মুহির শান্তিময় ঘুমের মধ্যেই পৃথিবী থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের চুলচেরা বিশ্লেষন চলতে থাকে। দেখা গেল যে পৃথিবী থেকে উৎসারিত নানা রঙ ও ঢঙের অনুভূতি গুলোই ওজন স্তরকে ফুটো করে ঝাঝরা করে দিয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিকর হচ্ছে নীরব দীর্ঘশ্বাসগুলো, এমন ভাবে ঘাঁই মেরে যায় যে বিশ্ব চরাচর কেঁপে ওঠে। আর এর প্রবাহ দিনকে দিন বাড়ছে। তবে এগুলো ওজন স্তরকে ফুটো করেই বিলীন হয়ে যায়। স্বপ্ন জগত যে রঙিন বুদবুদ গুলো ধাক্কায় অস্থির সেগুলো মানুষের আত্মা, হৃদয় আর মনের সমন্বয়ে তৈরী বিচিত্র সব ধ্বনি। এগুলোকে বলে সঙ্গীত, বা কখনও অন্য কিছু।
ঘুম থেকে মুহিকে জাগানো হয়। উঠে দাঁড়াতেই রহিমার মা একটা গামছা দিয়ে তার ঘাড়-মাথা মুছে দেয়। তারপর চটিজোড়া এগিয়ে দিয়েই মুহির সামনের দিগন্ত বিস্তৃত মনিটরটি চালু করে । বিলিওন বিলিওন বিচিত্র আঁকিবুকি মনিটর জুড়ে। মুহি ধ্যানমগ্নের মতো তাকিয়ে থাকে। এক সময় মনিটরে পরিস্কার বাংলায় লেখা ভেসে ওঠে –
‘জরুরী অবস্থা। জৈব নমুনা । চৌম্বক কম্বল ’
মুহি রহিমার মাকে নিয়ে বন্দোবস্তে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রথমে প্রায় ১০,০০০ মাইল ব্যাসার্থের ফ্রিকোয়েন্সিতে হাইপার ভেলোসিটি রাডার চালু করল। রাডারে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে কেউ মহাজাগতিক বুদবুদের উৎসগুলো মুহূর্তেই ধরা পড়বে। আর খোঁজ পাওয়া মাত্রই তাদের মধ্যে কাছাকাছি অবস্থানের কয়েকজনকে অ্যান্টি গ্রাভিটি বেল্ট আর অভিকর্ষ নিরোধক রশ্মির সাহায্যে ভুগর্ভস্থ এই গবেষনাগারে নিয়ে আসা হবে। তারপর তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে এই ঝামেলাটা অংকুরেই বিনষ্ট করা যায় কিনা।
উঠতি অভিনেত্রী এবং গায়িকা শিরিন এইমি খুব উত্তেজিত। তার ক্যারিয়ারে বড় ধরনের ধাক্কা লাগাতে পাড়ে এমন এক অডিশনের শিডিউল পড়েছে, সকাল ৯টায়। বিখ্যাত পরিচালক খান বাহাদূর জামরুল আসলাম আউরঙ্গজেব তার পরবর্তী মেগা সিরিয়াল ‘ অপিবত্র ঘুড়ার বিনম্র হাউকাউ’ এর জন্য একজন সুকন্ঠী পার্শ্ব নায়িকা খুঁজছেন। ১৭৩ তম পর্বে এই চরিত্রটি রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইতে গাইতে আত্মহত্যা করবে। জামরুল সাহেবের খনিজ হীরা চিনতে ভুল হয়না, তিনি এইমি কে দেখেই বুঝলেন এই মেয়েকে দিয়ে হবে। ডায়লগ পড়ার ঝামেলায় না গিয়ে খালি কন্ঠে গান শুরু করতে বললেন। অভয় পেয়ে এইমি গলায় সুধা ঢেলে মন-দিল সব লাগিয়ে ‘ তোমার হলো শুরু...আমার হলো সারা’ গাইতে আরম্ভ করল। চমৎকার কন্ঠের হৃদয়স্পর্শী সঙ্গীতে জামরুল সাহেবের চোখ বুজে আসে, এইমি বুঝতে পারে কাজটা হয়তো সে পেতে যাচ্ছে। গানের পাশাপাশি সে কল্পনার জগতে ঘোড়া ছুটিয়ে দেয়। সে দেখে এই নাটকের মাধ্যেমে দেশ বিদেশে তার ব্যাপক পরিচিতি ঘটে গেছে, বিদেশের ঝলমলে এক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে লাল কার্পেটে সে দাঁড়িয়ে আছে, চারদিকে সাংবাদিকের ভীড়...ক্যামেরার ফ্লাশ। হঠাৎ এক বিকট শব্দে পুরা অডিশন সেন্টার কেঁপে ওঠে, চোখ খুলে জামরুল সাহেব আবিষ্কার করেন, রুমে তিনি একলাই, এইমি বা তার চিহ্ন কোথাও কেউ নেই।
কাঠ ফাটা গরমে মওলানা ইসমাইল রউফের মেজাজটা খুব খিঁচড়ে আছে । গেটের পাশেই মসজিদ কমিটির চেয়ারম্যানের নাতি দাঁড়িয়ে ঢক ঢক করে পানি খাচ্ছে, হাতে ক্রিকেটের ব্যাট উইকেট। অন্যদিন হলে কিছু বলতেন না, কিন্তু আজকে মেজাজ খুবই গরম। ছেলেটাকে ধমকে উঠে বললেন বসে বিসমিল্লাহ বলে পানি খেতে। বিষদৃষ্টিতে ছেলেটি বৃদ্ধ ইমাম সাহেবের দিকে তাকালো, তার পর বসে পড়ে অস্ফুটে কী যেন বলে আবার পানি খেতে লাগল। রউফ সাহেবের পরিস্কার মনে হলো ফাজিল ছেলেটা বিসমিল্লাহ বলেনি, বলেছে ‘ইসমাইল্যা’। বাজঘাই গলায় এই বাঁদরামির প্রতিবাদ করতে যাবেন এমন সময় আসরের আজান পড়ল। এখন কথা বলা মানা- মন দিয়ে আজান শুনতে হবে। কিন্তু মুয়াজ্জিন লুৎফরের আজান শুনলেই তার কানের মধ্যে গজারির ডাল ঢুকিয়ে বসে থাকতে ইচ্ছা হয়। নোয়াখালীর উচ্চারণে অযথা টেনে টেনে অ্যাঁ অ্যাঁ করে আজান দেয়। মসজিদ কমিটিকে অনেকদিন যাবৎ বলে আসছেন লুৎফরের বদলি মধুর কন্ঠের কোন নওজোয়ানকে মুয়াজ্জিনের চাকরিটা দিতে। আজ নামাজের পর আবার ধরতে হবে।
খাল কেটে কুমীর আনা একেই বলে। মসজিদ কমিটির চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন সাহেব খুব জাঁদরেল মানুষ, আগে কোন এক বেসরকারী ব্যাংকের বড় কর্তা ছিলেন। অবসর নেয়ার পর হজ্ব করে, দাড়ি-টুপি লাগিয়ে পাক্কা পরহেজগার হয়ে গেছেন। এখন এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, গার্লস স্কুল ইত্যাদি দেখা শুনা করেন। তাগাদা দিতে গিয়ে জানা গেল নতুন মুয়াজ্জ্বিন তিনি খুব শীঘ্রই নিয়োগ দিচ্ছেন, কাল ফজরের নামাজের সময়ে ইন্টারভিউ, নামাজ সেই পড়াবে। এর পরে যেই কথাটা বললেন তাতে রউফ সাহেবের মনটা পুরোই তেতো হয়ে গেল। নতুন মুয়াজ্জ্বিন কাল ফজরের ইন্টারভিউতে পাশ করলে তাকে সামনের তারাবীহ নামাজের দায়িত্বটাও দেয়া হবে। ইমাম সাহেবের মাথায় বাড়ি, তারাবীহ পড়িয়ে যেই টাকাটা আসবে সেটা হিসাবে রেখে তিনি ইতিমধ্যেই গ্রামের বাড়ী পাকা করার কাজে হাত দিয়েছেন। তিনি মনে মনে প্রার্থনা করতে লাগলেন নতুন মুয়াজ্জ্বিন যেন কাল নামাজের মধ্যে সুরা ফাতেহাই ভুলে যায়।
হাফেজ শাহাদাত হোসেন খুব ভোরে উঠে গেছে। এলাকার বড় মসজিদে মুয়াজ্জ্বিনের চাকরীটাকে সে পাখির চোখ করেছে অনেকদিন যাবৎ। বেতন ভালো, প্রচুর প্রাইভেট ছাত্রও পাওয়া যাবে, সাথে জুম্মা আর তারাবীহ এর নজরানা তো আছেই। শুনেছে কমিটির চেয়ারম্যান সাহেব প্রতিদিন ফজরের অনেক আগেই মসজিদে এসে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েন। আজ সেও আগে গিয়ে গিয়ে হাজির হবে। নামাজের পড়ানোর সময় জোরে আমিন আর শেষে দোয়ায় সময় উদাত্ত সুরে শরীক হতে সে তার মাদ্রাসার পুরানো কিছু বন্ধুদের বলে রেখেছে। তারাও আজ ফজরের নামাজ ওখানে পড়ে তাকে সাপোর্ট দিবে। সাদা ধব ধবে পাজামা-পাঞ্জাবী পড়ে লম্বা লম্বা পা ফেলে হাফেজ শাহাদত মসজিদের দিকে হাঁটতে থাকে। ভাবে চাকরীটা হয়ে গেলে টাকা জমিয়ে একদিন সে বিদেশ চলে যাবে। গিয়ে আর কোনদিন ফিরে আসবেনা, প্রয়োজনে নিজের নাম পরিচয়ই পালটে ফেলবে।
অন্যান্য দিন ফজরের নামাজে টেনেটুনে দুই কাতার মুসুল্লি হয়, আজ তৃতীয় কাতারও হাউসফুল। সবুজ পাগড়ী পড়া বেশ কয়েকজন অপরিচিত লোক দেখা যাচ্ছে। সবাইকে কাতার সোজা করতে বলে ইমাম সাহেব জোরে জোরে আকামত বলতে থাকেন। হাফেজ শাহাদত সব মনোযোগ এক করে নিঁখুত উচ্চারণে ফাতেহা শেষ করে । পেছনের কাতারের মুসুল্লীরা গগনবিদারী আওয়াজে আমিন বলে। ফাতেহার পর আরো ধ্যান লাগিয়ে সুললিত কন্ঠে তেলাওয়াত করতে থাকে।
ওদিকে মুহিরে রাডারে ধরা পরে শক্তিশালী এক বুদবুদের উৎস।
হঠাৎ মসজিদ কেঁপে ওঠে। প্রথমে হালকা, তারপর বেশ জোরেসোরেই। শাহাদত বিভ্রান্ত না হয়ে আরো মনোযোগ ঢেলে দেয়, অন্তর থেকে- চাকরীটা তাকে পেতেই হবে। সুরা শেষ করে রুকু, রুকু শেষ করে ধ্যান মগ্ন ভাবেই সেজদায় চলে যায়। এর মধ্যে কম্পন পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। মুসুল্লীরা ভয়ার্ত হলেও কারো কিছু করার নেই, নামাজ ভাঙ্গা যাবেনা কোন মতেই। সেজদায় গিয়ে কোন ধরণের প্ররোচনা ছাড়াই আচানক হাফেজ শাহাদাতের মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়, মনে পড়ে মা আজ সকালের বাজার থেকে টাটকা কিছু বেগুন কিনে নিয়ে যেতে বলেছেন। নিজেকে সামলে নেবার আগেই শাহাদাতকে টেনে ধরে অপার্থিব কোন এক শক্তি,হাত-পা ছড়িয়ে অতল গহবরে হারিয়ে যাবার আগ পর্যন্ত তার মাথায় কেবল বেগুনের কেজি প্রতি দামের ভাবনা খেলতে থাকে।
এদিকে দশ সেকেন্ডের সেজদা দেড় মিনিটেও শেষ না হওয়ায় মুসুল্লীরা উসখুশ করতে শুরু করলেন। অতি উৎসাহী একজন আর সইতে না পেরে মাথা উঠিয়ে ইমামের জায়গায় কাউকে না দেখে চিৎকার দিয়ে উঠল---‘ হায় হায় আমাগো হাফেজ সাবে কত বড় কামেল মানুষ, নমাজের মধ্যে গায়েব হইয়া গেছে!’
দৈনিক ‘ শাঁখের করাত’ পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার সাইফুর রহমান ফোনে খবর পায় তার মহল্লাতেই মারাত্মক খুনাখুনি শুরু হয়ে গেছে। পড়িমড়ি করে মটর সাইকেল স্টার্ট দিয়ে মোড়ে আসতেই দেখে খুন টুন কিছু না, পাড়ার একমাত্র আন্তঃজেলা মাস্তান গাল কাটা জুম্মন মুদীওয়ালা রইসুদ্দিনকে বিদ্যুতের খাম্বার সাথে বেঁধে বৃষ্টির মতো চড়-চাপড়ে ব্যতিবস্ত করে তুলেছে। খুন খারাবীর কথা শুনে ভয় খেয়ে আসার আগে সে স্থানীয় থানায় ফোন করে এসেছে, পুলিশ চলে আসবে যে কোন সময়ে। খামচিতে রইসুদ্দিনের গাল ছড়ে দিয়েছে জুম্মন, সামান্য হলেও রক্তপাত হচ্ছে । গাল কাটা জুম্মন আবার তার জিগরী দোস্ত, এককালে কোলকাতায়ও মাস্তানী করত –‘ ধুরন্ধর গোপাল’ ছদ্মনামে।
স্টার্ট না থামিয়েই সে চিৎকার করে জুম্মনকে পুলিশ আসার খবর দিয়ে মটর সাইকেলে উঠে বসতে বলে। জুম্মন রিমান্ডের ডলাকে বড়ই ডরায়, সে কথা না বাড়িয়ে পেছনে উঠে বসতেই সাইফুর ঝড়ের গতিতে মহল্লা পেরিয়ে বড় রাস্তায় উঠে আসে। জ্যামে আটকা পড়তেই জুম্মন প্রশ্ন করে-
‘কী রে, রাইছুরে এমুন কুত্তা পিডান দিতাছিলি ক্যান? কী করছে হালায় ?’
-‘আরে কইস না, হউড়ের পুতে কইল ওর একটা শালী আছে। ইডেন কলেজে পড়ে। আমার লগে আলাপ করাইব কইয়া ঐদিন ঠাইসা ভুনা খিচুড়ি খাইল আমার পয়সায়। সব শিখায়া পড়াইয়া দিলাম, কইলাম গাল কাটা জুম্মন শুনলে ভিলেন ভিলেন লাগে, আমার নাম কিন্তু ধুরন্ধর গোপাল। আর শালায় শালীর কাছে গিয়া আসল নাম ভুইলা গিয়া কইল ধুর্বাল গোলাপ । পুরা মহল্লার মাইয়ারা আমারে দেখলেই গোলাপ কইয়া ডাকে আর হেচকি তুইলা হাসে। আমার মান-সম্মান আর কিছু বাকী থাকলনা।’
‘বাদ দে এইসব । পাব্লিক পিটাইয়া কী আর শালী পাবি। তার থিকা একটা গান ধর। গান গাইলে রাগ পানি হইয়া যাইব’।
বাংলা সিনেমার গান ধুগোর খুব প্রিয়। সে উদাত্ত কন্ঠে গেয়ে ওঠে- ‘চাকভুম চাকভুম...চাদনী রাতে...কিছু বলব তোমায়...’
মুহির রাডারে আরেক কম্পন ধরা পড়ে। মটর সাইকেলের গতির সাথে পাল্লা দিয়ে গানের আওয়াজের মাত্রা বাড়তে থাকে। প্রচন্ড ঝাঁকুনিতে সন্ত্রস্থ ঢাকা শহরের এক ব্যস্ত রাস্তার লোকজন হঠাৎ লক্ষ্য করে চালক বা যাত্রীবিহীন একটা মটর সাইকেল পথের মধ্যে পড়ে আছে, আশে পাশে কেউ নেই। চাকা তখনও ঘুরছে।
(আগামী পর্বে সমাপ্য)
মন্তব্য
বিয়াপক ফাটাফাটি হইসে মামুন ভাই, আমরা আইসা পড়ায় স্বস্তির শ্বাস ফেললাম, যারা আসে নাই, তারা তো এখন ভয়ে ভয়ে থাকবে, কার ঘাড়ে কি নাইমা আসে, এই ভয়ে
চলুক বস, আরো ক্যেক পর্ব হউক
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আসলে লেখাটা বড় করার ইচ্ছা ছিল, অনেক কিছু কাট ছাট করতে হয়েছে। ব্লগে লেখার সীমাবদ্ধতা অনেক, লেখা বড় হলে অনেকের পড়ার ধৈর্য থাকেনা। আসলে আমিও সেই দলে
হাহাহাহহাআহাহাহাহহাআহা... ধুর্বাল গোলাপ...
পরের পর্ব কবেএএএএএ?
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আসবে আপু, দেরী হলে মাঝে মাঝে খোঁচা দিয়ে মনে করিয়ে দিও
জায়গা দখল করলাম।
আপডেট:
বালক ও বালিকার কাছে হেরে গেলাম
আমিও----
শুভ জন্মদিন বস
প্রথম পর্বটা পড়া হয় নাই। তাই এটাও এখন পড়লাম না। শেষপর্ব পড়ে একবারে কড়া সমালোচনা করবো... হুশিয়ার থাকিস...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ মামা হুশিয়ার তো আছি ই, তোর নামও চলে আসছে লেখায়। হুশিয়ার থাকতেই হবে!
তাজ্জব কারবার--!
আমি ছিলাম দুই -তে, পিপি দা ছিল এক- এ---এখন দেখি দুম কইরা আমি চাইর-এ----!!!!
চিন্তায় পড়লাম
দেখেন আমার কমেন্ট আপডেট করছি
দেখলাম--কিন্তুক বুঝলাম না---
উপর থাইকা নামাইলো কেমনে??
আমি গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি-----
ওরা হাচল তো, সচল হওয়ার জন্য কত প্রচেষ্টা.. সবার আগে কমেন্ট করা, সবার আগে রিপ্লাই দেয়া। কিন্তু ওদের কমেন্ট আবার মডুরামদের হাত ঘুরে প্রকাশ পেতে সময় লাগে তো, তাই আমরা দুজনেই ভেবেছিলাম আমরাই বোধ হয় প্রথম ও দ্বিতীয়। কিন্তু আমরা ভাবি এক, মডুরা ভাবে আরেক।
জব্বর বলেছেন পিপিদা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এক ক থায় দারুন মামুন ভাই।
অভিনেত্রী এবং গায়িকা শিরিন এইমিকে কি x-files করতে পাঠায় দিলেন?
হ, এর পর সে প্রজাপতি হয়ে পিথিমীতে ফিরে আসবে
কাহিনী তো পুরা সিডরের মতো গতিপথ পরিবর্তন করে এখন অস্ট্রেলিয়ার দিকে। এবারেরটা অন্যরকম ভাল্লাগছে। শেষ পর্বে যদি আমারে না আনছো দোস্ত, তাহলে কিন্তু খবর আছে বললাম। হুম।
হাহা, তোরে আনতে চাইছিলাম, কিন্তু এই খাইস্টা কাহিনীতে তোর মতো ফেরেশ্তা মানুষ কেমনে ঢুকাই তাই ভাবছি
- ঢুকায়ে দেন একটা গায়েবী আওয়াজের সিনে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
লেখা চমৎকার হচ্ছে, যদিও এটাকে কোন ক্যাটাগরিতে ফেলবো সেটা সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত নই।
দেখা যাক সামনে আরো কি কি ঘটে, আরো কে কে আসে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
জাহিদ ভাই, ক্যাটাগরীটা ছিল সাই ফাই, পরে দেখি সাই বাদ পড়ে শুধু ফাইজলামি বেরুচ্ছে কী বোর্ড থেকে। তাই ক্যাটাগরী নিয়েও আমিও নিশ্চিত না।
মারাত্মক...কি হইব কিছুই বুঝতাছি না! আমি নতুন মানুষ...তাই কোনদিকে কে কাটা পড়বে ধরতে পারছিনা...
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আমিও না স্বপ্ন হারা, সামনে কী আসবে এখনও ঠিক মতো ভাবি নাই
প্রথম পর্বের চেয়ে অনেক বেশী আকর্ষক হয়েছে মামুন ভাই। প্রথম পর্ব ছিলো মজার- আর এ পর্বে কেমন একটা সাস্পেন্স চলে এসেছে।
... শেষ পর্বের আশায় আছি।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
ধন্যবাদ ভাইডি।
হেহেহেহেহেহে। সেরোম হইতাছে। চালান জোরসে।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
হ, চালামু
অতীব উত্তম।
বেচারা নোয়াখালীর মুয়াজ্জিন বেনামে মইরা গেল।
খালি আপনেই খেয়াল করলেন বস
আমার সিন কনেরে?
তর সিন কনে দেই বুজবার পারতাছিনা। আউল ফাউল কিচ্ছার ভিত্রে বাঘ আহে কেমনে?
- ধুরন্ধর গোপাল ওরফে ধুর্বাল গোলাপ যতুদূর জানি একটা চিকেন বার্গার, একটা চীজ বার্গার আর এক কাপ ক্যাপুচিনো আকীকা দিয়া নামটা লইছিলো। এই আকীকা দেওয়া নামটার বেহাল দশায় শৈল্পিক রূপ দেয়ার ইন্টারগ্যালাক্টিক ষড়যন্ত্রে আমি মাননীয় ধুগো তীব্র পেত্তিবাদ জানাইলাম। জাকাজা হইতে যুগ্ম মহাদেশীয় বিবৃতি আসিতেছে। খাড়ান...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হায় হায়, প্রথমে এভাবে চিন্তা করিনি; এখন পেত্তিবাদ পড়ে মনে হচ্ছে "ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাইনা" অবস্থা।
মাননীয় ধুগোকে সীটবেল্ট পরিধান করে এই গল্পের পরবর্তী পর্ব পড়ার আগাম অনুরোধ করা যাচ্ছে।
হুমম, ভালোই। দেখি শেষ পর্বে সবকিছু কোথায় গড়ায়।
যদিও নামকরণের স্বার্থকতা এইবারও বুঝলাম না।
ধর্মপুত্র ক্লুভার বুচি এক ধরনের জটিল মস্তিস্কের রোগ। এতে আক্রান্ত মানুষ পাগল হয়ে যায়না তবে, অস্বাভাবিক সব কীর্তিকলাপ করে থাকে। নামটা আসলে আমাদের সচলের সম্মানিত হাতুড়ে ডাক্তার সাইফ তাহসিনের দেয়া
হায় কপাল... রউফ বংশে হুজুর... তারা আবার মনুর নাতির বজ্জাতি সহ্য করবে... নাহ, আপনে মানুষ ভালা না...
রউফ সাহেবকেও আগামী পর্ব পড়ার প্রাক্কালে সীটবেল্ট পড়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে
হ, এই পর্ব আরো জমছে মামুন ভাই ! চলুক...
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ রণদা।
অনেক আগেই দেখে রাখসি যে, এইটাও একটা অসম্পূর্ণ লেখা। আগামী পর্বে পুরাটা শেষ হোক, তারপর তিন পর্ব একসাথে পড়ব।
নতুন মন্তব্য করুন