[প্রথম কিস্তি]
[দ্বিতীয় কিস্তি]
[তৃতীয় কিস্তি]
[চতুর্থ কিস্তি]
“স্যার, কাজটা কি ঠিক হলো?”
“কোন কাজের কথা বলছেন?”
“এই যে সামাদ সাহেবকে পুলিশে দিয়ে দিলেন।”
“ঠিক হবেনা কেন? অন্যায় করেছে, তার শাস্তি সে পাবে। এইতো।”
“অন্যায়ের শাস্তি দেবার স্যার আপনি কে?”
“কে মানে? আমি অফিসের মাথা। এই দায়িত্ব আমার উপরেই তো পড়ে।”
“সামাদ সাহেব একবার আপনার একটা বিরাট উপকার করেছিলেন। সেই উপকারের প্রতিদান আপনি দেননি। তার বদলে তাকে জেলে ঢুকিয়ে দিলেন।”
“এখানে উপকারের কথা কেন আসছে? অপরাধ করেছে, শাস্তি পাবে। এইতো। এর সাথে উপকারের কোন সম্পর্ক নেই। আর সে আমার কি উপকার করেছে?”
“এরই মাঝে ভুলে গেলেন স্যার?”
“কি ভুলে গেছি?”
“মানুষ বড় বিস্মৃতিপরায়ন প্রজাতি স্যার। এদের হিংসাও বেশী। আপনাদের হিংসা এতো বেশী কেন স্যার? সামাদ সাহেবকে যে কোন সুযোগ দিলেন না, তার পেছনে কি আপনার তীব্র হিংসা আর ঈর্ষা ছিলোনা?”
“বাজে কথা বলবেন না তো। আপনি এখান থেকে যান। আমার অনেক কাজ। আর শুনুন, আমার ভেতর কোন হিংসা টিংসা কাজ করেনি। অপরাধীকে শাস্তি দিয়েছি। ব্যাস। আর কিছু না। আপনি এখন যান।”
“স্যার, আমি এখান থেকে যাবোনা। আপনি যাবেন। এলাকাটা আমার। আপনি বোধহয় খেয়াল করেননি।”
রহমান সাহেব চারপাশে তাকিয়ে দেখলেন। তিনি বসে আছেন ডাষ্টবিনে। সেখানেই তার টেবিল চেয়ার বসানো। রহমান সাহেব খুবই হতাশ হলেন। একসময় বললেন, “আপনার আর কি কিছু বলার আছে? আমি যাবো। আমার কাজ আছে।”
“আপনি তো স্যার যেতেও পারবেন না। আপনার পা নেই স্যার।”
রহমান সাহেব পায়ের দিকে তাকিয়ে রইলেন কিছুক্ষন। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, তার নিজের পায়ের জায়গায় কাকের পায়ের মতো কাঠি কাঠি দুটো পা। এই পা দিয়ে মানুষের পক্ষে হাঁটা সম্ভব না। পায়ে আবার আঙ্গুল দেখা যাচ্ছে। আঙ্গুলগুলোও পাখির আঙ্গুলের মতো।
“স্যার, এবার কি আমি কথা বলতে পারি?”
“বলুন।”
“আপনাদের, মানুষের মাঝে এতো হিংসা কেন?”
“ক্রমাগত বাজে কথা বলেই যাচ্ছেন। কারনটা কি বলুনতো? মানুষ মোটেই হিংসাপ্রবন প্রানী না। মহামতি বুদ্ধের নাম শুনেছেন? তিনি অহিংসের নীতি প্রচার করেছেন। শুধু মানুষই পারে অহিংস হতে।”
“ভুল বললেন স্যার। মানুষ অহিংস না। তাই যদি হতো তাহলে আলাদা করে অহিংসের নীতি প্রচার করার প্রয়োজন ছিলোনা।।”
“আপনি তো দেখি বেশ জ্ঞান কপচাচ্ছেন। চুপ করুন । আমি আপনার জ্ঞান শুনতে চাচ্ছিনা।”
“কী শুনবেন স্যার? তাহলে অন্য কথা বলি?”
“চুপ। একদম চুপ। হারামজাদা কাক। দূরে যা।”
“স্যার, তুই তোকারি করছেন। গালাগালিও করছেন। কারন কী স্যার?”
“তোকে সন্মান দিয়ে কথা বলতে হবে? অনেক সন্মান দিয়েছি। তুই যা।”
“কেন স্যার? আমাদের সন্মান দেয়া যায়না? আমরা কি স্যার মানুষের চেয়ে কম জ্ঞানী ভেবেছেন?”
“কাকের জ্ঞান, শিয়ালের শিং। যত্তোসব।”
“আমরা স্যার আপনাদের চেয়ে অনেক জ্ঞানী।”
“শালা একদম চুপ। কোন কথা না। ”
“আমাকে তো স্যার চুপ করলে হবেনা। আপনি আমার কথা বিশ্বাস করছেন না। আমরা আসলেই মানুষের চেয়ে অনেক বেশি জ্ঞানী। আমরা একজনের জ্ঞান আরেকজনকে সরাসরি দিয়ে দিতে পারি। মাঝখানে কোন মাধ্যমের প্রয়োজন হয়না। আর আপনাদের মাধ্যমের প্রয়োজন হয়। কাগজ কলম লাগে। এই জ্ঞান আবার হারিয়েও যায়। আগের দিনের মানুষ তো বেদম বোকা ছিলো। পাথরে খোদাই করে লিখতো। কাহ কাহ কাহ...”
“এমন বিশ্রী শব্দ করছো কেন?”
“হাসছি স্যার। মানুষের বোকামীতে হাসছি। আপনি স্যার তুই থেকে তুমিতে চলে এসেছেন। শুনে ভালো লাগছে। বোধহয় আমার কথা আপনার বিশ্বাস হওয়া শুরু হয়েছে। কাহ কাহ কাহ... সেই আদিম দুনিয়া থেকে আমাদের জ্ঞানার্জন শুরু হয়েছে, এখনো চলছে। আপনাদের মতোই। পার্থক্য হলো আপনারা অনেক কিছুই হারিয়ে ফেলেছেন। ভুলে গেছেন। আমাদের সবই মনে আছে। আগের দিনগুলোর কথা আপনারা কতো কষ্ট করে এখন জানার চেষ্টা করেন। কাহ কাহ কাহ... আমরা স্যার একজন আরেকজনকে জ্ঞান দিয়ে দেই। হিংসা করিনা। আর আপনারা? জ্ঞান দেয়া তো দূরের কথা, কেউ কিছু দিলে সেটা স্বীকার পর্যন্ত করেন না। এই জ্ঞান দিয়ে তৈরী করেন স্বজাতি মারার যন্ত্রপাতি। ”
“তোমরা মোটেই জ্ঞানী কোন প্রজাতি না। বোকা, খুব বোকা একটা প্রজাতি। নিজের ডিম মনে করে কোকিলের ডিম ফোটাও। সেই বাচ্চাকে আবার ঊড়তেও শেখাও।”
“ভুল বললেন স্যার। আমরা কিন্তু টের পাই কোনটা কার ডিম। আসলে স্যার, কোকিল খুব অস্থির প্রকৃতির। এরা বাসা বানাতে পারেনা। ডিমে তা দেবার ধৈর্য্য এদের নেই। তাই আমাদের স্ত্রী কাকেরা ওদের ডিমে তা দেয়। নাহলে তো স্যার ওদের পুরো প্রজাতিটাই উধাও হয়ে যাবে। চোখের সামনে কি তাই হতে দেয়া যায় স্যার?”
“চুপ করো। তোমার কথা শুনে মাথা ধরে যাচ্ছে। বেশি বেশি জ্ঞানের কথা হয়ে যাচ্ছে। ফালতু জ্ঞানের কথা। এবার আমি যাবো।”
“জ্ঞান হলো জ্ঞান। এর মধ্যে আবার ফালতু কি? আর আপনি এখন যাবেন না। আমার কথা এখনো শেষ হয়নি।”
“আরো কথা আছে? তোমার কথা তো কথা না। বাজে কথা।”
“যা আপনি ভাবেন স্যার। আপনি স্যার সামাদ সাহেবের প্রতি কোন কৃতজ্ঞতা দেখালেন না। খুব বড় একটা অন্যায় করেছেন। আর ওদিকে আমার বাচ্চারাও খুব সমস্যায় আছে স্যার। আশেপাশে বিশাল বিশাল চিল উড়ে বেড়ায়। খুব ভয়ে আছি স্যার। কখন চিল ধরে বাচ্চাগুলোকে খেয়ে ফেলে। ওদের মা ওদের ছেড়ে বেশীদূর যেতে পারেনা। আমার বাচ্চাদের নিরাপত্তার দিকটা স্যার আপনাকেই দেখতে হবে।”
“কাকের বাচ্চার নিরাপত্তা দেবো আমি? হা হাহ হা হা। ভালো বলেছো। এসব উদ্ভট কথা বলতে খারাপ লাগেনা?”
“স্যার, একটু বোঝার চেষ্টা করুন। আমার পরিবারের সামনে এখন সমূহ বিপদ। আপনি চাইলেই ওদের বাঁচাতে পারেন।”
“উলটাপালটা কথা বন্ধ। shut up.”
“স্যার, প্লীজ স্যার।”
“যাহ। হুস...হুসস...যাহ...।”
প্রচন্ড ধাক্কায় রহমান সাহেবের ঘুম ভেঙ্গে গেলো। কুমকুম ধাক্কা দিচ্ছে ।
“কি হয়েছে তোমার? হুস হুস করছো কেন?”
রহমান সাহেব প্রথমে কিছু বুঝতে পারলেন না। ধাতস্থ হতে তার কিছু সময় প্রয়োজন। পাশেই কুমকুম দাঁড়িয়ে আছে। এক দৃষ্টিতে সে তাকিয়ে আছে রহমান সাহেবের দিকে। দৃষ্টিতে বিস্ময়। মানুষটাকে সে ঘুমের ঘোরে কখনো কথা বলতে দেখেনি।
“কি ব্যাপার, এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?”
“এমনি। হুস হুস করছিলে কেন?”
“ও কিছু না। বোধহয় দুঃস্বপ্ন দেখছিলাম।”
কুমকুম বেডরুম থেকে বেরিয়ে গেলো । রহমান সাহেব বিছানার উপর উঠে বসলেন। জানালার পর্দা সরানো হয়েছে। একটুকরো রোদ জানালা দিয়ে ভেতরে এসে ঢুকেছে। জানালার গ্রীলে রহমান সাহেবের চোখ পড়লো। একতা কাক জানালায় বসে আছে, স্থির। কোনরকম নড়াচড়া করছেনা। গলার কাছে সাদা ফুটকি। এই কাকটিকে তিনি চেনেন।
খুব অস্বস্তি বোধ করা শুরু করলেন রহমান সাহেব। একসময় সেই অস্বস্তি ছড়িয়ে পড়লো তার সারা শরীরে।
অফিসে আজ তিনজন বিদেশী কর্মকর্তা এসেছেন। তাদের সামনেই প্রেজেন্টেশনে যেতে হবে। বিদেশী তিনজনের মধ্যে দুজন কে রহমান সাহেব চেনেন। একজন সাউথ ঈষ্ট এশিয়ান চিফ স্যামুয়েল এন্ডারসন, দ্বিতীয়জন এশিয়া জোনের সুপারভাইজার জন ম্যাকেরনি। তৃতীয়জন এক কৃষ্ণাঙ্গ ভদ্রমহিলা। এই ভদ্রমহিলাকে রহমান সাহেব কখনোই দেখেননি। মহিলার পরনের কাপড়ের রঙ ও কালো। গলায় মুক্তোর মালা। মুক্তোগুলো বেশ বড় বড়। স্যামুয়েল এখনো ভদ্রমহিলা পরিচয় দেননি। আশা করা যাচ্ছে প্রেজেন্টেশন শেষে মহিলার পরিচয় পাওয়া যাবে।
প্রেজেন্টেশনে রহমান সাহেব চমৎকার বক্তব্য রাখলেন। সমস্ত হিসেব ঠিকঠাক মতো কর্মকর্তাদের বুঝিয়ে দিলেন। কোথাও কোন সমস্যা হলোনা। শেষে সামাদ সাহেবের ঘটনা এলো।রহমান সাহেব সেটাও ভালোই সামলে নিলেন।
সবশেষে রহমান সাহেবের অফিসরুমে ছোট মতো পার্টির আয়োজন করা হলো। তখন মি. স্যামুয়েল, রহমান সাহেবের সাথে ভদ্রমহিলার পরিচয় করিয়ে দিলেন।
“রহমান, ইনি হচ্ছেন জিমি ক্রো। নতুন রিজিওনাল সুপারভাইজার। ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সমস্ত হিসেবপত্র প্রথমে তার কাছেই যাবে। মিসেস ক্রো আপাতত বাংলাদেশে থাকতে চাইছেন। বাচ্চাদের নিয়ে তিনি একটা হোটেলে আছেন।”
রহমান সাহেব বললেন,”মিসেস ক্রো, আপনার থাকার জায়গা কি ঠিক করা হয়েছে?”
“নাহ। এই দেশ তো আমার কাছে নতুন। একটু নিরিবিলি এলাকায় থাকতে চাচ্ছি। তোমাদের ঢাকায় এরকম জায়গা কোথায় আছে,বলতো?”
“নিরিবিলি চাইলে গুলশান এলাকাটা বেশ।”
“বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে থাকবো। নিরাপত্তার দিকটাও দেখতে হবে। আসলে নিরাপত্তার দিকটাই আমাকে বেশী ভাবাচ্ছে।”
ঠিক এই পর্যায়ে রহমান সাহেবের সকালের অস্বস্তিটা ফিরে এলো। মহিলা নামটা যেন কি? জিমি ক্রো। ক্রো মানে হচ্ছে কাক। কাক?! এই মহিলার মুখটা অমন বেঢপ চোখা কেন? ঠোঁট গুলো এতো কালো ! কথা বলার সময় শুধু ঠোঁট নড়ছে পুতুলের মতো, মুখের বাকি কোথাও নড়াচড়া নেই। উনি কি কথা আসলে পুতুলের মতো বলছেন নাকি পাখির মতো? গলায় সাদা মুক্তোর মালা। কালো ত্বকের উপর মালাটাকে কেমন সাদা ফুটকির মতো লাগছে। গায়ে কুচকুচে কালো ড্রেস, পায়ের জুতোও কালো, চকচকে কালো।
রহমান সাহেবের কাছে মহিলাকে হঠাৎ করেই কেমন বড়সড় কাক মনে হলো। তিনি তীব্র দৃষ্টিতে জিমি ক্রোর দিকে তাকিয়ে রইলেন। স্বপ্নের কাকটি তার বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে চিন্তিত। এই ক্রো নামের ভদ্রমহিলাও তাই। রহমান সাহেবের দৃষ্টি আরো তীব্র হলো। ভদ্রমহিলার চোখের পাতা এতো কম পড়ে কেন? তিনি কি ভুল দেখছেন?
“কি ব্যাপার? এভাবে তাকিয়ে আছো কেন? আমি কি খুব সুন্দরী? কাহ কাহ কাহ কাহ...”
মহিলার হাসির শব্দে ভয়াবহ চমকে গেলেন রহমান সাহেব। হাত থেকে গ্লাস পড়ে গেলো। হাসির এই শব্দ তার খুব পরিচিত।
বাকী সময়টা কিভাবে কেটে গেলো, তিনি ঠিকঠাক বুঝতে পারলেন না।
রহমান সাহেব বাসায় ফিরলেন হালকা জ্বর নিয়ে। হালকা জ্বরেই তার অস্থির লাগছে। মুখ শুকিয়ে আসছে। স্ত্রীর সাথে ডাইনিং টেবিলে বসার দীর্ঘদিনের অভ্যাসে ব্যতিক্রম ঘটলো। খেতে ইচ্ছে করছেনা। শরীর কেমন যেন ম্যাজম্যাজ করছে। মাথাতেও ব্যাথা আছে। রহমান সাহেব হাত-মুখ ধুয়ে সোজা বিছানায় চলে গেলেন।
“কি ব্যাপার, খাবেনা? শুয়ে পড়লে নাকি?”
“খেতে ইচ্ছে করছে না।”
“দেখি তো, জ্বর বাধালে নাকি?” বলেই কুমকুম রহমান সাহেবের কপালে হাত রাখলো।
“কই, গা তো তেমন গরম না। দুটো রুটি করে দেই? খেয়ে শুয়ে পড়।”
“আচ্ছা।”
“তোমাকে জানানো হয়নি। কুকুরদুটো আজকে মারা গেছে।”
“কি বলছ এসব?”
“হুমম। এতো অবাক হচ্ছো কেন? অসুস্থ্য ছিলো, মারা গেছে। বিকেলে সোবহান খাবার দিতে গিয়ে দেখে মরে পড়ে আছে।”
“ও, আচ্ছা।”
“বিকেলেই দুটোকে ডাষ্টবিনে ফেলে আসা হয়েছে। ঘরটা ফিনাইল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে বলেছি। কিসে মরলো কে জানে ! বাড়িতে ছেলেপুলে আছে। সাবধানে থাকাই ভালো।”
কুমকুম রুটি বানাতে চলে গেলো। কিছুক্ষন পর খাবার জন্য ডাকতে এসে সে দেখলো রহমান সাহেব হাত পা কুঁকড়ে বাচ্চাদের মতো শুয়ে আছেন। ঘুমাচ্ছেন। নিয়মিত শ্বাষ-প্রশ্বাষের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। রহমান সাহেবের চেহারায় কেমন যেন ভয়ের একটা ছাপ। বিড়বিড় করে কি যেন বলছেন। কুমকুম কথা শোনার চেষ্টা করলো। কিছুই বোঝা গেলোনা। রহমান সাহেবের গায়ে পাতলা একটা চাদর টেনে দিয়ে জানালা বন্ধ করতে গেলো কুমকুম। জানালার গ্রীলে বেশ বড়সড় একটা কাক বসা।
হুস বলতেই কাকটা উড়ে চলে গেলো। জানালা আটকাতে গিয়ে কুমকুমের দৃষ্টি চলে গেলো বাইরের ইলেক্ট্রিক কেবলের দিকে। শত শত কাক বসে আছে। কি ব্যাপার? রাতের বেলায় এতো কাক? কাকেরা কি তারের উপর বসেই ঘুমায় নাকি? শহরে কি গাছপালার সংখ্যা কমে গেছে নাকি কাকেদের জনসংখ্যা বিস্ফোরন? নিজের মনে হাসতে হাসতে জানালা বন্ধ করে, বাতি নিভিয়ে কুমকুম চলে গেলো ড্রইংরুমে।
-----------[চলবে]
মন্তব্য
পড়েছি। এই পর্ব একটু এক ঘেয়ে লেগেছে। কাক বাবাজির সাথে ভদ্রলোক তো রীতিমত ফাইট করলেন দেখা যায়।
পরের পর্বের জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মাহবুব ভাই,
ধন্যবাদ পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
ভালো লেগেছে। বিশেষ করে কাকের সাথে ওনার ডায়ালগ। কাকের ডায়ালগগুলো একটু কম ভালো, তবে ওনার কথাবার্তা ভালো হয়েছে। চালিয়ে যান।
ধন্যবাদ পিপি দা। ভালো থাকবেন।
চলুক
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
ধন্যবাদ দেবোত্তম দা। ভালো থাকবেন।
ভাল হয়েছে মানিকদা, গতিবেগও ঠিক আছে।
চলতে থাকুক।
অনন্ত আত্মা
ধন্যবাদ অনন্ত আত্মা। ভালো থাকবেন।
ঘটনা আৎকা মোচড় দিছে...
লেখা ভালো লাগতেছে, চলুক
তবে এই ধরণের লেখার কলেবর বাড়াইতে গেলে ইউজুয়ালি একটা 'বেড়াছেড়া' দেখা যায়, আশা করি এই লেখক তা হইতে দেবেন না।
ভালো কথা পূর্ব কিস্তি গুলিতে ঢুঁ মারতে গিয়া বাঙ্গাল চরিত যে সেই কালীপ্রসন্ন সিঙ্ঘির আমলের ন্যায় বর্তমান আছে তা জাইনা পুলকিত হইলাম। কারো ল্যাখা পড়তে গেলে আমাদের ডান হাতে থাকে কাঁচি বাম হাতে ফ্লুইডের ডিব্বা। আর পিনোকিওবৎ নাকসা সবসময় লেখকের পেছনে গন্ধের তালাশ করে। খারাপ না
না হয় না-ই পারলাম কনস্ট্রাকটিভ সমালোচনা করতে 'তুই আমার ... ল্যাহস' তো বলতে শিখছি।
বাঙ্গালের জয়!
ধন্যবাদ মেহেদী হক। আপনার রসবোধ চমৎকার। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ প্রিয় বইখাতা। ভালো থাকবেন। আশা করি পরের পর্বগুলোও পড়বেন।
নতুন মন্তব্য করুন