এই ধরনের রোদকে ঠিক কী নামে ডাকা যায় জাতীয় একটা দার্শনিক ভাবনা মনের মধ্যে দানা বেঁধে উঠছিল। কাঠফাটা, না পিচগলা না কাঁঠাল পাকানো কোনটা শুনতে বেশি ভালো শুনাবে ভেবে ওঠার আগেই ট্রাফিক সিগন্যালটি গনগনে আগুনের গোলার মতো রক্তচক্ষু করে রাস্তার সবাইকে থামিয়ে দিল। জেব্রা ক্রসিংয়ের উপর উঠে যেতে যেতে থেমে গিয়ে আমিও পালটা রক্তচক্ষু হেনে লাইটটির বর্ণ পরিচয় ভুলিয়ে দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টায় নিজেকে আরও বিক্ষিপ্ত করে তুলি--অযথাই। সময়ে মেওয়া ফলে, সবুজ মেওয়াকে চাইলেই কিলিয়ে লাল করা যায়না, আর আমিতো লাল বাতিকে চোখের আগুনে পুড়িয়ে সবুজ করার চেষ্টা করছি। এখানে কী বিষে বিষক্ষয় থিওরীটা খাটবে? মনে হয় না । কোনটা বেশি বিষাক্ত? আমার রাগী নির্মম চাহনি না বৈজ্ঞানিক মেকি আলো ?-সে প্রশ্নের মীমাংসাইতো আজ পর্যন্ত করা হলোনা। আচ্ছা আজ সকালে এই বাতিটার জীবন কীভাবে শুরু হয়েছিল? রক্তচোখে না শ্যামল ছায়ায়?
এইসব হাবিজাবি ভাবতেই—আমার এই এক বদঅভ্যাস চিন্তার কোন নির্দিষ্ট প্যাটার্ন থাকেনা, একটা কিছু নিয়ে ভাবতে হাত-পা ছড়িয়ে ভাবনার শাখা-প্রশাখা দশ দিকে চলে যায়। কথা বার্তারও একই ছিরি। কী যেন বলছিলাম? ও হ্যা...এইসব নিতান্ত গাছ-পাথর ছাড়া বিষয় নিয়ে ভাবতে ভাবতেই মেয়েটার উপরে আমার চোখ পড়ে-নিজের অজান্তেই। আটপৌরে কোন মেয়ে নয়, যেন কসমো ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ থেকে উঠে আসা এক ...কী যেন বলে ওদের...ঐ পণ্য বিকিকিনির চলমান বিল বোর্ড আর কী ।
পরনে সাদা-কালো ডোরাকাটা মিনিস্কার্ট , গায়ে আটোসাঁটো কালো টপ, মুখের অর্ধেক ঢাকা বিশাল রোদ চশমায়, চনমনে গোলাপী ঠোঁটে যেন চৌম্বকক্ষেত্র বসানো, কাধে চওড়া বেল্টের ব্যাগ, ব্রোঞ্জ রংয়ের সুডৌল লম্বা পা , পায়ে চমৎকার ছাটের হাই লেগ বুট। চোখ ঝলসানো ব্লন্ড চুলের ঝর্নায় আমার চোখ আটকে গেল, অথচ চুলের দৈর্ঘ বড়জোড় কাঁধ ছুইঁ ছুঁই। এটাকে কী ব্লন্ড বলে যেন?...হানি ব্লন্ড, না স্ট্রবেরী? নাকি পেইল ব্লন্ড?
পথ চলার নিয়মের গণ্ডিতে আটকে পড়া ক্লান্ত, তিতিবিরক্ত যাত্রীদের জন্য এ যেন মেঘ না চাইতেই এক পশলা উত্তেজনা। মেয়েটা বোধহয় টের পাচ্ছিল আমার নির্নিমেষ তাকিয়ে থাকা , টাইমারে ঠিক ত্রিশ সেকেন্ড বাকী থাকতেই সে জেব্রা ক্রসিংয়ের উপর দিয়ে হাঁটতে শুরু করল। হন্তদন্ত হাঁটা নয়, তাড়াহুড়া নেই, সময় থেমে আছে-থাকবে , কেবলই তার জন্য--এমন তার চলার ভঙ্গী । রূপসী মডেলদের ক্যাট ওয়কের মতো , নির্বিকার ভাবে হাঁটছিল সে। আত্মবিশ্বাস ঠিকরে বেরোচ্ছে প্রতিটি পদক্ষেপে, তার সপ্রতিভ সৌন্দর্যের সারল্য আমাকে আকৃষ্ট করে, নাড়িয়ে দিয়ে যায়। লম্বা পা দু’টোর মূর্ছ্বনার দিকে তাকিয়ে চটুল একটা কথা মনে পড়ে গেল—ছেলে আর মেয়েদের ক্রিকেটের মধ্যে পার্থক্য কী?- ইন মেনস ক্রিকেট দেয়ার ইজ আ শর্ট লেগ ইন বিটুইন টু লং লেগস অ্যান্ড ইন উইমেন’স ক্রিকেট দেয়ার ইজ আ গালি ইন বিটুইন টু ফাইন লেগস।
তীব্র হর্নের শব্দে সম্বিত ফিরে এল। বহুরূপী ট্রাফিক সিগ্ন্যাল কখন রূপ বদলে নিয়েছে টের ও পাইনি। আজকাল মানুষের ধৈর্য্য এত কম! আপন মনে গজ গজ করতে করতে অ্যাক্সিলেটর দাবিয়ে দেই। মেয়েটা ততক্ষনে রাস্তা পাড়ি দিয়ে জনারণ্যে মিশে গেছে।
আজ আমাদের একটা বিশেষ দিন। জুলিয়াকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে এসেছি। ইতালীয়ান রেস্তোঁরা। ছিমছাম, নিরিবিলি। জানালার পাশের এক টেবিলে বসলাম। জানালার ওপারে রেস্তোঁরার বর্ধিত অংশ। সারি সারি নিঃসঙ্গ আসবাবে সাজানো। চমৎকার রুচির ছাপ সব খানে।
জানালার ওপারে আরেক প্রেমার্ত যুগল। খল খল করে হাসছে, কল কলিয়ে কথা বলছে। জুলিয়া বলছিল পর পর কয়েক রাত্রে দেখা একই স্বপ্নের কথা। মনোযোগ না দিলে রসুন-রুটি ছুড়ে মারতে পারে , ঘাড় ঘুরিয়া তার চোখে চোখ রেখে কথা শুনতে যাচ্ছিলাম। বেখেয়ালে হয়তো মাথা কয়েক ডিগ্রী বেশি ঘুরে গিয়েছিল। বাম দিকে চোখ চলে যাওয়ায় মারাত্মক ভাবে চমকে উঠলাম। সারা ঘর আলো করে ছোট একটা অংশ জুড়ে একা বসে আছে দুপুরে দেখা জেব্রা ক্রসিং এ ক্যাট ওয়ক করা সেই রহস্যময়ী। আমার মাথাটা পুরাই আউলা হয়ে গেল।
জুলিয়া বক বক করেই চলেছে...প্রায় প্রতিরাতেই স্বপ্নে দেখে কে যেন এক বালতি রঙ হাতে ধরিয়ে দিয়ে তাকে আকাশটা রাঙিয়ে দিতে বলেছে। মস্ত একটা তুলি হাতে নিয়ে সে যতই আকাশকে ছুঁয়ে দিতে চায়, আকাশ ততই দূরে সরে যায়। হাঁচড়ে পাঁচড়ে মেঘের উপরে উঠলে পরে আকাশ হাতের নাগালে বলে মনে হয়, কিন্তু দাঁড়াতে গেলেই মেঘ গলে সে পড়ে যেতে থাকে...প্রতিবারই। পড়তে পড়তেই তার ঘুম ভেঙে যায়...প্রচন্ড পিপাসা বুকে নিয়ে।
পিপাসার কথা শুনে আমারও পিপাসা পেল। ওয়েট্রেসকে ডাকার অজুহাতে মেয়েটাকে আরেকবার দেখে নেই। তার পর থেকে ঘন ঘন সেদিকে চোখ যেতে থাকে, শুরুতে বাধ্যগতের মতো ত্রিশ সেকেন্ডের বিরতিতে- তার পর আর কোন বিধি নিষেধ মানল না। প্রতি দৃষ্টিপাতেই আমার মুগ্ধতা ধাপে ধাপে বাড়তে থাকে, এই মেয়েকে আমার জানতে হবে।
কানের কাছে তখনও কথা বলেই চলেছে জুলিয়া, তবে আমার দিকে তাকিয়ে নয়। জানালার ওপারের ছেলে-মেয়ে দু’টিকে নিয়ে। ঠিক করে বলতে গেলে ওদের অঙ্গভঙ্গী , চোখ বা হাতের কারুকাজ সব কিছুই ওর সমালোচনার কারেন্ট জালে আটকা পড়ছে।
“দেখ দেখ ছেলেটা কীভাবে মেয়েটার দিকে তাকাচ্ছে...এই মাত্র আবার মেয়েটার গ্লাসে ওয়াইন ঢালল। সামওয়ান ইজ হোপিং ফর সাম অ্যাকশন টুনাইট...হিহিহি”
আমার কানে প্রায় কিছুই ঢুকছেনা। মেয়েটাকে আর দেখতে পাচ্ছিনা। ও কি চলেই গেল কিনা জানারও উপায় নেই। কখন মনের ভুলে চোখ সরে গিয়েছিল, কোন দুঃখে কে জানে? উৎকন্ঠা গলা চেপে ধরার আগেই মেয়েটাকে দেখি টয়লেট থেকে বেরিয়ে আসতে। কিন্তু আর বসলনা--আমার দিকে নির্বিকার মুখে একবার তাকিয়েই টেবিল থেকে বিল উঠিয়ে নিয়ে কাউন্টারের দিকে চলে গেল। আমি হাসের মতো ঘাড় লম্বা করে দেখি আরও বেশ কয়েকজন খদ্দের কাউন্টারে অপেক্ষায়। আমার হাতে হয়তো বড়জোর পাঁচ মিনিট সময় আছে মেয়েটার সামনে যাবার, ওকে ইতিমধ্যেই দু’বার হারিয়েছি, আর হারাতে চাইনা।
আমি হঠাৎ দুই হাতে মাথা চেপে ধরে অস্ফুটে বলি- ‘ আহ, মাথাটা মনে হয় ছিড়ে যাচ্ছে, আমি...আমি বোধ হয় কিছু অনুভব করতে পারছি’।
আমার কথা শুনে জুলিয়া দারুন উত্তেজিত হয়ে পড়ে। হয়তো এই সাময়িক উত্তেজনাটুকুর জন্যই ও আমার সাথে লেগে আছে।
-‘কী দেখছ, বলো তাড়াতাড়ি। কাদের নিয়ে?’
ও হ্যা এতক্ষন বলিনি আপনাদের, আমি মানুষের মনের কথা পড়তে পারি। কেউ টের পেয়ে গেলে বলি যে এটার উপরে আমার কোন নিয়ন্ত্রণ নেই, আমি কল্পনায় কিছু দৃশ্য দেখি যা বাস্তবের সাথে অনেক সময় মিলে যায়। এটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাকতালীয়। যদিও ব্যাপারটা আসলে তেমন না। আমি চাইলেই কারও মনের মধ্যে ঢুকে পড়ে তার চিন্তা-ভাবনা-স্মৃতি সব খোলা বইয়ের মতো পড়ে নিতে পারি। কিন্তু এটা প্রচন্ড কষ্টকর , আমার মনের উপর সাংঘাতিক চাপ পড়ে যায়, অনেক সময় আমি অন্যের চিন্তার গোলক ধাঁধাঁয় নিজের চিন্তাকে হারিয়ে ফেলি। আমি সহসা এই ঝামেলায় যাই না। না জানার মাঝে জানার চেয়েও অনেক বেশি আনন্দ আর সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে।
“ছেলেটির নাম মাইকেল, বয়স ৩১, আইটি কনসালটেন্ট। মেয়েটি লিন, বয়স ২৬, সেলস রেপ। ওরা তিন মাস হলো ডেট করছে। আজ রাতেই প্রথম লিন মাইকেলের বাড়ীতে রাত কাটাবে। এই জন্যই এত আয়োজন ।”—আমি একটানে বলি, ফ্যাস ফেসে কন্ঠে।
আমার কথা শেষ হতে না হতেই জুলিয়া ছুট লাগায়। তবে শান্ত ভঙ্গীতে। খুব আলাপী ও, মাইকেল আর লিনের কাছে গিয়ে আলাপ জমাতে সমস্যা হবেনা। আর এর মাঝে যাচাই করে নেবে আমার দেয়া তথ্যগুলো। প্রতিবারই নেয়, আর প্রতিবারই হাসিমুখে ফিরে আসে, আর সে রকম প্রতিটা রাতেই আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় মেঘ ছাড়িয়েও অনেক উপরে। অস্বাভাবিক সব কিছুই জুলিয়াকে প্রচন্ডভাবে উদ্দীপ্ত করে।
আমিও উঠে হেঁটে যাই কাউন্টারের দিকে।
রাইসা, মেয়েটার নাম। বেলারুশের মেয়ে। ভাষাতত্ত্ব নিয়ে পড়ছে, আর পার্ট টাইম মডেল। না এগুলো আমি ওর মনের জানালা খুলে জানিনি, ও নিজেই জানিয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি কোনভাবেই আমি ওর অজান্তে কিছু জেনে নেয়ার চেষ্টা করব না। আমি ওকে জানব, বুঝব, পড়ব আর দশ জনের মতো করেই। রয়েসয়ে, তারিয়ে তারিয়ে।
রাইসার সাথে ভাব হতে খুব একটা সময় লাগেনি আমার। আজ আমার নিমন্ত্রণ ওর বাড়ীতে। রেড ওয়াইন কিনেছি এক বোতল। মনে বলছে রেড ওয়াইন ওর প্রিয়।
ভাবলেশহীন মুখে দরজা খুলে দিলে রাইসা, আমি হাসি মুখ আশা করেছিলাম। খানিকটা আলুথালু বেশে দেখব বলে কল্পনা করে রেখেছিলাম, কিন্তু প্রথম দিন ওকে যে পোষাকে দেখেছিলাম আজও সেটাই পড়া। এমন কী ঘরের মধ্যেও বিশাল রোদ চশমাটা পড়তে ভোলেনি। আমার কল্পনা সব ভুল প্রমানিত হলেও আজ আমি চিট কোড ব্যবহার করব না--কিছুতেই।
চমৎকার গোছানো ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্ট। এই ফ্লোরে কেবল লিভিং রুম আর কিচেন বলে মনে হচ্ছে, আর একটা টয়লেটও আছে। দেখতে দারুন তুলতুলে আরামদায়ক সোফা, ওখানেই বসলাম আমরা।
চারদিকে চোখ ঘুরিয়ে দেখছি। সব দেয়াল জোড়া রাইসার ছবি। বিভিন্ন ভঙ্গীতে, আমি মুগ্ধ হয়ে দেখতে লাগলাম। কখন যে উঠে দাঁড়িয়ে দেয়ালের কাছে গিয়ে ছবিগুলো দেখতে শুরু করেছি টেরও পাইনি।
‘ড্রিঙ্কস?’- রাইসার কথায় সম্বিত ফিরল।
‘হুইস্কী, নো আইস প্লিজ’- আমি না তাকয়েই জবাব দেই।
‘আমার ঘরে তো কোন হুইস্কী নেই। অ্যালকোহল আমাকে অসুস্থ করে দেয়। আমি শুধু কফি খাই।'
রাইসার দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলাম। রোদ চশমা খুলে ফেলেছে। আমি দেয়ালের ছবি আর ওর বাস্তব অবয়ব এর দিকে কোন পার্থক্য খুঁজে পেলাম না। আমি তো এতদিন ওকেই খুঁজছিলাম। যাকে সব সময়ে, সব প রিবেশে দেখে একই অনুভূতি হবে। আমি ধীরে ধীরে কাছে গিয়ে ওর চিবুক স্পর্শ করি , কাছে টেনে এনে জ্বলন্ত ঠোঁট দুটিতে গভীর একটা চুমু বসিয়ে দেই। রাইসা সারা দেয়, কিন্তু নিজেকে ছাড়িয়ে নেয় একটু পরেই।
‘ছবিগুলো ভালো লেগেছে তোমার?’
-‘খুব।’
‘কোনটা বেশি ভালো লেগেছে?’
আমি এ দেয়াল সে দেয়াল খুঁজে একটা ছবি বের করি। ল্যাপ ড্যান্সারের ভঙ্গীতে রাইসা।
‘ ওটা আমার বিকল্প সত্ত্বা- ইরিনা। আমি আজ তোমার জন্য ইরিনা হব’।
রাইসা আমাকে ধাক্কা মেরে সোফার বসিয়ে দেয়। তার পর নিজেকে অনাবৃত করতে শুরু করে। একে একে সব পোষাক খসে পড়ে। আমি মন্ত্র মুগ্ধের মতো তাকিয়ে থাকি। একেবারে নগ্ন হয়ে আমার দিকে ঝুঁকে পড়ে।
‘তুমি আমাকে ভালোবাসলে কেন? আমাকে কেউ ভালোবাসলেই আমি শীতল হয়ে যাই’।
তারপর আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই রাইসা ওর মাথার পেছনে লুকানো একটা জিপার টেনে খুলতে শুরু করে। সাপের খোলস ছাড়ানোর মতো করেই ও চামড়ার অবয়ব থেকে আলাদা হয়ে যায়। ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে ধব ধবে বরফে তৈরী এক নারী মূর্তি। এখনও সম্পুর্ণ নগ্ন , তবে তুষার ধবল আর প্রচন্ড ঠান্ডা।
অজানা উৎস থেকে ভেসে আসা সুরে মূর্ছ্বনায় ঘর ভেসে যায়। কার গান যেন এটা ? কোস্টারস, না জাস্টিন টিম্বারলেক না কিংস অভ লিওন? আমি আবারও দ্বিধায় পড়ে যাই।
সুরের সাথে তাল মিলিয়ে ইরিনা উত্থান জাগানিয়া ভঙ্গীতে আমার কোলের উপরে নাচতে শুরু করে। কিন্তু প্রচন্ড ঠান্ডায় উত্থান জাগার বদলে আমার পৌরুষ খোলসের মধ্যে লুকানো কচ্ছপের মাথার মতো হয়ে যায়। আমি ইরিনাকে ধাক্কা দিয়ে আমার কোল থেকে সরিয়ে দেই।
ও উঠে পড়ে আমাকে চুমু খায়। ঠান্ডায় আমার ঠোঁট জমে যায়, জিহবা জমে যায়। গলাও ধরে আসে।
আমি কিচেনে দৌড়ে যাই গরম কিছুর খোঁজে। কফি বানানোই ছিল। তখনও ধোঁয়া উঠছে। আমি ঢক ঢক করে গলায় কফি ঢেলে কিছুটা অনুভূতি ফিরে পাই।
সেই থেকে আমিও আর হুইস্কী খাই না, শুধু কফি খাই।
মন্তব্য
আইলা!
কঠিন লেখা। প্রতিটা লাইন পড়ি আর ভাবি এরপর কী - শেষ লাইনটা এমন হবে ভাবতেও পারিনি।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
আপনার লেখাও আমার খুব ভালো লাগে
দারুন লেখা!
এক কোটি তারা দিলাম------!
অনেক ধন্যবাদ বস। লেখাটা একটু তাড়াহুড়া করে শেষ করা। বানান ভুল টুল ও আছে। তার পরেও তোমার ভালো লেগেছে শুনে খুশী হলাম।
চমৎকার! প্রাপ্তমনস্ক লেখা --- আমার খুব ভালো লাগলো ---
অনেক ধন্যবাদ। আপনার উৎসাহ আমাকে প্রেরণা যোগায়। এর মানে হইল প্রাপ্ত মনষ্ক লেখা সামনে আরও আসবে
ব্লন্ডদের এই ক্লাসিফিকেশনের বিস্তারিত ব্যখ্যা দাবী জানাচ্ছি।
কফি খাওয়ার অজুহাতটা বেশ, লুকজন খুব খ্রাপ
আগে বড় হয়ে নে ভাই, তারপর সব জানবি
দারুন !
০
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ধন্যবাদ মানিক ভাই।
নাম দেখে ভাবলাম বুঝি আপনার ভ্রমন-সংশ্লিষ্ট কফি বিষয়ক কোন লেখা হবে হয়ত। (ক্যাটেগরীতে ব্লগরব্লগর শুধু দেখেছি।) যেহেতু কফি আমার প্রিয় পানীয় দ্রুতই পড়া শুরু করলাম। প্রায় শেষর দিকে এসে সন্দেহ হবার পর ফিরে গিয়ে যখন 'ফিকশন' লেখা দেখলাম তখন আপনার ব্যাপারে নতুন করে একটা ধারনা অলরেডি হয়ে গেছে... ভাবছি বদল করার দরকার আছে কিনা?
যাই হোক, ভাল লাগল।
অনেক ধন্যবাদ
ইশশিরে দিল আমার রোজাটারে হালকা কইরা
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
সরি বস লেখাটা রোজার আগেই শুরু করছিলাম, নানা ঝামেলায় দেয়া হয়নি।
আর আপনার মতো মানুষের রোজা এত সহজে হালকা হয় না, সেইটা আমি জানি
হুমমম...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হুমম...আপ্নে কোন দুঃখে এখন খালি মাশ্রুম ভাজা খান সেইটা কইলেন না?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
লেখাটা পড়তে কিছু কিছু জায়গাতে আরাম পেলাম, কিছু জায়গাতে কোথায় যেন টোকা দিল। কিছু বুঝলাম, কিছু বুঝলাম না। তবে এরকম লেখা আরো পড়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে গেলাম...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
মাথা মুন্ডু ছাড়া লেখা তানিম। কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
মোটেই মাথা মুন্ডু ছাড়া না... আমি এই লেখা পড়ে নতুন এক মামুন ভাই এর দেখা পেলাম। এই সুরে আরো লিখেন।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ফাট্টাফাট্টি।
ঘটনার বিবরনে মাংগা ভাব প্রবল।
" তারপর আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই রাইসা ওর মাথার পেছনে লুকানো একটা জিপার টেনে খুলতে শুরু করে। সাপের খোলস ছাড়ানোর মতো করেই ও চামড়ার অবয়ব থেকে আলাদা হয়ে যায়। ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে ধব ধবে বরফে তৈরী এক নারী মূর্তি। এখনও সম্পুর্ণ নগ্ন , তবে তুষার ধবল আর প্রচন্ড ঠান্ডা। "
এইখানে তো মনে হল মতোকো কাসুনাগির কথা পড়ছি। শুধু কালো চুলের জায়গায় সোনালী। গোস্ট ইন দ্য শেল এর কথা মনে আছে না?
খুবই চমৎকার লাগলো ! মিউজিকটাও।
বিষন্নতাও ছুয়ে গেলো কোথায় যেন...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বস গোস্ট ইন দ্য শেল এর কথা মনে ছিল না। তবে চামড়ার আড়ালে বরফের শরীরের কথা কই জানি পড়ছিলাম। ঐটাই মাথায় ছিল। আপনার ভিডুটা দারুন লাগল
মুভিটা দেখলাম - ফাটাফাটির উপর ফাটাফাটি - মুভির ২য পার্ট আছে - চাইনিজে - ডাবিং মুভি দেখতে ভালো লাগে না বলে দেখলাম না.
মামা - তোমার লেখা জটিল থেকে জটিলতর হয়েছে. চিন্তা করতেসি লেখাটা প্রিন্ট করে সোনা দিয়া বান্ধাইয়া দেয়ালে টাঙিয়ে রাখবো - বছর ঘুরে শীত-নিদ্রা থেকে ফেরত এলে পরে তোমার স্টাইল মাইরা লেখার চেষ্টা চালামু
(যারা আমার কমেন্ট বোঝেননি - তাদের জন্য সারাংশ এরকম: মামা = বস)
তুই আমারে জানে মারতে চাস, আপন মানুষ হয়ে ?
এইভাবে প্রশংসা করলে আর খেলে তোর আমার দুইজনেরই পীঠে ছালা বেধে ঘুরতে হবে।
ভালো থাকিস মামা
চাইনিজ? আমার তো মনে হইল জাফানিজ।
মেয়েটার বর্ণনা মারাত্মক লাগল! কিছু কিছু পয়েন্ট পরিষ্কার না। আবার পড়ব। তারপরেও না বুঝলে, আপনি তো আছেনই। তবে দাবি জানাই, এমন গল্প আরো পড়তে চাই।
বানান ভুল আছে কিন্তু বেশ কিছু
বানান ভুল আছে অবশ্যই। আসলে গল্পটা শুরু করে থেমে ছিলাম অনেকদিন। গতকাল তাই জোর করেই একটানে শেষ করলাম। বেশ তাড়াহুড়া করে। বানান ভুলের জন্য দুঃখিত , সংশোধন করে নেব।
অসংখ্য ধন্যবাদ
ভালোই লেগেছে।
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।
অনেক ধন্যবাদ।
শেষ পর্যন্ত লিখলেন তাহলে!
দারুণ, দুর্দান্ত!! ঈর্ষান্বিত! আরো গল্পের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
হুম...সেই কবে তোরে কথা দিয়েছিলাম, তুই লেখা দিলে আমি গল্প দিব । গল্প লেখায় অনেক ঝক্কি মামা, প্রতিভাবান না হলে জোর করে লিখতে অনেক কষ্ট হয়।
দেখি আরও কিছু গল্প আছে মাথায়, লিখে ফেলতে পারি কিনা
দারুণস !
শেষটায় এইরকম চমক থাকবে, একেবারেই ভাবি নাই।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অনেক ধন্যবাদ শিমুল
মারাত্বক গল্প। ফাটাফাটি ।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ধন্যবাদ তাতাপু।
হুম......দুই নৌকায় পা দেয়ার ফল! বেশ হয়েছে!
গল্প দারুন লাগলো, বেশ থ্রিলিং! বর্ণনাগুলোও চমৎকার দিয়েছেন। এমন গল্প আরও লিখুন।
অনেক ধন্যবাদ মৃত্তিকা। আরও লেখার চেষ্টায় আছি , মন বসাতেই অনেক সময় লেগে যায়।
আহারে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দেশে আইতাছি ,কাপ্পুচিনো খাওয়াবি তো ?
ভাল লেগেছে, কেমন আচ্ছন্ন করা।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
অনেক ধন্যবাদ রেজওয়ান ভাই। ভালো আছেন আশাকরি, ভালো থাকবেন
গতানুগতিক নয়, দারুণ গল্প! আসল গল্প শুরুর আগে যে বিস্তর বর্ণনা দিলা তাতে মনে হচ্ছে তোমাকে দিয়ে উপন্যাস লেখা হবে।
হ কইছে। উপন্যাস হবেনা, তবে অপন্যাস হতে পারে।
বস, আবারো প্রমাণ করলেন যে আপনে সুপার বস। বিয়াফক আনন্দ পাইলাম আপনার ভ্রান্ত ধারমার গল্প পড়ে। কোট করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তাহলে পুরাটাই কোট করা লাগবে। লক্ষ কোটি তারা আপনার লেখায়।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সচলে সম্ভাব্য নতুন ডায়লগ "আমিও আর হুইস্কী খাই না, শুধু কফি খাই" পুরাই জটিল
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অনেক ধন্যবাদ সাইফ। তোমার নতুন লেখার অপেক্ষায় আছি।
মামুন... মুগ্ধ!
এমন চমৎকার ভাষাভঙ্গি, সত্যি দারুণ। বর্ণনাতে নিজেকে ছাড়িয়ে গেছিস তুই, সত্যি!
কিন্তু শেষ পরিণতি জমে নি। এটা কি একটা সায়েন্স ফিকশন? না ভৌতিক গল্প? আমি সায়েন্স ফিকশনের অ্যাডভেঞ্চারিয়াস মজাটা পেলাম না! মানে, এই মেয়েটির এই আসল চেহারার আচমকা বের হয়ে আসার মধ্যে কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পেলাম না! বা, ভৌতিক গল্প হিসেবেও চমকে উঠলাম না!
গল্পটা আরেকবার লিখবি?
এই গল্পটা পোস্ট করার আগে আমার সাথে একটু আলাপ করলে খুশি হতাম। শেষটা বদলে দিতে বলতাম তোকে।
অবশ্য তাইওয়ানের জনৈক ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর বাংলাদেশের কোনো এক ছাপোষা চাকুরিজীবি বন্ধুর জন্য সময় আছে কিনা কে জানে?
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
দোস্ত,
পরামর্শ নে, তারপরে গল্পটার নীচে পরামর্শ মোতাবেক যা পাওয়া যায় সেটা জুড়ে দে।
--দোস্ত তোর সাথে একমত। তবে এটা সায়েন্স ফিকশন বা ভৌতিক গল্পের কোনটাই না। শুধুই একটা কল্প-গল্প। আমার মাথায় হিজিবিজি নানা ধরনের কল্পনা এসে ভর করে , সেগুলোই একটা গল্পে রূপান্তরের চেষ্টা করেছি-- সাদাসিধা ভাবে।
গল্পের শেষটা আমি এভাবেই লিখতে চেয়েছি, সত্যি বলতে এই শেষ লাইনটার জন্যই পুরো গল্পটি লেখা। তবে তোর পরামর্শ শুনতে আমি বরাবরই এক পায়ে খাড়া।
---এই অন্যায় খোঁচাটার জন্য তোরে তিন দিনের জন্য ব্যান করা হইল , তোর জন্য সময় কবে ছিলনা?
আপনার লেখার হাত দিনে দিনে খুলছে চমৎকার। তবে গল্পের বক্তব্যবিষয়টা ভালো বুঝলাম না।
অনেক ধন্যবাদ পাঠকদা।
বিষয়বস্তু আসলে তেমন ভারিক্কী কিছু নয়। গল্পের মূল চরিত্রটির মতোই পৃথিবীর মানুষ অলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্ন হয়েও , পরিবর্তন ঘটাবার সামর্থ থাকা সত্ত্বেও অবহেলায় সেটা অপচয় করে। ভালো করে বোঝাতে না পারার জন্য দুঃখিত। হয়তো আমি শুধু একটা গল্পই লিখতে চেয়েছি।
আপনার এই রচনাটি খুবই নতুন স্বাদের। বিশেষতঃ আপনি যেভাবে প্রথম থেকেই গল্পের জাল বিস্তার করছিলেন, তাতে একদম শেষ পর্যন্ত উত্তেজনায় টানটান হয়ে ছিলাম। না জানি কি হয়, না জানি কি হয়। সমাপ্তিতে আশাহ্ত হয়েছি খানিক।
প্রথমেই জানলাম যে ছেলেটির অন্যের মনের কথা বুঝবার ক্ষমতা আছে। কিন্তু সে রাইসার মনের মধ্যে ঢুকছেনা ইচ্ছে করে যাতে করে সে রাইসাকে তারিয়ে তারিয়ে বুঝতে পারে, অনুভব (বা উপভোগ) করতে পারে। গল্পের ছেলেটির তাহলে এই ক্ষমতার প্রয়োজন কি? তাকে সাধারণ মানুষ হিসেবে তৈরি করলেন না কেন?
তারপর জানলাম যে রাইসার ভিতরে বাস করে এক তুষারমানবী। তার মানে কি? রাইসা কি ভূত, নাকি ভিন্ন জগতের কেউ? এর ব্যাখ্যাটি না জানার কারণে গল্পটি কেমন যেন পানসে হয়ে গেল। ট্যাগে ভূতুড়ে গল্প টাইপের কিছু একটা থাকলেও নাহয় সেটা মেনে নেওয়া যেতো।
এইবার আসি আসল কথায়। আপনার গল্প বলার এলেম খুবই ভালো। চারপাশকে দেখার এবং তা বর্ণনা করার মতো ভাষা সবার থাকে না। আপনার আছে। গল্পটিকে যেভাবে আস্তে আস্তে বুনছিলেন, সেটা ভালো লেগেছে আমার। কাহিনীটিতে নতুনত্বের কথাতো আগেই বলেছি।
বটম লাইনঃ আরো লিখুন। আসুক আরো গল্প।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
জাহিদ ভাই , অনেক ধন্যবাদ এত সময় নিয়ে মন্তব্য করার জন্য।
লেখক হিসেবে আমি দূর্বল কিসিমের, কিন্তু কল্পনায় আমার ঘোড়া ছোটে দুর্বার। সেই সব মিলিয়েই এই হিজিবিজি লেখাটির জন্ম।
আগেই আরেকজনের মন্তব্যের জবাবে বলেছি যে এটা ভৌতিক কাহিনী, বা বিজ্ঞান কল্প-কাহিনী নয়, শুধু মাত্র একটা কল্প-গল্প।
ছেলেটি অস্বাভাবিক ক্ষমতা সম্পন্ন, কিন্তু সেটা তার চোখে স্বাভাবিকতার মধ্যেই মুক্তি ধরা পরে। তাই সে আর সবার মতোই হতে চায় ।
আবারও ধন্যবাদ জাহিদ ভাই। গল্প আসবে। হয়তো রাক্ষস-খোক্কসের গল্প
আপনার অন্যান্য লেখার চেয়ে এই লেখাটা একটু অন্যরকম! একটু সিনেমাটিক মনে হলো! যেন হলিউডি কোনো সিনেমার দৃশ্যায়ন দেখছিলাম। আর রাইসার ডুপ্লেক্সে বরফশীতল হয়ে যাওয়ার কিছু বিষয় বুঝি নাই। বড় হয়ে নিই, তখন বুঝবো! তবে বস, মডেলের বর্ণনা কিন্তু সৈরম হৈছে। ব্যাপক উপভোগ করছি!
..........................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
সিনেমার প্লট হিসাবে খারাপ না , কী কও?
আমার কাছে তো সিনেমার মতোই লাগলো! তবে এটা নজু স্যার ভালো বলতে পারবে। এইটা তার ডিপার্টমেন্ট!
................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
হুম, কফি খেলে আর সেক্সের পরে না কি মাথার পিছে (ব্রেনে) একই রকমের প্রতিক্রিয়া হয়! আমি তো ভার্জিন, মিলায়া দেখতে পারি নাই এখনও।
ভার্জিন খাইলে এইসব কিচ্ছু হয় না।
মামা, ফিকশন সেইরকম জমাট হৈছে মাইরি। লেখেন এইরকম মাঝেমধ্যে।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
-- কে কয় এইসব!! নিস্পাপ পুলাপান গো মাথা উলটা পালটা কথা দিয়া জ্যাম করতেছে।
তাইলে আপ্নে এট্টু কয়া দ্যান না ক্যামন হয়!
ঠিক-টা জানি মুরুব্বি বুজুর্গের কাছে!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ভাই রে, তাইলে তো সবাই শুধু কফিই খাইত, আর কেউ প্রেম করত না!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
বরফ কাঠার যন্তর আমিষ্কার করো। বরফে আগুন না ধরিয়া হারলে খালি কপি খাইয়াই যৌবন পার করন নাগব।
তবু এইসব ধুনফুন ভালো লাগে
ভালো লাগে ছুটির দিনে রুটি খেয়ে
নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে চুপচাপ শুয়ে থাকা
একা একা সারা বিকাল কিংবা দিনমান
ভানধরে সমুদ্রের জল প্রকৃতি ও পাখি ভালোবাসা।
- রাইসা থেকে ইরিনা হয়েই তো যতো গোলমাল লাগায়ে দিলো!
ঐদিকে সেই কপোত-কপোতীর কী হলো, জানলাম নাতো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ, রাইসা থাকলে কী আছিল কপালে খোদাই মালুম!
আপনার বর্ণনাতো মারাত্মক... গল্পের শেষে এসে তব্দিত... শুরুর মতো ভালো লাগেনি... কিন্তু আপনের লেখার হাতটা কাইটা ফেলাইতে মঞ্চায়!
---------------------
নামে কি'বা আসে যায়...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ময়নার মা এইটা কী প্রশংসা করলা না গালি দিলা বুঝলাম না
মামুন ভাই, সত্যি বলি- এটা আপনার লেখা আমার পড়া সেরা। বর্ণনা সুন্দর ছিলো, ভাষা/উৎপ্রেক্ষা ছিলো মারাত্বক। গল্পের মেসেজটা ধরতে একটু কষ্ট হচ্ছিলো, শেষের অংশ তাই দু'তিনবার পড়ে তারপর বুঝলাম...
আপনি বরং গল্পই লিখেন শুধু।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
-- এর মানে কি আমার আর কোন লেখার বেইল নাই?
বুঝছি মামুন ভাই, অঙ্কের উত্তর না পায়া আফনের মাথা গ্রম হইসে। আরে মিঁয়া বাই, বাকি লেকা খারাপ হইবো ক্যাঁ ?? তয় এডিতে আপনার একটা ন্যাচারাল হাত মকশো আসে বইলা মালুম হইলো...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
হুমম, একটু অন্যরকম লেখার ধরন আপনার কাছ থেকে। গল্প বলার ভঙ্গিটা আর পারিপার্শ্বিকতার বর্ণনা চমৎকার লাগলো।
মামুন ভাই। চমৎকার, অতি চমৎকার।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
উরেব্বাস! একটা খাঁটি গল্প লিখছেন।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
নতুন মন্তব্য করুন