সবুজ বাঘের গ্যাংটক নামের কবিতা পড়ে মনে পড়ল, তাকেই চ্যাটে গল্পটা বলছিলাম। কিন্তু যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ( আমার ধারণা এইটা বাঘ মামার ইচ্ছাকৃত, আমার গল্প শুনে হয়তো তার ঘুম পাচ্ছিল) তিনি বিনা নোটিশেই উধাও হয়ে গেলেন। মামাকে কিচ্ছাটা আর শোনানো হলোনা। তাই ভাবলাম আরোও কতো সহৃদয় বাঘের বাচ্চারা আছেন সচলে তাদেরই শোনাই। ঘুম পেলে মূলোদার আদি রসাত্মক আঁকিবুকিতে ...
*আগের পর্ব পড়ুন এখানে
বৃদ্ধা ছেলেটিকে পথ দেখিয়ে বাড়ীর পেছনের দিকের একটি কামরায় নিয়ে গেলেন , রঙ্গীন পুঁতির তৈরী পর্দা দিয়ে এটি বসার ঘর থেকে আলাদা করা । কামরাটিতে আসবাব বলতে কেবল একটি টেবিল , যীশুখ্রীষ্টের পবিত্র হৃদয়ের একটি দেয়ালচিত্র আর দু’টি চেয়ার।
চেয়ারে বসার পর কোন ভণিতা ছাড়াই ছেলেটির হাত দু’টি নিজের দু’হাতে তুলে নিয়ে ...
ভূমিকাঃ
আমার একটা ডাইরী আছে যেখানে মরার আগে কি কি করে যেতে চাই তার একটা তালিকা বানানো আছে। ঐ খান থেকে ভালো কয়েকটা আপনাগোরে শুনাইঃ-
১। কয়েক লাখ গাছ লাগানো, যাতে মরার আগেই যে পরিমাণ অক্সিজেন বিনষ্ট করছি বাঁচার নামের তামাশায় তার কিছু হইলেও বদলা দিয়ে যেতে পারি
২। বুয়েনেস আইরেসে এস্তাদিও আলবার্তো জ়ে আর্মান্দোতে দিয়েগো মারাদোনার পাশে বসে বোকা জুনিয়রস...
এর আগে এক লেখায় আমার ইংল্যান্ডে যাওয়া-আসার কিচ্ছা শুনিয়েছিলাম আপনাদের। ঐ ট্রিপেই আরেকটি ঘটনার সূত্রপাত হয় যা নিয়ে আজকের এই লেখাটি। সেই সফরে একদিন সকালে বাইরে আমি একা একা বিড়ি টানছি এমন সময় অফিসের বসের খুব কাছের এক স্টাফ সিলভা এসে আমার সাথে যোগ দিল। আমি জানতাম সে শ্রীলংকান কিন্তু খুব একটা আশয়-বিষয় জানা ছিল না। কথা প্রসঙ্গে সিলভা জানালো যে সে তামিল। তামিল ব...
আগের পর্বটি যাদের পড়া হয়নি বা ভুলে গেছেন তারা টিপি দেন এখানে
--------------------------------------------------------------------------
সামিয়া বসেছে গাড়ীর সামনের সীটে, ড্রাইভারের পাশে। রাহেলা পেছনে, তার পাশেই ছোট একটা ঝুড়িতে রানী। তারা যাচ্ছে শুলশানের এক পেট শপে, সামিয়ার পরিচিত এক পশু ডাক্তার ওখানেই বসেন। রানীর প্রথম গাড়ী চড়া, রাহেলার ও। সম্পূর্ন ভিন্ন পরিবেশে খানিকটা ভীত রানী ঘাপটি মেরে পড়ে আছে , হঠা...
চন্দ্র-সূর্য হ্রদের কাহিনী
অনেক কাল আগের কথা। সে সময়ে শাও নামের এক উপজাতি তাইওয়ানের মধ্যাঞ্চলে পাহাড়ী এলাকায় বস বাস করত। উপজাতির লোকজন ভুট্টা, টারো, ধান ইত্যাদির আবাদ করত। মাঝে মাঝে তারা মাছ ধরতে বা শিকার করতেও যেত। তাদের জীবন ছিল বেশ নির্ঝঞ্ঝাট , শান্তিময়।
কোন এক রোদে ঝলমল সকালে, শাও লোকজন যখন মনোযোগ দিয়ে ক্ষেতে-খামারে কাজ করছিল , তখন হ ঠাৎ করে গগনবিদারী শব্দে আকাশ-বাতাস প্রচ...
আমি সারা জীবনে কারো চাকরি করি নাই, কারো বশ্যতাও স্বীকার করি নাই, কিন্তু একজনের কাছে আমি ধরা- সে হইল আমার মা। উনি ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়ছেন, তারপর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় আর লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ হয়নি, কিন্তু বিজ্ঞতা, সমঝদারিতা, সাহস আর বুদ্ধিমত্তায় উনি আমার চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে। আমার মাথায় ছিটে ফোটা যা বুদ্ধি তার সবই আমার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া। আর বেশী বেশী আবেগ, রাগ, ফোৎ করে কাইন্দা ফেল...
অতি প্রয়োজনীয় দ্রষ্টব্যঃ অত্র কাহিনীমালা আগা গোড়াই বানোয়াট, গাজাখুরী বলিলেও মাত্রাতিরিক্ত হইবেনা। ইহার সহিত জীবিত, মৃত বা জীবন্মৃত কোন ব্যক্তি বা স্থান-কাল-পাত্রের কোনই সামঞ্জস্য নাই। দৈবক্রমে কিছু মিলিয়া গেলে উহাকে উইশফুল থিংকিং বলিয়া গন্য করিতে হইবে।
সতর্কবানীঃ যে বা যাহারা অত্র বানোয়াট কিচ্ছার মধ্য হইতে বাস্তবের লেশ মাত্র খুজিয়া ফিরিবেন, বা খোচা খুচি করিবেন তাহাদিগকে...
অচল হয়ে চলে এলুম সচলের আড্ডায়
চোক্ষে মুখে আন্ধার দেখি
পড়ে গেলুম গাড্ডায়
হিংসুক চোখ ওঠে থেকে থেকে টাটিয়ে
এক দিন আমি ও লিখে দেব ফাটিয়ে
কাজ কাম রেখে সব লিখি পড়ে ঝাপিয়ে
আব ঝাব লেখা পড়ে লোকে ওঠে হাপিয়ে
বাঁদরের হাতে তাই দিতে নেই খন্তা
আকামের ধাড়ী সে গো , শান্তির হন্তা।।
সন্ধ্যা থেকেই আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি পড়ছে।
সামিয়া বই মেলা থেকে ফিরেছে একগাদা নতুন বই নিয়ে। সামনের কয়েকটা সপ্তাহ ভালই কাটবে ভাবছিল ও। সামিয়া পড়তে ভালোবাসে , আর ওর পড়ার স্টাইল একটু আলাদা। একসাথে আনেকগুলো বই পড়তে শুরু করে , পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে নিজেই খেই হারিয়ে ফেলে, একটা গল্প আরেকটার মধ্যে মিশে যায়, তখন মাথা ঠান্ডা করে আবার কাহিনীগুলো ঝালিয়ে নিতে হয়...মজাই পায় ও এতে। আজও তাই করছিল, একটা ব...