আশফাক সাহেব প্রতিদিন ভোরে নিয়ম করে হাঁটেন। একা না, সাথে দু’চারজন সাঙ্গপাঙ্গ বা দেহরক্ষী গোছের লোকজন থাকে। জাঁদরেল ব্যবসায়ী, সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মানো, বড়ো বাপের ছেলে আশফাক সাহেব রাজনীতিতেও খুব ঝানু খেলোয়াড়। পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সব ঠিকমতো চললে অদূর ভবিষ্যতে স্থানীয় রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে তাকে জাতীয় মঞ্চেও খেলতে দেখা যাবার কথা। এমনিতে যদিও মাটির মানুষ। জনসমক্ষে কারও সাথেই উঁচুগলায় কথা বলেন না, মিটিং বা সমাবেশ ইত্যাদি ছাড়া।
আজ সকালেও তিনি হাঁটতে বেরিয়েছেন। একটু কুয়াশামতো পড়েছে। এক জায়গায় পথের পাশে দেখলেন একটা বিড়াল ঘাস খাচ্ছে। তিনি একটু আগ্রহ নিয়ে তাকাতেই পেছন থেকে মোতালেব বলে উঠল—
“বিলাইডার মনে হয় পেট খারাপ হইছে বড়ো সাব। পেটে অসুখ করলে বিলাই ঘাস খায়।”
মোতালেব আরও কিছু বলতে যাচ্ছিল , কিন্তু আশফাক সাহেব নিরাসক্ত ভঙ্গীতে হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিলেন। আজকাল পেটের অসুখে মানুষই মরছে অহরহ, বিড়ালের পেট খারাপে কার কী আসে যায়। চলার পথে তিনি চারপাশে সতর্ক দৃষ্টি রাখেন, অনেক দিনের পুরোনো অভ্যাস।
বড়ো রাস্তার উপরে উঠতেই খেয়াল করলেন পথের পাশের ঘেসো জমিতে দু’টো লোক উবু হয়ে কিছু একটা করছে। থেমে ভালোভাবে তাকিয়ে দেখলেন ঐ লোক দু’টিও ঘাস খাচ্ছে। বেশ আগ্রহ নিয়েই, ঘোড়ার মতো মুখ ডুবিয়ে।
“এদেরও কি পেট খারাপ করছে?” –আশফাক সাহেব না জিজ্ঞেস করে পারলেন না।
“ জিগাইয়া আসি বড়ো সাব”—মোতালেব কাঁধের বন্দুক শক্ত করে চেপে ধরে ঢাল বেয়ে নামতে থাকে। বন্দুক হাতে মোতালেবকে হুড়মুড়িয়ে নামতে দেখতেই লোকদু’টো ভীত-সন্ত্রস্থ বিড়ালের মতো দুই দিকে ছুট লাগায়। অবসর প্রাপ্ত হাবিলদার মোতালেব ছুটে একজনকে ধরে ফেলে। আরেকজন এমনিতেই হোঁচট খেয়ে পড়ে নিঃসাড় মাটিতে শুয়ে থাকে। মোতালেব ধৃত ঘাসখোরের কলার চেপে টানতে টানতে ভূপাতিত তৃণভোজীকে কষে একটা লাথি মারে। লোকটি উঠে বসে কোঁকাতে কোঁকাতে ।
“কীরে ঘাস খাইতেছিলি ক্যান? সরকারী রাস্তার পাশের ঘাস কারে জিগাইয়া খাইলি? লাত্থি দিয়া খাস খাওন ছুটাইয়া দিমু বানচোত কোথাকার”—মোতালেব হুমকি-ধামকিতে লোকদু’টিকে অস্থির করে তোলে।
আশফাক সাহেব মাটির মানুষ। জনদরদী জননেতা । তিনি ইশারায় মোতালেবকে নিরস্ত করেন। নিজেই শান্তস্বরে ওদের ঘাস খাবার কারণ জানতে চান।
“খিদায় বড়ো সাব। পেটের ভুখে ঘাস খাই। বন্যায় ফসল সব ডুইবা গেছে, বাড়িতে খাওন দাওন কিছুই নাই। গরু ছাগলের জ্বালায় ঠিকমতো ঘাসও ভাগে পাইনা।”— সাহস পেয়ে একজন বলে ওঠে।
আশফাক সাহেবের চেহারায় চিন্তাক্লিষ্টতার পাশাপাশি খানিকটা আগ্রহের ছাপও দেখা যায়।
“এক কাজ কর, আমার বাড়িতে চলে আয়। খাবার-দাবারের বন্দোবস্ত হয়ে যাবে”—নরম কণ্ঠে তিনি বলেন।
লোকগুলোর চোখেমুখে অবিশ্বাস আর অনিশ্চয়তার মিশেল দেখা যায়।
“কিন্তু সাব, আমার ঘরে তো আরও ছয়জন খানেওয়ালা। তারাও না খাওয়া, তাগো কী হইব?”—অস্ফুটে একজন বলে।
অন্যজন জানায় যে তার বাড়িতেও বউ, বৃদ্ধা মা আর পাঁচ ছেলেমেয়ে অভুক্ত।
আশফাক সাহেব তাদেরকেও নিয়ে আসতে বলেন। সাথে অনাহারী প্রতিবেশীদেরও। সবার আজকে তার বাড়িতে খাবার নিমন্ত্রণ।
প্রায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পঞ্চাশ-ষাট জনের হাড় জিরজিরে অভুক্ত মানুষের দল অনেকটা মিছিলের মতো করে আশফাক চৌধুরীর বাড়ির সদর দরজায় এসে ভিড় করে। কারও কোলে অভুক্ত শিশু, কারো হাতে হাভাতে বৃদ্ধ বাবা-মা।
আশফাক সাহেবের হুকুমে প্রাসাদের দরজা খুলে যায়। তারপর নিজেই পথ দেখিয়ে তাদের সবাইকে বাড়ির পেছনের মাঠে নিয়ে আসেন।
“তোদের না খাইয়া থাকার দিন শেষ। পেট ভইরা খা, যার যদ্দুর মন চায়”— আশফাক সাহেব তাঁর মাঠের প্রায় একহাঁটু উঁচু হয়ে থাকা ঘাসের দিকে ইশারা করলেন।
মন্তব্য
হুমম। ভালো হয়েছে রে। তবে গল্পের দুর্বল দিকটা হলো এত ভালো মানুষের হঠাৎ এমন পরিবর্তন।
দোস্ত ভালো মানুষ কই পাইলি? এই গল্পে মানুষকে গরু-ছাগল মনে করা, দিনে-রাতে জণগনের অ্যাশফাকিং করা যাদের স্বভাব সেইসব জনপ্রতিনিধিদের ভালো মানুষ বলে মনে হলে তো আমারও ঘাস খাওয়া উচিত
ফাটাফাটি লাগল বস......!!!
অনেক ধন্যবাদ অনি ভাই
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এইসব ইমোটিমো বাদ্দিয়া আমাগোরে একটা সঙ্গীত শুনাউ...
মামুন ভাই
এটা আপনার বেস্ট গল্প
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
অনেক ধন্যবাদ রানা মানুষের ঘাস খাবার ব্যাপারটা কৌতুক হিসাবে কোথায় যেন পড়েছিলাম, ভালো লাগেনি। অভুক্ত মানুষের কষ্ট নিয়ে আর যাই হোক তামাশা চলেনা। তাই এই হাবিজাবি লেখার প্রয়াস।
তবে একটা ছোট্ট অভিযোগ
শিরোনামটা গল্পের মতো ভালো হয়নি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
শিরোনাম নিয়ে আমিও সন্তুষ্ট নই। কিন্তু অনেক রাতে লিখেছি, নাম খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তোমার স্টকে ভালো কিছু থাকলে দয়া করে জানিও, পালটে দেব
৬ তারা দেওয়া গেলে হতো... আফসুস! *তিথীডোর
তারা লাগবেনা, আপনার ভালো লাগলেই আমি হ্যাপী
কঠিন গল্প!
আমিতো সোজা করেই লিখতে চাইছিলাম
শেষ লাইনটাই গল্প। ব্যাপক হয়েছে।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
হ, ঐ শেষ অংশটুকুর জন্যই বাদবাকি লেখার অভিনয়।
হ, 'অভিনয়' ভালো হইসে!
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ধন্যবাদ কাঁটাওয়ালা ভাই
অনেক অনেক ভালো হৈছে!
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ পান্থ!
ফাটাফাটি হইছে মামুন্বাই!
তবে ছোটবেলায় বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নের মত আপনাকেও জিজ্ঞেস করিঃ এই গল্পের নামকরনের স্বার্থকতা বর্ণনা করেন
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
গল্পের নামকরণের স্বার্থকতা আসলেই নাই, কারণ এই নামটা কারও কাছে তেমন ভালো লাগেনাই। আমিও অনেক ঝোঁকের মাথায়ই নামটা দিসিলাম। শীতল আয়না বিশেষ এক ধরনের আয়না যেটা আলোর প্রতিফলনের পাশাপাশি ক্ষতিকর রশ্মিগুলাকেও প্রতিহত করে থাকে। এই গল্পে মানুষের দুর্দশার একটা প্রতিকী প্রতিফলন ঘটলেও প্রতিকারের কোন ইশারা নাই। তাই আমি নিজেই বুঝতেছি যে নামটা ভালো হয় নাই।
পালটে দিচ্ছি।
লেখাটা আমার কাছে চরম ফাটাফাটি লেগেছে, মামুন ভাই জিন্দাবাদ। যদি কোনদিন সচল হই, অবশ্যই এসে তারা দিয়ে যাবো। আর লেখার কথা কি বলব, ছোট মুখে বড় কথা কওয়াই আমার অভ্যাস, তারপরেও এত অল্প কথায় এত সুন্দর করে নির্মম সত্য কথাটা ফুটিয়ে তুল্লেন মামুন ভাই, সেই সাথে শিরোনামটাও লাগসই। জানিনা, এর চেয়ে ভালো শিরোনাম হতে পারত কিনা!
আমার দৃষ্টিতে শিরোনামে আয়না দিয়ে মামুন ভাই বাস্তবের যে অবাস্তব প্রতিবিম্বটা ফুটিয়ে তুলেছেন, সেটা নিঃসন্দেহে ব্যাপক মাত্রায় প্রশংসনীয়। তবে মামুন ভাই নিজে ব্যাখ্যা দিক আমি বরং মিলিয়ে দেখি, আমি আবার ভুল বুঝলাম কিনা।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অনেক ধন্যবাদ সাইফ। তবে শীতল আয়না শিরোনামটা আমার নিজের কাছেই একটু জটিল লাগছিল। তাই পালটে দিলাম। আশাকরি জলদি সচল হয়ে আমার বকেয়া তারাগুলি বুঝিয়ে দেবে
গল্পটা ভাল লাগল। সকালে শীতল আয়না নামে পড়ালাম। ক্ষুধা নামটা অবশ্যই গল্পের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ কিন্তু আশফাক সাহেব ব্যবহারের সাথে শীতল কথাটার একটা সম্পর্ক আছে মনে হয়েছিল...।
সহমত প্রকাশ করছি, আর শীতল আয়না নামটাই আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। ক্ষুধা নামটা বেশি সহজ সরল হয়ে যায়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এক্কেরে জব্বর হৈছে মামুন ভাই। এইসব আশফাকগুলিরে ধইরা ঘাস নাইলে বাঁশ খাওয়াইতে পার্তাম যদি। হায় আফ্সুস।
তয় ফাটাইন্যা হৈছে।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
বাঁশ খাওয়াইতারলেই শান্তি পাইতাম বেশি।
দারুণ! আশফাক সাহেবদের চরিত্র জানার কারণে শেষটা যদিও কিছুটা আন্দাজ করা যায়, তারপরও চমৎকার লাগলো।
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ রাহিন
সুন্দর !!!!
আশফাক সাহেবকে ধরে ঘাস খাওয়াতে ইচ্ছা করতেসে!!!!
বজ্জাত ব্যাটা!!
হ, আমারও!
গল্পটা ভালো কিন্তু যত্নের অভাব চোখে পড়ে একেবারে
০২
আপনার কিছু সমালোচনা করি স্যার
আপনি লেখেন ভালো কিন্তু লেখার মধ্যে প্রচলিত আর অতি পরিচিত বাক্যবন্ধ ব্যবহার করেন বলে লেখার গতি কেমন খোঁড়াতে খোঁড়াতে আগায়
এই লেখাটা খেয়াল করেন। কতটা প্রচলিত বাক্যবন্ধ:
প্রতিদিন ভোরে নিয়ম করে হাঁটেন
সাঙ্গপাঙ্গ বা দেহরক্ষী গোছের লোকজন
জাঁদরেল ব্যবসায়ী
সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মানো
বড়ো বাপের ছেলে
রাজনীতিতেও খুব ঝানু খেলোয়াড়
পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত
অদূর ভবিষ্যতে স্থানীয় রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে
জাতীয় মঞ্চেও খেলতে দেখা যাবার কথা
এমনিতে যদিও মাটির মানুষ
জনসমক্ষে কারও সাথেই উঁচুগলায় কথা বলেন না
একটু কুয়াশামতো পড়েছে
নিরাসক্ত ভঙ্গীতে হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিলেন
চলার পথে তিনি চারপাশে সতর্ক দৃষ্টি রাখেন
ভীত-সন্ত্রস্থ
আশফাক সাহেব মাটির মানুষ
হাড় জিরজিরে অভুক্ত মানুষের দল
আশফাক চৌধুরীর বাড়ির সদর দরজায়
প্রাসাদের দরজা খুলে যায়
প্রায় একহাঁটু উঁচু হয়ে থাকা ঘাসের দিকে ইশারা করলেন
এগুলোর জায়গায় যদি নিজের বাক্য ঢুকিয়ে দিতেন তাহলে পুরো গল্পটাই অন্য চেহারা পেয়ে যেত
আপনারে ঝুড়ি ঝুড়ি ধন্যবাদ দিয়ে নেই আগে। এত চমৎকার একটা সমালোচনার জন্য।
অযত্নের কথাটা একদম ঠিক। এক বসায় লেখা। একজনের অনুরোধে, তারে অনলাইনে অপেক্ষায় রেখেই লিখছি।
বাক্যগঠন আর শব্দচয়নের দূর্বলতা আমাকে চরম ভোগায়। পরিচিত বাক্যবন্ধ লেখাকে খোঁড়া করে দেয় জানি, কিন্তু এর বাইরে লেখার ক্ষমতা এখনো হয়নি। বাংলা লেখা-পড়া থেকে বহু বছর দূরে ছিলাম। কার লেখার আছর আমার উপরে ভর করে সেইটাই এখনো বুঝে উঠতে পারি নাই।
তারপরেও হাল ছাড়ছিনা, চেষ্টা করে যাব। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ লীলেন ভাই।
এখন থেইক্যা ঘাসের চাষ করুম, কার কখন লাগে
.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.
...........................
Every Picture Tells a Story
ঘোড়ার জন্য কাটতে ঘাস তো লাগবেই
মনে হয় আমি বুঝতে পেরেছিলাম গল্পে কী ঘটবে, ক্যাম্নে বুঝলাম জানি না...
মামুন ভাই লীলেনদার মন্তব্যটা একটা গুরুত্বসহকারে নিতারেন- আখেরে লাভ হইবো আমগোর; আফনের পাঠক্কূলের...
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
এইটা আসলে একটা পুরান কৌতুক থেকে লেখা, বোঝাটাই স্বাভাবিক। তার উপরে তুমি আবার একজন শব্দশিল্পী লীলেন ভাইয়ের কথাগুলো সিরিয়াসলিই নিয়েছি, চেষ্টা করে যাব অন্যভাবে লিখতে। অনেক ধন্যবাদ সুহান!
ভাল লাগছে। এই গল্পের মূল বানীটা কি
স্বপ্নদ্রোহ
মূল বানীটানি নাইরে ভাই। মানুষের ন্যুনতম মর্যাদাও মানুষের কপালে জোটেনা আজকাল। সেটাই হয়তো বুঝাইতে চাইছি দূর্বলভাবে।
খুব ভালো লাগলো!
_______________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন।
গল্প জাঝালো হয়েছে মামুন ভাই
আদিগন্ত বিস্তৃত সবুজ ধইন্যাপাতার ক্ষেত দিলাম তোমার মেহেদী।
ভাই, ক্ষুধা নামটাও আমার ভাল লাগেনাই । আগের নামটা বুঝিনাই দেখে কিছু বলি নাই...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভালোই যন্ত্রণা দেখি পুলাপান নিয়া
নাম আমারো ভালো আসেনা। অনেক লেখার নামই ধার করা। এইটারও।
এখন ভালো না লাগলে নতুন কিছু নাম দে, ভাইবা দেখি।
জটিল হয়েছে লেখা। বেচারা আশফাকেরা, নামের কারণে ভিলেইন হয়ে গেল
ধন্যবাদ সাফি। আমার সবচে প্রিয় ভাগ্নেটার নামও সাফি
মামু, আমার বাপের নাম মামুন
ভালো লাগলো। ক্ষুধা তো ভালো নাম, সহজ সরল প্লটের এমন খোলামেলা নামই ভালো, প্রতীকী নামটাম জমতো না। এমনকী 'ঘাস' হলেও চলতো, তবে ধুরন্ধর পাঠক তাহলে আগেই টুইস্টটা ধরে ফেলতো।
মূলোদা তুমি আমাকে খুব ভালো করেই চেন দেখচি গল্পের নাম শুরুতে ঘাস ছিল, সেটা এক বন্ধুর ভালো না লাগায় পোস্ট দেয়ার সময় নামটা বদলে দিয়েছিলাম। সেটাও অনেকের ভালো না লাগায় বদলে ক্ষুধা করেছি। এখন এই নামটাও তোপের মুখে।
করনা কেয়া হ্যায় ইয়ার?
অসাধারণ।
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
অনেক ধন্যবাদ
আরেকটু হলেই চোখ এড়িয়ে যেতো... গল্পটা অসম্ভব ভালো লাগলো, মামুন ভাই।
তোমারে দেয়ার মতো ধইন্যাপাতা আমার স্টকে নাই
আপনি পারেন ও ভাই। শেষে এসে একটা ঝাকুনি দিয়ে দিলেন। ভাল লেগেছে।
নামে কি আসে যায়? তবে এখনকারটা বেশ সরল, তাই বেশী ভাল।
ধইন্যাপাতা আপ্নের কপালেও নাই ।
গল্পটা দারুণ হয়েছে ভাই। ভীষণ ছুঁয়ে গেল।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
আপনার সদয় মন্তব্যও আমাকে ছুঁয়ে গেলো।
নতুন মন্তব্য করুন