দেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুরে যখন প্রথম যাই, তখন সারাদিন ভীষণ খারাপ লাগত। সিঙ্গাপুরের যাই দেখতাম, তাতেই বিরক্ত হতাম। হয়তো বাসে খুব নিরীহ কেউ বসে আছে, সে এত নিরীহ কেন দেখেও মনে হত একটা চড় বসিয়ে দেই। আর ঢাকার যেকোন কিছুর কথা মনে পড়লেই কান্না পেত। আমাদের বিয়ের সময় কটকটে গোলাপি রঙ করা শ্বশুরবাড়ির বেডরুমটা, যেটায় ঢুকলেই এক সময় রঙ দেখে মেজাজ চড়ে যেত, দেশ ছাড়ার পরে দেখা গেল সেটার জন্যও মন কাঁদে। দেশের কোন অনুষ্ঠান-উৎসবে থাকা হবে না, বিশেষ করে নববর্ষ আর পাব না ভাবলেই কান্না পায়। একটা অদ্ভুত বিচ্ছিরি অবস্থা!
এরকমই একদিন হঠাৎ দেখি সিঙ্গাপুরের চারিদিকে বেশ একটা ফেস্টিভ আবহাওয়া। দোকানপাট, ক্যাম্পাসের ক্যান্টিন, সবখানেই দেখি লাল রঙের নানা সাজসজ্জা। আর সাথে তুমুল ঝাকানাকা চাইনিজ গান বাজছে সবখানে। মাঝে মাঝে পটকা ফোটার শব্দ, যেটা কিনা আসলে আতশবাজির ইলেক্ট্রিক সংস্করণ। আর সবখানে বাক্স আর ঝুড়ি ভর্তি কমলা। হঠাৎ করেই যেন পুরো শহর বদলে গেল।
জানা গেল, কিছুদিন পরেই চাইনিজদের সবচেয়ে বড় উৎসব চীনা নববর্ষ আছে আর এ সবই চাইনিজ নিউ ইয়ারের সাজ। ১২ টা পশু-পাখি দিয়ে ১২ বছরের একেকটা চক্র। সে বছর (ইংরেজি ২০০৫) ছিল 'ইয়ার অফ দ্য রুস্টার' বা মোরগের বছর। এরকম আরো আছে কুকুর, শুকর, ইঁদুর, ষাঁড়, বাঘ, খরগোশ, ড্র্যাগন, সাপ, ঘোড়া, মেষ, বানরের বছর। একেক বছরের একেক রকম ব্যাপার-স্যাপার। তেমনি যে যে বছর জন্মেছে সে বছরের পশু-পাখি অনুযায়ী তার চরিত্র ভিন্ন, তার রাশিফলও ভিন্ন।
রঙচঙা যেকোন ফেস্টিভাল আমাকে সবসময়ই টানে। মন ভাল করতে ভাবলাম চায়না টাউন ঘুরে আসি। সেখানে গিয়ে দেখা গেল ঠিক আমাদের আর্ট কলেজের মিছিলে যেমন পাখি-বাঘ-মাছের আকৃতি বানানো হয়, সেরকম মোরগ আর সাথে বাকি পশু-পাখিদের নানা আকৃতির মুর্তির মত বানানো। আর সাথে আছে লালরঙা বহু ল্যানটার্ন সারা রাস্তা জুড়ে। চারিদিকে হইহই ভাব আর ভীষণ রঙিলা সব ডেকোরেশান। বিশেষ করে লাল রঙের প্রাধান্য দেখা গেল, কিছুটা বাংলা নববর্ষে আমাদের লাল পেড়ে শাড়ির মতন। আমার চাইনিজ ল্যাবমেটদের থেকে জানা গেল যে লাল রঙটাকে ওরা সৌভাগ্যের রঙ মনে করে, তাই চারিদিকে লালে লাল দুনিয়া। আর সাথে তুমুল ঝাকানাকা সব গান। লায়ন ড্যান্সারদের ছোট ছোট গ্রুপকেও দেখা গেল এদিক-সেদিক চীনা ট্রেডিশনাল ড্রাম বাজাতে বাজাতে নাচতে। আর দেখি সবখানে লেখা - 'গং সি ফা চাই' - চীনা ভাষায় নববর্ষের শুভেচ্ছা বাণী।
আমার মন ভাল হয়ে গেল। ভাবলাম, যাক, সব নববর্ষ এখনো হারিয়ে ফেলিনি।
এই সময় সরকারী ছুটিও থাকে ২ দিন। সাথে আরো ৩ দিন ছুটি নিলে উইকেন্ড মিলে বেশ একটা ৭-৮ দিনের লম্বা ছুটি কাটানো যায়। সে সময় অপু মাত্র মালেশিয়ায় পৌঁচেছে। আমার মালেশিয়ান চাইনিজ ল্যাবমেট শ্যারন বলল ছুটি নিয়ে ওর সাথে মালেশিয়া যেতে। আমাদের চরম ওয়ার্কাহলিক কোরিয়ান সুপারভাইজারের কাছে ভয়ে ভয়ে গেলাম ছুটি চাইতে। তখনো ওনার রসবোধের সাথে আমার পরিচয় ঘটেনি। ওনাকে কাঠখোট্টা কাজপাগল কোরিয়ান বলেই মনে হত। ছুটি চাইতেই বললেন, 'sure! no one works during Chinese New Year, except for me!' আমাকে আর পায় কে! সেই প্রথম শ্যারনের হাত ধরে কুয়ালা লামপুর আসা।
অপুর সাথে কুয়ালা লামপুর শহর দেখতে বের হলাম। এখানেও দেখি চারিদিকে লাল লাল ল্যানটার্ন আর রাত হলেই আতশবাজি। ইলেক্ট্রিক না, আসল পুরোদস্তুর ফায়ারওয়ার্কস। খুবই মজার একটা সময়। ছোটকাল থেকেই চিংকু চেহারার কারণে চাইনিজ ডাক শুনে এসেছি বলেই কিনা জানি না আমার সবসময়ই চাইনিজ কালচারের প্রতি আকর্ষন বেশি। সে কারণেই অপু অতি উৎসাহের সাথে আমাকে একটা চাইনিজ স্টাইলের শার্ট কিনে দিল। ওটা পরে আরো ঘুরে বেড়ালাম।
এরপরের বছর 'ইয়ার অফ দ্য ডগ' এর শুরুতে অপু এসেছিল সিঙ্গাপুরে। সেবার ওর হাত ধরে ঘুরে বেড়ালাম সিঙ্গাপুরের চায়না টাউন। তারপর আমার ৪ চাইনিজ ফ্ল্যাটমেট আর আমি একসাথে রান্না করে ডিনার করেছিলাম একদিন। সেটা নিয়ে ছোট্ট একটা ব্লগও লিখেছিলাম সে সময়।
তার পরের বছর, 'ইয়ার অফ দ্য পিগ' এর সময় আবার মালেশিয়া ফিরে এলাম। সেই রুস্টারের সময় প্রথমবারের মত আসা, আর এবার দু'বছর পরে মাস্টার্স থিসিস জমা দিয়ে সিঙ্গাপুরের পাট চুকিয়ে আসা। এতদিনে সিঙ্গাপুর আমার বাড়ি হয়ে গেছে, ওখানের বন্ধুরা আমার পরিবার। যেই সিঙ্গাপুরের সবকিছুই দু'বছর আগে অসহ্য লেগেছিল, সেই সিঙ্গাপুরই আমাকে এতদিনে আপন করে নিয়েছে, দিয়েছে অনেক কিছু। সবচেয়ে বড় যা দিয়েছে তা হল নিরাপত্তা আর স্বাধীনতা। ঢাকায় বাসায় সান্ধ্য আইন ছিল, একা একা হুটহাট যেখানে-সেখানে চলে যাবার স্বাধীনতা ছিল না কোন দিন। সিঙ্গাপুরের চমৎকার নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য রাত ৩-৪টার দিকে একা মালেশিয়া থেকে ফিরতেও ভয় পাইনি কখনো। দুটো বছর সিঙ্গাপুরের আনাচ-কানাচ তাই দাপিয়ে বেড়িয়েছি আর স্বাদ নিয়েছি চরম স্বাধীনতার। সিঙ্গাপুর ছেড়ে আসা যেন আরো একবার নিজস্ব গন্ডি ছাড়া, আরো একবার 'দেশ' ছাড়া। এবার আরেক দফা মন খারাপের সময়।
তাই মালেশিয়া এসে আবার যখন মন খারাপের দিন শুরু হল, অপু আমাকে নিয়ে গেল 'ইয়ার অফ দ্য পিগ' এর সাজসজ্জা দেখাতে। চারিদিকে লাল রঙের বন্যা আর উড়াধুড়া সব টিপিকাল চাইনিজ নিউ ইয়ারের গানগুলো আবারো মন ভাল করে দিল।
এরপর 'ইয়ার অফ দ্য র্যাট' আসল। সেটাও শেষ হয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে 'ইয়ার অফ দ্য অক্স'। এতদিনে সব রকম চিংকু চেহারা চিনে গেছি। জেনে গেছি চোখ-নাক ছোট হলেও অনেক পার্থক্য আছে একেক জাতির চেহারায় আর তাদের কালচারে। মুখ দেখে আর ইংরেজি উচ্চারণ শুনে এখন মোটামুটি ৯০% সঠিকভাবে বলে দিতে পারি কে চায়না থেকে এসেছে, কে মালেশিয়ান বা সিঙ্গাপুরিয়ান চাইনিজ বা কে আদৌ চাইনিজ নয় - কোরিয়ান, জাপানি বা ফিলিপিনো। আর এও জেনে গেছি, নাহ্, ভোঁতা নাক বলেই আমার চেহারার সাথে চাইনিজদের কোন মিল নেই, বরং মালেশিয়ার ভূমিপুত্র মালে জাতি বা ইন্দোনেশিয়ানদের সাথেই বেশি মিল।
বাংলা নববর্ষ ২০০৪ এর পরে শুধু একবার পেয়েছিলাম ২০০৭-এ। সেই দুঃখ মনে না এনে চাইনিজ বা ওদের মত দেখতে না হয়েও আমি বারবার ফিরে চাই চাইনিজ নিউ ইয়ারের দিকে আর মন ভাল করি। আর এখানের সবার সাথে গলা মিলিয়ে শুভেচ্ছা জানাই - 'গং সি ফা চাই'।
[শুরুর ছবিটা গতকাল অপুর তোলা, ওর ফ্লিকার থেকে মেরেছি। বাকি ছবিগুলো আমার তোলা। চাইনিজ নিউ ইয়ারের আরো দু-তিনটা ছবি আছে এখানে।]
মন্তব্য
আমি প্রথমে ভাবলাম গং সি ফা কী জিনিস? এটা চাওয়ার কী আছে? বা চাইলে দেয় কিভাবে?
ছবিগুলো সুন্দর লাগলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আসলেই তো! হা হা! এটা দেখে আর শুনে এত অভ্যস্থ হয়ে গেছি যে আমার মাথায়ই আসেনি!
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
মাশীদ গং সি ফা চাই । কত্তদিন পরে তোমার লেখা পড়লাম। তোমার সাথে আমারও চাইনিজ নববর্ষ একদফা দেখা হয়ে গেলো ।
এখানে ফেব্রুয়ারী ১ এ চাইনিজ নববর্ষের সবচেয়ে আকর্ষনীয় অনুষ্ঠান হবে । এবার ভেবেছিলাম যাবোনা কিন্তু তোমার লেখা যাবার ইচ্ছেটাকে শতগুন বাড়িয়ে দিলো ।
ভালো থেকো আর প্লিজ মাঝে মাঝে লিখো.... তোমার লেখা অনেক অনেক ভালো লাগে। আদর
তানিয়াপু
গং সি ফা চাই তানিয়াপু!
যাবেন না মানে, আলবাৎ যাবেন চাইনিজ নিউ ইয়ারের অনুষ্ঠানে! সাথে ক্যামেরাটা নিয়ে যাবেন প্লিজ আর একগাদা ছবি তুলবেন আর ফিরে এসে সেগুলো আপলোড করে একটা পোস্ট দেবেন।
ভাল থাকবেন !
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
এই এক লাইনের ধাক্কা সামলাতেই এখনও গড়াগড়ি খাইতাসি।
লেখা ছবি দুটাতেই পঞ্চতারা !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আসলেই তো! শুরুতে বাসে চুপচাপ টাইপ মানুষ দেখলে মনে হত চড় দিয়ে বলি,'ব্যাটা রোবট, তোর সমস্যা কি?' হে হে! তবে কিছুদিন পরে আমিও ওদেরই একজন হয়ে উল্টা বাসে কেউ বেশি আওয়াজ করলে আমার সেমিছোট বিরক্ত চোখে তাকাতাম।
পঞ্চ তারার জন্য পঞ্চ ধন্যবাদ!
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভালো লাগলো লেখা। এশিয়ার বাইরে লন্ডনে বড়-সড় আয়োজন হয় প্রতি বছর, সেন্ট্রাল লন্ডনের লেস্টার স্কোয়ার আর চায়নাটাউন-কে ঘিরে। বিভিন্ন মিউজিয়াম চীনা থীমের বড় বড় এক্সিবিশান বসায়। শুনেছি টরোন্টো, সান ফ্রান্সিস্কোর উতসবগুলোও দেখার মত। পরিশেষে গং সি ফা চাই।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
আপনার কমেন্ট পড়ে এখন সেন্ট্রাল লন্ডনের অনুষ্ঠানেও যেতে ইচ্ছা করছে।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
মাশীদাপুর লেখা ম্যালাদিন পর পড়লাম। ভাল আছেন তো আপু ?
চোখ গোলগোল, নাক বোঁচাদের দেখলে আমারও প্রথম প্রথম সবাইকে চৈনিক বলেই মনে হত। কিন্তু এখানে আসার পর বিভিন্ন প্রজাতির চৈনিকদের সাথে পরিচয় হবার পর পার্থক্যটা ধরতে পারলাম। আপনাকে অনায়াসে ফিলিপিনো মেয়ে বলে চালিয়ে দেয়া যাবে বুঁচি চেহারার সুবাদে। চৈনিক সাংস্কৃতির প্রতি আমার আগে থেকেই আকর্ষণ কাজ করত। ওদের খাবারের আমি বিশাল বড় ভক্ত। আজকে এখানে আবার 'অস্ট্রেলিয়া ডে' পালিত হচ্ছে তাই স্বাভাবিকভাবেই সরকারী ছুটির দিন ছিল। চৈনিক নববর্ষের দিনটা তাই ভালই কেটেছে। আপনারও ভাল কাটল আশা করি। অপু ভাইয়ার তোলা ছবির প্রশংসা করে স্পর্ধা দেখাতে চাইনে। উনি আসলেই ভাল ছবি তোলেন। ভাল থাকবেন।
যাবার আগে চৈনিক নববর্ষের আবারও শুভেচ্ছা ও আন্তরিক শুভকামনা।
-----------------------------------------
--------------------------------------------------------
আছি ভালই। তোমার খবর কি? অস্ট্রেলিয়া ডে'র ফায়ারওয়ার্কস কেমন হল? হে হে...এখানে ফিলিপিনো না, আমি মোটামুটি লোকাল মালে (malay) হিসেবে চলে যাই। রাস্তাঘাটে অধিকাংশই আমার সাথে malay ভাষায় কথা শুরু করে দেয়, পারি না দেখে অবাক হয়। আমার মজাই লাগে। দেশে থাকতে চাকমা শুনতাম অনেক। মাঝে মাঝে মনে হয়, বাংলাদেশে বাঙালীদের মধ্যে যতটা না মিশেছিলাম, চেহারার দিক দিয়ে বোধ হয় তার থেকেও বেশি মিলে গেছি এখানে। হা হা !
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
আমি ভালই আছি। ফায়ারওয়ার্ক্স দেখতে আর ভাল্লাগেনা আপুনি। অনেক দেখেছি। এবছর তাই আর যাইনি স্বচক্ষে অবলোকন করতে। টিভিতে যা দেখলাম ততটুকুই।
আমার এক বন্ধু কিছুদিন আগে মালয়েশিয়া বেড়াতে গেছিল। সেখানে গিয়ে ভাষা ভালই শিখে গেছে আর মালয়েশিয়ার খাবারের এত বড় ভক্ত হইসে যে কি বলব !! আপনিও শিখে ফেলেন তাহলে আর ভীড়ের মধ্যে খুঁজে পাওয়াই যাবেনা আপনাকে। পুরো লোকাল মাল হয়ে যান। আর সাথে একটা হিজাব লাগায় নিতে পারলে তো সেটা বোনাস। হেঃ হেঃ হেঃ। আর আরেকটু নিয়মিত লিখেন আপু , আমাদের ভাল লাগত।
--------------------------------------
--------------------------------------------------------
গং সি ফা চাই এখনই দিচ্ছি না ! কেননা এতো চমৎকার লেখার হাত আর ক্যামেরার ক্লিক যার দখলে, তিনি কিনা না লিখে লিখে পাঠক ঠকানোর ব্রত নিয়েছেন !
এরকম ছবিময় লেখাচিত্র আরো বেশি বেশি চাই। এবং গং সি ফা চাই...
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
তা যা বলেছেন! অতি লজ্জা পেলাম । অনেক ধন্যবাদ।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
গং সি ফা চাই
...........................
Every Picture Tells a Story
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
হাঁ এটা কিন্তু ঠিক, যে আমাদের সাথে মালে দের জেনেটিক ধারাতে খানিকটা মিল আছে । আমরা প্রোটো অস্ট্রালয়েড (মূলতঃ) আর মালেরা অস্ট্রালয়েড ও প্রোটো অস্ট্রালয়েডের মাঝখানের অবস্থানে আছে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
তাই নাকি?
আমার ধারণা আমিও অস্ট্রালয়েড আর প্রোটো অস্ট্রালয়েডের মাঝে আছি।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
গং সি ফা চাই
=============================
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
গং সি ফা চাই!
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
আপু, আমি তো ভেবেছিলাম "গোলাম আজম গং-এর ফাঁসি চাই" !
লেখাটা চমৎকার হয়েছে। আজকাল ঢাকাতেও দেখছি চাইনিজ বাতিগুলি। ভিতরে বাতি আর বাইরে রঙিন কাগজের গোল আস্তরণ - আমি নিজের রুমে লাগানোর ধান্ধায় আছি আপাতত।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
লীলেন্দা হইলে না হয় ঐটা মনে করার কারন ছিলো
...........................
Every Picture Tells a Story
হা হা হা!
থ্যাংকস্!
আমি লিখতে ভুলে গেছি যে এখানের বাড়িগুলোর গেট আর বারান্দাও এই বাতিগুলো আর রঙিন কাগজের কাটওয়ার্ক দিয়ে সাজিয়ে রাখে। আমারো খুব শখ এরকম একটা বাতি লাগানোর বারান্দায়। সেই কবে ধানমন্ডির এক বাসার বারান্দায় দেখেছিলাম এরকম গোল লাল বাতি, তখন থেকেই মাথায় ঢুকে গেছে। চাইনিজ কালচারে অবশ্য জোড়ায় জোড়ায় লাগানোর নিয়ম। এবারই কিনব ভেবেছিলাম, কিন্তু হয়নি। তাই আপাতত কোন এক ঈদের সময় কেনা মরিচ বাতিগুলোই জ্বালিয়ে দিয়েছি বারান্দায়। বাইরে থেকে দেখে চাইনিজ বাসা মনে হচ্ছে ।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ঐ জিনিস তো কাগজ কেটে বানান যায় । খুব সহজ আর অনেক মজা । ছোটকালে একটা activity বই ছিল আমার, সেখানে এই জিনিস কিভাবে বানান যায় শিখেছিলাম । আমার মনে হয়, আগ্রহী হলে আপনি গুগলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
তা বটে। বেশি কঠিন হবার কথা না। তবে আমি চীনা দোকান থেকে কোন এক চাইনিজ নিউ ইয়ারের সময় সুভেনিয়ার হিসেবে একটা কিনতে চাই।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
আমি ভাবলাম গং সি বোধহয় কারো নামের অদ্যাক্ষর, মাশীদ বোধহয় গং সি র ফাসি চায়। মনে মনে গং সি মানে সিকদার গং হতে পারে এটাও বের করে নিলাম। অর্থাৎ সিকদার গংয়ের ফাসী চাই - সি গং ফা চাই।
যাকগে 'ইয়ার অফ দ্য অক্স' এ তোকে এবং তোর সাথের অক্সটাকে গং সি ফা চাই।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হি হি হি!
তোদের দুইটাকেও গং সি ফা চাই!
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
আপনি লেখেন সুন্দর করে ....পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছিলো কারো সামনে বসে তার মুখ থেকে গল্প শুনছি....
(জয়িতা)
অনেক ধন্যবাদ, জয়িতা।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
লেখাটা তেমন ভাল লাগে নাই । গতানুগতিক এবং একঘেয়ে মনে হলো ।
কি আর করা! that's the story of my life lah!
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
শুনেছি বিগত সরকার সমূহের বেশ কিছু পতিত-পরিত্যাক্ত লোক সিংগাপূর, মালয়েশিয়ায় অবস্তান করছে, তাদের বিষয়ে কিছু লিখলে ভাল হতো । ধন্যবাদ ।
দুঃখিত, রাজনৈতিক যে কোন ব্যাপারে আমার আগ্রহ শূন্যের কোঠায় থাকায় আর ওনাদের কারো সাথে ব্যক্তিগত পরিচয় না থাকায় আপনার অনুরোধটি রাখতে পারলাম না।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
অনেকদিন পর লিখলেন। বিশ্বাস করবেন কি না জানি না, আমি গতকালই আপনার প্রোফাইলে একবার ঢুঁ মেরে দেখলাম, শেষ লেখাটা কয়েক মাস আগের। ভাবলাম, এত দীর্ঘদিন অনুপস্থিত কেন। আর আজকেই পোস্ট!
চাইনিজ নিউ ইয়ার উপলক্ষ্যে গতকাল আমাদের অফিস বন্ধ ছিল। অপ্রত্যাশিতভাবে এরকম একদিন বেশি ছুটি পেয়ে যাওয়ায় খুব আনন্দ লেগেছিল। আর আজ "ইয়ার অভ দ্য অক্স"-এর প্রথম দিন উপলক্ষ্যে পার্টি হলো একটা। অফিসেই। ডাম্পলিংসহ কিছু চীনা খাবারের আইটেম ছিল। বেশ মজা হলো।
ছবিগুলো দারুন। লেখাটাও।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। আসলে লিখতে খুব ইচ্ছা করে কিন্তু আজকাল একদম সময় পাই না আর লেখার মতও কিছু পাই না। চাইনিজ নিউ ইয়ার নিয়ে লিখব সেই 'ইয়ার অফ দ্য পিগ' থেকে ভেবে আসছি, সেটা এতদিনে লিখলাম। আপনি কোথায় আছেন? গতকাল অপ্রত্যাশিতভাবে ছুটি ছিল শুনে কৌতুহল হচ্ছে। আহ্! ডাম্পলিং এর কথা মনে করিয়ে দিলেন। দেখি কালকেই কোন চাইনিজ দোকানে ডাম্পলিং এর জন্য হানা দিতে হবে।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
আমি ঢাকায়, একটা চাইনিজ কোম্পানিতে আছি। বৃহঃবার অফিস শেষে বাসায় গিয়ে, রাতে খবর পাই যে "চাইনিজ নিউ ইয়ার" উপলক্ষে রবিবার অফিস ছুটি! এজন্যই বললাম যে, ছুটিটা অপ্রত্যাশিতভাবে পাওয়া (তার উপর আবার টানা তিন দিন)।
ডাম্পলিং ভীষণ মজার। অনেক খেয়েছি সেদিন।
এখন থেকে নিয়মিত লিখবেন আশা করি
বাহ্! এরকম ছুটি পাওয়া আসলেই মজার। আমাদের এখানে আজকে পর্যন্ত ছুটি ছিল। বেশ লম্বা চারদিনের উইকেন্ড পেয়েছিলাম। আবার কালকে থেকে কাজ শুরু ।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
অনে--ক দিন পর লিখলেন, আপু। আরো চলুক। আমিও ভাবছিলাম "গং সি ফা" কী এমন জিনিস যা চেয়ে ব্লগে পোস্টালেন এত দিন পর।
হা হা হা! আসলেই। অথচ এটা আমার মাথায় গত চার বছরে একবারো আসেনি। তোর খবর কি? ভাল আছিস তো?
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
আপনি অনেকদিন পর লিখলেন
ভালো লাগলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
অনেক ধন্যবাদ।
আজকাল লেখা-পড়া কোনটারই সময় পাই না।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
দুর্দান্ত লেখা-ছবি। অনেকদিন পরে মাশীদাপুর লেখা পড়ার সুযোগ পেলাম।
গতবছর চায়না টাউনে গিয়েছিলাম। খুব উৎসব। ঘুরে টুরে দেখি একদিকে স্টেজে নানান গান হচ্ছে। কোনো বাদ্য-বাজনা নাই, হেঁড়ে গলায় সবাই কেমন টানা-টানা সুরে গান গেয়ে যাচ্ছে। শুনলাম সেই চায়না থেকে তাদের ধরে আনা হয়েছে। যদিও আমার কাছে গান খুব ভালো লাগে নাই - অসংখ্য বুড়ো-বুড়ির সাথে আমিও ভাবলেশহীন মুখে বসে থাকলাম।
এবার কিচ্ছু করা হলো না।
যাই হোক - গং সি ফা চাই!
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
হা হা! আমাদেরও এখানে যে খুব বেশি কিছু করা হয়েছে তা না। রাস্তাজুড়ে ঐ আলোর সাজ দেখা আর কিছু ছবি তোলা পর্যন্তই। এখানের চায়না টাউনটা ঠিক সুবিধার না। বিভিন্ন শপিং মলের মাঝখানে স্টেইজ বানিয়ে যে শোগুলো হয় সেগুলো বরং বেটার। সিঙ্গাপুরের চায়না টাউনটা মিস করি। ওখানের আবহাওয়াটা অনেক লাইভলি।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
গং সি ফা চাই
আরও লেখা চাই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
গং সি ফা চাই
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
গং সি ফা চাই, বদ্দা!
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
হয়তো বাসে খুব নিরীহ কেউ বসে আছে, সে এত নিরীহ কেন দেখেও মনে হত একটা চড় বসিয়ে দেই।
মাশীদ জেনে ভালো লাগল যে আপনি এই বোধ থেকে বের হতে পেরেছেন, আমি এখনো পারিনি। আমার বোধ হয় এ জীবনে আর সেটা হবে না।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
সেটা একদিকে ভাল। you are not losing yourself.
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
গং সি ফা চাই
গং সি ফা চাই
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
এই লেখাটা কত আগে আলাদা করে রাখছিলাম একটুস সময় নিয়ে পড়ব বলে, সময় করতে করতে প্রায় দুই বছর হয়ে গেল
লেখাটা ভাল লাগল মাশীদাপু
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
নতুন মন্তব্য করুন