অনেকদিন ধরেই কোন কিছু লেখা হয়না। সময় হয় তো মুড থাকেনা, আর মুড থাকেতো ফুরসৎ মিলেনা। আজ তাই নিজেরে জোর করে কম্পুর সামনে বসিয়ে এই মাঝরাত্তিরে খোলামকুচির মতো কিছু শব্দ খরচ করে ফেললাম। পড়তে দিয়ে কারো ধৈর্যচ্যুতি হলে সেটা এই হতচ্ছাড়া লেখকের ততোধিক হতশ্রী লেখারই দোষ।
০১.
আজ রেডিওতে একটা খবর শুনে চমকে গেলাম। সামনের বছর থেকে তাইওয়ানেও বাচ্চা ফুটালে বেবী বোনাস দেয়া হবে। হয়তো ভাবছেন ধনী দেশ, পয়সা আছে তাই বিলোচ্ছে, এত চমকানোর কী আছে। খুলেই বলি। বলেন তো পৃথিবীর সবচে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ কোনটি? সঠিক উত্তরের জন্য কোন পুরুস্কারের ব্যবস্থা নেই, কারণ এটা সবারই জানা। এবার বলেন তো তালিকায় এর পরের দেশ কোনটি? গুগ্লাইতে হবেনা, আমিই বলে দিচ্ছি। পৃথিবীর দ্বিতীয় ঘনবসতিপূর্ণ দেশটির নাম তাইওয়ান। বাংলাদেশের চারভাগের একভাগ আয়তনের মধ্যে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ মিলে মিশে থাকে। অথচ বোঝার কোন উপায় নেই। আজ সকালে আমার শহর থেকে ট্রেনে চড়ে প্রায় ৩০০ মাইল দূরের রাজধানী শহরে গেলাম। রাস্তার দুপাশে ছবির মতো সাজানো গোছানো লোকালয়, মাঠ-ঘাট, ক্ষেত-খামার, মিল-ফ্যাক্টরী। পরিকল্পিত, পরিশীলিত। আগোছালো বলতে কোথাও তেমন কিছু চোখে পড়লোনা। জনগোষ্ঠীকে জনশক্তিতে রূপান্তর কীভাবে করে দেখাতে হয় তার একটা জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ হচ্ছে তাইওয়ান। অন্য কোন একদিন এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত লিখবো।
আমাদের বিশাল জনসম্পদের যে কবে কোন গতি হবে?
০২.
বেশ কিছুদিন যাবতই এখানকার সংবাদপত্র, রেডিও-টিভি ইত্যাদি জুড়ে একটা বিষয় নিয়ে ব্যাপক হৈ চৈ। নির্বাচনের সময় ভোট বেচা-কেনা নিয়ে। ক্ষমতাসীন কে এম টি দলের একজন সাংসদের সদস্যপদ বাতিল হলো নির্বাচন কমিশনের রায়ে। তেনার জেল-জরিমানাও হতে পারে। নির্বাচনের আগে আগে ভোটারদের মাঝে উৎকোচ বিলানোর অপরাধে, যেটাকে সাংসদ সাহেব উপঢৌকন হিসাবে চালিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।
তো কী দিয়েছিলেন উনি ভোটারদের? না ভাই, কড়কড়ে নগদ টাকা বা চকচকে সোনা-দানা না, বেচারা তার ভোটারদের মাঝে একটা করে রুই মাছ আর এক ঝুড়ি করে আপেল বিলিয়েছিলেন।
আহা আমাদের নির্বাচন কমিশন যে কবে এমন তৎপর হবে?
০৩.
গত সপ্তাহে শহরের একটু বাইরের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি এক ফ্যাক্টরীর মূল ফটকের পাশের পতাকা স্ট্যান্ডে পতপত করে উড়ছে তাইওয়ানের পতাকা। এ আর নতুন কী? কিন্তু তার পাশেই অন্য একটি দেশের পতাকা খলবলিয়ে উড়তে দেখে রীতিমতো ভিড়মি খেলাম। প্রথমে ভাবলাম ভুল দেখেছি। গাড়ি থামিয়ে চোখ কচলে তাকিয়ে দেখি, না ভুল দেখিনি। তাইওয়ানের পতাকার পাশ হতে আমার দিকে জুলজুলিয়ে তাকিয়ে আছে চান-তারা খচিত পাকিস্তানের নিশান। অনেকদিন যাবৎ আছি এই শহরে , পাকিদের কোন নাম-নিশানাও দেখিনি। হঠাৎ করে বিশাল এক ফ্যাক্টরীতে নাপাক চিহ্ন দেখে মন-মেজাজ খিঁচড়ে গেলো। খোঁজ খবর করে জানলাম ওটা একটা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী। তাইওয়ান-ফাকিস্তানের জয়েন্ট ভেঞ্চারে করা। শুনে মেজাজ আসলেই সপ্তমে পৌছালো।
ঐ পতাকাটা হবার কথা ছিল আমাদের বাংলাদেশের। তাইওয়ান বাংলাদেশের সাথে কাগুজে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য অনেকদিন যাবতই উদগ্রীব ছিল। খুব সম্ভবত ২০০৪ সালের ঢাকাতে একটা রিপ্রেঞ্জেন্টেটিভ অফিসও খোলে তাইওয়ান। কথা ছিল বাংলাদেশে কয়েক বিলিওন ডলার ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্টের পাশাপাশি, প্রযুক্তিগত সহায়তার হাতও তারা বাড়িয়ে দিবে। সবচে বড়ো সুসংবাদটা ছিল বাংলাদেশের অদক্ষ জনশক্তিকে তাইওয়ানী আমদানীর বিষয়ে। প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিকের কর্ম সংস্থানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত এর কিছুই করে দেখাতে পারলোনা তৎকালীন মেরুদন্ডহীন বি এন পি সরকার। উপরন্তু তাইওয়ানের সাথে চুক্তি করার অপরাধে বানিজ্য মন্ত্রী আমির খসরুর চাকরি গেলো। এদেশের ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এসব দেশের শ্রমিকদের চাকরি দিল। আর বাংলাদেশের সাথে পোষাক শিল্পে বিশাল সব উদ্যোগ মাঠে মারা যেতে দেখে প্রায়া ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে দিল পাকিস্তানের বানিজ্য মন্ত্রণালয়। আমার শহরে মাত্র একটা তাই-পাকি ফ্যাক্টরী হয়েছে, আগামীতে আরও হবে।
নিজের পায়ে আমরা আর কতোকাল এভাবে কুড়াল মেরে যাব?
০৪.
বউকে নিয়ে ইমিগ্রেশন অফিসে গেসিলাম। সামনের মাস থেকে সে আর কাজ করবেনা,তাই তার ভিসা স্ট্যাটাস বদলাতে। কাগজপত্র সব দেখে ইমিগ্রশন অফিসার ( আমার পূর্ব পরিচিত) তাকে বাদ দিয়ে আমাকে নিয়ে পড়লো। বউয়ের ভিসা বদলানো নাকি খুবই সহজ একটা বিষয়। মেরেকেটে মাসখানেকের মধ্যে হয়ে যাবে। আমার আইডি, পাসপোর্ট ইত্যাদি দেখে বললো --তোমার জন্য একটা সুখবর আছে,আমি আরেকবার হোম অফিস থেকে নিশ্চিত হয়ে নিয়ে তোমাকে ফোন করব।
দিনকয়েক আগে ফোন করলো। বলে তুমি সিটিজেনশীপের লায়েক, আবেদন করে ফেলো। তোমার কাগজ পত্র সব ফকফকা, তেমন কোন ঝামেলা হবেনা। আমি দ্বিধা-দ্বন্দে ভুগছি বুঝতে পেরে বললো একবার যেন অফিসে গিয়ে সব বিস্তারিত বুঝে আসি। গেলাম তার অফিসে। আসলেই তেমন জটিল কোন প্রক্রিয়া না, স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যাবার পর নাগরিকত্ব মেলাটা অনেক সহজ হয়ে যায়। সব শুনে আগ্রহ যখন শণৈঃ শণৈঃ বাড়ছিল তখনই একটা আপোষহীণ শর্তের কথা শুনে একেবারে মিইয়ে গেলাম। তাইওয়ানের পাস্পোর্ট নিতে হলে নাকি আগে আমার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে আসতে হবে। আমি আম্রিকান, ইউরোপিয়ান বা অস্ট্রেলিয়ান হলে সমস্যা হতোনা, ডুয়েল পাস্পোর্ট রাখতে পারতাম। কিন্তু আমার মতো তৃতীয় বিশ্বের প্রতিনিধিদের জন্য ঐ সুযোগ নাই। তামা-তুলসী-গঙ্গাজল ছুঁয়ে খাঁটি তাইওয়ানিজ হবার প্রতিজ্ঞা করলেও না। অফিসার আমার দ্বিধার ব্যাপারটা বুঝতে পেরে বললো আপাতত আবেদনপত্র নিয়ে যেতে, ভেবে-চিন্তে মনঃপুত হলে তবে আগাতে।
অফিসে ফিরে এসে কিছুক্ষণ থম ধরে রইলাম। এটা ঠিক যে বাংলাদেশের পাস্পোর্টে আজকাল কোথাও যাওয়াই বিশাল ঝক্কির ব্যাপার। ডুয়েল পাস্পোর্ট রাখতে দিলে হয়তো অন্য কোন দেশের নাগরিকত্ব নিয়েও বসতাম। কিন্তু তাই বলে গরীব-দুখিনী বলে নিজের দেশকে এভাবে দূরে ঠেলে দেয়া?
পারলাম না। আমার দেশ গরীব, ভুখা-নাঙ্গা, তবুও সেটা আমার জন্মভূমি, আমার অহংকার। গরীব দেশের গরীব মানুষের একটু আধটু দেশপ্রেম ছাড়া আর গর্ব করার মতো কিইবা আছে?
অনেক আগে দেশ থেকে আনা দেড় দুই হাত বহরের একটা পতাকা ছিল ড্রয়ারে। আমার ছোট অফিস, পতাকা স্ট্যান্ড নাই। সবুজ জমিনের রক্তলাল পতাকাটা আমার ডেস্কের পেছনের দেয়ালে টানটান করে লাগিয়ে দিলাম।
ভিনদেশের নাগরিকত্বের আবেদনপত্রের স্থান হলো আস্তাকুড়ে।
যতদিন বাঁচি বাংলাদেশী হিসেবেই বাঁচব।
মন্তব্য
শেষ কথাটা বেশী ভাল লাগল মামুন ভাই (চলুক)
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
অনেক ধন্যবাদ নিবিড়।
ধুর আপনার লেখায় মন্তব্য করা যায়না। কি লিখব বসে বসে চিন্তা করা লাগে... তাই মন্তব্য করতে পারমুনা....
আপনি কেমন আছেন ভাই?
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মন্তব্য যা করেছিস সেটাই অনেক :)
আমি আছি ভালোই, তোর কী খবর?
জ্বি :)
মামুন ভাই, অনেকদিন পরে লেখা দিলেন, কিন্তু এমন এক লেখা দিলেন, পড়ে কিংকং হয়ে বসে থাকলাম। বাংলাদেশী নাগরিকত্ব ছেড়ে দিতে হবে শুনে আমি পুরাই বেক্কল হয়ে গেলাম। এদের মাথায় তো মনে হয় বিশাল সমস্যা আছে।
আর কুড়াল আমরা তো আর কোথাও মারতে পারি না, নিশানা এতই খারাপ আমাদের, তাই নিজেদের মাথা, পিঠ, পাছা, পা ছাড়া আর উপায় কি? :-?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কিংকং হয়ে বসে থাকে ক্যাম্নে?
হ মিয়া, কইলো সবার আগে সবুজ পাস্পোর্টটা ফিরৎ দিয়া আসতে। শুইনা আমারও আক্কেল গুড়ুম হইছিলো।
অনেক আগে দেশ থেকে আনা দেড় দুই হাত বহরের একটা পতাকা ছিল ড্রয়ারে।
তফাৎ সেখানেই।
আমি হয়তো প্রেম জাগলে সে দেশে একটা বানিয়ে নিতাম।
-মজনু
মজনু ভাই, বানানের এলেম থাকলেতো হইসিলোই!
উহুঁ, আমি যে কী হইছি, কম্প্যুতে বেশি লিখতে গেলে মাথা ধরে,
আর কম লিখেও ভালো করে বুঝাইতারিনা।
আমি বলেছি যে,
আপনি আপনার দেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে ঐ দেশের নাগরিকত্ব পেতে রাজি না, আমি হলে হয়তো হয়ে যেতাম।
কারণ, আপনার মতো প্রেমিকরা দেশ থেকে যাবার সময় মাতৃভূমির পতাকা সাথে করে নিয়ে যান,
আমি অথবা আমার মতো আরো অনেকে নিতোনা বা নেয়না,
অনেক জরুরী জিনিষের! মাঝে পতাকার কথা মনেই আসেনা,
কোনো কারণে প্রেম জাগলে দর্জির কাছে গিয়ে একটা বানিয়ে নিতাম,
দেশ প্রেমে আপনার আর আমার তফাৎ সেখানেই।
-মজনু
এইবার বুজছি। আমিও কানে খাটো, কথা বার্তা ভেঙ্গে না দিলে বুজতারিনা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মজনু ভাই।
চরম কথা বলসেন :D
--- নীল ভূত।
ধন্যবাদ ভূতোদা :)
আমার ধারণা জোট সরকার পাকিস্তানের সুবিধা করে দেয়ার জন্যই তাইওয়ানের সাথে চুক্তিটা করে নাই।
বস ঘটনা হইলো, ঢাকাতে তাইওয়ানের অফিস খোলার পরপরই চায়নার রাস্ট্রদূত গোস্বা হয়ে বেইজিং চলে গেছিলো। তাইওয়ানের সাথে খাতির করার অপরাধে বাংলাদেশে সব ধরনের সামরিক-বেসামরিক সাহায্য বন্ধ করে দেবার হুমকি দিসিলো চিংকুরা। অথচ এই হারামীরাই স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পিছনে আদাজল খেয়ে লাগছিল। পাকিস্তানকে সব ধরনের অস্ত্র-পাতি নগদ সাহায্য দিয়ে বাঙ্গালী নিধনে পরোক্ষ ভূমিকা রেখেছিল চাইনিজ সরকার। সেই তারাই আজকে উঠতে বস্তে বাংলাদেশের উপ্রে খবরদারী করে, কানপট্টি , গাট্টা লাগায় একটু বেচাল দেখলেই। অথচ চায়নার সাথে আমাদের বানিজ্য ঘাটতি দেখলে যে কারো চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।
উচ্ছিষ্টের লোভে আর সামনে ঝোলানো মূলা-গাজরের তাড়নায় নতজানু পররাস্ট্রনীতির বেড়াজালে বন্দী আমাদের অমিত সম্ভাবনাময় দেশ।
কিন্তু পাকিরা তো ঠিকই তাইওয়ানের সাথে ব্যবসা করতেসে। তখন চাঙ্কুরা কিসু কয় না ক্যান?
আমার মনে হয় বাংলাদেশের উচিত কোনো একটা বেসরকারী কাঠামোর মাধ্যমে তাইওয়ানের সাথে ব্যবসার নতুন নিশগুলি এক্সপ্লয়েট করা।
ব্যবসা করার ক্ষেত্রেতো চিংকুগো কোন আপত্তি নাই। তারা জাতে মাতাল তালে ঠিক। এমনকি মেইনল্যান্ডেও সবচে বেশি বিদেশী(!) বিনিয়োগ তাইওয়ানের। চায়নার আপত্তি তাইওয়ানের সাথে যে কোন ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে। অগ্র পশ্চাত না ভেবেই জোট সরকার সে কাজে হাত দিয়েছিল। এখানকার মিডিয়াতে তখন জোর গুজব ছিল যে বাংলাদেশের বানিজ্যমন্ত্রী বিশাল অংকের টাকা খেয়ে ঢাকাতে তাইওয়ানের ট্রেড অফিসে খোলার অনুমতি দিয়েছিলেন। সেটা সত্যি নাকি চায়নার চাপে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতে তখন আমির খসরুর চাকরি গেছিল সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত না। তবে কূটনৈতিক বিচক্ষণতা বা শক্ত মেরুদন্ডের কোনটাই না থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হলো আমাদের দেশ, দেশের মানুষ। যেমনঃ-
১। বিশাল অংকের তাইওয়ানিজ বিনিয়োগ আটকে গেলো
২। ৫০,০০০ শ্রমিকের কর্ম সংস্থান হতে পারতো, হলোনা
৩। বাংলাদেশে একটা তাইওয়ানিজ ইপিজেড করার কথা ছিল, হলোনা
৪। বাংলাদেশীদের জন্য তাইওয়ানে আসা-যাওয়া অতিমাত্রায় কঠিন হয়ে গেলো। আগে হংকং বা ইন্ডিয়া থেকে ভিসা নেয়া যেত, এখন যেতে হয় ব্যাংককে। তাও স্পন্সরশীপ ছাড়া ভিসা মেলেনা।
সরকারের মাথায় বুদ্ধি থাকলে বেসরকারী উদ্যোগের আড়ালেই অনেক কিছু করা সম্ভব ছিল।
উদ্ধৃতি:
"যতদিন বাঁচি বাংলাদেশী হিসেবেই বাঁচব।"
তারপর
-'মেরুদন্ড সোজা করে'
কথাটা পেস্ট করার সময় বাদ পড়সে মনে হয়! (দেঁতোহাসি)
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
জ্বি, ঠিক বলেছেন। মেরুদন্ড সোজা করেই বাঁচা উচিৎ।
লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস আর বিশাল একটা স্যালুট আপনার জন্য। লেখাটা পড়ে দুঃখ বাড়লো দেশকে নিয়ে।
ধন্যবাদ ইশতি। দুঃখ-কষ্টে ধুঁকতে থাকলেও পোড়াকপালী দেশটারে ভালো না বেসে পারা যায় না। আমরা পারবোও না এই জনমে দেশকে ভুলে থাকতে।
(গুরু)
:)
শেষের লাইনটার জন্যে আপনাকে স্যালুট :-)
---------------------
আমার ফ্লিকার
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার শেষের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কিছু বলার নেই, শুধু এই আবেগকে প্রচন্ড শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলাম।
দ্বিতীয় ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হয়েও যখন জন্মবৃদ্ধিকে এনকারেজ করছে, ধরেই নিতে হবে খুব লম্বা সময়ের জন্য পরিকল্পনা করছে। আমাদের তো ভাই ফায়ার-ফাইটিং করতে করতেই দিন চলে যায়, লম্বা পরিকল্পনা কখন করব।
সরকারের এই দেশের ভাল হয় এমন সম্পর্ক স্থাপনের ব্যার্থতা কিংবা অনীহাতে ইদানিং আমার আর আক্ষেপ হয় না। এর মধ্যেও সরকার বা প্রশাসনের কোন কোন আনফিট লোকজন ভাল কিছু করবে, আপনাদের মত কেউ কেউ প্রাইভেট সেক্টরের পক্ষ থেকে হাত বাড়িয়ে দেবেন, এভাবেই চলবে...। এইতো।
ঠিকই ধরেছেন নৈষাদ। এখানকার সরকার এক সমীক্ষায় দেখলো যে বর্তমানে দেশে শিশু-কিশোরের চেয়ে প্রবীনদের( চল্লিশোর্ধ) সংখ্যা বেশি। নতুন প্রজন্ম সহসা বিয়েই করতে চায়না, আর করলেও আন্ডা-বাচ্চা নেয়াতে তাদের ব্যাপক অনাগ্রহ। এভাবে চল্লে বিশ ত্রিশ বছর পরে দেশ চালানোর মতো যুবশক্তির আকাল পড়তে পারে। তাই আগে ভাগেই নতুন দম্পতিদের সন্তান নিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
কাগজে-কলমে দ্বিতীয় ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও এর প্রকোপ সহসা বোঝার কোন উপায় নেই। সারা দেশটা মিলেই একটা বড়ো শহর, ৫০-৬০ বছর আগে সরকারী উদ্যোগে ভূমি বন্টন করে পরিকল্পিত ভাবে বসতি, শহর, উপশহর, আবাদী জমি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা ইত্যাদি গড়ে তোলা হয়েছে।
আর এর সুফল ভোগ করছে কঠোর পরিশ্রমী বর্তমান প্রজন্ম।
একদম ঠিকাছে। (চলুক)
অন্য একটা গল্প মনে হৈলো বাই-প্রডাক্ট হিসাবে। লিখমুনে, এর মধ্যে সময় করতে পারলে।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
লিখেন লিখেন , চটজলদি লিখে ফেলেন বস।
গরীব দেশের গরীব মানুষের একটু আধটু দেশপ্রেম ছাড়া আর গর্ব করার মতো কিইবা আছে?
সেটাই....
যতদিন বাঁচি বাংলাদেশী হিসেবেই বাঁচব।
এই অনুভূতি বুকে ধরেই বেঁচে থাকা।
ভালো থাকুন ভাইয়া :)
-----------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
অনেক ধন্যবাদ। তুমিও ভালো থেকো মউ। তোমার আরেকটা কালজয়ী গল্পের অপেক্ষায় আছি।
(Y)
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
ধন্যবাদ প্রবাসিনী।
স্যালুট মামুন ভাই, প্রতিটা বাঙ্গালির মাঝেই এই দেশপ্রেমটা ভীষণ রকম সুপ্ত থাকে নিশ্চয়ই। নাহলে আপনার লেখা পড়ে হঠাৎ এই দূষিত শহরটারে খুব ভালবাসতে শুরু করলাম কেনো ?? ...
অফটপিকঃ আপনার ফুটবল দল নিয়ে কিছু একটা লেখেন না ?? ঐ বিষয়ে জানতে চাই...
_________________________________________
সেরিওজা
হ রে ভাই, দেশপ্রেম আমাদের রক্তে। কখনো জাগনা , কখনো ঘুমে। ফুটবল দল নিয়া লেখুম, একটু ফ্রী হয়ে নেই। এখন প্রতি সপ্তাহেই খেলা থাকে। সামনের রোব্বারে বছরের শেষ লীগ ম্যাচ। এর পর থেকে ঝামেলা কমবে। অনেক গল্প জমে আছে ঃ)
এই সিদ্ধান্ত নিতে গেলে যে মানসিক শক্তির দরকার তা আমাদের অনেকের মাঝে নাই। আপনাকে ধন্যবাদ।
.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.
...........................
Every Picture Tells a Story
বুড়া ভাই, মানসিক শক্তি না, আবেগের ঠেলায়ই পারলাম না। যতবার মনে পড়ে দেশে গেলে বিদেশীদের লাইনে ইমিগ্রেশনে দাড়াতে হবে, মনের মধ্যে উথাল পাথাল শুরু হয়ে যায়। দরকার নাই আত্মপরিচয় জলাঞ্জলি দেয়ার,এমনিতেই যথেষ্ট ভালো আছি।
"বুড়া ভাই" কি সীল মারা হইয়া গেলো নাকী?
মানসিক শক্তি টা আসে আবেগ থেকেই।
.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.
...........................
Every Picture Tells a Story
হ, অপু ভাইরে দেখি আপনারে ঐ নামে ডাকতে। তাই সাহস করে আমিও ডেকে ফেললাম। বেয়াদবী মনে নিয়েন না ভাইজান :)
এমন মানসিক শক্তি দেখানোর বুকের পাটা আমার নাই। মামুন হকদের মতো বুকের পাটাওয়ালাদের দূর থেকে সালাম!
...........................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
আহারে ভালোবাসা আসলেই অন্ধ, আর নাইলে আমার মতো স্বার্থপর প্রবাসীরে এভাবে হিরো বানিয়ে দেয়ার কী মানে। বুকের পাটা পুতা বুঝিনা, আমার বাপ-চাচারা এই দেশের জন্য যুদ্ধ করছে, এখন সাময়িক সুখের আশায় সেই দেশকে দূরে ঠেলে দেয়াটা অমানবিক বলে মনে হয় আমার কাছে। তবুও তোমাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইডি।
অভিনন্দন!
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
(y)
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
:)
:)
আপনাকে লাল সালাম।
×আমাদের দেশে কবে সেই ছেলে হবে - কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে"।
- সেই ছেলেরা হয়েছে এবং আশে পাশেই আছে। আমরাই শুধু দেখতে পাই না।
আপনার এই উদাহরণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাক।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
অনেক ধন্যবাদ রেজওয়ান ভাই। আপনি ভালো আছেন আশাকরি।
জ্বি ভাই মনে থেকেই লেখা, একটানে। আপনার ছফাগিরির পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি।
^:)^ লাল সেলাম ভাইজান!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ধইন্যা আপুমনি।
স্যালুট দিলাম না, আমার কাছে এইটাই স্বাভাবিক মনে হইছে। উল্টা কিছু হইলেই বরঞ্চ গালি দিতাম
ভালো থাকিস, বিশ্বমানব হবি যদি কায়মনে বাঙ্গালী হ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বিশ্বমানব হবি যদি কায়মনে বাঙ্গালী হ
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
--সেটাই দোস্ত
খুব পড়ে যাচ্ছিলাম একের পর এক। শেষদুইটায় এসে থমকে গেলাম। একটায় হ্যান্ড ব্রেক অন্যটায় হার্ড ব্রেক। আমিও চিল্লায়া বলি-
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। হে অতিথি আপনার নামটি জানা হলোনা :)
মামুন ভাই, অধমের নাম মনজুর এলাহী। কমেন্টানোর সময় ঘোরের মধ্যে ছিলাম বলে নাম লেখা হয় নাই। দুঃখিত।
---- মনজুর এলাহী ----
রজনীকান্তের কথা মনে করিয়ে দিলেন ভাই! আপনাকে স্যালুট।
"বাবুই হাসিয়া কহে- “সন্দেহ কি তায়?
কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়;
পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।'
-----------------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
থ্যাংক্যু সাঈদ। ভালো থাকবেন।
সিঙ্গাপুরেও খুব সম্ভবত ডুয়েল পাসপোর্ট রাখতে দেয় না। তারপরও অনেককে দেখি বাংলাদেশি পাসপোর্টের বদলে সিঙ্গাপুরিয়ান পাসপোর্ট পাবার জন্য ব্যাকুল। ক্যামনে কি বুঝি না। পারমানেন্ট রেসিডেন্ট হৈলেই তো সব সুবিধা পাওয়া যায়। তাইলে সিটিজেনশীপ বদলানোর প্রয়োজনটা কি?
আপনার জন্য স্যালুট। বলা অনেক সহজ, কিন্তু দেশের মায়া আঁকড়ে এরকম সিদ্ধান্ত নেয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না।
হ, পারমানেন্ট রেসিডেন্ট হইলে সেই দেশের সব সুবিধা পাওয়া যায়, কিন্তু ভেজাল বাঁধে অন্য দেশ ভ্রমণের সময়। বিশেষ করে আমরা যারা কাজের প্রয়োজনে হিল্লি-দিল্লী ঘুরে বেড়াই, ভিসা নিতে গিয়ে অনেক সময় অনেক জরুরী কাজ আটকে যায়। এক সময় সিংগাপুর, কোরিয়া, হংকং বিনা ভিসায় যেতাম। আর এখন পড়শী দেশের ভিসা নিতেও জান বেরিয়ে যায়।
বাংলাদেশ একঘরে হয়ে যাচ্ছে দূর্বল পররাস্ট্রনীতির কারণে।
- সময় লাগলো পড়তে, ইচ্ছে করেই এই সময় নেয়া যদিও!
আচ্ছা ঘনবসতিতে কি তাইওয়ান আসলেই বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে গেছে? আপনার হিসাব মতেই যদি ধরি তাহলে তাইওয়ানের আয়তন বাংলাদেশের এক চতুর্থাংশ আর জনসংখ্যা আড়াই কোটি। তাহলে চারগুন আয়তনের বাংলাদেশে জনসংখ্যা হওয়া উচিৎ ছিলো গুনে গুনে দশ কোটি দশ কোটি (তাইওয়ানের সমকক্ষ হতে হলে)। কিন্তু বাংলাদেশে তো তার চেয়ে অনেক বেশি লোক বাস করে।
ডুয়াল সিটিজেনশিপের ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা বা আম্রিকার নিয়ম কানুন অনেক শিথীল হলেও ইয়োরোপেরটা (অধিকাংশ দেশের) একটু কড়াই। আপনাকে যেকোনো একটা বেছে নিতে হবে।
আর শেষমেশ বলি। নিয়া নেন মামুন ভাই। তাইওয়ানের নাগরিকত্ব নিয়া নেন। বাংলাদেশের কেবল পাসপোর্টটা রেখে যদি আদতে বাংলাদেশের জন্য 'কিছু একটা' করা ব্যহত হয়, যদি সবুজ পাসপোর্টটা তাদের কাছে জমা দিয়ে হলেও নিদেনপক্ষে বাংলাদেশের জন্য কিছু করতে পারেন সেটাই হবে সত্যিকারের দেশপ্রমিকের কাজ। শুধু আবেগ দিয়ে দেশপ্রেম কি হয়! আপনাদের যাদের সুযোগ আছে, তারা এগিয়ে যান রে ভাই। আমাদের মতো পিছিয়ে থাকাদের স্যালুট আর শুভকামনা সবসময় আছে আপনাদের সাথে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগো সাব তাইওয়ান বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে গেছে সেই কথা তো বলি নাই। লিস্টে এক নম্বর আমরা, দুই নম্বর তাইওয়ান। অথচ দুই দেশের জীবন যাত্রার মানের কতো বিস্তর ব্যবধান।
নারে ভাই, নিজ দেশের পাস্পোর্ট ফালামু না, যা আছে কপালে। বাংলাদেশের জন্য অনেক কিছুই করার ইচ্ছা আছে, দেখি কদ্দুর পারি।
অনেস্ট উপদেশের জন্য ধন্যবাদ :)
তাইওয়ান দেয় না, সিঙ্গাপুর দেয় না- অথচ আমেরিকা রাখতে দেয় ডুয়েল পাসপোর্ট। আজিব !
হ, অস্ট্রেলিয়াও দেয় শুনছি। ঘর জামাই হয়ে যামু পাগলা দ্রোহীর মতো ভাবছি :D
আমজনতারে এমনে লজ্জা না দিলে কি হয় না, মামুন ভাই?
(y) (y)
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
ধুর মিয়া লইজ্জা দিলাম ক্যাম্নে? লেখালেখি নিয়া আমার মধ্যে ভীষণ হীনমন্যতা কাজ করে। মুক্তির কোন রাস্তা দেখছিনা।
ভাল হইছে। দৌড়াতে দৌড়াতে কমেন্ট করলাম।
মাঝে মধ্যে একটু থেমে জিরাইয়া নিস দোস্ত। অনেকদিন কথা হয়না।
অসাধারণ! খুবই ভাল্লাগল। :-)
ভাল লাগলো আপনার দেশ প্রেম। সিংগাপুরেও বাচ্চা ফুটানোর জন্য দশ হাজার ডলার দেয়া হয়। একই কারন জনসংখা বাড়িয়ে জন শক্তি ও মেধা কাজে লাগান। আমাদের দেশ কবে এমন হবে !!
দিশা___
সচলায়তনের নতুন অতিথি
নতুন মন্তব্য করুন