ইদানিং ভারী ভারী সব বিষয়ে মাথা ভার হয়ে থাকে। সমাজ-সংসার, দেশ-জাতি ছাপিয়ে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের নানা টুকিটাকি নিয়ে হাজারো ভাবনা মনের মধ্যে কুটুস কুটুস করে কামড়ায়। জীবনে সুখের উপাদানের কোনো অভাব না থাকলেও অজানা-অচেনা সব বিষণ্ণতা যখন তখন আচমকা আক্রমণে ধরাশায়ী করে ফেলে। এগুলোকে আবার দুঃখবিলাসের তকমা লাগিয়ে চাইলেই ঝেড়ে ফেলা যায় না। অথচ অপেক্ষাকৃত বাজে অবস্থায় থেকেও চারদিকে কত সুখী মানুষ। ভাবছিলাম ভেতরে ঘর-বাড়ি বানিয়ে বসে থাকা এই অসুখ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? পরিচিত একটা মেয়ের কথা মনে পড়লো। আধা জাপানিজ আধা তাইওয়ানিজ মেয়েটিকে চিনি অনেক বছর যাবৎ। জীবনে হেন কোনো দুর্ঘটনা নেই যেটা তার কপালে জোটেনি। অথচ কখনোই তার মুখের হাসিটি ম্লান হতে দেখিনি।
তো একদিন দেখা হতেই ওকে জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা এত উত্থান-পতনের পরেও তুমি এতটা হাসি-খুশি থাকো কীভাবে? চটপটে মেয়েটি ঝটপট করে উত্তর দিলো,- কারণ আমার জীবনে কোনো অনুশোচনা নেই। কী হলে কী হতে পারত, বা এটা কেন হলো, ওটা কেন হলো না, এখন কী হবে?—এজাতীয় চিন্তাকে আমি কোনোদিনই প্রশ্রয় দেই না। যা হবার হয়ে গেছে, আগামীকাল আরেকটা দিন, বেঁচে যখন আছি জীবনকে কড়ায় গণ্ডায় উপভোগ করে যাব। তুমিও যদি মন থেকে নতুন পুরানা সব ধরনের অনুশোচনাকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে পারো তাহলে আমার মতো করে আনন্দে থাকতে পারবে। তবে বড় বড় অনুশোচনাকে তো আর হুট করে ঝেড়ে ফেলতে পারবেনা, তাই ছোটগুলো দিয়ে শুরু করতে পারো। খেদ-আক্ষেপকে বশে আনতে পারলেই দেখবে সুখের রাস্তা পরিষ্কার, বেঁচে থাকাটাও অনেক মসৃণ বলে মনে হবে।
মেয়েটা আসলেই ভাবতে বসালো। এভাবে সাময়িক সুখের পেছনে ছোটার কথা ভাবিনি কোনোদিন। কিন্তু ভাবলাম একবার চেষ্টা করেই দেখি ছোটখাটো অনুতাপগুলোকে টাটা বাই বাই দিয়ে কোনো লাভ হয় কিনা। ব্রেইন স্ক্যান করে দেখি, ঠগ বাছতে গা উজাড় হবার অবস্থা, এত সব রঙ বেরঙের আক্ষেপে মনের উঠোন ভর্তি। বেছে বেছে দুবলা-পাতলা কিন্তু স্মৃতিতে স্থায়ী আসন করে নেয়া একটাকে বের করলাম। সেই ঘটনাই আপনাদের বলছি।
আমি তখন তাইওয়ানে নতুন এসেছি। বিদেশের হালচাল, সামাজিক রীতিনীতি কিছুই তেমন ভালো করে জানা নেই। তাইওয়ানের রাষ্ট্রীয় ভাষা চাইনিজ, ভাষা জানা না থাকলে সব দিক দিয়েই সমস্যা। তো স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশীদের জন্য ভাষা শিক্ষার স্বল্পকালীন একটা কোর্স আছে, খুবই জনপ্রিয়, আবার কাজেও দেয়। খুব আগ্রহ নিয়ে সেখানে ভর্তি হয়ে গেলাম। মাত্র দশ-বারোজন শিক্ষার্থী প্রতি ক্লাসে, আর দুইজন অত্যন্ত আন্তরিক শিক্ষক। প্রথমদিনে ক্লাসে গিয়েই দেখি আমার পাশে বসেছে আগুন গরম এক ধবল সুন্দরী। পরিচয় হলো, আলাপ হলো। জার্মান মেয়ে, খুবই মিশুক আর অন্য দেশ-সংস্কৃতি ইত্যাদির প্রতি তার বিস্তর আগ্রহ। ক্লাস শেষে ফেরার পথে জানলাম সে আবার আমার প্রতিবেশীও। মানে আমি যে অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে থাকি সেখানেই আরেকটি বিল্ডিংয়ে সে থাকে। তবে একলা না, সাথে তার বয় ফ্রেন্ড আছে। যেটা শুনে আমার নিঃসঙ্গ হৃদয়ে ডাল-পালা মেলতে থাকা কিছু গোঁফে তেল জাতীয় ভাবনা ফুট্টুস করে চুপসে গেল। যাই হোক সাগরে মাছ কি আর একটাই? ধরিব মৎস খাইব সুখে—নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে বাড়ি ফিরে আসলাম।
তো একই সাথে সহপাঠী আর প্রতিবেশী হবার কারণে স্যান্ড্রা নামের চমৎকার মেয়েটির সাথে আমার দারুণ একটা বন্ধুত্ব গড়ে উঠল। প্রায়ই আমরা একসাথে নাইট মার্কেটে কেনাকাটা করি, সাগর পাড়ে বেড়াই বা সিনেমা দেখতে যাই। ওর বয়ফ্রেন্ড (নাম মনে নেই, খটমটে জর্মন নাম) এক গোমড়ামুখো ডাক্তার, সে কালে ভদ্রে আমাদের সাথে যোগ দিত। তবে আমাদের বন্ধুত্বের ব্যাপারে তার কোনো আপত্তিও ছিল না। স্যান্ড্রা খুবই প্রাণচঞ্চল মেয়ে, সব সময়েই কিছু না কিছু করার ধান্ধা তার মাথায়। আমার মনে হতো সারাক্ষণ বইয়ে মুখ ডুবিয়ে থাকা বয়ফ্রেণ্ড বেচারা হয়তো স্যান্ড্রার বন্ধু হিসেবে আমাকে পেয়ে কিছুটা হাঁপ ছাড়ার সুযোগ পাচ্ছিল।
আমি তদ্দিনে হাত-টাত, হাড়ি-কুরি পুড়িয়ে অল্পবিস্তর রান্না করতে শিখে গিয়েছি। প্রায় উইকএন্ডেই ওদের দু’জনকে আমন্ত্রণ জানাতাম আমার ফ্ল্যাটে। যা রাঁধতাম তা খেয়েই হৈ চৈ করে প্রশংসা করতো, তবে ঝাল খেতে পারতো না দু’জনের একজনও। এভাবেই চমৎকার ভাবে চলছিল সব। আমি এক সেমিস্টার করেই ভাষাশিক্ষায় দাঁড়ি টানি। স্যান্ড্রা চালিয়ে যাচ্ছিল যদিও। আর আমাদের বন্ধুত্বেও কোন ভাটা পড়েনি সে কারণে। বিপত্তি কিছুটা বাঁধল বয়ফ্রেন্ড বেচারা মাস তিনেকের জরুরি কাজে জার্মানী চলে গেলে। স্যান্ড্রা পারলে এখন পুরো সময়টাই আমার সাথে থাকে। খাওয়ার পরেও চলে যায় না, বরং ঝোলা থেকে ডিভিডি বের করে চালিয়ে দেয়। আমার রাতে বই পড়তে বেশি ভালো লাগতো, কিন্তু ওর টানা হ্যাঁচড়ায় বসে বসে মিউজিক্যাল, ড্রামা ধরনের সিনেমা দেখতে হতো। একদিন লজ্জার মাথা খেয়ে বলেই বসলাম, আমার এইসব ফিল্ম দেখার আগ্রহ কম, ও চাইলে নিজের বাসাতেই দেখতে পারে। বেচারীর রাগ দেখলাম সেই প্রথম, কোনো কথা না বলে ডিভিডি বের করে নিয়ে চলে গেল। এর পরের প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আর আসেনি। আমিও কাজে ব্যস্ত ছিলাম, এই শহরে ঐ শহরে যেতে হচ্ছিল, তাই সেভাবে আর ওকে মিস করিনি।
এর পরের কো্নো এক শনিবারে আমি সময় করে সুপার মার্কেটে গেলাম। অনেকদিন বাসায় রান্না বান্না করা হয় না। আজকে ভালো মন্দ কিছু রেঁধে স্যান্ড্রাকেও আসতে বলব। বাজারে গিয়ে দেখলাম ঠিক আমাদের দেশের রুই মাছের মতো দেখতে একটা মাছ, আগে দেখিনি ওখানে। ঝোঁকের মাথায় বিশাল মাছের প্রায় অর্ধেকটাই কিনে ফেললাম। মুরগী কিনলাম গোটা দুয়েক আর সাথে আনাজ-পাতি যা যা লাগে। কিনে বাসায় এসে দেখি ফ্রিজ নষ্ট। উইকএন্ডে বাড়িওয়ালী থাকে না, ঠিক করার উপায়ও জানা নেই। মহা যন্ত্রণা, এতগুলো বাজারের এখন কী উপায়? স্যান্ড্রাকে ফোন করতেই বললো ওর বাসার ফ্রিজে নিয়ে রাখতে, অনেক জায়গা খালি আছে, সমস্যা হবে না। তাই করলাম। তবে সেরাতে আর রান্নার ঝামেলায় না গিয়ে আমরা বাইরে গেলাম খেতে, খাবার পরে কী একটা অ্যানিমেশন মুভি দেখে মাঝরাতের দিকে যে যার ডেরায় ফিরে আসলাম।
রাত দেড়টা দুইটার দিকে হঠাৎ স্যান্ড্রার ফোন। তার নাকি ওয়াশিং মেশিন নষ্ট। অথচ কাল একটা পার্টি আছে, কিছু কাপড় চোপড় না ধুলেই নয়। কী আর করা, আজকেই তার বাসার ফ্রীজের অর্ধেক দখল করে এসেছি, চক্ষুলজ্জা বলেও তো একটা ব্যাপার আছে। আসতে বললাম আমার ফ্ল্যাটে। একটু পরে কলিং বেলের শব্দে দরজা খুলে দেখি কাপড়ের ঝুড়ি হাতে স্যান্ড্রা। বারান্দার এক কোণে ওয়াশিং মেশিন, দেখিয়ে দিতেই সে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। আমি আবার বসার ঘরে এসে বইয়ে মন দিলাম। কিন্তু মনের মধ্যে খচখচানী—গভীর রাতের জন্য একটু বেশিই ভালো পোশাক পরা মেয়েটা, একটু সাজগোজও বোধ হয় করেছে। কি জানি হয়তো আমার মনই পুলিশ পুলিশ—যুবক বয়সে একলা থাকলে যা হয় আর কি।
মেশিনে কাপড় চড়িয়ে স্যান্ড্রা দেখলাম বারান্দার দরজাটাতে হেলান দিয়ে দাঁড়ালো। চা-কফি কিছু লাগবে কিনা জানতে চাইলাম, না বললো। একটু পরেই কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই খানিকটা ধরা গলায় বলে,-'তোমাকে একটা প্রশ্ন করি? অনেস্ট উত্তর দিতে হবে।’ আমি ভুদাই সেজে বলি, ‘করো, অনেস্ট উত্তরই দেব।’
তারপর বিনামেঘে বজ্রপাতের মতো ধেয়ে আসলো সেই অমোঘ প্রশ্ন, ‘তোমার কি মনে হয় যে আমি সেক্সি?’
এই প্রশ্নের জন্য আমি ঘুনাক্ষরেও প্রস্তুত ছিলাম না। আর এমনই রামছাগল ছিলাম তখন— সেক্সি যে একটা প্রশংসাসূচক শব্দ সেটাও জানা ছিল না। বরং রক্ষণশীল পরিবারে বেড়ে ওঠার কারণে জানতাম সেক্সি একটা মেয়েকে বাজে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়। এমনকি শীর্ষেন্দুর একটা নভেলেও পড়েছিলাম যেখানে একটা পরকীয়া করা মেয়ে প্রসঙ্গে বলা হয়েছিল যে তার চলাফেরা সেক্সি টাইপের। তো আমি থতমত খাওয়া ভেতো বাঙ্গালি আগুনে জার্মান মেয়ের এহেন প্রশ্নের সামনে পড়ে চূড়ান্ত ভদ্রতা দেখাতে গিয়ে বললাম, ‘মোটেও না, কী যে বলো। আমার দৃষ্টিতে তুমি একটুও সেক্সি না। তারচেয়ে তোমার পড়শী ইওলান্ডার চলাফেরা আমার কাছে সেক্সি লাগে।’
আর যাই কই? স্যান্ড্রা চোখের পলকে মেশিন থেকে ভেজা কাপড়গুলো বের করেই দরজার দিকে ছুট লাগালো। যাবার আগে হিসহিসিয়ে বলে গেল, ‘ইউ রিয়েলি নো হাউ টু হার্ট সামওয়ানস ফিলিংস।’
বুঝলাম উত্তর সঠিক হয় নাই। কিন্তু ক্ষতি যা হবার হয়ে গেছে।
স্যান্ড্রার সাথে এর পর আমার আর কোনোদিন দেখা হয়নি। সে নিজে থেকেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। আমার এমন চমৎকার একটা বন্ধুত্বের কী নিদারুণ অপমৃত্যু।
কিন্তু আমার অনুশোচনা মূলত ঐটা নিয়ে না। যে বিষয়টা আজও পোড়ায় সেটা হলো পরের দিন দুপুরে আমার দরজায় স্যান্ড্রার রেখে যাওয়া একটা চিরকুট।
চিরকুটে লেখা ছিল--‘দুঃখিত আমারও ফ্রিজ নষ্ট আজ সকাল থেকে। তোমার ব্যাগভর্তি শপিং গারবেজ বিনে ফেলে আসতে বাধ্য হয়েছি। আবারও দুঃখিত।’
আহারে আমার কতগুলো টাকার টাটকা মাছ-মাংস-শাক-সবজি!
মন্তব্য
হা হা হা। বুঝতেছিনা ভাবী কীভাবে নিবে। "আমার জামাইটা ভদ্র" নাকি "আমার জামাইটা বুকা"?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
বস আপ্নে আমার ভাবির সামনে কীভাবে নিজেকে প্রকাশ করেন জানিনা, তবে আমি আপনার ভাবির সামনে সবসময়েই 'বুকা লুক' হয়ে থাকি। এর ফায়দা বহুবিধ
লেখা পড়ে বুঝলাম আপনার সেক্স কম।
এ কারণেই পৃথিবীর তাবৎ ফরমে আপনে সেক্সের জায়গায় : M লেখেন (M=moderate)
আজ থেকে সেক্সের জায়গায় F (Full) লেখা শুরু করেন। স্যান্ড্রা-ম্যান্ড্রা সব বুকে আয়া পড়বো।
হা হা হা। আপনের কৌতুক বুঝতে আমার ব্যাপক চিন্তা করতে হইল। তয়ে শ্যাষম্যাষ বুইছতাম ফারছি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আপ্নে মিয়া একটা জিনিস।
মিয়া আপ্নে আসলেই চরম লোক্ষারাপ। আমার এতগুলা টাকার মাছ-মাংস জলে গেল , কি একটু আহা উহু করবেন, তা না। আপ্নে আছেন সেক্স নিয়া। দিন রাত মাথায় সেক্স নিয়া কীভাবে এতগুলা পি এইচ ডি করলেন সেইটাই একটা রহস্য!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ভাই আপ্নে তো কঠঠিইইন পুরুষ!
আমার ইচ্ছা করতেসে এই লেখাটা নিয়ে সুনীল গাঙ্গুলিকে দেখাই। ব্যাটা, আমাদের বাঙ্গাল ঠাউরে মার্গারিট দেখাও...
হায় হায় আমার মাছ-মাংস খোয়ানোর দুঃখ দেখি কাউরেই টাচ করতে পারতেছেনা!
শিক্ষণীয় পোস্ট।
আধা জাপানিজ আধা তাইওয়ানিজ মেয়েটার মতো ভাবতে পারলে আসলেই ভালো হতো। কিন্তু বাস্তবে তা মনে হয় সম্ভব হবে না। অনুশোচনা নিয়েই চলতে হবে বাকি জীবন
প্রহরীর শেখার আগ্রহটাও শিক্ষনীয়
বস কি দেখতে মঞ্চায়?
সান্দ্রার থেকে শিক্ষা নিয়া এর পরে জুলিয়া বা নিকোলদের লগে কিভাবে সেই শিক্ষা কামে লাগাইলেন জানার অপেক্ষায় রইলাম
বস আপ্নে লিচ্চয় আগে জন্মে উকিল আছিলেন। আমি যে কত ভাবে নিজেকে লুল্পুরুষদের লিস্টি থেকে আলাদা প্রমাণ করার চেষ্টায় আছি, আর আপনি খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নিকোল, জুলিয়াদের কথা আমার পেট থেকে বের করতে চান
আমার আসলে তখন অ্যানিমেশন আর অ্যাকশন মুভি দেখার একটা ঝোঁক যাচ্ছিল। স্যান্ড্রার বলিউড মার্কা রোনে ধোনেওয়ালা মুভি ভাল্লাগতো না।
হা হা হা - বেশ মজা লাগলো।
অনেক আগে শোনা একটা কৌতুকের কথা মনে হলো। ওই যে এক লোক গেছে ডাক্তারের কাছে, মাথায় হাতুরীর আঘাত লেগে কেটে গেছে... ওইটা। যাহোক, অন্য সময় সেটা নিয়ে আলাপ করা যাবে।
লেখার শুরুটা দেখে আমি ভাবলাম জীবনের গভীর কোন অনুতাপ অনুশোচনার কথা বলবেন - শেষমেষ কী না মাছ-মাংস-শাক-সব্জী! তো এই অনুশোচনা বিদায় করার পরে বেঁচে থাকাটা কি কিছুটা মসৃণ হলো আদৌ ?
এই পাওয়া গেল একজন সত্যিকারের বন্ধু। ব্যথিতের ব্যথা বোঝেন।
অনুশোচনাটা এখনও ছেড়ে গেছে কিনা বুঝতেছিনা, তবে চেষ্টায় আচি
আহা আহা, এইনা হলে বসের পোষ্ট---!!
হাসতে হাসতে চোখে পানি এসে গেল বস।
প্রায় ভুলতে বসা কথাটা আজকে আবার ফিরিয়ে আনি??
চল্লিশ লক্ষ তারা এই লেখাটার কপালে---!!
আনন্দম!!
অনেক ধন্যবাদ বস। তুমি এইভাবে উৎসাহ বলেই তো লিখি হাবিজাবি
থ্রিলিং উত্তেজনায় পড়তে শুরু করে শেষে এমন ধাক্কা খেলাম........গল্পকেও হার মানালো আপনার স্মৃতিচারন।
কিন্তু না কয়ে থাকতে পারলাম না, আপনি লুকটা বেজায় বেরসিক
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
---হা হা । একমত সন্ধানী ভাই
মুখের উপর এই কতাডা কইতে পারসেন, কঠিন মানুষ আপনে!
তয় ইওলান্ডার গল্প চাই আরেকদিন
---ধইজ্জ ধরেন বস। হপে একদিন
এতো গেলো আপনি যখন বোকা ছিলেন তখনকার গল্প... চালাক হওয়ার পরের গল্প বলেন
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
রেনেট ভাইয়ের মত আমিও চালাক হওয়ার পরের গল্প শুনতে চাই
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
চালাক হবার পর তো শাদী করে ফেললাম। তারপর জেবনটা তেজপাতা হয়ে গেল। আরও শুনবি?
হাসতে হাসতে শেষ! আমিও জানতাম না বিষয়টা। অত্যন্ত শিক্ষণীয় পোষ্ট!
===অনন্ত ===
শেখেন ভাই মন দিয়া। আমার মতো ভুল করে মাছ-মাংস হারাইয়েন না
হায়রে, সেক্সি স্যান্ড্রা!
হায়রে, মাছ-মাংস-শাক-সবজি!
---------
|| শব্দশুদ্ধি ||
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হ
বুনো বানান ঠিকাছে?
আমার মন্তব্যের নীচে লিঙ্ক আছে দেখো।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আপনারে সালাম জানায়ে গেলাম
আমার জংলী বোনটা কত্ত ভালু!
হাহাহা
ধন্যবাদ ভ্রম
মামুন ভাই
একমাত্র আমিই আপনার শাক সবজির জন্য সহানুভূতি জানালাম
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রানা,
অনেক ধন্যবাদ। তুমি আর যুধিষ্ঠির না থাকলে আমার এই লেখাটা পুরাই জলে যেত। পোলাপান দেখ সব সেক্সি বিষয় নিয়া ব্যস্ত
হা হা হা ! আপনে তো ভাই গোটাটাই একটা গল্পের ঝুলি ! আপনার আবার এইসব অনুশোচনা কী !
এতো সব অভিজ্ঞতাই তো আপনার বিশাল পুঁজি ! সারাজীবন ভাঙাইয়া খাইতে পারবেন, মানে লিখতে পারবেন।
আপনার তো সবসময় আনন্দে থাকার কথা ! বিরল আনন্দ ! রীতিমতো হিংসে হচ্ছে !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হ রণদা আসলেই আনন্দে আছি। মেয়েদের জ্বালায় খাইতে পারিনা, ঘুমাইতে পারিনা, তবুও আনন্দে আছি
আপনার সাথে অনেকদিন আগের মতো আলাপ করা হয়না। আবার চাল্লু করা দরকার আমাদের লম্বা লম্বা অনলাইন আড্ডা সেশন।
অঃটঃ আসলেই অনেক গল্প জমে আছে, কিন্তু রয়েসয়ে বলাই ভালো
দারুণ জমাট লেখা দোস্ত। মাঝে মাঝে এরকম লেখা দিস। আর তুই যে এত বড় একটা বুকা, তা জানতাম না। কিছু গোপন করিসনি তো?
কিছুই গুফন করিনাইরে পাগলা। এককালে আমি আসলেই বুকা আছিলাম। আসলে এখনও আছি
লেখা খুব ভাল্লাগলো।
ধন্যবাদ কমরেড
ওসব জিজ্ঞেস করতে হয় না ঠাকুর। ধারণা করে নিতে হয়।
আপ্নে মিয়া আর মানুষ হইলেন না। খাড়ান আইতেছি মেলবোর্ন দুই সপ্তাহর মধ্যে, আপ্নারে পার্কে নিয়া মান্দার গাছের সাথে বাইন্ধা রাখুম
এগুলা বাদ্দেন। প্রকৃত গল্ফ বলেন। আমরা কাউরে কমু না ...
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সুমন ভাইয়ের কমেন্ট পড়ে হাসতেই আছি। সঠিক গলফ বলনের কাজটা আপনেই আগে শুরু করেন গুরু, আমরা আছি পিছনে
আপনাকে ভালো মানুষ ভাবতুম, সে ধারনা মিথ্যে নয় দেখছি...
তবে আমি কিন্তু লোক ভালো না, সান্ড্রা বুলকের গল্প পইড়্যা কী যেন মনে আসতেসে... থাক, বললাম না...
_________________________________________
সেরিওজা
--বইলা ফালাও ভাইডি। আমরা আমরাই তো
আমার শিকে ছিড়েনাতো! আমি তো রীতিমত রেড আলার্ট। কোনো রকম ইশারা ইঙ্গিত পাইলেই হয় দিবো ঝাপ।
এই সিরিজ চালু করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। সেই কবে থেকে ধরপাকড় করছি।:D
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হ, রেড অ্যালার্টে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ, চোখের ভাষা বুঝতে হলে তাজা শাক-সবজি বেশি খেতে হয়
--এইটা সিরিজ তা কইলো কেডা?
সিরিজ না!!
কানমু কইলাম
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কি দিয়া শুরু, আর কি দিয়া শেষ!!!
এক দমে পড়লাম। ভাল লাগল। শিক্ষনীয় পোস্ট
ধন্যবাদ বালক। তবে অলস হইলে ছইলত ন
গুরু, লাল সেলাম,
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধন্যবাদ সাইফ। তোমার লেখা কই?
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হ
জমজমাট লেখা
ধন্যবাদ আনন্দী, আনন্দে থাকবেন
মাইর মুইর দেয় নাই?
এইটা একটা ভদ্রলুকিয় পোস্ট... মসজিদে পাঠযোগ্য
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মাইর দিব ক্যান? আমি কি দ্রোহীর মত লুল্পুরুষ?
মামা, ভদ্রলোকীয় পোস্ট কি তোর ভালু লাগেনা?
আমরা এগিলি পড়ি না। আসল গপ্পো করেন। টাটকা মাছ-মাংস-শাক-সবজি নগদ নগদ পাবেন
তানভীর ভাই আফনেও!!
১) স্যান্ড্রার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখলাম
২) "আহারে আমার কতগুলো টাকার টাটকা মাছ-মাংস-শাক-সবজি!"--- প্রজাতির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
৩) প্রথম দুই প্যারা পড়ে আমি নিজেও ভাবতে বসেছি --- কিন্তু তাও অ.প্র. ইদানিং যে ডঃ জিভাগো পড়ছে তা কেনো জানি মনে হলো!!!!
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
১) বর্ষা যা শিখলা তা এখন কাজে লাগাও
২) প্রতিবাদ সভয়ে গৃহিত হৈল
৩) অপ্র যে এখন কোন আসমানে থাকে তা আমি নিজেই মাঝে মাঝে ঠাহর করতে পারিনা
=))
ব্যাপক!!!
আমার কিন্তু শাক সব্জির জন্যই দুঃখ লাগতেছে
দ্রুহীদার জুক্স ব্যাপক পাইলাম
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
আমার পোস্টে দ্রুহীর প্রশংসা ছইলত ন, সে খালি আমার পিছনে লাগে
আহারে, এতগুলি সবজি আর মাছের দুঃখে আমার নিজের আজকে আর গলা দিয়ে ভাত নামবেনা
ধন্যবাদ ভাই হাম্মাদ আলি
মামুন বস, সেরকম মজা লাগলো!
হ, স্যান্ড্রার গল্পে মন ভরে নাই, ইওলান্ডার গল্প শুনবার চাই!
========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
ধইজ্জ ধরেন কা.কা. , হবে একদিন
এই লেখায় মন্তব্য করতে গেলে ফাজলামি করার ইচ্ছে হয় খুবই। কিন্তু সে সব বাদ দিয়ে অন্য একটা কথা বলি। এই লেখাটা এখনো অবধি আমার পড়া মামুন হকের সেরা লেখা। অভিজ্ঞতার ভাঁড়ার সমৃদ্ধ হলে ভালো লেখার বিষয় অনেক থাকে, ফলে আগে সে জাতীয় লেখা পড়ে ভালো লাগলেও সে বাবদ লেখনীর আলাদা করে প্রশংসা করি নি। কিন্তু এই লেখাটার বিষয় মোটামুটি সামান্য (জানি সব্জি-মাছের দুঃখ কম কথা নয়), কিন্তু লেখার স্টাইলের গুণে দারুণ জমে গেছে। এই রকম লেখা আরো আসুক, পড়ার আশায় রইলাম।
--কিন্তু মূলোদা আমার যে তোমার এই সদয় মন্তব্যের শুনে লেখাই ছেড়ে দিতে ইচ্ছে করছে অন্তত আই উইল লিভ অন আ হাই নোট
মূলোদার সাথে গলা মেলাই। জব্বর হয়েছে, লেখাটা।
হায় হায়! এইটা কি শুনাইলেন? এক মাসের বাজার আর আধখানা বাফেলোফিশ গারবেজে ফালায়া দিল, মাইয়াটার কি দিলে দয়া মায়া নাই ?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নতুন মন্তব্য করুন