বিছানায় হেলান দিয়ে রাশেদ কলম কামড়াচ্ছে। নতুন ধরনের এক ছোট গল্পের প্রতিযোগিতায় লেখা জমা দেবার শেষ দিন কাল । গুনে গুনে একশ’শব্দের মধ্যে লেখার নিয়ম। গল্পটা মাথায় আছে কিন্তু কলমে আসছেনা। খুব ব্যতিক্রমধর্মী কিছু হওয়া দরকার, একেবারে পাঠকের মাথায় বাড়ি দিয়ে দিতে হবে। আজকাল সাপের কামড় খেলেও লোকে মরেনা, স্বাভাবিক খাবারেও খিদে মেটেনা, কুড়ালের জাউ ভালো পায়। রাশেদ ঝুঁকে পড়ে মেঝে থেকে কলমের মাথাটা খুঁজে নেয়। নরম সরম মাথা কামড়াতে আরাম বেশি। বেশ কয়েক লাইন লেখার পরে থামে, পড়ে মনে হয় কিছুই হয়নি।
পাশ থেকে স্ত্রী বলে -‘ শেষ হয়নি? কয়টা শব্দ হয়েছে?’
রাশেদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে- ‘ সাতানব্বইটা’
মন্তব্য
হা হা হা। দারুণ তো! গুনলাম না, কিন্তু আমার ধারণা এই গল্পেও সাতানব্বইটা শব্দই আছে
হ এক বিশিষ্ট ছড়াকার বন্ধুর পিডা থেকে বাঁচতে এই ফালতু লেখাটা দিলাম। উনার ধারণা ছবি ব্লগের নামে আমি ফাঁকিবাজি মারতেছি। এদিকে উনি নিজে আধখান ছড়াও লেখান নাই চৈত্র মাসের পরে।
ফাঁকিবাজীর দুর্নাম থেকে বাঁচার জন্য এই সাইজের লেখা দিসেন! আপনে ভাই ফাঁকিবাজী লেখাই দ্যান তারচেয়ে।
আমিও ধর্মপুত্রের সাথে খানিকটা একমত
বন্ধু হয়েও বন্ধুর ফাঁকিবাজি প্রচেষ্টার সমালোচনা করায় ধর্ম্মপুত্র আর প্রহরীর আই পি সহ ব্যাঞ্চাই
- বিডিআরের আইপি ব্যান কইরা লাভ নাই। ব্যাটা প্রক্সি দিয়া ঢুকবো। তার চাইতে তারে চারুকলায় ব্যান করেন। মইরাই যাইবো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এইটা অণু না পরমাণু গল্প হইসে।
স্টীলের চেয়ার শাহেনশাহ, স্টেইনলেস স্টীল! পারমাণবিক চেয়ার!!
বস, এক্কেরে সেরম হইসে----!!
ধন্যবাদ বস।
ঝাক্কাস...
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
ধন্যবাদ টুটুল ভাই
কুয়েতি মারহাবা। লাকি লম্বর লাইন্টিসেবেন।
ধন্যবাদ বস।
বস, জটিলস্য জটিল, আপনে মিয়া সুপার কোপা শামসু, গুইনা গুইনা ৯৭ টা কোপ দিসেন, বিগ বস!!!!!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সেরাম...
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সেরাম লাগল......
গল্পের নামকরণ ৯৭ ভাগ স্বার্থক।
#ওসিরিস
হেহে তাও তো অনেক! ধন্যবাদ ওরিরিস।
মামুন ভাই আপনিতো অনুগল্পে গিনিস রেকর্ড ভঙ্গ করি ফেললেন, আসলেই সেরাম হয়েছে।
সত্যি নাকি প্রজাপতি?
তোমার প্রজা- তোমার পতি
আজকাল সকলেই অণুগল্প লেখতাসে...। আপনি দেখি পরমাণু গল্প দিয়া দিলেন।
...
দাঁড়ান , একটা প্রোটন গল্প খাড়া করাই তাড়াতাড়ি।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
হ, শব্দশিল্পী হাত দিলে সব কিছুই সম্ভব!
খাড়া... আমি একটা পরমাণু গল্প লেখি-
"নজরুল ইসলাম ভাবে সে বড় হয়া মামুন হক হবে... সেই ভাইবা সে আরো ভাবতে থাকে। তারপর ভাবে এতো ভাইবা লাভ নাই, অফ যা ব্যাটা..."
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হা হা হা --নজু ভাই---এইটা জোশ
এইটা নিউট্রন গল্প না---এইটা কোয়ার্ক গল্প হইসে
আরে দাঁড়ান, আমিও একটা লেখি...
লেখছি তো উপরে, কেউ দেখতে পান না?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভাব লছ মামা? আমি এই জন্মেও আদ্ধেক নজ্রুলিস্লাম হইতে পারুম না।
বউরা তাইলে গল্প বোঝে না
খালি গল্পের শব্দ সংখ্যই বোঝে?
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বউরা কী বোঝে আর কী বোঝেনা সেইটা বুঝতে পারলে তো হইছিলই লীলেনদা।
তৃতীয় বিবাহ বার্ষিকী সামনে, এখনও বোঝাবুঝির এবিসিডিতে আছি তবে সব বুঝে ফেললে আবার বিবাহের টেস থাকেনা শুনছি।
হ...মেট্রিক পরীক্ষার ইংরেজি প্যারাগ্রাফ লেখার কথা মনে করাইয়া দিলেন...
বউরে ঝাড়ি দিয়া ৩টা শব্দ বাড়াইয়া লন...
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আচ্ছা দিলাম- ' স্বপ্নগুলো হারিয়ে ফেলনা।'
আমিও একটা গল্প লিখবো, শিরোনামেই গল্প, শিরোনামেই শেষ। গল্পের পেটেন্ট আগেই করিয়ে রাখলাম কিন্তু। হুম।
লিখ মামা, বউ বাচ্চা আসার পর তুমিতো দিন দিন ডুমুরের ফুল হয়ে যাচ্ছ
লেখাটি পড়ে হাসলাম অনেকক্ষণ! ভেরী ক্লেভার স্টোরী!
ভালো লাগলো সেটা কি আবার আলাদা করে বলতে হবে নাকি?
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
ধন্যবাদ জাহিদ ভাই।
এইটা আসলে বড় একটা গল্প দেবার আগে একটা ওয়ার্ম আপ। কাজেই সবাই রেডি।
দারুন হইসে মামুন ভাই। কেমন জানি হেয়ালি ভরা। আমি আরেকটু হইলে শব্দ গোনা শুরু করতেসিলাম আরকি। দেখলাম এই কাম আগে অন্যরা করসে। তাই বাঁচোয়া।
রিয়াজ ভাই , কেমনে বুঝলেন? গত দশ দিন যাবৎ মাথা আউলা হয়ে যাচ্ছে গল্পের হিজিবিজিতে, একটা লেখা ধরতেই আরও দুইটা কামড় বসায়। শেষ পর্যন্ত কোনটাই লেখা হয়না। দেখি কোনভাবে কিছু নামানো যায় কিনা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিযোগিতা
ঝুঁকে
পরে (পরে = পরবর্তীতে, পড়ে = পাঠ করে)
বেশি
উদ্ধরণ চিহ্নের পর স্পেস হবে না। একটার আগে কমা দেখা যাচ্ছে না।
লেখা তো ভালোই লাগলো, কিন্তু সাতানব্বই শব্দের লেখায় ভুল থাকলে চলে? এই মন্তব্যের পর গল্পের বাকি তিন শব্দ অবধারিতভাবেই নিমরূপঃ
"ইশতি, অফ যা!"
অণুগল্পের জোয়ারটা দারুণ, কিন্তু এখন কেনো জানি ভালো লাগছে না আর। অনেক সম্ভাব্য বড় গল্প এখন স্রেফ অণুগল্প (নাকি প্লট-আউটলাইন?) হয়েই আলোর মুখ দেখছে। গল্পের বুনন একটা অনন্য ব্যাপার। সেই দিকটা চমকের প্রতি অতি-আকর্ষণে হারিয়ে যাচ্ছে।
ইশতি ভ্রাতঃ অনেক ধন্যবাদ। বানানগুলা ঠিক করে দিচ্ছি।
আক্তারাম্মেদের দোষ, সে এই লেখাটা আগে পড়ছে, কিন্তু বানান ঠিক করে দেয় নাই
আক্তারাম্মেদের জন্য দারুণ একটা শাস্তি মাথায় এলো!!
"ছড়ায় ছড়ায় বানান শিক্ষা"
সাধারণ বানান-প্রমাদগুলো নিয়ে ছড়াকাররা দু'চার লাইনের শব্দবন্ধ তৈরি করলে দারুণ হয়। মুখে মুখে ছড়া এবং বানান ছড়িয়ে থাকবে। পারবেন না আক্তারাম্মেদের পেছনে লেগে থেকে কাজটা করিয়ে নিতে?
মাইর ধইরে কাজ হইলে একলা পারতাম, ও আর মৃদুল দুইজনেই দুবলা পাতলা। কিন্তু মাইর খাইয়া যদি কয় , 'দেহ পাবি মন পাবিনা , ছড়াও পাবিনা'- তখন কী করা? তার চেয়ে সবাই মিলে অনুরোধ-উপরোধ করে রাজী করানো যায় দেখা যাক
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
গল্প ভাল্লাগছে!
ম্যাডাম কি শব্দ ঠিকমতো গুনছিল! কাউন্টার কয় ৯৮ শব্দ!
.................................................................
ঐ যে হাঁটছি মুদ্রা দোষে নাকটা ঘষে
আড্ডা মানেই সেকেণ্ড হাফে খেলছি সোলো
গুজবো না শার্ট আমার পাড়া স্মার্ট পেরিয়ে
সে রোদ্দুরের স্মরণ সভাও লিখতে হল
পান্থ অফ যা!
এইটা একটা ক্লাসিক অনুগল্প হয়েছে।
এমনে শরম দিতে আছে ভাইজান?
মানে গল্পটা শুরু হতে যাচ্ছিল...........
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
গল্পটা জানি ক্যামুন! ভাল্লাগছে।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
মামা - সচলায়তনের পাঠকদের ভদ্র পাইয়া আব-ঝাপ লেখলেই হইবো নাকি? কলি কাল আইহা পরলো দেখা যাইতেসে - শেষ কালে মামার এই অবনতি - অক্ষর গুইনা লেখালেখি. অন ডিমান্ড লেখার মান আর কি বা হইতে পারে - কম লেখেন অসুবিধা নাই - তাই বইল্লা এই জিনিস? বাকি পাঠকদের মন্তব্য সেরকম - পুতুপুতু ছাড়া কথা নাই. এই লেখার জন্য ৪ তারা কে দিলো? *******!
রাবণভুদাই ভাইগ্না আমার, এমুন ঠাস ঠাস কথা কস দেইখাই তো তোরে আহ্লাদ দিয়া মাথায় উঠাইছি আমিও তাজ্জুব এই লেহাডায় চাইর ভুট দিল কে? পাঁচে পাঁচ না দিলে মামার ইজ্জত থাহে?
খুব ভালো লাগল!! কেমনে পারেন এভাবে!! আমিতো গল্প লিখতে গেলে লেজেগোবরে অবস্থা হয়ে যায়!!
গল্পের আইডিয়াটা ভালো লেগেছে। লেখার ধরণ মোটামুটি। শব্দ সংখ্যা আরো কমিয়ে কিংবা বর্ণনার ধরণে পরিবর্তন এনে মনে হয় গল্পটা আরো টান টান করা যেতো। বদ্দার একদম ছোট চারটা অণুগল্প ছিলো অণুগল্প সংকলন "দিয়াশলাই"য়ে। অসাধারণ! সেই ধরণের গল্প দেখিনা তেমন সচলে। আপনার গল্প অনেকটা সেই স্বাদ এনে দিলো।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
অনেক ধন্যবাদ অমিত। আপনার কাছে শুনে দিয়াশলাই খুঁজে বের করে পড়লাম। রীতিমতো চমকে দেয়ার মতো বেশ কিছু গল্প আছে সেখানে। সব পড়ে শেষ করতে পারিনি যদিও। আসলে না বুঝে ঝোঁকের মাথায় লিখে ফেলেছি। এর পর থেকে ধনুকের ছিলার মতো টান টান করে লেখার চেষ্টা করব
এক কথায় বইলা দিই- গল্পটা ফাটাফাটি লাগছে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
পরিবর্তনশীল আমার গল্প-গুরু। তার কাছে ভাল্লাগলেই আমি খুশী
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
১০০তে ১০০!
- আমার যেদিন বউ হবে, যেদিন আমার পাশে সেও শুয়ে থাকবে, সেদিনই ঠিক করবো এটা আসলে গল্প হয়েছে কীনা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন