জীবন উপভোগের জিনিষ—দুশ্চিন্তার না। আমরা বাঁচতে শিখতে শিখতেই জীবন ফুরিয়ে যায়। সাদামাটা জীবন মানে জীবনের অকাল মৃত্যু।
—কথাগুলো আমার না —চরম ফুর্তিবাজ , আপাত দৃষ্টিতে ভয়ানক দায়িত্বজ্ঞানহীন কিন্তু দারুন সুখী এক বন্ধুর। ভদ্রলোকের নাম এডি পার্ক, আমরা তাকে লিম বলেও ডাকতাম। অনেক দিন আগে মৃদুলের সাথে লেখা এক ছড়ায় তার প্রসঙ্গ টেনেছিলাম, আজ হঠাৎ করে কেন আবার লিমের গল্পে ফিরে যাচ্ছি সেটা একটু ধৈর্য্য ধরে শেষ পর্যন্ত পড়লেই বুঝতে পারবেন ।
লিমের সাথে আমার প্রথম দেখা হং কং এ, যদ্দুর মনে পড়ে ২০০১ এর ফেব্রুয়ারী বা মার্চে। কাউলুনের চুং কিং ম্যানশনে এক বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টে খেতে গেছি, গিয়ে দেখি বয়স আন্দাজ করা যায় না এমন দেখতে এক বিদেশী ভদ্রলোক প্রায় আট দশজন বাঙ্গালী ছেলেদের নিয়ে সরগরম আড্ডা জমিয়ে বসেছেন। রেস্টুরেন্টের মালিক আলাপ করিয়ে দিলেন---ইনি কোরিয়ান ব্যবসায়ী এডি পার্ক, হং কং থেকে বেকার বাংলাদেশীদের কোরিয়া নিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করেন। জনপ্রতি আড়াই হাজার ডলার করে নেন । আদম ব্যাপারীদের প্রতি আমার ভক্তিছেদ্দা বরাবরই কম ছিল, আমি লিমকেও সেই গোত্রের ভেবে নিয়ে খুব একটা কথা বাড়ালাম না। পরে জানলাম লিম কোন এক কারণে বাংলাদেশীদের খুব পছন্দ করে এবং ঠিক ব্যবসার উদ্দেশ্যে না বরং মানুষের উপকার করতেই জন্যই সে নাম মাত্র খরচে কোরিয়া নিয়ে যায়। তবে সব সময় পারেনা, সুযোগ বুঝে পরিচিত ইমিগ্রেশন অফিসারদের সাহায্য বছরে বিশ ত্রিশ জনকে নিয়ে যেত। বাংলাদেশীদের মধ্যে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল, আবার পাকিরা তাকে একদমই দেখতে পারত না। হয়তো বাংলাদেশিদের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক থাকার কারণেই।
সেই লিমের সাথে কীভাবে যেন আমার দারুন সখ্যতা হয়ে গেল। মাসের দুই তিনবার হংকং আসত সে। আমি নিজেও তখন বেকার, প্লেন ভাড়া দিয়ে কোরিয়া যাবার অবস্থাও নাই। আর গিয়েও ফ্যাক্টরীতে শ্রমিকের কাজ করার ইচ্ছা ছিলনা, আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, ব্যবসা বানিজ্য কিছু একটা দাঁড়িয়ে যাবে। আমি তার সাথে মিশতাম মূলত ব্যবসার গল্পের লোভেই। মনে হতো দুনিয়ার সব ব্যবসাই এই ব্যাটার নখদর্পণে। দুই চার পেগ পেটে পড়লেই তার বকবকানির ইঞ্জিন চালু হয়ে যেত আর আমি হা করে গিলতাম। একবার মনে আছে সারারাত চলা এক বৈঠকে বেচারা প্রায় ৫০টা বিজনেস আইডিয়া নিয়ে কথা বলেছিল, কন্সট্রাকশন থেকে শুরু করে খাদ্যশস্য পর্যন্ত কিছুই বাদ যায় নি। অদ্ভুত অদ্ভুত সব আইডিয়া খেলত ওর মাথায়, কিছু কিছু এখনও আমাকে ভাবায়। ব্যবসা সংক্রান্ত পেপার ওয়ার্ক বলতে গেলে আমাকে হাতে ধরে শিখিয়েছিল লিম। তখন পর্যন্ত আমি শুধু ইমেইল চালাচালি করতে পারতাম, লিম আমাকে শেখাল কীভাবে নন ডিসক্লোজার থেকে শুরু করে নানা ধরনের জরুরী চুক্তিপত্র তৈরী করতে হয়, লেটার অভ ইন্টেন্ট কীভাবে বানাতে হয়, ব্যাংকিং এর খুঁটিনাটি এবং আরও কত কি! লিমের দেয়া অনেক ফর্ম্যাট আমি এখনও ব্যবহার করি । সে দিন রাত আমাকে খুব উৎসাহ দিত, আবার প্রচুর কূবুদ্ধিও দিত। তার জীবন দর্শনই ছিল সারাদিন খাটা খাটনি কর—সারারাত মৌজ মাস্তি কর। লিম আসলেই আমার ঘুম হারাম হয়ে যেত। যদিও আমি তার পয়সায় কোন আমোদ ফুর্তি করতাম না, আর নিজের পকেট তো তখন প্রায়ই গড়ের মাঠ। আড্ডাবাজি করেই আমরা অনেক রাত পার করে দিতাম।
মাসকয়েক পরের এক রাতে লিম হঠাৎ করে ফোন করল। ম্যাকাও যাবে, ক্যাসিনোতে। আমি গৎবাঁধা অজুহাত দিলাম—পয়সা নাই। সে বলে টাকা লাগবেনা শুধু সাথে গেলেই হবে, সব খরচ তার । আমি গাঁইগুই করে কাটিয়ে দিলাম। আসলেই ইচ্ছা ছিলনা ম্যাকাওয়ের চোখ ধাঁধাঁনো ক্যাসিনোতে কারও মুখাপেক্ষী হয়ে যাওয়ার। টাকা পয়সা হাতে আসলে নিজেই খরচেই যাব। মাঝরাতের দিকে আবার ফোন –লিম প্রায় ২০ হাজার ডলার জিতেছে পোকার টেবিলে, কতবড় বোকামী করেছি তার সাথে না গিয়ে—৫০০ ডলার খাটালেও আমার প্রায় দশ গুন লাভ হতো...ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার মনে কেন যেন কূ গাওয়া শুরু হলো—লিমকে বললাম অনেক জেতা হয়েছে , এখন ক্ষান্ত দাও। সে জানালো আর একটু খেলেই ফিরে আসবে। পরদিন সকাল থেকে অপেক্ষায় আছি, লিমের কোন খবর নাই। খবর পেলাম আরও চার পাঁচদিন পর। আমার সাথে কথা শেষ করার পর সে আবার পোকার টেবিলে ফিরে গিয়েছিল, লোভে পড়ে বড় বড় দানে খেলা শুরু করে—হারারও শুরু সেখান থেকে। হারতে হারতে যা জিতেছিল তা তো গেলই, পরে নিজের টাকা, কোরিয়া যাবে বলে বাঙ্গালীদের টিকেটের টাকা সব উধাও। এমনকি ক্রেডিট কার্ডের লিমিট পর্যন্ত টাকা এটিএম থেকে উঠিয়ে হারল। সব মিলিয়ে এক রাতে প্রায় ৩০ হাজার ডলার গচ্চা।
যদিও লিমকে এনিয়ে মোটেও অনুতপ্ত মনে হলোনা। ধার কর্জ করে ধার কর্জ শোধ করে আবার আগের গতিতে পাগলামী চালিয়ে যেতে লাগলো। তবে ক্যাসিনোতে ঐ জাতীয় বোকামী আর করেনি। দুই হাজার ডলারের মতো পকেটে নিয়ে যেত, এটিএম , ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি আমার কাছে জমা দিয়ে, কখন অল্প সল্প জিতেও ফিরত তবে হারার তুলনায় তেমন কিছু না। সে প্রায়ই বলত—লাইফ ইজ টু শর্ট বাট মেক ইট ওয়র্থ লিভিং, লাভ ইট অ্যান্ড লিভ ইট। আমি মনে মনে কইতাম অফ যা শালা বেহিসাবী ভাদাইম্যা কোথাকার।
প্রায় মাস ছয়েক পর আমার হং কং এর পাট চুকলো। দেশ থেকে আসা এক বন্ধুর সাথে মিলে ব্যবসা করব সিদ্ধান্ত নিয়ে চীনের শেন ঝেন এ চলে গেলাম। খুব কষ্ট হচ্ছিল শুরুতে, আক্ষরিক অর্থেই নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। সেই গল্পে অন্য একদিন যাব। কষ্টে কাটানো দিন গুলোর অভিজ্ঞতা আমার সারা জীবনের পাথেয় হয়ে আছে—থাকবে।
লিম খুঁজে খুঁজে সেখানেও বের করে ফেলল আমাকে। একজনের কাছ থেকে নাম্বার নিয়ে ফোনে জানাল সামনে উইক এন্ডে শেন ঝেন আসবে , আমি তাকে বাসার ঠিকানা জানিয়ে চলে আসতে বল্লাম। শেনঝেন রেলস্টেশন থেকে কাছেই, হাঁটাপথে প্রায় মিনিট দশেক লাগে আমাদের বাসায় যেতে। আমি শনিবার সকাল থেকে অপেক্ষায়, লিমের কোন পাত্তা নেই। রবিবারেও না। সোমবারেও কোন হদিস নাই। আমি বেশ আশায় ছিলাম—লিম আসা মানেই দুঃখ কষ্ট ভুলে গিয়ে দুয়েক রাত হৈ হুল্লোড় গল্প গুজব করা।
নাটকীয় ভাবে লিমের দেখা পেলাম মঙ্গলবার সকালে। আমি যাচ্ছিলাম চুল কাটাতে। সবচে সস্তার সেলুনগুলো রেল স্টেশনের উলটো দিকে। সেলুনের পাশেই একটা নারকেল গাছ। সেই গাছে গোড়ায় মাটিতে বসে আছে সারা গায়ে ধুলো মাটি মাখা লিম। আমি কাছে যেতেই হাউ মাউ করে উঠল। ভালোভাবে কথাও বলতে পারছেনা, জড়িয়ে যাচ্ছে। পায়ে জুতোও নেই। আমি পাশের এক দোকানে নিয়ে গিয়ে কোক কিনলাম। দুই এক ঢোক খাওয়ার পর একটু স্থির হয়ে সে তার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ের বর্ণনা করল।
তখন ব্যবসা ভালো । তাই লিম সরাসরি আমাদের বাসায় না উঠে হোটেল সাংগ্রী লা তে উঠেছিল। আমার সাথে দেখা করার পাশাপাশি দুই একজন বিজনেস কন্ট্যাক্টের সাথেও দেখা করবে এই ছিল প্ল্যান। চেক ইন করে নিচের ক্যাফেতে গেল। কফি নিয়ে মাত্র বসেছে, তখনই চোখে পড়ে অনিন্দ্যসুন্দরী এক চাইনিজ মেয়ের উপরে ( আমি দেখি নাই, লিমের ভাষ্য)। মেয়েটাও একা বসে ছিল পাশের টেবিলে। লিম তাকাতেই বন্ধুত্বপূর্ণ হাসি দিল। মেয়েদের ব্যাপারে লিমের বাছ বিচার ছিল খুবই কম। সে দাঁত কেলিয়ে খাতির করে ফেলল ( আমার কল্পনা)। পরের ঘটনা চিন দেশে অভিনীত অনেক নাটকের একটা। মেয়েটা নাকি মাইক্রোসফটে কাজ করে। লিমকে বিজনেস কার্ড দেখাল। চমৎকার পোষাক আশাক আর ছটফটে ইংরেজি শুনে লিমে গলে এক্কেবারে মাখন হয়ে গেল। চা-কফি খাওয়ার পর মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো মিলে যাওয়া চৈনিক সুন্দরীকে বগলদাবা করে ডিনারে নিয়ে গেল মেয়েহাভাতে বুড়োভাম। ডিনারের পর নাটকের পরের অংশ। মেয়েটা ড্রিঙ্কস এর আমন্ত্রণ করে লিমকে তার অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে যায়। তখন পর্যন্ত সব স্বপ্নের মতোই চলছিল। গোলমাল বাঁধল মেয়েটার অ্যাপার্টমেন্টে ঢোকার পর। আগে থেকেই বেডরুমে ঘাপটি মেরে ছিল তিন তিন জন জ্যাকি চ্যান। সাথে কন্ডোম থাকলে ভালো হতো লিমের হৃদয়ে এই জাতীয় সুখভাবনা দানা বেঁধে ওঠার আগেই তিন জন মিলে তাকে মাটিতে পেড়ে ফেলল। তার পর চোখে মুখে কিছু একটা চেপে ধরে তাকে অজ্ঞান করে ফেলে।
লিমের জ্ঞান ফিরলে নিজেকে সে আবিস্কার করে চেয়ারের সাথে শক্ত করে বাঁধা অবস্থায়, গুদামঘর মতো এক জায়গায়। অপহরনকারীরা পেশাদার, তারা জানাল ৪০ হাজার রিমেম্বি ( প্রায় পাঁচ হাজার আম্রিকান ডলার) দিলেই তার মুক্তি মিলবে। নয়তো তারা ওর হাত পা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে বিক্রি করে সেই টাকা আদায় করে নেবে। লিমের সাথে এত টাকা ছিলনা, সে কোরিয়াতে তার মেয়েকে ফোন করে ( বউয়ের সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে অনেক কাল আগে) পরিস্থিতি জানিয়ে তার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বলে। তারপর লিমকে এক এটিএম বুথে নিয়ে গিয়ে পুরো টাকা বুঝে নেয়ার পর ঘড়ি, মানিব্যাগ সব নিয়ে আবার তাকে অজ্ঞান করে রাস্তায় ফেলে যায়। জ্ঞান ফিরলে সে প্রথমে কিছুই মনে করতে পারেনা। আজ সকালে নিজের নাম , বাপের নাম মনে পড়েছে। আর এর মাঝেই খোদার রহমতের মতোই আমার আবির্ভাব, আমি যেন তাকে ২০০ ডলার ধার দেই। সে ফিরে গিয়ে আমাকে ১০০০ ডলার ফেরত দিবে। আমি সেইদিন লিমকে কোন সাহায্যই করিনি। বলেছি সব যখন মনেই পড়েছে তখন তার উচিৎ হোটেলে ফিরে গিয়ে নিজের কাহিনী সবিস্তারে বলা। রুমে তো তার জিনিষ পাতি পড়েই আছে। পরিবার বা বন্ধু বান্ধবদের কেউ যেন এসে তাকে এখান থেকে নিয়ে যায়। দূর থেকে হোটেল দেখিয়ে দিয়ে আমি কাজ থাকার অজুহাতে লিমকে বিদায় দেই। আসলে একে খুব বিরক্ত ছিলাম ওর কান্ড শুনে আর সাহায্য করার সামর্থও আমার ছিলনা।
ভেবেছিলাম লিমের সাথে বন্ধুত্বের সেই শেষ। অনেকদিন সে কোন যোগাযোগ করেনি, আমিও না। ২০০৪ এর এপ্রিলে লিমের একটা ইমেইল পেলাম। সে এখন বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন অভ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট, আমি যেন অবশ্যই কোরিয়া গিয়ে তার সাথে দেখা করি...ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি ততদিনে তাইওয়ান চলে এসেছি। সবকিছু খুব ভালোই চলছে। কোরিয়া থেকেও কিছু প্রোডাক্ট কিনি। সেই সূত্রে একদিন সিউল যাওয়া হলো। নিজের কাজটাজ শেষ করে ভাবলাম পুরানা বন্ধু লিমের সাথে দেখা করে যাই। ফোন করতেই বেচারার খুশী আর দেখে কে! কোন উপহার আনিনি সাথে, ভদ্রতা করে জানতে চাইলাম পানি টানি কিছু লাগবে কিনা। লিম বলল ওর অফিসের পথেই একটা সুপার মার্কেট পড়বে, ওখানে গিয়ে যেন ওকে আবার ফোন করি। তাই করলাম, ফোনে আমাকে বেশ লম্বা একটা ফর্দ ধরিয়ে দিল, সবই খাবার দাবার—ফ্রোজেন বেশি। আমি একটু অবাক হলাম দিন দুপুরে অফিসে ফ্রোজেন খাবারের বস্তা আর এক কেইস বিয়ার নিয়ে যেতে বলা কেমন যেন খাপছাড়া একটা ব্যাপার।
আমি ভেবেছিলাম নিশ্চয়ই বিশাল কোন দালান টালান হবে। যেভাবে সে ইমেইলে জানিয়েছে বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন অভ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দফতর। ঠিকানা খুঁজে অলি গলি ঘুরে হাজির হলাম রঙ চটে যাওয়া আদ্দিকালের হাড় পাঁজরা বের হয়ে যাওয়া এক দোতলা বাড়ীর সামনে। কোথাও কোন অফিসের নাম নিশানা নাই। গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেখি কলিংবেলের পাশে মার্কার দিয়ে লেখা—ইউনিট টুঃ বিজনেস বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন অভ কোরিয়া। বুঝতে পারলাম এটা সাইন বোর্ড সর্বস্ব এক অফিস—দেখা যাক ভেতরে আরও কত তেলেসমাতি আছে। বেল বাজাতেই দরজা খুলে দিলেন স্বয়ং পেসিডেন সাব—বাড়ীতে আর কেউ ছিলও না। অনেক বুড়িয়ে গেছে লিম, দাঁত পড়ে গেছে, চির তরুন এডি পার্ককে এখন আমার বড় চাচা বলে অনায়াসে চালিয়ে দেয়া যাবে। অনেকটা খাটোও হয়ে গেছে মনে হলো গ্রীলের মধ্য দিয়ে তাকিয়ে। এও কি সম্ভব? রহস্যের সমাধান হলো দরজা পুরোপুরি খুলে দেয়ার পর। ছটফটে , প্রাণ চঞ্চল লিম বসা হুইল চেয়ারে। পা দু’টো ফুলে ঢোল হয়ে আছে। আস্তে আস্তে সব জানা হলো। আগের বছর তার স্ট্রোক করেছিল। মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরে এসেছে কিন্তু নিজের পায়ে আর দাঁড়াতে পারেনা। পুরানো বন্ধু বান্ধবেরা সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, মেয়েটাও কোন খোঁজ খবর রাখেনা। ফ্রোজেন খাবারগুলো অন্তত সপ্তাহ খানেকের দুশ্চিন্তা দূর করবে—আমাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানালো।
আমি কিছু খাবার গরম করে লিমকে খেতে দিয়ে ছোট্ট দুই রুমের অ্যাপার্টমেন্টটা ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। এক দেয়ালে দেখি খুব মারদাঙ্গা ধরনের এক মিউজিক্যাল ব্যান্ডের ছবি। লিমকে জিজ্ঞেস করতেই হাসল—সত্তুরের দশকে কোরিয়ায় খুব নাম করা ছিল ওদের ব্যান্ড, এক সময় টিভিতেও গাইত। ব্যান্ডের নাম এই মুহূর্তে মনে পড়ছেনা। আরেকটা ছবি দেখে মনে হলো ওর ছেলে, জানলাম বাবার উপর রাগ করে ছেলে ঘর ছেড়েছে হাইস্কুলের পরেই। এখন আমেরিকায় কিন্তু বাবার সাথে কোন যোগাযোগ রাখেনা। বউ ছেড়েছে তারও আগে, মেয়েও দূরে সরে গেছে । উদ্দাম জীবনের চক্করে পরিবার হারিয়েছে, ব্যবসা ধ্বংস হয়েছে, টাকা-পয়সা ,বাড়ী-গাড়ি সব খুইয়েছে। নিজের জীবনকে এমন কাকের বাসা বানিয়ে ফেলার পরেও লিমের মাঝে কোন অনুশোচনা দেখলাম না। বরং জিজ্ঞেস করাতে আমাকে বলল—আই হ্যাভ নো রিগ্রেটস...আমি আমার জীবনকে উপভোগ করেছি, আমার নিজের মতো করে। আলো আর অন্ধকার একই গতিতে চলে, তোমার ইচ্ছা কোনটা বেছে নেবে, হাসি-খুশী-আনন্দ না নিয়ম-নীতির বেড়াজালে আটকানো বিরক্তিকর বাস্তববাদী জীবন।
আমি ফিরে এসে লিমকে কিছু টাকা পাঠাই। তারপর আবার অনেকদিন যোগাযোগ ছিলনা। মাঝে মাঝে ধুমকেতুর মতো দুই একটা ইমেইল পেতাম। সব বড় বড় প্রজেক্ট, মিলিওন মিলিওন ডলারের ধান্ধা, আমি পাত্তা দিতাম না।
গতকাল একজনের কাছে শুনলাম লিম মারা গেছে, ঘুমের মধ্যে –তাও প্রায় মাস ছয়েক হয়ে গেছে। আমি নিশ্চিত হাসিমুখেই এই ধরাধাম ছেড়েছে সে—হুইল চেয়ারে বসা কপর্দকশুন্য অবস্থাতেও তার মুখের হাসি মলিন হতে দেখিনি।
মন্তব্য
অসাধারণ মামুন ভাই ! অসাধারণ এক কাহিনী শোনালেন।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
অনেক ধন্যবাদ নাশু ভাই। ভালো থাকবেন।
লিমের মতন করে বাঁচার খুব সখ; কিন্তু সাহসে কুলায় না।
চমৎকার লিখেছেন মামুন ভাই। আপনার বন্ধুটার জন্য কষ্ট হচ্ছে।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
অনেক ধন্যবাদ রেশনুভা। বন্ধুটির জন্য আমারও কষ্ট হচ্ছে, তাই লিখেছি।
ভক্তিছেদ্দা -ভক্তিশ্রদ্ধা
গড়ের মাঠ- খড়েরমাঠ
অসাধারণ এক বিয়োগ ব্যাথার সরল কাহিনী। আপনার দ্বারাই সম্ভব।
দলছুট।
================
বন্ধু হবো, যদি হাত বাড়াও।
আপনাকে ধন্যবাদ দলছুট ভালো থাকবেন।
রঙচঙে জীবনের গল্প; এমন জীবন ভালো না মন্দ, সে জাজমেন্টে না গিয়েই বলা যায়, যার যার জীবন, তার তার।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সেটাই বলাইদা, জাজমেন্টের দরকার নাই। যে যার মতো সুখী থাকুক। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সেটাই।
যে যার যার মতো করে সুখে থাক।
...........................
কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সুখে থাকুক পদ্মা-মেঘনা, শিমুল-পলাশ! দুধে ভাতে থাকুক সবাই
অসাধারণ এক গল্প শোনালেন, মামুন ভাই। মনে হলো যেন চোখের সামনে সিনেমার দৃশ্য ভেসে উঠল একের পর এক।
আপনার এই ধাঁচের লেখনীকে রীতিমতো হিংসা হয়। এ ধরনের স্মৃতিচারণমূলক আরো অনেক লেখা প্রত্যাশা করি আপনার কাছ থেকে। ভালো থাইকেন।
পাকনামী না করে নিজের দোষ স্বীকার কর না ক্যান?
সারাদিন ঘ্যান ঘ্যান করে আমারে দিয়া যে লেখাইলা
খুবই ভাল লাগলো, থ্যাংকস।
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
অনেক ধন্যবাদ ভাইজান।
চমৎকার লাগল!
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
তোর লেখাও চমৎকার লাগছে। ভালো থাকিস মামা।
এটা তো গল্প হিসেবেই অতি চমৎকার, কিন্তু এ তো দেখি আপনার নিজের অভিজ্ঞতা! আপনার অভিজ্ঞতাকে ঈর্ষাইলাম।
আমি তো বেছে বেছে পাতে দেয়ার মতো অভিজ্ঞতা গুলো নিয়ে লিখি রাজু ভায়া। বাজে অভিজ্ঞতাগুলো শুনলে ঈর্ষা হতোনা , করুনা করতে। তোমার লেখা মিস করি।
আশ্চর্য ! আজকে যতগুলো পোস্টের ভেতরে ঢুকছি সবই দেখি পাঁচতারা মার্কা !
খুব ভালো লাগলো মামুন ভাই। অসাধারণ ! কেউ কেউ দেখছি ভুল বানান চিহ্নিত করেছেন কয়েকটা। অথচ আমি ওগুলো ঠিকই দেখছি। লেখার টোন অনুযায়ী ভুল নয়, পরিবর্তিত শব্দগুলো যথার্থ মনে হচ্ছে। চলুক.....
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অনেক ধন্যবাদ রণদা। দেশে আসছি সামনের সপ্তায়, দেখা হবে আশা করি।
একেক মানুষের জীবন দর্শন একেক রকম। আমার কাছে মনে হয়েছে লিম বেশ প্রতিভাবান ছিলেন কিন্তু কোন কারনে জীবনের উপর বিতৃষ্ণা ছিলো উনার।
...........................
Every Picture Tells a Story
আসলেই দারুন প্রতিভাবান ছিল লিম, নিজে গান লিখত, সুর করত, গীটার বাজিয়ে গাইত। বোলিং এ ওর সাথে কেউ পারতাম না। যত কোরিয়ানদের সাথে মিশেছি অর মতো ইংরেজীতে এতটা ভালো দখল আর কারো দেখিনি।
জীবন নিয়ে বীতশ্রদ্ধ ছিল কিনা নিশ্চিত না, তবে মারাত্মক রকমের অস্থির ছিল।
আজকাল সচলে আসবার সময়টুকুই পাইনে। আজকে এসে আপনার লেখাটি চোখে পড়লো। খুবই ভালো লাগলো। কাহিনীটিতো চমৎকার, সেকথা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। কিন্তু আপনার গল্প বলার তরিকাটিই হচ্ছে আসল। খুবই নির্বিকার ভাবে একজন পাশে দাঁড়ানো মানুষের মতো বলে গেছেন গল্পটি। লীমের জন্যে কঠিন সমালোচনা করেননি, বা সমবেদনার নহর বইয়ে দেননি। পাঠকদের উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন সে ভার।
আমরা অনেকেই জীবনে এত কিছু দেখেছি, তা যদি সবাই আমরা আপনার মতো করে বলতে পারতাম, তাহলে পেশাদার লেখকেরা না খেয়ে মারা পড়তো।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
লজ্জা দিলেন ভাইজান, আপন মানুষ হয়ে
হুম
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আপনার এই ধরনের স্মৃতিচারণমুলক লেখাগুলো আমার সবচাইতে ভালো লাগে।
এত সুন্দর করে বলে গেলেন, মনে হচ্ছে আপনার বন্ধু লিমকে আমরাও যেন কতকাল ধরে চিনি।
আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে আরও কিছু অসাধারন গল্প শোনার অপেক্ষায় থাকলাম।
------------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
প্রজাপতি দারুন ফাঁকিবাজ, নিজে কিছু না লিখে শুধু গল্প শুনতে চায়!
এমন অনেক গল্প 'লাইভ' শোনার অপেক্ষায় রইলাম
আমিও দাঁতে ধার দিয়ে আসতেছি, ভুং ভাং গল্প শুনিয়ে তোমাদের পয়সায় তেলে ভাজা আর তিলের খাজা খাব
বস লেখা
...মুঃ জাফর ইকবালের এই রকম একটা লেখা পড়েছিলাম একবার, সেখান একটা কথা ছিলো -"কিছু মানুষ সুখী হবার আশ্চর্য ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়", লেখা পড়ে মনে হচ্ছে লিম সেইসব ক্ষণজন্মা -দের একজন ছিলেন...।
আর ভাই নাকি দেশে আসতেসেন ?? আশায় থাকলাম আড্ডায় সরাসরি গপ্পো শোনার...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
ঠিক বলছ। ঐ ব্যাটারে ব্যাজার মুখে দেখি নাই কোন দিন।
হ ভাই দেশে আসতেছি তোমাদের জ্বালাইতে। তবে ডরাইও না, খুব বেশিদিন জ্বালাব না
খুব সুন্দর লাগলো স্মৃতিচারণ মামুন ভাই! বরাবরের মতোই চমৎকার লিখেছেন। লিমের পাল্লায় পরেও আপনি যে পথ হারাননি তার জন্য বাহ্বা!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মৃত্তিকা। ভালো থাকবেন।
আমি এই গতকালও ভাবছিলাম, বেশ অনেক দিন হয়ে গেল তোমার লেখা আসে না। আজ সকালেই একটা চমৎকার সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছিল আমার জন্যে সে কি আর জানতাম----
লেখার কথা সবাই বলে দিয়েছেন। আমার মুগ্ধতার কথাও অনেকবার বলেছি।
কিন্তু আমার আসল মুগ্ধতা তোমার জীবনটা নিয়ে।
এত বিচিত্র, এত বর্ণিল তোমার অভিজ্ঞতার ভান্ডার, যা কল্পনাকেও হার মানায়----
হ্যাটস অফ টু ইউ, মামুন দ্য বস-----!!!
লেখা আসেনা আজকাল, অথচ মাথায় আছে। সন্ন্যাসীদা'র কাছে টোটকা চাইছি, দেখি কী ঔষধ মেলে শুধু প্রশয়ই দিয়ে যাও অনি ভাইয়া, মাঝে মধ্যে ধমক টমক দিয়ে একটু লাইনেও রেখো
মামুন ভাই, আপনে অনেকদিন পর লেখা দিলেন, আর আপনার অনুপস্থিতির জন্যে যাবতীয় ঘাটতি এক লেখায় পোশায় দিলেন, অসাধারন একটা লেখা, ২টা বিপরীত ধর্মী জীবনের মিলনমেলা জটিল লাগল। আশা করব আবার দিবেন এমন উপহার।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
--আপনে লাস্ট লেখা কবে দিছেন সাইব্বাই?
ইয়ে, মানে আসলে মনে নাই , মন্তব্য করারই সময় পাইতেসি না, আর আপনার লেখা পড়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে না আবার লেখব। আপনার লেখা আসছে, ফলে আমারটাও আসবে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কারে ইর্ষা করুম?
মামুন না লিম...
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
যারে খুশী ...আমি ঈর্ষাই নাজমুলাল্বাবরে
আপনার জীবন থেকে নেওয়া গল্পগুলো পড়তেই বেশি ভাল লাগে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো আছেন আশাকরি।
হুম
ধন্যবাদ বস। আপনার সাথে আলাপ আছে, টোকা দিয়েন পারলে।
অনেকদিন পরে সচলে ঢুকে চমৎকার এই পোস্ট পড়লাম।
লিমের মতন আপনার মুখেও হাসি লেগে থাকুক, সবসময়।
"Life happens while we are busy planning it"
অনেক ধন্যবাদ সমুদ্র। আপনিও ভালো থাকবেন
এই লাইনটুকু পড়ে একটু চমকে উঠলাম। এটাই বাস্তবতা। লিমের মতো মানুষরা নেবার চেয়ে দেয় অনেক বেশী। তাই যাবার সময় নি:স্বই থেকে যায়। আপনার লেখা আর বর্নণা অসাধারন লাগলো।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ধন্যবাদ তীরুদা
পাঁচাইলাম।
অনেক ধন্যবাদ সিরাত।
তোমার আগেই কে জানি এই পোস্টটারে এক ভোট দিয়া গেল। তারা গুনিনা কখনই, কিন্তু একজন পুরানা বন্ধুর মৃত্যুতে স্মৃতিচারণমূলক পোস্টে এক দিয়ে যায় যেই সুহৃদ বুঝতে হবে আমার উপ্রে কোন কারণে সে বিয়াফক খাপ্পা।
আপনে যেই হন, মাফ করে দিয়েন কোন কষ্ট দিয়ে থাকলে।
লিমের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা। ভালো লাগল গল্পটি।
আমার মনে হয় এর মধ্যে একটি উপদেশও নিহিত আছে। জীবন তারই বৈচিত্র পূর্ণ ও উপভোগ্য যে গতানুগতিকতার বাইরে একটু সাহস সহকারে কিছু করার সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে। আমার মত ছা পোষা মানুষের সাথে পার্থক্য ঐখানে যে কিছু হারাবার ভয়ে জীবনে কখনই বড় কোন রিস্ক নেয় নি।
সাফল্য বলতে আমরা সব সময়ই বস্তুবাদী অর্জন গুলোকে ভাবি। সব কিছু হারিয়েও অনেকে সফল হতে পারে, লিম তার প্রমাণ।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
অনেক ধন্যবাদ রেজওয়ান ভাই। ভালো আছেন আশাকরি।
মনে হচ্ছিলো যেন উপন্যাস পড়ছি কোন। ভালো লাগলো, ভাবালো।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
শুক্রিয়া ভুতুম বাবাজি
আপনার লেখার সবচেয়ে ভালো লাগে জীবনের এই গতিশীল দিকটা। এই যেমন লিমের গল্প পড়ে বড্ডো হিংসে হচ্ছে ঐ লোকটাকে, যেভাবে জীবনকে উপভোগ করলো। একই সাথে আপনাকেও কম হিংসে হচ্ছে না। অভিজ্ঞতার ঝুলিটা তো একেবারে ভরিয়ে রেখেছেন। দেশে এসে আড্ডা দিতে ভুলবেন না।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
আড্ডা অবশ্যই হবে তানিম। কষ্ট করে একটু সময় বের কর
লিমের গল্প অল্প হলেও জীবনী-স্বল্প নয় তাতো দেখাই যাচ্ছে। ইন্টারেস্টিং মানুষ! আমারও এরকম ইন্টারেস্টিং মানুষগুলোর সাথে পরিচয় ছিলো --- মনে পড়লো তাদের কথা। ভালো লাগলো লেখাটা। ভালো থাকবেন।
নতুন মন্তব্য করুন