইর খাই আর কী
কী যে যন্ত্রণা এদের চিংলিশ নিয়া বলে শেষ করা যাবেনা।
হা হা হা ----
বস, সকালে উঠেই প্রথম এই পোষ্ট পড়লাম।
বহুদিন আমার সকাল এমন হাসিমুখে শুরু হয়না।
জানিনা দিনের বাকী অংশ কেমন যাবে--তবে অসাধারণ একটা শুরুর জন্যে তোমাকে বিশ লক্ষ তারা---
এর'ম আরো আসুক
শুভেচ্ছা
বস, তোমার ভাল্লাগছে তাতেই আমি মহাখুশী।
শুধু আজকের দিনটা না তোমার বাকী জীবনের পুরোটাই দুর্দান্ত কাটুক
- মামুন ভাই, আপনার অল্পবয়সী চাঙ্কু শিক্ষিকারে 'উওন' করেন অসুবিধা নাই, কিন্তু 'ঊওন' করতে গেলেই সম্যক সমস্যা। অভিজ্ঞরা বলেন চাইনিজ বালিকাদেরকে নাকি আগে থেকে তিব্বত ডি-৫ জেল উপহার দিতে হয় 'ঊওন' করতে যাওয়ার আগে। কে জানে, ঐ দিক বিবেচনা করেই হয়তো আপনের কাছ থেকে 'ঊওন'-এর অফার পেয়ে তৎক্ষণাত দৌড়ে পালাইছিলো আপনার শিক্ষিকা, নিজের বদনামী ঘুচাতে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আবার জিগায়, চাঙ্কুগো খাওয়া, গা, গাড়ী সবখানেই বদ গন্ধ, অবশ্য মুখের কথা মামুন ভাই এখন আর স্বীকার করবেন কিনা কে জানে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এমন সরলীকৃত ধারণা থেকেই কিন্তু জাতিবিদ্বেষ শুরু হয়। এই একই অভিযোগ ভারতীয় উপমহাদেশের অভিবাসীদের নামে রেসিস্ট মার্কিনিরা করে থাকে, "দে অলওয়েস স্মেল লাইক কারি"। সত্যাসত্য যাই হোক, এর ফলাফল দুরত্ব বাড়ানো ছাড়া আর কিছু করে না।
এমন নির্মল হাসির লেখার নিচে এমন মন্তব্য করবো কি না এই দ্বিধায় ছিলাম। কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকা উচিত এ জাতীয় ভুল যাতে অনবধানেও না করি সে বিষয়ে, তাই এইটুকু জানালাম। আশা করি সাইফকে আহত করলাম না।
এই কথার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য চাইনিজ বালিকাদেরকে 'ঊওন' করার অভিজ্ঞতা না থাকলেও হবে। সহপাঠী বা স্টাডি গ্রুপের পার্টনার বা প্লেনে সহযাত্রী হিসেবে ফুট তিনেক দূরত্বের মধ্যে গেলেই টের পাবেন
বুঝতে একটু সময় লাগলো, তবে শেষ পর্যন্ত বুঝতে পেরেছি।
- যাক, পিপিদা তাইলে আঠারো ক্রস করলেন অবশেষে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আয় হায় বলো কী! আমার কুনো আইডিয়াই নাই
ভাব লইয়েন না মিয়া, শুনলাম তাইওয়ানের সকল চান্কু "মামুন" নাম শুনলে বুকে হাত দিয়া বইয়া পড়ে আর "বড় হইয়া" কিছু করতে চায়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মজা পাইলাম
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ধন্যবাদ নিবিড়।
খুব মজা লাগল
শব্দ, বা আরো ভাল করে বললে বলা উচিত ধ্বনির রিসাইকেল করে এরকম ভাষা আরো আছে । এসব ভাষাকে বলে tonal language, উইকিপিডিয়াতে দেখুন । এশিয়ার বাইরে Sub-Saharan Africa এলাকায় প্রচলিত সোয়াহিলি, ওলোফ, ফুলানি এগুলো এধরনের ভাষা ।
চিংলিশ কে ইংরেজীতে engrish বলা হয়, এই সাইটে এরকম ভুরি ভুরি উদাহরণ পাবেন । Engrish
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
সাবাশ কদু ভাই। অনেক কিছু জানলাম
দারুণ মজার! চিংলিশ মেন্যুটা আসলেই জটিল!
হাহাহা আপনার কথাতেই লেখা
ভাই রে, কী যে হাসিটা হাসলাম এই পোস্ট পড়ে!!! দুর্দান্ত!
ধন্যবাদ ইশতি, আমি আগামীতে আরো কিছু ছবি দেখাব ভাবছি।
মেনুতে তো দেখি সমানে ফাক করতে কইতাসে...
এগুলা খাইয়া পরে কি পকেট ফাঁক হইয়া যায়? তীব্র! তীব্র!!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
কী রে ম্যাপল লীফের জামাই, এসব কী বলছিস??
বুড়ো ভাল্লুকের সাথে দেখা হইছে?
মজার পোস্টটার জন্য স্যান্ক উ
আপনাকেও স্যাঙ্কু, এখন টেকা দেন ওয়ান সাউজেন
আপনার ব্যান্ক অ্যাকাউন্ট আর রাউটিং নাম্বার দেন, বাসার ঠিকানা সহ। এখনি দিচ্ছি
ভাইজান, এখনও হাসতেই আছি! মেনুতে কত কিছুকে কি করা যায় বুঝলাম এখন। ব্যাফুক গিয়ানী মেন্যু! এত্ত কিছুকে 'এত্ত' কিছু করা যায় ঝানতামি না!
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দুষ্টু বালিকাকে একটু হলেও হাসাতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত
বস... চ্রম হইছে। কিন্তু মেনু দেখে এখন মুরগী খেতে গেলে ইয়ে মনে পরে যাবে!!!!!! কি যে করি???
মুর্গী না খেয়ে মুর্গা খান
দুর্ধর্ষ জিনিস, পড়ে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেলাম।
ধন্যবাদ মূলোদা, তোমার নতুন কমিক্সের অপেক্ষায় আছি অনেকদিন হয়ে গেল!!
কমিক্সে বড়ো খাটনি রে ভাই, তার চেয়ে কমিক লেখা সোজা। তার চেয়েও সোজা অন্যের লেখা পড়ে হাসা। সেইটাতেই ব্যস্ত আছি আজকাল
ফাডাইলাইসেন বস। হাসতেই আছি।
ধন্যবাদ বস।
খুবই মজা লেগেছে লেখাটি। দারুণ!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
ধন্যবাদ জাহিদ ভাই , মজা পেয়েছেন শুনে ভালো লাগল
মহা জটিল...মামুন ভাই!
আর কইয়েন না...এক কলিগ ছিল ল্যাব-এ চাইনিজ...তার জ্বালায় ল্যাব-এ থাকতে পারতাম না...আমি আর আমার বউ তার নাম দিছিলাম "চুন্নি"...একবার এক খাবারের ক্যান্টিন থেকে চুরি করে খাইছিল...China থেকে আসার পর সে এক তেলাপিয়া মাছ নিয়া আসছিল...গন্ধে পুরা ডিপার্টমেন্ট খালি হওয়ার দশা...আমার বউ বমি করছিল...
এরপর একদিন সুপারভাইজ়ার তার বাসায় দাওয়াত দিছিল...বেচারারা সাউথ ইন্ডিয়ান ভেজিটেরিয়ান...আর আমগো চুন্নি তার বাসায় যাওয়ার জন্য সেই তেলাপিয়া নিয়া আসছিল...তারে বুঝানের পর সে এক লিটারের আইসক্রিম নিল...তারপর আবার সাধে ল্যাবের সবাইরে "অনেক আছে, যা বাচবো তা নিয়ে যাবো!"
আসার পর বড়ই মাসুম ছিল মাইয়া...একমাসের মধ্যে বয়ফ্রেন্ড হইয়া গেল এক চাইনিজ!...কারণ সেই পোলা তারে ইংলিশ থেইকা অনুবাদ কইরা পড়াইত...কোর্স শেষ হওয়ার পর সেই পোলা বাদ...লগে লগে তার বয়ফ্রেন্ড হইল এক কানাডিয়ান!
একবছর ল্যাবএ দুপুরে থাকতাম না...খালি খাওনের গন্ধের জন্য না!!...খাওয়ার পরে মনে হয় বাতাসে সেইটা আরো প্রসেস কইরা ছাইড়া দেওয়া ওদের কালচারের অংশ!!!...তার উপর মাইয়া মানুষ...না যায় কিছু কওয়া...তাই বেলা ১২ টা থেইকা ২;৩০ পর্যন্ত বাইরে বিড়ি ব্রেক নিতাম!!
জাঝা কমেন্ট!
কী আর বলব ভাই, অফিসে আমার ডেস্কের পাশেই ছোট্ট একটা সোফা ছিল, সেখানে প্রায়ই এসে বসত স্থানীয় এক সাপ্লায়ার ভদ্রলোক, মানুষ হিসেবে খুবই ভালো , কিন্তু কিছুদিন পরেই টের পেলাম তার শরীর থেকে বর্ণনাতীত এক উৎকট গন্ধ বেরোয়। সোফা সরিয়ে অফিসের আরেক কোনায় নিয়ে গেলাম, তবুও এই সুবাস থেকে নিস্তার নাই। এখন ভাবছি আমার বসার জায়গার চারপাশটা কাচ দিয়ে ঘিরে এয়ারটাইট করে দেব। বেচারাকে একবার বডি স্প্রে কিনে দিয়েছিলাম, কিন্তু সাধ্য সেই সুবাস ঢাকে, কিছু বলতেও পারিনা
ভাল লাগছে! ৪ আর ১১ নম্বর বেশি মজা!
ধন্যবাদ সিরাত
এই জিনিস মাত্র এই কয়টা ছাড়লেন! মাইনাস
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আরে দিমু দিমু, সামনে আরো আসবে
চমৎকার!
যাক ভালো সময়েই "পাণ্ডবের চীন দর্শন" সিরিজিটা লেখা ক্ষ্যামা দিয়েছি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হাসতে হাসতে অস্থির।
আমাকে মাইর দিয়ে হাসি থামানো লাগবে এখন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
নতুন মন্তব্য করুন