সারারাত বুকভরা উথাল পাথাল কান্নার সাথে লড়াই করতে করতে ক্লান্ত সুফিয়া ভোররাতে ঘুমিয়ে পড়ে—কাঁদতে কাঁদতে। তবুও সূর্য ওঠার সাথে সাথেই বিছানা ছাড়ে—সংসার বলে কথা। রাতে ভিজিয়ে রাখা চাল গুড়ো করে , নারকেল কুরিয়ে, পাটালী গুড়ের পুর দিয়ে ধবধবে ভাপা পিঠা বানিয়ে জয়নালের সামনে যখন রাখে চারদিক তখন সকালের সোনারোদে ঝকমকে।
গত শীতেও দেখা যেত আগুন গরম পিঠা নামিয়ে রাখার সাথে সাথেই জয়নাল প্রায় হামলে পড়ে থালার উপরে। দু’হাতে লোফালুফি করে গরম সামলে পিঠার হেস্তনেস্ত করে আর হাসি চাপতে আঁচলে মুখ ঢেকে সুফিয়ে ছোটে রান্নাঘরের দিকে—দু’চোখ উপচে খুশীর বন্যা।
আজ সকালে জয়নালের চোখ-মুখে সেই পরিচিত, প্রত্যাশিত আনন্দের আভা নেই। চিন্তাক্লিষ্ট, অন্যমনষ্ক ভঙ্গীতে পিঠা নাড়াচাড়া করে কিন্তু মুখে তোলেনা। সুফিয়া আঁচল কামড়ে দাঁড়িয়ে থাকে। জয়নাল একটা পিঠা ভেঙ্গে দু’টুকরো করে, তারপর টুকরোগুলোকে আবার ভাঙ্গে—ভাঙতেই থাকে। ছোট একটা টুকরো মুখে চালান করে দেয়। ভালোমতো না চিবিয়েই পানি দিয়ে ঢকঢক করে গিলে ফেলে সুফিয়ার দিকে তাকিয়ে গম্ভীরস্বরে বলে—‘বউ বসো, তোমারে একটা কথা বলি। বিষয়ডা তোমার ভালো না লাগারই কথা, কিন্তু আমি অনেক চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিলাম। এ ছাড়া আর কোন উপায়ও দেখিনা। মায়ের কাছে মুখ দেখানোই মুশকিল হয়ে গেছে। ’
সুফিয়া আর পারেনা। ঢপ করে মাটিতেই বসে পড়ে। পরমুহূর্তেই ফুঁসে ওঠে, ছোবল দিয়ে পিঠার থালা কেড়ে নেয় জয়নালের সামনে থেকে। তারপর জ্বলতে জ্বলতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায়। রান্নাঘরের পেছনে গিয়ে পিঠাগুলো ছুড়ে দেয়ে হাভাতে কুকুরগুলোর দিকে। তারপর কান্নার দমকে ওর শরীরটা ধনুকের মতো বেঁকে যায়। সুফিয়ার মন বলছিল এমন কিছু একটাই ঘটতে যাচ্ছে। কিন্তু এত্ত তাড়াতাড়ি যে জয়নাল এতবড়ো একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে এতটা নীচ সে স্বামীকে ভাবেনি। বিশেষ করে দ্বিতীয়বারের মতো গর্ভ নষ্ট হবার পরেও সে যখন তাকে সাহস দিয়েছে, ভরসা জুগিয়েছে।
কাঁদতে কাঁদতেই সুফিয়ার মনে পড়ে বিয়ের পর প্রথমবারের মতো সে যখন এ বাড়িতে আসে সে দিনটির কথা। নৌকায় চড়ে আসছিল তারা সবাই। মাঝ নদীতে আকাশ কালো করে ঝড় আসে। পাহাড়ের মতো ঢেউয়ের মাথায় উঠে গিয়েই আচম্বিতে পাতালে নেমে যাচ্ছিলো তাদের ছোট পালতোলা নৌকা। কতোটা সময় ঝড়ের তাণ্ডব চলেছিল সুফিয়ার তা মনে নেই, পুরোটা সময়েই সে স্বামীকে জড়িয়ে ধরে বসেছিল গলুইয়ের ভেতর। পরম মমতায় তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিল জয়নাল, সুফিয়া বুঝে নিয়েছিল এই মানুষটির উপরে নির্ভর করা যায়। ভালোবাসার ভিত্তিইতো নির্ভরতা। সে মুহুর্তে সুফিয়ার মনে হয়েছিল এভাবেই জয়নালের বাহুবন্দী হয়েই বাকিটা জীবন নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দেয়া যাবে।
দূরে কোথাও বাচ্চাদের হুটোপুটির শব্দ শোনা যায়। পূবদিকে কবিরাজ বাড়ির বড় মেয়ে শেফালী উঠোনে ছোট ভাইবোনদের সাথে কানামাছি খেলছে। মুহূর্তেই সুফিয়া সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে শেফালী উপর। ‘ঢ্যামনা মাগী, বেশ্যা মাগী, বারোভাতারী’—কান্নাভারী কন্ঠে সুফিয়া অস্ফুটে বলে। পাড়াতো ভাই-বোনের দাবী নিয়ে সুযোগ পেলেই জয়নালের সাথে ঢলাঢলি, হাসি-তামাশা, দাবী-আব্দার—আরও কতো কী! প্রথমে খুব একটা খেয়াল করেনি সুফিয়া কিন্তু গতকাল সন্ধ্যার দিকে গোয়াল ঘরের পেছনে জয়নালের সাথে শেফালীকে হা হা হি হি করতে দেখেই ওর মনে সর্বনাশের ঘন্টা বেজে উঠেছিল। ক্ষোভ, ঘৃণা, লজ্জা আর অবসাদের চতুর্মুখী আক্রমণের সাথে সারারাত লড়াইয়ে বিপর্যস্ত সুফিয়া শুন্য চোখে সেদিকে তাকিয়ে থাকে।
হতভম্ব জয়নাল চুপচাপ বসে থাকে অনেকটা সময়। ইদানীং সুফিয়ার আচরণ দুর্বোধ্য আর বিরক্তিকর ঠেকছে ওর কাছে। এতটা অস্থিরতার কারণ ও বুঝে উঠেতে পারেনা। গ্রামের আর কোন মরদ হলে বউয়ের সাথে আলাপ-আলোচনার ধারই ধারতনা। নিজের কাছে যেটা ভালো মনে সেটা করেই বউকে জানাতো। পোষাইলে ভাত খা নাইলে মুড়ি খা—এভাবেই তো সব পুরুষ সংসার চালায়। আরেক গ্লাস পানি খেয়েই ও উঠে পড়ে। কাজটা আজকেই শেষ করা দরকার, মনভর্তি দোটানা দিয়ে আর যাই চলুক সংসার চলবেনা। বাইরে সুফিয়াকে স্থাণুর মতো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেও ওর মেজাজ আরেকটু খারাপ হয় । বেহুদা কান্নাকাটি মেয়েমানুষের স্বভাবজাত, প্রশ্রয় দিলেই মাথায় চড়ে বসবে।
সুফিয়া আশায় ছিল হয়তো জয়নাল বাইরে এসে দুয়েকটা সান্ত্বনার কথা শোনাবে, তার ভুল ভাঙাবে, পুরোনো দিনের মতো করে মাথায় হাত বুলিয়ে মৃদু বকাবকিও করবে। কিন্তু জয়নাল দূর থেকে একটা রাগী দৃষ্টি হেনেই গোয়াল ঘরের দিকে চলে যায়। কবিরাজ বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসে শেফালী, তারপর এদিক সেদিক তাকিয়ে গুটিগুটি পায়ে হাঁটতে থাকে । সুফিয়ার পৃথিবী দুলে ওঠে, উবু হয়ে অনেকটা টকজল বমি করে দেয়।
জয়নালকে আসতে দেখে ভীরু চোখে সেও এগিয়ে আসে। ঝড়াপাতায় ওর পায়ের শব্দ শোনা যায়। জয়নাল মুগ্ধ চোখে চাকিয়ে থাকে। ঝলমলে রোদে ওর মসৃন ত্বক আরও উজ্জ্বল দেখায়। কাজল টানা বড় বড় চোখ, মায়ামাখা পাপড়িতে ঢাকা। দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে জয়নাল ওর গালে হাত রাখে, মাথায় হাত বোলায়। চারদিকে তাকিয়ে কাছে টেনে নিয়ে ওর ভেজা নাকে চুমু খায়। অদ্ভুত এক ভালোবাসায় ওর মন ভরে যায়, জয়নাল বুঝে নেয় ওকে সে কিছুতেই হাতছাড়া করতে পারবেনা।
সুপারী গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে ঘোরলাগা চোখে এদিকে তাকিয়া থাকে শেফালী।
‘তোরে আমি বেচুম না লালী, মা যাই বলুক’—লালীর গলায় হাত বুলিয়ে আদরমাখা কন্ঠে জয়নাল বলে। একমুঠো খড় নিয়ে লালীর মুখের সামনে ধরে, লালী আস্তে আস্তে মুখে পুরে নেয় পুরোটাই। তারপর ডানে-বামে চোয়াল নাড়িয়ে চিবাতেই থাকে।
মন্তব্য
মামু, একখান কথা কও দেখি টাইম পাও কৈ?
দুই পৃষ্ঠা লিখতে কদ্দুর টাইম লাগেরে মামু?
তা ঠিক! এলেম থাকলে ১৫ মিনিট, না থাকলে অনন্ত কাল
গলফ ভাল্লাগছেনি তাতো কইলিনা...
আয় হয় কন কি - তিন খান মারলাম কিল্লাই
চোরের মন পুলিশ পুলিশ টাইপের সাইকোলজিক্যাল গল্প পড়তে ভালই লাগে, তার উপর তোমার লেখা
ধইন্যবাদ মামুজান
চমৎকার লাগল।
অসংখ্য ধন্যবাদ অনিন্দিতা
ভাল্লাগসে মামুন ভাই...
অটঃ দুইকন্যা আছে কেমন?
=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
ধন্যবাদ ফাহিম। মেয়েরা খুব মজায় আছে
গল্পটা ভালো লাগলো মামুন। শেষের চমকটা দারুন! এটার জন্য তৈরী ছিলাম না।
নতুন বাবার জন্য রইলো আন্তরিক শুভেচ্ছা। আর মেয়েদের ও তাদের মায়ের জন্য রইলো আমার অনেক দোয়া ও ভালোবাসা।
--------------------------------------------------------------------------------
অনেক ধন্যবাদ ভাবী। আপনিও ভালো আছেন আশাকরি।
শেষের প্যারাটায় মোচড় খাইলাম একটা।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হায় হায় ব্যাথা পাও নাই তো শিমুলাপা?
ভালো লাগছে ভাইয়া। --------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
অনেক ধন্যবাদ নীল রোদ্দুর
এতো প্রশংসার পর এই সব লিখতে গেলে লেখকমশাই খুশি হবেন না এই ভেবেই দ্বিধা নিয়ে লিখছি।
কবিরাজ বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসে শেফালী, তারপর এদিক সেদিক তাকিয়ে গুটিগুটি পায়ে হাঁটতে থাকে । সুফিয়ার পৃথিবী দুলে ওঠে, উবু হয়ে অনেকটা টকজল বমি করে দেয়। জয়নালকে আসতে দেখে ভীরু চোখে সেওএগিয়ে আসে।
এই "সে" যে শেফালী নয়, বাক্যগুলো থেকে সে কথা মনে হয় না। কাজেই আচমকা লালীর আবির্ভাবে ব্যাপারটা একটু ঘেঁটে যায় পরের দিকে। ঘেঁটে দেওয়াটা অভিপ্রেত হলেও পদ্ধতিটা পাঠকের পছন্দ হবে না, অনেকটা গোয়েন্দা গল্পে শেষে এসে অনেক অজানা তথ্য বললে পাঠক যেমন ভাবে, এ সব তো আমি জানতামই না, আন্দাজ করবো কী ভাবে কে অপরাধী! ফেয়ারনেসের প্রশ্ন আর কি।
ভেজা নাকে চুমু খাওয়াটা, অপরপক্ষে, ইঙ্গিত দেয় যে ব্যাটা একটা গরু (বেটি)। যাক, ভালো প্রচেষ্টা, বিশেষতঃ এই একজোড়া কন্যা কোলে এই ব্যস্ত সময়ে। আরো লেখা আসুক।
মূলোদা শোন, আমার লেখার সমালোচনা যে তোমাকে দ্বিধা নিয়ে করতে হবে এতটা দূরত্ব তোমার সাথে আমার কোন কালেই ছিলনা। সচলে লেখালেখির শুরুর দিনগুলি থেকেই তোমারে জ্বালাই। তাই যাহা বলিবে নিশ্চিন্তে বলিবে, তোমার উপদেশ ভালো বই মন্দ কিছু নহে।
তবে এই গল্পটার ব্যাপারে আমার একটা দূর্বল ব্যাখ্যা আছে। আমি আসলে লিখে শুরু করেছিলাম, বা চেয়েছিলাম একটা প্রেমের গল্প হিসেবে। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে দেখি অনেকে প্যানপ্যানানি ধরনের গল্প লিখে, আমি একটু ভিন্ন ধরনের লিখতে চাইছিলাম। গল্পে স্বামী-স্ত্রী, গোরু, দুষ্ট বালিকা সবাই সবাইরে ভালোবাসে, যার যার নিজের মতো করে। কিন্তু লিখতে গিয়া লেখাটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিনি, আবার কী ভেবে বাধাও দেইনি। ছোট্ট গল্প দেখি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। টুইস্টের ব্যাপারটা আমার পূর্বপরিকল্পনায় ছিলনা। কীভাবে যেন চলে এসেছে।
যাঃ ব্যাখ্যাটাও মনেহয় যুৎসই হলোনা।
চতুর্থ প্যারা থেকেই একটা চমক আঁচ করছিলাম। সেটা কী হতে পারে ভাবতে ভাবতে শেষ প্যারায় এসে চমকে গেলাম।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ভয় পাও নাই তো?
শেষে এসে কী থেকে কী হয়ে গেল! ভালো লাগল, তবে মূলত পাঠকের মন্তব্য অনুসারে বলি, বিশেষণের প্রয়োগ নিয়ে ভাবতে পারেন, নিদেনপক্ষে একটু হিন্টস্ রাখা যায়।
গুট্টুস দু'জনের "ভেজা নাকে চুমু।"
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
আচ্ছা আশরাফ ভাই দুই একটা স্যাম্পল দেন দেখি বিশেষণের প্রয়োগ কেমনে অদলবদল করতে ভালো হইতো। আপনার করা শব্দের কারুকাজ আমার দারুণ লাগে!
শেষ দুই প্যারা তিনবার পড়ছি।
পিচকিগুলা কেমন আছে ভাই?
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
খুব মজায় আছেরে, চাচা/ফুপুদের মতোই পাগলা হবে মনে হয়
গল্প ভাল্লাগছে।
অফ টপিকঃ কন্যাদের ছবি দেখে এক্ষুনি গিয়ে আদোর করে আসতে ইচ্ছা করছে।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
মেয়ে-জামাই সহ একবার এসে বেড়িয়ে যাও মণিকা। পুরো বরিশাল স্টাইলে তোমার জামাইকে আদর করা হবে মেয়ে পাবে ঝুনঝুনি। আর তুমি চুলা ঢেলবা হেঁসেলে তোমার ভাবীর সাথে
যাইতাম না, জামাইকে আদর করা হবে আর আমার কপাল রান্নাঘরে! যাইতাম না!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
শেষে এসে চমকালাম!
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
যাক এক্কেবারে বাজে হয়নাই তাইলে লেখাটা। ধন্যবাদ রাহিন
প্রথম বার শেষের দুইটা প্যারা পুরা মাথার উপ্রে দিয়া গেসিল। এমন মোচড়ের জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
দারুন হইসে গল্পটা। বিশেষ করে, আঞ্চলিক ভাষার প্রয়োগটা অসাধারন লাগসে।
ভাল থাকুন।
ধন্যবাদ তৌফিক, আপনিও ভালো থাকবেন।
হুমমম...
এবার কিউটি বুড়ি দুটোকে নিয়ে একটা গপ্পো লিখে ফেলুন ভাইয়া!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লিখুম অবশ্যই, এট্টু ধইজ্জ ধর
কি মিয়া শেষমেষ গরু ছাগু লইয়া পড়লেন, পেটে প্যাঁচ লাইগা গেছে পুরা, এখন ২ কেজি জিলাপী ফেডেক্স করেন মিয়া, খাইয়া প্যাঁচ ছুটাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
রাইস নুডলস পাঠাইলে চইলত ন?
দুই কন্যার জন্য লেট অভিনন্দন।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
লেট বেটার নেভার থিকা
দেরিতে পড়লাম, ভালো লেগেছে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই, আপ্নের শিশু পালন তৃতীয় পর্বের অপেক্ষায় আছি
মামুন ভাই, ভাল্লাগলো। তবে মনে হইলো গল্পটা আরও ভালো হইতে পারতো
কেমন ভালো? ভাইঙ্গা কও মিয়া নাইলে ভালো করি কেমনে? তবে ভালোর কোন সীমা-পরিসীমা নাই সেইটা বুঝি
গল্পটাতে চমক আছে, সন্দেহ নেই। কিন্তু গল্পের ফিনিশিংটা ভালো লাগে নি। কারণ পুরো গল্প শেষ করে বেশ কিছু অংশ বোঝার জন্য আবার উপরের প্যারাগুলো পড়তে হয়েছে। এ ধরনের ফিনিশিং তখনই সার্থক হয় যখন পাঠক চমকের মধ্যেই একটানা গল্পটা শেষ করতে পারে, দ্বিতীয়বার পড়তে হয় না। শেষ দৃশ্যগুলোতে লালীর সাথে শেফালীকে মেশানোর প্রবণতাটা কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে শেফালীর আগমণ পাঠককে প্রথমদিকে চমকিত করলেও পরে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেয়। এই বিভ্রান্তি কাটাতে গিয়ে পুনরায় পেছনে যেতে হয়। তাছাড়া ঘটনার পরম্পরা এবং বাক্যবিন্যাস লালীর সাথে শেফালীর যোগসূত্রটা কি ঠিকঠাকমতো তুলে ধরতে পেরেছে? - হয়তো পেরেছে, সেক্ষেত্রে পাঠক হিসেবে আমার অক্ষমতা যে পুরো বিষয়টা একবারে বুঝতে পারি নি।
...আরেকটি বিষয় মনে হয়েছে- আপনি লিখতে চেয়েছেন অণুগল্প। মাথার ভেতর সেই তাড়নাটা থাকায়, সম্ভবত সে কারণেই কিছু কিছু জায়গা বোধহয় সংক্ষিপ্ত করতে হয়েছে, বিশেষ করে লালীকে কাহিনীতে আনার অংশটাতে। আমার মত হলো, গল্পের কাহিনীকে সাবলীলভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত, গল্প শেষ হওয়ার পর ঠিক করা উচিত সেটি অণুগল্প নাকি বড় গল্প! আগে থেকেই গল্পের দৈর্ঘ্যকাঠামো ঠিক করে রাখলে কাহিনীর চাহিদা মার খায়।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
খাইসে , বুজলাম আপ্নের মতো পাঠকের লগে চুদুর বুদুর চইলত ন'
হ, ভালোর কোনো সীমা-পরিসীমা নাই। তবু, এইটা ভালো হইছে।
আর, বিশেষ কইরা কর্মস্পৃহা তো আপনের মারাত্নক!
আমার যদি একসাথে এইরকম দুইটা কইন্যা আসতো, তাইলে মনে হয় পরের ২ বছর আমার কোনো এইরকম লেখা আসতো না।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
শেষ প্যারাতে এসে চমকে যাবে না এমন পাঠক পাওয়া কঠিন হবে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এইগুলা লেখেন কেমতে?
জব্বর ভালু পাইলাম।
ভাতিজিরা আছে কেমুন?
দারুন! দারুন! শেষটা যে এমন ভাবে হবে বোঝাই যায়নি।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আরে আরে মুমু যে! এদ্দিন গায়েব ছিলেন কই?
মামুন সাহেব,
লেখালেখিতে তোমার খুবই আগ্রহ আছে, সে নিয়ে একটা আইডিয়া এলো, বলি। জুলি অ্যান্ড জুলিয়া বলে একটা ফিল্ম আছে, সেই পথে এই আইডিয়া। এই যে তোমার দুটি কন্যা হলো, এদের আসার আগে থেকেই নানা রকম প্রস্তুতি, দুরুদুরু বুকে নানা জল্পনা, তারপর তাদের শুভাগমন, এই সব নিয়ে লিখে ফেল, প্লাস নিয়মিত, ধর সপ্তাহে একটা করে লেখা লিখে ফেল ওদের সঙ্গে দিন কেমন কাটছে সেই নিয়ে। ওরা নতুন কী দুষ্টামি করলো, কেমনে তোমাদের হাড়মাস ভাজাভাজা করে দিলো, কিম্বা ধরো 'বাবা' বলতে গিয়ে হয়তো 'হাবা' বলে দিলো (একটু ফাইজলামি করলাম আর কী) । এক বছর পরে দেখবে একটু ঘষামাজা করলেই চমৎকার একটা গোটা বই হয়ে গেছে। আগামী বছরের বইমেলায় তাহলে প্রাউড ফাদার হতে পারবে আবার, নতুন গ্রন্থের। কেমন লাগলো বলো পরিকল্পনা?
এই প্রসঙ্গে আরেকটু বলে রাখি- খাতেমন-আরা-বেগম নামের একজন নারী লেখক প্রথম দিন থেকেই তাঁর সন্তানদের দৈনন্দিন কাজকর্ম পর্যবেক্ষণ করে পিএইচডি থিসিস করেছিলেন। মূলত কোন বয়সে শিশুরা কী করে, সেগুলো পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি কিছু ব্যাখ্যা তিনি দাড় করিয়েছিলেন, যা পরবর্তীতে বাংলা একাডেমী থেকে 'শিশু' নামে বই আকারে বেরিয়েছিলো। 'শিশু'দের ওপর এ ধরনের বই বাংলা ভাষায় দুর্লভ।
মামুন ভাই এ ধরনের একটা পদক্ষেপ নিতে পারেন। পাঠকদা যেটা বলেছেন সেটা করতে পারলেও শিশুদের নিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়ে যাবে, কোনোরূপ অতিরিক্ত কষ্ট ছাড়াই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নতুন মন্তব্য করুন