নার্সিসিজম
মূলঃ নাথান লেসলি
শোনেন, হয়তো আপনাদের মনে হইতে পারে যে আমি গাড়ি কেন চালাইনা সেইটার পক্ষে নানা বাহানা হাজির করতেছি—কিন্তু হাঙ্গামা আসলেই ঘটছে, মানে একেবারে বেহুদাই আমি এই সিদ্ধান্ত নেই নাই। অনেক ঝড় ঝাপ্টা যাওনের পরেই গাড়ি চালানো বন্ধ করতে বাধ্য হইছি। প্রথমে গেল আমার গত দুই বছরের প্রেমিকা, যারে কিনা ভাবছিলাম আমার জনম জনমের প্রেম। আমারে একেবারে খাড়ার উপরে রাস্তায় বসাইয়া দিয়া সে চইলা গেল। সে কয় আমাদের মধ্যে নাকি কোন রকমের , কী কয় ঐটারে—যোগাযোগ বা বোঝাপড়া নাই, মানে আমরা নিজেদের মধ্যে তেমন কথা বার্তাই কই না। আমি নাকি তারে বিছানায় শোয়ানোর আগেপিছে আবার কখন কীভাবে তার পায়জামা খুলুম সেইটা ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে কথাই তুলি না। সত্য কথা হইল শোয়ার ঘরে চিৎ কাইত করা ছাড়া তারে আসলেই আমার আর কোন দরকারে লাগেনা,আর এইটা তারে বলার মধ্যে আমি শরম-লজ্জারও কিছু দেখিনা। কিন্তু মেয়েমানুষ সব কিছুরে আজাইরা প্যাঁচায়, বেহুদা নিজের উপরে নিয়া ফালায়। তার কথা হইলো আমি নাকি কথা-বার্তা কইতে চাইনা, পারিনা। আমি কইলাম,'আরে কথা তো কতোই কই, ঐ যে কইলাম তোমার কাপড় খুলতে, তারপর আবার কইলাম তোমার লগে শুইতে আমার আমার কতো মজা লাগে—এগুলাই তো আলাপ-সালাপ।’ কিন্তু সে কয় তার ইচ্ছা করে দরকারী বিষয়ে আলাপ-সালাপ করতে—দুনিয়ার সব হাবিজাবি ,নিজেগো এইটা সেইটা নিয়া সিরিয়াস কথা-বার্তা। মানে সে একসাথে উপরেরটা খাইব,নীচেরটাও কুড়াইব এই ধান্ধা আর কি।
সে কয় আমি নাকি আর দশটা পুরুষলোকের মতো ভাদাইম্যা হইয়া গেছি, সে নিজেও যে বেহুদাই সিরিয়াস, কাইল গেলে পরশু কী হইব এইসব চিন্তায় অস্থির ফালতু আর দশটা মেয়েলোকের মতো সেইটা আর টের পায় না। আরও কয় ডেইলি আমার একই ঘ্যান ঘ্যান শুইনা সে খুব ক্লান্ত, আমি নাকি একই কথা বারবার কই—আমারে ছাইড়া যাইস না কোথাও, আমার লগে থাকলে তোর চিন্তার কিছু নাই। এইটা অবশ্য সত্য কথা। প্রায়ই আমি তারে সারাদিন ধইরা বুঝাইতাম, কেন আমারে ছাইড়া যাওয়া তার ঠিক হইব না। এখন মনে হয় সেই কথা শুনতে শুনতেই তার মাথার ভিতরে আমারে ছাড়ার বিষয়টা পাকাপোক্ত হইছে। মানে পাগলারে সাঁকা নাড়াইতে না কইলে যেমন হয় আর কি। যেমন বাপ-মা ষোল বছরের পোলার কানের কাছে দিন রাইত ঘ্যান ঘ্যান করে—ঐ পোলা, ভুলেও মদ খাবিনা, মেয়েলোকের কাছে যাবিনা। একই কথা বারবার শুইনা পোলার একদিন মনে হয় দেখি একটা ঘুঁটা দিয়া কী আছে ঐ পাড়ে। ফলাফলঃ স্কুলের সব চাইতে খাইস্টা মাইয়াটারে মাল খাওয়াইয়া টাল কইরা কোন ফাঁকাবাড়িতে বা ভ্যান গাড়ির ভিতরে নিয়া উড়াধুরা ঠাপানি। আমার মেয়েমানুষটাও খেয়াল কইরা শুনতো আমি কী কই, তারপর যা কইছি ঠিক তার উল্টাটাই করলো।
এর পর থিকাই আমার গাড়ি চালাইতে আর ভালো লাগেনা। সব দোষ ঐ মাইয়ার। তার নিজের গাড়ি ছিল না, দিন-রাইত সব সময় আমিই তারে এইখানে সেইখানে নিয়া যাইতাম। বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দেওনের বদলে আমি ব্যস্ত থাকতাম তারে বাজার- সদাই করতে নিয়া যাইতে,ডাক্তারের কাছে নিতে বা বাপের বাড়ি আনা-নেওয়া করতে। যাই হোক,মাইয়া আমারে ছাইড়া যাওয়ার পরে আমার আসলেই সময় কাটানি কঠিন হইয়া গেল,কিন্তু গাড়ি নিয়া সারাদিন ঘুরা ফিরা করতেও আমার আর ভালো লাগতো না।
গাড়ি আমি তখনও একেবারে ছাড়ি নাই,কাজে যাইতাম চালাইয়া। কিন্তু সেইটার আর ভালো লাগতেছিল না,কারণ প্রতিবার হাইওয়েতে উঠলেই আর সব গাড়ির হারামজাদা ড্রাইভারেরা আমারে মাইরা ফালাইতে চেষ্টা করতো। আমি তখন খালি বোতল জমাইয়া পাশের সিটে রাখতে শুরু করলাম,যখনই কোন বান্দির পুত ড্রাইভার আমারে পাশ কাটাইয়া যাইত,আমি জানালা নামাইয়া একটা বোতল ঐ শালার গাড়িতে ঢিলা মারতাম। দরকার কী রাস্তায় নাইমা ঝগড়া-ফ্যাসাদ করার?—আমার রাগ লাগতোনা একটুও। আমি শুধু খালি বোতল ঢিলাইতাম চাইর দিকে। মর হারামীর দল! ঢিলাঢিলি আমার কাছে খেলার মতো মজা লাগতো। কিন্তু কয়দিন পরে এইটা আর ভালো লাগতোনা,এক খেলা মানুষের কয়দিন আর মজা লাগে?তাই বিরক্ত হইয়া সেইটাও বন্ধ করলাম।
এর পরে দুইটা কারণে আমি পুরাপুরি রাস্তা ছাড়তে বাধ্য হইলাম। প্রথমে শালার ট্রাফিক পুলিশেরা আউল-ফাউল সব কারণে আমারে জরিমানা করতে শুরু করলো। মনে হয় শালারা জুন মাসটারে আমার জন্য জাতীয় গোয়ামারা মাস হিসাবে ঠিক করছিল। আরে ২৫ মাইল গতির রাস্তায় ৭০ এ চালানো এমন খারাপ আর কী? হউক না এইটা একটা পার্কিং লট। কোন শালায় কইছে যে পার্কিং লটে বুড়া মাতারীগো মতো গাড়ি চালান লাগবো? আমি এক ঠোলারে কইলাম যে, তোমরা ক্যান আমার পিছে পিছে ঘুর? তোমরা মনে হয় আমার এলাকার লোকজন একদম দেখতে পারো না। ঠোলার কাছে আমার কথাগুলান একটুও ভালো লাগলোনা। কইলাম,এইসব বাদ না দিলে আমি আদালতে যামু মানহানি মামলা করতে। পরের দিন আমি আরেকটা নোটিশ পাইলাম—আমার লাইসেন্স বাতিল হইছে। আমি যদিও গাড়ি চালানি থামাইলাম না, শুধু একটু আস্তে চালাইতে শুরু করলাম।
এর পরের ঘটনা হইলো, হঠাৎ কইরা পুরা শহরে এক সাথে রাস্তা-ঘাট কাটাকাটি শুরু হইয়া যাওয়া। জানিনা কোন ধরনের গাধার দল এইসব সিদ্ধান্ত নেয়, সরকারে যারা আছে তাগো সবার মাথায় মনে হয় গোবর ছাড়া আর কিছু নাই। ধরেন ২৭০ নম্বর রাস্তা দিয়া যামু—রাস্তা কাটা, ৭৯ নম্বরেও একই অবস্থা। এমন কি চিপা চাপা দিয়া যাওনের অবস্থাও আর নাই। সব কাইটা ফালাফালা কইরা রাখছে বেকুবের গুষ্টি। আমি চেইতা গিয়া রাস্তা কাটনের ইঞ্জিনিয়ার, মিস্ত্রী তাগো উপরে বোতল ঢিলা মারতে শুরু করলাম। ঢিলা মাইরাই দিতাম টান, কিন্তু সব সময় এইসব ভাঙ্গাচুড়া রাস্তা দিয়া জোরে গাড়ি টাইনা বাইর হওন যাইত না। একবার বোতল কারও গায়ে না পইড়া ঘাসের উপরে গিয়া পড়লো, আর এক মাথামোটা মিস্ত্রী সেইটারে তুইলা নিয়া মারলো আমার দিকে। সামনের কাচটা ভাইঙ্গা চুরমার হইয়া গেল হালার পুতের এক ঢিলে। আমিও গাড়ি চালানি প্রায় ছাড়ান দিলাম।
কিন্তু যেই কারণে আমি কসম-কিরা কাইটা গাড়ি চালানি বাদ দিলাম সেইটা হইলো কাটা রাস্তার খানা-খন্দ,খাবলা খাবলা সুরকি-পাত্থর ছড়াইয়া থাকে পুরা রাস্তায়। শালার যেই রাস্তাতেই যাই একই অবস্থা। ঝাঁকির চোটে একটা শব্দ পর্যন্ত শুনা যায়না, রেডিওতে কী কয় শুনন যায়না, খালি কানে আসে রাস্তা-গাড়ি মিলা ঝালমুড়ি বানানির আওয়াজ। যাউক গা,মাইয়াটা আমারে ছাইড়া যাওনের পরে আমি বাসা বদলাইয়া শহরে চইলা আসলাম। ভাবলাম হয়তো যাতায়াতে একটু সুবিধা হইব। কিন্তু দেখা গেল এখনও আমার কাজে যাইতে সেই দেড় ঘন্টাই লাইগা যায়। ভাবছিলাম কাজে সবার আগে গিয়া লেট মফিজগুলারে নিয়া হাসাহাসি করুম, কিন্তু আমিই আটকা থাকি রাস্তার জ্যামে ঘন্টার পর ঘন্টা। এইসব নিয়া তিতা হইতে হইতে একেবারে মাথা নষ্ট হওনের অবস্থা।
এত কিছুর পরেও গত সপ্তাহ পর্যন্ত আমি গাড়ি চালাইতেছিলাম। তারপর একদিন ট্রান্সপোর্ট অফিসের লোকেরা ফোন কইরা কইলো, আমার গাড়ির নাকি সাস্থ্য খুব খারাপ, ফিটনেস,রোড পারমিট কিছুই নাই। কপাল ভালো হেরা আমার লাইসেন্সের খবর জানতো না, আমি তো ডরে ডরে আছিলাম এই বুঝি জিগায়। তারা আমারে কইলো আমারটা নাকি রোড টেস্টের গাড়ি,যেইখানে সেইখানে ধুমধাম ঢুঁশ মাইরা দেখতো এই জাতের গাড়ির শইলে কদ্দুর ধাক্কা সামলানির ক্ষমতা আছে। আরেক শহর থিকা কাগজ-পত্র দুই নম্বরী কইরা আইনা হারামীর বাচ্চা সেলসম্যান এইটারে আমার ঘাড়ে গছাইয়া দিছে। গোয়ামারা আর কারে কয়!
এতদিনে তাইলে সব বুঝা গেল, শালার আমার কোন দোষই নাই, সব দোষ এই দুই নম্বরী মুড়ির টিনের।
এর পর থিকা আমি গাড়ি চালানি পুরাপুরি বাদ দিছি, ফালাইয়া রাখছি ঐটারে রাস্তার ধারে। মরিচা পইড়া পঁচুক, গলুক, জাহান্নামে যাউক—আমার কিছু যায় আসে না। পাড়ার জাউরা পোলাপান চাইলে মন মতো এইটার গায়ে ঢিলা মারুক, করাত দিয়া কাইটা টুকরা টুকরা করুক, চুরি কইরা নিয়া গিয়া বেইচা কটকটি খাউক,বা ছাঁদের উপরে চইড়া হাগুক—তাইলে আরও ভালো।
আপাতত আমি শুধু ট্রেনেই যাতায়াত করি।
মন্তব্য
অর্ধেক পড়ে পাঁচতারা মারতে নিচে নামলাম। বাকি অর্ধেক পড়ে মন্তব্য করতেসি!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
একদম ফাটাইসেন!! দুর্দান্ত। মূল লেখাটার লিঙ্ক দেওয়া যাবে? অনুবাদটা দারুণ হয়েছে।ক্যামনে কী করলেন একটু শেখার ট্রাই করতাম।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এই নাও লিংক http://www.3ammagazine.com/short_stories/fiction/narcissism/page_1.html
এখন মনের সুখে আমার মুণ্ডুপাত করতে থাক
সব দোষ শুভাবিষদার, তাঁর কথাতেই অনুবাদের টেরাই মারলাম ...
ভাষাটা এমন স্মুথ হইসে! অন্য কোনো ভাবে করলেই এই রসটা ধরা যাইতো না। আপনার অনুবাদের হাত খুলে গেছে মিয়া! এইরকম আরো অনেকগুলা চাই।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আজকে সচলেরা মনে হয় আমারে হাসাইতে হাসাইতে মাইরা ফালানোর তাল করতেছেন!
দারুণ হইছে ভাই! দুর্দান্ত! আসলটা পড়লাম না, পরে পড়ুমনে।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ভাষারীতিটা বেশি ভালো লাগলো। পারফেক্টো
অনুবাদ মনে হয় নাই। পুরাই জশিলা হইছে...
মামা, তুমি মাঝে মইদ্যে এইরম মাল আরো ছাড়ো না ক্যান?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ফাটাফাটি। ভাষাটা জব্বর জমেছে।
এই ধাঁচের অনুবাদ আগে পড়ি নাই, মূল গল্প পড়লে ব্যাপার পুরা বুঝা যাবে মনে হয়।
আসলেই ফাটাফাটি হইসে মামুন বস! এই টাইপের গল্পের এই ভাষাতেই অনুবাদ হওন দরকার! কিছু শব্দচয়ন তো মূল গল্পকে ছাড়িয়ে গেছে! চালিয়ে যান বস!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
চুলচেরা না হইলেও মোটামুটি দড়িচেড়া বিশ্লেষণ করে যে সিদ্ধান্তে আসলাম তা হইল- অনুবাদ দারুণ হইছে। গল্পকারের টোন একদম ঠিকঠাক, স্ল্যাংগুলা মারাত্মক। তবে গল্পের ব্যাপারে একটা প্রশ্ন জাগছে মনে- ব্যাটা এতই আত্মপ্রেমী, বিছানা ছাড়া আর কোনখানে তার মাইয়ারে দরকার নাই ত আবার সারাদিন বেগারের চাকরগিরি করত ক্যান? এটা ত ঠিক আত্মপ্রেমী ভাবের সাথে গেল না। যাউগগা, এর পরের একটু সিরিয়াস ধরনের একখান গল্প ধইরেন ত, ভাল অনুবাদ পাওয়ার সুযোগটা বাড়ুক আমাদের।
নার্সিসিস্ট কাগু-কাগিমা আপ্নেরে তেলাইবো বা আপ্নের কিছু কাম করব। তাও উদ্দেশ্য ছাড়া করবো না। আর হেইডার ঢোল পিডাইবো চল্লিশগুণ।
-----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
ইয়া হাবিবি ...
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অরে আমারে খাইসেরে! কিছুই কওয়ার নাইক্কা! পুরাই জুশ!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মামুন ভাই, আমি মুগ্ধ...
দেখুন মূল গল্পটা তো পড়িনি, কিন্তু এটা নিশ্চিত, এই ভাষারীতিটা অনুবাদের অংশ না- অনুবাদকের দক্ষতা মাত্র। আসলেই দারুণ লেগেছে। আপনার কাছ থেকে নিয়মিত অনুবাদের প্রত্যাশা করি। "আলকেমিস্ট"-এর অনুবাদের চেয়ে আপনার এই গল্পে অনুবাদ বহুগুণে নতুনমাত্রার বলে মনে হলো...
অপেক্ষায় পরবর্তী অনুবাদের।
_________________________________________
সেরিওজা
ফাটাফাটি !!!!
দুর্দান্ত অনুবাদ! কিন্তু নার্সিসিজম-এর চেয়ে গদ্যশৈলীই মুখ্য হয়ে উঠেছে যেন। তোমার অনুবাদের গুণেই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
নার্সিসিস্ট কাগু আর কাগিমা আইয়া পইড়া গেলে হইতো।
-------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
বাহঃ দিলেন তো সবাই মিলে আমার নার্সিসিস্ট দিলটারে চাঙ্গা করে
একদম খাসা একটা রচনা। পুরা আদি অকৃত্রিম। মনেই হয়নি অনুবাদ। পাচতারা।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অসাধারণ! ফাটাফাটি অনুবাদ। অবশ্য অনুবাদ বলে মনে হয় নাই একটুও! আরও আসুক...
দুর্দান্ত অনুবাদ মামুন! মূল রচনার লিঙ্কটা ক্লিক করে দুই চার বাক্য পড়ে মনে হলো ইংরেজীতেও এই লোক আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে যাচ্ছে!
এই লেখাকে অনুবাদ বলা কি ঠিক হল? আপনি তো আপন মনের মাধুরী মিশায়ে করেছেন এই রচনা। মূলানুগ থাকার চেষ্টাও বিশেষ করেন নি। প্রথম কয়েকটা বাক্য মূল লেখার সঙ্গে তুলনা করে বুঝলাম, ভাবানুবাদ বললে হয়ত ঠিক বলা হত।
আচ্ছা ঠিকাছে ভাবানুবাদই সই...অনুবাদ শেখার চেষ্টায় আছি...একদিন হয়ে যাবে আশাকরি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
মামুন আপনার লেখার গুণে খুব-ই ভালো লাগলো তর্জমা। গপ্পটা যদি গাড়িকে কেন্দ্র করে না হত তাহলে হয়তো বোঝাও যেত না এটা বিদেশী গল্পের তর্জমা।
-----------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
অনুবাদ গল্পগুলোর সমস্যা হয় হইলো অনুবাদক পাঠক হিসেবে এতো মুগ্ধ থাকে যে বেয়াদপি করার সাহস করেনা। তাই, 'এই সি.এন.জি যাইবা' হয়ে যায় 'এই যে সি.এন.জি. মহাশয়, যাবেন।'
মামুন ভাই মনে হয় দুইবাবুর ডায়পার একসাথে চেইঞ্জ করে উড়াধুরা মেজাজ খারাপ মুডে লিখেছেন!!! তাই মূল লেখকের প্রতি কোনো মোহ ছিলো না।
নমস্য। অনুবাদ গল্পের কোনো চিহ্ন নাই। আমি সবসময়ই ভাবানুবাদ পছন্দ করি। এইটা কি বলবো!!!! সেরার সেরা অনুবাদ হয়েছে।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
মূল গল্প এবং আপনার অনুবাদ দুটোই পড়লাম। দুর্দান্ত হয়েছে অনুবাদ, পুরো সেবা প্রকাশনী লেভেলের (আমার মতে বাংলা ভাষায় অনুবাদে ওরাই সেরা)।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
উত্তরাধুনিক ভাষা ব্যবহার করছেন দেখি!!!!
ফাডাইয়ালছেন
মামুন ভাই, আপনে যে বস, এটাতো নতুন করে বলার কিছু নাই, মাঝে বেশ অনেকদিন সচলে আসি নাই, তাই বুঝতে পারলাম কি মিস করেছি, আহা! অনুবাদ ভাবানুবাদ নিয়ে দেখলাম বেশ গরম আলোচনা হচ্ছে, এসবের ধারের কাছেও আমি যাবো না, ২ লাইন লেখা ব্লগার হিসাবে আমার সেটা বলা ঠিক হবে না, তবে এটুকু বলতে পারি, এমন মজার লেখা অনেকদিন পড়ি নাই। দারুণ বললে কম বলা হয়। মিয়া কেমনে লিখেন কে জানে? ফাডায়লাইছেন বলা যাইতেছে না, কোপায়লাইছেন ও না, এক্কেবারে কোপায়-ফাডায়-আগুন ধরায় উড়ায় ফালাইছেন।
ছোট্ট একটা সমস্যা, বাক্যের মাঝের কমার পরে কোন ফাঁক নাই কেন ঠিক বুঝলাম না? এইটাকি দেন নাই নাকি আমার কম্পুতে সমস্যা?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
একেই বলে অনুবাদ। অসাধারণ বস।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সদয় মন্তব্যের জন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। উৎসাহ পেয়ে খুব ভালো লাগলো। আমি আসলে পুরাই একটা নার্সিসিস্ট!
হেভী!
বাহ, দারুন!
জোস।
-------------------------------------
জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।
জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।
মূলটা আর পড়মুনা!
এটাই ফাটাফাটি লাগসে!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
নার্সদের সিস্টার ডাকা এক ধরণের নার্সিসিজম...
অনুবাদ নয়, এ অনুসৃজন হয়েছে। অনন্য!
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
অসাধারণ লাগলো, মামুন ভাই!
এইরকম অনুবাদ পড়িনি আগে কখনো। নিজস্ব ভাষার গুণেই যেন ভীষণ শক্তিশালী হয়ে ইঠেছে লেখাটা।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নতুন মন্তব্য করুন