( লেখাটি বেশ কিছুদিন আগে শুরু করা, নানা ঝামেলায় শেষ করা হয়নি। আজ ফারুক হাসান ভাইয়ের তাগাদায় এক টানে অনেক কথা লিখে ফেললাম।)
ব্যস্ত সমস্ত নার্স ডাক্তারেরা যখন আমার সন্তান সম্ভবা বউকে ট্রলিতে চড়িয়ে অপারেটিং রুমের দিকে চলে গেল, তখন বুকের ভেতরটা আক্ষরিক অর্থেই ছ্যাৎ করে উঠলো। এই দেশের এক অদ্ভুত নিয়ম—লেবার রুমে ডাক্তার, নার্স আর সার্জনরা ছাড়া আর কারও প্রবেশাধিকার নেই। বিজ্ঞান সম্মত আধুনিক দরজাটি মুখের উপরে নিঁখুত ছন্দে বন্ধ হয়ে কাচের দেয়ালের ওপারে ট্রলিতে শোয়া স্ত্রীর হাসিমুখ দেখতে দেখতে আড়াল হলো, আর আমি শূন্য চোখে ওয়েটিং রুমে বসার জায়গা খুঁজে নিলাম। আসলে আমাদের দু’জনের মধ্যেই মানসিক দৃঢ়তা দেখানোর একটা অলিখিত প্রতিযোগিতা চলছিল মনে হয়, দেখা যাক কে কার চেয়ে বেশি শান্ত থাকতে পারে। আমি তাতে গো হারা হেরে উদ্ভ্রান্তের মতো ওয়েটিং রুমের এমাথা ওমাথা করে, লম্বা করিডোরে কয়েক চক্কর হাঁটার পরে লিফট ভুলে খাড়া সিঁড়ি দিয়েই একটানে হাসপাতালের বাইরে চলে গেলাম। হাসপাতাল চত্বর ছাড়া পরেই মনের মধ্যে অযথা কু ডেকে উঠল আর আবার আমি হন্তদন্ত হয়ে সিঁড়ি লিফট সব ঠেঙিয়ে অপারেশন থিয়েটারের কাচের দেয়ালে প্রায় মাথা ঠুকি এমন অবস্থা।
কতটা সময় কেটেছিল জানি না, হয়তো ঘন্টাখানেক হবে বড়জোর। অথচ মনে হচ্ছিল অনন্তকাল ধরে আমি অপেক্ষায় আছি আমার শিশুর কান্না শোনার। ওয়েটিং রুমের নার্সেরা মনিটরে ভেতরে কী হচ্ছে দেখতে পারে, তাদের একজন জানালো সব ঠিকই আছে, ঘাবড়ানোর কোন কারণ নেই। কিন্তু মন যে একেবারেই মানছিল না। একটা পর্যায়ে নিজে থেকেই হাত জড়ো হয়ে আসছিল, মাথা নুয়ে পড়ছিল, আমি চোখ বুঁজে সব কিছু ভালোয় ভালোয় হবার প্রার্থনা করতে শুরু করেছিলাম নিজেরই অজান্তে।
সম্বিত ফিরল একদল নার্সের ত্রস্ত পায়ের চলার আওয়াজে। ঘর্ঘর শব্দে টুকুন দু’টো ট্রলি আসছে আমার দিকে। আমি এক লাফে উঠে দাঁড়িয়ে ওদের কাছে পৌঁছাতে চাইলাম। হাসপাতালের ইতিহাসের প্রথম বিদেশি যমজ , নার্স আর অন্যান্য লোকজনের ভিড়ে কাছে যেতেই পারছিলাম না। ওদের মধ্যে একজন দয়াপরবশ হয়ে চাইনিজে জিজ্ঞেস করলো , ‘ পাপা জায় না লি ( বাবা কোথায়)?’ কিছু বলতে গিয়ে গলা আটকে আসায় বডি ল্যাঙ্গুয়েজই ভরসা, হাত তুলে জানান দিলাম অভাগা বাপ এখানে। ভিড়-ভাট্টা সরিয়ে ট্রলির কাছে গিয়েই দুই হাত দু’টোর উপরে রেখে ঘোর লাগা তাকিয়ে রইলাম (সেই ছবি এখন ইতিহাস হয়ে আছে)। সেই ঘোর এখনও কাটেনি।
মাল্টি টাস্কিংয়ের প্রতি আমার দুর্বলতা বোধহয় জন্মগতই হবে, মানে কখনোই শুধু একটা কাজে মগ্ন থেকে মজা পাইনা। ভাত খেতে বসলে বই খুলে রাখি চোখের সামনে , বই পড়তে বসলে গান ছেড়ে রাখি নিচু শব্দে, অফিসে কাজ করতে করতে সচল হই, ফেসবুকাই... আরও কতো কী! আর সেই আমি সেই প্রথম দেখার ঘোর লাগা মুহূর্তের পর থেকে এখনও দীর্ঘ সময় নির্নিমেষে বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি, দুনিয়ার আর কোন কিছু আমাকে টানেনা, কী দেখি চেয়ে চেয়ে জানিনা, তবুও চোখ সরাতে পারিনা।
যে কথা বলছিলাম—তোয়ালে মোড়ানো ছোট ছোট দুইটা লালচে মাংসের পুটুলি যখন প্রথমবারের মতো দেখলাম তখন ঠিক কী অনুভূতি যে হয়েছিল তা বলতে পারবো না। আমি কি অনুভূতিহীন হয়ে গেছিলাম? না তা নয়...তবে কি হতভম্ব বা আবেগে থরথর ধরনের কিছু?...না সেটাও না। তাহলে কেমন লেগেছিল নিজের সন্তানদের প্রথম দেখার মুহূর্তটিতে? ব্যাখ্যা করতে পারবো না। আসলে এক ঝটকায় এমন সব অচেনা অনুভূতির দুয়ার খুলে গেছিল যেগুলোর অস্তিত্ব সম্পর্কেই আমি জানতাম না। আচ্ছা তবুও একটা চেষ্টা করি। প্রথমে যেটা এসে থাক্কা মারলো সেটা হলো নির্জলা অবিশ্বাস, শকও বলা যেতে পারে। এরা আমাদের, আমার সন্তান! আসলেই আমাদের?? এই ছোট্ট দুটো মানুষ আজ থেকে চিরজীবনের জন্য আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ! এই বাস্তবতার গভীরতা ঠিক বুঝে উঠতে না পারায় পুরো বিষয়টাই কেমন যেন পরাবাস্তব মনে হচ্ছিল। ইচ্ছে করছিল চিমটি কেটে দেখি আসলেই এটা ঘটছে, মানে আমরা বাবা-মা হয়ে গেলাম! দ্বিতীয় যে বিষয়টি মাথায় আসলো সেটি হলো ভয়। অদ্ভুত একটা ভয় ধরানো ভয়। কী বৃত্তান্ত তার ব্যাখ্যা এখনই দিতে পারছি না। হয়তো কোন একদিন পেরে উঠবো। আর সব ছাপিয়ে যে অনুভূতিটা রাজত্ব করে উঠলো সেটা হলো আনন্দ, গর্বমিশ্রিত নিখাদ আনন্দ। সেই আনন্দে এখনো ভাসছি।
তবে আস্তে আস্তে ভেতরে পুষে রাখা অনেকগুলো প্রশ্নের জবাব মিলে যেত শুরু করলো।
ছোটবেলায় আমাদের জ্বালাতনে বাবা প্রায়ই বলতেন , ‘এখনতো কিছু বোঝনা, নিজে বাপ হলে তার পরে বুঝবা কত কষ্ট বাপের’। আমার জন্মের সময় বাবা গ্রামে ছিলেন না। বেশ কিছুদিন পরে খবর পেয়ে হন্তদন্ত হয়ে শহর থেকে ফিরে আসলেন। জোয়ার-ভাটার চক্করে পড়ে সেরাতে তার লঞ্চ গঞ্জের ঘাটে নামলো স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় ঘন্টা চারেক আগে, গভীর রাতে। লঞ্চঘাটে তখন আর কেউ ছিল না। আমার বাবার সাথে সারা মাসের বাজার, নতুন সন্তানের জন্য কিছু কেনাকাটা। অন্য সময় হলে হয়তো ভোর পর্যন্ত অপেক্ষা করতেন গ্রামের অন্য কারুর দেখা মেলার। কিন্তু সদ্যোজাত সন্তানের চেহারা দেখার তর বাবার আর সইছিলনা। তিনি প্রায় আধমন ওজনের বস্তা কাঁধে নিয়ে মাইল চারেক হেঁটে শীতের রাতেও ঘেমে নেয়ে বাড়ি চলে আসলেন। তার প্রায় ৩৫ বছর পরে সেই আমি নিজের সন্তানদের জন্মের দিন কয়েক পরে হাসপাতালের মাইলখানেকের মধ্যেও কোন পার্কিং খুঁজে পাচ্ছিলাম না। হয়তো উইক এন্ড বলেই। অথচ সাথে ব্যাগভর্তি বাচ্চাদের দরকারী জিনিষ পাতি আর ভারী ভারী দুটো কারসিট। অনেক দূরে গাড়ি রেখে প্রচণ্ড গরমে জিনিষ পত্র সব হাতে, পীঠে করে আনতে গয়ে ঘেমে-নেয়ে আমি একসা। বাবার সে রাতের অনুভূতিটা কিছুটা হলেও বুঝে আসলো কি? খুব বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে যে আমি আমার বাবার কষ্টটা কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছি।
মা ও প্রায় একই ধরনের কথা বলতেন। কতো কষ্ট করে আমাদের বড় করেছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। আর আমরা ভাইবোনেরা ভাবতাম কীসব আজগুবি কথা মায়ের, আমরা আবার কষ্ট দিলাম কবে? ক্লিনিক থেকে মেয়েদের নিয়ে বাড়ি ফেরার পরে বুঝলাম আমরা আসলে বাবা-মা হবার প্রাথমিক ব্যাপারগুলোই জানি না। এতদিন সুশিক্ষিত নার্সদের তত্ত্বাবধানে মেয়েরা ছিল, নিজের তেমন কিছু টের পাইনি। ঘরে আনার পর টের পেতে শুরু করলাম যে জীবনের কঠিনতম পরীক্ষার সামনে উপস্থিত হয়েছি। প্রথম রাতটিতে সারারাত কেউ এক বিন্দু ঘুমালাম না, আমরা বাচ্চাদের কান্নাকাটিতে , আর বাচ্চারা সম্পূর্ণ অপরিচিত পরিবেশের অনভ্যস্ততায়। দ্বিতীয় রাতে ঘন্টা দেড়েক ঘুমালাম আমি, স্ত্রী এক মিনিটও না। বাচ্চাদের দেখভাল ঠিকমতো করতে পারছি কি না সেই দুশ্চিন্তার উপরে অনেক পরত পর্দা চড়ালো সামনে কী হবে সেই চিন্তা। দুই দিন দুই রাত অনেক চেষ্টা চরিত্রে পরেও কিছুই যখন বশে আনতে পারছিলাম না, স্ত্রী-কন্যা সমেত আবার ফেরত চলে গেলাম সেই মা ও শিশু ক্লিনিকে। সেখানে আরও সপ্তাহদুয়েক থেকে, ব্যাপার স্যাপার আরেকটু ভালোমতো বুঝে তারপর আবার ওদের বাড়ি ফিরিয়ে এনেছিলাম। দুইটা বাচ্চা নিয়ে দুই দিনের কষ্টেই আমাদের অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছিল, অপারেশনের ধকল স্ত্রী তখনো সেভাবে সামলে উঠতে পারেননি। আর আমরা চারজন পীঠাপিঠি ভাইবোন, আমাদের নিয়ে মায়ের যে কতরাত নির্ঘুম কেটেছে খোদাই জানে। মায়ের তো আশেপাশে পেশাদার নার্স ছিলো না, মা ও শিশু ক্লিনিক ছি্লোনা, তাঁর সত্যিকারের কষ্ট কি আমরা কোনোদিনই সেভাবে বুঝতে পারবো?
তবে পিতৃত্ব সত্যিকারের মতো ধাক্কা দিল কিছুটা যেদিন আয়লাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলাম। ডাক্তার ওর রক্ত পরীক্ষা করতে হবে জানালেন। ছোট্ট আয়লাকে চেপে ধরে পায়ের তলা কেটে টিপে টিপে যখন রক্ত বের করছিলেন তখন ওর ত্রাহিস্বরে কান্না শুনে নিজের চোখেই পানি চলে আসলো। মনে হচ্ছিল...নাহ্ থাক।
আজ অনেক কথা বলে ফেললাম ছবি ব্লগের টোপ দিয়ে। তার চেয়ে কিছু ছবি দেখেন, ফেসবুকের কল্যাণে অনেক ছবিই হয়তো আপনাদের আগেই দেখা। তবে নতুন কিছু দেবার চেষ্টাও করেছি...
প্রথম আয়লা দেখা
দুই বোন এক সাথে
এক মাস পরে দুই বোন
আজ এ পর্যন্তই থাক, কী বলেন?
একটা কথা বলে শেষ করছি, আমাদের প্রতীক্ষার প্রহর শুরু হবার পর থেকে আজ পর্যন্ত সচল পরিবারের প্রতিটি সদস্য যেভাবে আমাকে নানা ভাবে সাহস জুগিয়েছেন, ভরসা দিয়েছেন, শুভকামনা জানিয়েছেন তার কোন প্রতিদান আমার পক্ষে দেয়া সম্ভব না। নিজের ভাই, বন্ধুর মতো সবাই আমাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন, সময়ে-অসময়ে দুশ্চিন্তা দূর করতে এগিয়ে এসেছেন--আমার হৃদয় নিংড়ানো ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাদের সবার প্রতি। আশাকরি আমার মেয়েরাও একদিন বড় হয়ে এই সচলায়তনের পাতাতেই সবাইকে জ্বালিয়ে মারবে, যেমনটা মারছে তাদের বাবা এখন।
সবাইকে আবারও ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
মন্তব্য
উলে উলে, পিচ্চিশ দুটো কি সুইইইইইইইট!!!!
লেখায় আর ছবিতে,
স--ব
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অনেক ধন্যবাদ তিথী
আপনার পিচ্চিগুলো খুবই কিউট। তাদের জীবন অতীব আনন্দময় হোক, আপনাকে অনেক বেশি জ্বালিয়ে দাদু-দাদীকে খুশি করুক এই কামনা করি .
________________________________
বিধিবদ্ধ পঙ্কিলতা।
জীবন বাবু,তাঁর কবিতা।
তৃপ্তিদায়ী আত্মশ্লাঘা।
এবং এ রাতজাগা।
************************************
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সহজীয়া। ভালো থাকবেন।
দুজনকে অনেক আদর। ওদের সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের আনন্দও বৃদ্ধি পেতে থাকুক রোজ।
আপনার লেখা যথারীতি ভালই হয়েছে। লেখায় খুব সুন্দর আবেগ ফুটিয়ে তুলেছেন আপনি।
কৌস্তুভ
ধন্যবাদ কৌস্তভ, আনন্দ আসলেই বাড়ছে। ওরা নানারকমের শব্দ করতে শুরু করে দিয়েছে
দারুণ ব্যাপার। এখন অপেক্ষা করেন কবে এরা প্রথম বাবা বলে ডাকবে।
কৌস্তুভ
সচলে পড়া আমার প্রথম ব্লগ । অসাধারণ বর্ণনা । নিজে ডাক্তার ...অনেক বাবুর জন্ম এবং অনেক বাবার আনন্দ দেখা ...কিন্তু বোঝালেন আপনি কিছুটা।অনেক অনেক আদর দুই রাজকন্যার জন্য
সচলে স্বাগতম বাবুই। আপনার নিজের অভিজ্ঞতাগুলো নিয়েও লিখতে শুরু করে দিতে পারেন...আমরা মনোযোগ দিয়ে পড়বো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
পিচ্চি দুইজনের ছবি আগেই দেখিছিলাম কিন্তু এখন এই লেখার সাথে কেন জানি আর দারুণ লাগছে। মামুন ভাই, বাবাবেলার গল্প আর চাই (তালিয়া)
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
হ, বেলা তো মাত্র শুরু, আরও অনেক গল্প আসবে সামনে
মাশাল্লাহ...
অনেক দোয়া আর কাতুকুতু দিলাম পিচ্চি এষা-আয়লাকে ...
_________________________________________
সেরিওজা
শুকরিয়া সুহানজি
অসাধারণ লেখা আর অনির্বচনীয় অভিজ্ঞতা...উপভোগ করুন জীবনের সেরা উপহার। বাচ্চাদের জন্য অনেক আদর রইল।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ বড় ভাই। ভালো থাকবেন। শিশু পালন পুস্তকাকারে দেখতে চাই। অন্তত একজন খরিদ্দার বাঁধা আপনার
আপনি তো রীতিমতো সন্তানপুরান তৈরি করে ফেলেছেন
একটা কাজ করেন স্যার
মোবাইল দিয়ে হলেও প্রতিদিন দুই মেয়ের একটা করে ছবি তুলে রাখেন
এক সময় এদের বেড়ে উঠার একটা অসাধারণ সিরিজ হয়ে যাবে
আমি এক ভদ্রলোককে চিনি
তার মেয়ের জন্মের প্রথম দিন থেকে চব্বিশ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন একটা করে ছবি তুলেছেন
শুধুই ক্লোজআপ
পরে এই স্টিলগুলা দিয়ে একটা মুভি বানিয়েছেন
অদ্ভুত লাগে দেখতে
একটা মানুষ কীভাবে তিলে তিলে বড়ো হয়
দারুণ একটা আইডিয়া দিলেন লীলেন ভাই। প্রচুর ছবি ইতিমধ্যেই তোলা আছে, তবে দিনতারিখ ছবিতে উল্লেখ করা নাই। আজকে থেকেই শুরু করছি।
অসাধারণ বর্ণনা। আর অনুভূতিটা যে অসাধারণ তা আমিও সাড়ে ছয়মাস আগে টের পেয়েছি ...
এষা আয়লাকে অনেক আদর।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ শামীম ভাই।
বুচি মুচি কুউউউউউচি...আমার না আন্ডুবাবুদের কপালে হাত রাখতে খুব ভাল লাগে। কেন কে জানে...
কে জানে...কপালের লেখন, না যায় খণ্ডন...
এষা-আয়লার জন্য অনেক অনেক আদর রইলো।
আয়লার ঘুমের ছবি দেখে ঝট করে আমার নিজের একটা ছবি ভেসে উঠলো চোখের সামনে।
|| শব্দালাপ ||
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
তোর ছবিটা দেখতে মন চায়...ধন্যবাদ বুনো।
আট বছর আগে আমাদের নিজের অভিজ্ঞতা মনে পড়ে গেল!
এষা, আয়লার দুরন্ত শৈশব হোক!
আপনার অভিজ্ঞতাগুলো পড়তে পেলে ভালো হতো...লিখেছেন কোথাও?
প্রায় সবগুলো ছবিই মনে হয় দেখেছিলাম। লীলেন ভাইয়ের পরামর্শটা আমি বাস্তবায়ন করব ইনশাল্লাহ।
হ দোস্ত, লীলেন ভাইয়ের কথাটা আমারও মনে ধরছে...
সাড়ে ছয়মাস আগের কথা মনে পড়ে গেল।
ধন্যবাদ বেয়াই সাহেব
মাশাল্লাহ অনেক-ই কিউট আর সুইট হয়েছে মেয়ে দুটি আপনার। অনেক অনেক আদর, আর ভালবাসা রইল ওদের জন্য। ইস এত্ত কিউট যে গাল টিপে দিতে ইচ্ছে করছে। আমার হয়ে আপনি একটু দিয়ে দিবেন তো মামুন ভাই।
বাচ্চাদের নিয়ে আরো অনেক অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত আসুক আপনার জীবনে এই কামনায়।
অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
সব বাবাদের অনুভূতিগুলো কি প্রায়ই একই রকম? আমার বউএর ডেলিভারি হয়েছিল পিজিতে আর অপারেশন থিয়েটারের বাইরে আমার অস্থিরতা আর আমার ছেলেকে প্রথম দেখার পর অনুভূতিটা পুরোটাই আপনার মত, আপনি সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পেরেছেন, আমার পক্ষে হয়ত সম্ভব হত না। হ্যাঁ এখন আসলেই বুঝি এই অমোঘ বাণীটার কি মানে - "এখনতো কিছু বোঝনা, নিজে বাপ হলে তার পরে বুঝবা", হ্য়ত একদিন নিজের ছেলেকেও বলব!!
জ্বি ভাই, আপনার অভিজ্ঞতার কথাগুলোও লিখে ফেলতে পারেন একটু চেষ্টা করলে...
আগেই বলসি...গুব্লু দুইটারে কামড়াইতে মঞ্চায়!
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বুঝতেছি তোর পীঠে একটা সাইনবোর্ড ঝুলাইতে হবে, 'বাচ্চারা সাবধান! এ কামড়ায়!!'
আহা, ফুটফুটি দুটোকে দেখে খুব আনন্দ হলো।
আমি যে আমি ফকীর মানুষ, আমারই সংসার করতে ইচ্ছে হয়! ফুটফুটিদের এমন মায়া!
আপনারা খুব সৌভাগ্যবান মা-বাবা, আপনাদের ঘর আলো হোক।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অনেক অনেক ধন্যবাদ তুলিরেখা। সংসার করে ফেলেন , দেখবো পাত্র?
এই লেখা পড়ছি। কমেন্ট করি নাই। আশ্চর্য।
অথচ গুগল ডক্সে লেখা আমার ডায়েরিতে লীলেন্দা'র পদ্ধতি নিয়ে এন্ট্রি আছে।
---------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
মামুন ভাই, লেখা পড়ে হালকা কুয়াশা ঢাকা চোখে লেখায় তারা দাগাইলাম, এই মুহূর্তটা আমার হিসাবে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত ছিল আপনারও হয়ত এমনি হবে।
এখন একটা কঠিন প্রশ্ন করি, বুঝেন কেমনে কোনটা এষা, কোনটা আয়লা? আমার কাছে ২ জনকে একদম একরকম লাগে, আহারে দেবশিশুরা, বড় হয়ে যাইতেছে। আপডেট চাই, আরো ছবি চাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নতুন মন্তব্য করুন