০১.
আমার মিঠেকড়া দুপুরটা হঠাৎ করে এক ফোন কলে হতাশার পুকুরে নাকানি-চুবানি খেয়ে উঠল। বাংলাদেশের চামড়া শিল্পে বড় ধরনের তাইওয়ানিজ বিনিয়োগ সরকারী হঠকারিতায় অনিশ্চিত হয়ে গেল। গত সরকারের আমলে যৌথ উদ্যোগে চামড়া প্রক্রিয়াকরণ এবং চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানীমূখী শিল্পে বিদেশী বিনিয়োগ আহবান করা হয়। তাইওয়ান আগে থেকেই বাংলাদেশের ট্যানারী ইন্ডাস্ট্রীতে ছোট খাট বিনিয়োগ করে আসছে। এবার এখানকার চেম্বার অভ কমার্সের বিশেষ সহায়তা এবং উৎসাহে এক সাথে প্রায় গোটা দশেক নতুন ফ্যাক্টরী স্থাপণের প্রচেষ্টা চলছিল। বাংলাদেশে আমার পরিচিত একজন শিল্পপতি দীর্ঘদিন ধরে কাঠখড় পোড়ানোর পরে সরকারী অনুমতিও আদায় করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। আমি যেহেতু তাইওয়ানে থাকি তাই এ বিষয়ে আমার সাথে নিয়মিত যোগাযোগও রক্ষা করে যাচ্ছিলেন। লগ্নি করতে আগ্রহী তাইওয়ানিজ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ঘুরে এসে হাজারো জটিলতা সত্ত্বেও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেননি, বরংচ এবারের প্রচেষ্টা সফল হলে আগামীতে আরও বড় ধরনের বিনিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছিলেন। কিন্তু মারে বাঙ্গালী রাখে কে?
বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার বিগত সরকারের আমলে অনুমতি প্রাপ্ত সব কয়টি যৌথ উদ্যোগকে বাতিল ঘোষনা করেছেন (!)। এখন আবার গোড়া থেকে সব শুরু করতে হবে। বর্তমান এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে কার খেয়ে দেয়ে এত সময় আছে বলেন? যেচে টাকা-পয়সা খাটাতে চাচ্ছে, আর সেটা নোংরা স্থানীয় রাজনীতির শিকার হয়ে প্রত্যাখ্যাত হলো। যেখানে পৃথিবীর প্রায় সব কয়টা উন্নত, সল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল দেশ বিদেশী বিনিয়োগে জন্য হা পিত্যেশ করে পড়ে থাকে সেখানে আমরা নিজেদের বখরা নিশ্চিত না হওয়ায় শেষ মুহূর্তে পায়ে ঠেলি সেধে আসা লক্ষীকে।
এখানে উল্লেখ্য যে এর আগেও বাংলাদেশে তাইওয়ানিজ বিনিয়োগ সরকারী মাতলামীর শিকার হয়ে ঘুরে গেছে পড়শি দেশে। যে টাকায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনায় রপ্তানীমূখী শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে হাজার হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ আর দেশের অর্থনীতিতে নতুন প্রাণশক্তির যোগান দিতে পারত, তা এখন ব্যয় হচ্ছে কেরল, অন্ধ্র প্রদেশ, গুজরাট হয়ে ছদ্ম লোহিত পশ্চিম বঙ্গেও। আগেও এক লেখায় জানিয়েছিলাম বাংলাদেশের সাথে যৌথ উদ্যোগে পোষাক শিল্পে তাইওয়ানে উৎসাহের কথা , যা কিনা রাষ্ট্রনেতাদের অদূরদর্শিতার কারণে চলে যায় পাকিস্তানের দখলে।
চীনের ব্যাপারে আমাদের সরকারী নীতি অনেকটা মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশি হবার মতো দেখায়। খোদ চীন যেখানে তাইওয়ানিজ বিনিয়োগের জন্য সমস্ত দরজা উন্মুক্ত করে পুরানাকালের বন্দরী বারবণিতার মতো উন্মুখ হয়ে বসে আছে, সেখানে চীনকে খুশী রাখতে আমাদের তাইওয়ানকে পীঠ দেখানো হাস্যকরই বটে। চীনে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের তালিকায় তাইওয়ানের অবস্থান সবার উপরে, বাকিদের ধরা ছোঁয়ার অনেক বাহিরে। ইদানীং আরেক সমাজতান্ত্রিক দেশ ভিয়েতনামও প্রায় দুই বিলিওন ডলারের তাইওয়ানিজ বিনিয়োগ লুফে নিয়েছে।
আমরা বিশাল এক স্থানীয় বাজার, সুলভ শ্রমিক, আর কর্মঠ নতুন প্রজন্ম নিয়ে প্রতিনিয়ত সরকারী আত্মঘাতি সিদ্ধান্তের কারণে ধুঁকছি।
০২.
প্রথম যেবার সায়গন যাই ওখানকার এয়ারপোর্টের চেহারা দেখে শুরুতে আতংকিত হলেও অদ্ভুত একটা আত্মশ্লাঘাও অনুভব করেছিলাম। আরে বাবা ঢাকার চেয়েও খারাপ এয়ারপোর্ট আধুনিক বিশ্বে তাহলে আছে! ঠিক যেন আশির দশকের কমলাপুর রেলস্টেশনের মতো দেখতে। আর কোথাও টার্মিনালের বাইরেও শত শত ঠিকানাবিহীন, গরীব মানুষদের শুয়ে বসে থাকতে দেখিনি। লাগেজ পেতে দেড় ঘন্টা, ট্যাক্সি যেন মুড়ির টিন বাসের মতো বিবর্ণ, সবকিছুতেই চূড়ান্ত বিশৃংখলা। এর আগে ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া আর চায়নার একটা ডমেস্টিক এয়ারপোর্টে কাছাকাছি ধরনের বিশৃংখলা দেখেছিলাম, কিন্তু হো চি মিন ছাড়িয়ে গিয়েছিল আর সবাইকে।
বছর তিনেক আগে থেকে শুনি ভিয়েতনাম এয়ার খুব সস্তায় ফ্লাইট দিচ্ছে। ইউরোপ, এশিয়া এমনকি অস্ট্রেলিয়ার রুটেও। পূর্ব অভিজ্ঞতার কারণে আমি ভিয়েতনাম এয়ারের সব ধরনের অফার এড়িয়ে চলছিলাম। কিন্তু এক দেড় বছর আগে অল্প সময়ের নোটিশে অস্ট্রেলিয়া যেতে হলো। আর কোথাও সিট না পেয়ে বাধ্য হলাম ভিয়েতনাম এয়ারের টিকেট কাটতে। দামে সস্তা কিন্তু ঝামেলা হলো প্রায় দশ ঘন্টার ট্রানজিট সায়গনে। ভাবছিলাম খোদায়ই জানে কী খারাবী আছে এবার কপালে। কিন্তু এয়ারপোর্টে নেমে তো আমার চোখ ছানাবড়া। মনে হলো যেন আলাদীনের যাদুর প্রদীপের দৈত্য খোলনলচে বদলে দিয়েছে আমার দেখা সবচেয়ে আগোছালো বিমান বন্দরটিকে। ব্যাংককের সুবর্ণভূমি এয়ারপোর্টের মতো দেখতে চারপাশ। সব ঝকঝকে তকতকে, নিঁখুত ভাবে সাজানো। সার্ভিসও তেমন। ইমিগ্রেশনের বাইরেই লোক দাঁড়িয়ে ছিল ট্রানজিট যাত্রীদের আপ্যায়নে, একেকজনকে আলাদা গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে গেল চমৎকার নতুন পাঁচতারা হোটেলে। টার্মিনালের পাঁচশ গজের মধ্যে কোন ভিড়ভাট্টা নেই, গৃহহীন মানুষের আনাগোনা তো দূরের কথা। শুধু রাস্তায় যানজটই আগের মতো ছিল।
আর এদিকে আমাদের বেচারা বিমানবন্দরের নাম বদলায়, কাম বদলায় না। একবার এক পাকিকে প্লেন থেকে নেমে বলতে শুনেছিলাম, এটা কোন এয়ারপোর্টই না, এটা আসলে একটা জঙ্গল। লজ্জা লজ্জা!
০৩.
গত সপ্তাহে দেশ থেকে বোনজামাই এসেছিলেন আমার মেয়েদের দেখতে। ফেরার পথে তার টিকেট নিয়ে জটিলতা দেখা দিল। উনি ভ্রমণ করছিলেন থাই এয়ার এবং বাংলাদেশ বিমান মিলিয়ে। দেখা গেল তাইওয়ান থেকে বাংলাদেশ বিমানের বোর্ডিং পাস মেলেনা, আর ওনার থাইল্যান্ডে রি এন্ট্রি ভিসা না থাকায় ব্যাংকক এয়ারপোর্ট থেকে বোর্ডিং পাস নেবার উপায়ও নেই, যদিও ব্যাংকক থেকেই তিনি তাইওয়ানের ভিসা নিয়ে এসেছিলেন। খোঁজ লাগিয়ে জানলাম বাংলাদেশীদের ট্রানজিট ভিসাও দেয়না ওখানে, অথচ ভারতীয়দের দেয়, ভূটানিদেরও দেয়। হায় অভাগা বাংলাদেশ, কোথাও এইদেশের পাসপোর্টের কোন মূল্য নেই। বেচারাকে বাধ্য হয়ে নতুন টিকেট কিনে দেশে ফিরতে হলো। বেড়াতে এসে কী বিরক্তিকর হাঙ্গামা।
কী ভেবে হংকংএ এক পরিচিত কূটনীতিককে ফোন করলাম, জানতে যে পৃথিবীর কয়টা দেশের সাথে আমাদের বিনা ভিসায় বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় যাতায়াতের সুব্যবস্থা আছে। উনি জানালেন প্রায় পঁচিশটা দেশের সাথে আমাদের সে ব্যবস্থা আছে( বড়জোর ৯০ দিনের)। বলেন কী! আমি অবাক হয়ে দেশগুলোর নাম জানতে চাইলাম। উনি একটা লিস্ট পাঠালেন। দেখে আমার উচ্ছ্বাসের বেলুন ফুস করে ফুটো হয়ে গেল। আপনারাও দেখেন (তুলনামূলক অপরিচিত দেশগুলোর লিংক যুক্ত করে দিলাম)ঃ
অ্যান্টিয়া & বারবুডা, বাহামাস, ভূটান, ডমিনিকা, ফিজি, গাম্বিয়া, গ্রেনাডা, গিনি বিসাউ, জ্যামাইকা, গায়ানা, হন্ডুরাস, লেসোথো, মালাউই, মালদ্বীপ, মন্তেসেরাত, পাপুয়া নিউ গিনি, সেইন্ট কীটস&নেভিস, সেইন্ট লুসিয়া, সেইন্ট ভিনসেন্ট& গ্রেনাডিনস, সেইশেলস, সলোমন আইল্যান্ডস, উরুগুয়ে, ভ্যাটিক্যান সিটি এবং জাম্বিয়া।
এখন লিস্ট দেখে বলেন উপরের কয়টা দেশে ভিসা ফ্রী সুবিধা দিয়ে আমাদের কাজের কাজ আসলে কিছুটা হবে। ইরাক, উত্তর কোরিয়া, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের চেয়ে আমাদের বিনা ভিসায় যাবার মতো দেশের সংখ্যা বেশি সরকার এই নিয়েই নাকি গর্বিত। কিন্তু এদিকে অতীতে যেই সমস্ত দেশগুলিতে আমাদের অবাধ আসা যাওয়ার দ্বারা কিছুটা হলেও কাজ হতো তারা প্রায় সকলেই একে একে দরোজা বন্ধ করে দিচ্ছে। কোরিয়া, হংকং, সিংগাপুর, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এমনকি শ্রীলংকাও।
পনের ষোল কোটির মানুষের ঘিঞ্জি দেশ, এত মানুষ যাবে কোথায়?বাংলাদেশের নাগরিকদের ব্যাপক হারে দেশের বাইরে যাবার সুযোগ করে দিতে না পারলে এইদেশে এক সময় দম ফেলার মতো পরিস্থিতিও থাকবেনা। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার পরে জন্ম নেয়া মধ্য এশিয়ার নতুন দেশগুলোতে বাংলাদেশের জন্য অপরিসীম সম্ভাবনা রয়েছে, প্রতিটা দেশে আমাদের সুযোগগুলো নিয়ে আসলে আলাদা করে লেখা যায়। যদিও এখন পর্যন্ত শুনিনি কোন সরকারী উদ্যোগের কথা। সুযোগ আফ্রিকাতে আছে, দক্ষিন আমেরিকায় আছে, পূর্ব ইউরোপে এবং পূর্ব এশিয়ায়ও আছে। উন্নত দেশগুলি আমাদের মানুষের মর্যাদা দিতেও দ্বিধা করে করুক, আমরা চাইলে নিজেদের উদ্যোগেই সম্ভাবনাময় দেশগুলোর সাথে একাট্টা হয়ে, পারস্পরিক সহযোগিতার দরোজা খুলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।
আশপাশের অনেক দেশই সেটা করে দেখিয়েছি। শুধু আমরাই কেন নিজেরা নিজেদের মেরেই যাব? আমরা কেন এভাবে বিনা চেষ্টায় মরেই যাব?
মন্তব্য
নেপাল এবং মালয়েশিয়াও অ্যারাইভাল ভিসা দেয়। তবে নেপালে এটা শুধুমাত্র ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট দিয়ে ঢোকার ক্ষেত্রে, আর মালয়েশিয়াতে ব্যবস্থা থাকলেও ওরা নিরুৎসাহিত করে। থাইল্যান্ডেও ব্যবস্থা ছিলো কিন্তু অধিক হারে যেয়ে থেকে যাওয়ার প্রবনণতা রোধে বন্ধ করা হয়েছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই। নেপালের ব্যাপারটা ভুলে গেছিলাম। তবে মালয়েশিয়াতে যতটুকু মনে পড়ে ট্রানজিট ভিসা দিত পাঁচ দিনের, তাও অন্য কোথাও যাবার কনফার্মড টিকেট থাকলে। এখনও কী তাই আছে?
মালয়েশিয়া রিক্সি, ওদের মেজাজ এর উপর নির্ভর করে দেয়। আমি সাহস পাইনা, তবে পরশু ঐ রিক্স নিয়ে যেতে হতে পারে যদি আগামিকাল এখান থেকে ভিসা সংগ্রহ করতে না পারি।
...........................
Every Picture Tells a Story
বুড়াভাইয়ের মঙ্গল হোক, মুশকিল-ফ্যাসাদ দূরে থাকুক
লেখাটা পড়ে আপনার মতোই ক্ষুব্ধ হলাম। পৃথিবী নানা দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, আর আমরা কিছু 'অপার মানসিকতা' নিয়ে বসে আছি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ক্ষুব্ধ হতে হতে শেষ সীমায় চলে গেছি, এর পরে কী আছে জানিনা...
আমি এখন নিউ অর্লিন্সে। একটা কনফারেন্সে এসেছি। কনফারেন্সে শুরু থেকে যেটা খুব চোখে লাগছে তা হলো ডাচদের সরব উপস্থিতি। নেদারল্যান্ডসের সব হোমড়া-চোমড়া লোকজন এখন নিউ অর্লিন্সে। কাহিনী হলো আমেরিকান সরকার নিউ অর্লিন্স এবং আরো অন্যান্য উপকূল রক্ষার জন্য ডাচদের সহায়তা চেয়েছে। ডাচরা যে শুধু এখানেই তাদের মডেল বিক্রি করছে তা নয়, ব্রাজিলের সাও পাওলো থেকে শুরু করে আপনার হো-চি-মিন সিটির জন্যও এদের নকশার প্রেজেন্টেশন দেখলাম। প্রকৃতিকে জয়ের জন্য ডাচদের অত্যাশ্চর্য কাজকারবার দেখে কনফারেন্সে একজন প্রশ্ন করেছিল- ‘তোমাদের এই আশ্চর্য মোটিভেশনের রহস্য কী?’
আমি নিউ অর্লিন্স খুব একটা উপভোগ করছি না (ডাউনটাউন ছাড়া আসলে দেখার মতো কিছু নেই)। কিন্তু ডাচ ভদ্রলোক যে উত্তর দিলেন তার জন্য মনে হচ্ছে এখানে আসা সার্থক। তিনি বললেন- ‘আমাদের দেশের ভৌগলিক যে অবস্থা তাতে পানি অল্প একটু বাড়লেই অর্ধেকের বেশি দেশ ডুবে যাবে। এখন এই ছবি যদি আমরা বিদেশিদের দেখাই, তারা কেউ এখানে বিনিয়োগ করতে আসবে না, তাই আমরা সবাই এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি এবং একে আমরা একটি সুযোগ (opportunity) ও সম্পদ হিসেবে দেখছি’।
নেদারল্যান্ডস প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে নিজেকে মডেল বানিয়ে অন্য দেশে বিক্রির যে কাজটা করছে সরকারের আন্তরিকতা থাকলে এ কাজটা আমরাও করতে বা অন্তত উদ্যোগ নিতে পারতাম। কিন্তু আমরা নিজেদের আরো বিপন্ন দেখিয়ে ভিক্ষার ঝুলি হাতে নিয়ে বের হওয়ার সোজা রাস্তাটা বেছে নিয়েছি। সেই সাথে বিনিয়োগ সব দূরে ঠেলে দেয়া তো বটেই; ২০৭১ সালে বাংলাদেশ ডুবে যাবে এই তথ্য মিডিয়াতে যেভাবে ব্যাপক প্রচার পেয়েছে- তাতে কেই বা এই দেশে বিনিয়োগ করতে আসবে!
এই পোস্টে এত কথা বলছি- কারণ লোকসংখ্যা ও পানি- দু’টোই আসলে খুব মূল্যবান সম্পদ যা আমাদের অঢেল পরিমাণে আছে। কিন্তু দূরদর্শিতার অভাবে আমরা একে বোঝা বানিয়ে ফেলেছি। বিদেশের বাজারে বিপুল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আমরা দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে অদক্ষ করে ফেলে রেখেছি। সহায়তা দূরের কথা বরং সবখানে বাধার সৃষ্টি করছি। আর পানি তো এমনিতেই অনেক মূল্যবান সম্পদ, ঠিকঠাক মতো কাজে লাগাতে পারলে এর অনেক মার্কেটিং ভ্যালুও আছে। যেমন- আম্রিকায় প্লটের পাশেই ওয়াটার ভিউ থাকলে জমির দাম অনেক গুণ বেড়ে যায়, আর আমরা তো সেখানে পুরা দেশই পানির উপ্রে থাকি । ডাচদেরও একই অবস্থা, ওরা পানিকে কাজে লাগিয়ে শহরের সিন-সিনারিই পালটে দিয়েছে।
দেশের সরকারগুলো কী চিন্তাভাবনা করে কিছুই বুঝি না! নেতাদের খেদমত তো অনেক হলো। আর কতো? তবে শুধু নেতাদের দোষ দিয়েই বা লাভ কি। কথায় আছে না- ‘A nation gets leaders what they deserve’- আমাদের খাসলতের জন্য আমরা এইরকম নেতাই পাবো সবসময়। আমাদেরই একজন আমাদের দারিদ্রকে সম্পদ দেখিয়ে ‘গ্রামীন ব্যাংকের’ মডেল তৈরী করে বিভিন্ন দেশে বিক্রি শুরু করেছিল। আমরা তাঁকে ‘রক্তচোষা’ ‘সুদখোর’ ‘মহাজন’ ইত্যাদি ডেকে নিজেদের কাতারে টেনে নামিয়েছি। আমরা এই পৃথিবীতে ল্যাং-টাই শুধু ভালো মারতে পারি এবং অবশ্যই নিজেদের ল্যাংটা করে ।
তানভীর ভাই, আপনি ডাচ যে উপকূল বিশেষজ্ঞের উল্লেখ করলেন, তাঁর নাম কি?
নিছক কৌতূহলবশতঃ জিজ্ঞেস করছি, কেননা বর্তমানে কালের যে দু-চারজন ডাচ ভদ্রলোক এই বিষয়ে দুনিয়া জুড়ে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন, সৌভাগ্যবশতঃ তাঁদের দুজন আমাদের ক্লাস নিয়েছেন! একজনকে তো আমার ইনডাইরেক্ট অ্যাডভাইজারও বলতে পারেন।
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
ভাইজান কি হল্যান্ড-এ? তাহলে দয়া করে আগামী ১৭ এপ্রিল আইন্ডহোভেনে চলে আসেন। বিস্তারিত জানতে আমাকে ইমেল করতে পারেন।
দূর্দান্ত ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ!
আমি গতবছরের শুরুতে ছ'মাস ছিলাম ডেলফট-এ! এখন চলে এসেছি। ইনশাল্লাহ এ বছরের জুলাইতে কয়েকদিনের জন্য যাওয়ার ইচ্ছা আছে, যদি যাই আপনাকে অবশ্যই জানিয়ে যাব!
দাওয়াতটা বস্ ভুলে যেয়েন না!!
========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
সূচীতে নাম দেখলাম- Daniel Goedbloed, Rotterdam Dept. of Water Management.
ধন্যবাদ তানভীর ভাই! নাহ, এনাকে আমি চিনি না......হেহেহে!
=======================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
তানভীর ভাই, অনেক ধন্যবাদ বিশদে মন্তব্য করার জন্যে। তবে এ বিষয়ে আলাদা একটা পোস্ট দিলে আরও ভালো লাগতো। আমাদের কাজ বলে যাওয়া বলে যাই, কোন দিন সুযোগ আসলে করেও দেখাব নির্দ্বিধায়।
তানভীর ভাই,
সেই মডেল বিক্রি কি বন্ধ হয়ে গেছে?
মালয়েশিয়ার প্রসিডেন্ট ড. মাহাথির মোহাম্মদ একবার মালয়েশিয়ায় আমাদের এক্সপোর্ট শো উদ্বোধন করতে এসে বলেছিলেন, তোমাদের এই কার্পেট তো এই দেশে চলবে না। আমি নিজেই ঢাকায় অনেক সুন্দর কার্পেট দেখে এসেছি, আর তোমরা এখানে শো করছ তোমাদের পুরানো কার্পেটগুলো !
লন্ডনে নাকি আমাদের কী এক রোডশো হয়ে গেছে কয়েকদিন আগে, সেই রোডশো কোথায় হয়েছে কেউ আমাকে বলতে পারেনি। এটা নাকি একটা পিকনিক ছাড়া কিছুই ছিল না।
আসলে লজ্জাজনক হলেও সত্যি যে দেশের কথা কেউ তেমন ভাবেনা, রাজনীতিবিদরা তো মারা গেছে অনেক আগেই, ব্যবসায়ী বা অন্যান্য পেশাজীবিরাও নিজ নিজ ধান্ধায় ব্যস্ত।
মালয়েশিয়ার ট্রানজিট ভিসার ব্যাপারে বাজে অভিজ্ঞতা আছে - এয়ার এশিয়াতে দেশে যাব - জাকার্তার মালয়েশিয়ান দুতাবাস বলল ট্রানজিট ভিসা লাগবে লাগবে না - কিন্তু আমরা খবর পেয়েছিলাম ওরা ঝামেলা করে - অনেকের কাছে কয়েকশ ডলার চায়। তাই আমরা ভিসা নিলাম - কিন্তু এখান থেকে দিল সিঙ্গল এন্ট্রি। মালয়েশিয়ায় গিয়ে অনুরোধ করলাম পোর্ট এন্ট্রি ভিসা দিয়ে পার করতে - কারন ভিসাটি আসার সময় ব্যবহার করব। এমন বাজে ব্যবহার করল - যেন আমরা মহা অপরাধ করেছি চেয়ে। আমরা তাদের এম্ব্যাসির তথ্যের কথা উল্লেখ বলে প্রতিবাদ করার পর হুমকি দিল এন্ট্রিই দেবে না। পরে উল্টো সরি টরি বলে ঝামেলা পার হলাম। পোর্ট এন্ট্রি দিল তো নাই আবার ফেরার সময় মালয়েশিয়ার ভিসা নিতে হল ঢাকা থেকে।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
--বাস্তবচিত্র দেশে দেশে আমাদের সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে ভ্রমণে বের হলে।
মামুন ভাই, লেখায় ভার্চুয়াল পাঁচ তারা!
সুপার অফটপিকঃ কোথায় যেন দেখলাম আপনি অনলাইনে দাবা খেলেন? কোথায় খেলেন? চেসডটকমে কি খেলেন? চেসডটকমে ইচ্ছা করলেই কিন্তু জয়েন করতে পারেন। যতখুশী দাবা খেলতে পারবেন।
চেসডটকমের আরেকটা জিনিস আপনার ভাল লাগবে, এখানে 'টিম বাংলাদেশ' নামে একটি টিম আছে। চেসডটকম প্রতিবছর 'ওয়ার্ল্ড কাপ' আয়োজন করে, শখানেক দেশ অংশগ্রহন করে, যাদের একটি হচ্ছে টিম বাংলাদেশ।
এছাড়া টিম বাংলাদেশেও সচলায়তনের মত একটি বন্ধুত্ব্পূর্ন পরিবেশ আছে, দাবা নিয়ে নিয়মিত আলোচনা, আড্ডা হয়ে থাকে। হর্তা-কর্তা কয়েকজনের মধ্যে আমিও একজন আছি। জয়েন করে ফেলতে পারেন, খারাপ লাগবে না!
========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
ধন্যবাদ কা.কা.
জয়েন করে ফেললাম টিম বাংলাদেশে। আমিও ওখানেই খেলতাম আগে অন্য অ্যাকাউন্টে, তবে কোন গ্রুপে জয়েন করেছিলাম বলে মনে পড়ছেনা।
বস, আপনাকে এইমাত্র অ্যাপ্রুভ করলাম! নিজেকে কেমন যেন মডু-মডু মনে হচ্ছে...হেহেহে!
যাই হোক, আপনি ইচ্ছা করলেই কিন্তু তাইওয়ানের পতাকাটা সরিয়ে বাংলাদেশের পতাকাটা লাগিয়ে নিতে পারেন! টিম বাংলাদেশে আমরা সবাই চেষ্টা করি, বাংলাদেশের পতাকাটা রাখতে! আপনার ঠিকানা তাইওয়ান হওয়াতে ওটা অটোমেটিক তাইওয়ানের পতাকা দেখাচ্ছে! আপনি ঠিকানাটা চেঞ্জ করে বাংলাদেশের ঠিকানা দিয়ে দেন, তাইলেই আর অসুবিধা হবে না!
আর, 'অ্যাবাউট মি' তে যেয়ে লিখুন যে, আপনি এখন তাইওয়ান থাকেন!! হাহাহাহা, বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই আমার কথা!
আসেন একটা গেম শুরু করি দুইজনে......
========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
করে নিয়েছি। ধন্যবাদ। কিন্তু আপনাকে খুঁজে পাই কীভাবে?
আমি হো চি মিন দেখিনি। কিন্তু হ্যানয় দেখেই মাথা ঘুরে গেছিল। লজ্জা লেগেছিল নিজেদের কথা ভেবে। আর্থিক দৈন্যতার জন্য নয়। আমাদের নেতাদের মানসিক দৈন্যদশার জন্য। বিদেশী বিনিয়োগে দেশ ভরপুর হয়ে যাচ্ছে বলে আমাদের সরকার মাঝে মাঝে চিৎকার করে, কিন্তু যে বিনিয়োগ আমরা মিলিয়নে গুনছি, ভিয়েতনাম গুনছে বিলিয়নে।
আপনি তাইওয়ানি বিনিয়োগকারীকে নিয়ে যে অবস্থায় পড়েছেন,আমিও এক জাপানি বিনিয়োগকারী নিয়ে সেরকম বেইজ্জতির সম্মুখীন হচ্ছিলাম একবার।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
--তিক্ত অভিজ্ঞতা হলেও লিখুন সে বিষয়ে একটু সময় করে...এসব নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি।
ভিয়েতনাম/মালয়শিয়া/তাইওয়ানের উন্নতি হয়েছে কয়েকদশক ধরে কার্যতএকদলীয় রাষ্ট্রব্যাবস্থায়। এই উন্নতির সময়ে সেখানে শ্বৈরাচার-সিন্ডিকেটই দেশ চালিয়েছে। তারা গণতন্ত্র নিয়ে অত চিল্লাপাল্লা করে নাই, অথবা বাইরে থেকে আমরা সেসব শুনি নাই। এখন তাদের দেশের জেল্লা দেখে আমরা অবাক হই।
যা বলতে চাইছি। আমাদের একমাত্র সমস্যা হল আমাদের গণতন্ত্রের ফলাফল। বারংবার আমাদের গণতন্ত্র বিষফল প্রসব করেছে। সামরিক, বি এন পি, লীগ বা তত্বাবধায়ক, যাই বলেন, এগুলো সবই আমাদের দেশের বিশেষ গণতন্ত্রের ফল।
হল্যান্ড এর পানিসম্পদ নিয়ে দুটো কথা। যা নিয়ে এই দেশটি গর্ব করে, তার কারিগরি উতকর্ষতার পাশাপাশি গত শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়া-সুরিনাম থেকে উপনিবেশিক আয় (মূলধন) আর মাটির তলার বিশাল গ্যাস মজুদ (প্রাকৃতিক সম্পদ) এবং সুদীর্ঘ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা (রাজতন্ত্র) - এই তিনটি জিনিসও অনেকটাই সাহায্য করেছে। এখানের পানি ব্যাবস্থাপনা কার্যত রানীর অধিনস্থ ও জাতীয় সংসদের প্রভাবমুক্ত একটি আলাদা সংস্থা, যেখানে আলাদা নির্বাচন হয় ও যেটি নিজে আলাদা কর আদায় করে।
--ভাইজান একেবারে আমার মনের কথাগুলো বলে দিছেন। এইগুলা আমি অতীতে বন্ধুবান্ধবদের মজলিশে বলতে গিয়েও ধমক খাইছি। কিন্তু আসলে এটা বাস্তবতা, যেই দেশে ৭০% মানুষ গণতন্ত্র বানান জানেনা সেখানে এর কোন সার্থকতা নাই। আমাদের উপ্রে চাপিয়ে দেয়া গণতন্ত্র কান্ধে নিয়ে আমরা আসলে উদ্ভট উটের পীঠেই চড়ে বসেছি।
দেশ থেকে ভিসা পাওয়া মানে আমাদের জন্য আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া - বাইরে এসে দেখি ব্যাপারটাকে কেউ পাত্তাই দেয় না! অবাক দুনিয়া! এত ফারাক করে রাখা কেন? যত পারে কঠিন নিয়ম চাপায় আমাদের উপর
এইটারেই কয় আধুনিক দাস প্রথা। মানুষকে নিজ স্বার্থ রক্ষায় নিয়মের বেড়ি পড়িয়ে গোলাম বানিয়ে রাখা। মানুষের পৃথিবীর সব মানুষের অবাধ চলাচলের নিশ্চয়তা ছাড়া মানবতার মুক্তি অসম্ভব।
পড়লাম। বলার মতো কিছু পাচ্ছি না আসলে। রাগ বা ক্ষোভ বা হতাশা, জানি না অনুভূতিকে এক্ষেত্রে কীভাবে প্রকাশ করা যায়...
মাথার মধ্যে শুধু ঘুরপাক খাচ্ছে-
ধন্যবাদ এরকম একটা পোস্টের জন্য, মামুন ভাই।
তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ অপ্র। ভালো থেকো।
"গত সপ্তাহে দেশ থেকে বোনজামাই এসেছিলেন আমার মেয়েদের দেখতে। ফেরার পথে তার টিকেট নিয়ে জটিলতা দেখা দিল। উনি ভ্রমণ করছিলেন থাই এয়ার এবং বাংলাদেশ বিমান মিলিয়ে। দেখা গেল তাইওয়ান থেকে বাংলাদেশ বিমানের বোর্ডিং পাস মেলেনা, আর ওনার থাইল্যান্ডে রি এন্ট্রি ভিসা না থাকায় ব্যাংকক এয়ারপোর্ট থেকে বোর্ডিং পাস নেবার উপায়ও নেই, যদিও ব্যাংকক থেকেই তিনি তাইওয়ানের ভিসা নিয়ে এসেছিলেন।"
উনি কি ইভা এয়ারে ট্র্যাভেল করেছিলেন ? আমিও একবার এই রুটেই গিয়েছিলাম। যতদূর মনে হয়, বোর্ডিং পাসের জন্য এয়ারপোর্টের বাইরে বের হতে হয় না। ভিতরেই বিমানের অফিস আছে। তবে আমার সমস্যা হয়েছিল অন্য জায়গায়। ফিনিক্স থেকে ব্যাংকক আসার পর বিমানের অফিসার আমাকে হাসিমুখে জানায় আমার নাম ফ্লাইটে নেই আর আমাকে অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষা করতে হবে
সেটা অন্য গল্প। তবে সেটাই ছিল আমার বিমানে বাংলাদেশে শেষ ভ্রমণ।
না, উনি ফ্লাই করছিলেন থাই এয়ারে তাইওয়ান থেকে ব্যাংকক, তারপর ব্যাংকক থেকে ঢাকা বাংলাদেশ বিমানে। সমস্যা হচ্ছিল ওনার কানেক্টিং ফ্লাইট নিয়ে দুই ফ্লাইটের মাঝে প্রায় ১২ ঘন্টার বিরতি থাকায় বোর্ডিং পাস ইমিগ্রেশন ক্রস করে আনতে হতো। সেই ঝামেলায় শেষ পর্যন্ত টিকেটই বাতিল করে নতুন টিকেটে ফিরতে হয় তাকে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর দ্রুত উন্নতির কথা শুনছি আর আমাদের অনবরত পতনের খবর শুনে যাচ্ছি...আপনার মতই রাগ হয়।
হংকং এয়ারপোর্টে বাংলাদেশি পাসপোর্টে অন এরাইভাল ভিসা নিয়েছি কয়েকবার, শুনেছি এখন বন্ধ হয়ে গেছে সেটা। আমাদের সবুজ পাসপোর্টের জাতীয় পরিচয় নিয়ে অন্য দেশের ইমিগ্রেশনের লাইনে দাঁড়ালে আমাদের জাতীয় সম্মানটাও টের পাওয়া যায়।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, এই বছর থেকে তাইওয়ানিজ পাস্পোর্টে ইউকে যেতে ভিসা লাগেনা, সামনে আম্রিকা যেতেও লাগবেনা। তাইওয়ান তো আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত একটা দেশও না। অথচ সঠিক কূটনৈতিক তৎপরতা দিয়ে তাঁরা গোটা বিশ্বের দরজা নিজদের জন্য খুলে নিচ্ছে। আর ৩০ লাখ লোকের জীবন দিয়ে আনা স্বাধীন দেশ দিনকে দিন পশ্চিম তীর আর গাজার মতো একঘরে হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চললে একদিন সুরঙ্গ খুড়ে বাংলাদেশ থেকে বের হতে হবে।
...পনের ষোল কোটির মানুষের ঘিঞ্জি দেশ, এত মানুষ যাবে কোথায়?বাংলাদেশের নাগরিকদের ব্যাপক হারে দেশের বাইরে যাবার সুযোগ করে দিতে না পারলে এইদেশে এক সময় দম ফেলার মতো পরিস্থিতিও থাকবেনা।
..এই হতাশা আজ আমাদের পুরো জাতিকে গ্রাস করেছে। যারা দেবতার ভাষায় আশার কথা লেখে এবং বলে, তারাও ভিতর থেকে বিশ্সাস করে এদেশের কিছু হবে না। ফলস্বরূপ দেবতারা সর খেতে ভূল করেন না।
কিস্তু মানুষের সৃষ্টিশীলতায় কিইনা সম্ভব? তার অসংখ্য উদাহরণ তাদের বলা এবং লেখার ছত্রে ছত্রে থাকে। মাসি-পিসিদের সৃজনশীলতার উদাহরণ আসে, নিজেদের সামর্থ্য বাড়ানোর চেষ্টায় কেউ নামেন না। সকলেই নিরাপদ দূরত্বে থাকেন, যতটা দূরে থাকলে সরের ভাগ থেকে বঞ্চিত হতে না হয়।
মানুষের সৃজনশীলতা বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ করা গেলে, পনের ষোল কোটি মানুষের এই দেশ স্বর্গ হতে পারে, হ্যা স্বর্গ। দম ফেলার পরিস্থিতি না থাকলে দমের বাক্স বানানো যাবে। অচল মাল বাইরে পাঠিয়েই বা কি হচ্ছে? (যদিও এরাই দেশের রেমিটেন্সের মূল যোগানদাতা, যা বেড়ে যেতে পারতো বহুগুন)
'কি করিতে হইবে' আমরা অনেকেই পড়িয়াছি কিন্তু কে করিবে? এই শাসকগোষ্ঠি?
আমাদের সম্ভাবনার শেষ নাই। চামড়া শিল্পের সম্ভাবনাও একইরকমভাবে বিশাল। তা শুধু বিদেশী বিনিয়োগের জন্যই নয়, দেশের ভিতরের উপাদারগুলোর সম্ভাবনাও কম নয়।
...বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
আমার এই লেখায় কেউ কোন বানান ভুল ধরেনা কেনু কেনু কেনু??
বুনো, তিথী আমারে পর করে দিলা নাকি?
হতাশ হইলাম
ওক্কে, তবে তাই হোক:
রপ্তানীমূখী > মুখী
ইন্ডাস্ট্রীতে > ইন্ডাস্ট্রি
ছোট খাট > ছোটোখাটো
স্থাপণের > স্থাপনের
বরংচ > বরঞ্চ
সল্পোন্নত > স্ব
লক্ষীকে > লক্ষ্মীকে
রপ্তানীমূখী > মুখী
মাসীর > মাসির
পীঠ > পিঠ
আত্মঘাতি > আত্মঘাতী
আতংকিত > আতঙ্কিত (অন্যটাও বোধ'য় চলে)
বিশৃংখলা > বিশৃঙ্খলা (অন্যটাও বোধ'য় চলে)
দরোজা > দরজা
আশপাশের অনেক দেশই সেটা করে দেখিয়েছি > দেখিয়েছে
ধন্যবাদ মূলোদা, কয়েকটা ভুল তাড়াহুড়োয় টাইপো আর কয়েকটা আসলেই অজ্ঞতার ফসল। আবারও অনেক ধন্যবাদ। এদিকে আসলে চাউমিন আর স্টিংকি তোফু খাওয়াবো তোমারে
চাউমিন চলতে পারে, কিন্তু কোনো টোফুই খাই না! রামোঃ ঐ জিনিস লোকে খায় কেম্নে?
ঘুমাতে যাচ্ছিলাম, শুনে খিদে পেয়ে গেলো!
মামুন ভাই দারুণ দিয়েছেন, কেমন যেন মাথা ঘুরতেছে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নতুন মন্তব্য করুন