হাবাগোবা ধরনের লোকদের অনেকে উজবুক বলে। এককালে উজবেকিস্তানের লোকজন নাকি বোকাসোকা হিসেবে জগৎজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছিল, সেই থেকেই এই নামের উৎপত্তি। কিন্তু বাস্তবে আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে যে দুই চার জন উজবেকের সাথে দেখা হয়েছে তাদের কাউকেই সে অর্থে উজবুক বলে মনে হয়নি। সেদিক দিক দিয়ে বলতে গেলে পাকিদের মতো বেওকুফ আমি মাশাল্লাহ খোদার দুনিয়াতে কমই দেখেছি। তেনাদের হারামীপনা নিয়ে কথা বলে ফেনা তুলে ফেললেও দুই চার শতাংশের বেশি দুই চার সপ্তাহে বলে শেষ করা যাবেনা। তাই তাদের হাড়ে হাড়ে বজ্জাতির কথা বাদ্দিয়ে আজকে শুধু স্যাম্পল হিসেবে পাকিদের কয়েকটা বেওকুফির কিচ্ছা শুনাই নিজের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে।
আমি তখন হংকং এ থাকি। একদিন ট্রেনে চড়ে যাচ্ছি গুয়াংঝৌ। ট্রেন শেনঝেনে থামতেই হুড়মুড়িয়ে তাতে উঠে বসলো গোটা তিনেক পাকি। নন রিজার্ভড বগিতে আমার পেছনেই কয়েকটা সিট খালি ছিল। তারা সেখানে বসেই উর্দুতে চিল্লাপাল্লা , ঘ্যানঘ্যানে হাসাহাসি ইত্যাদিতে কামরা গরম করে ফেললো। একটু পরে ট্রলিতে করে স্ন্যাক্স, পানীয় ইত্যাদি আসতে দেখে পাকিরা হাতাহাতি, ঘাঁটাঘাঁটি, মৃদু দর কষাকষি(!) করে তিনজনে মিলে সাকুল্যে কেনে এক বোতল পানি আর এক প্যাকেট ভাজাভুজি । আমি আড়চোখে দেখি আর মিটিমিটি হাসি। তখনো বুঝিনি সামনে আরও কতোটা নির্মল বিনোদন অপেক্ষা করে আছে। ভাজাভুজি খেয়ে, সিট কভারে হাত মুছে, মেঝেতে খালি প্যাকেট ফেলে একজন রওয়ানা দিল টয়লেটের দিকে। কোন এক অজ্ঞাত কারণে আমার দৃষ্টি সেঁটে রইলো সেদিকে, মনে মনে আশা করছিলাম কেউ যদি গরুটাকে ল্যাং মেরে ফেলে দেয় কতো মজাদার দৃশ্যই না জানি দেখা যাবে। ল্যাং ট্যাং না খেয়েই দামড়াটা ড্যাং ড্যাং করে টয়লেটে ঢুকে গিয়ে হুড়কো আটকে দিল। এদিকে আমারও হিসু পেয়েছে। টয়লেটের কাছাকাছি যেতেই বিনা মেঘে ঠাডার মতো বিকট এক পতনের শব্দে আশপাশ কেঁপে গেল। মনে হলো দুই চার মন ওজনের একটা চালের বস্তা ভূপাতিত হয়েছে পাকিবন্দী টয়লেটে ভেতরেই। মুহূর্তেই তার সঙ্গী সাথীরা চলে এসে ধাক্কা মেরে দরজা খুললো। টয়লেটের ছোট্ট পরিসরে হাত পা ছড়িয়ে চ্যাংদোলা হয়ে পড়ে আছে সে লোক, মাথাটা কমোডের খুব কাছাকাছি। পেট ঠেলে হাসি আসলেও চেপে রেখে ঘটনার বিবরণ শুনলাম। পাকি মিয়া নাকি দুই পা তুলে কমোডের উপরে বসে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার কোশেশ করছিল। কোন এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় পা পিছলে তার এই বেইজ্জতি। আমার খুব ইচ্ছা করছিল তার মাথাটা কমোডের মধ্যে চেপে ধরে ফ্লাশ টেনে দিতে। কিন্তু মানুষের সব ইচ্ছা কি আর পূরণ হয়?
পরের কাণ্ড তাইওয়ানে। আমি তখন নতুন এসেছি। তাইপেতে টুকটাক কিছু কাজ সেরে রাতের ট্রেনে দক্ষিন প্রান্তে যাব। দুপুরে খেতে গেছি এক ভারতীয় রেঁস্তোরায়, ট্রেন স্টেশনের পাশেই। ওখানে আগবাড়িয়ে কথা বলতে আসলো চ্যাংড়া মতোন এক ছেলে। পাকি মদন, কথাবার্তায় হাতি ঘোড়া মেরে ফেলে। দুয়েক মিনিট কথা বলেই বুঝলাম পুরাই ফটকাবাজ টাইপের। আমি কোত্থেকে এসেছি, কোথায় যাব, কেন যাব ইত্যাদিতে তার বিপুল আগ্রহ। আমি এক তাইওয়ানিজ কোম্পানীর সাথে মিটিং এ যাচ্ছি শুনে সে জোর জবরদস্তি করতে লাগলো তাকে যেন সাথে নিয়ে যাই। সে চাইনিজ জানে, এখানকার লোকেরা খুব খারাপ, আমাকে নতুন পেয়ে হাইকোর্ট দেখিয়ে দেবে ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রথমে ভদ্রভাবেই বলছিলাম যে তার সাহায্যের দরকার হবেনা, আমি এই কোম্পানীকে আগে থেকেই চিনি। কিন্তু কিছুতেই তাকে দমানো যায় না। চাইনিজে তার দক্ষতা বোঝাতে সে চিবিয়ে চিবিয়ে বদখত উচ্চারণে রেস্তোরার লোকজনের সাথে কথা বলে, গত সপ্তায় কার কয় কন্টেইনার শিপমেন্ট সে দেখভাল করেছে তার ফিরিস্তি দেয়। আমি থামিয়ে জিজ্ঞেস করলাম সে আসলে কী চায়। আমাকে দশ পার্সেন্ট দিলেই হবে—এক কথায় উত্তর। আমি মনে মনে ক্ষেপে আগুন, কাঠাল গাছের ত্রিসীমানার মধ্যেই নাই এখনই শালা গোফে তেল দেয়া শুরু করেছে—একে কিছু দাওয়াই না দিলে আর চলছেনা। বলা বাহুল্য আমি নিজেও দুষ্ট লোক, তবে দেয়ালে পীঠ ঠেকে গেলেই। ওকে বললাম আমার ট্রেন বিকেল পাঁচটায়, টিকেট নিয়ে যেন প্লাটফর্মে দেখা করে। সে মুখের উপরে টিকেট কেনার টাকা চেয়ে বসলো, চক্ষুলজ্জার কোন বালাই নাই। আমিও বাঘা তেতুলের মতো বললাম যাবার ভাড়া তার, ফেরার ভাড়া আমি দেব। চুন মুখে মেনে নিল বদরু খাঁর নাতি। কাঁটায় কাঁটায় ট্রেন ছাড়ার ঠিক এক মিনিট আগে প্লাটফর্মে গিয়ে হাজির হলাম, দেখি অস্থির ভাবে সে পায়চারী করছে। টিকেটে লেখা তার বগি পেছন দিকে, বললাম আমি আগে টিকেট কেনায় সিট পেয়েছি সামনের বগিতে সে যেন দৌড়ে তার কামরায় চলে যায়। ট্রেন গন্তব্যে গিয়ে থামলে মিটিং পয়েন্টে দেখা হবে। ট্রেন ছাড়ার অ্যালার্ম বেজে উঠলো, মদনমোহন স্প্রিন্টারের গতিতে তার বগির দিকে ছুট লাগালো। আমি সাবধানের মার নেই ভঙ্গীতে ট্রেনের এক দরোজা দিয়ে ঢুকে অন্যটা দিয়ে বেরিয়ে গেলাম। আমার ট্রেন ছিল আসলে সে রাতে সাড়ে আটটায়। এক স্টেশন আগেই নেমে ট্যাক্সি নিয়ে হোটেলে চলে গেছিলাম। ওদিকে বদনামুখো পাকি বাবাজি রাত বিরেতে একলা গিয়ে নামলো তার আরাধ্য নিস্ফলা কাঠাল গাছের গোড়ায় । পরে বাঙালী একজনের কাছে শুনেছিলাম ঐ ঘটনায় প্রবাসী উপমহাদেশীয়দের মহলে ব্যাপক সাড়া পড়ে গিয়েছিল। ব্যাটার কাছে ফেরার ভাড়াও ছিলনা। সারা রাত প্লাটফর্মে কাটিয়ে পরদিন বিনা টিকেটে ট্রেনে চড়ে তাইপে ফিরে আসে। ধরা পড়ে তার আর কোন জেল জরিমানা হয়েছিল কিনা সেটা আর শুধাই নাই, দুই একটা পাকি পঁচে মরলে আমার তাতে কী যায় আসে!
আর একটা ঘটনা বলেই আজকের মতো ক্ষান্ত দিচ্ছি। তবে এখানে আমি তেমন খারাপ কিছু করিনি, হাল জমানার অন্যতম গা শিউরানো বীভৎসতার রগরগে বর্ণনা শুনে তাতে শুধু দু’চার পর্দা রং চড়িয়েছি। গত বছর দুবাই গিয়েছিলাম একটা এক্সিবিশনে। আয়োজক কমিটি আমাদের যাতায়াতের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করেছিল, আমার এমনই কপাল ড্রাইভার পড়লো এক করাচীওয়ালে। শাহীওয়াল গরুর মতোই নাদুস নুদুস। প্রথমদিন হুঁ হা করেই কাটিয়ে দিলাম, পূর্ব অভিজ্ঞতার কারণে আমি তখন অনেক সতর্ক। অপ্রয়োজনীর কোন আলাপের বা আলগা খাতির জমানোর কোন সুযোগই দিলাম না। পরের দিন হোটেলে ফেরার পথে ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়ে আছি। শাহীওয়াল কেমন যেন উশ খুশ করছিল। ভুল করে একবার তার দিকে তাকাতেই গলা খাঁকরে সে একটা প্রশ্ন করার অনুমতি চাইলো। আমি সম্মতি দিতেই বলে—আপনি তাইওয়ান থাকেন, ওটা তো চায়নার পাশেই তাই না?
-হুঁ
‘আচ্ছা চায়নাতে নাকি লোকে মানুষের গোস্ত খায়। বাজারে ভাগা দিয়ে, আঙটায় ঝুলিয়ে মানুষের মাংস বিক্রি করে?’
আমি রীতিমতো আকাশ থেকে পড়লাম। বলে কী এই বেওকুফ?
‘একেক কেজি নাকি পঁচিশ হাজার রুপেয়াতে পাওয়া যায়। তবে বাচ্চাদের গোস্তের দাম আরও বেশি। কথা কী সত্যি? আমার গ্রামের এক লোক গেছিল চায়নাতে , সে নিজে দেখে এসেছে। বাপরে আমি মরে গেলেও কোন দিন চায়নাতে পা দিবনা।’
আমি বুকে পাষান বেঁধে নির্মমভাবে হাসি আটকাই। ভেতরের চেপে রাখা উন্মাতাল হাসির আওয়াজ তখন দ্রিম দ্রিম করে বাজতে বাজতে পারলে মাথা ফুঁড়ে, ট্যাক্সির ছাঁদ ফুঁড়ে আকাশে মিলিয়ে যায়। তবে সবুরে মেওয়া ফলে, তাই চোখমুখ শক্ত করে তার কেচ্ছা শুনে গেলাম।
তার কথা শেষে নিচু গলায় বলি-‘হ্যা, কথা সত্যি, চায়নায় এখনো মানুষে মানুষ খায়।’
তারপর কিছুদিন আগে টিভিতে দেখা মানুষের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ একটা একটা করে কাটা এক সিরিয়াল কিলারের কাহিনীতে চাইনিজ ফ্লেভার মিশিয়ে তাকে শোনালাম। কীভাবে মোটা মানুষ চাইনিজরা খেতে খুব ভালো পায়, বিদেশী হলে তাদের ইঞ্জেকশন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে আর আগে খায় পা, তার পর হাত, সবশেষে মাথা। আস্ত মাথা দিয়ে স্যুপ বানিয়ে পুরো পরিবার নিয়ে সুরুৎ সুরুৎ করে খায়। বেচারার চেহারা সাদা হতে হতে মরা মানুষের মতো ফ্যাকাশে হয়ে গেল।
পরদিন দেখি আমার গাড়িতে নতুন ড্রাইভার। শাহীওয়াল নাকি অসুস্থ। সারারাত দুঃস্বপ্ন দেখে না ভয়ে আমাশা হয়ে যাওয়ায় তা আর জানা গেলনা—কী দরকার?
এই লেখাটা পড়ে কারো চোখে আমার আপাদ মস্তক পাকি বিদ্বেষ ধরা পড়ে গেলে সেটার দায়ভার আমার নিজেরই। শাক দিয়ে মাছ হয়তো ঢাকা যায়, কিন্তু শিঙ্গি মাছ দিয়ে তিমি ঢাকা? এতোটা বেওকুফি মাথামোটা পাকিদেরই কেবল মানায়।
মন্তব্য
হা হা হা...
দারুন লিখেছেন মামুন ভাই।
এই বিশ্ববিখ্যাত বেকুবগুলো নিয়ে আমারও অনেক মজার অভিজ্ঞতা আছে।
সময় সুযোগ নিয়ে বলব একদিন।
দারুণ! লিখেন বস, এইসব কাহিনী পেটে রাখা ঠিকনা, পেট খারাপ হতে পারে।
দ্বিতীয় ঘটনার জন্য
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
ধন্যবাদ রাহিন। আমার ধারণা পাকি বেকুবির এমন সব ঘটনা আরও অনেকের স্টকেও আছে। শেয়ার করেন ভাইসব। শুনে পেট দুলিয়ে হাসি
হাসতেই আছি।
---
একবার এক ট্রেনিং এর আমাদের ক্লাসে দুজন পাকিস্তানীও ছিল। স্মার্ট শিক্ষিত ও প্রগতিমনা পাকিস্তানীর অভাব নেই। তারপরেও তাদের কোম্পানী কেন এই দুজনকে পাঠিয়েছে সেটা বোঝা যায়নি। তাদের নিজস্ব টানে ইংরেজীতে কথা বলা (যেমন ইনফাড়মেশান, বিড়াঁন্ড ), চারিদিকে সন্দেহের দৃষ্টি, ঘড়ি ধরে ক্লাস থেকে নামাজ পড়তে বেরিয়ে যাওয়া, হাঁটু ও গোড়ালীর মাঝামাঝি পাজামার ওপরে কোট, গা থেকে ভুরভুরে আতরের গন্ধ আর লাঞ্চ এর পরে ঢেঁউ ঢেঁউ শব্দ করে আয়েশ প্রকাশ, ইত্যাদির মাধ্যমে তারা হোটেলের সেই হলঘরের স্যুটড বুটেড সবার মধ্যে আলাদা করে চোখে পড়ছিল। তবে বড়গলার খাটোজামা পরা ট্রেনার আপার ওপর যে তাদের একজনের বিশেষ নজর পড়েছে, তার সত্যমিথ্যা নিয়ে আমাদের বদ পোলাপানের মধ্যে মৃদু গুঁতোগুতি আর মুখ টিপে হাসাহাসি চলছিল।
ব্র্যান্ড ইকুয়িটির কোর্স। ভিক্টোরিয়াজ সিক্রেট এর ছাপা-মিডিয়ায় প্রমোশন ক্যাম্পেইন নিয়ে একটা গ্রুপের কাজ এই মাত্র শেষ করেছে সবাই। সেই গ্রুপ ওয়ার্কের প্যাকে স্বভাবতই উত্তেজক কিছু ছবি ছিল। এখন ঘর অন্ধকার করে প্রজেক্টরে কি একটা ফিল্ম চলছে। এর হঠাত নারীকন্ঠের চিতকার ও চপেটাঘাতের শব্দ। কিছুটা হুড়োহুড়ি। বাতি জ্বলার পর দেখা গেল সেই পাকিস্তানির একজনের হাত শক্ত করে ধরে দাঁড়িয়ে আছেন ট্রেনার আপা। তার চোয়াল শক্ত। আর সেই পাকিস্তানীর চেহারা-চাহনির সাথে হাইওয়েতে গাড়ীর হেডলাইট পড়া হরিনের চেহারা-চাহনির অবাক করা মিল।
এরপর কেন যেন বড় কোন হাঙ্গামা হয়নি। তবে পাকিস্তানী সেই দুজনকে আর হোটেলে দেখিনি।
হা হা হা! এক্কেবারে পাকি যারে বলে... হেসেই যাচ্ছি!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
২য় ঘটনাটা ফাটাফাটি
শেষেরটা পড়ে বিরক্ত লাগল, কেবল ভাত খেয়ে উঠছি তো, গা গুলিয়ে গেল!
দুই নাম্বারটা তো ফাটাফাটি !!!!!!
_________________________________________
সেরিওজা
হা! হা! হা!
আমি একমত পোষণ করছি।
হাহা!!!
দুই নম্বরের জন্য জাঝা!!
বোহেমিয়ান
খেক - এ আর নতুন কি - পাকি = ব্রেইনলেস ক্রিয়েচার; নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বললাম মামু, এই পুরানা ভিডিও দেখেন
মনে করেন বাঙালি পলিটিক্স খারাপ? পাকিস্তানি পলিটিক্স দেখেন
পাকিস্তানি টিভি রিপোর্টিং
আপনের দেখা পাকির কমোডে চড়ার গল্প শুনে মনে পড়ল -
ভিডিওগুলোর জন্য
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ওরে স্কোপ দাদা----ফাটিয়ে দিয়েছ বস--!!!!
ভিডিওগুলো দেখে আমরা পাকি প্রজাতির 'অনন্যতা' সম্পর্কে আরো একবার নিঃসন্দেহ হলাম।বিশেষ করে প্রথম ভিডিওটি অত্যন্ত তথ্যবহুল(!)। আমরা জানতে পেরেছি--পাকির বাচ্চারা দরজা খুলতে 'মাথা' ব্যবহার করে, খুবই মস্তিষ্কবান প্রজাতি কি না!! হা হা হা ----
ত্রিশ লক্ষ তারা,বস তোমার জন্যে---!
ভিডিওগুলো দেখে হাসতেই আছি। স্কোপ দাদা , বহুত থ্যাংকস।
লেখা ও ভিডিও অতিউত্তম। আমি স্কোপদার ইউটিউবের সাবস্ক্রাইব হতে চাই।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
খেক খেক খেক খেক...
দুই নম্বরটা সবচে কঠিন
(আমার ভাইস্তা ভাইস্তিরা কই?)
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
২ নাম্বার ঘটনা বেশি জোশ হইসে
পাকিদের ইয়েমারার জন্য পাঁচতারা।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
হা হা হা
দ্বিতীয় ঘটনাটার জন্যে এক কোটি তারা----!!!
মনটাই ফুরফুরে করে দিলে আজ কে---
নাহ, আরো এক কোটি তারা দিলাম বস!!
আর--সুখবরের অপেক্ষায় আছি সকলে
ঘটনা পড়িয়া লল (LOL)....
মজা পাইসি তয় কোন সুশীল আইসা মামুন ভাইরে একগাদা জ্ঞান দিলে আরেকটু মজা পাইতাম ঃ-D
মামুন, হাসতে হাসতে মারা গেলাম!
আর সাফির কমেন্টে জাঝা!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
বেশ করেছেন!
পাকিদের কিছু গর্দভমার্কা কাজের সাক্ষি হয়ে আছি আমিও। ওয়াইল্ড-স্কোপের তিন নম্বর ভিডিওটা (রিপোর্টার) দেখে হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
আগাগোড়া জটিল.........হাসতে হাসতে............গেলাম
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। মারাত্মক দৌড়ের উপর আছি তাই আলাদা করে ধইন্যাপাতা দিতে পারলাম না। তবে ভাইসগল যার যার গুদামে যত বেল্লিক পাকিবাজির গলফ জমা আছে ফাকিবাজি বাদ্দিয়া আমাগো শুনান
মামুন ভাই,
অনেক হাসলাম।
খ্যাক খ্যাক করতেছি পড়ে।
তবে, এখনো কোনো 'হেজেমনি' হলোনা দেখে বিনোদনে ঘাটতি থাকলো
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
এই শাহেনশাহ সিমন লুক্টা খ্রাপ ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আপ্নে খুব খারাপ লোক...আমগো ব্রাদারগোরে এমনে বাঁশ দিলেন! আমি কিছুদিন আগে এক পাকি আন্ডারগ্রাড ফাইনাল পরীক্ষায় লাস্ট বেঞ্চে বসে নকল করার সময় ধরছিলাম...জাতি-ধর্ম-বর্ণ বিদ্বেষ করা যাবেনা এই মর্মে হলফনামা দিয়ে টি,এ, করি...তবু সেদিন যে আনন্দ হয়েছিল...দুই রাত ঘুমাই নাই!
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
হা হা হা হা , মজাক পািলাম
ভোলামন
মামুন ভাই, ফাডায়ালাইছেন গো, হাহাপগে, মিয়া, ৩য় পার্টে আমি গড়াগড়ি দিয়ে হাসতে হাসতে প্রায় পেট ছুটে যাবার অবস্থা হইছিল, ৩ দিন সচলে আসি নাই, কি যে মিস করছি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
শাক দিয়ে মাছ হয়তো ঢাকা যায়, কিন্তু শিঙ্গি মাছ দিয়ে তিমি ঢাকা?
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
খেক খেক করে হাসিলাম ...
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
নতুন মন্তব্য করুন