এই লেখায় আপনাদের আলী হোসেনের দুর্ভাগ্যের কথা জানিয়েছিলাম। আজকে সেই ব্যাপারটার একটা সুরাহা হলো। দীর্ঘ পাঁচ মাসের কবর-শ্মশানের টানাটানি, সরকারী-বেসরকারী অফিসে দেন-দরবার, সচিবালয়-দূতাবাস-আইন-আদালত- ডাক্তার-হাসপাতাল-পুলিশ-আবেদন-নিবেদন-হতাশা-দাঁতে দাঁত চাপা -নির্বিষ দীর্ঘশ্বাস সব মিলিয়ে সে এক নিদারুণ অভিজ্ঞতা বটে। ভুল সময়ে ভুল জায়গায় মরে গিয়ে লাল ফিতার দৌরাত্মে মাসের পর মাস তাইওয়ানের হিমাগারে আটকে থাকার পর আজ জুম্মাবাদ তাইপে মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর রাতে সাড়ে আটটার থাই এয়ারলাইন্সের কার্গো বিমানে তাকে বাড়ির পথে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কাল দুপুর নাগাদ সে ঢাকা পৌছে যাবে। তার ছোট ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে, এয়ারপোর্টের বাকি আনুসাঙ্গিকতা সারতে সে হাজির থাকবে। আলী হোসেনের বাবাও ফিরে আসছেন সৌদি আরব থেকে, ছেলেকে শেষ দেখা দেখতে। আর তার মা তো বাড়িতেই আছেন, ছেলের অপেক্ষায়।
আলী হোসেন নামী দামী কেউ না, দেশ-দশের উন্নতিতে তার বড় কোন অবদানের রেকর্ড নাই, জীবিত বা মৃত অবস্থায় তার দেশে ফেরায় বিরাট কোন ক্ষতিবৃদ্ধিও নাই-- কিন্তু সে আমাদের মাটির ভাই। বিদেশে মরে পঁচার চাইতে তার কপালে দেশের মাটি জুটবে, তার বাপ-মা-ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশি, বন্ধু-বান্ধব তাকে শেষ বিদায় জানাবার সুযোগ পাবে সেটা ভাবতেই ভালো লাগছে। এতটুকু সম্মান তার জন্মগত অধিকার।
আগের লেখাটায় অনেক দুঃখ/হতাশার কথা বলছি, আজকে আর নতুন করে কাউরে শাপ-শাপান্ত করতে ইচ্ছা করছেনা। করেও লাভ নাই, না করেও লস নাই। তার চেয়ে বরং এই প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে যাই।
এই ঘটনার কথা শুনে সরকার যতোটাই নির্লজ্জ দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে, দেশ-বিদেশের সাধারণ মানুষ ততটাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। মনে পড়ে ফুটপাতের সেই দোকানীর কথা। লোকমুখে শুনে সে তার সারা জীবনের সঞ্চয় নিয়ে হাজির হয়েছিল, যদিও সেটা গ্রহণের প্রয়োজন পড়েনি, তবুও তাকে ধন্যবাদ জানাই।
তাইওয়ানে আরেক প্রবাসী বাংলাদেশী মনজুরুল ইসলাম ভাই আমার ঘর-সংসার নিয়ে ইদানিং অতিরিক্ত ব্যস্ত হয়ে যাবার সময়টায় দারুণ আন্তরিকতায় সব সামাল দিয়েছেন, প্রায় প্রতিদিন ফোনে যোগাযোগ রেখেছেন বাংলাদেশ-তাইওয়ান-হংকং-সৌদী আরবে অবস্থিত সকল পক্ষের সাথে--আমার চাইতেও বহুগুণ দক্ষতায়। তাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ।
বেশ কয়েকজন সচল প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সাহায্য করেছেন। আপনাদের ধন্যবাদ না দিলেও চলে জানি, কিন্তু ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা জানবেন।
পুরো ঝামেলাটা নিজের ঘাড়ে উঠিয়ে নিয়ে যিনি জান লড়িয়ে দিয়েছেন, যার সদয় সক্রিয়তা ছাড়া এই কাজটা শেষ করাই বোধহয় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াতো তিনি তাহির চৌধুরী, পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত তাইওয়ানিজ। মানবিক কারণেই তিনি সর্বান্তকরণে দিন-রাত খেটেছেন আলী হোসেনকে তার জন্মভূমির কাছে ফিরিয়ে দিতে, আমিও একজন মানুষ হিসেবেই তাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই।
এমন দুর্ভাগ্য যেন আর কারও না হয়, এমন লেখা যাতে আর কাউকে লিখতে না হয়, আমাদের দেশ যেন তার নাগরিকদের ন্যূনতম সম্মান দিতে শেখে,কিছুটা হলেও দায়িত্বশীল হয় --এই কামনাই করছি।
আমার মাটির ভাই আলী হোসেন, আপনার শেষ যাত্রা শুভ হোক।
মন্তব্য
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আলী হোসেনের আত্মা শান্তি পাক নিজ বাসভূমে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হুম
আলী হোসেনের বিদেহী আত্মা শান্তিতে থাকুক। এরকম লেখা যেন আর কখনও কাউকে না লেখতে হয়, এমন ভাগ্যও যাতে আর কারো না হয় ...
---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
বুঝলাম, আপ্নেরা থাকলে মল্লেও চিন্তা নাই
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ইনশাআল্লাহ উনি ভালো থাকবেন। ওনার মৃত্যুর পরের জীবন যেন মসৃণ হয়।
সে'দেশে যবে বাদল ঝরে
কাঁদে নাকি প্রাণ একেলা ঘরে?
বিরহব্যাথা নাহি কি সেথা?
বাজে না বাঁশি সে নদীর তীরে?
উদ্যোগ সফল হওয়ায় অভিনন্দন বস।
আলী হোসেনের আত্মা শান্তি পাক...
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
সরকার দায়িত্বশীল হবে তেমন কোন সম্ভাবনা দেখি না। মানুষের কষ্টে যে মানুষের প্রাণ কেঁদে ওঠে, আকুল হয়ে পাশে দাঁড়ায় আজও - সে সংবাদটি বড় মূল্যবান, মামুন ভাই।
মামুন ভাই, এই আন্তরিকতা, দায়িত্ববোধ, পরিশ্রম একটা অসামান্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। কিছু কাজ ধন্যবাদের ঊর্ধ্বে চলে যায়। এটা তেমনই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বস
হৃদয়টা স্পর্শ করে গেল ---নাহ, লেখাটা নয়।
তোমার, তোমাদের মানবিকতা।
তোমার আর তোমাদের মত কিছু মানুষের জন্যেই এখনো পৃথিবীটার ওপর বিশ্বাস হারাই না।
আলী হোসেন, ভাই আমার, তোমার জীবনটা কেটেছে দুঃখ আর বঞ্চনাকে আপন করে নিয়ে। তোমার জীবদ্দশায় তুমি যা দেখে যেতে পারো নি, তোমার বেঁচে থাকার দিনগুলোতে তুমি মানুষের যে মানবিকতার ছোয়াঁচ পাওনি কখনোই, আজ তুমি যদি এসে দেখে যেতে তবে দেখতে পেতে---আমরা দেরী করে ফেলছি সত্যি, কিন্তু আমরা তোমাকে ভুলে যাই নি আলী হোসেন। তোমার শেষযাত্রাটা শেষ পর্যন্ত দেশের মাটিতেই সমাপ্ত হবে। তোমার মা বাবা শেষ পর্যন্ত তোমার মুখ স্পর্শ করতে পারবেন, তোমার শিয়রে এঁকে দিতে পারবেন শেষ স্নেহ-চুম্বন।
আমাদের ক্ষমা করো আলী হোসেন। আমরা অনেক দেরী করে ফেলেছি তোমার কাছে। কিন্তু বিশ্বাস করো,এইরকম আরো দেরী করে ফেলার আগেই আমরা বাকী সব আলী হোসেনদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করব।
আমি বিশ্বাস করি, পৃথিবীর নানান কোনায় মামুনরা তৈরী হয়ে আছে। তোমাদের আর অবহেলায় অযত্নে হারিয়ে যেতে দেব না-----
----
----
----
এর থেকে বড় কাজ হয় না। সবাই মিলে একটা ভালো কাজ সারলেন, আলী হোসেনের পরিবারটা একটু শান্তি পাইলো।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
পাঁচ মাস লেগে গেল, অন্তত তারপরেও বেচারা আলী হোসেন বাড়ি ফিরে যেতে পারছে, মামুন ভাই এবং তার সহযোগীরা যদি না থাকতেন তাহলে কি হত চিন্তা করে আরো বেশি খারাপ লাগতে লাগল, আমার শত্রুরও যেন এমন পরিণতি না হয়।
আলী হোসেনের আত্মা শান্তি পাক।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
শুনে কিছুটা হলেও শান্তি পেলাম। কাজটির সাথে জড়িতদের প্রতি শ্রদ্ধা।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
মানবিক এই দায়িত্ব পালনে যারা এগিয়ে এসেছিলেন তাঁদের সবার প্রতি এই কাংগালের শ্রদ্ধা।
আশা করি আপনাদের এই অনুভুতিপ্রবণ উদ্যোগটি আমাদের দেশের দুতাবাসগুলোর কিছুটা হলেও বোধদয় ঘটাবে।
---- মনজুর এলাহী ----
মামুন ভাই, আমার পরম শ্রদ্ধা আপনার, আপনাদের প্রতি। বলে কিছু হবে না এতদিনে কিন্তু আলী হোসেন শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরে যাচ্ছেন, এটাই আসল কথা। মানুষ নিষ্ঠুর, মানুষ অসহায় কিন্তু তারপরও মানুষকে 'মানুষ' হিসেবে বিশ্বাস করতে চাই শেষ দিন পর্যন্ত।
ভাল থাকবেন। রাজকন্যাদের জন্য অনেক আদর রইলো।
- শরতশিশির -
আলী হোসেনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
আলী হোসেনের ভাই মিনিট পাচেক আগে জানালো মৃতদেহ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ছাড় হতে আর ঘণ্টাখানেক লাগবে।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
আলী হোসেনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা।
মামুন ভাই এবং অন্যদের জন্য ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হওয়াটাই মনে হয় বেশী প্রয়োজন। এরকম কাজ যারা করে তারাই সত্যিকারের মানুষ, সত্যিকারের মানব-দরদী। পরীক্ষা না দিয়ে পাশ করার দাবী এক জিনিস আর পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করাটা আরেক জিনিস। তোরা সেই পরীক্ষায় পাশ করে গেলি রে। এরকম পরীক্ষার মধ্যে পড়লে আমরা কয় জন যে কী করতাম (আমি সহ) তা বলা মুশকিল।
মামুন, খুব ভাল খবর দিলে। আলীভাইয়ের আত্মা শান্তিতে থাকুন । মনে হচ্ছে আহা আমিও যদি এমন ভাল কাজে শরীক হতে পারতাম! তোমাকে ধন্যবাদ দেবার কিছু নেই, তুমি যা করার তাই করেছো, তবে জানি এক মায়ের দো'য়া তোমার আর তোমার প্রিয়জনদের সবসময় জড়িয়ে থাকবে।
দেশি দূতাবাসগুলো দিনে দিনে বিরক্তিকর হচ্ছে। তাহির সাহেবকে আমাদের দেশের তরফ থেকে ধন্যবাদ।
পুরো ঘটনাটাই দুঃখজনক, কষ্টদায়ক। ভেবেছিলাম ব্যাপারটা মিটে গেলে হয়তো নিজেকে একটু নির্ভার মনে হবে, কিন্তু আসলে আজ সারাদিন খুব বিষণ্ণ লাগছে। আলী হোসেনের মায়ের জায়গায় আমার মাকে বসালেই চোখ ভিজে আসে।
আর ধন্যবাদ বা স্যালুট দেবার কিছু নাই, আমার জায়গায় আপনারা যে কেউ থাকলেও একই কাজ করতেন। তবে যে শিক্ষাটা খুব দরকারী মনে হলো সেটা হচ্ছে, সদিচ্ছা নিয়ে লেগে থাকলে সব ধরনের প্রতিকূলতাকেই বশ মানানো যায় । হাল ছেড়ে দেবার মতো অনেক পরিস্থিতির সামনে আমরা পড়েছিলাম, কিন্তু সবার মাথায় একটা রোখ চেপে গেছিল যে ঘরের ছেলেকে ঘরে ফেরত পাঠাতেই হবে।
একটা কথা বলতে ভুলে গেছিলাম, বিদেশ বা প্রবাসী মন্ত্রণালয় কেউ সরাসরি একটা কুটা উঠনোর কাজে না আসলেও শেষদিকে হংকং এ অবস্থিত বাংলাদেশ কন্সুলেট বেশ করিৎকর্মা ছিলেন, এবং দ্রুতগতিতে কাগজ পত্র সত্যায়ন, সিল-ছাপ্পর মারার কাজগুলো করে দিয়েছেন। তবে এই কাজটা ওনারা মাস দুয়েক আগে করে দিলে সব দিক দিয়েই ভালো হতো, কমপক্ষে লাখ তিনেক টাকা বেচে যেত যেটা কিনা আলী হোসেনের মায়ের হাতে তুলে দিলে বেচারীকে হয়তো সহসা আর কোন ছেলেকে বিদেশে গোলামি করতে পাঠাতে হতোনা। বাংলাদেশ অ্যাম্বাসীকে তবুও ধন্যবাদ।
মামুন ভাই, আপনার প্রতি শ্রদ্ধা কি পরিমান বেড়ে গেল সেটা বলে আর লজ্জায় ফেলতে চাইনা। এত বড় একটা মানবিক কাজে আপনি/আপনারা এতটা সময় ব্যয় করেছেন, সেটা আজকালের যুগে সত্যি বিরল।
আমি গত দুইমাস ধরে আপনাকে চিনেছি এই সচলায়তনের মাধ্যমে, এবং আপনাকে সবসময় হাসি-ঠাট্টা করা আমাদের মতন একজন সাধারণ মানুষই মনে করেছিলাম।
কিন্তু এখন খুবই খুশী লাগছে যে, আপনাকে নতুন করে চিনতে পারছি বলে। আপনি অসাধারন ভাই!
====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
To know more people like Ali Hossain, those who are being killed in own mother land Pls visit
www.extrajudicialkilling.info
মন্তব্য বাংলায় লিখুন। বাংলা সাইটে ইংরেজী দেখতে কেমন যেন লাগে।
আলী হোসেনের পরিবারের জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি। আরে আপ্নেরে সেলাম।
আপনাকে শ্রদ্ধা বা স্যালুট কিছুই দিচ্ছি না- এসবের অনেক ওপরে আপনি, তবে মানুষের ওপর বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের মত কয়েকজন একরোখা লোকজন আছে বলেই দুনিয়াটাকে মাঝে মাঝে ভাল লাগে।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
শেষ পর্যন্ত উদ্যোগ সফল হয়েছে দেখে ভাল লাগল।
আলী হোসেনের আত্মা শান্তি পাক।
মামুন ভাই সহ সকল সাহায্যকারীদের ধন্যবাদ এবং শ্রদ্ধা।
নতুন মন্তব্য করুন