সচলায়তনের বদৌলতে ইতিমধ্যে অনেকেই জেনে গেছেন যে আমি খুব অল্প সময়ের জন্য জন্মভূমিতে ফিরে গেছিলাম এবং এর পুরোটাই নিষ্ঠাভরে লোকজনের হাড় জ্বালাতে ব্যয় করে এসেছি। সজ্জন ব্যক্তিরা উদারভাবে আমার এই জ্বালাতন সহ্য করেছেন, নানাভাবে আমাকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। সত্যি কথাটা হলো আমিই পতঙ্গের মতো আলোকিত এইসব মানুষদের আড্ডায় গিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিদিন, আমন্ত্রণ-নিমন্ত্রণের তোয়াক্কা না করেই। আড্ডার ফিরিস্তি দিতে গেলে লেখা অনেক লম্বা হয়ে যাবে, শুধু আমার উপদ্রবের লিস্টিটাতেই একবার চোখ বুলিয়ে দেখুনঃ-
১. ঢাকা পৌছালাম গত শুক্কুরবার ( সেপ্ট,১৭) ভোররাতে, সেদিন সন্ধ্যাতেই আজিজে বিনা মাশ্রুমে মাশ্রুমাড্ডা। দেখা হয়ে গেলো অনেকের সাথেই!
২. পরদিন বাবুর্চিতে সিমনেঙ্কিদু পরিষদের উদ্যোগে মহা বিতর্কিত ইফতার পার্টি
৩. চাঁন রাতে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের পুকুর পারে মাঝ রাত পর্যন্ত বকবক, সেখান থেকে বসুন্ধারা সিটিতে আরেক দফা আড্ডা, আমাদের বের করে দেয়ার আগ পর্যন্ত।
৪. ঈদের দিন সন্ধ্যায় নজ্রুলের বাসায় ভাঙচুর সহযোগে ব্যাপক খানাপিনা
৫. ঈদের পরদিন মঙ্গলবারে সবুজ বাঘের বাসায় আরেক দফা বেহেশ্তী আয়োজন
৬.বুধবারে আবার নজ্রুলের বাসায় হাঙ্গামা ( সব ডিটেইলস দেয়া যাবেনা)
৭. বৃহস্পতিবারে খালেদ চাচাকে দেখতে গেলাম, নাজমুল আল্বাব সাহেব আসলেন শ্রীহট্ট থেকে। চাচার সাথে ঘন্টা খানেক কাটিয়ে এক রেস্তোঁরায় বেশুমার আড্ডাবাজি।
৮. বনানীতে জুবায়ের ভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জমায়েত। সেখান থেকে বেরিয়ে রাস্তায়, পরে ধাবায় সচলদের সম্মিলিত পেট পুজা , গলাবাজি। অরূপ ভাইয়ের সাথে দেখা হলো।
৯. শেষদিন, শনিবারেও মহাত্মা সচলদের আমার হাত থেকে নিস্তার নাই,আবারও নজ্রুল ভাইয়ের মাথায় কাঁঠাল ভাঙলাম সবাই মিলে।--সব মিলে সাড়ে আট দিনে নয় আড্ডা--বোঝেন তাইলে!
এই শেষ দিনের কাহিনীই বলি কিছুটা আপনাদের।
দিনের শুরুতেই হালকা একটু নাটকীয়তা। ঢাকা শহরের প্রতিদিনকার দৃশ্য। একটা পারিবারিক কাজে মীরপুর যাব। গাড়িতে আমাকে রেখে ড্রাইভার রাস্তা পেরিয়ে একটা দোকানে গেল কিছু কিনবে বলে। আমি মোবাইলে মগ্ন । হঠৎ হুড়মুড়িয়ে গাড়ির জানালায় কিছু একটা পড়ার শব্দে জেগে উঠলাম। সাইকেলে চেপে যাচ্ছিলেন এক বৃদ্ধ ভদ্রলোক, পাশ থেকে তাকে ধাক্কা মেরেছে আরেক রিকশা। বুড়ো মানুষটি মাটিতে চিৎপটাং, রিকশা থামলো। একে অপরকে দায়ী করে অশ্রাব্য গালিগালাজ তারপর দু'জনের মধ্যে লেগে গেল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, রীতিমতো ঘুষোঘুষি-কুস্তি, মাটিতে গড়াগড়ি। ঘটনা দেখতে মুহূর্তে গোটা পঞ্চাশেক মানুষের জমে যাওয়া--কিন্তু কেউ তাদের থামাচ্ছে না, এর মধ্যে বুড়োর বুকে চড়ে বসেছে যুবক রিকশাওয়ালা। উপায় না দেখে গাড়ি থেকে নেমে টেনে হিঁচড়ে তাদের আলাদা করলাম।
রিকশাওয়ালার মারমুখী ভঙ্গী তখনও উচ্চাঙ্গে, একবার ইচ্ছে হলো টেনে একটা চড় লাগাই, কিন্তু কী ভেবে আর মারলাম না। বৃদ্ধের কষ বেরিয়ে রক্ত পড়ছে, আর সে চিৎকার করে আমাকে বলছে..." আপ্নে বিচার করেন, ঠ্যাং ভাইঙ্গা লুলা কইরা দ্যান, ভিক্ষা কইরা খাউক"। আমি ঠ্যাং না ভেঙেই রিকশাওয়ালাকে দিয়ে বৃদ্ধের কাছে মাফ চাওয়ালাম, তারপর দু'জন আবার যার যার রাস্তায় চলে গেল। পুরো জিনিষটা আমাকে ছোটোখাটো একটা ধাক্কা দিয়ে গেল। দেশে মানুষের অসহিষ্ণুতা ভীতিকর পর্যায়ে পৌছে গেছে, মনে হয় পুরো দেশটাই বারুদে ঠাসা, পান থেকে চুন খসলেই বিস্ফোরণ ঘটে যেতে পারে। যে কয়দিন ছিলাম, অনেক আনন্দঘন মুহূর্তের পাশেও এগুলো বেশ দৃষ্টিকটুভাবে চোখে পড়েছে। গরীব আর নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষেরা সব খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে আছে, বাস্তবিক অর্থেই।
সেখান থেকে মীরপুরে দুই একটা কাজ সেরে গেলাম গুলশানে। আবারও অবাক হবার পালা। আলমাস নামে এক দোকানে গেলাম কিছু কেনাকাটা করতে। জিনিষ পত্রের দাম সব আকাশ ছোঁয়া, এমনকি তাইওয়ানের চাইতেও বেশি। অনেককেই দেখলাম বিনা বাক্যব্যয়ে চড়া দামে এটা সেটা কিনে নিতে। সেলসম্যান একটা মজার কথা বল্ল--" এখানে টাকা কোন সমস্যা না, সস্তা হলেই বরং বেঁচতে কষ্ট হয়।"
হুম দিয়ে চলে আসলাম।
বাসায় ফিরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে, বিডিআরের দেয়া একটা অমূল্য বইয়ে একটু চোখ বোলাচ্ছিলাম, এমন সময় দূরাত্মা সিমনের ফোন, বেচারা বিদায় জানাতে ফোন করেছিল আর আমি তেলতেলে গলায় সে কতোটা শুকিয়ে গেছে ইত্যাদি বলে মন গলিয়ে আরেকটা আড্ডার বন্দোবস্ত করে নিলাম, এবং নজ্রুলিস্লাম বা নূপুর কাউকেই না জানিয়ে তাদেরই বাসায়। সময় ঠিক হলো বিকেল ছয়টায়, বড়জোর ঘন্টাখানেকের আড্ডা।
আমি পাঁচটার সময়েই বেরিয়ে যেতে তৈরী, ভাবলাম একটা রিকশা নিয়ে একটু ঘুরি,পরে গাড়ি গিয়ে আমাকে নিয়ে আসবে। রিক্সায় চেপে বসলাম। আধাপথ চলে এসেছি, এমন সময় টের পেলাম মানিব্যাগ ফেলে এসেছি। হন্তদন্ত হয়ে বাসায় ফোন করতে গিয়ে শুনি মোবাইলে টেকা নাই। বাহ্ ঢাকা শহরে আক্ষরিক অর্থেই আমি তখন কপর্দকশূন্য। রিকশা ঘুরিয়ে ফিরে যাব কিনা ভাবছি এমন সময় পরিত্রাতা হিসেবে ফারুক ভাইয়ের ফোন, আমার পরিস্থিতি জানাতেই বল্লেন তার অফিসে চলে আসতে, রিকশা ভাড়া তিনি দেবেন, চা-ফাও খাওয়াবেন। বেলেহাজের মতো তাই করলাম, ফারুক ওয়াসিফের সাথে দেখা হবার কথা ছিল আগের রাতে, নানা ঝামেলায় হয়ে ওঠেনি। কাওরানবাজারে তার অফিসের পাশে এক চায়ের দোকানে বসলাম, অনেক কথা হলো। আমি উসখুশ করছি , ফেরার ভাড়া নেই সাথে । কপাল গুনে বাসা থেকে একটা ফোন পেলাম, ব্যাস সমস্যার ঝটপট সমাধান। ড্রাইভার আমার মানিব্যাগ নিয়ে ঘন্টা আধেক পরেই চলে আসল। ফারুক ভাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে নজরুল ভাইয়ের বাসার দিকে রওয়ানা করলাম।
মগবাজার মোড়ের কাছাকাছি আসতেই ফোন বেজে উঠল। কবি পলাশ দত্ত। তাঁর একটা কবিতার বইয়ের জন্য অনুরোধ জানিয়ে রেখেছিলাম অনেকদিন ধরেই, তিনি সাথে করে নিয়ে এসেছেন। জনকন্ঠ ভবনের সামনে গিয়ে খুবই অল্প সময়ের জন্য কবির সাথে দেখা হলো।
কবি এবং ভক্ত পাঠক
নজ্রুলের বাসায় যাবার কথা ছিল ছয়টার মধ্যে, কিন্তু গিয়ে হাজির হলাম প্রায়ে পৌনে সাতটায়। গিয়ে দেখি বসার ঘর বাদ দিয়ে সব ওর অফিস রুমে চিৎ কাৎ হয়ে পড়ে আছে। ছবি দেখেনঃ-
এঙ্কিদুর খালি পাখির কথা মনে পড়ে
ভাবুক খান সাহেব আর শাহেনশাহী চেকনাই
জোড়া হাত গালে কবি তারেক, পাশে ধোয়াচ্ছন্ন সিমন
নিধির মন গলানোর চেষ্টায় বিয়াকুল সিমন
অবশেষে বসার ঘরে আড্ডার ভদ্র সংস্করন
আমার ওঠার সময় হয়ে এসেছিল। অথচ তখনও পৌছেনি শামাপোকা আর বালক পান্থ। বারবার ফোনে তাগাদা দেয়ার পর এসে, ঠিক মতো কুশল বিনিময়ের আগেই পান্থ জানতে চাইল তার জন্য ত্বকে উজ্জ্বলতা পরিবর্ধক কোন ক্রিম বা লোশন এনেছি কিনা। আমি বল্লাম কাস্টোমাইজ প্রডাক্ট বানাতে গেলে তার চামড়ার নমুনা লাগবে...দুই সেন্টিমিটারের মতো হলেই হবে। মুহূর্তেই সমস্বরে শ্লোগান উঠল---
" পান্থ রেজার চামড়া, তুলে নেব আমরা।"
শ্লোগান মুখরিত ঘরে পান্থ মূর্ছ্বা গেল।
পান্থকে টেনে কোলে তুলে দেখি পুরোটাই অভিনয়
জ্ঞান ফেরার পর পান্থকে নিয়ে একটা গ্রুপ ছবি তুললাম আমরা।
ব্যান্ড অভ ব্রাদার্স। বা থেকে অতন্দ্র প্রহরী, সবুজ বাঘ, তারেক, খান সাহেব, অনার্য সঙ্গীত ( কালো টি শার্ট গায়ে), ষষ্ঠ পান্ডব, আমি, এঙ্কিদু, পান্থ রেজা, সিমন, সৈয়দ দেলগীর!
দুর্দান্ত একটা সময় কেটেছে আপনাদের সাথে। ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করতে চাচ্ছিনা।
সবাই ভালো থাকবেন। আবার দেখা হবে !
*** ভীষন তাড়াহুড়ার মধ্যে লাঞ্চ আওয়ারে অফিস থেকে নিদারুন আগোছালো এই পোস্টটি দিলাম। পরে সময় পেলে আরও গুছিয়ে কিছু লিখব। অনেক গল্প জমে আছে এই সফর নিয়ে।
মন্তব্য
কী কপাল!!!!!!!!!!!!
ঈর্ষা !!!!!!! শুধুই ঈর্ষা!!!!!!!!
ফাও কথা ছাড়েন মিয়া, বেহুদাই খালি ঈর্ষা । রসালো কিছু মন্তব্য দেন, বহুদিন দ্রোহী মার্কা কমেন্ট দেখিনা
অনেক কথা বলার ছিল আপনার সাথে
অনেক কথা শোনার বাসনা ছিল আপনার কাছ থেকে
দুই দুই বার দেখাও হয়েছিল বৈকি (১৯ আর ২৫ তারিখে )
কিন্তু হয়নি আমার ইচ্ছা পুরণ
দোষ আমারই পোড়া কপালের ।
মানুষ যা চায় তা' পায়না -এই বুদ্ধত্ব লাভের পরও কিছুতেই আমার মন স্বস্তি পাচ্ছে না ।
একটাই অনুরোধ বন্ধু -আমাকে ভুল বঝবেন না । Be noted:
You are my friend forever.
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ভুল বুঝব কেন মানিক ভাই, আপনার সাথে একদিন গাড়িতে ঘন্টা দেড়েকের যে আলাপ হলো তাতেই আমি মুগ্ধ! ভবিষ্যতে এমন সুযোগ আবারো আসবে সেই আশায় আছি।
The pleasure is all mine
তুই লিষ্ট দে, কে কে আছে আর এই লিষ্টে।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তেমন অগোছালো লিখতে পারেন নাই বস! তবু, আরো গুছায়া আরো লিখলে তো আরো ভালোই।
অনেক ভাল্লাগলো। পাঁচ কোটি তারা পাঠাইলাম, এয়ারপোর্টে একটু খবর লৈয়েন, কাস্টমস আবার ঝামেলা না করে!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
তারা নিয়া কাস্টমস ঝামেলা করছিল, তয় আপ্নের কথা বলছি পরে ছাইড়া দিছে
হ্যা, মামুন হকের সাথে আমারও দেখা হইছিলো। এবং সেটাকে আসলেই দেখা হওয়া বলা যায়।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
পলাশ ভাই, আপনারে বহুদিন পরে দেখলাম ছবিতে।
হ, হৈছিল। প্রমাণ হিসাবে ফটুকও তোলা আছে!
হুমমম মামুন ভাই, আপনি যে আসলেই ধুন্ধুমার আড্ডাবাজ এইবার বোঝা গেল।
আড্ডা'র যে ৯টা ফিরিস্তি দিলেন, সবগুলার ডেটেলস চাই।
ধীরে বন্ধু ধীরে, বিনা অনুমতিতে সব হাড়ি ভাঙ্গা ঠিক হবেনা।
আহ! সেই সাত দিন!!! অসাধারন আড্ডাবাজি চলছে।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
অসাধারণ সব আড্ডাবাজি, আসলেই
আড্ডার বেলায় সিমন একলাই একশো!! তুমি না থাকলে যা মজা করছি তার অর্ধেকও সম্ভব হতো কিনা সন্দেহ।
পান্থ রেজাকে আসলেই বাচ্চা বাচ্চা দেখায়।
সবুজ বাঘ আমার মতোই ভালোমানুষ চেহারা। শাহেনশান সিমন নায়ক আলমগীরের কার্বন কপি। এনকিদু, পলাশদা ভাবুক, পান্ডব দা চুপচাপ ....
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
- আপনেরে আলমগীরের মতো দেখাইলে আপনের প্রথমা কন্যা পাখি সিমনরে আমি বুকিং দিয়া রাখলাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আগে পাখি তৈরীর জন্যি তো সিরাম একখান জোড়ি লাগপি ওটা যোগাড় করি দ্যান
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
একমত
আমার যা খিদা লাগছিল রে! তুই যহন খাইলা হাতে আইলি মুনে হইল, তরে কাঁচা খাইয়া ফালাই। মেজাজ খারাপের চোটে কেউর লগে ঠিকমতো কতাই কইবার পারতাছিলাম না। হাহাহাহা। সবই বিজ্ঞান।
- বাঘুদা, বিজ্জান বানান তো ভুলচুক হয়া গেলো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি ফোনের তোর কথা ঠিক মতো বুঝতেই পারি নাই, তাই খালি হাতে গেছিলাম। তাতে যে তোর চেহারা এমুন ফ্যাকাশে বর্ণ ধারণ করব আগে জানলে রাস্তার ওপারের গ্রীল হাউসটাই উঠিয়ে নিয়ে চলে আসতাম। বাঘায় সেইদিন আমার লগে ঠিকমতো কথা পর্যন্ত কয় নাই পেটের খিদায়!
আপনি এতোটা বিনয় মজুমদার জানলে কি আর আমি আপনার ভয়ে ওই সময়টা ঢাকা ছেড়ে সিলেটের জঙ্গলে পালাই?
আমিতোব ভাবতাম আপানি সবুজ বাঘের অরিজিনাল ভার্সন
কীআক্করা
নেকস্টাইম
আরে আপ্নে আমার ডরে সিলেটের জঙ্গলে সাময়িক সন্ন্যাস নিছেন জানলে তো আমি ঐখানে গিয়াই আপনারে পাক্রাও করতাম। আমি ভাব্লাম আপনি বুঝি বিয়াশাদী নিয়া ব্যস্ত ! সবুজ বাঘের আসল ভার্সন বহুৎ দূরের কথা, আমি তার লেঙ্গুরের সমানও হই নাই এখনও, সুতরাং নেক্সট টাইম আর পলাইয়েন না
ঐ কয়টা দিন আমি ছিলাম কই ....
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
আপ্নেও মনে হয় পলাইছিলেন
মনে হচ্ছিল আমিও সেখানে আছি, কিন্তু আসলে তো নাই। খুব মজা করেছিস বোঝাই যাচ্ছে।
অ.ট. কিছু কিছু নাম দেখলাম ভিন্ন রকম করে লিখেছিস। আগে একদিন আরেকজনের পোস্টে জানিয়েছিলাম বিষয়টা কেমন যেন লাগে। এখন দেখছি দোস্তও একই কাজ করতেছে। তাই নিজের না-ভালো-লাগা জানিয়ে গেলাম। পাছে লোকে আবার পক্ষপাতদুষ্ট ভাবে
হ মামা, দারুন মজা হইসে।
যাদের নাম ঐভাবে লেখি বুঝতে হবে তাদের সাথে সেই মাত্রার সম্পর্ক এবং বোঝাপড়া আছে, এইখানে ফাঁকিবাজির কোন প্রশ্ন নাই। যদ্দিন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নামওয়ালারা এ বিষয়ে বাগড়া না দেয়, আমার এই বিটকেল নামোচ্চারণ চলতে থাকবে।
আপনার দেখা নাই (ফটুতেও ) কিন্তুক আপনারা হচ্ছেন হারিয়ে যাওয়া বন্ধুত্বের মিল ভার্সন। আপনার কথা তো উঠবেই পিপিদা।
দেশে আসলে আপনাকে নিয়েও জম্পেশ আড্ডা হবে
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
চ্রম! আরো চোবি ও গোল্পো ছাই।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
আসবে, একটু থিতু হয়ে নেই
পোস্টের সাথে সাথে আড্ডায় আড্ডায় ঘুরাঘুরি হল আশা করি এর পরের বার এলে দেখা হবে মামুন ভাই
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আপনার সাথে দেখা প্রায় হয়েই গেছিল। ইফতারীতে অতন্দ্র প্রহরী এসে পরিচয় দিল-' আমি নিবিড়'। আমি কিন্তু বিশ্বাস করেই ফেলছিলাম। কিন্তু পরে সে নিজেই এসে আমার ভুল ভাঙালো।
পরেরবার দেখা হবে নিশ্চিত
মামুন ভাইয়ের সাথে দেখা তো হইসেই- এবং ভাইয়ের গল্পে আমি মুগ্ধ...!!!
তবে ভাইয়ের উপলক্ষে যেই আড্ডাগুলা হইসে...
আর বললাম না। এই সিমন ভাইয়ের, আর কাম নাই- আমার মত ভালাপুলারে আড্ডাবাজ বানায়া দিলো...
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
সুহানের সাথে প্রথম দেখা হইল শাহ্বাগের রাস্তায়, চা খেতে খেতে। লেখার মতোই দুধর্ষ ছেলেটা!!
ভালোই ফূর্তি হলো, এইবার একটু কামকাজ করলে হয় না? ফিরত গিয়াও তো শুধু দেখি কমেন্টই চলে।
প্রকৃতিপ্রেমিক, আপনি আমাকে একবার নামের বানানান্তর নিয়ে লিখেছিলেন, মনে কিছু করি নি অবশ্যই, আর যাঁদের নামে ঐ সব করি তাঁদের সাথে হয় খাতির অল্প বেশি অথবা নতুন বানানটা আগেই কেউ চালু করেছে। সুজঞ্চৌধুরি আর নজ্রুলিস্লাম আছেন, আর আছেন সাইফুলাক্বর্খান। মামুন হকের মতোই বলি, তাঁরা না আর্তনাদ করা অবধি থামছি না।
আমারে যে পাঠুদা আর মুলোদা কইয়া লোকে ভূত ভাগায়া দিলো, হেগো রে কন না ক্যা?
একবার কইয়াই যে ভুল করছি ... আপনি আবারো কইতে কন? মামুনরে কইলাম ব্যালেন্স করার জন্য, না হলে লোকে ভাববে দোস্তরে কইনা অথচ অন্যদের কই। আর জীবনেও কমুনা।
আপনি রাগলে কিন্তু আপনাকে আর মূলোদা বলবোনা কিন্তু, পাঠুদা
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
কন কন কইয়া লন, একবার আপনের একখান নাম বাইর করি, তারপর দেখবেন!
কেন, 'মাধো সিমন' নামটা শোনেননি আগে?
হই মিঞা, আপনের চকলেট ছাড়া আর কিছু কি খাইছি নাকি?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
চকলেট তো খাইসেন সবই। আর কী চান?
মামুন ভাই জটিল জমাইয়া আইছেন দেখি। অনেক দিন পরে সবুজ বাঘ ( শাপলু আমার স্কুল জীবনের বন্ধু) এর ছবি দেখে ভাল লাগল আর সেই সাথে আরিফ ভাইয়ের ( ষষ্ঠ পান্ডব) টা দেখেও।
----------------------------------------------------------------------------
জাহিদুল ইসলাম
zahidripon এট gmail ডট কম
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অনেক ধন্যবাদ জাহিদ। ভালো আছো আশাকরি। শাপলু পুরাই পাগলা কিসিমের মানুষ
মামুন্ভাই, চক্লেটের্চেহারাকেবলপ্রথম্দিনেইদেখলাম!
আমার জন্মদিনতো সেই দিনই শেষ হয়নাই! আর তাছাড়া আমি দুইবার চকলেট পাই। একবার জন্মাদিন উপলক্ষ্যে আরেকবার আপনি আইছেন বলে আরেকবার আপনি চলে যাবেন তাই আরেকবার ঈদ উপলক্ষ্যে আরেকবার এমনি এমনি
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
পাইবা মিয়া, তোমার জন্য লাগলে চক্লেটের বস্তা পাঠামু
একটু দেখেশুনে পাঠায়েন। মাধো সাহেবের মাধ্যমে পাঠায়েন না, তাইলে এক বস্তা চকলেটের হাপিশ হইতে সময় লাগবে না খুব একটা
এতোটা জমাইছেন, এখন তো ছুরি দিয়া কাটতে হবে।
ঠিক ঠাক মত পৌছাইয়া একটা আওয়াজ দিয়েন।
আপনার সাথে আমারও কথা আছে, ফোন করুম আজকালের মধ্যেই।
ষষ্ঠ পান্ডবের চেহারা চেনা চেনা লাগে। মনে হয় দেখেছি আগে।
দেশে অনেক কষ্ট করছেন, এবার এট্টু রেষ্ট লন মামুন ভাই
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হ, খাইতে খাইতে টায়ার্ড হয়ে গেছি! নজ্রুল এত্ত ভালো রান্ধে যে আর বলার মতো না!!
ফাডাইলাইসে মামুন ভাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কস কী মমিন!!
হে মামু, লেখা পড়িয়া অতিশয় হিংসা হইলো।
আমি থাকতে থাকতেই সময় করে ভ্যানকুভারেও এরকম একবার ঢু মারিও ভাগিনার খোঁজ খবর লইতে। আড্ডার অভাব হবে না - গলাবাজিতে আমার বেশ নাম(!) আছে।
আর রোজার সময় না হইলেও ইফতারি রাইন্ধা খাওয়ামু
তবে ছবি তুলতে চাইলে ঘাপলা আছে -
কারণ ক্যামেরার স্ক্রিনে আমারে আটাইতে পারিবেক না
হ আসুম একদিন, বড়ো হইয়া লই। তোদের কানাডার ভিসা নিয়া এত্ত ভেজাল করে যে আর ইচ্ছা হয়না। গরীব দেশের পাস্ফুট দেইখা আর মানুষই মনে করেনা। তবুও ধৈর্য্যে কুলাইলে একদিন লাইনে খাড়ামু।
আবার সেই জীবন.........কেমন কাটছে?
কেটে যাচ্ছে, রক্ত বেরুচ্ছে না।
আপনার সাথে দেখা হয়ে ভালো লেগেছিল। ভালো থাকবেন।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
এখন আর কাইন্দা কী হইব ভাইডি, আপ্নারে দেখার খুব শখ আছিল, কপালে নাই। যাউক আগামীতে আবার সুযোগ মিলবে আশাকরি।
অস্ট্রেলিয়ায় দেখা হবে (এনশাল্লাহ)
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
শিওর জলদি আইসা পড়, দ্রোহীদাও ঘাঁটি গাড়ছেন সেইখানে। আমি তল্প তল্পা গুটিয়ে চলে যাবে সাম্নের বছর।
আবার দেখা হবে...
হতেই হবে...
আপনে নেটওয়ার্কিং-এ জাস্ট পাগলা। আর কি কমু! কত মানুষরে বন্ধু বানায় ফেলসেন এরই মধ্যে। শিখার আছে অনেক আপনার থিকা। পাঁচ না দিয়া যাই কই?
আরে ধুর! দেশ ভর্তি সব ভালো মানুষ, তারাই আমারে প্রশ্রয় দিয়া মাথায় উঠাইছে।
মামু ভাই, আপনার ছবির সাথে আপনার চেহারার এতো ব্যাপক মিল ক্যান?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
মিল না থাকলেই না খারাপ, আপ্নের ছবি আর চেহেরাতেও তো বিয়াপক মিল!
আমি যে আপ্নেরে মামু ভাই ডাকলাম, এইটা খিয়াল করলেন না?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
হে হে এখন খিয়াল করলাম, তখন ভাবছিলাম বানান বিভ্রাট। আমার চাইনিজ নাম কিন্ত মাআমুউ! উ তে নিচে টান দিতে হয়
আসলেই বিরাট মিস হইয়া গেল মামুন ভাই। আগে টের পাইলে আপ্নের লগে দেখা করতাম। পরেরবার আশা করি মিস হইব না, দেখা করুম।
----------------------------------------------------------------------------
ডানা ভাঙ্গা একলা কাক, পথ শেষে থাক...একলাটি থাক
হ, মিস হইলে আমারই বিরাট লস, তোমারে দিয়া ভালো কিছু ছবি তুলিয়ে রাখার শখ জাগছে
আপনার সঙ্গে এক ঝলক দেখা হয়েছিল, জুবায়ের ভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে।
নিশ্চয়ই আবার দেখা হবে।
ভালো কাটুক প্রবাসে আপনার দিনগুলি।
ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।
এই ছবিব্লগটা এই চান্সে দেইখা ফালাইলাম!
নতুন মন্তব্য করুন