আমার দীর্ঘদিনের আক্ষেপ—সময়ের ঘোড়া এত দুরন্ত গতিতে ছুটতে থাকে যে প্রায়শই এর কোন কুল কিনারা করতে পারিনা। বিশেষ করে ৯২ সালের পর থেকে জীবন যেন রকেটের গতিতে ছুটে চলেছে। বছর কেটে যায় মাসে , মাস সপ্তাহে আর সপ্তাহ দিনে। দিন শুরু হতে না হতেই শেষ। কোথায় ছুটেছি, কোথায় চলেছি জানার বা বোঝার আগেই।
কিন্তু ইদানীং সময়ের ঘোড়া ছুটছে তো নাই, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েও হাঁটছে না, কেমন যেন স্থবির হয়ে আছে। আসলেই অপেক্ষার প্রহর কাটে শম্বুকের গতিতে।
দিন গুনছি।
আর মাত্র ১০ দিন।
বন্ধুরা বলে, তুই শেষ, গেইম ওভার। বাপ হচ্ছিস এখন বুঝবি ঠ্যালা। স্বাধীনতা শেষ, ঘুমের বারোটা, আরামের তেরোটা,গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানোর চৌদ্দটা । তার উপরে তোর আবার একসাথে একজোড়া। দুধ গরম করতে করতে হাতে কড়া পড়বে, অনিদ্রায় চোখের নিচে কালি আর দুশ্চিন্তায় মাথাজোড়া টাক দেখা দেবে। পুরান পাপীরা সাথে আরও যোগ করে আণ্ডা-বাচ্চা মানুষ করতে গিয়ে জীবন জেরবার হবার বীভৎস সব বর্ণনা।
সব শুনে আমি বলি, আমার যে আর তর সয়নারে বাপ!
প্রথমবার মা হতে যাবার উত্তেজনায় বউও আটখানা। রাতে একদম ঘুম হয়না। না পারে বেশিক্ষন শুয়ে-বসে থাকতে, না পারে একটানা কিছুক্ষন হাঁটা-চলা করতে। হাতে-পায়ে পানি চলে এসেছে, উদরের সাইজ বাড়তে বাড়তে হাউসফুল, চলে-ফেরে দুলকি চালে। ক্ষুধার কোন আগা-মাথা নেই। এই খিদে নেই বলে সন্ধ্যে বেলাতেই লেপ-কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকবে, আবার রাত দুপুরে আমাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে বলবে চিকেন নাগেট খাব! মাঝখানে কিছুদিন গেল জলপাই খাবার নেশা। কাচা,পাকা, জারানো, ক্যানড, বোতলবন্দী কোন ধরনের জলপাইয়েরই নিস্তার মেলেনি তার হাত থেকে। কখনো অস্বস্তিতে কাতরায়, অনিদ্রায় খিস্তি করে, এত কষ্ট কেন কেবল মেয়েদেরই এ জাতীয় জটিল দার্শনিক প্রশ্নবাণে আমাকে জর্জরিত করে—তবুও তার চোখে-মুখে অদ্ভুত এক আনন্দের আলো-ছায়া খেলা করতে দেখি।
চারমাস পেরোবার পর থেকেই শুরু হয়েছিল কেনা-কাটার বহর। আমি শুরুতে একটু গাঁই-গুঁই করেছিলাম। পৃথিবীতে কতো অযুত-নিযুত মা ন্যূনতম সুযোগ সুবিধা ছাড়াই সন্তানের জন্ম দিচ্ছে, অনিঃশেষ প্রতিকূলতার পাহাড় ঠেলে তাদের লালন-পালন করছে—আমরা কেন যা ইচ্ছা তাই কিনে ঘর ভর্তি করবো? আমার নিজের শৈশবের কাহিনীও তাকে বলেছি—অজ পাড়াগাঁয়ের অন্ধকার ঘরে আমার জন্ম, দুধের অভাবে আটার লেই খেয়ে বেড়ে ওঠা ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু বেচারীকে টলানো যায়নি। আমিও ভেবে দেখলাম যেভাবেই দেখি এই বেচারীও তো একজন মা। পৃথিবীর লক্ষ-কোটি অভাগিনী মায়েদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করা আমার সাধ্যের অতীত, যতই না তাঁদের জন্য আমার পরাণ পুড়ুক—কিন্তু এই একজন মা যে কিনা আমার ঘরেই থাকে,থাকবে তার মুখে হাসি ফোটানো তো আমার জন্য দুঃসাধ্য কিছু না। মায়েদের মুখে হাসি ফোটানো—নিজের ঘর থেকেই না হয় শুরু হোক। আত্মপীড়নের হাত থেকে বাঁচার সাথে সাথে নিজের সাধের কল্লাটাও বেঁচে যায় তাহলে।
কেনাকাটা এখনো শেষ হয়নি। নিজেরা কিনছি, আত্মীয়-স্বজনেরা পাঠাচ্ছে, বন্ধুরা দিচ্ছে তবুও দেখা যায় আরও এটা সেটা কতো কী বাকি রয়ে গেছে। যমজ অতিথি আসছে সে অজুহাতে বউ পারলে গোটা বেবীশপটাই বাড়িতে নিয়ে আসে। সেদিন দেখলাম এক গাদা হ্যাঙ্গার কিনে নিয়ে এসেছে কোত্থেকে যেন। বনসাঁই হ্যাঙ্গার। হাতে নিয়ে আমিও যেন গলে গেলাম। এত ছোট্ট, এত আহলাদী, এত মিস্টি সব রঙবেরঙের হ্যাঙ্গার। হয়তো এর কোন দরকারই নেই-- তবুও ওগুলোর দিকে তাকালেই মায়ার মন ভরে যায়।
জোড়া পুতুলদের ঘর সাজানো-গোছানোও চলছে প্রতিদিন। আজ এভাবে সাজানো হয় তো কাল আবার উল্টে-পালটে যায় সব। তবুও গর্ভধারিনীর মনের শান্তি মেলেনা। এভাবে না রেখে ওভাবে রাখলে বোধহয় ভালো হয়--এই চক্রের কোন শেষ দেখছিনা। এদিকে বাক্স-প্যাঁটরা, ফার্নিচার টানা হেঁচড়া করে আমার দফারফা। সামনে আরও কতো ভোগান্তি আছে তা খোদাই জানে!
নাম বাছা-বাছি নিয়ে মহা হুলস্থুল চলছে-চলবে। যদিও আমিও বউকে শুরুতেই বলেছিলাম যে নাম নিয়ে আমার তেমন মাথা ব্যথা নেই। সমস্ত কষ্ট-যন্ত্রণা সইতে হচ্ছে তাকে, বাচ্চাগুলো ভূমিষ্ঠ হবার পরেও স্টিম রোলার চলবে মূলত তার উপর দিয়েই—সুতরাং নাম বিষয়ক সিদ্ধান্ত নেবার একছত্র মালকিন সে নিজেই। তখনো বুঝিনি বেচারীকে কতো বড়ো ঝামেলায় ফেলতে যাচ্ছি। দুনিয়ার সমস্ত নামের সাইটে দিনরাত ঘাঁটাঘাঁটি করে সে বিশাল তালিকা সে বানালো তাতে মোটামুটি তিন ফর্মার একটা ছড়ার বই হয়ে যায়। তারপর শুরু হলো প্রতিটা নামের চুলচেরা বিশ্লেষণ, আর আমি ছাড়া আর কেউ যেহেতু জানেনা যে ছেলে না মেয়ে আসছে আমাদের ঘরে তাই এই প্রক্রিয়ার এক সদস্য বিশিষ্ট সক্রিয় উপদেষ্টা কমিটির কর্মী-সভাপতি সব কিছুই এই শর্মা। যাই হোক অনেক আলোচনা, গবেষণা ইত্যাদির পরে নাম বিষয়ে আমরা মোটামুটি একটা সিদ্ধান্তে পৌছাতে পেরেছি—আর কিছুদিন ধৈর্য্য ধরেন সবাই জানতে পারবেন।
আমাদের বাড়ির মিনিপুষিটা বেশ কিছুদিন ধরে খুব অস্থির। বউ এখন আলাদা শোয়—গেস্ট রুমে। রাতে তার ঘুম হয়না আগেই বলেছি, তাই সে ঘরে রাত জেগে পড়াশোনা করে , কম্প্যু নাড়ে বা টিভি দেখে। আমার যেহেতু সকালে উঠেই অফিসে যেতে হয়, ঘুম আমার জন্য ফরজ। মিনিটা আগে আমাদের শোবার ঘরেই থাকতো। ইদানীং শুধু বউ যে ঘরে থাকে সেখানে যাবার জন্য পাগল হয়ে যায়। দরজা খোলা পেলেই এক লাফে খাটে, খাটের পাশেই জানালা—পর্দা দিয়ে ঢাকা। বেড়ালটা সেই পর্দার ওপাশে যাবার জন্য হুলস্থুল বাঁধিয়ে দেয়। একদিন বিরক্ত হয়ে পর্দা সরিয়ে দিলাম। এতে যদি পুষিটা পাগলামী কিছুটা কমে। কৌতুহলী হয়ে নিজেও তাকাই পর্দার ওপারে। দেখি জানালার ওপাশে কার্নিশ। কার্ণিশের উপরেই বাসা বেঁধেছে একটা পায়রা। আর পায়রায় কোল ঘেঁষে শুয়ে আছে ছোট্ট দু’টো পায়রার ছানা। পর্দার ওপাশে পায়রা ঘুমায় তার ফুটফুটে দুই বাচ্চা কোলে—আর এপাশে বউ ঘুমায় তার মধ্যে বেড়ে উঠতে থাকা এক জোড়া শিশু নিয়ে।
মাঝে মাঝে মনে হয় বাঁচার জন্য পিথিমী আসলে খুব একটা খারাপ জায়গা না।
অনেক বকবক করলাম। এ জাতীয় অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আপনাদের অনেকেই আগে গিয়েছেন, অনেকে সামনে যাবেন। তাই এই আবেগের বাড়াবাড়ি দেখে বিরক্ত হবেন না আশাকরি।
আপাতত সকলের দোয়াপ্রার্থী। সদ্যজাত শিশুর লালন-পালন সংক্রান্ত উপদেশ-পরামর্শ ভিক্ষার পালাও আসছে সামনে।
যেহেতু যমজ তাই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী সার্জারীর মাধ্যমে ওদের পৃথিবীতে আনার সিদ্ধান্ত নেয়ে হয়েছে। আমার জন্মদিন ফেব্রুয়ারীর ৬ তারিখে। ডাক্তার প্রথমে জানালো সে দিনই হবে অপারেশন। শুনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় আটকে ছিলাম অনেকটা সময়। গত বিষ্যুদবারে ডাক্তার তারিখ বদলে করলো আরও একদিন আগে -- ফেব্রুয়ারীর পাঁচ তারিখে। জন্মদিনে এর চেয়ে ভালো উপহার আর কী হতে পারে?
আর মাত্র দশ দিন...
মন্তব্য
গুড লাক
অনেক ধন্যবাদ সেঁজুতি। ভালো আছেন আশাকরি।
স্বাধীনতা শেষ, ঘুমের বারোটা, আরামের তেরোটা,গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানোর চৌদ্দটা ।
যখন জোড়াপুতুল কোলে নেবেন, তখন চৌদ্দদুগুনে আটাশেও তার তুলনা হবে না।
---
এক ট্রাক শুভকামনা। সবকিছু ভালয়ভালয় হোক।
হ বস, আমারও তাই ধারণা। ডরাইতেছি না, আপনারা সব সামলেও ঠিকঠাক আছেন--দেখে ভরসা পাই। শুভকামনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অভিনন্দন হে! হ্যাঙ্গারগুলো যেন চোখের সামনে দেখতে পেলাম
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
হ্যাঙ্গারগুলো রেখে দেব, ভবিষ্যতে রেনেট জুনিয়রদের কাজে লাগবে
রাশি রাশি শুভকামনা, পরিবারের চারজনের জন্যই!
ব্যাপারটা আসলে অতটা ভয়ংকর কিছু না। সবাই খামোখা ভয় দেখায়। জীবন পরিবর্তন তো হবেই, দেখবেন সে পরিবর্তনগুলো অনেক উপভোগ করবেন আপনি। মনে হবে পরিবর্তনগুলো আরও আগে আসেনি কেনো!
ভালো থাকুন সবাই মিলে।
রাশি রাশি ধন্যবাদ ধর্মপুত্র। ভরসা পেলাম শুনে। বুদ্ধি-পরামর্শ লাগলে আপনারা তো আছেনই!
অভিনন্দন...আমাদের ক্লাবে সুস্বাগতম। কষ্ট আছে ঠিকই, কিন্তু এতে ভাই প্রাপ্তি বহুগুন। উপোভগ করুন প্রাণভরে জীবনের সেরা উপহার।
একটা ব্লগ লেখেছিলাম কয়েকদিন আগে, আরও লেখার ইচ্ছা আছে। আপনার অভিজ্ঞতাও শেয়ার করুন আমাদের সাথে।
অভিনন্দন আবারো ভাবী সহ আপনাকে।
আমার একটা প্রিয় কবিতা আছে সন্তান নিয়ে...পড়েছি কোথায় যেন ইন্দিরা গান্ধীরও প্রিয় কবিতা এটা। কথাগুলো হয়ত আপনারও ভালো লাগবে তাই শেয়ার করলাম।
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক ধন্যবাদ তাসনীম ভাই। আপনার লেখাটি আগে পড়া হয়নি, দারুণ লাগলো পড়ে! কবিতাটাও দুর্ধর্ষ। বউকেও পড়তে দিয়েছি। আরও কয়েকটা পর্ব ছাড়েন তাড়াতাড়ি
অভিনন্দনগুলো সব তোলা থাকুক। সবকিছু ভালোয় ভালোয় হোক সেই দোয়া করি।
হ দোস্ত, দোয়া করিস।
শুভকামনা ও আগাম অভিনন্দন
বস আপনার মনে আছে কিনা জানিনা, একেবারে শুরুর দিকে এই সুখবরটা আপনার সাথে শেয়ার করেছিলাম...অনেক শংকা আর দুর্ভাবনা নিয়ে। সব শুনে আপনি আশ্বস্ত করেছিলেন, সাহস জুগিয়েছিলেন। আসলেই অনেকটা নির্ভার হয়েছিলাম আপনার সাথে কথা বলে। ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাইনা।
এর থেকে মিষ্টি সময় বোধ হয় মানুষের জীবনে আসে না। আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে জীবনে আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া কি, আমি নির্দ্বিধায় বলি, মা হওয়া।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল, সব ভালোয় ভালোয় কাটুক।
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তাইতো দিন গুনতেছি। আইচ্ছা আপনারে ফোনে পাইনা ক্যান?
নতুন বাবুদের জন্য অনেক শুভকামনা! সুস্থ, সবল, সুন্দর এবং ভাল মানুষ হউক এই কামনা করি।
আর আপনাকে মহা অভিনন্দন! আইতাছি মিষ্টি খাইতে...
ভাবীর প্রতি শ্রদ্ধা এবং মহা মহা মহা অভিনন্দন! শুভেচ্ছা...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আসেন বস, আর কেউতো আসতে পারছেনা। মিস্টি নাই এই দেশে , ডাম্পলিং আর তোফু খাওয়ামু ভরপেট
অনেক অনেক অভিনন্দন!
অনেক অনেক ধন্যবাদ!
শুভকামনা, অভিনন্দন আর দেবশিশুদের জন্যে এক সমুদ্র আদর!!
--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অসংখ্য ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা
অনেক শুভেচ্ছা, মামুন ভাই। আপনি খুব ভাগ্যবান... দিনটা এভাবে মিলে যাওয়া দারুণ কিন্তু!!
ধন্যবাদ ইশতি। আমি আসলেই ভাগ্যবান। মাঝে মাঝে ভাবি ক্যাম্নে কী!!
আসলেই দারুণ খবর! জমজ বাচ্চা সামলানো ঝামেলার হতে পারে, তবে তা ঐ প্রথম দিকেই, একটু বড় হলে ঝামেলা একবারেই শেষ। দুটোর জন্য আলাদা ঝামেলা নেই
ভাগ্যবান পিতা মাতা দুজনকেই জানাই অনেক শুভেচ্ছা! আপনাদের ঘর আলোয় ভরে উঠুক দুই দেবশিশুর হাসি কান্নায়!
বেশি ঝামেলা হলে আপনারাতো আছেনই। একেকজনের ঘাড়ে একটা করে গছিয়ে দেব মানুষ বানাতে
আমার জন্য আমি ব্যক্তিগত নাম রাখব।
ভাইস্তি হলে গুটুলি আর পুটুলি
ভাইস্তা হলে পটল আর কৎবেল
যদি নাগালে পাইতাম, দুনিয়ার সেরা বান্দর বানাইতাম এগুলারে
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
নাম যা ইচ্ছা রাখিস, বাঁদরামীও শেখা আপত্তি নাই। তবে শর্ত একটাই--বেহালা বাজানো শেখাতে হবে তাদের
কোরিয়ান বেহালা সুবিধার্না। জার্মান বেহালা লাগবে। হিম্ভাই, ধুগো'দা, হাসিব্বাই, বদ্দা অথবা সমুদ্রভাইরে ধরতে হবে...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মামুন ভাই, আপনার সেরা লেখাটা পড়লাম।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ধন্যবাদ ভাইজান। আপনের সেরা লেখাটা কবে পড়ুম?
"মাঝে মাঝে মনে হয় বাঁচার জন্য পিথিমী আসলে খুব একটা খারাপ জায়গা না"
আপনার পুরো লেখায় এই লাইনটার আনন্দটা অনুভব করলাম।
অনেক শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ আনন্দী। ঠিকই ধরেছেন, আনন্দেই আছি
- আপনের এই লেখাটা পড়ে আমারও এখন এমন একটা লিখতে ইচ্ছা করতাছে। কিন্তু আপসুস...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপসুসের কাম নাই, লেইখা ফালাও। একদিন না একদিন তো বাপ হইবাই...
- একদিন না একদিনের চিন্তা তো কর্তাছি না। আমার তো ইচ্ছা কর্তাছে এখনই বাপ হৈতে! আপসুসটাই তো ঐখানে। দুক্কু আমার যে আমার দুক্কুটা কেউ বুঝলো না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ফুটফুটি দুটোর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা আর আদর আর আর আরো অনেক অনেক কিছু।
আপনার ঘর আলো হোক, এক আকাশ রোদ্দুর নিয়ে আসুক ওরা।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তুলিরেখা...অল্প কথাতেই মনটা বেজায় ভালো করে দিলেন যে!
জোড়াফুলের জন্য অগুনতি আদর, আর আপনার ও ভাবীর জন্য একরাশ শুভকামনা।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা রাহিন!
শুভ কামনা রইলো।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
ধন্যবাদ প্রবাসিনী, এবার নাও ভিড়িয়ে নিজেও সংসারী হয়ে যাও
অনেক অনেক শুভাশীষ রইল বস।
আমাদের সকলের শুভকামনা তোমাদের ঘিরে আছে, কোন ভয় নেই।
তোমার বাড়ির নতুন মেহমানদের খবর জানার তর আমার সইছে না।
মঙ্গল হোক---
ধন্যবাদ বস! আর ক'টা দিন সবুর করো বাহে
ঘুমের বারোটা চোদ্দটা বাজিয়েও আনন্দের ঢোল যেন বাজতে থাকে............অভিনন্দন আগাম!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইজান।
গুট্টুসবাবুর জন্য অনেক শুভকামনা রইল। সাথে আপনাদের জোড়ের জন্য-ও।
সবকিছু ভালো কাটুক।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
এই উপলক্ষে একখান কবিতা ছাড়েন কবি সাহেব!
শেষতক সেই লেখা?
হ, অনভ্যাসে হাত জং ধরে গেছে, লিখতারিনা।
মামুন ভাই অনেক শুভকামনা রইল।
ভালো থাকবেন ভাই। অনেক ধন্যবাদ।
অনেক শুভেচ্ছা।
আপনাকেও
অভিনন্দন-অভিনন্দন! শুভকামনা-শুভকামনা!! শুভ সবকিছু দ্বিগুণ না দুই কোটি গুণ করে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে।
সচলে আপনি সম্ভবতঃ তৃতীয় জন (দুর্দান্ত আর বিগ সি'র পর) যিনি এই সৌভাগ্যের অধিকারী হতে যাচ্ছেন।
দুর্জনের কথায় ঘাবড়াবেন না। দুহাতে করে বুকে চেপে ধরে সন্তানের মুখের দিকে তাকালে পৃথিবীর সব গজব তুচ্ছ হয়ে যায়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ পাণ্ডবদা। বলেন কী বিগ সি আর দুর্দান্তেরও যমজ আণ্ডা?
গুল্টুসগুলার জন্য অনেক অনেক অনেক অন্নেক আদর.....
ছবির আবদারের কথা মনে আছেতো ভাইয়া?
মুহূর্তগুলোয় জড়িয়ে থাকুক স্বপ্নীল আবেশ
----------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
মনে আছে মনে আছে...ক্যামেরা সাথে নিয়েই ঢুকবো লেবার রুমে
অনেক অনেক শুভকামনা রইল। সবকিছু ভালয় ভালয় হোক।
আমরাও সেই আশাতেই আছি!
আবারো শুভকামনা
সবাই ভালো থাকুন
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ বুড়া ভাই। দেশে আসলে আমাদের ভালো কিছু ফটু খিঁচে দিতে ভুলবেননা যেন!
জটিল খবর মামুন ভাই। পৃথিবীর সমস্ত শুভকামনা রইলো আপনাদের জন্য। আর বোনাস হিসাবে এই ভিডিওটা, ভাবিকে নিয়ে দেইখেন...
=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
ধন্যবাদ ফাহিম। ভিডিওটা আসলেই মজার। আপনার ভাবীর ফেসবুকের দেয়ালেও মেরে দিয়ে আসছি।
মন-মেজাজ দুইটাই আউলায় ছিল। আমার অবশ্য বেশিরভাগ সময় এরকমই থাকে।
আপনার লেখাটা পইড়া নাচতে ইচ্ছা করতেছে বস। দারুণ একটা খবর। সবকিছু ভালোভাবে হোক।
কংগ্রাচুলেশন্স ম্যান।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
থ্যাঙ্কস ম্যান! শুভকামনা কৃতজ্ঞতার সাথে গৃহিত হলো
অনেক অনেক শুভকামনা ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অভিনন্দন বস !!! ... এবং শুভ কামনা...!!!
_________________________________________
সেরিওজা
ধন্যবাদ সুহান
উহু
টুইনে আর হচ্ছে না
এবার একটা ট্রিপলেট হোক কারো
আপনার খুশী দেখে আমারো অনেক খুশী লাগছে মামুন ভাই
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ট্রিপলেট তোমারই হোক রানা...যাও দোয়া করে দিলাম
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা থাকল, মামুন ভাই। অভিনন্দন
তুমি তো বরাবরই খোঁজ খবর রাখো মামুন ভাই, অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা
মানে এখন থেকে তিনজনের জন্মদিন 'প্রায়'একসাথে!
প্রত্যেক বছর ফেব্রুয়ারির ছয় তারিখে তো পুরা হেজেমনি লাইগা যাইবো!
কনগ্রাচুলেশন ভাই!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হেজেমনিতে আপ্নেরে ভালোমতোই পাইসে দেখি
ধইন্যাপাতা ভাইজান!
তুমি আর আমি এখন আর একই সময়ে অনলাইন থাকিনা, তাই তোমার সাথে খুব অল্প সময়ের জন্যই কথা হয়েছে। তোমাকে বকা দিতে গিয়ে যেবার ভাবীর সাথে কথা হলো সেবার থেকে আমার ক্যালেন্ডারে ফেব্রুয়ারী প্রথম সপ্তাহটা মামুন ভাই-জুলিয়া ভাবী যৌথ প্রযোজনা সপ্তাহ। আর শেষ যেবার কথা হলো সেবার তারিখটাও জানলাম। এখন তোমার জান্টুশদের ফুপ্পীও দিন গুনছে এক দুই করে। ঢাকায় থাকলে তোমার বাসাতেই থানা গেড়ে থাকতাম, আমার বাচ্চাপ্রীতি মোটামুটি জগৎবিখ্যাত! কিন্তু কী আর করা, এখন ছবি দেখেই নাহয় আনন্দ করবো!
[তবে বেঁচে গেলা, আমার পাল্লায় পড়লে তোমার পিচ্চিগুলা রাম বিচ্ছু হতো! ]
ভালো থাকো ভাইয়া। ভাবীকে অন্তত শুভকামান গুলো পড়ে শুনিও। অন্তত সচলের উপর থেকে ভাবীর রাগ তাহলে একটু পড়বে!
-------------------------
ওলো সুজন আমার ঘরে তবু আইলোনা
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলোনা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ওরে তুই জুলিয়া ভাবী পাইলি কই? দুইজনে স্কাইপে গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর আর নামটাই ভুলে গেলি! তবুও অনেক ধন্যবাদ
আস্তাগফিরুল্লাহ! জোয়ানা ভাবীর নামের সাথে জুলিয়া ভাবীর নাম গন্ডগোল করে দুই ভাইরে দুই মেসেজ দিসি। একজনরে ফেসবুক ওয়ালে তাদের বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা দিয়ে আর তোমারে এইখানে! কি বেইজ্জতি!
সাধারন ক্ষমা কইরা দাও ভাই!
---------------------------
ওলো সুজন আমার ঘরে তবু আইলোনা
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলোনা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
একই মন্তব্য দুইবার আসছিলো, তাই এইবার ভালুবাসা দিয়ে গেলাম!
-------------------------
ওলো সুজন আমার ঘরে তবু আইলোনা
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলোনা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এই অজুহাতে আমিও দ্বিগুন অভিনন্দন জানাইলাম। চাচ্চুরা সুস্থ সবল হয়ে জন্মাক, বেড়ে উঠুক আর সবার অযুত জন্য অযুত গর্বের কারন হোক। ওদের জন্য ভালবাসা আর শুভকামনা থাকল। ভাবীজানকে সালাম আর অভিনন্দন।
অনেক ধন্যবাদ রিয়াজ ভাই। ভালো থাকবেন।
আর কটা দিন মাত্র। এখন দরকার প্রস্তুতি আর প্রার্থনা। সবকিছু ঠিকমতো হোক আর ছোটমনিরা ঘর উদ্ভাসিত করুক এই প্রার্থনা রইল।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
হ ভাই, আর মাত্র কয়েকটা দিন। টেনশনে আছি।
সাবাশ বস!
আবারও আগাম অভিনন্দন।
দিন গুনতেছি আমিও।
অল দ্য বেস্ট!
এর মধ্যে তো আমার ছোটবোনের হ'লো একটা পুত্রসন্তান, ওর নিজের জন্মদিনেই। অনেক মজা হইছে।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
দিন গুইনেন না বস! তাইলে ফুরুৎ কইরা কাইটা যাইব
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নতুন মন্তব্য করুন