ভ্যাংকুভারের এই এলাকাটায় প্রচুর বাংলাদেশীদের বসবাস। প্রায়ই সপ্তাহান্তে এর ওর বাসায় জমজমাট আড্ডা বসে। খানা-পিনা, আড্ডাবাজি, বোর্ড গেমস বা তাস পিটানোতে দুর্দান্ত সময় কাটে, সাথে দেশ নিয়ে আক্ষেপ-ক্ষোভ বা তত্ত্ব-তালাশ তো চলেই।
আজ আড্ডা জমেছে জামিলের বাসায়। সবাই হাজির। টেক্সাস হোল্ডেম পোকার খেলা চলছে। বাইরে নির্বিকার পোকার ফেস রেখে ভেতরের উত্তেজনা দমাতে প্রায় সবাই চিমনির মতো সিগারেটের ধোয়া উড়িয়ে চলেছে। হঠাৎ খেয়াল হলো সিগারেট শেষ, কেউই নিয়মিত ধুমপায়ী না, সোশাল স্মোকার, সবাই মিলে জামিলের দুই প্যাকেট সিগারেট পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। সিগারেট ছাড়া তো আর আড্ডা জমেনা, এ ওর দিকে তাকায়, কিন্তু সিগারেট কিনতে বাইরে যেতে কেউই রাজী না। বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা। হিমাংকেরও বেশ নিচে। বাসা থেকে বেড়িয়ে কারপার্ক পর্যন্ত হেঁটে যেতেই শরীরের কল-কব্জা সব জমে যাবার অবস্থা।
দরজায় কে যেন এসেছে। স্থানীয় বন্ধু মার্টিন। চমৎকার আড্ডাবাজ ছেলে, দারুন গান গায়, ধুরন্ধর পোকার খেলোয়াড়। বরফে গাড়ি আটকে যাওয়ায় আসতে দেরী করে ফেলেছে। জ্যাকেটের পকেটে দুই হাত ঢুকিয়ে শিস দিতে দিতে ভেতরে ঢুকতেই সে দেখে সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে। আসলে ওর রঙচঙে জ্যাকেটটার দিকে। এত জোড়া উৎসুক দৃষ্টি দেখে মার্টিন নিজে থেকেই জানায় যে আজই কিনেছে এই শৈত্য-ঘাতক ওয়াটারপ্রুফ স্কি জ্যাকেট টি। গায়ে দিলে দুনিয়ার কোন ঠান্ডাই আর কাছে ঘেঁসতে পারেনা। গাড়ি রেখে বেশ খানিকটা হেঁটে আসাতেও ওর একটুও ঠান্ডা লাগেনি।
'এটা নিশ্চয়ই ইউরোপ তৈরী, এত ভালো স্কি জ্যাকেট চায়নিজরা বানাতে পারে বলে মনে হয়না। আচ্ছা দাম কতো পড়ল?'- রাহাত বলে।
'২১০ ডলার, কিন্তু এত আরাম পড়তে যে ডাবল দাম হলেও আমি কিনতাম। আমারও মনে হয় এটা চাইনিজ জিনিষ না।'
মার্টিন কেনার সময় খেয়াল করে দেখেনি জ্যাকেট টা কোথায় তৈরী। গা থেকে খুলে, সবার আগ্রহী চোখের সামনেই ঘাড়ের কাছের লেবেল চেক করে। ঝকঝকে অক্ষরে লেখা ' মেড ইন বাংলাদেশ'।
' ওয়াও ম্যান...ইওর কান্ট্রি ইজ মেকিং কোয়ালিটি স্টাফ, রিয়েলি...আই অ্যাম সো হ্যাপী ফর ইউ গাইজ!'- মার্টিনের কন্ঠেও উচ্ছ্বাস।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের সবারই গর্বে বুক ফুলে যায়, দেশ তাহলে সত্যিই এগোচ্ছে।
এদিকে তের হাজার মাইল দূরে গাজীপুর, সাভার এবং আশুলিয়ায় বকেয়া বেতন আদায়, বেতন বৃদ্ধি,ন্যুনতম সুযোগ সুবিধার দাবীতে হাজার হাজার গার্মেন্টস কর্মী রাস্তায় নেমে আসে। পুলিশের গুলিতে কয়েক জন মারা যায়। অনেকে আহত হয়। হাজার হাজার শ্রমিক চাকরি হারায়। বিস্তর ভাঙচুর চলে। টায়ার পোড়ে, মানুষ-পুলিশে ধাওয়া পালটা ধাওয়া চলতে থাকে দিনভর। বিশৃংখলা--আকাশে-বাতাসে, শরীরে-মনে, মানুষে-মানুষে, চায়ের কাপ-মদের গ্লাসে, কলার খোসা-ফেলে যাওয়া ছেঁড়া স্যান্ডেলে--সবখানেই অন্তহীন অশান্তি।
ঘুম থেকে উঠে আইএম এফ এর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক খবরে ব্যাপারটা দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন। বিজিএমইএ এর সভাপতির উপহার নয়শ ডলার দামের কনিয়াকে এক চুমুক দিয়ে তাকেই ফোন করেন। জানতে পারেন শ্রমিকেরা মাসিক বেতন ২০ ডলারের বদলে ৩০ ডলারের দাবীতে পথে নেমেছে।
' ফিফটি পার্সেন্ট পে রেইজ? দিস ইস আউটরেজিয়াস'- বিরক্ত সাহেব ফোন রেখে দেন।
বিজিএমিএ'র সভাপতির ফোন পেয়ে প্রধান মন্ত্রীর টনক নড়ে। সোনার ডিম পাড়া হাঁসের সাথে আর যাই হোক তামাশা চলেনা। তিনি প্রেস নোট পাঠান- ' আজকের ঘটনা দেশের সমৃদ্ধির বিরুদ্ধে একটা গভীর রাজনৈতিক চক্রান্তের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। আমরা কঠোর হাতে এর দমনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সমস্যার সমাধান আলোচনার টেবিলে হবে, রাস্তায় দেশ বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নয়।'
শহরের আরেক প্রান্তে আগারগাঁও বস্তিতে স্বামী পরিত্যক্তা রাহেলা তার সাড়ে তিন বছরের ছেলে মিন্টুকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করছে। ছেলেটাও এমন মায়ের বুকের ওম ছাড়া তার ঘুম আসেনা, ভালো একটা কম্বল কেনার টাকাও রাহেলার নেই, নিজের বুকের ওম আর মায়া ছাড়া ছেলেটাকে তার দেবার কী ই বা আছে। সে নিজেও ক্লান্ত, সারাদিন হাড় ভাঙা খাটুনি গেছে। না, সে অন্যান্য শ্রমিকদের সাথে আন্দোলনে যায়নি। ছেলেকে বাঁচিয়ে রাখতে চাকরীটা তার বড়োই দরকার। বারো ঘন্টার শিফটের পরেও তার ডিউটি শেষ হয়নি। কারখানা থেকে বের হবার আগে সুপার ভাইজার কামাল মিয়া নিচু স্বরে তাকে বলে ' রাইতে বাসায় আসিস, কাজ আছে। বেশী দেরী করিস না।' রাহেলা কিছু না বলে মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়। কামাল মিয়ার বউ বাপের বাড়ী গেলেই তার ডাক পরে এভাবে। শুধু সে একাই না, আরো পাঁচ ছয়জন আছে যাদেরকেও এই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে সুপার ভাইজারকে খুশী রাখতে হয়। না হলে তাদের চাকরী থাকবেনা।
ছেলেটা বোধ হয় ঘুমিয়ে পড়েছে। রাহেলা আলগোছে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে শাড়ী পাল্টায়। মুখে হালকা প্রসাধনী মাখে। সাজ গোজ না করে যাওয়ায় একরাতে কামাল মিয়া চাপা ধমক দিয়েছিল-'এরম ফকিন্নীর মতো আইছস ক্যান?'
ঘুমন্ত ছেলেটার কপালে আলতো একটা চুমু দিয়ে, মাথার নিচের ছোট্ট বালিশটা ঠিক করে দিয়ে রাহেলা বেরিয়ে আসে। রেল লাইন ধরে লম্বা লম্বা কদমে হাঁটতে থাকে। আগে গেলে রাত বেশী হবার আগেই হয়তো ছাড়া পাওয়া যাবে। কামাল মিয়া খুশী হলে হয়তো দুই একদিনের মধ্যেই একটা কম্বলও পাওয়া যেতে পারে- হোক না পুরানো, ক্ষতি কী? শীতের রাতে ছেলেটাকে তো ঠান্ডা থেকে বাঁচানো যাবে ।
হাঁটে হাঁটতেই রাহেলার মনে পড়ে তাড়াহুড়ায় ছোট মশারীটা টানিয়ে আসা হয়নি। ছেলেটাকে মশায় খেয়ে ফেলবে। মশা তাড়াতে গিয়ে ঘুমের ঘোরে মিন্টু যদি মাটিতে পড়ে মাথা ফাটিয়ে ফেলে!
দুশ্চিন্তায় রাহেলা চলার গতি বাড়িয়ে দেয়।
মন্তব্য
দুর্দান্ত উপস্থাপন। খুবই সুন্দর।
ধন্যবাদ রাজিব।
বস, আমি গল্পতা পড়া শেষে হতবিহ্বল হয়ে থাকলাম, জানি যে এই গার্মেন্টস কর্মীরা কত কষ্ট করে কিন্তু আপনার লেখা পড়ে সব যেন চোখের সামনে ভেষে উঠল। আমি ভাষা ফিরে পেলে এসে মন্তব্য দিয়ে যাব।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
গল্পটা শুরু করার আগেই যেন শেষ হয়ে গেল। ভাল লাগলো পড়ে।
প্রজাপতি আর সাইফ দুইজনকেই অনেক ধন্যবাদ। ভালো থেকো।
হুম, মন খারাপ করলে হবে?
বাঃ!
ধন্যবাদ মূলোদা।
দোস্ত, গল্পে তো দিলা সব ফাঁস করে। কিন্তু কয়েকটা অসঙ্গতি আছে।
১। ভ্যাঙ্কুভারে হিমাংকের ২০ডিগ্রী নীচে ঠান্ডা মনে হয় পড়েনা। পড়লেও সেটা অস্বাভাবিক। তার চে তুমি ওদের টরন্টো বা অটোয়াতে নিয়ে আসো।
২। ১৩০ডলার দিয়ে কানাডায় এত ভাল স্কী জ্যাকেট হবেনা। মিনিমাম ২০০+এ যেতে হবে।
৩। কয়েক জায়গায় শব্দ বাদ পড়েছে। প্যাসিফিন --> বোধহয় প্যাসিফিক হবে।
৪। দিতে দিতে ভেতরে ঢুকতেই মার্টিন দেখে সবাই হবে মার্টিন-কে দেখে
আচ্ছা দোস্ত, ঠিক করে দিচ্ছি। তোকে ধন্যবাদ
মনটা খারাপ হলো।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
মন ভালো রাখার উপায় বের করতে হবে।
ভাই আমি তো চমকায় গেছি! ভ্যাঙ্কুভারে হিমাংকের ২০ডিগ্রী নীচে ঠান্ডা !!!
গত ৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ঠান্ডা -১৪ মনে পড়তেছে।
গপ্পো ভালো লাগছে।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
ধন্যবাদ সুজন ভাই। ঠান্ডা বিষয়ক তথ্য ঠিক করে দিয়েছি
ভালো লাগলো মামুন ভাই...
বড় দ্রুত শেষ হয়ে গেলো সবকিছু।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
শেষ হইল কই? শেষ হইলে তো বাঁচতাম।
মনডা খারাপ করিয়া দিলিরে, আমি আসলে মন খারাপ করবার চাই না, কুনসুময়ই না।
রাহেলার কাছে গিয়া মাফ চাইয়া আসুমনে একদিন।
অসুন্দরকে নিয়ে সুন্দর লেখা ! সেই দিনের প্রত্যাশায় আছি যেদিন কাউকে আর এরকম লেখা লিখতে হবেনা ..!
...যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণভূমে রণিবে না ...
------------------------------------------
যাহা চাই যেন জয় করে পাই ... গ্রহণ না করি দান ...
------------------------------------------------------
পুষে রাখে যেমন ঝিনুক ... খোলসের আবরণে মুক্তোর সুখ ...
আমিও সেই দিনের প্রত্যাশায় আছি।
দূ্র্দান্ত ! অসাধারণ !
না আর কিছু আসছে না । এই গল্পের প্রশংসা করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি ।
পাঁচ তারা দিলে একে ছোট করা হয় তাই রেটং দিলাম না ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ধন্যবাদ মানিক ভাই। আমার মাথায়ও আর কিছু আসছেনা।
অসাধারণ হৈছে।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ধন্যবাদ সুমন ভাই।
চমৎকার লাগলো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শিমুল।
হঠাৎ মাথায় ঠুস করে গুলি করে দিলেন রে ভাই!
মাফ কইরা দিয়েন ফারুক ভাই।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ধন্যবাদ নিবিড়।
১০ ডলার তো অনেক বেশি! কয়েক বছর আগে ওয়ালমার্টের উপর একটা ডকু দেখেছিলাম। ওয়ালমার্টের মটো হচ্ছে আম্রিকানদের কম পয়সায় ভালো জিনিস সাপ্লাই দেয়া। এর উপরই ওয়ালমার্ট টিকে আছে। আম্রিকানদের কম পয়সায় জিনিস দিতে গিয়ে খাঁড়াটা পড়ে অন্য দেশের মজুরদের ওপর। ডকুতে বাংলাদেশের গার্মেন্টসও দেখাচ্ছিল যারা ওয়ালমার্টের কাজ করে। ওয়ালমার্টের এক কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী- শ্রমিকদের বেতন যদি এক পেনিও বাড়ে, তবে আম্রিকান মার্কেটে কাপড়ের দাম অনেক বেড়ে যায়! শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে বাংলাদেশি গার্মেন্টস মালিক এক দাঁড়িওয়ালা বলছিল- আমরা তো মজুরি বেশিই দিতে চাই, কিন্তু উপরের নির্দেশ আছে এক পয়সাও বেশি দেয়া যাবে না। আমিও ওয়ালমার্টে যাই কম পয়সায় জিনিস পাই দেখেই। 'মেড ইন বাংলাদেশ' দেখে একটু গর্বের সাথে খোঁচাও খাই। এই আমাকে কম পয়সায় জিনিস দিতে গিয়ে আমার দেশের অনেক মানুষই নায্য মজুরী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সভ্য মানুষ আমরা। গ্লোবালাইজেশনের নামে চলছে সভ্যতার শোষণ।
--এই জিনিষটাই তো আমরা বুঝতে পারছিনা।
মামুন ভাই
মাইন্ড না খেলে একটা কথা বলি?
গল্পটা ভালো লাগেনি। মেকি মনে হয়েছে।
মার্টিন আর রাহেলা এভাবে এসেছে এতো বেশী। নতুনত্ব নেই কিছু।
আমি নিজে তালেবর লেখক নই।
তবু রাহেলা আরেকটু কম এলে গল্পের আবেদন বেড়ে যেতো।
(মার টার দেবেন নাতো আবার)
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রানা, মার দেব কেন ভাই, তোমার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
গল্পটা মেকি লাগায় দুঃখিত, তবে এই জ্যাকেটের ঘটনাটায় আমিও ছিলাম, কানাডায় না, অন্য কোথাও। মার্টিন আমারই বন্ধু, এখন সে আলাবার্টা থাকে। কামাল মিয়াকেও সামনে থেকে দেখেছি, রাহেলা জাতীয় ঘটনা সে গর্বভরে অন্যদের কাছে বলছিল। তার বক্তব্য ছিল, ' এক সালুন দিয়া ভাত খাইতে আর কয়দিন ভালো লাগে যখন ধমক লাগাইলেই এই ছেড়িগুলা বাড়ী আইসা পড়ে?'
গল্পের প্রয়োজনেই কিছু বর্ণনা এসেছে, কিন্তু এগুলোতো আমাদের চারপাশেরই ঘটনা।
এটা ঠিক যে নতুনত্ব নেই, আমি নিজেই এই ধরনের একটা গল্প ১৯৯৩ সালে লিখেছিলাম, কোথায় যেন ছাপাও হয়েছিল। কিন্তু ভাই পুরানা কাসুন্দী ঘাঁটা ছাড়া আর কোন উপায় কী আছে যখন এ ধরনের বাস্তবতা থেকে আমরা এক বিন্দুও আগাতে পারিনি?
চটকদার গল্প আমি লিখতে পারিনা, যা দেখি চারপাশে সে গুলোই ঘুরে ফিরে আসে আমার লেখায়, আগামীতেও এর জাতীয় বালখিল্যতায় তোমাদের বিরক্ত যে করব না তার নিশ্চয়তা কিন্তু দিতে পারছিনা।
ভালো থেকো ভাই, আবারও ধন্যবাদ।
যাই বলিস, রানার খোঁচা খেয়ে গল্পের পিছনের গল্পটা কিন্তু সবার জানা হলো। মূল কথা হলো
অসাধারণ বন্ধু।
তুই তো গল্প লিখিস নি। পৃথিবীর দুটো ছবিকে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিস।
ভাষাহীন আমি।
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
ধন্যবাদ বন্ধু। কেমন আছিস ম্যাপল লীফের দেশে? লেখা কবে দিবি??
চমৎকার!...সিনেমার ভাষায় গল্পের প্রকাশ...অবিশ্বাস্য!
-------------------------------
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ধন্যবাদ স্বপ্নহারা।
আপাততঃ হ্যাটস অফ!
পরে আরো বিস্তারিত বলার আশা রাখি...
____________
অল্পকথা গল্পকথা
অনেক ধন্যবাদ শিমুল ভাই।
হুঁম, ভালো তো অবশ্যই।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ রণদা।
চমৎকার লাগল গল্পটা।
গল্পটার যে দিকটা আমাকে সবচেয়ে বেশি টানল---সেটা হল গল্প লেখকের এক ধরনের নৈর্ব্যক্তিক উদাসীনতা---অকম্পিত কন্ঠে তিনি বলে যান তার কাহিনী, গল্পের ভেতরে থেকেও গল্পে তার আবেগ জড়ান না।
এই জিনিসটা আমার খুব পছন্দের---!!
অনিঃশেষ শুভকামনা---
অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ বস।
হুমমম... অসহায় লাগে এসব শুনলে। নতুনত্ব থাক বা না থাক এগুলো তো লিখে যেতেই হবে যতদিন না আর এ ঘটনাগুলো জানার দরকার না থাকে। ভালো লিখেছেন।
ধন্যবাদ ধর্মপুত্র।
দেখছেন মিয়া, কমেন্টে কমেন্টে কমেন্টান্বিত, সুপার হিট আপনার লেখা, তাড়াতাড়ি সাই ফাই ছাড়েন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মামুন ভাই, গল্প ছাড়া গল্প, মানে নিত্য দিনের সত্যিই গল্পই আমার পছন্দ। সুন্দর লেখা হয়েছে।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ধন্যবাদ তনু
ভাইজান, সেই আমাকে লগ ইন করিয়েই ছাড়লেন!...
গল্প ভাল লেগেছে... শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ... এই আবেদনটা আমার ভাল লাগে, আর আপনার নির্লিপ্ততা!
ধন্যবাদ, ভাবতে বসানোর জন্য!
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অনেক ধন্যবাদ আপামনি।
গল্পটা অনেক আগেই অফলাইনে পড়ছিলাম। দুর্দান্ত লাগছে। যেন দুই মেরুর গল্প, অথচ কী আশ্চর্যজনকভাবে একই সূত্রে গাঁথা।
আপনার আরো বহুত গল্প পড়তে চাই।
দারুন গল্প!!! চরম হইসে... খুবই মনে ধরসে...
ভালো লেগেছে তবে কোলাজগুলো খুব দ্রুততায় উপস্থাপিত হওয়ায় ঠিক আমেজটা পাইনি আমি।
শুধু রাহেলাই একটা গল্পের চরিত্র হতে পারে, রাহেলার গল্পই একটা পূর্ণাঙ্গ গল্প হতে পারে, এটাই আমার মত।
নতুন মন্তব্য করুন