আজ ২৩ শে জুন পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী রাজনৈতিক দল আওয়ামী (মুসলিম) লীগের জন্মদিন । প্রশ্ন আসতে পারে তাতে হয়েছেটা কি ? যারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন -একাত্তরের যুদ্ধ স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল না বরং ছিল মুক্তিযুদ্ধ কিংবা বাংলাদেশের স্বাধীনতার কোন পটভুমি নেই কিংবা ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরে অসহযোগ পর্যন্ত ইতিহাস অস্বীকার করাতেই যাদের লাভ বা মোহ তাদের জন্য জানা জরুরি না হতে পারে । এমনকি স্বয়ং আওয়ামী লীগ এর কাছেও এর কোন গুরুত্ব নাও থাকতে পারে । বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিশাল ক্যানভাসে আওয়ামী লীগ আর বংবন্ধুকে রেখে নির্মোহ মুল্যায়ন করার মত সেয়ানা কি তারা আজও হয়েছে ?
কিছু দৈনিকে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর খবর আছে বৈকি । কিন্তু কোথাও নেই এর উদ্যোক্তা সিংহপুরুষ ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক , পাকিস্তানের শাসক-শোসক চক্রের বিরুদ্ধে প্রথম সংগঠন 'পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক ইয়ুথলীগ ' প্রতিষ্ঠাতা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম রূপকার সর্বজনাব শামসুল হকের নাম । এমনকি তার প্রতিষ্ঠিত দল আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও নেই তার নাম , গুগল সার্চ দিয়েও পেলাম না কোথাও তার কথা । ঐ সময় যারা ছিলেন উপস্থিত তাদের অনেকেই আজ আমাদের মাঝে নেই । হাতে গোনা যারা রয়েছেন তারাও এক সময় চলে যাবেন কালের নিয়মে । সে সাথে হারিয়ে যাবে একটি নাম -একটি ইতিহাস ।
জয় হবে ক্ষমতা ও কৃতিত্বদখলকারীদের যারা মুছে দিয়েছে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ( বলতে গেলে একক প্রতিষ্ঠাতা ) শামসুল হকের নাম ।
তবে সুর্যোদয় হবেই যদিও আকাশে জমেছে অনেক মেঘ । এমন একদিন অবশ্যই আসবে যখন কেউ না কেউ এগিয়ে আসবেন আবেগ-কল্পনা-পুর্বনির্ধারিত ধারণা-দলীয় বা গোষ্ঠীগত দৃষ্টিভঙ্গি ও আচ্ছন্নতা- নেতা বা দলের প্রতি অন্ধভক্তিবাদ-আত্মমহিমার মোহ ইত্যাদির উর্দ্ধে উঠে নিরংকুশ সত্যের আলোকে প্রামান্য ইতিহাস লিখতে । প্রতীক্ষিত ঐতিহাসিক -গবেষকের জন্য এই অধমের বিনীত প্রয়াস হিসেবে জেনে নেয়া যাক আওয়ামী (মুসলিম ) লীগের জন্মগাথা ।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলে উর্দুভাষী খাজা নাজিম উদ্দিনকে পুর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী (তখন বলা হত প্রধানমন্ত্রী ) নিযুক্ত করা হলে তিনি সোহরাওয়ার্দি সমর্থক সকলকেই বাদ দিয়ে মন্ত্রীসভা গঠন করেন । পুর্ব পাকিস্তানকে ভাল ভাবে কব্জা করার জন্য প্রাদেশিক চীফ সেক্রেটারী নিযুক্ত করা হয় অবাঙ্গালী আজিজ আহমেদ কে । মেজর জেনারেল (পরে ফিলড মার্শাল ) আইয়ুব খান আসেন জিওসি হয়ে । পুর্ব পাকিস্তানের সমস্ত উচ্চপদেই বসিয়ে দেয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানী অথবা ভারত থেকে আগত অবাঙ্গালী আমলাদের । কেন্দ্রে তো বাঙ্গালীদের কোন অস্তিত্বই ছিল না । রাজধানীসহ রাস্ট্রের যাবতীয় সদর দফতর স্থাপন করা হয় পশ্চিম পাকিস্তানে । ফলে ভারত থেকে যে সব পুজিপতি পাকিস্তানে চলে এসেছিল তারা স্বভাবই তাদের পুজির স্বার্থে পশ্চিম পাকিস্তানেই স্থিতিলাভ করে । সব মিলিয়ে পাকিস্তানের জন্মলগ্নেই এটা সুস্পস্ট হয়ে যায় যে , পুর্ব পাকিস্তানকে পশ্চিম পাকিস্তানের সমান মর্যাদা দেয়ার কোন অভিরুচিই পাকিস্তানী শাসিকচক্রের নেই । পুর্ব পাকিস্তানের জনগণের ভয়াবহ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রথমেই এগিয়ে আসে ছাত্র সমাজ । ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারী নিম্নলিখিত ব্যক্তিবর্গের সমন্নয়ে গঠিত হয় পুর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্র লীগ : আহবায়ক
নঈমুদ্দিন আহমেদ ; সদস্য : আবদুর রহমান চোধুরী, শেখ মুজিবুর রহমান , অলি আহাদ প্রমুখ ।
২৫-০২-৪৮ তারিখে ধীরেন দত্ত পাকিস্তান গণপরিষদে রাস্ট্র ভাষা বাংলার দাবী উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী প্রমুখের হাতে নাজেহাল হন । ২৪-৩-৪৮ তারিখে ঢাবি'র সমাবর্তনে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ উর্দুকে একক রাস্ট্র ভাষা করার দৃঢ অঙ্গীকার ঘোষনার করেন এবং বিরুদ্ধবাদীদের কঠোর ভাষায় শাসিয়ে দেন ।
ইতিমধ্যে দক্ষিন টাঙ্গাইল নির্বাচনী কেন্দ্রে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে আসাম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাবেক সভাপতি মওলানা আবুদুল হামিদ খান ভাষানী সরকারী প্রার্ত্থী খুররম কান পন্নী ও অপর দু'জনকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন । কিন্তু এ কে ফজলুল হক , সোহরাওয়ার্দি বা মওলানা ভাসানীর মত কাউকে ক্ষমতার চৌহদ্দীর মধ্যে ঢুকতে দেয়া হবে না -এই চক্রান্েতর বশবর্তী হয়ে নির্বাচনী ক্রটির ধুয়া তুলে নির্বাচনের ফল বাতিল করা হয় এবং ভাষানীকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষনা করা হয় । ওই আসনে ২৬-৪-১৯৪৯ তারিখে পুনঃনির্বাচন দেয়া হয় । এবারে খুররম খান পন্নীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাড়ান তরুন ছাত্রনেতা শামসুল হক । শামসুল হকও বিপুল ভোটাধিক্যে বিজয় লাভ করেন । ভীতসন্ত্রস্ত ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী আর কোন উপনির্বাচন দিতেই সাহস পায় না ।
এমতাবস্থায় পুর্ব পাকিস্তানের সকল সচেতন মানুষ এই অঞ্চলের জনগণের স্বার্থরক্ষার জন্য বিকল্প সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এবং শামসুল হকের উদ্যোগে ২৩ শে জুন ১৯৪৯ তারিখে প্রায় ৩০০ ডেলিগেট ঢাকার রোজ গার্ডেন অডিটোরিয়ামে জমায়েত হন । এ সম্মেলনেই গঠিত হয় পুর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলীম লীগ ( ১৯৫৩ সালে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দলের নাম রাখাা হয় পুর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ ) । এর কর্মকর্তারা ছিলেন : সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাষানী , সহ সভাপতি : আতাউর রহমান খান , আবদুস সালাম খান , আলী আমজাদ খান , আলী আহমদ খান ও শাখাওয়াত হোসেন , সাধারণ সম্পাদক :শামসুল হক , যুগ্ম সম্পাদক : শেখ মুজিবুর রহমান ও খন্দকার মুশতাক আহমদ , সহ সম্পাদক : এ কে এম রফিকুল হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ ইয়ার মোহাম্মদ খান । উল্লেখ্য শেখ মুজিবুর রহমান তখন কারাগারে থাকায় তার পক্ষে এই উদ্যোগে সামিল হওয়া সম্ভবপর ছিল না । সদ্য কারামুক্ত এক ছাত্র নেতার প্রস্তাবক্রমেই তাকে কমিটিতে রাখা হয় ।
পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কোন তত্ পরতা বরদাস্ত করতেই শাসকচক্র প্রস্তত ছিল না বিধায় শামসুল হক ক্ষমতাসীন শাসকচক্রের বিরুদ্ধে সংগঠন করার উদ্যোগ নেয়ায় তাকেও শায়েস্তা করার লক্ষ্যে ১৯৫০ সালে এক নির্বাচনী ট্রায়বুন্যাল গঠন করা হয় এবং তার নির্বাচনও বাতিল করা হয় ।আর আগেই ১৯৪৯ সালের অক্টোবর মাসে জনসভা শেষে এক মিছিল বের করলে মওলানা ভাসানী ও সামসুল হককে গ্রেফতার করা হয় । ১-১-১৯৫০ তারিখে শেখ মুজিবও পুনরায় গ্রেফতার হন ।
দুর্ভাগ্যের বিষয় , পুনপৌনিক নির্যাতন ও নিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে
পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল আওয়ামীলীগের উদ্যোক্তা সিংহপুরুষ শামসুল হক ১৯৫২ সালে কারাগারে আটক অবস্থায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন । (ফলে ১৯৫২ সালেই শেখ মুজিবকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করা হয় । ১৯৫৩ সালে মুকুল সিনেমা হলে আওয়ামী মুসলিম লীগের সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমানকে পুর্নাঙ্গ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয় )
ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়েও শামসুল হককে ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যেত । অতঃপর তিনি কখন , কোথায় , কিভাবে মারা গেছেন -তা কেউই বলতে পারেন না , সম্ভবত তার প্রতিষ্ঠিত দলেরও লোকেরাও না ।
লেখা প্রসঙ্গে: ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আপনার মধ্যে এই 'বদঅভ্যাস' (আপনার মতে) আছে বলে সেটি আমাকে আনন্দিত করেছে। আপনার এই অভ্যাসটাকে আমি অভিনন্দিত করতে চাই। তাতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাঠক হয়তো দূরে সরে যাবে, কিন্তু লেখার ওপর বিশ্বাস জন্মাবে পাঠকের। ফলে পাঠককে ঘুরেফিরে আসতে হবে আপনার কাছেই।ধন্যবাদ @ গৌতম
পত্রিকার জন্য লিখতাম বাসায় (ব্যক্তিগত গ্রন্থাকার সাথে ) বা পত্রিকারে দপ্তরে ( রেফারেন্স রুম সাথে )
কিন্তু এখন লিখছি অফিসে বসে লুকিয়ে
অফিস টের পেলে চাকরির বারটা বাজবে
তাই তথ্যসুত্র , টিকা , নির্ঘন্ট এসব দেবার অভ্যেস থাকলেও সব সময় সম্ভব হয় না সেজন্য দুঃখিতবি দ্র ; আমি আপনার বক্তব্য ঠিকই বুঝেছি
ফোনে আলাপের সময় ইয়ার্কি করেছি
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
"আমার মনে হয় পেছনের সব কথা এখনো সবাই বলেনি। বলার লোকও তো এখন তেমন নাই "একমত
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
পেছনের সব কথা এখনো সবাই বলেনি কিংবা বলেনা।
লেখক আমার সাথে একমত পোষন করেছেন। নিশ্চয়ই তার কোন অপ্রাপ্তির অনুযোগ আমার সাথে মিলে গেছে। আসলে এই তথ্যগুলো আমার জানা হয়ে গিয়েছিলো অনেক আগে। কিন্তু সেই তৈরী হওয়া আগ্রহ তৃপ্ত হতে পারে না আজ অনেক পরে এসেও। আমি এই বিষয়ের গবেষক নই,বিশ্লেষকও নই।তারপরেও একজন পাঠক হিসাবে,পর্যবেক্ষক হিসাবে আমার ভেতরে নড়েচড়ে আমার আরোহিত তথ্য ও পাঠ।নুরুজ্জামান মানিকের এই লেখাটি পড়তে পড়তে মনে এলো এটিও হয়তো সামসুল হকের হারিয়ে যাওয়ার একটি কারণ।কারনটি হলো সামসুল হকের অযোগ্যতা।আমাদের এই অঞ্চলে বিশেষ করে দেশভাগ উত্তর সময়ে যে প্রক্রিয়ায় রাজনীতি ও নেতৃত্বের বিকাশ-বিস্তার ঘটেছে (যার ধারাবাহিকতা আজো বিদ্যমান), তাতে সামসুল হক-তাজউদ্দিন আহমদদের হারিয়ে যাওয়ারইতো কথা।এবং অপ্রিয় হলেও সত্য যে আজো এই সমাজের সর্বত্র সামসুল হকদের সরিয়ে দিয়েই নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। আমরা এখনো দেশপ্রেম মাপি গলার আওয়াজ দিয়ে।ডেডিকেশন মাপি বহরের জৌলুস দেখে।
লেখককে অনুরোধ করবো এই বিষয়ে তথ্যসমৃদ্ধ আরো পোস্ট দেয়ার জন্য।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
@আহমেদুর রশীদ
পেছনের সব কথা এখনো সবাই বলেনি কিংবা বলেনা।
লেখক আমার সাথে একমত পোষন করেছেন। নিশ্চয়ই তার কোন অপ্রাপ্তির অনুযোগ আমার সাথে মিলে গেছে।ঠিকই ধরেছেন
আরে আমারও ত' সে কাঁচা বয়সেই
কিন্তু সেই তৈরী হওয়া আগ্রহ তৃপ্ত হতে পারে না আজ অনেক পরে এসেও।একদম মনের কথা
আমিও তা' নই
আমার পাঠ বা জানা শেয়ার করি মাত্র
তারপরেও একজন পাঠক হিসাবে,পর্যবেক্ষক হিসাবে আমার ভেতরে নড়েচড়ে আমার আরোহিত তথ্য ও পাঠ।নুরুজ্জামান মানিকের এই লেখাটি পড়তে পড়তে মনে এলো এটিও হয়তো সামসুল হকের হারিয়ে যাওয়ার একটি কারণ।কারনটি হলো সামসুল হকের অযোগ্যতা।বিশদ ব্যাখ্যা কি করা যায়
দ্বিমত করার কারন দেখি না
লেখককে অনুরোধ করবো এই বিষয়ে তথ্যসমৃদ্ধ আরো পোস্ট দেয়ার জন্য।অনুরোধ না করলেও লিখব
কেউ না পড়লেও লিখব
০ রেটিং পেলেও লিখব
লিখেই যাব আমাদের স্বাধীনতা আর মুক্তির লড়াকু আর চিন্তকদের কথা
চালিয়ে যাব আমার সিরিজ
স্বাধীনতার নেপথ্যের ইতিহাসঃ আমরা যাদের ভুলে গেছি
আর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখা
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
রেটিং কি? ঐটা কেমনে কি করে?
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
রেটিং কি? ঐটা কেমনে কি করে?এটা ত' আমিও বুঝপার পারি নাই
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
মন্তব্য
Appretiable writing, thank you Mr. Manik for your efforts. We are realy sorry that being as the oldest & biggest political party of Bangladesh, Awameleage has not any written histry on which we can rely.
Shafiq, Dhaka.
Thanks Mr Shafiq for your kind appreciation.
Agree with your comment "We are realy sorry that being as the oldest & biggest political party of Bangladesh, Awameleage has not any written histry on which we can rely."
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
এই-ই সত্য এই-ই ইতিহাস। সব বিপ্লবই প্রথমে মারা যায় সত্য।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
হক কথা।তবে তথ্যসূত্র দিলে ভালো হতো।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
টুটুল ভাই
পত্রিকায় নিবন্ধ/কলাম লেখার পুরনো অভ্যেস (প্রায় দেড় যুগ ) আর সেখানে তথ্যসুত্র চাওয়া হয় না , দেওয়াও হয় না । ফারুকের মতে "দৈনিকে সাধারণত তথ্যসূত্র আশা করা হয় না, পাঠক দূরে সরবে ভেবে।" এই দেখুন গতকাল এই বিষয়ে সমকালে দুটো লেখা এসেছে এবং সত্য মিথ্যা মিশানো কিন্তু তথ্যসুত্র এর বালাই নেই । সচলায়তন এ না এলে এই লেখাও যেত ঐ দৈনিকগুলোতেই কিন্তু এখন আমার সব লেখাজোখা আগে দেই এখানে ।
আমার কিন্তু তথ্যসুত্র , টিকা , নিঘন্ট এসব দেবার কিছুটা বদঅভ্যেস আছে বৈকি কিন্তু আমারও ভয় দেহ এর চেয়ে বড় লেজ দেখে না জানি পাঠক দূরে সরে যায় ।
ধন্যবাদ ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
সংগ্রহে থাকলে তথ্য সুত্র যোগ করে দিয়েন লেখায় ।
আমি নিশ্চিত নেটের পাঠক দূরে সরে যাবেনা ( এ প্রেম কাগুজে প্রেমের মতো বেশী বড় নয় মালুম হয় )
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মাঝখানে প্রথম আলোতে কিছু লেখা পড়লাম- বিখ্যাত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের নিয়ে। লেখক এমনভাবে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেছেন যে, মনে হলো তিনি নিজেই এগুলো তৈরি করেছেন কিংবা আবিষ্কার করেছেন। বিরক্ত লাগলেও পড়ে গেলাম, একসময় আবিষ্কার করলাম- দু'একটা জায়গায় ভুলও আছে। পরে লেখক এবং সংশ্লিষ্ট পাতার একজন কর্মরত কর্মীকে জিজ্ঞেস করে জানলাম- তারা তথ্যসূত্র দেওয়াতে বিশ্বাসী না।
তথ্যসূত্র দেওয়ার অভ্যাসটা জরুরি। না হলে মূল লেখকের বা তথ্য আবিষ্কারকের কৃতিত্বকে খাটো করা হয়। আপনার তথ্যসূত্র দেওয়ার 'বদঅভ্যেস' আছে জেনে ভালো লাগলো।
লেখা প্রসঙ্গে: ভালো লেগেছে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আসলে আমি লেখার গুরুত্ব বিবেচনা করেই তথ্য সূত্র দিতে বলেছিলাম।আমার মনে হয় এতে লেখকের সাথে পাঠকদের সংলগ্নতা আরো বাড়তো।
তথ্যসূত্র হিসাবে এখানে আসতে পারে,১.আবুল মনসুর আহমদের 'আমার দেখা রাজনীতির পন্চাশ বছর', ২.আবুল কালাম শামসুদ্দিনের 'স্মৃতি কথা' ইত্যাদি।
তবে আমার মনে হয় পেছনের সব কথা এখনো সবাই বলেনি।বলার লোকও তো এখন তেমন নাই।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
যথার্থ বলেছেন "সত্য"ই এদেশে সবচেয়ে বড় "শহিদ"
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
অনেক না জানা কথা জানলাম । ধন্যবাদ লেখককে এত সুন্দর একটি লেখা উপহার দেবার জন্য ।
অনেক না জানা কথা জানলাম। ধন্যবাদ লেখককে এত সুন্দর একটি লেখা উপহার দেবার জন্য।
- লাইঠেল
ধন্যবাদ @ লাইঠেল
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
থ্যাঙ্কস মানিক ভাই... জানা হলো অনেক কিছু... তবে সূত্র দিলে ভালো হতো আরেক্টু।
আর দুঃখ এখন এসবে হয়না। অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শুধু কি তাই? একই দিনে লর্ড ক্লাইভের হাতে বাংলা পরাধীন হয়েছিল। ভুলে গেছি, সব ভুলে গেছি...
হা, প্রহসন মুলুক যুদ্ধে তা' হয়েছিল
নবাব সিরাজউদ্দোলা ভুল করে বিশ্বাস করেছিলেন মীরজাফর আলি খাঁ কে
যেমন বংবন্ধূ বিশ্বাস করেছিলেন খন্দকার মোশতাক কে
কর্নেল তাহের (ও জাসদ ) ভুল করে বিশ্বাস করেছিলেন জিয়াকে
আর জিয়া এরশাদকে
ভুল সবই ভুল
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নজরুল ভাই
তথ্যসুত্র এর ব্যাপারে আহমেদ রশিদের মন্তব্যের জবাব দিয়েছি দেইখেন
হা, আর দুঃখ এখন এসবে হয়না। অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
@আহমেদুর রশিদ , নজরুল , হাসান মোরশেদ প্রমুখ
১। বর্তমান ব্লগে উল্লেখিত প্রতিটি তথ্যের বিপরীতে একাধিক সুত্র (গ্রন্থ -লিঙ্ক-দলিল ) আছে
আমার নিজের ব্যক্তিগত সংগ্রহও খারাপ না
আর সেসব সুত্র -টিকা-নির্ঘন্ট যুক্ত করলে
দেহ (ব্লগ ) এর চেয়ে লেজ বড় হবে নিশ্চিত
তাতে নেটের পাঠক হয়ত দুরে সরে যাবে না
কিন্তু দৃষ্টিকটু হবে বৈকি
২। আমার মনে হয়
প্রায় সব তথ্যের সাথে পাঠকগণ পরিচিত
কেবলমাত্র আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা শামুসল হক প্রসঙ্গ ছাড়া
৩ । আমার ব্লগের ভুমিকাতেই বলা আছে
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
মানিক ভাই, বোধহয় আমার কথাটা বুঝাতে পারি নি।
এই লেখায় আপনি তথ্যসূত্র দেন নি। আমি সেটা নিয়ে কথা বলি নি। অনেক লেখকই লেখার শেষে তথ্যসূত্র দেন না। ফলে সেখানে যে তথ্যগুলো আছে, সেগুলো নিজের সংগ্রহ করা, নাকি অন্য কোথাও থেকে নিয়েছেন, তা বোঝা যায় না। আবার কিছু কিছু তথ্য আছে যেগুলোর সূত্র প্রদান অর্থহীন। আপনার লেখাটি তেমনই। এখানে যা লেখা হয়েছে অধিকাংশ তথ্যই পাঠকের জানা, বহুল চর্চিত। ফলে এখানে তথ্যসূত্র দেওয়ার প্রয়োজনীয়তাটা জোরালো নয়।
[quote=আমার কিন্তু তথ্যসুত্র , টিকা , নিঘন্ট এসব দেবার কিছুটা বদঅভ্যেস আছে বৈকি কিন্তু আমারও ভয় দেহ এর চেয়ে বড় লেজ দেখে না জানি পাঠক দূরে সরে যায় ।
আমি মন্তব্য করেছিলাম আপনার এই মন্তব্যটির সূত্র ধরেই। অনেক লেখক আছেন, তথ্যসূত্র যে দিতে হয়, সেটি সম্পর্কেই সচেতন না। আপনার মধ্যে এই 'বদঅভ্যাস' (আপনার মতে) আছে বলে সেটি আমাকে আনন্দিত করেছে। আপনার এই অভ্যাসটাকে আমি অভিনন্দিত করতে চাই। তাতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাঠক হয়তো দূরে সরে যাবে, কিন্তু লেখার ওপর বিশ্বাস জন্মাবে পাঠকের। ফলে পাঠককে ঘুরেফিরে আসতে হবে আপনার কাছেই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ