হরনেট ফ্লাইট-০৩

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি
লিখেছেন মানিক চন্দ্র দাস [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১০/১২/২০১০ - ৩:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রাককথন

০১
০২

০৩


জ্যানসবোর্গ স্কুলের বয়স প্রায় তিনশ বছর। সুদীর্ঘ এই সময়ের জন্য স্কুলটির বেশ গর্ব আছে। স্কুলের প্রথমাবস্থায় শুধু একটা চার্চ আর ছেলেদের থাকার জন্যে একটা বিল্ডিং ছিলো। ছেলেরা যেখানে থাকতো, সেখানেই পড়াশোনা হতো, খাওয়া দাওয়া হতো। এখন অবস্থা বদলেছে। নতুন লাল ইটের একটা কমপ্লেক্স তৈরী হয়েছে। এই কমপ্লেক্সে আছে বিশাল এক লাইব্রেরী। আছে ল্যাবরেটরী, আধুনিক ডরমিটরী, একটা ইনফার্মারী আর একটা জিম। স্কুলের লাইব্রেরী একসময় ডেনমার্কের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরী ছিলো। এখন অবশ্য তা নয়। এর অবস্থান এখন তিন নম্বরে।
দুপুর বারোটা বাজে। ছেলেরা মাত্রই দুপুরের খাবার শেষ করেছে। হ্যারাল্ড রওয়ানা দিয়েছে জিমের দিকে। হেডমাষ্টারের বাড়ির পাশ দিয়ে যাবার সময় দেখা গেলো স্যারের স্ত্রী বাইরে বেরিয়ে এসেছেন। ভদ্রমহিলার দিকে তাকিয়ে হাসলো হ্যারাল্ড। “গুড মর্নিং, মিয়া।”
স্কুলের হেডমাষ্টারকে এখানে বলা হয় ‘হেইস’ এবং তাঁর স্ত্রী কে ‘মিয়া’। শব্দ দুটোই গ্রীক। হেইস অর্থ সর্বোচ্চ পদাধিকারী। মিয়া শব্দটি হেইসের স্ত্রী লিঙ্গার্থক। স্কুলে গ্রীক এখন শেখানো হয়না। তবে শব্দ দুটো রয়ে গেছে।
“কোন নতুন খবর আছে নাকি হ্যারাল্ড? ”
হ্যারাল্ডের ঘরে বানানো একটা রেডিও আছে। তাতে বিবিসি ধরা যায়। হ্যারাল্ড তাতে নিয়মিত খবর শোনে।
হ্যারাল্ড বললো, “ইরাকী বিদ্রোহীরা হেরে গেছে। ব্রিটিশরা বাগদাদ দখল করেছে।”
“ব্রিটিশ বিজয় ! অনেকদিন পর একটা ভালো খবর পেলাম। দেখা যাক এবারে যুদ্ধের অবস্থা বদলায় কিনা।”
“গুডবাই মিয়া। হ্যাভ আ নাইস টাইম।”
সরে পড়লো হ্যারাল্ড। পরের ক্লাসটা দুই ঘন্টার। বিষয় গনিত। আজ অবশ্য ক্লাশ হবেনা। স্কুলে একজন অতিথি আসবেন। অতিথি ভদ্রলোক জাতীয় সংসদের স্থানীয় প্রতিনিধি। তিনি নাকি কিসব বক্তৃতা দেবেন। সব ছাত্রদের জিমে যেতে বলা হয়েছে। পুরো স্কুলে ছাত্র সংখ্যা ১২০ জন। এতো ছাত্রকে একসাথে জমায়েত করার জায়গা ঐ একটাই আছে। জিম। ওখানে যেতে ইচ্ছে করছেনা। তারচেয়ে ক্লাসটা হলেই ভালো হতো।
পড়াশোনা বিষয়টা হ্যারাল্ড বেশ ভালোই পছন্দ করে। শৈশবে পড়াশোনা ছিলো দুচোখের বিষ। এরচে মাঠে খেলাধূলা করা, ট্রি হাউজ বানানো এসবই বেশি ভালো লাগতো। বয়স যখন চৌদ্দ কি পনেরো হলো, তখনই হ্যারাল্ড হঠাৎ আবিস্কার করলো যে পড়াশোনাতেও বেশ ভালো মজা আছে। বিশেষ করে ফিজিক্স আর কেমিষ্ট্রির সবকিছু তার ভালো লাগতে শুরু করে। যখন জানা গেলো কোয়ান্টাম ফিজিক্স একজন ডেনমার্ক বাসীর হাত ধরে যাত্রা শুরু করেছে তখন পড়ার প্রতি হ্যারাল্ডের ভালো লাগা আরও বেড়ে যায়। ভদ্রলোকের নাম নীলস বোর। নীলস বোরের প্রতিটি কাজই হ্যারাল্ডের কাছে মনে হয় স্বর্গীয়। নীলস বোর হ্যারাল্ডের কাছে দেবতাস্থানীয় মানবসন্তান। এই ভদ্রলোক কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যার ডিরেক্টর ছিলেন। তাই হ্যারাল্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুলের পড়া শেষ হবার পর ওখানেই পড়তে হবে। এজন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সে আগেভাগেই আবেদন করে রেখেছে। টাকা কোন সমস্যা হবেনা। দাদা তার দুই নাতি আরনে আর হ্যারাল্ডের পড়শোনার জন্যে যথেষ্ট অর্থ রেখে গেছেন। এখনও সে যে স্কুলে পড়ে তার খরচ আসে দাদার রেখে যাওয়া টাকা থেকে।
হ্যারাল্ড অনিচ্ছাসত্বেও সোজা জিমে ঢুকে গেলো। স্কুলের ছোট ক্লাশের ছাত্ররা চমৎকার সারিবদ্ধ করে বেঞ্চ সাজিয়ে রেখেছে। একেবারে শেষের দিকে জোসেফ ডাচউইটজ এর পাশে বসলো হ্যারাল্ড। জোসেফ ডাচউইটজ এর নামের বানান Joseph Duchwitz । নামের একটা অংশ ইংরেজী শব্দ ডাক বা হাঁসের সাথে মেলে। ল্যাটিন ভাষায় হাঁসের বাচ্চাকে বলা হয় এনাটিকুলা। এই শব্দ সংক্ষিপ্ত হয়ে জোসেফের ডাকনাম হয়ে গেছে ‘টিক’। স্কুলে যা হয় আরকি ! অবশ্য বাকীদেরও দোষ নেই, টিক ছোটখাটো, আদুরে চেহারার। হাঁসের বাচ্চার মতো। টিক নামটা তাই টিকে গেছে। টিক হচ্ছে হ্যারাল্ডের প্রানের বন্ধু। টিকের পারিবারিক ইতিহাস হ্যারাল্ডের চেয়ে অনেক ভালো। টিক এসেছে খুব ধনী এক ইহুদী পরিবার থেকে। পারিবারিক আবহের এতো পার্থক্য সত্বেও টিক আর হ্যারাল্ড স্কুলের সেই শুরু থেকে খুব ঘনিষ্ট।

কিছুক্ষন পরই ম্যাডস কির্ক এসে বসলো হ্যারাল্ডের পাশে। ম্যাডস ও তাদের সাথেই পড়ে। সে এসেছে সম্ভ্রান্ত এক সামরিক পরিবার থেকে। ম্যাডস এর দাদা ত্রিশের দশকে ডেনমার্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন। তার কাজিন পল, ফ্লাইং স্কুলের পাইলট।

ম্যাডস, হ্যারাল্ড আর টিক তিনজনই ঘনিষ্ট বন্ধু। তিনজনকে স্কুলে ‘থ্রি ষ্টুজেস’ বলা হয়। তিন বন্ধুর শারিরীক গঠন পার্থক্য নামটাকে একেবারে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছে। হ্যারাল্ড লম্বা, ব্লন্ড। টিক ছোটখাটো, গায়ের রঙ ময়লা আর ম্যাডসের মাথার চুল লাল।

ম্যাডস বসার পরপরই হেইস অতিথিকে নিয়ে জিমে ঢুকলেন। সব ছাত্ররা চুপচাপ উঠে দাঁড়িয়ে সন্মান প্রদর্শন করলো। হেইস লম্বা একজন মানুষ, চোখে পাতলা কাঁচের চশমা। তিনি স্কুলের চাকরীর আগে দশ বছর সামরিক বাহিনীতে ছিলেন। নম্রতা আর ভদ্রতায় মানুষটি অদ্বিতীয়। কখনও গলা উঁচু করে কথা বলেন না। তার চেহারায় প্রায় সবসময় বেশ বিব্রত বিব্রত একটা ভাব থাকে। যেন তিনি স্কুলের হেড হয়ে খুবই বিব্রত। সব ছাত্ররা তাঁকে বেশ পছন্দ করে। ভয় পায়না কেউই কিন্তু তাঁর সামনে কেউ বেয়াদবী করারও সাহস পায়না।

ছাত্ররা সবাই বসার পর, হেইস, অতিথিকে ছাত্রদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। অতিথি ভদ্রলোকের নাম এগার। লোকটা যে সংসদ প্রতিনিধি তা তাকে দেখে বোঝাই যায়না। কেমন যেন সাধারন চেহারা। স্কুলের কেরানীর মতো। আভিজাত্য বিষয়টা তার চেহারায় অনুপস্থিত।

পরিচিত হবার পরপরই এগার, জার্মান বাহিনীর অধীনস্থ থাকায় ডেনমার্কের কি কি সুবিধা হচ্ছে তা গদগদ ভাষায় বর্ননা শুরু করলেন।

জার্মান বাহিনী যেদিন ডেনমার্ক দখল করে সেদিনটার কথা হ্যারাল্ডের পরিস্কার মনে আছে। চৌদ্দ মাস আগের ঘটনা। মাঝরাতে বিমান উড়ে যাবার তীব্র শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়
হ্যারাল্ডের। তখনও কিছু বোঝা যায়নি। সকালে শোনা গেলো জার্মান বাহিনী এসেছে। স্কুল থেকে বলা হলো যে, কোন ছাত্রের রুমে যদি ব্রিটিশ সমর্থনের কোন নমুনা থাকে, তা যেন সরিয়ে ফেলা বা মুছে ফেলা হয়। হ্যারাল্ডকে তখন তার রুমের দেয়াল থেকে বিমানের একটা পোষ্টার নামিয়ে ফেলতে হয়েছে। পোষ্টারের বিমানের পাখায় ব্রিটেনে রাজকীয় বাহিনীর একটা সিল মারা ছিলো, এই হচ্ছে সমস্যা। এর পরদিনই ডেনিশ বাহিনী জার্মান বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করে। কোন যুদ্ধ টুদ্ধ হয়নি।

এগার তার গলায় রাজ্যের দরদ ঢেলে বললেন,” আত্মসমর্পনের সিদ্ধান্তটি যে সঠিক ছিলো আমরা তা টের পেয়েছি পরে। এখনও আমরা শান্তিতেই আছি।”
পুরো জিম চুপ। পিনপতন নীরবতা। শুধু এগারের বক্তব্য শোনা যাচ্ছে।

“আমাদের রাজা তার সিংহাসনেই আছেন। তাঁকে সিংহাসনচ্যুত হতে হয়নি।” কথাটা শুনে ম্যাডসের মুখ দিয়ে বিরক্তিসূচক একটা শব্দ বেরিয়ে এলো। বিরক্ত হলো হ্যারাল্ডও। রাজা সিংহাসনে আছেন, একথা সত্যি। তিনি প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় ঘোড়ায় চড়ে ভ্রমনে বের হন। সাধারন জনগনের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। তার হাত নাড়া যে তীব্র অনিচ্ছায়, তা দেখলেই পরিস্কার বোঝা যায়।

এগার তার কথা বলে চলেছেন। “দেশে জার্মান বাহিনীর অবস্থান অস্বস্তিকর কিন্তু অসহনীয় নয়। আত্মসমর্পনের মাধ্যমে আমরা দেশকে যুদ্ধের মারাত্মক রাহুর হাত থেকে মুক্ত করতে পেরেছি। রক্ষা করতে পেরেছি বহু সাধারন মানুষের জীবন। এ থেকে আমাদের তরুনদের শিক্ষনীয় একটা বিষয় আছে। জীবনধারনের জন্যে, ঠিকঠাকমতো বাঁচার জন্যে আমাদের যদি একটু নম্র হতে হয়, তবে তা হওয়া উচিৎ। বিদ্রোহী হলে জীবনটাই যদি দিতে হয় তবে প্রয়োজন নেই সেই বিদ্রোহের ।”

এটুকু বলেই বসে পড়লেন এগার।

হালকা শব্দে হাততালি দিলেন হেইস। এরপর হাততালি দিলো ছেলেরাও। তবে এই তালি কেউ স্বতস্ফূর্ত ভাবে দিলোনা। দিতে হয় তাই দেয়া।

ছেলেদের মতামত হেইস যদি ঠিকমতো বুঝতে পারতেন তবে ঐ মুহূর্তেই জমায়েত ভেঙ্গে দিতেন। বেচারা হেইস তা বুঝতে পারলেন না। তিনি বললেন, “তো, ছেলেরা, আমাদের সন্মানিত অতিথির কাছে তোমাদের কারো কোন প্রশ্ন আছে? থাকলে করতে পারো।”

সাথে সাথে উঠে দাঁড়ালো ম্যাডস।

“স্যার, যেদিন ডেনমার্ক আক্রান্ত হয়, সেই একই দিনে জার্মানরা নরওয়েতে আক্রমন করেছিলো। কিন্তু নরওয়ে টানা দুমাস যুদ্ধ করেছে। লড়াই করার আগেই তারা আত্মসমর্পন করেনি। আমরা লড়াই করিনি। আগেভাগেই আত্মসমর্পণ করেছি। আমরা কি তাহলে কাপুরুষ একটা দেশ?”

এগার বললেন, “অদূরদর্শীদের মত সেরকমই হতে পারে।” তার গলায় স্পষ্ট বিরক্তি।

মাঝখানে মন্তব্য করলেন হেইস। “নরওয়ে পাহাড়-পর্বতের একটা দেশ। এখানে ওখানে দূর্গ। রাস্তাঘাটের অবস্থা তেমন একটা ভালোনা। সেখানে যুদ্ধ করা সহজ। আর ডেনমার্ক হচ্ছে সমতলভূমি। বিশাল একটা মোটরাইজড আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মতো অবস্থা ডেনমার্কের না।”

“আর তাছাড়া, যুদ্ধ করে রক্তপাত ছাড়া আর কি হতো? শেষমেষ তো আমাদের হার মানতেই হতো।” যোগ করলেন এগার।

এবার ম্যাডস শক্ত গলায় বললো, “যদি আমরা যুদ্ধ করতাম, আমরা তখন রাস্তায় হাঁটতাম মাথা উঁচু করে। এখন হাঁটতে হয় মাথা নিচু করে। সমস্যাটা এখানেই। নিজেদের আত্মসন্মান আমরা বাঁচাতে পারিনা। তাই মাথা নিচু। ”

এগার মিহি গলায় বললেন, “শেক্সপীয়ার বলেছেন, সাহসের সর্বোত্তম রুপ হচ্ছে বিচক্ষনতা।”

“কথাটা আসলে স্যার ফলষ্টাফের বলা। বিশ্বসাহিত্যে যার সুনাম আছে কাপুরুষ হিসেবে।”

ম্যাডস এর কথায় পুরো জিম হাসি আর তালিতে ফেটে পড়লো।

হেইস গম্ভীর গলায় বললেন, “ছেলেরা সবাই, থামো। তো কির্ক,এই বিষয়ে তোমার মতামত খুব শক্ত, বুঝতে পারছি। তার অর্থ এই নয় যে তুমি আমাদের অতিথির সাথে বেয়াদবী করবে।”

আশেপাশে তাকালেন হেইস। ছোটখাটো একটা ছেলে হাত তুলে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি বললেন, “হ্যাঁ, বোর, তুমি কিছু বলবে?”

“স্যার , হের হিটলারের জাতিভেদ প্রথা এবং জাতীয় রাষ্ট্রনীতি যদি আমরাও আমাদের দেশে চালু করি, তবে আমাদেরও তো জার্মানীর মতো পরাক্রমশালী একটি রাষ্ট্র হবার সম্ভাবনা আছে। আপনার কি মতামত স্যার?”

ওল্ডেমার বোর ডেনমার্কের শীর্ষস্থানীয় নাৎসী নেতাদের একজন। তার পুত্রের কথা নাৎসী ঘেঁষা হবে, এটাই স্বাভাবিক।

এগার বললেন, “হিটলারের রাষ্ট্রদর্শনের পুরোপুরি নেয়াটা ঠিক হবেনা। কারন জার্মানী আর ডেনমার্ক দুটো আলাদা রাষ্ট্র। আমাদের দুই দেশের মানুষের জীবনদর্শনে যথেষ্ট পার্থক্য আছে। ”

এগারের শীতল গলার সুরে হ্যারাল্ডের মেজাজ গেলো খারাপ হয়ে। লোকটার সাহস নেই কেন? এই লোকটা কেন সরাসরি বলছেন, জার্মানীর জাতিভেদ প্রথা অন্যায়। এ পৃথিবী সবার। এখানে সবার বাঁচার অধিকার সমান।

হেইস তার স্বভাবসুলভ শান্ত গলায় বললেন, “কি ব্যাপার তোমাদের? তোমরা কেউ অতিথিকে তার প্রতিদিনের কাজ সম্পর্কে প্রশ্ন করো। শুধু রাজনীতি নিয়ে থাকলেই কি হবে? ”

উঠে দাঁড়ালো টিক। এগারের কথা তারও পছন্দ হয়নি। সে বললো, “আপনার কি নিজেকে পুতুল পুতুল লাগেনা? জার্মানী আমাদের শাষন করছে, আপনারা তো না। আপনারা স্রেফ ভাব ধরে আছেন যে এই দেশটা আপনারাই শাষন করছেন।”

“ডেনমার্ক শাষন করছে ডেনমার্কের নির্বাচিত সংসদ। অন্য কেউ নয়।” উত্তর দিলেন এগার।

“তার মানে এখনো আপনার চাকরী আছে। বেতন পাচ্ছেন সরকার থেকে। আর কিছু না।”
আবারো হেসে উঠলো ছেলেরা।

“সবকটা রাজনৈতিক দল এখনো আছে। এমনকি কম্যুনিষ্টরাও আছে। আমাদের নিজস্ব পুলিশ বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। আর্মিদেরও রাখা হয়েছে। কোথাও তো কোন সমস্যা হচ্ছেনা। ” উত্তর দিলেন এগার।

“যেই মুহূর্তে কেউ নিজের মতো করে কাজ করতে চাইবে ঠিক সেই মুহূর্তে বাগড়া দেবে জার্মান বাহিনী। পুলিশদের অস্ত্র কেড়ে নেয়া হবে। সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যারাকেই বসিয়ে দেয়া হবে। তাহলে সমস্যা নেই কোথায়? আপনাদের তো সার্কাসের নটিদের মতো অবস্থা। যেভাবে বলা হবে সেভাবেই নাচবেন। ”

এবারে বিরক্ত হলেন হেইস। “ডাখউইটজ, ভাষা সংযত করো।”

“না, না, হেইস ঠিক আছে। আলোচনা প্রানবন্ত না হলে ঠিক জমেনা। মিঃ ডাখউইটজ, আপনার যখন আমাদের সংসদের উপর এতোই অনাস্থা, তখন আপনি কি একবার ফ্রান্সের সংসদের দিকে তাকাবেন? ঐ দেশটার কি অবস্থা তা কি একবার ভেবে দেখেছেন? আমরা যে জার্মান বাহিনীর সাথে সহাবস্থান নীতিতে আছি, তাতে কি আমাদের জীবন শান্তিপূর্ন হয়নি? হয়েছে। এ কথাটা এদেশের সাধারন জনগনের। তাদের প্রান বেঘোরে যায়নি। গুলির ভয়ে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে হয়নি। সবাই শান্তিমতো রাতে ঘুমাতে পারছে।”

এবার উঠে দাঁড়ালো হ্যারাল্ড। যথেষ্ট ভ্যাজর ভ্যাজর শোনা হয়েছে, এবার কিছু বলা দরকার। “তো স্যার, জার্মান বাহিনী যদি আমাদের এই ডাখউইটজকে ধরতে আসে, তাহলে আমরা কি করবো? তখনো আমরা সহাবস্থান নীতিতে বিশ্বাস রাখবো? ”

“জার্মান বাহিনী কেন ডাখউইটজকে ধরতে আসবে? কি সব অদ্ভুত কথা?”

“কারন ডাখউইটজ ইহুদী। ইহুদী হবার কারনে, হ্যামবার্গে আমার ফুপাকে জার্মান বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে।”

জিমের বেশিরভাগ ছেলে বিস্ময় নিয়ে তাকালো টিকের দিকে। টিক যে ইহুদি এই তথ্য তাদের জানা ছিলোনা।

এই প্রথমবারের মতো তীব্র বিরক্ত হলেন এগার। “জার্মানী ডেনমার্কের ইহুদীদের ব্যাপারে পরিপূর্ন সহনশীল নীতি দেখিয়েছে এবং দেখাচ্ছে।”

“এখনো ওদের মনোভাব ঠিক আছে। কিন্তু স্যার হঠাৎ একদিন ওদের ভাবনা যদি বদলে যায়? যদি ভাবে ডেনমার্কের ইহুদীরাও ক্ষতিকর? যদি ওরা ডাখউইটজকে ধরতে আসে? তখন আমরা কি জার্মানীর পাশেই থাকবো? নাকি সেই দিনটাকে মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নেবো? ”

“এরকম পরিস্থিতি যেন না তৈরী হয় আমাদের চেষ্টা সেদিকেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ”

“যদি চেষ্টায় না হয়? আপনি সরাসরি উত্তর দিন। ওরা যদি আমাদের বন্ধুকে ধরতে আসে , মারতে আসে আমরা তখন কি করবো? ” গলা উঁচু হয়ে গেলো হ্যারাল্ডের। তার মেজাজ দ্রুত খারাপ হচ্ছে। পিচ্ছিল মানুষ তার পছন্দ না। এগার মানুষটা যথেষ্টই পিচ্ছিল। লোকটার কথাবার্তায় যেন গায়ে আগুন ধরে যাচ্ছে।

মাঝপথে কথা বলে উঠলেন হেইস। “তোমার কথাবার্তায় অনেক ‘যদি’ আছে ওলুফসেন। সাধারন জনগন ঝামেলা পছন্দ করেনা। সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ঝামেলা এড়িয়ে থাকার। ”

হ্যারাল্ড উত্তপ্ত গলায় বললো, “প্রশ্নটা হচ্ছে আমাদের এই সহাবস্থান নীতি কতদূর যাবে? মজার বিষয় হচ্ছে হেইস, ওরা মাঝরাতে যখন ডাখউইটজের দরজা ভাঙ্গবে, ভেতরে ঢুকবে, তখন কোন সিদ্ধান্ত নেবার সময় থাকবেনা।”

হেইস যথারীতি শান্ত রইলেন। তিনি বললেন, “চমৎকার একটি পয়েন্ট তুলে ধরেছো ওলুফসেন। এর উত্তর আগেই মিঃ এগার পরিস্কার করে বলে দিয়েছেন এবং প্রাঞ্জল ভাষায় দিয়েছেন। যাই হোক আমার ধারনা, আলোচনা যথেষ্ট হয়েছে। এবার আমরা যার যার ক্লাসে ফিরে যাবো । আর যাবার আগে, মিঃ এগার তার শত কর্মব্যাস্ততার মাঝেও আমাদের সময় দিয়েছেন, সে জন্যে করতালি।”

হাততালি দেবার জন্যে হাত তুললেন হেইস। মাঝপথেই হ্যারাল্ড বললো, “ওনাকে সরাসরি প্রশ্নের উত্তরটা দিতে বলুন, মাননীয় হেইস। আমরা কি নাৎসী বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো নাকি ওদের যা খুশি তাই করতে দেবো? এই প্রশ্নের উত্তর পাবার পর আমরা ক্লাসে যাবো। পড়াশোনার চেয়ে এই প্রশ্নের উত্তরটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ন।”

পুরো রুম নীরব। সারা ক্লাস আতঙ্ক নিয়ে তাকিয়ে আছে হেইসের দিকে। তাঁর চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে। তারপরও হেইস শান্ত গলায় বললেন, “রুম থেকে বেরিয়ে যাও ওলুফসেন। তোমার সাথে আমি পরে কথা বলবো।

তীব্র রাগে বলার কিছু খুঁজে কিছু পেলোনা হ্যারাল্ড। গভীর হতাশা নিয়ে বেঞ্চ থেকে বেরিয়ে দরজার দিকে সে হাঁটা দিলো। দরজার কাছে গিয়ে হ্যারাল্ড ঘুরে দাঁড়ালো হ্যারাল্ড।

“আমি গেষ্টাপোর কেউ হলে, রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলার সাহস আপনার হতোনা মাননীয় হেইস।”

জিম থেকে বেরিয়ে সশব্দে দরজা আটকে দিলো হ্যারাল্ড। তার প্রশ্নের উত্তর পড়ে রইলো দরজার ওপাশে। কে জানে, হয়তো এ প্রশ্নের উত্তর এগারের কাছেও ছিলোনা।

(চলবে...)


মন্তব্য

অতিথি [অতিথি] এর ছবি

সুন্দর হয়েছে। আরো তাড়াতাড়ি লিখুন প্লীজ।

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

আপনার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। আর তাড়াতাড়ি লিখবো কি করে? লেখা সচলের প্রথম পাতা থেকে না সরলে তো নতুন লেখা আপ করার নিয়ম নেই। ভালো থাকবেন।
মানিক

তপু [অতিথি] এর ছবি

লোকজন যেহারে লিখে, কবে যে আপনার লিখা প্রথম পাতা থেকে সরাবে, কবে যে আমরা পরের পর্ব পাবো!!

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

তপু ভাই,
আমি সচলের ফ্যান বা পাঙ্খা বলতে পারেন। কবিতা বা পদ্য আমি বুঝিনা, আমার মাথার উপর দিয়ে যায়। তবে গদ্য গুলো অনবদ্য। দেরি করে যদি ভালো লেখা পড়তে পারি তাহলে আমার কোন সমস্যা নেই। তবে আপনি অনুবাদের জন্যে অপেক্ষা করছেন জেনে আমার কোন এক অজ্ঞাত কারনে ভালো লাগছে। হাঃ হাঃ হাঃ। ভালো থাকবেন ভাই। আমি আপনার অনুরোধ রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। ভালো থাকবেন।
মানিক

তপু [অতিথি] এর ছবি

এই রকম গল্প সবটুকু একবারে পড়ে শেষ করা উচিত। সরাসরি উপন্যাসটা পড়ার সুযোগ নাই, তাই আপনার অনূবাদের জন্য এত অপেক্ষা। ধন্যবাদ।

তপু [অতিথি] এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

বিরাট স্বাগতম।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

এক নিঃশ্বাসে পড়ে শেষ করলাম, শ্বাস ছাড়তেও ভয় হচ্ছিল কখন আবার লোটা ধরায়া দেন গল্পের লেখক! অনুবাদের কাজ কেমন হচ্ছে সেটা নিশ্চয় আলাদা করে বলে দিতে হবে না! আশা করব অন্যরাও আরেকটু সচল হয়ে উঠবেন, তাহলে এই পোস্টটা তাড়াতাড়ি ২য় পাতায় চলে যাবে!

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

সাইফ ভাই,
আপনে ভাই সানোয়ার স্যারের পোলা???? শুইন্না তো ভাই আমার ব্রেইন গইল্লা গেছেগা। ভাই ভুল হইলে মাফ সাফ করা দিয়েন। অনুবাদ কেমন লাগতেছে? ভালোও থাইকেন।
মানিক

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হা হা হা! অনুবাদ দারুণ লাগতেছে! ব্রেইন গইল্লা যাবার কিছু নাই, আমার বাপে পরীক্ষার হলেই বাইরে খুব মাই ডিয়ার টাইপ মানুষ! আর দুর্বার গতিতে অনুবাদ চলতে থাকুক!

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

ভাই,
স্যার পরীক্ষার হলে দেবতাতূল্য মানুষ। বাইরে যে কি মানুষ...আমাদের এখনকার প্রফেসর তাঁর ছাত্র ছিলেন। সেই প্রফেসরকে সানোয়ার স্যার প্রায়ই দৌড়ানি দিতেন। সার্জারিতে ভুল হলে কোন মাফ নেই। স্যার পারফেকশনিষ্ট একজন মানুষ, অন্তত তাঁর কাজের ক্ষেত্রে। বাকীটা জানিনা। আপনার জানার কথা। অনুবাদ ছাড়াও আমার কিছু রদ্দি লেখা আছে। সেগুলো কি পড়েছেন? পড়ে থাকলে আপনার কমেন্ট প্রত্যাশা করছি। অনুবাদ আপনার ভালো লাগছে জেনে সুখী হলাম, খুশি হলাম। ভাই কাজটা কিন্তু খুব কঠিন, তাই খুব তাড়াতাড়ি পোষ্ট করতে পারিনা। অন্তত যতক্ষন শব্দগুলো আমার পছন্দ না হয়, ততক্ষন পর্যন্ত অবশ্যই অপেক্ষা করি। দোয়া রাখবেন। আর আপনার ফেইস বুকে কি আমাকে এড করা যাবে? যদি যায় তাহলে আমি রিকোয়েষ্ট পাঠাবো। ভালো থাকবেন।

ডাঃ মানিক
(সানোয়ার স্যারের অতি নিকৃষ্ট একজন ছাত্র)।
অফটপিকঃ উপরের লাইনটা ডিগ্রী হিসেবে খারাপ হয়না। কি বলেন?

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হা হা হা, মিয়া, খোমাখাতায় কমবেশি সচলের সবাই আছে আমার বন্ধুর তালিকায়। বাংলা বা ইংরেজিতে আমার নাম সার্চ করলেই পাইবেন! সেই সাথে সচলায়তনের গ্রুপেও। রিকোয়েস্ট পাঠায়া দেন মিয়াভাই! আপনে তো আমার বাপরে পাইছেন, যখন তার কাছে আমি পুরাদস্তর কাজ শিখার কথা, তখন বিদেশে চলে আসছি! এরেই কয় মক্কার মানুষ হজ্ব পায় না! যাউক গিয়া সেইটা আরেক গল্প, আইজকা সেগুলান বাদ থাক। উৎকৃষ্ট নিকৃষ্ট তো আপনার হাতে, কোনটা করবেন, সেইটা ঠিক কইরা ফালান, ডাক্তার না কসাই! এইটা কিন্তু কেউ শিখায় দিতে পারবে না হাসি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সোহাগ [অতিথি] এর ছবি

অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় র'লাম। দারুণ লেখা!

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

সোহাগ ভাই,
মনে হচ্ছে তাড়াতাড়ি আবার অনুবাদ শুরু করতে হবে। সামাল দিতে পারতেছিনা। দেখা যাক। দোয়া রাখবেন। ভালো থাকবেন।
মানিক

বইখাতা এর ছবি

চলুক

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

প্রিয় ভাই/বোন 'বইখাতা',
আপনার কি এই বুইড়া আঙ্গুল ছাড়া আর কিছু নাই?
মানিক।

দিগন্ত বাহার [অতিথি] এর ছবি

সব্বাইকে বেশি-বেশি পোস্টাইতে অনুরোধ করছি !
কথোপকথনটা মারাত্মক ভালা পাইছি, অনুবাদ করতাছেন ঝাক্কাস! হাসি

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

দাদা, ওনেক ভাল লেগেছে। পরএর পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।

তপু [অতিথি] এর ছবি

ভাইয়া, আপনি কি অনেক ব্যস্ত? আপনার লিখা প্রথম পাতা থেকে সরে গেছে, এখন তৃতীয় পাতায়। অনুবাদ করা কি শেষ হয় নাই? আমরা অপেক্ষায় আছি।

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

প্রিয় তপু ভাই

আমার এই অনুবাদ কিন্তু এখন করা না। অনেক আগে করা। সেই অনুবাদগুলো এখন কম্পোজ করে সচলে দিচ্ছি। আমার টাইপিং স্পীড মারাত্মক খারাপ। আর এবারের পর্বটা দিতে দেরী হচ্ছে কারন আমি এখন আমার জিগিরি দোস্ত তানিমের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা এসেছি। অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া তেমন ব্যস্ত না। দিয়ে দেবো শিগগিরই। আপনাকে এবং অন্যান্য পাঠকদের অপেক্ষায় রাখার জন্যে দুঃখিত। ভালো থাকবেন।

মানিক

মলিকিউল এর ছবি

৪র্থ পর্বের জন্য আর কত কাল প্রতীক্ষায় থাকবো দাদা? ইয়ে, মানে...

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

প্রিয় মলিকিউল,
শীঘ্রই পাবেন। আমি কয়েকদিনের মাঝেই খ্যাপে যাচ্ছি তখন সময় পেলেই কম্পোজ করবো এবং সচলে পোষ্ট করবো। দোয়া রাখবেন।

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

প্রিয় মলিকিউল,
শীঘ্রই পাবেন। আমি কয়েকদিনের মাঝেই খ্যাপে যাচ্ছি তখন সময় পেলেই কম্পোজ করবো এবং সচলে পোষ্ট করবো। দোয়া রাখবেন।

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

প্রিয় মলিকিউল,
শীঘ্রই পাবেন। আমি কয়েকদিনের মাঝেই খ্যাপে যাচ্ছি তখন সময় পেলেই কম্পোজ করবো এবং সচলে পোষ্ট করবো। দোয়া রাখবেন।

তপু এর ছবি

পরের পর্ব মনে হয় আর কোন দিনও পরা হবে না আমাদের । প্রায় এক বৎসর হয়ে গেল ।

তপু এর ছবি

ভাইয়া, এত দিনে কত কিছু লিখেছেন, অথচ এটা অল্প একটুও লিখেন না !!

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

প্রিয় তপু ভাই,
সামনে সিলেট যাচ্ছি ক্ষেপ মারতে। তখন ইনশাল্লাহ নিয়মিত হরনেট ফ্লাইট এর অনুবাদ পাবেন। মাঝখানে খুব ঝামেলা গেছে রে ভাই। এই বাবা অসুস্থ্য তো এই মা, বোনটারও শরীর ভালোনা। তার উপর আমার ট্রেনিং। কয়দিক সামলাবো রে ভাই?? আশা করছি আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। ভালো থাকবেন।
ডাঃ মানিক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।