এলোমেলো বোকা আমি
ভেবেছিলাম এমনি এমনি পেয়ে গেছি বেশ ক'টা ভোর
ভুলেই ছিলাম ভীষণ দামী
এই জীবনের প্রতি প্রহর
সে দাম দেবার একেক রকম নিয়ম-রীতি!
রাত পেরিয়ে নতুন ভোরে তোকে ঘেরা নানান স্মৃতি
কাঠঠোকরা পাখির মত
অবিরত যায় ঠুকে যায় বুকের ক্ষত
যেমন করে মেঘ ঢেকে দেয় সোনালী রোদ
তেমনিভাবেই কষ্ট দিয়ে করছি আমি গভীর সুখের দাম পরিশোধ।
আমায় নিয়ে ভীষণ রকম চিন্তা কি তোর?
আর কত বল!
শুনলে এসব খুব খামাখাই চোখের কোণে যায় জমে জল।
কী লাভ হবে ভাঙলে এ ঘোর?
মনের ভিতর একটু না হয় ছাই রঙা এক মেঘ জমেছে
সেই জন্যে বল কেন তোর ঘুম কমেছে?
হতেই পারে একটু বেশিই ভালবাসি
কিন্তু জানি বাকি আছে এই জীবনের আরো অনেক কান্না-হাসি।
তাই বলছি, আমায় নিয়ে ভাবিস না আর আজকে থেকে
গেলই না হয় তোর আর আমার রাস্তা বেঁকে
কাটল না হয় এ ক'টা দিন খুব ভাল এক অন্য মোহে
পিছুটানের দুঃখ ভুলে না হয় মোরা উড়েই ছিলাম অন্য গ্রহে
হলই না হয় খুব অদ্ভুত অভিজ্ঞতা
কিন্তু দেখিস, সময় ঠিকই ভুলিয়ে দেবে সেসব কথা।
বেশ কিছুদিন আমরা দু'জন ছিলাম না হয় এর-ওর ছায়া
হয়তো সেদিন জ্যোৎস্নারাতে মনের ভুলে
আমার এই হাতটা তুলে
হঠাৎ করেই রেখেছিলি তোর ঐ হাতে
কিচ্ছু এসে যায় না তাতে!
ওলট-পালট সব কিছু ঠিক আগের মত হবেই দেখিস!
নিত্যদিনের খুনসুঁটি আর খেলাচ্ছলে তুই না আমায় শিখিয়েছিস
দুই দিনের এই দুনিয়াটায় সবই মায়া, সবই মায়া।
[বহুদিন আগে সামহোয়্যারে লেখা 'এলোমেলো - ৪' এ এই কবিতার শুরুটা ছিল। বাকিটুকুও লিখেছিলাম অনেক আগে। আজকে পুরনো লেখা ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে পেলাম। নতুন কিছু লেখা হচ্ছে না তাই এটাই পোস্টালাম।]
মন্তব্য
চমৎকার লেখা মাশীদ।
আপনি এত কম লেখেন কেন???????
অনেক ধন্যবাদ।
কি জানি...সময় পাই না...আর সময় পেলে ইনস্পিরেশান পাই না।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
থিমটা ভালো লাগলো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
মাশীদ - কী যে ভালো লাগলো কবিতাটা ......
অনেক ধন্যবাদ স্নিগ্ধাপু।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
এলোমেলো চারের থেকেও চারের বেশি(+)
ভীষণ যেন পাখা পেল...
এক লহমায় উড়িয়ে নিয়ে
আলগোছে খুব অনেক গভীর কথার মালা সাজিয়ে দিয়ে
মরীচিকার মতন নতুন স্বপ্ন দিল।
সব ভুলে তাই গন্তব্য মেঘের দেশই...
খুব ভালো লাগলো... তবে নতুন লেখা চাই...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
আররে! জটিল জটিল!
নতুন লিখতে আমিও চাই..কিন্তু হচ্ছে না।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
কান ঠিক রেখে কবিতাটা পড়তে গিয়ে মাঝে মাঝেই হোচঁট খেতে হয়েছে।
মহসীন রেজা
এই জন্যই তো বলেছিলাম কান ঠিক রেখেন না! আমার কথায় কান না দিয়ে খামাখা হোঁচট খেলেন!
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
লেখাটা ভাল লাগল। আর অনিকেত ভাইয়ের মত একই প্রশ্ন আমার, আপনি এত কম লেখেন কেন মাশীদাপু?
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ধন্যবাদ।
অনিকেত ভাইকেও যা বলেছি...নো টাইম, নো ইনস্পিরেশান...
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
- তুই লিখিস না আর আগের মতো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
- ঠিক!
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
পড়লাম।
এতো কম লেখার জন্য ১ প্রাপ্য হলেও .....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
বদ্দা, এরম বদ্দোয়া মার্কা কমেন্ট কর্তার্লেন?
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
বদ্দোয়া এখনো করি নাই ..... থ্রেট দিলাম ...
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ডরাইসি!
ভাল কথা, ই-বুকটা বের হবে কবে? কর্তৃপক্ষ জবাব চাই!
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ইশশশ! আপনি আরেকটু নিয়মিত লিখলে চরম ভালো লাগতো। এসব মেলাদিন পরপর একেকটা পোস্ট তেষ্টা বাড়িয়ে দেয়।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
অনেক ধন্যবাদ।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
বাহ্ !
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ধ্যাত্তেরি এই ইনস্পিরেশানের খোঁজেই দেশটা গেলো। আপনি যা মনে আসে লেখেন তো, ও ইনস্পিরেশান আপনা আপনি আসবে'খন।
বলছেন? আপনাদের মত পারি না ভাই...তবে চেষ্টা করে দেখব।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
তোর ছন্দজ্ঞান অনেক বেশী ভালো। হয়তো গান গাইতি তাই এতো ভালো সেন্স গ্রো করেছে। সচলে এসে আমাদের ব্যাচের লেখকদের লেখা পড়ে আমার অনেক অবাক লাগে। আমরা হচ্ছি ৫০০ অবজেকটিভের প্রথম ব্যাচ----আমাদের বাংলা শব্দভান্ডারের দৌড় অনেক কম হওয়ার কথা প্রথাগত পড়াশুনার হাত ধরে ।
আর আবেগ!!! আমরা মনে হয় সবাই একেকজন হোপলেস ড্রিমার।
আমার পছন্দ হয়েছে অনেক বেশী---
'অবিরত যায় ঠুকে যায় বুকের ক্ষত
যেমন করে মেঘ ঢেকে দেয় সোনালী রোদ
তেমনিভাবেই কষ্ট দিয়ে করছি আমি গভীর সুখের দাম পরিশোধ।'
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
অনেক ধন্যবাদ বর্ষা।
ওই! আমরা ৫০০ অবজেকটিভের প্রথম ব্যাচ না! আমাদের আগেও ছিল। আর ইয়ে মানে বাংলা শব্দভান্ডার কিন্তু আসলেই আমার খুব সীমিত। একসাথে যদি আমার সব কবিতা পড়া শুরু করিস তাহলে দেখবি ঘুরেফিরে সব একই শব্দ। তবে হোপলেস ড্রিমারের পার্টটা ঠিক আছে।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
খুক খুক (কাশি)
৫০০ অবজেক্টিভের প্রথম ব্যাচ আম্রা। ঐটা আমাদের আন্দোলনের ফসল। সেই কাহিনি কমু কোনদিন ভবিষ্যতে ......
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সুমনদা, একটু কনতো কাহিনীটা কি? আপনি কি আমাদের ৩ ব্যাচ সিনিয়র? আমার একদমই মনে পড়তেছেনা আমরা কোন ব্যাচ ছিলাম...। আমার খালি মনে আছে, আমার এক বন্ধু বাংলা ব্যাকরণ বই বিক্রি করে দিয়েছিলো কারণ এইটা পড়ার প্রয়োজন নাই। টিচারের মনে হইছে আমি বইটা বিক্রি করছি। সে পিচ্চিদেরকে আমাকে সামনে রেখে এই কাহিনী কইতো, এখনো সবাইরে সে এই কাহিনী শোনায়,' বর্ষা নামে এক মেয়ে ছিলো যে বাংলা ব্যাকরণ বিক্রি করে দিয়েছিলো, কিন্তু অবজেক্টিভ এর জন্য বাংলায় লেটার পাইছিলো।' আমার বোন কিছুদিন ভিকারুন্নিসায় টিচার ছিলো, সে গতবছর আমাকে ফোন কইরা কইছে আমি যেনো আপারে ফোন কইরা কই ওই মেয়ে আমি না। কারণ আপা বলে আমার বোনের ক্লাসে গিয়ে এই কাহিনী বইলা আসছে, 'এই তোমাদের আপার বড়ো বোন...'
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
১৯৯২ এসএসসি।
১৯৮৭ সালে এরশাদের শিক্ষামন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলামের পাশ করানো "অবজেক্টিভ" আইডিয়ার প্রথম গিনিপিগ হিসাবে আমাগো যাত্রা শুরু ১৯৮৯ সালে যখন ক্লাস এইটে পড়ি। তখন জিনিসটা বেশ ভালোই মনে করতো অনেকে। কারণ প্রশ্ন কোথা থিকা কীভাবে হবে কেউ জানতো না। তবে গণিতের অবজেক্টিভ নিয়া সব স্কুলেই প্রবল দ্বিমত ছিল।
এই সিলসিলায় গেলোগা ১৯৯০। ১৯৯১ তে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় বসার পর থিকা স্কুলের ছাত্রসহ সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে "অংশগ্রহণ"এর প্রবণতা বাইড়া যায়। এরি মধ্যে জুন মাস নাগাদ শোনা গেলো যে গণিতের অবজেক্টিভ থাকতেছে এবং রচনামূলক আর অবজেক্টিভে আলাদা আলাদা কইরা পাশ করতে হবে। এই নিয়া সেই সময় ঢাকার বেশ কিছু স্কুলে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দশম শ্রেণীর পোলাপানদের মধ্যে ব্যপক অসন্তোষ দেখা দিল।
তবে -
প্রথম মিছিলটা বাইর হইছিল ওয়েস্ট ধানমণ্ডি ইউসুফ হাই স্কুল থিকা। যেইখান থিকা পরের বছর আমি এসএসসি পাশ করি। টিফিনের সময় জ্ঞানী পোলাপানদের একটা জটলা কিছু পরামর্শ করলো। প্রায় সবাই ছিল সেইখানে আমার মতো মহাজ্ঞানী। সেই সময় মনির নামে আমাদের এক করিৎকর্মা সহপাঠীর মাথায় চিলিক মারলো মিছিল বাইর করার আইডিয়া। তার কথায় সায় দিলো তখনকার তৃতীয় ক্লাস মনিটর ( অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল কইরা প্রথম আর দ্বিতীয় মনিটররে হঠাইয়া নিজেই পুরা দশম ক শাখার নেতা হইছিল। তার প্রতিশ্রুতি ছিল দশম শ্রেণীতে উঠার পরে মনিটর জাতীয় পদগুলি যেন সাফল্যের সাথে অকার্যকর করা যায়, যেইটা আমিও সাফুট করতাম। এইটাই ছিল তার জনপ্রিয়তার উৎস। ....... যদিও জানুয়ারীর শুরুতে ভোটে জিতছিলাম আমি ) আশরাফ। ব্যাস। সেইখান থিকাই সিদ্ধান্ত হইয়া গেল আর বিলম্ব নয়। টিফিনের পরের ক্লাসটা হেডস্যারের। ঐটা চুপচাপ পার কইরা জয় মা কালী বইলা যষ্ঠ পিরিয়ডের শুরুতে দশম শ্রেণী ক,খ আর গ...সব মিলাইয়া ছাত্র সংখ্যা দুইশর কাছাকাছি হইবো..সোজা বাইর হইয়া গেলগা স্কুল থিকা। জানালা দিয়া দেইখা অষ্টম শ্রেণীর এক সুশীল চিক্কুর দিতে উদ্যত হওয়ায় আরো একজন ভিন্নমতাবলম্বী সুশীল তার মুখ চাপা দিয়া প্রমিত ভাষায় কয়, "বড় ভাইরা তো আমাদের জন্যই লড়ছে !" কেমন যে লাগতেছিল তখন কী কমু! জীবনে প্রথম পথে এবার নামো সাথী ফিলিংস্ ।
মনির আর আশরাফের নেতৃত্বে সেই মিছিল শংকর দিয়া বাইর হইয়া ২৭ নম্বর দিয়া সোজা ধানমণ্ডি গভ: বয়েজের সামনে, তারপর নিউ মডেলের সামনে। দুই জায়গা থিকাই প্রায় সমগ্র দশম শ্রেণী যোগ দেওয়াতে মিছিলের সাইজ তখন অতি বিশাল।
কলাবাগানে যেইখানে বর্তমানে(২০০৩) হেলভেশিয়া সেইখান থিকা টের পাইলাম মিছিলের আগে পিছে ঠোলা। খালি একটু পর পর চোঙ্গা মাইকে জানাইতেছিল কেউ যেন গাড়িতে ঢিল না ছোঁড়ে। পুরা মীরপুর রোড একরকম ব্লক কইরা প্রথমে গভ: ল্যাব। সেইখানকার অতি ভালো পোলাপানরা বাইর তো হইলোই না উল্টা মিছিলকারীদের গালি দিলো। সেইখানে একটা ইটাইটির সম্ভাবনা ছিল পুলিশ গিয়া আশরাফরে আর মহিউদ্দিন নামে আমাদের এক ফ্রেন্ডরে কী জানি বইলা মিছিল ঘুরাইয়া দিলো। এরপর ঢুকলাম ইউনিভার্সিটি এলাকায়। ইউল্যাব আর ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল মহানন্দে বাইর হইলো। সমস্যা বাঁধলো উদয়নের সামনে গিয়া। উদয়নের তখনো সেই পুরানা টিনশেড। উদয়নের ফেসিবাদি উন্নাসিক পোলাপানরা মনে করলো কারা জানি স্কুল আক্রমণ করছে। ভিতর থিকা তালা লাগাইয়া দিলো। এইবার শুরু হইলো হালকা ইটাইটি। ঠোলা কাঁদানে গ্যাস না ছাইড়া দিলো হালকা ধাওয়া। সেইখান থিকা মিছিল তিন চাইর ভাগ হইয়া সেদিনকার মতো শেষ। কিন্তু ঐদিনের ঘটনাটা একটা মাইল ফলক হইয়া থাকলো যে স্কুলের পোলাপানরাও আন্দোলন করতে পারে। সেই দিন ছিল ১১ আগস্ট ১৯৯১।
এরপর দুইদিন গ্যাপ। এই দুইদিন ধইরা মিছিলকারীদের মধ্যে ব্যপক জল্পনাকল্পনা। হেডু আইসাও ব্যপক ঝাড়ি। এই রকম অবিবেবচকের মতো বাইর হওয়া উচিত হয় নাই। অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যার বিবেচনায় এইবার ছাইড়া দেওয়া হইলো কিন্তু ভবিষ্যতে তাঁদের গার্জিয়ান ডাকা হবে ইত্যাদি। ১৪ আগস্টে মারাত্মক কিছু একটা হবে বইলা সবাই অনুমান করলেও ঠিক কী হবে এইটা কারো মাথায় ছিল না। কারণ আন্দোলনটা শুরু থিকাই নেতৃত্বমুক্ত। সবাই সার্বভৌম সিদ্ধান্তে কাজ করতেছে। অনেকের মধ্যেই গাড়ি ভাঙ্গার ইচ্ছা দেখা গেছিল প্রথম দিন। কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক কীভাবে শুরু করা যায় সেইখানে কারো আইডিয়া ছিলো না।
১৪ আগস্ট টিফিনের পরে আর দশম শ্রেণীর কেউ ক্লাসে যায় না। হেডু চাইরতলার বারান্দায় বেত নিয়া মহড়া দিয়া কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করতারে না। বেলা পৌনে দুইটার দিকে বাইর হইলো মিছিল। শ্লোগান, "এক বিষয়ে দুই পাস চলবে না"। আবাহনী মাঠে ধানমণ্ডি গভ: আর নিউমডেলের সমাবেশ অপেক্ষায় ছিল। সেইখানে পশ্চিম মাঠের পীচের উপর দাঁড়াইয়া বহুকুতুবের বিতর্ক চলতেছিল। প্রথমে মনে করলাম গাড়ি ভাঙ্গা হবে কী না সেই বিষয়ে। পরে বুঝলাম আসলে গাড়ি ভাঙ্গা কখন শুরু হবে সেই বিষয়ে মতভেদ। যাই হোক। মিছিল এ পর্যায়ে রওনা দিলো সাত মসজিদ রোড ধইরা। গভ: ল্যাবের সামনে আইসা দেখি নিউমার্কেটের দিক থিকা ওয়েস্ট এণ্ড হাই স্কুল আর ইউল্যাবের কিছু পোলাপান আগের থিকাই আইসা গভ: ল্যাবের মাঠে পজিশন নিছে। আমাদের মিছিলটা আসাতে একেবারে পুরা মাঠ আর আশেপাশের রাস্তাগুলি ভরাট হইয়া গেল গা। গভ: ল্যাবের ভিতর থিকা কে বা কারা পাইপগান চালাইলো। এদিক থিকা শুরু হইলো ইটাইটি। একটু পরে ওদিকের আর আওয়াজ নাই। বুঝলাম ওরা আইবো না। কিন্তু এদিকে এই বিশাল সমাবেশের কর্তব্য কী এইটাও কেউ জানে না। আইজকা কিছু একটা না কইরা ফেরত গেলে আমড়া-কাঠি দুইই যাইবো। এরকম অবস্থায় যা হয় তাই হইলো। মিছিলটা মেইন রোডে আইসা নীলক্ষেতের দিকে দিলো একটা ব্যারিকেড আর এক নম্বর রোডের আগের গলি বরাবর আরেকটা। এর মধ্যে যেইভাবে পারা যায় শুরু হইলো ভাঙচুর। আমি অতিশয় জ্ঞানী লোক বইলা ক্রমশ সমাবেশ থিকা সইরা আসতে আসতে এক নম্বর রোডের মোড়ে সাইকেলের দোকানের সামনে আইসা দেখি ঠোলারা টিয়ার শেল রেডি করে। আমি ভোলানাথ পালরে জিগাইলাম বাড়ি যাবি? কয়, হ। তারপর সোজা হাঁটা শংকরের দিকে .....
সেদিন অনেক গাড়ির কপালে অনেক দু:খ ছিল। এন্থুসিয়াস্টিক পোলাপান প্রচুর জনসম্পদের ক্ষয়ক্ষতিও করছিল। শংকরে পৌছাইয়া শুনলাম ঐদিকে তুলকালাম হইতেছে। ৬০০ জনের নামে নাকি কেইস করা হইছে। সেই তালিকায় কে যে আছে আর কে যে নাই তা কেউ জানে না। কারণ তালিকাটা কেউ দেখে নাই।
রাত্রে টিভিতে দশটার খবরে দেখি প্রেসনোট। প্রধাণমন্ত্রী স্কুল বালকদের এই ডানপিটে কার্যক্রমে মর্মাহত। প্রেসনোটে ভাংচুরে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হইলো ফলাও কইরা। অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী ড. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বললেন যে ছাত্রদের দাবিগুলি ন্যায্য কী না সেইটা নাকি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি কোথায় যেন এই কথাও বললেন যে ১৯৯২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য নাকি কী এক্টা সারপ্রাইজও অপেক্ষা করছে।
তারপর মাস তিনেক শ্মশাণের নিরবতা।
এর মধ্যে আমরা প্রি-টেস্ট, টেস্ট দুইটা পরীক্ষাই শেষ করছি। আন্দোলনের সময় কে কোথায় ছিল এবং তাঁরা কী কী বীরত্বপূর্ণ নাশকতার সাথে জড়িত ছিল এইসবই ছিল প্রধাণ আলাপের বিষয়। টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট যেদিন বাইর হবে সেদিন....সম্ভবত ৯ ডিসেম্বর বা ১০ ও হইতে পারে স্পষ্ট মনে নাই, ঘোষনা আসলো যে ছাত্রদের দাবী মাইনা নেওয়া হইছে। রচনামূলক আর অবজেক্টিভ মিলাইয়া কোনমতে ৩৩ পাইলেই পাশ। শুধু তাই না তার সাথে আছে বিদায়ী শিক্ষামন্ত্রীর সারপ্রাইজ। অজেক্টিভ পরীক্ষায় যে ৫০ নম্বরের প্রশ্ন হবে তার পুরোটাই হবে টাস্কফোর্সের ৫০০ মডেল প্রশ্ন থেকে। অর্থাৎ ঐ প্রশ্ন ব্যাংকের ৫০০ টা প্রশ্নের উত্তর কোনমতে খোপরিতে নিতে পার্লেই ৫০/৫০। কথিত আছে শিক্ষামন্ত্রীর পদ থিকা বিদায় নেওয়ার আগে ঐটাই ছিল তাঁর শেষ সিদ্ধান্ত।
তারপর একে একে চাইরটা ব্যাচ গেলো ঐ সিস্টেমে।
যদি স্কুল ছাত্রদের প্রথম প্রবল আন্দোলনের কৃতিত্ব কোন ব্যক্তিরে দিতে হয় বন্ধু মনির, আশরাফ, নাজির, মহিউদ্দিন, পংকজ, সঞ্জিবন, সেতু প্রমূখের সেইটা বহুলাংশে প্রাপ্য।
কিন্তু ৫০০ অবজেক্টিভ দিয়া চাইর চাইরটা ব্যাচের ইয়ে মারার দায় যদি কারো বহন করতে হয় তবে তিনি অবশ্যই তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী।
কারণ ৫০০ অবজেক্টিভের ব্যাপারে কোনরকম কোন দাবীই ছাত্ররা সেদিন করে নাই। দাবীনামা লিখিত এবং প্রচারিত হওয়ার মুহুর্তে আমি একাধিকবার নিজে দেখছিলাম। এই রকম কোন দাবীর কোন অস্তিত্ব সেইখানে ছিল না।
এই হইলো ঘটনা ......
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
জটিল কাহিনী!
ভাই আপনে এইটা নিয়া পৃথক পুস্ট দ্যান। পিলিজ। এই মূল্যবান মাস্টারপীসটার মন্তব্যে লুকায়া থাকনটা ঠিক হইবো না।
ভাইজান, আলাদা পোস্টে দয়া করে নেন, এইটা সবার জানা উচিত।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
মন্তব্যের পোস্ট হইয়া ওঠন বিষয়ে অন্য আরেক্টা মিথ আছে যেইটা ভালোনা এইটা নিয়া লিখুমনে অন্য কোন দিন অন্য কোন আলাদা পোস্টে ....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
কৌতুহল তো বাড়ায়া দিলেন! তাড়াতাড়ি ল্যাখেন ওইটা নিয়া।
যাইগা... এইখানে অন্য প্রসঙ্গে বেশি কথা বললে পোস্টের মালিক ঠেঙ্গানী দিতে পারেন। এখনো কবিতা নিয়াই মন্তব্য দেই নাই!
হুম...।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
কাহিনী!
মিথসহ আলাদা করে পোস্টান মিয়া!
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
কই, আমি তো কান খুব ঠিক রেখেও অনেক খুঁজেও কোনো হোঁচট খেতে পারলাম না!
ভয়ঙ্কর সুন্দর লাগলো কবিতা!
নেন, ইনস্পিরেশন দিলাম অনেক, সত্যি সত্যি। আর টাইমও দিলাম, তিন দিন।
লিখুন না আরো কিছু এমন কিংবা আরো সুন্দর!
দিন না ক'রে ঠিক পরিশোধ আমার দেয়া গভীর সবের!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই অনেক ইনস্পায়ার্ড লাগছে। সত্যি সত্যি যদি তিন দিনের মধ্যে আবার নতুন কিছু লিখতে পারতাম!
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
বাহ! ভালো লাগলো মাশীদপু। আরও লিখলে আরও ভালো লাগবে...
----------------------------
ইহাসনে শুষ্যতু মে শরীরং
ত্বগস্থিমাংসং প্রলয়ঞ্চ যাতু।
অপ্রাপ্য বোধিং বহুকল্পদুর্লভাং
নৈবাসনাৎ কায়মেতৎ চলিষ্যতি।।
- ললিতবিস্তর
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অনেক ধন্যবাদ দুষ্টু বালিকা !
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
বহুদিন পর কুলসুম!
আহা কুদ্দুস! এই পরশুদিন 'রক্তের বদলা' দেখতে বসেছিলাম আবার!
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
আমি সাধারণত 'কবিতা'র পোস্টগুলোতে যাই না।বুদ্ধি-সুদ্ধি নাই তো...কবিতার সারমর্মই বুঝে উঠতে পারি না। তারপরও 'এলোমেলো ৪+' প্রিভিউ লাইনগুলোতে চোখ বুলালাম।পুরোটা পড়ার ইচ্ছাকে দমন করতে পারলাম না। কবিতার প্রতি নতুন আগ্রহ পয়দা হলো।
/
ভণ্ড_মানব
অনেক ধন্যবাদ আমার কবিতা পড়ার জন্য।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
যাক, এতদিনে একটু লিখলেন আবার! ইন্সপিরেশনের গুল্লি মারেন। লেখাও যদি চকলেটের মতো দুষ্প্রাপ্য হয়ে যায়, তাহলে কই যাই বলেন??
হি হি হি!
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
তোফা!
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
অনেকদিন পর আপনার লেখা কিছু পড়লাম আপু, ভাল লাগছে।
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
সুন্দর৷ অদ্ভুত সুন্দর৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
অনেক ধন্যবাদ দময়ন্তী।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
অরূপ গতবার বললো আপনের সাথে নাকি আমার মিলবে ভালো, পরিচয় করায়ে দিবো... দিলো না... অপেক্ষায় থেকে থেকে থেকে থেকে...
এইবার আবার আমিই ব্যস্ত... কবিতা খুব ভালো লাগে নাই... (আপনে মাইন্ড করলে আমিও মাইন্ড করুম) তবে আমি আপনের ফটুর ভক্ত আগে থেকেই... ফ্লিকারে দেখি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পরিচয় হতে অরূপকে লাগে নাকি! ধুর! আপনে মাইন্ড করলে করেন...কবিতা ভাল লাগে নাই বলায় আমি চ্রম মাইন্ড খাইলাম। কবিতার ব্যাপারে আমি আবার ইট্টু সেনসিটিভ। তবে ফটুর ভক্ত বলায় মাইন্ড খাওয়া কমায় দিব কিনা চিন্তায় আছি...
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভালো লাগল, সাথে ছবিটাও
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অনেক ধন্যবাদ।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
কোবতে পড়বার সাহস আমার সচরাচর হয় না- কোবতে যে বুঝি না; সেটা যদি প্রকাশ হয়ে যায়...
সাহস করে পড়ে ফেলবার পর আমার প্রথম বাক্যটাই ভাল্লাগসে বেশি...
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
অনেক ধন্যবাদ।
কোবতে আমিও বুঝি না। তারপরেও মাঝে মাঝে লিখতে ইচ্ছা করে।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
চমৎকার
ধন্যবাদ।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
নতুন মন্তব্য করুন