মাস ছয়েক আগের কথা। গাড়ী চালাচ্ছিলাম বেইলী রোডে। গন্তব্য মতিঝিল টি এন টি কলোনী। হঠাৎ বলা নাই কওয়া নাই এক রিক্সাওয়ালা তার তিন চাকার শক্তিশালী (!) যানটাকে আমার গাড়ীর সামনে দিয়ে হ্যাঁচকা টানে ঘুরিয়ে দিল। সাথে সাথে হার্ড ব্রেক কষলাম। মেজাজ গেল খারাপ হয়ে। জানালা দিয়ে মাথা বের করে দিলাম ঝাড়ি -
: ... ওই মিয়া, হাত দেখাইতে পারনা?...
: এত বড় গাড়ীটারে ডাইনে ঘুরাইলাম, হেইটা দ্যাহেননা... আর আমার এইটুকুন হাত নাড়াইলে সেইডা বলে দেখ্ব... রিক্সাওয়ালার নির্লিপ্ত উত্তর।
-----------------------------------------------------------------------
যারা নতুন গাড়ী চালানো শেখেন তারা সবাই জানেন যে শিক্ষানবিশ ড্রাইভারদের প্রতি রিকশাওয়ালাদের একটা আলাদা টান কাজ করে। মানে মনের টান না, রিক্সা দিয়ে গাড়ীর পাশে টান দিয়ে দেয়। কারন ওরা ভালো করেই জানে এইসব শিক্ষানবিশ ড্রাইভাররা সব সময ভয়ে ভয়ে থাকে। রিক্সা দিয়ে ঘষা দিলে কিছু বলার নাই। একবার আমার এক ফ্রেন্ড গাড়ী চালানো শিখছিলো ধানমন্ডি লেকের ধারের রাস্তায়। এমন সময় এক রিকশা দিলো গাড়ীকে একটা ঘষা। ফ্রেন্ড গেলো ক্ষেপে -
: ... এইটা তোর দাদার রাস্তা আর বাপের রিক্সা?? এত ডাইনে চাপাস ক্যান??
: পয়লাটা আমার দাদার না তয় পরেরটা কইলাম আমার বাপের। বাপেরটাই অহন আমি চালাই...
--------------------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------------------
ফার্মগেট থেকে রিক্সায় ধানমন্ডি আসব, সংগে ছিলো এক জুনিয়র ছেলে। এক রিক্সাওয়ালাকে ভাড়া জিজ্ঞেস করলাম। উত্তরে সে প্রশ্ন করলো
: একজন না দুইজন?
বলে কি? আমিও পালটা জিজ্ঞেস করলাম-
: দুইজনের ভাড়া কত?
: পচিশ টাকা।
: একজনের ভাড়া?
: পচিশ।
: তাইলে জিগাইলেন ক্যান?
: এমনে ... মন চাইসে...
--------------------------------------------------------------------
রিকশাওয়ালাদের একটা বড় সমস্যা হল প্রায়ই এরা নারী মহলকে পুরুষদের তুলনায় বেশি প্রাধান্য দেয়। মাঝে মাঝে এমনও হয়েছে যে আমি যে ভাড়া বললাম সে ভাড়ায় রিক্সাওয়ালা নড়বেইনা। কিন্তু পরমুহূর্তেই যখন কোন মেয়ে এসে ওই একই জায়গায় কম ভাড়ায় যেতে চাইলো অমনি রিক্সাওয়ালা রাজি। কী সেলুকাস!
--------------------------------------------------------------------
কড়া রোদ পড়েছে। তেজগাঁও থেকে ফার্মগেট আসবো, রিক্সা পাচ্ছিনা। অনেকদুর হেঁটে এসে একটাকে পেলাম যেটার চালক আবার হুডের তলায় বসে আছে। বললাম যাবে কিনা, বলল যাবেনা। ভাবলাম টাকা বাড়িয়ে দিয়ে বলে দেখি। বললাম-
: ভাড়া বাড়ায়ে দিব।
: কইলাম না যামুনা। যে রোইদ, কালা হইয়া যামুনে...
মন্তব্য
আপনার রিকশাওয়ালাদের আমার দারুণ পছন্দই হল। আমাদের ইয়ার্কি ওরা আমাদের দিকেই ফিরিয়ে দিতে শিখেছে। এবার কিছু ভাল রিকশাওয়ালার নমুনা দেন।
স্বাগতম সচল।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
সামনে পরীক্ষা। সকাল থেকেই মেজাজ গরম। ভাবছিলাম কয়েকদিন আর সচলে ঢুকবো না, তারপরও ঢুকলাম মন্তব্য করার জন্য। খুব হাসলাম আপনার রিক্সারঙ্গ পড়ে, বিশেষ করে শেষেরটা।
আমি একটা যোগ করি। ২০০২ সালে, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষে আমাদের বিদ্যুৎ পরিবহন ও সঞ্চালনের ওপর একটা কোর্স করতে হয়েছিলো। একদিন তাতে কিছু কৌতূহলোদ্দীপক ব্যাপার খুঁজে পেয়ে ঠিক করলাম, আজ বাড়ি ফেরার পথে ডিস্ট্রিবিউশন লাইন দেখতে দেখতে যাবো। রিকশাওয়ালা আমার বড় গোঁফদাড়িচুল দেখে জংলিই ভেবে নিয়েছিলো হয়তো, সে খুব সন্দিহান চোখে একটু পর পরই পেছন ফিরে আমাকে দেখে। সারাটা পথ হাঁ করে আমাকে রাস্তার পাশের পোল আর ওভারহেড কেবলের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে এক পর্যায়ে সে আর সহ্য করতে না পেরে বললো, "এগিলির মধ্যে দিয়া কারেন যায়!"
হাঁটুপানির জলদস্যু
এই পোস্ট পড়ে আমার হাসি দেখে রুমমেটরা আমারে পাগল ঠাওর কর্তাছে।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
দারিগোফ নিয়ে একটা ঘটনা মনে পরল, আমরা গত বছর দেশে বেড়াতে গেলাম যখন, একটা অনেক পরিচিত পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য গেলাম ওই আন্কেলের অফিসে, বাসার ঠিকানাটা নেই তাই আন্কেলকে সাথে নিয়ে তাদের বাসায় যাব। আম্মু গাড়িতে বসে আমাকে আর আমার ছোট ভাইকে আন্কেলের অফিসে পাঠাল। তো আন্কেল আমাকে দেখেই চিনে ফেলল কথা বলা শুরু করল কিন্তু আমার ভাইকে কিছুই বলেনা। আম্মু নিচে অপেক্ষা করছে শুনে আন্কেল বলল তাহলে চল চল এখুনি, এরপর আমার ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলে "তো ড্রাইভার সাহেব গাড়ি কোথায় রেখেছেন"।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আমার না... অন্যের দুইখান গপ কই...
১.
শামীম শাহেদ... এককালের সাংবাদিক, পরবর্তীকালের টিভির বড় কর্তা, নায়ক, এখন নির্মাতা... তো সে তখন ভোরের কাগজে চাকরি করে... একদিন শাহজাহানপুর থেকে রিক্সায় অফিসে যাচ্ছে... তার রিক্সারে ওভারটেক করলো আরেক রিক্সা... চালাইতেছিলো এক আধবুড়া চালক... আর রিক্সায় ছিলো তিন তরুনী...
শামীম গেলো মহা ক্ষেপে... ঐ মিয়া... দেখো তিনজন নিয়া ওভারটেক করে... আর তুমি আমারে একলা নিয়া এত আস্তে চালাও... রিক্সাওয়ালা নির্লিপ্ত জবাব দিলো- ঐরম তিনডা মাইয়া থাকলে আমিও ওভারটেক করতে পারতাম।
২.
সাধারণত আমরা রিক্সাওয়ালাদের থেকে নিজেরে উন্নত ভাবী... এবং রিক্সাওয়ালারা কিছু উল্টা পাল্টা করলেই বলি ঐ মিয়া ঢাকা শহরে কয়দিন ধইরা?
তো আমাদের অফিস তখন ধানমন্ডিতে... অফিসের কাছেই একটা বাড়িতে সান্ধ্য পার্টি। আমি আগেই সেখানে পৌঁছাইছি... প্রয়াত বন্ধু মনিরুল হাসান আসলো একটু পরে... আইসা জিগায়... আচ্ছা নজরুল... অফিস থেকা এইখানে রিক্সাভাড়া কত? আমি বললাম পাঁচ টাকা... ক্যান? বললো না রিক্সাওয়ালা ১০ টাকা নিলো... আমি বললাম কন কি... ডবল তো... দিলেন কেন? বললো আমি বলছিলাম যে ভাড়া তো পাঁচ টাকা... সে ঝাড়ি দিয়া জিগাইলো ঢাকা শহরে কতদিন আইছি... ডরে আমি আর কিছু কই নাই...
এই হইলো ঘটনা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হা হা হা...মাঝখানটা বাদে আরগুলা একশ তে একশ পাঁচ। পড়ে মনটাই ভালো হয়ে গেলো। সেইরকম। সেইরকম। আপনারে একদিন একসাথে এত্তগুলা মজার কাহিনী বলার জন্য পুরস্কার দিবো।
আর বড় ভাই হিসেবে সচলে স্বাগতম। এই রকম পোস্টাইটে থাকেন।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
মন ভাল করে দেওয়া লেখা। রিক্সাওয়ালাদের সাথে আমার মোলাকাতগুলো প্রায়ই লম্বা আড্ডায় পরিণত হত। খুব মনে পড়ে সেই দিনগুলো।
অফ-টপিক তথ্যঃ অধমের রেকর্ড আছে দুই বার রিক্সার তলায় পড়ার। দুই বারই কোক কিনে খুশিতে দৌঁড় দিয়ে।
আম্মা!
কয় কী?
হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাই।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
হাসি থামাতেই পারছি না রে ভাই।
হাসতে হাসতে শেষ!
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আমার এক বন্ধু দৈর্ঘ্যে মোটামুটি সাধারণ, তবে প্রস্থে আড়াইজন গড়পড়তা বাঙালির সমান। সে একবার খালি রিকশা পেয়ে জিজ্ঞেস করলো, রিকশা যাবে নাকি?
উত্তর এলো, যামু স্যার। মাগার এক রিকশায় তো আপনের হইবো না, আরেকটা ডাকুম?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
[img=auto][/img]
দারুন মজার পোস্ট। ধন্যবাদ অভ্রনীল ভাই। স্বাগতম সচলে।
রিক্সাওয়ালাদের ব্যাপারে একটা কথা যোগ করি - ইদানিং তাদের ভেতর একটা দারুন একতাবদ্ধতা বোধ (ইউনিটি) কাজ করে। রাস্তায় কোন রিক্সাওয়ালাকে কেউ কিছু বললে, আশেপাশের সব রিক্সাওয়ালারা এক হয়ে যায়। খুব ভালো লেগেছে আমার এটা। যদিও মাঝে মাঝে তারা এক হয়ে বেশি ভাড়া আদায় করে। তারপরও ওদের মত বঞ্চিতরাও যে এক হতে শিখেছে, এটাই অনেক বড় ব্যাপার।
----------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হা হা হা! দারুণ লেখা। তবে "এগিলি দিয়া কারেন যায়" আমার বাকিজীবন মনে থাকবে!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
সবার লেখা মন্তব্য পড়লাম, হেভি মজা পাইলাম ।
একদিন হেভি মুরুব্বী রিক্সাওয়ালার পাল্লায় পড়সিলাম । রিক্সা থামাইতে বলসি সিগারেট কিনুম, সে আমার চেহারার দিকে এমন ভাবে তাকাইল যে খাইয়া ফেলবে ! আমি কইলাম যান কই থামান । সে থামায়া গজগজ করে আর কয় এট্টুক বয়সে সিগারেট ধরসে ! বুঝব বুঝব.. ! আমি সিগারেট ধরায়া তারে বললাম চাচা আমি ভার্সিটি পাস, ভুল বুইঝেন না, সে উত্তরে খালি অবিশ্বাসী একটা 'হুহ!' শব্দ কইরা রিক্সা টান দিল আবার ।
রিক্সাওয়ালা ঠিক না রিক্সা নিয়া আমার আর একটা ঘটনা আছে, তাও ঢাকায় না গ্রামের বাড়িতে । একবার যখন ঘুরতে গেসি গ্রামে, ক্লাস সিক্স কি সেভেনে পড়ি । গ্রামের কাছে বড় রাস্তার মোড়ে রিক্সাওয়ালা আমাদের কিছু পোলাপাইনরে রিক্সাখান দেখতে বইলা কই জানি গেল । তো আমরা পোলাপান রিক্সাটা দেখতে লাগলাম, দেখা শেষ হইলে, চাইপা বসতে লাগলাম একে একে, চাইপা বইসাও সাধ না মিটলে চালাইতে লাগলাম । আমিই চালাইতে আসিলাম, দেখি রিক্সা চালান কঠিন কাজ ! খালি বামে কান্নি খায় ! সামনেই একটা পুকুর আসিল, দেখি যে থামাইতে পারতেসি না, রিক্সা পুকুরে পড়ার আগেই প্যাসেঞ্জার , ড্রাইভার সব জান বাঁচাইতে লাফ দিলাম আর রিক্সা পড়ল একবারে পুকুরে ! তারপর কি আর অইখানে আমরা থাকি ?
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
লেখা এবং কমেন্টস সবই দারুন মজার
শ্যাষের জোকডা পুরা ফাডাফাডি হইছে !
অন্যদের মজার অভিজ্ঞতাও পড়লাম।আমারও একটা মনে পইড়া গেল, আমি একবার এক ধ্রুতগতির রিক্সাকে সাইড দিতে গিয়ে ম্যানহোলে পড়ে গিয়েছিলাম।স্কুল থেকে বাসায় আসছিলাম তখন হেঁটে হেঁটে। আমাদের এলাকার আবার খুব সুনাম ছিল কিন্তু অসংখ্য খোলা ম্যানহোলের জন্য। লোহার ম্যানহোলের ঢাকনা খুব দামি কিনা তাই ওগুলো ম্যানহোলের মাথায় শোভা পায়না।
[ভূঁতেঁরঁ বাঁচ্চাঁ]
ভাইয়েরা, রাগ কইরেন না, রিক্সাওয়ালাদের প্রতি তাচ্ছিল্যসূচক কয়েকটি ঘটনার ("কৌতুক" বলতে মন সরছে না) উল্লেখ আমার ঠিক ভালো লাগলো না।
"শ্রমজীবী" শব্দটি উচ্চারণ করলে যে-ক'টি ছবি ভেসে ওঠে আমার মাথায়, রিক্সাওয়ালারা অতি অবশ্য থাকে তার একটিতে।
অনেক দিন আগে কে একজন আমাকে বলেছিল, প্রয়াত কবি শামসুর রাহমান সব রিক্সাওয়ালাকে "আপনি" সম্বোধন করেন। শুনে আমি এতোটা মুগ্ধ হয়েছিলাম (এবং বিচলিত হয়েছিলাম নিজের মূঢ়তায়) যে, এর পর থেকে আমি বয়স-নির্বিশেষে "আপনি" সম্বোধন করি রিক্সাওয়ালাসহ যে-কোনও কর্মজীবীকে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
প্রথমটা কৌতুক হিসাবে শুনেছিলাম বছর দশেক আগে।
ডায়ালগ অফ দ্য ডে "এগিলির মধ্যে দিয়া কারেন যায়"
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
"ভালো খাওনদাওন করেন,মাশাল্লা ওজনও বেশী-দুইডা টেকা বাড়াই দিয়েন" এমন কমেন্টও রিকশা ভাইরা করেন।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
প্রথম অংশটার এই কাহিনীটা আমি শুনেছিলাম এক টিভি অনুষ্ঠানে , হুমায়ুন ফরীদি তাঁর মজার একটি অভিজ্ঞতা বলছিলেন । একই কাহিনী আপনার বেলাতেও ঘটল !! রিক্সাওয়ালাদের রসবোধ আর নেটোয়ার্কিং বেশ দারুন মনে হচ্ছে ...
---------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব সীমান্ত আমায় বিরক্ত করে। আমার বিশ্রী লাগে যে, আমি কিছুই জানিনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
ফার্স্ট পোস্টেই ফাটানি!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
এই দিলাম আরকি... তোমাদের দোয়া...
| আমার বাংলা ব্লগ | আমার ইংলিশ ব্লগ |
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
আমার প্রথম পোস্টে এত মন্তব্য পাব সেটা আমার ভাবনায় ছিলোনা। মন্তব্যের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
@ফারুক ওয়াসিফঃ আপনাকে স্পেশাল ধন্যবাদ, সচলায়তনে আমার প্রথম পোস্টে প্রথম মন্তব্য করার জন্য।
@হিমু @অরূপ @নজরুল ইসলাম @খেকশিয়াল @মুহম্মদ জুবায়ের @মুশফিকা মুমু @ভূঁতেঁরঁ বাঁচ্চাঁ : আপনাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
@রেনেট @নিঝুমঃ কী জানি, হয়তবা রিক্সাওয়ালারা তাদের নিজেদের বেশ কিছু প্রচলিত ডায়লগ রেডি স্টকে রাখে, একই সিচুয়েশনে একই ডায়লগ ঝাড়ে...
@রায়হান আবীর @সৌরভ @পান্থ রহমান রেজা @মৃদুল আহমেদ @অতন্দ্র প্রহরী @আহমেদুর রশীদঃ অনেক অনেক ধন্যবাদ।
@সংসারে এক সন্ন্যাসীঃ আমি এ লেখটাকে কখনো রিক্সাওয়ালাদের প্রতি তাচ্ছিল্যসূচক হিসেবে লিখিনি। আমি আমার জীবনে রিক্সাওয়ালাদের কাছ থেকে পাওয়া কিছু মজাদার ডায়লগ এই পোস্টে লিখতে চেয়েছিলাম। শ্রমজীবি মানুষদের প্রতি একটা সম্মানবোধ আমার মধ্যেও কাজ করে। আমি কাউকে বা কোন শ্রেণীকে হেয় করার উদ্দেশ্যে এই লেখাটা লিখিনি। যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন তবে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
| আমার বাংলা ব্লগ | আমার ইংলিশ ব্লগ |
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
ইসসস, কত মানুষের ঝুলিতে কত কত সব মজার অভিজ্ঞতা, আর আমার কিনা শূণ্য! তাই, শুধু মন্তব্যই করছি - মজার লেখা, ভালো লাগলো
আহারে... দুঃখ করেন না...
মজার কিছু নাই এটাই তো মজার একটা ব্যাপার...
______________________________________
| আমার বাংলা ব্লগ | আমার ইংলিশ ব্লগ |
______________________________________
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
পোস্ট এবং মন্তব্যগুলো পড়ে ব্যাপক মজা পেলাম। তবে হিমু ভাইয়ের রিকশাওয়ালা ভাই সবার বস। ঠিক ঠিক বুঝসে কারে কি কইতে হইবো!
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
ধন্যবাদ নিঘাত তিথি।
_________________________________
| আমার বাংলা ব্লগ | আমার ইংলিশ ব্লগ |
_________________________________
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
আমার মউত তো মনে হয় রিক্সার তলায় আছে। কতবার যে রিক্সা পায়ের উপর দিয়া হাইট্টা গেল...বাড়ি মাইরা গেল। খোদা জানে কাহিনি কি! একবার তো আইল্যান্ডে দাড়ায়ে আছি তাও ধুম কইরা কনুয়ে বাড়ি মাইরা গেল গা... যাওয়ার টাইমে কইয়া গেল... ঠিক জায়গায় দাড়াও খুকী (কেমনে কি) ! বেক্কলের মত চাইয়া রইলাম। আইল্যান্ড যদি ঠিক জায়গা না হয় তাইলে কি ল্যাম্পপোস্টের লগে ঝুইলা থাকুম??
যাউক, ভালো হইছে জনাব আপনার প্রথম পোস্ট।
দৃশা
হায়াত মউত উপরওয়ালার হাতে... তবে রিক্সার তলায় মরলে মান সম্মান সব খোয়াবেন... ট্রাক বাস না হলেও অন্তত সিএনজি ট্রাই নিতে পারেন... আর যাই হোক কিছুটা হলেও মান থাকবে... বলতে পারবেন ইঞ্জিনের তলায় মরসি...
______________________________________
| আমার বাংলা ব্লগ | আমার ইংলিশ ব্লগ |
______________________________________
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
সেই তো !! মরমু তো মরমু ...তাও আবার ইজ্জতহীন মিত্তু... জীবনটাই তেজপাতা।
দৃশা
দৃশা - আপনার মন্তব্য পড়ে এতোই হাসলাম যে আপনাকে না জানিয়ে আর পারলাম না!
আগে হাসি থামান... পরে দেখতেসি কি করা যায়...
_________________________________
| আমার বাংলা ব্লগ | আমার ইংলিশ ব্লগ |
_________________________________
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
আমি প্রায়ই রিকশাওয়ালাদের ঝাড়ি খাই রাস্তা পার হতে গিয়ে
আমি এখনও ঢাকা শহরে রাস্তা পার হওযা শিখতে পারিনি
কিছুদিন আগে সন্ধ্যার পরে গুলশান এক আর দুইয়ের লিংক রোড পার হচ্ছি
আমার সাথে আমার এক ফ্রেন্ড
সে পার হয়ে গেলে টুকটুক করে। কিন্তু আমি রিকশার সামনে আবজাব হয়ে ডান বাম করতে করতে পার হলাম
আমার সেই ফ্রেন্ডটি রাস্তা পার হয়ে হাসছে আমার অবস্থা দেখে
সাথে সাথেই শুনি রিকশাওয়ালা তাকে বলছে- আপা আপনার মান ইজ্জত নাই? গ্রামের পাবলিক নিয়া ঢাকা শহরে হাটেন কোন আক্কেলে?
আপনাদের সিলেটে রিক্সা চলে না ? নাকি সিলেটে রাস্তা পার হওয়ার দরকার হত না ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ওইখানকার রাস্তাগুলান ছুডুরে ভাইজান
এইপার থাইকা থুতু ফেললেও ওইপারে যাইয়া পড়ে
আপনার মরনও কি দৃশার মত রিক্সার তলায় নাকি... যাই হোক সাবধানে রাস্তা পার টার হইয়েন... পারলে একটা পার্সোনাল দারোয়ান বা ট্রাফিক নিয়েন... কারন আপনি হারালে আপনার লেখাগুলা মিস করবো...
_________________________________
| আমার বাংলা ব্লগ | আমার ইংলিশ ব্লগ |
_________________________________
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
সময় পেলে আমিও কিছু আমার দুঃখের ইতিহাস ঝারবো। মজার হয়েছে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ইতিহাসের অপেক্ষায় রইলাম...
_________________________________
| আমার বাংলা ব্লগ | আমার ইংলিশ ব্লগ |
_________________________________
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
নতুন মন্তব্য করুন